পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গণহত্যার নায়ককে পুরস্কৃত করেছিল এরশাদ-খালেদা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, `১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে গণহত্যার মাধ্যমে যে কালো অধ্যায় রচিত হয়েছিল তার মূল নায়ক ছিল পুলিশ কমিশনার রকিবুল হুদা। তাকে এরশাদ সাহেবও প্রমোশন দিয়েছেন, পরে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াও প্রমোশন দিয়েছেন।’
মন্ত্রী আরও বলেন, সেদিন শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই বৃষ্টির মতো গুলি ছুঁড়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। সেটির দায়ে পুলিশ কমিশনারকে অভিযুক্ত করা হয়নি, বরং পুরস্কৃত করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ‘চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সংশোধিত শ্রম আইন আগামী অধিবেশনে পাস হবে: আইনমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর সামনে একটি গর্বিত দেশ। ন্যাম সামিটে জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথ সেক্রেটারিসহ বহু দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। প্রত্যেকেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।’
তিনি বলেন, তিনি আবার নতুনভাবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পত্রপত্রিকায় দেখেছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। নির্বাচন কেন করলাম না, বিএনপির মধ্যে এখন এ নিয়ে গভীর হতাশা। সারা পৃথিবী যখন অভিনন্দন জানাচ্ছে, তখন তারা দিশেহারা হয়ে গেছে, খেই হারিয়ে ফেলেছে।
মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামেও ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনা মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সেদিনও পাখি শিকারের মতো মানুষ শিকার করে গুলি ছুঁড়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। সেদিন নিহতের সংখ্যা ২৪ জন বলা হলেও অনেক লাশ গুম করা হয়েছে, বহু মানুষ আহত হয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে অনেক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছিল। ভোট নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করে তারা আসলে নিজের মুখটা রক্ষা করার জন্য প্রশ্ন উত্থাপন করছে। বিএনপি এখন আগের নেতৃবৃন্দকে বাদ দিয়ে ড. মঈন খানকে নামিয়েছে। সুন্দর সুন্দর কথা বলে তিনি যদি কিছু করতে পারেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘আসলে বিএনপির মধ্যে ভেতরে ভেতরে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড অসন্তোষ। সেই অসন্তোষ কোনো একসময় বিস্ফোরণ ঘটবে।’
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহারুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিদেশি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো নিয়মিত পর্যালোচনা করবে সরকার
ঢাকা-লন্ডন সম্পর্ক আধুনিক অংশীদারিত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে: ক্যামেরন
তারেকের বিরুদ্ধে রায় বাস্তবায়নে যা কিছু করা সম্ভব্ সবই করবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদালতের রায় বাস্তবায়নে যা কিছু করা সম্ভব যথা সময়ে সরকার সবই করবে।
তিনি বলেন, 'প্রত্যেক দণ্ডিত ব্যক্তির রায় কার্যকর নিশ্চিত করতে চায় আমাদের সরকার। তারেক রহমানের ইস্যুতে সরকার উপযুক্ত সময়ে সম্ভাব্য সবকিছুই করবে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখতে মহাসচিবের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আদালতের রায় বাস্তবায়নে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেককে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।
আদালতের রায় কার্যকর করতে সরকার বিএনপির দণ্ডিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেককে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে, তবে সবকিছুই নির্ভর করছে যুক্তরাজ্য সরকারের ওপর।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গত বছর ওয়াশিংটনে ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা সার্ভিসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘তিনি সেখানে (যুক্তরাজ্য) আছেন। অপরাধী যেই হোক না কেন, তাকে ফিরিয়ে এনে তাদের সাজা কার্যকর করতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। তবে এখন বিষয়টি পুরোপুরি ব্রিটিশ সরকারের ওপর নির্ভরশীল। তারা কি তাকে সেখানে রাখবে নাকি শাস্তি কার্যকর করতে দেবে? এটা সম্পূর্ণভাবে তাদের ওপর নির্ভর করছে।’
তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, অস্ত্র চোরাচালান, দুর্নীতি ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পারিবারিক পুনর্মিলনের ক্ষেত্রে অনেকে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, এই প্রক্রিয়া সহজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি ।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলন: ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার ডাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তিনি স্বীকার করেন, যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে বসবাস করছেন এমন অনেকে আছেন।
দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলন: ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার ডাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ টেকসই উন্নয়নের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে দক্ষিণ বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডার রাজধানী কাম্পালার স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যায় ৭৭ জাতি গ্রুপ ও চীনের তৃতীয় দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলনের সাধারণ বিতর্ক সভায় (জেনারেল ডিবেট) তিনি এ আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ বিশ্বের দেশগুলো শক্তিশালী দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন, যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, ঋণ সংকট ও ক্রমবর্ধমান সুরক্ষাবাদের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও সক্ষম হবে।’
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণকে স্মরণ করে ড. হাছান বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর সমতা ও মানবিক মূল্যবোধের বাণী এখনও প্রাসঙ্গিক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব গড়তে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর জোর দেন। এর মধ্যে রয়েছে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন বাস্তবায়নের জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ, বর্তমান আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামো সংস্কার, প্রযুক্তিগত বিভাজন মোকাবিলা, নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করা এবং দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে যুব জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন।
ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তববাদী উন্নয়ন নীতির ফলে গত দেড় দশকে বাংলাদেশে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তার ভাষণে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের অধিকার অর্জনের সংগ্রামের সমর্থনে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
এর আগে এ দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দক্ষিণ বিশ্ব শীর্ষ সম্মেলনের নতুন চেয়ার উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি মুসেভেনি দু'দিন ব্যাপী এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিস, চীনের রাষ্ট্রপতির বিশেষ প্রতিনিধি লিউ গুওঝং এবং দ্বিতীয় দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোলতান বিন সাদ আল মুরাইখি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও জাতিসংঘে দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত, কেনিয়া ও উগান্ডায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক মুহাম্মদ প্রমুখ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখতে মহাসচিবের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ
কাম্পালায় ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের সাক্ষাৎ
রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখতে মহাসচিবের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ
রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখার জন্য আন্তোনিও গুতেরেসকে অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) বিকালে উগান্ডার কাম্পালায় তৃতীয় দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় তিনি এ অনুরোধ জানান।
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ নিরসনে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাহসী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
২০২৪ সাল জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্য হওয়ার সুবর্ণ জয়ন্তীর বছর উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ এটিকে যথাযথভাবে উদযাপনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন এবং গুতেরেসকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।
বৈঠকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির কাঠামো সংস্কারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া জাতিসংঘের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি বৈশ্বিক প্রক্রিয়ায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যও তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: কাম্পালায় ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের সাক্ষাৎ
দেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও মহাসচিবকে ব্রিফ করেন হাছান মাহমুদ। তিনি জানান, জনগণের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উগান্ডার কাম্পালায় জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৯তম শীর্ষ সম্মেলন এবং ৭৭ জাতি গ্রুপ ও চীনের তৃতীয় দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ এ মুহিত, কেনিয়া ও উগান্ডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক মুহাম্মদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: পাঁচ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
কাম্পালায় সৌদি পররাষ্ট্রবিষয়ক ভাইস মিনিস্টারের সঙ্গে হাছান মাহমুদের সাক্ষাৎ
উগান্ডার কাম্পালায় জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৯তম শীর্ষ সম্মেলনের এক ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রবিষয়ক ভাইস মিনিস্টার ওয়ালিদ এল খেরেজি।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে এ বৈঠকে ভাইস মিনিস্টার এল খেরেজি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানান।
এ সময় দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও সংযোগ বৃদ্ধিসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বিষয়ে তারা আলোচনা করেন।
উগান্ডার কাম্পালায় ন্যাম ১৯তম শীর্ষ সম্মেলন এবং জি-৭৭ ও চীনের তৃতীয় দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত, কেনিয়া ও উগান্ডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক মুহাম্মদ।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের সাক্ষাৎ
পাঁচ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
পাঁচ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
উগান্ডার কাম্পালায় ১৯-২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৯তম শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ কয়েক দফা বৈঠক করেন।
তিনি নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণ প্রকাশ সৌদ, বতসোয়ানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেমোগাং কোয়াপে এবং বেলারুশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই আলেইনিকের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এছাড়া কাম্পালায় কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল-মুরাইখ এবং ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রবিষয়ক ভাইস মিনিস্টার পাহালা নুগ্রহা মনসুরির সঙ্গে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি সহ্য করা হবে না: নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
তারা বাংলাদেশের নতুন সরকার ও বিশেষ করে ড. হাছান মাহমুদকে তার নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করায় অভিনন্দন জানান।
এসব বৈঠকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক জোরদারসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ।
শনিবার ও রবিবার তার আরও কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
২০২৪ সালের ২১-২২ জানুয়ারির জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৯তম শীর্ষ সম্মেলন এবং জি-৭৭’র দক্ষিণ সম্মেলনে (সাউথ সামিট) বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ এ মুহিত এবং কেনিয়া ও উগান্ডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ তারেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বকেয়া পাওনা আদায়ে টেলিটক-বিটিসিএল-বিটিআরসির বৈঠক অনুষ্ঠিত
শ্রমবাজার ইস্যুতে কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং বিশ্বব্যাপী শান্তির সংস্কৃতি সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) উগান্ডার কাম্পালায় ১৯তম ন্যাম সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
১৯তম ন্যাম সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে ন্যাম সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর শান্তি, উন্নয়ন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার কাজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহস ও দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
মাহমুদ ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং তাদের বিচার দাবি করেন।
তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর ও সমর্থন করতে সব ধরনের চেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ন্যাম ও সাউথ সামিটে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে উগান্ডায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দ্বিগুণ প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান।
শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তুলতে গঠনমূলক ও সংঘাতহীন সংলাপ পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
শুক্রবার উগান্ডার রাষ্ট্রপতি ইয়োয়েরি মুসেভেনি আন্দোলনের নতুন সভাপতি হিসেবে শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। দুই দিন আলোচনার পর 'কাম্পালা ঘোষণা' ও ফিলিস্তিনের বিষয়ে একটি ঘোষণা গৃহীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সোয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।
তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও জাতিসংঘে দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে সম্মেলন ও বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন।
ন্যাম ও সাউথ সামিটে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে উগান্ডায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৯তম শীর্ষ সম্মেলন এবং গ্রুপ ৭৭ ও চীনের তৃতীয় সাউথ সামিটে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিতে উগান্ডায় পৌঁছেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে শুক্রবার বিকেলের মধ্য উগান্ডার এনটেবে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
আরও পড়ুন: সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে বাণিজ্য বিস্তৃতিতে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান কেনিয়ায় নিযুক্ত ও একই সঙ্গে উগান্ডায় স্বীকৃত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক মুহাম্মদ। ন্যামের প্রাক-শীর্ষ সম্মেলন সেশনে যোগ দেওয়া পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও জাতিসংঘে দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ উইংয়ের মহাপরিচালক মো. এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী মন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।
এই দুই বহুপাক্ষিক সম্মেলনে যোগদান শেষে ২২ জানুয়ারি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে মন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
টিআইবি তাদের প্রতিবেদনের মাধ্যমে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির হাতে ‘অস্ত্র তুলে দিচ্ছে’: হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) নির্বাচনবিরোধী ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির হাতে 'অস্ত্র তুলে দিতে' ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কি না তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল প্রশ্ন তুলেছে।
তিনি বলেন, 'বিএনপি যা বলছে আর টিআইবি যা বলছে তার মধ্যে ভাষার দিক থেকে মিল আছে বলে মনে হচ্ছে। টিআইবি নির্বাচনবিরোধী ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে না, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সিাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে বিচ্যুত না হয়ে টিআইবি ‘একটি গোষ্ঠীর মুখপাত্রে’ পরিণত হবে না এবং এর সুনাম সমুন্নত রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, টিআইবির প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্নসহ বেশ কয়েকবার ফোন পেয়েছেন।
হাছান মাহমুদ দাবি করেন, টিআইবির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করার কথা থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা কোনো গবেষণা না করেই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বের দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত: হাছান মাহমুদকে ল্যাভরভ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন একটি উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ, ওআইসি ও অন্যান্য দেশের আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এটিকে 'অবাধ ও সুষ্ঠু' বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, মনে হচ্ছে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য পরিশীলিত করেই টিআইবি তাদের প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাতিলসহ কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ ও অন্যান্য ব্যবস্থা নিয়ে নির্বাচন কমিশন বলিষ্ঠ ভূমিকা দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘টিআইবির প্রতিবেদনে ইসির প্রচেষ্টার কোনো মূল্যায়ন করা হয়নি।’
টিআইবি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল একতরফা তবে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ চেহারা দেখানো হয়েছিল।’
'দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া ট্র্যাকিং' শীর্ষক গবেষণার ফলাফল তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। সেখানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ভবিষ্যতের জন্য এটি একটি অশনিসংকেত।’
আরও পড়ুন: ন্যাম সম্মেলন: রোহিঙ্গা ইস্যু মিয়ানমারের কাছে তুলবেন হাছান মাহমুদ
মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান বলে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলিকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক, তাদের নিজ দেশে পূর্ণ নাগরিক অধিকার ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরিয়ে নেওয়াই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে আসুন একসঙ্গে কাজ করি: চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ও ডেলিগেশন প্রধানকে এটি পুণর্ব্যক্ত করে এ বিষয়ে তাদের সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এই কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে বাণিজ্য বিস্তৃতিতে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বৈঠক শেষে মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের হাতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকাসহ ঐতিহ্যবাহী উপহার সামগ্রী তুলে দেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ ও ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে মানুষ হত্যার কারণে রোহিঙ্গা সমস্যা থেকে বিশ্বের নজর অনেকটা অন্য দিকে সরে গেছে।
আরও পড়ুন: আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন পিটার হাস ও চার্লস হোয়াইটলি
সে কারণে আমি ইইউ রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। এখানে আরও ১৫ লাখ অতিরিক্ত মানুষ একটি বিশাল চাপ।
আর রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। দুই দশক আগেও মিয়ানমারের মন্ত্রিসভায় রোহিঙ্গা মন্ত্রী ছিল। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে পূর্ণ নাগরিক অধিকার ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরিয়ে নেওয়াই এ সমস্যার একমাত্র সমাধান।
আরও পড়ুন: পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে চীনের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি নতুন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ইউরোপীয় উদ্যোক্তা এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং তাদের সঙ্গে পার্টনারশিপ অ্যান্ড কোঅপারেশন এগ্রিমেন্টের (পিসিএ) বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।