বেনাপোল বন্দর
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪ দিনে ফিরলেন ১৮৮২০ যাত্রী
ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের টানা ছুটি কাটিয়ে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন পাসপোর্টধারী যাত্রীরা। এতে বন্দরে বেড়েছে যাত্রীর চাপ।
শুক্রবার পর্যন্ত ১৮ হাজার ৮২০ জন যাত্রী দেশে ফিরেছেন।
এর মধ্যে ১৬ এপ্রিল ৪ হাজার ৯১০ জন, ১৭ এপ্রিল ৫ হাজার ৩৬৩ জন, ১৮ এপ্রিল ৫ হাজার ১৪৯ জন ও ১৯ এপ্রিল ৩ হাজার ৩২০ জন যাত্রী ফিরেছেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত
পুলিশ জানায়, ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৫ দিনের ছুটি ঘোষণা করে সরকার। লম্বা ছুটি পেয়ে চিকিৎসা, ব্যবসা, ভ্রমণ ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে অনেকেই ভারতে গিয়েছিলেন। দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে ভারত থেকে ফিরে আসছেন। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে দ্বিগুণ। যাত্রীদের নিরাপত্তায় বন্দরে কাজ করছে আনসার, আমর্ড ব্যাটালিয়ন ও বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীরা।
ভারত থেকে ফিরে আসা মনির হোসেন বলেন, তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ঈদের ছুটিতে চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়েছিলেন। ভারতের পেট্রোপোলে লম্বা লাইনে যে ভিড় তাতে ইমিগ্রেশন সারতে প্রায় ৫ ঘণ্টা সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ফলে অনেকটা অসুস্থ হয়ে পড়েছি। ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে জনবল সংকটের কারণে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের।
ভারত থেকে আসা অপর যাত্রী মামুনুর রহমান বলেন, ঈদের টানা ৫ দিনের ছুটি পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলাম ভারতে আত্মীয় বাড়িতে। ছুটি শেষ করে দেশে ফিরছি। তবে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে আমাদের। দীর্ঘ সময় রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকায় আমার স্ত্রী ও বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, বেনাপোল দিয়ে কোলকাতার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় প্রতি বছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত যাতায়াত করেন প্রায় ২০ লাখ পাসপোর্ট যাত্রী। ভ্রমণকর বাবদ সরকারের আয় হয় ১৫০ কোটি টাকা।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্র্যাফিক) রেজাউল করিম বলেন, ঈদের ছুটিতে গত এক সপ্তাহে হাজার হাজার বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে যান। ছুটি শেষ হওয়ায় ভারত থেকে যাত্রীরা দেশে ফিরতে শুরু করেছে। ফলে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। বন্দরের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ঈদের লম্বা ছুটি কাটিয়ে গত ৪ দিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভ্রমন শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন ১৮ হাজার ৮২০ জন যাত্রী।
তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের চাপ বেড়েছে, যাত্রীদের দ্রুত পাসপোর্টের কাজ সম্পন্ন করতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করছে অফিসাররা।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ঈদে ৫ দিন বন্ধ থাকবে বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ২ দিন
সোমবার ভারতের দোলযাত্রা ও মঙ্গলবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকবে দুই দিন।
তবে সোমবার ভারতের সরকারি ছুটি থাকায় আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস প্রক্রিয়াসহ পণ্য ওঠানামা এবং দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী ও বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, দোলযাত্রা বা দোল পূর্ণিমা এই উৎসব ‘হোলি’ নামে পরিচিত। অশুভ শক্তির বিনাশ হিসেবে ‘হোলি উৎসব’ হয়। এই উৎসবের কারণে সোমবার আমদানি ও রপ্তানিসংক্রান্ত কাজকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত সিঅ্যান্ডএফ মালিক, কর্মচারি, হ্যান্ডলিং শ্রমিক, ট্রাকচালকরা নিজ নিজ এলাকায় ফিরে গেছেন। এ ছাড়া মঙ্গলবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দুই দেশের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকবে। বুধবার সকাল থেকে পুরোদমে আবারও চলবে কার্যক্রম।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘ভারতে হোলি উৎসব ও বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবসে ছুটি থাকায় সোমবার ও মঙ্গলবার বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে সোমবার বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও বন্দরে কার্যক্রম চলবে। পণ্য খালাস করতে আসা ভারতীয় খালি ট্রাকগুলো ওপারে ফেরত যেতে কোনো বাধা নেই। বুধবার সকাল থেকে এ বন্দর দিয়ে যথারীতি আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, এ পথে সোমবার ও মঙ্গলবার দুই দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।
আরও পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে ৮৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের
ভুটানের বিনিয়োগকারীদের জন্য কুড়িগ্রামে ১৯০ একর জমি দেবে বাংলাদেশ, আলোচনা চলছে জলবিদ্যুৎ আমদানির
বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে রবিবার (১৭ মার্চ) বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রবিবার সরকারি ছুটি থাকায় বন্ধ রয়েছে পেট্রাপোল ও বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি।
সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল থেকে পুনরায় আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম চলবে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে সরকারি ছুটি থাকায় রবিবার দু’দেশের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। আগামীকাল সোমবার পুনরায় সকাল থেকে এ বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হবে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ২ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারত থেকে ১৪০০ টন ছোলা আমদানি হয়েছে
রমজান উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দিনে ভারত থেকে পাঁচটি চালানের বিপরীতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ১ হাজার ৪০০ টন ছোলা আমদানি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবীন্দ্র সিং ছোলা আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রথম চালানে ৪০০ টন এবং আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বেসরকারিভাবে আমদানি করা আরও ১ হাজার টন ছোলার গুণগত মান নির্ণয় করে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি জানান, বেসরকারিভাবে ছোলা আমদানির পাশাপাশি টিসিবির আওতায় ৪ হাজার টন কাঁচা ছোলা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, সরকারি পর্যায়ে ৪০০ টন ও বেসরকারি পর্যায়ে ১ হাজার টন কাঁচা ছোলা আমদানি করা হয়েছে। রোজা আগে ভারত থেকে ছোলা আমদানি হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ উপকৃত হবেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার বলেন, রমজান উপলক্ষে পাঁচটি চালানের বিপরীতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে গত দুই দিনে ১ হাজার ৪০০ টন ছোলা আমদানি করা হয়েছে। এসব ছোলার গুণগত মান নির্ণয় করে তা ছাড় দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, পবিত্র রমজান উপলক্ষে ছোলাসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে। বন্দর থেকে যেন দ্রুত এসব পণ্য খালাস দেওয়া যায় সেজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ভারত থেকে ৮৪ টন বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৮৪ টন বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করা হয়েছে। রবিবার সকালে ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ছয়টি ট্রাকে করে এসব বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করা হয়।
দিনাজপুরের মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড বিস্ফোরক দ্রব্যগুলো আমদানি করেছে। বেনাপোল বন্দরে পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা বিস্ফোরকের ট্রাকগুলো ঘিরে রেখেছেন। আশপাশের এলাকায় কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: পূজার কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
বেনাপোলের মেসার্স নাজমুল অ্যান্ড ব্রাদার্স নামে একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানটির মালিক নাজমুল হোসেন জানান, পণ্য চালানটি খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কাস্টমসে দাখিল করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কাজ সম্পন্ন হলে ভারতীয় ট্রাক থেকে এসব বিস্ফোরক দ্রব্য খালাস করে বাংলাদেশি ট্রাকে নেওয়া হবে। পরে ট্রাকগুলো রবিবার সন্ধ্যায় দিনাজপুরের উদ্দেশে বেনাপোল বন্দর থেকে ছেড়ে যাবে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল কারিম জানান, খননকাজ পরিচালনার জন্য ভারত থেকে এই বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করেছে দিনাজপুরের মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড।
তিনি আরও জানান, দ্রুত যাতে পণ্য খালাস নিতে পারেন তার সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বন্দর এলাকায় প্রশাসনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার
ভারত থেকে আমদানি করা ৭৪ টন আলুর প্রথম চালান দেশে
রোজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩৮০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল আমদানি
রোজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে তিন হাজার ৮০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল আমদানি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ১১০ টি ট্রাকে করে ভারতীয় মসুরের ডালের বড় চালান এসে পৌঁছায় বন্দরের ট্রান্সসিপমেন্ট ইয়ার্ডে।
বৃহস্পতিবার রাত ১ টা পর্যন্ত কাস্টমস ও বন্দরের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে মসুরের ডালের চালানটি বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে এক কোটি টাকা সমমূল্যের স্বর্ণের বার উদ্ধার
এক হাজার ১৩৬.১৩ মার্কিন ডলার মূল্যে প্রতি মেট্রিক টন মসুরের ডাল আমদানি করা হয়েছে ভারত থেকে।
সিএন্ডএফ এজেন্ট কনফিডেন্স ট্রেড অ্যাসোসিয়েট মসুরের ডাল খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সাবমিট করেন বেনাপোল কাস্টমস হাউজে।
সিএন্ডএফ এজেন্ট কনফিডেন্স ট্রেড অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার মুর্তজা শরীফ জানান, আজ চার হাজার মেট্রিক টন মসুরের ডাল বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। চার হাজার টন এলসির বিপরীতে ১১০টি ভারতীয় ট্রাকে তিন হাজার ৮০০ টন মসুরের ডাল বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
তিন হাজার ৮০০ মেট্রিক টন মসুরের ডাল বন্দর থেকে খালাস নেয়া হলেও বাকি ২০০ টন ডাল দ্রুত আসবে ভারত থেকে।
তিনি আরও জানান, এ মসুরের ডাল আমদানি করতে প্রতি কেজি খরচ পড়ছে ১২৫ টাকা। এ বন্দর থেকে মসুরের ডাল দ্রুত খালাস করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।
শুক্রবার সকালেও ডালের ট্রাক বন্দর থেকে খালাস দেয়া হয়েছে।
কাস্টমস কমিশনার আব্দুল হাকিম জানান, টিসিবির ডালের চালান দ্রুত খালাস করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকতাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের ডাইরেক্টর আব্দুল জলিল জানান, ভারত থেকে তিন হাজার ৮০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল আমদানি হয়েছে। বন্দর থেকে দ্রুত মসুরের ডালের চালানটি ছাড় হয়ে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে, সে জন্য তারা সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেন থেকে বিদেশি সিগারেট মদ জব্দ
সাইকেলে হজযাত্রায় বেনাপোল হয়ে ভারত গেলেন থাই নাগরিক সালাম
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
তবে, এ সময় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে পণ্যবোঝাই ৩০০ থেকে ৩৫০টি ট্রাক আসে ভারত থেকে। বাংলাদেশ থেকেও দিনে গড়ে প্রায় ১৫০ ট্রাক পণ্য যায় ভারতে।
শিল্প-প্রতিষ্ঠানের কাঁচা মালামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এ বন্দর দিয়ে। ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানি করা পণ্যের ৮০ ভাগই আসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: টানা ৪ দিন বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক লতা বলেন, ঈদে মিলাদুন নবী (সা.) উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটির কারণে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে বলে দু’দেশের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পত্র বিনিময় হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার আ. রশিদ মিয়া জানান, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ছুটি থাকায় আজ দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে ওপারের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের মধ্যে আগে থেকে পত্র বিনিময় হয়েছে। আগামীকাল (১০ অক্টোবর) সোমবার থেকে আবার স্বাভাবিক ভাবেই আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকর্মা পূজা: বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল সীমান্তে একজন আটক, ২০ স্বর্ণের বার জব্দ
বিশ্বকর্মা পূজা: বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারতে বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে শনিবার সকাল থেকে বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দু’দেশের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ আছে বলে জানিয়েছে বন্দর কৃর্তপক্ষ।
তবে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমী: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, শনিবার ভারতে বিশ্বকর্মা পূজায় সরকারি ছুটি থাকায় পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম সম্পূর্ণরুপে বন্ধ রয়েছে। রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পুনরায় আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় চাল আমদানি শুরু
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর অভ্যন্তরে পণ্য খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম-কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, শনিবার দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকছে। তবে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা খালি ট্রাক ফেরত যাওয়ার জন্য চেকপোস্ট কার্গো শাখা খোলা রয়েছে।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাণিজ্য বাড়াবে পদ্মা সেতু
দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানিতে গতি আসবে। ঘটবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধি। বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্যবোঝাই ট্রাক দ্রুত সময়ে পৌঁছে যাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। ফলে একদিকে যেমন পরিবহন খরচ কমবে, অন্যদিকে বাজারে পণ্যের মূল্যও কমে যাবে- এমনটি বলছিলেন বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামছুর রহমান।
দেশের সিংহভাগ কলকারখানা ও তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল শতকরা ৮০ ভাগ আমদানি হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। বন্দর থেকে খালাস করা কাঁচামাল দ্রুত সময়ে শিল্প কলকারখানায় পৌঁছে গেলে পণ্যের উৎপাদন খরচও কমে যাবে।শিল্প-কলকারখানা প্রসারিত হবে। কৃষিজাত পণ্যের বাজার প্রসারিত হবে। এ অঞ্চলের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য স্বল্প সময়ে় এবং অল্প খরচে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে অধিক মুনাফা পাবে। বেনাপোল স্থলবন্দরের কার্যকারিতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। এ অঞ্চলের সামগ্রিক যাতায়াত ব্যবস্থা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের আমূল পরিবর্তন হবে। জিডিপি এবং রাজস্ব আয় দুইই বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে বেনাপোল কাস্টমস হাউস থেকে সরকার প্রতিবছর ছয় হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে থাকে। পদ্মা সেতুর কারণে সরকারের রাজস্ব আয় বেড়ে দাঁড়াবে ১০ হাজার কেটি টাকায়।
বেনাপোল আামদানি- রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারীদের চাওয়া পদ্মা বহুমুখী সেতু চালু হওয়ার মধ্যে দিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ এবং কম সময় লাগার কারণে দেশে অন্যতম বেনাপোল বন্দর ব্যবহারে আমদানি ও রপ্তানিকারকরা উৎসাহিত হবেন। আমদানি ও রপ্তানিকারকদের আর্থিক সাশ্রয়ও হবে।
ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ জানান, এই সেতু ব্যবসা ও বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। দেশ থেকে রপ্তানি বাড়বে দ্বিগুণ। শুধু ব্যবসা বাণিজ্য নয়, সকল দিকেই পদ্মা সেতুর প্রভাব পড়বে। বেনাপোল বন্দরের হারানো গৌরব ফিরে পাবে বলে প্রত্যাশা তার।
ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’র ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান বলেন, এ অঞ্চলের মানুষের জন্য দূর্গম পথ ছিল ঢাকা। বেনাপোল থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে ৮/১০ ঘন্টা সময় লেগে যেত। প্রতি বছর শীত মৌসুমে ঘন কুয়াশার কারণে পদ্মার দু’পাড়ে শত শত যানবাহন এবং হাজার হাজার মানুষের দূর্ভোগ দেখেছি। এ অঞ্চলের মেধাবীরা ঢাকার সংগে উন্নত সড়ক যোগাযোগ না থাকায় ইচ্ছা থাকা সত্বেও ঢাকায় গিয়ে পড়াশুনা করতে পারেনি। বহু রোগী সময় মতো পদ্মা নদী পার হতে না পেরে মৃত্যুবরণ করেছে ফেরি ঘাটেই।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, পদ্মা সেতু ছিল দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন। সরকার নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য খুলে যাবে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে দ্রুত ও কম খরচে পণ্য খালাস করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে বাড়বে যাত্রী পারাপার। বর্তমানে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ১০ হাজার যাত্রী ভারতে যাতায়াত করছে। পাদ্মা সেতু চালু হলে যাত্রী পারাপার বাড়বে , সেই সঙ্গে বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে এটা খুবই আনন্দের বিষয়। বেনাপোল দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়বে দ্বিগুণ। বেনাপোল দিয়ে রেলপথে মালামাল আমদানি বেড়েছে। পদ্মা সেতু দিয়ে পণ্য খলাসের পর দ্রুত সময়ে রেল যোগে পণ্য পৌঁছে যাবে ব্যবসায়ীদের কাছে। ফলে সরকারের রাজস্ব আয়ও বেড়ে দ্বিগুণ হবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: ফরিদপুরের অর্থনৈতিক দ্বার উন্মোচিত
পদ্মা সেতু: উদ্বোধনকে ঘিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
পদ্মা সেতুকে ঘিরে মাদারীপুরে উন্নয়নের ছোঁয়া
বেনাপোল বন্দরে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধ
বেনাপোলে পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফরক্লিপ না থাকায় মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধ ঘোষণা দিয়েছে বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি।
রবিবার বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বেনাপোল বন্দর দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর হওয়া সত্ত্বেও এখানে ভারি পণ্য ওঠানো-নামানোর জন্য পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফরক্লিপ নেই। যেগুলো আছে তার মধ্যে কয়েকটা কিছুটা ভালো থাকলেও পণ্য খালাস করতে গিয়ে বার বার নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে এ বন্দরে আমদানিকৃত ভারি পণ্য খালাস করতে দীর্ঘদিন সময় লেগে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৬ দিন পর বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি শুরু
তাই আগামী ১৭ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে তারা।
এছাড়া এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদারকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানালেও তিনি বিষয়টি আমলে নেননি বলে জানান তিনি।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, বন্দরে ছয়টি ক্রেন ও ১০টি ফরক্লিপ রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি ক্রেন ফরক্লিপ নষ্ট হয়ে গেছে। যা মেরামতের কাজ চলছে। শিগগিরই সমস্যা কেটে যাবে।
বেনাপোল বন্দরে ক্রেন ও ফরক্লিপ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাক বেঙ্গল এন্টারপ্রাইজের ম্যনেজার মিল্টন বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বর্তমানে অধিক পরিমাণে পিডিপি (বিদ্যুৎ টাওয়ারের মালামাল) অ্যাঙ্গেল আমদানি হচ্ছে। এতে এ টিটিবি অ্যাঙ্গেল ওঠাতে ও নামাতে গিয়ে তাদের বেশ কিছু ক্রেন ও ফরক্লিপের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েছে। ফলে পণ্য ওঠাতে-নামাতে সমস্যা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল কাস্টমস হাউস থেকে ৪টি শুটার গান উদ্ধার
তিনি জানান, বন্দরের তিনটি ক্রেন ও আটটি ফরক্লিপের মধ্যে সচল আছে। খুব দ্রুত আরও দুটি ক্রেন আনা হবে।
নষ্ট হয়ে যাওয়া ক্রেন ফরক্লিপগুলো দ্রুত মেরামত করা হবে বলে তিনি জানান।