পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল আ. লীগ সরকার: রিজভী
বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে বিএনপি জড়িত- পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এ ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ‘যত্নের অভাবে বা নির্যাতনে’ পুলিশ হেফাজতে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে: রিজভী
রিজভী বলেন, ‘পিলখানায় সেনা অভিযান না চালানো, খুনিদের আপ্যায়ন করা, সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা এবং অনেককে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় নানা প্রশ্ন ওঠে। সেসব প্রশ্ন তুলতে গিয়ে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। ২০১১ সালের ৩০ আগস্ট উইকিলিকসের ফাঁস করা গোপন তথ্য, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সাক্ষ্য, তাদের বিচার প্রক্রিয়া, তদন্ত কমিটির আংশিক প্রতিবেদন, দেশি-বিদেশি সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের তদন্ত প্রতিবেদন পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টা পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলামের শেষ বক্তব্য স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের অনেক সদস্যকে ঠান্ডা মাথায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর তাদের পেছনে ছিলেন এই সরকারের বিদেশি প্রভুরা।’
এদিকে সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে বিএনপি ছিল এবং দেশের স্মার্ট অফিসারদের হত্যা করেছে।
পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলামের সাক্ষাৎকারের কথা উল্লেখ করে রিজভী আরও বলেন, ‘হাছান মাহমুদ হয়তো স্বীকার করবেন না, কিন্তু সেদিন পিলখানায় যা ঘটেছিল, কারা করেছিল, কেন ঘটল, ঘটনার পেছনে কারা ছিল, কে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল- এসব সত্য গতকালও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সোমবার গণমাধ্যমে বিজিবির সাবেক এই মহাপরিচালকের সাক্ষাৎকার দেখে কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে? সাবেক ডিজির বক্তব্যে সেদিন জনগণ যা দেখেছে এবং বিশ্বাস করেছে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল সাবেক মহাপরিচালকের সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন- একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং তারা ঘটনার সময় বাইরে জয় বাংলা স্লোগান দেন। তাছাড়া বিদেশি উসকানির বিষয়ে তিনি যা বলেছেন, ঘটনার দিন থেকেই জনগণ তা বিশ্বাস করেছে। সাবেক এই মহাপরিচালক সাক্ষাৎকারে বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিকে আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়নি। আমরা বলতে চাই, পিলখানা ট্র্যাজেডির রহস্য লুকিয়ে রাখা যাবে না, একদিন এর আসল রহস্য উন্মোচিত হবে এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
ক্ষমতা দখল করে ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে আ.লীগ সরকার: রিজভী
দেশ-উন্নয়নকে আরও কাছ থেকে দেখবেন বিদেশি কূটনীতিকরা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি কূটনীতিকরা 'অ্যাম্বাসেডরস আউটরিচ প্রোগ্রাম' এর মাধ্যমে দেশ ও দেশের অগ্রগতি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে এবং কাছ থেকে জানতে পারবেন।
তিনি বলেন, কূটনীতিকরা যাতে আরও কাছ থেকে দেখতে পারেন, সেজন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর বাইরে পরিদর্শনের মাধ্যমে কূটনীতিকরা বাঙালি জাতির সামর্থ্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে যে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে- সেই খবরগুলো তাদের দেশে পৌঁছাবেন। ফলে তা বিশ্বময় ছড়িয়ে যাবে।
মঙ্গলবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে গণমাধ্যমের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দু'দিনব্যাপী 'অ্যাম্বাসেডরস আউটরিচ প্রোগ্রামে'র আওতায় প্রথম দিন আজ দুপুরে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার মিশন প্রধানদের নিয়ে চট্টগ্রামে নেভাল একাডেমি এবং কর্ণফুলী টানেল পরিদর্শন শেষে ট্রেনে কক্সবাজার যান তিনি।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. নজরুল ইসলাম ও অন্যান্য কর্মকর্তারা কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা যেন আমাদের দেশকে আরও জানেন, দেশে যে বিরাট উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ হচ্ছে সেগুলো যেন তারা স্বচক্ষে দেখেন, সেকারণেই তাদেরকে চট্টগ্রামে আনা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে তারা কক্সবাজার যাবেন।
বিদেশি প্রতিনিধিদের এই পরিদর্শনে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে কি না -সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই তারা বাংলাদেশকে আরও ভালোভাবে জানতে পারবেন, ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার সফরে এসেছেন তারা। আজ চট্টগ্রামে কয়েক ঘণ্টা কাটালেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম রোড টানেল তারা দেখলেন।
আরও পড়ুন: কায়রো অপেরা হাউজে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
তিনি বলেন, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ এশিয়ার কোথাও নদীর তলদেশ দিয়ে রোড টানেল নেই। সেটি তারা দেখলেন। এই যে অসাধারণ উন্নয়ন, যেগুলো আজ থেকে ১৫ থেকে ২০ বছর আগে মানুষ কল্পনাও করেনি, সেগুলো আজকে বাস্তব এবং সেই বাস্তবতা আজকে কূটনীতিকরা নিজের চোখে দেখেছেন।
কূটনীতিকদের ট্রেনে করে কক্সবাজার নেওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত ট্রেন লাইন হয়েছিল ১৯৩০ সালে। তারও আগে ব্রিটিশ আমলে ১৯০০ সালের পরপরই চট্টগ্রাম থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ট্রেন লাইনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এরপর দেশ ভাগ হলো। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। কারণ তাকে সাড়ে তিন বছরের মাথায় হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আগরতলা প্রেস ক্লাবের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
মন্ত্রী বলেন, এই জনপদের মানুষ ১২৫ বছর আগে যে স্বপ্ন দেখেছিল, আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেটি বাস্তবায়িত হয়েছে। এই অসাধারণ কাজ কূটনীতিকদেরকে দেখাবার জন্য চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে করে কক্সবাজার নিয়ে এসেছি। তাদেরকে এখানে আনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তারা যেন বাংলাদেশকে জানে এবং চেনে, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত যে আমাদের দেশে, এই খবরটা যেন তাদের মাধ্যমে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ে। এবং বাংলাদেশের সৌন্দর্য ও উন্নয়ন সম্পর্কে তারা যেন ভালো করে জানতে পারে, সেজন্যই তাদেরকে আমরা নিয়ে এসেছি।
বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কথাবার্তা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের সঙ্গে তো কথাবার্তা আমাদের সবসময়ই হয় এবং তারা অনেকেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেছেন। এবং এখনও যদি তারা সুযোগ পায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাবেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন, কোরিয়া, ইতালি, ডেনমার্ক, কসোভো, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, ভ্যাটিকান, ভুটান, স্পেন, আর্জেন্টিনা, লিবিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মিশর, ফ্রান্স এবং এফএও, আইইউটি, একেডিএন আন্তুর্জাতিক সংস্থাগুলোর ২৪ জন মিশন প্রধানসহ ৩৪ জন কূটনৈতিক সদস্য এই আউটরিচ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: জাপান দূতাবাস ও শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে ইকেবানা কর্মশালা অনুষ্ঠিত
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আগরতলা প্রেস ক্লাবের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে ঢাকা সফররত আগরতলা প্রেস ক্লাবের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে এ সাক্ষাৎ করে প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
এসময় উপস্থিত ছিলেন- আগরতলা প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জয়ন্ত ভট্টাচার্য, সেক্রেটারি রমাকান্ত দে, সৈয়দ সাজ্জাদ আলী, কামাল চৌধুরী, রঞ্জন রায়, অভিষেক দে, সুরজিৎ পাল, মনিষ লোদ, অভিষেক দেববর্মা, প্রণব সরকার, সুপ্রভাত দেবনাথ, দেবাশিস মজুমদার এবং সুমন দেবরায় ও বাংলাদেশের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার সভাপতি রেজওয়ানুল হক।
এ সময় মন্ত্রীকে উত্তরীয় ও সম্মাননা স্মারক অর্পণ করে প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সাক্ষাৎ
মার্কিন উপসহকারী মন্ত্রী আফরিনের সঙ্গে ফখরুলের সাক্ষাৎ
বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল বিএনপি: হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট, বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে বিএনপি ছিল এবং দেশের স্মার্ট অফিসারদের হত্যা করেছে।
নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিপুল জনরায় নিয়ে সরকার গঠন করে সেই সরকার কি এমন কাজ করতে পারে? দিবালোকের মতো পরিষ্কার, এই বিপুল জনরায় দেখে বিএনপি তাদের জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল এবং তারা ষড়যন্ত্র করে বিডিআর বিদ্রোহ করেছিল এবং আমাদের চৌকস অফিসারদের হত্যা করা হয়েছিল।’
হাছান মাহমুদ ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদ্রোহে যারা নিহত হয়েছেন তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' বিবৃতি বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে না: হাছান মাহমুদ
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেরিতে বিছানা ছাড়লেও বিদ্রোহের দিনে ঘটনা শুরুর বেশ আগে তার সেনানিবাসের বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন।
হাছান বলেন, ‘কেন তিনি সেদিন এত সকালে বিছানা ছেড়ে উঠেছিলেন? তার মানে তিনি বিদ্রোহের কথা আগে থেকেই জানতেন।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ফোন কল রেকর্ড সরকার সংগ্রহ করেছে এবং জানে লন্ডনে তিনি কতবার কথা বলেছেন সেটি সরকার জানে। ‘সুতরাং এটা স্পষ্ট যে, বিএনপি এর সঙ্গে জড়িত।’
বিএনপি নেতা ড. মঈন খানের কথা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, মঈন খান হয়তো ভুলে গেছেন যে, বিএনপি-জামায়াত আমলে বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মনে করেছে নির্বাচন হবে না এবং তারা চেয়েছিল যাতে সংঘাত সৃষ্টি হয় এবং ভোটাররা যাতে ভোট দিতে না পারে।
তিনি বলেন, কিন্তু বিপুল সংখ্যক ভোটাররা এসেছে এবং নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে।’
মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনাকালে হাছান মাহমুদ বলেন, সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে তাদের মধ্যে অত্যন্ত খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
বিএনপিকে জনগণ কালো পতাকা ও বিদেশিরা লাল পতাকা দেখিয়েছে: হাছান মাহমুদ
আগামী অক্টোবরের সম্মেলনের আগেই আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে চায় বাংলাদেশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার (এসডিপি) হলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং উৎকৃষ্ট কর্মকাণ্ডগুলো বিনিময়ের মাধ্যমে আসিয়ান ও বাংলাদেশ উভয়ই লাভবান হবে।
এ লক্ষ্যে তিনি ২০২৪ সালের অক্টোবরে ভিয়েনতিয়েনে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের আগেই আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে আসিয়ানের সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানান।
আসিয়ানের ঢাকা কমিটির (এডিসি) সদস্যরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে চাই: মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আসিয়ানের এসডিপি হতে বাংলাদেশের প্রত্যাশায় সমর্থন করার আশ্বাস দেন এডিসির সদস্য।
এডিসি ঢাকাভিত্তিক আটটি আসিয়ান আবাসিক মিশন- ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের মিশন প্রধানদের সমন্বয়ে গঠিত একটি অনানুষ্ঠানিক প্ল্যাটফর্ম।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, আসিয়ান দেশগুলোর উচিত পারস্পরিক লাভজনক অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বন্ধনকে কাজে লাগানো।
বাংলাদেশের সঙ্গে আসিয়ানের যে বাণিজ্যিক ব্যবধান রয়েছে, তা অতিক্রম করা সম্ভব উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনার সুফল পেতে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক উভয় পর্যায়ে বেসরকারি খাতের বর্ধিত ভূমিকার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ওষুধ, চামড়াজাত পণ্যের মতো বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে তাদের কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করতে মিশন প্রধানদের পরামর্শ দেন।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১২ লাখ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়টি মোকাবিলায় এডিসির সদস্যদের সমর্থন প্রত্যাশা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ওআইসি অধিবেশনে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে অপতথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গঠনের আহ্বান বাংলাদেশের
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সাক্ষাৎ
আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে চাই: মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে তাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সৃষ্টির আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই দিক থেকেই সদিচ্ছা আছে। একসঙ্গে আমরা আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় তৈরি করতে চাই।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় চায়, এটি একটি বড় বিষয়।
সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে জনগণ উপকৃত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরাও তাদের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চাই।’
প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লুবাখার, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।
এইলিন লুবাখার তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের অভিন্ন অগ্রাধিকার এবং ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজের ক্ষেত্রে সহযোগিতার উপায় নিয়ে আলোচনা করে আমরা আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কট উরবম
তিনি আরও বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে।’
বৈঠক শেষে মার্কিন দূতাবাস এক পৃথক বার্তায় বলে, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, শরণার্থী, জলবায়ু, শ্রম ও বাণিজ্যসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমাদের দুই দেশ কীভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়ে আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
এতে বলা হয়, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পাঁচটি পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশ অনুসরণ করবে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের জন্য নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি করেছে। ‘আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রকে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি রাশেদ চৌধুরী প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য তারা মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। মার্কিন পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিষয়টি মার্কিন বিচার বিভাগের অধীনে রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজার কারসাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিন মার্কিন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে 'কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পারস্পরিক স্বার্থের অগ্রগতির জন্য একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এগিয়ে নেওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে' সফর করছেন।
তারা পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শ্রমিক নেতা, যুব কর্মী এবং মুক্ত ও অবাধ গণমাধ্যম তৈরির কাজে নিয়োজিতদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও গভীর ও সম্প্রসারিত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে চিঠি দিয়েছেন তা দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পত্রের উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর লেখা পত্রের একটি কপি মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী লুবাখারকে হস্তান্তর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাতীয় নির্বাচনের পর ৮ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, 'অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য এগিয়ে নিতে, বাংলাদেশে মানবাধিকার ও নাগরিক সমাজকে সমর্থন এবং আমাদের জনগণের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে প্রতিনিধিদলের একাংশ পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ দিন দুপুরে আসিয়ান দেশগুলোর ঢাকায় নিযুক্ত হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মন্ত্রী জানান, আসিয়ানের পর্যবেক্ষক হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি ও এই জোটভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা বৈঠকে অংশ নেন।
বাজার কারসাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনি ইশতেহারে আমরা বলেছিলাম, দ্রব্যমূল্য যেন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেটি আমাদের অগ্রাধিকার।
তিনি বলেন, সেই অগ্রাধিকার নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং বাজারের অসাধু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার সব রকম ব্যবস্থা নেবে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে এলডি হল চত্বরে রাঙ্গুনিয়া সমিতি, ঢাকা আয়োজিত সংবর্ধনা, মেজবান ও মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি রোজা-রমজান, ঈদ কোনোটাই মানে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ দেশে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোজার আগেই কিছু পেঁয়াজ বাজারে ঢুকবে, কাজেই বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল আছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাজারের অসাধু লোভাতুর সিন্ডিকেট কারণে-অকারণে নানা অজুহাতে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বাড়ায়। আমরা দেখেছি, একটি কোল্ড স্টোরেজের ভেতর থেকে দেড় লাখ ডিম উদ্ধার করা হয়েছে। অতীতে পেঁয়াজের সংকট তৈরি করা হয়েছিল।’
মিয়ানমার সীমান্তে আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমার সীমান্তে আগের যে ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, তেমন পরিস্থিতি আর তৈরি হবে না বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'আমাদের দেশে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। প্রতি বছর ৩৫ হাজার নতুন রোহিঙ্গা শিশু জন্মগ্রহণ করে অর্থাৎ প্রতি বছর এই সংখ্যাটা বাড়ছে। আমাদের পক্ষে আর কোনো রোহিঙ্গাকে গ্রহণ কিংবা আশ্রয় দেওয়া সম্ভবপর নয়। মিয়ানমার সীমান্তে এর আগে যে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, আশা করব সেই ধরনের পরিস্থিতির আর হবে না।'
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি শিরিষ তলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) আয়োজিত অমর একুশে বই মেলায় 'মহান একুশে চসিক স্মারক সম্মাননা পদক' প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভারতের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসানের সাক্ষাৎ
মিয়ানমারের জান্তা সরকার সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে তারা আবারও অভিযান চালাবে, অনেক রোহিঙ্গা সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে, সরকার এই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেবে- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘আপনারা জানেন কয়েকদিন আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী মিউনিখে সিকিউরিটি কনফারেন্সে গিয়েছিলেন। সেখানেও আমরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের যেই প্রতিনিধি দল আসছে, এটি আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীরতর করার ক্ষেত্রে সহায়ক। সেখানে নিশ্চিতভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আমরা আলোচনা করব।’
তিনি বলেন, ‘রাখাইনে অভিযান পরিচালনা করাটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, কিন্তু সেটির কারণে আমাদের এখানে উত্তেজনা এর আগে তৈরি হয়েছে, এবং সেখানকার মর্টার শেল আমাদের দেশে এসে পড়েছে, দুইজন নিহতও হয়েছে। ৩৩০ জনের মতো তাদের সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য আমাদের দেশে এসেছিল, আবার তাদের ফেরত নিয়ে গেছে। মায়ানমারের রাষ্ট্রদুতকে ডেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সেটির প্রতিবাদ আমরা জানিয়েছি। সুতরাং আমরা আশা করব এর আগে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা আর হবে না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের এর আগে মানবিক কারণে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, তাদের কীভাবে ফেরত পাঠানো যায় আমরা সে নিয়েই কাজ করছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সমস্ত রাষ্ট্রসমূহের সহায়তা কামনা করেছি, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে মিয়ানমারের সরকারের ওপর যাতে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করা হয়, সেজন্য ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমরা আলাপ আলোচনা করেছি।’
বই মেলায় ড. হাছান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করার পর ছাত্রলীগ প্রথম যে ১০ দফা দেয়, তার অন্যতম ছিল- বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করতে হবে। সেই দশ দফার ভিত্তিতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে তরুণ নেতা শেখ মুজিবসহ ছাত্র নেতারা জেলায় জেলায় সফর করেছিলেন। এই অনুম্মোচিত ইতিহাসগুলো আজকে ধীরে ধীরে উম্মোচিত হচ্ছে। পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন যে, পাকিস্তান রাষ্ট্র ব্যবস্থার মধ্যে বাঙালি জাতির মুক্তি নিহিত নেই।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কট উরবম
বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকারে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় হাছান মাহমুদ সামনের চ্যালেঞ্জের কথা স্বীকার করলেও জাতীয় স্বপ্নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের স্বপ্ন বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করা। এটাই আমাদের স্বপ্ন। আমি জানি এখানে অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, কিন্তু এটাই আজ আমাদের স্বপ্ন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে ছিলেন।
তিনি বলেন, 'অনেকেই জানেন না, তাকে যখন চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কারাগার থেকে) নেওয়া হয়, তখন তিনি একটি সভার আয়োজন করেছিলেন। সেই সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করা হবে।বঙ্গবন্ধু তার কারাগারের সদস্যদের নিয়ে এই সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ বিভিন্ন বিদেশি মিশনের পাশাপাশি পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনও অংশ নেন। ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস, কূটনীতিক, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তরুণ নেতা হিসেবে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাছান মাহমুদ।
বাংলাদেশকে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন ড. হাছান মাহমুদ। এসময় তিনি তিনি মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪-এ তার নেতৃত্বের জন্য প্রাপ্ত প্রশংসার কথাও উল্লেখ করেন।
ইউনেস্কো ও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন ভাষাগত বৈচিত্র্য উদযাপন করে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অন্তর্ভুক্তিকে উৎসাহিত করে।
২০২৪ সালের প্রতিপাদ্য, ‘বহুভাষিক শিক্ষা - শেখার এবং আন্তঃপ্রজন্মীয় শিক্ষার একটি স্তম্ভ’, মাতৃভাষায় শুরু হওয়া শিক্ষার পক্ষে সমর্থন করে, বহুভাষিক শিক্ষার রূপান্তরকে সহজ করে এবং আদিবাসী ভাষা সংরক্ষণ করে।
বাংলাদেশে 'অমর একুশে' স্মরণে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়, যা সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত সংরক্ষণে জাতির অঙ্গীকারের কথা বলা হয়।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।যা জাতীয় ঐক্য ও স্মরণীয় মুহূর্তের প্রতীক। এসময় কালজয়ী সংগীত 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি'র গানটি বাজানো হয়।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ‘ইশারায় ভাষা শিক্ষার অভিধান’ চালু করল ইউএনডিপি
ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকা সফরত ঘানার পররাষ্ট্র ও আঞ্চলিক সংহতি বিষয়ক মন্ত্রী শার্লি আয়োরকর বোচওয়ে।
মঙ্গলবার(২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আফ্রিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এফ এম জাহিদ উল ইসলাম ও মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।
ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে পণ্য রপ্তানি, চুক্তিভিত্তিক চাষাবাদ এবং কমনওয়েলথ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: ফখরুল-খসরু জামিনে মুক্ত
মহাপরিচালক জাহিদ উল ইসলাম জানান, আমরা কি কি পণ্য ঘানাতে রপ্তানি করতে পারি তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে ফার্মাসিউটিক্যালস, পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি বিষয় ছিল। চুক্তিভিত্তিক চাষাবাদের জন্য ঘানা উপযুক্ত কি না এবং আমরা এ ব্যাপারে সমঝোতায় যেতে পারি কি না, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘানা কমনওয়েলথভুক্ত একটি রাষ্ট্র। আগামী অক্টোবরে সামোয়াতে সেক্রেটারি হেড অব লিডারদের সম্মেলন আছে। সেই সম্মেলনে কমনওয়েলথ সেক্রেটারি নির্বাচিত হবেন। সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মূলত, এ তিনটি বিষয়ে আমরা ব্যাপকভাবে আলোচনা করেছি।
তিন দিনের সফরে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার ঢাকায় আসেন। সফরের শুরুর দিন তিনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: আজ মুক্তি পেতে পারেন ফখরুল-খসরু
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় ফখরুল-খসরুর জামিন