আদালত
সিলেটে আদালতে এপিপির উপর হামলা: ছাত্রলীগে নেতাসহ ২৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সিলেট জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর প্রবাল চৌধুরী পূজনের উপর হামলার ঘটনায় রবিবার (১৩ আগস্ট) ৫৫ অজ্ঞাতনামা ও দুই শতাধিক জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রবিবার (১৩ আগস্ট) ভুক্তভোগী প্রবাল চৌধুরী বাদী হয়ে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ ও মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমেদ, সিসিক ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহেল আহমদ ও সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মিসবাউল করিম রফিকসহ ৫৫ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।
এদিন দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান ভূঁইয়া কোতোয়ালি থানা পুলিশকে এই আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার পাশাপাশি মামলাটি যেন দ্রুত বিচার আইনে নথিভুক্ত করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ও মামলার বাদী আইনজীবী প্রবাল চৌধুরী পূজন।
সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ও মামলার বাদী আইনজীবী প্রবাল চৌধুরী জানান, মামলার আসামিরা সিলেটের চিনি চোরাকারবারী ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। একই সঙ্গে তারা অছাত্র দিয়ে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে আমি ফেসবুকে পোস্ট করি। এরই ধারাবাহিকতায় আসামিরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। হামলার সময় আসামিরা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
আরও পড়ুন: সিলেট-তামাবিল সড়কে দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
তিনি আরও জানান, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৫৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দাখিল করলে আদালত থানাকে অভিযোগের এজাহারটি দ্রুত বিচার আইনে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, প্রবাল চৌধুরীর উপর হামলার ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য গত শুক্রবার (১১ আগস্ট) তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপদপ্তর সম্পাদক সানি মোহাম্মদ আকাশ বলেন, হামলার বিষয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছে সেগুলো খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চার সদস্যের কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে দলের সিদ্ধান্ত অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কমিটির সদস্যরা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি ফুয়াদ হোসেন শাহাদত, সহসভপতি বরিকুল ইসলাম বাধন, সহসভাপতি মাইনুল হাওলাদার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক তাওহিদ বনি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আইনজীবী প্রবাল চৌধুরী পূজনের সিলেট নগরীর দাঁড়িয়াপাড়াস্থ বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত হন পূজন। এমনকি তিনি স্প্লিন্টারবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা যায়।
আরও জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে অ্যাডভোকেট পূজনের সমালোচনার জেরে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাসিয়া নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
হিরো আলমকে হত্যার হুমকি: সিলেট থেকে যুবক গ্রেপ্তার
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ২৩ আগস্ট
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি নথি ‘চুরির চেষ্টার’ অভিযোগে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস’ আইনে করা মামলায় অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৩ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) মামলাটি অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল।
এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।
এজন্য ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।
ডিবি পুলিশ তদন্ত শেষে গত বছর ১১ অক্টোবর রোজিনা ইসলামকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
আরও পড়ুন: অব্যাহতির পর রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে বাদীর নারাজি দেয়ায় বিএসআরএফ’র উদ্বেগ
গত ২৩ জানুয়ারি বাদীপক্ষের নারাজির আবেদন মঞ্জুর করে পিবিআইকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
২০২১ সালের ১৭ মে প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। স্বাস্থ্য সচিবের পিএস সাইফুল ইসলামের রুমে ফাইল থেকে নথি সরানোর অভিযোগে তাকে ওই রুমে আটকে রাখা হয়।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রোজিনা ইসলামকে পুলিশ স্বাস্থ্য সচিবের পিএসের রুম থেকে থেকে বের করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।
এরপর মধ্য রাতে তার বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা করেন শিব্বির আহমেদ।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে আর্টিকেল ১৯
মন্ত্রী, সচিব বা রোজিনা ইসলাম কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন: তথ্যমন্ত্রী
সুনামগঞ্জে গ্রেপ্তার ৩২ শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২৪ জন শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার হওয়া ৩৪ জনের মধ্যে ৩২ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. তৈয়বুর রহমান।
বুধবার (০২ আগস্ট) দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ফারহান সাদিক জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
তিনি জানান, আসামিদের অভিভাবকদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে চান আদালত। দীর্ঘ ৪০ মিনিট উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে ৩৪ জন আসামির মধ্যে ৩২ জনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন। তাদের প্রত্যকে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকার মাধ্যমে জামিন দেন।
উল্লেখ্য, ৩০ জুলাই বুয়েটের শিক্ষার্থীরা সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরাঘুরি শেষে তারা তাহিরপুর উপজেলার ট্যাকেরঘাটের এলাকায় যাচ্ছিলেন। ডাম্পের বাজার এলাকা থেকে তাহিরপুর থানার পুলিশ তাদের আটক করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বুধবার আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালতের বিচারক।
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার বুয়েট শিক্ষার্থীদের নিয়ে যা বললেন অভিভাবকেরা!
পরীমণির মামলার বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে হবে
মারধর, হুমকি ও যৌন হয়রানির মামলায় সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। ঘটনার কিছু বিবরণ দিয়ে পরীমণি আর কথা বলতে পারছিলেন না। একপর্যায়ে তিনি ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকেন।
এজন্য আগামী ধার্য তারিখ থেকে মামলার বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকার আদালতে দুপুর ১টার দিকে সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। এসময় আদালতে আইনজীবী, সাংবাদিক, পুলিশসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সেদিন রাতে বোটক্লাবে কী ঘটেছিল তার বিস্তারিত তুলে ধরতে ইতস্তত বোধ করছিলেন পরীমণি।
তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহিদ উদ্দিন ঢালী আদালতকে বলেন, পরীমণি লজ্জায় অনেক কথা স্বাক্ষীর জবানবন্দীতে বলতে পারছেন না। এসব কথা বলাও যায় না।
তখন বিচারক বলেন, আপনারা তাহলে মামলার বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে করার আবেদন করেন। যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
তখন বিচারক পরীমণির কাছে জানতে চান, আপনি কি সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ফিট আছেন?
পরীমণি বলেন, আজকে ফিট না। প্রস্তুত হয়ে আসিনি। আর সবার সামনে এসব কথা বলতে চাচ্ছি না।
এরপর আদালত আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর তার অবশিষ্ট সাক্ষ্যের তারিখ ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: শ্লীলতাহানির মামলায় ৩ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন পরীমণি
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহিদ উদ্দিন ঢালী জানান, আজকেই মামলার বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে পরিচালনার আবেদন করব। আশা করছি, আগামী ধার্য তারিখ থেকে মামলাটির বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে অনুষ্ঠিত হবে।
এ দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালতে আসেন পরীমণি।
গত বছর ২৯ নভেম্বর পরীমণি এ মামলায় সাক্ষ্য দেন। পরীমণি অসুস্থ থাকায় এর আগে কয়েকদফা সাক্ষ্যগ্রহণ পেছায়।
মামলার আসামি হলেন- নাসির উদ্দিন, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম। এদিন তারা আদালতে হাজিরা দেন।
গত বছর ১৮ মে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
২০২১ সালের ১৪ জুন নাসির উদ্দিন ও অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে ঢাকার সাভার থানায় মামলা করেন পরীমণি।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পরিদর্শক কামাল হোসেন।
আরও পড়ুন: পরীমণির মাদক মামলা চলবে, আবেদন খারিজ
পরীমণির বিরুদ্ধে নাসির উদ্দিনের মামলায় সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ
মাগুরায় আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপি নেতা চাঁদের ওপর হামলা, পুলিশ আহত
মাগুরা আদালত প্রাঙ্গণে রাজশাহী বিএনপির সভাপতি আবু সাঈদ চাঁদের ওপর উত্তেজিত জনতা হামলা করে। এসময় এসময় পুলিশের এক হাবিলদারসহ বেশ কয়েকজন আহতের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (১৬ জুলাই) সকালে পুলিশ মাগুরা আদালতে করা মামলায় চাঁদকে হাজিরা দিতে আনলে তার ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা আদালতে মামলা
এ সময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুলিশ এ সময় ১৫ জনকে আটক করে। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিএনপির সমাবেশে প্রধান মন্ত্রীকে কটাক্ষ করে আবু সাঈদ চাঁদ বক্তব্য দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মাগুরা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান মাগুরা জুডিশিয়াল আদালতে এ মামলা করেন।
ওই মামলায় আবু সাঈদ চাঁদকে রবিবার সকালে মাগুরা আদালতে পুলিশ হাজির করলে এঘটনা ঘটে।
আবু সাঈদ চাঁদের আইনজীবী ওয়াসিকুর রহমান কল্লোল জানান, মাগুরা সদর আদালতে একটি মামলায় তাকে হাজির করলে যুবলীগের নেতাকর্মীরা তার ওপর হামলা করে।
পরে আদালতে তার জামিনের আবেদন এবং রিমান্ডের আবেদন করা হলে ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুর কবির সোমবার ১৭ জুলাই বাদীপক্ষের আইনজীবীর রিমান্ড শুনানি ও আসামিপক্ষের জামিনের আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করে মাগুরা কারাগারে রাখার নির্দেশ দেন।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেকেন্দার আলী জানান, আবু সাঈদ চাঁদকে আদালতে ঢোকানোর সময় উত্তেজিত জনতা রাজাকার শ্লোগান দিয়ে জুতা স্যান্ডেল নিক্ষেপ করে।
এসময় পুলিশের হাবিলদার মফিজ রক্তাক্ত জখম হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেতে ১৫ জনকে আটক করা হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: আরও ৩ দিনের রিমান্ডে বিএনপি নেতা চাঁদ
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: সেই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ফরিদপুরে মামলা
জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও তার স্ত্রী রিমান্ডে
জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রতিষ্ঠাতা শামিন মাহফুজের চার দিন এবং তার স্ত্রী নাজনীন সুলতানার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার আসামিদের আদালতে হাজির করে ডেমরা থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে মামলার তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবীর তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুক্রবার রাতে রাজধানীর ডেমরা থেকে শামিন ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য জব্দ করা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটা মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে জামাতুল আনসারের প্রশিক্ষক কমান্ডারসহ ৮ জঙ্গি গ্রেপ্তার: র্যাব
‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শরকিয়া’-এর ২৬ সদস্য গ্রেপ্তার: র্যাব
ঢাকায় জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শরকিয়ার প্রতিষ্ঠাতাকে গ্রেপ্তার
সাংবাদিক নাদিম হত্যা: আদালতে ইউপি চেয়ারম্যান বাবু’র দায় স্বীকার
সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি বহিষ্কৃত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু আদালতে দণ্ডবিধি ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে সাংবাদিক নাদিম হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
শুক্রবার (২৩ জুন) বিকালে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে জামালপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ পিয়াসের আদালতে তোলা হলে ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নাদিম হত্যা: পঞ্চগড় থেকে ইউপি চেয়ারম্যান বাবু আটক
বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার দুপুর ১টা ৪৫মিনিটে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। বিকালে ম্যাজিস্ট্রেট তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এসময় বাবু চেয়ারম্যান সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
জবানবন্দি শেষে তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ১৪ জুন রাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাংলানিউজের জেলা প্রতিনিধি এবং একাত্তর টেলিভিশনের বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী নাদিমের ওপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা।
বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউপি’র চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা বকশিগঞ্জ পাটহাটি এলাকায় মোটরসাইলের গতিরোধ করে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে ১০-১২ জন এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে রেখে যায়।
তাকে প্রথমে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
প্রধান আসামিসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে আনা হয়েছে বকশীগঞ্জ থানায়।
তাদের মধ্যে মাহমুদুল আলম বাবুকে পাঁচ দিন, ৬ আসামিকে চারদিন এবং অপর ৬ আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলো- রেজাউল করিম, মনিরুজ্জামান, জাকিরুল, গোলাম কিবরিয়া সুমন, মিলন, তোফাজ্জল, আইনাল, কফিল উদ্দিন, ফজলু মিয়া, শহীহ, মকবুল ও ওহিদুজ্জামান।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের প্রত্যেককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসে তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে ৯ কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ৪
রাজধানীতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
দুর্নীতিবাজদের সহ্য করা হবে না: হাইকোর্ট
৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের বিষয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘কারা এ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত, কারা এই সার আত্মসাৎ করেছে- সুনির্দিষ্ট করে তাদের নাম দিন। দুর্নীতিবাজদের সহ্য করা হবে না।
আদালত আরও বলেন, ‘দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান কঠোর। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের নমনীয়তা দেখানো হবে না। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে কোর্ট থেকে ধরে সরাসরি জেলে পাঠিয়ে দেব।’
বিসিআইসির পক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়ে শুনানিকালে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। আদালত পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৯ জুলাই দিন নির্ধারণ করেন।
আদালতে বিসিআইসি’র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোল্লা কিসমত হাবিব। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
গত ৪ জানুয়ারি ৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরের দিন প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আরও পড়ুন: থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার টন রাসায়নিক সার বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে পৌঁছে না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্স। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৫৮২ কোটি টাকা। মেসার্স পোটন ট্রেডার্স সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানের (পোটন) মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।
কামরুল আশরাফ খান সার ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) সভাপতি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, তিনিই মূলত দেশে সারের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। পোটন ট্রেডার্স যে সার আত্মসাৎ করেছে, তা উঠে এসেছে সারের আমদানিকারক শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি প্রতিষ্ঠান রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) দুটি তদন্তে। সারগুলো খালাস হয়েছিল ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৫ মের মধ্যে। সার সরবরাহ না করার পর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি বিসিআইসি। সর্বশেষ গত ২০ ডিসেম্বর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে বিসিআইসির পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়।
হাইকোর্ট প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: বাফুফে’র দুর্নীতি, অর্থ পাচারের বিষয়ে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো মতামত প্রকাশ নয়: হাইকোর্ট
পাশাপাশি ওই অভিযোগ অনুসন্ধান করে শিল্পসচিব ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যানকে চার মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে বিসিআইসির পক্ষে আইনজীবী মোল্লা কিসমত হাবিব, দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ শুনানিতে ছিলেন।
শুনানিতে বিসিআইসির আইনজীবী মোল্লা কিসমত হাবিব বলেন, প্রতিবেদন এসেছে, তবে হলফনামা করতে পারেনি।
আদালতের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে অভিযোগ উঠেছে, তা প্রতিবেদনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। বিসিআইসির আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, ওই ঘটনায় কারা জড়িত? নাম–ঠিকানা পাওয়া যায়নি? মানুষ আত্মসাৎ করেনি? তাহলে বাতাস খেয়ে ফেলেছে? তদন্ত প্রতিবেদনে নাম উল্লেখ না থাকলে এর কী দাম আছে? এ সময় বিসিআইসির আইনজীবী বলেন, আত্মসাৎ হয়েছে। আদালত বলেন, সুনির্দিষ্ট করে বলেন। তখন বিসিআইসির আইনজীবী বলেন, মেসার্স পোটন ট্রেডার্সের পোটন নিজে জড়িত। আদালত বলেন, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না, সে যে–ই হোক।
শুনানিতে অগ্রগতি জানাতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এক দিনের সময়ের আরজি জানান। এই পর্যায়ে আদালত আগামী রোববার শুনানির দিন রাখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। তখন বিসিআইসির আইনজীবী মোল্লা কিসমত হাবিব বলেন, অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি অনেক পৃষ্ঠার, হলফনামা করে আগামী রোববার দাখিল করা প্রায় অসম্ভব। অবকাশ শেষে দিন রাখার আরজি জানান তিনি। পরে আদালত আগামী ৯ জুলাই শুনানির পরবর্তী দিন রাখেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে টিপু-প্রীতি খুন: ২ আসামিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
আদালত পরিবর্তন চেয়ে জাপানি দুই শিশুর বাবার আবেদন খারিজ
জাপান থেকে আসা দুই শিশুর বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের আপিল শুনানি ঢাকা জেলা জজ আদলতেই হবে। এই আদালত পরিবর্তন করে তার আপিলের শুনানি হাইকোর্টে করার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১২ জুন) বিচারপতি মামনুন রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ইমরান শরীফের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী নাসিমা আক্তার লাভলী।
শিশুদের জাপানি মায়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
আরও পড়ুন: জাপানি মায়ের রিট: ২ মেয়েসহ বাবা ও ফুপুকে ৩১ আগস্ট হাজিরের নির্দেশ
পরে শিশির মনির জানান, আপিল বিভাগ নির্দেশ দিয়েছিলেন ৯০ দিনের মধ্যে ঢাকা জেলা জজ আদালতে আপিল নিষ্পত্তি করতে। কিন্তু ইমরান শরীফ আপিল কোর্টে মামলা পরিচালনা না করে জেলা জজ আদালতের পরিবর্তে হাইকোর্টে আপিল শুনানি চেয়ে আবেদন করেন, যা খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
তিনি আরও জানান, আগামী ১৫ জুন ঢাকা জেলা জজ আদালতে আপিল শুনানির জন্য দিন ঠিক করা আছে। সেই আদালতেই আপিলের শুনানি হবে।
দুই শিশুর মধ্যে এখন বড়জন মায়ের কাছে ও ছোটজন বাবার সঙ্গে রয়েছে।
এর আগে গত ৯ মার্চ জাপান থেকে আসা দুই শিশুর জিম্মা নিয়ে ইমরান শরীফের আপিল তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে ঢাকার জজ আদালতকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
এরিকোর আইনজীবী শিশির মনিরের তথ্যমতে, ২০০৮ সালের ১১ জুলাই জাপানি নাগরিক ডা. এরিকো নাকানো এবং বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিক ইমরান শরীফ জাপানি আইনানুসারে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা টোকিওতে বসবাস শুরু করেন। তাদের ১২ বছরের সংসারে তিনজন সন্তান জন্ম নেয়।
তারা হলো- জেসমিন মালিকা, লাইলা লিনা ও সানিয়া হেনা। তিন মেয়ে টোকিওর চফো সিটিতে অবস্থিত আমেরিকান স্কুল ইন জাপানের (এএসজেআই) শিক্ষার্থী ছিল।
২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি ইমরান তার স্ত্রী এরিকোর সঙ্গে ডিভোর্স আবেদন করেন।
এরপর ২১ জানুয়ারি ইমরান স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে তার মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু তাতে এরিকোর সম্মতি না থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ তার প্রস্তাব নাকচ করে। পরে স্কুলবাসে বাড়ি ফেরার পথে বাস স্টপেজ থেকে ইমরান তাদের বড় দুই মেয়ে জেসমিন ও লিনাকে অন্য একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: জাপানি ২ শিশুকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখার নির্দেশ
ওই ঘটনার চারদিন পর ২৫ জানুয়ারি ইমরান তার আইনজীবীর মাধ্যমে এরিকোর কাছে সন্তানদের পাসপোর্ট হস্তান্তরের আবেদন করেন। কিন্তু এরিকো তা প্রত্যাখ্যান করেন। এর মধ্যে ২৮ জানুয়ারি এরিকো টোকিওর পারিবারিক আদালতে তার সন্তানদের জিম্মার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চেয়ে মামলা করেন। আদালত ৭, ১১ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক সাক্ষাতের আদেশ দেন। ইমরান আদালতের আদেশ ভঙ্গ করে মাত্র একবার মায়ের সঙ্গে দুই মেয়ের সাক্ষাতের সুযোগ দেন।
একই বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ইমরান তার মেয়েদের জন্য নতুন পাসপোর্টের আবেদন করেন এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি নতুন পাসপোর্ট নেন। পরে ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি দুই মেয়ে জেসমিন ও লিনাকে নিয়ে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।
পরে ছোট মেয়ে সানিয়া হেনাকে মায়ের কাছে রেখে ১৮ জুলাই এরিকো শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে আসেন।
তিনি ২০২১ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে তাদের সমঝোতায় আসতে বলেন উচ্চ আদালত। কিন্তু ওই দম্পতি সমঝোতায় না আসায় কয়েক মাস ধরে শুনানির পর হাইকোর্ট একই সালের ২১ নভেম্বর দুই সন্তানকে বাবার হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত দেন। পাশাপাশি মা যাতে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে বাবাকে খরচ দিতে বলা হয়।
হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন শিশুদের মা নাকানো এরিকো। পরে গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়ে কার জিম্মায় থাকবে, তার নিষ্পত্তি হবে পারিবারিক আদালতে এবং এর আগ পর্যন্ত দুই শিশু তাদের মায়ের কাছেই থাকবে বলে সিদ্ধান্ত দেন আপিল বিভাগ। তাই আপিল বিভাগ থেকে মামলাটি পারিবারিক আদালতে আসে।
শুনানি শেষে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান শিশুদের জিম্মা চেয়ে বাবা ইমরান শরীফের মামলা খারিজ করে রায় দেন।
সেই রায়ের বিরুদ্ধে পরদিন ইমরান শরিফ আপিল করেন।
আরও পড়ুন: জাপানি দুই শিশু থাকবে বাবার হেফাজতে: হাইকোর্ট
হাইকোর্টের রায় নিয়ে ফখরুলের বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল: কাদের
দুই বিএনপি নেতার কারাদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে এটিকে আদালত অবমাননার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, দায়িত্বহীন বক্তব্য দেশের মানুষকে হতাশ করেছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ‘নির্দেশিত রায়’ বলে অভিহিত করে তার বক্তব্য আদালত অবমাননার সমতুল্য।
আরও পড়ুন: সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে চায়: কাদের
বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কখা বলেন।
সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, এই শাস্তি বিএনপির দুই নেতার ক্রমাগত দুষ্ট রাজনীতির ফল। বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কারণ তারা (বিএনপি-জামায়াত নেতারা) হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতি ও লুণ্ঠনে জড়িত ছিল।
বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে রায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কোনো যোগসূত্র নেই দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে এবং নিম্ন আদালত অভিযোগ হিসেবে রায় দেয়।
তিনি আরও বলেন, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার পৃথক দুর্নীতির মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও বিএনপি নেতা আমানুল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের কারাদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
আদালত টুকুর ৯ বছরের কারাদণ্ড, আমানের ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও তার স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন।
২০০৭ সালের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালত আমানকে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের জন্য ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রীকে তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিতে বিএনপির নির্বাচন বয়কটের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
আ.লীগকে বিদেশিদের কাছে আগ্রাসী হিসেবে তুলে ধরতে চায় বিএনপি: কাদের