আদালত
বিশ্বনাথে ১৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
সিলেটের বিশ্বনাথে ১৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ইউসুফ আলীকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে তাকে তার নিজ এলাকা উপজেলার আতাপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামি ইউসুফ ওই এলাকার তৈমুছ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধারসহ আসামি গ্রেপ্তার
পুলিশ সূত্র জানায়, বিশ্বনাথ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আফতাবউজ্জামান রিগ্যানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে।গ্রেপ্তার ইউসুফ গোলাপগঞ্জ মডেল থানার একটি অস্ত্র মামলার ১৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ইউনুস আলী পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তারসাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার এসআই বলেন, আসামিকে রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আনভীরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদনের ওপর শুনানি ১০ অক্টোবর
আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদনের ওপর শুনানির দিন ১০ অক্টোবর ধার্য করা হয়েছে। রবিবার ঢাকার একটি আদালত এই দিন ধার্য করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দায়ের করা আবেদনের ওপর শুনানির পর ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা এই তারিখ নির্ধারণ করেন।
এর আগে, ২৮ এপ্রিল একটি আদালত বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
আরও পড়ুন: মুনিয়ার মৃত্যু: বসুন্ধরার এমডিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা
২৬ এপ্রিল রাজধানীর গুলশান এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়া বসুন্ধরা আনভীরের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় গুলশান থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার জন্য একটি মামলা দায়ের করেন।
১৮ আগস্ট, একটি নিম্ন আদালত পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আনভীরকে অব্যাহতি দেন। কলেজছাত্রী মুনিয়ার আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তাই মামলার তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তাকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: গুলশানে তরুণী নিহত: বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে মামলা
কিন্তু গত ৬ সেপ্টেম্বর মুনিয়ার বোন হত্যার অভিযোগ করে একটি নতুন মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় শুধু আনভীর নয়, তাঁর স্ত্রী এবং বাবা -মা -সহ মোট আটজনকে অভিযুক্ত করেন। দীর্ঘ-বিলম্বিত ডিএনএ ফলাফলসহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ময়না তদন্তের প্রতিবেদন ব্যবহার করে, হত্যার আগে ধর্ষণের অভিযোগও করা হয়।
সস্ত্রীক কেয়ার চেয়ারম্যানের জামিন, সন্তানদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক পাঠান ও তাঁর স্ত্রী নাসরিনকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময়ের মধ্যে এ দম্পতির তিন সন্তানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আদালতের আদেশ অমান্য করায় ওসিকে তলব
আগাম জামিন দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
এদিন আদালতে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ আবদুল খালেক পাঠান, তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক পাঁচটি মামলা করে দুদক।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে ১৮৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ২৬৪ টাকার সম্পদ অর্জন ও দুদকের কাছে ৯৬ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত
মামলা দায়েরের পরদিনই ১৬ সেপ্টেম্বর আবদুল খালেক পাঠান, তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আজ স্বামী-স্ত্রীকে জামিন ও তিন সন্তানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেন।
জাপানি মা ও বাংলাদেশি বাবার মধ্যে সমঝোতার দায়িত্ব আইনজীবীদের
বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফ ও জাপানী মা নাকানো এরিকোর মধ্যে দুই কন্যা শিশুকে নিয়ে বিরোধের বিষয়ে সমঝোতার জন্য উভয়পক্ষকে আরও ১২ দিন সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুই শিশু সন্তানের স্বার্থে তাদের বাবা-মায়ের মধ্যে সমঝোতার উদ্যোগ নেবেন উভয় পক্ষের আইনজীবীরা। এজন্য ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেন,‘ আমরা আশা করি শিশুদের কল্যাণের কথা চিন্তা করে একটি সুন্দর সমাধানে পৌঁছাবে উভয় পক্ষ। এতে বহির্বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল হবে।
বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: জাপানি মাকে নিয়ে অবমাননাকর ভিডিও অপসারণের নির্দেশ
আদেশে সমঝোতায় পৌঁছার জন্য পদক্ষেপ নিতে সিনিয়র আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি শিশু দুটির বাবা ইমরান শরীফের আইনজীবী। ওই সমঝোতা বৈঠকে জাপানি নাগরিক ডা. নাকানো এরিকোর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরও উপস্থিত থাকবেন। উভয় পক্ষের আইনজীবীরা শিশু দুটির বাবা-মায়ের মতামত নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছার বিষয়ে আলোচনা করবেন।
এদিকে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে একদিন মা ও পরের দিন বাবা শিশুদের সঙ্গে ঢাকার বাসায় অবস্থান করবেন। শুক্রবার ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে পরদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত মা এবং ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে পরদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত বাবা মেয়েদের সঙ্গে থাকবেন। এভাবে পর্যায়ক্রমে তারা শিশুদের সঙ্গে অবস্থান করবেন বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিকে দুই কন্যা শিশুকে নিয়ে জাপানে যাবার অনুমতি চেয়ে গতকাল আদালতে একটি আবেদন দিয়েছেন মা নাকানো এরিকো।আবেদনে বলা হয়েছে, এই অনুমতি পেলে গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে মেয়েদের নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন মা। মেয়েরা বাবার সাথে সময় কাটাবে। আর বাবার জাপানে যে ঋণ আছে তা মা দেবে এবং বাবার বিরুদ্ধে যে মামলা আছে জাপান সরকার তা তুলে নিতে পদক্ষেপ নেবে মা। তাতেও যদি রাজি না হন, তাহলে তৃতীয় কোনো দেশে বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন বাবা। সেখানে যাবতীয় খরচ মা বহন করবেন। আইনজীবী শিশির মনির এ আবেদন উপস্থাপন করেন। এছাড়াও তিনি মা ও বাবার জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করে দেয়ার নিবেদন জানান।
তবে ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ এ আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, শিশু দুটিকে একবার জাপানে নিয়ে যেতে পারলে আর তাদের বাংলাদেশে আনা যাবে না। আমাদের আদালতের আদেশ তারা মানবে না। তিনি বলেন, বাচ্চারা বাংলাদেশেই থাকুক। মা যখন খুশী এসে দেখা-সাক্ষাত করতে পারবেন। মা যখন বাংলাদেশে আসবেন তখন প্রয়োজন হলে বাবা বিমানের টিকিট কেটে দেবেন। সব ব্যবস্থাই বাবা করবেন। মা-বাবার জন্য আলাদা সময় নির্ধারণের আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, সমঝোতার স্বার্থে এখন যে অবস্থা আছে সে অবস্থায়ই রাখা হোক। উভয়পক্ষের শুনানিকালে আদালত বলেন, মা-বাবার কারণে আজ বাচ্চা দুটি সমস্যার মধ্যে রয়েছে। তারাই মূল ভিকটিম। তাই এর একটি সমাধান হওয়া দরকার।
আরও পড়ুন: জাপানি মায়ের রিট: ২ মেয়েসহ বাবা ও ফুপুকে ৩১ আগস্ট হাজিরের নির্দেশ
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে জাপানের টোকিওতে এরিকো ও ইমরানের বিয়ে হয়। এরিকো পেশায় চিকিৎসক, ইমরান তড়িৎ প্রকৌশলী। তাঁদের তিন সন্তান। এ বছরের শুরুতে এরিকো বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এর মধ্যেই ইমরান তাঁর দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। এরপর জাপানের আদালত এরিকোর জিম্মায় সন্তানদের ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
পরে দুই মেয়েকে নিজের জিম্মায় পেতে ঢাকায় এসে গত ১৯ আগস্ট জাপানি নারী রিট করেন। সেদিন রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। আদালত তার আদেশে দুই মেয়েসহ তাদের বাবা ও ফুপুকে ৩১ আগস্ট হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেন। ৩১ আগস্ট হাজির হওয়ার পর সবার বক্তব্য শুনে দুই পক্ষের প্রস্তাবের ভিত্তিতে হাইকোর্ট আদেশ দেন। ইমরান শরীফের গুলশানের ভাড়া বাসায় দুই শিশুকে নিয়ে বাবা-মা আপাতত ১৫ দিন একসাথে থাকতে পারবেন বলে ওইদিন আদেশ দেন হাইকোর্ট। সেই সাথে ঢাকার সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালককে এদের পারিবারিক পরিবেশের বিষয়টি দেখভাল করেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। আর ঢাকা মহানগর পুলিশ এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দুই শিশু ও তাদের মা-বাবার যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়।
১৬ সেপ্টেম্বর পরবর্তী আদেশের জন্য রেখে হাইকোর্ট সমাধান-সমঝোতার বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখেন। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ফের শুনানি হয়।
মিতু হত্যা: আসামি ভোলার জামিন
চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার আসামি এহতেশামুল হক ভোলাকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জামিনের মেয়াদ শেষে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
নিহত মিতুর বাবার করা মামলায় ভোলাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতে ভোলার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ হাসিবুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলায় জামিন পাননি বাবুল আক্তার
মিজানুর রহমান জানান, ভোলা এসপি বাবুল আক্তারের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় দুই বছর কারাগারে ছিলেন। পরে জামিনে কারামুক্তি পান। বাবুল আক্তার গ্রেপ্তারের পর তার শ্বশুর বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এই হত্যা মামলায় আগাম জামিন চাইলে আদালত তাকে চার সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন। চার সপ্তাহ পর অবশ্যই তাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামে গুলি করে মিতুকে হত্যা করা হয়। খুনিরা মোটর সাইকেলে করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন এসপি বাবুল আক্তার। এ ঘটনায় ওই বছরের ২৬ জুন মো. আনোয়ার ও মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালতে এ দুইজনের দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের মূল ‘পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে মুছার নাম উঠে আসে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি নগরীর বাকলিয়া এলাকার এহতেশামুল হক ভোলা সরবরাহ করে বলে জবানবন্দিতে বলা হয়। মুছা ও ভোলা এসপি বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত। এরপর পুলিশ ভোলা ও তার সহযোগী মনিরকে একটি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করে। পরে মুছার ভাই সাইদুল ইসলাম সাক্কু এবং মো. শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম রাশেদ ও নুরুন্নবী নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও ওইবছর ৫ জুলাই তারা পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। পরে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশে ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর কারাগার থেকে মুক্তি পান ভোলা।
স্ত্রী মিতু হত্যার ঘটনা জেরে পুলিশের চাকরি ছাড়তে হয়েছে বাবুল আক্তারকে। ওই হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তার জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করে। এনিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে গতবছর জানুয়ারিতে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। পিবিআই’র তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্তা উঠে আসে। এরপর বাবুল আক্তারের শশুর বাদী হয়ে গত ১২ মে বাবুলকে আসামি করে পৃথক একটি মামলা করেন। এ মামলায় বাবুল আক্তার এখন কারাবন্দি।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারের জামিন নামঞ্জুর
আর মূল পরিকল্পনাকারী মুছাকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে ধুম্রজাল রয়েই গেছে। পুলিশ বলছে মুছা পলাতক। তার সন্ধানদাতাকে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়ার ঘোষনা দেয় পুলিশ। তবে মুছার স্ত্রী পান্না আক্তার ওইবছর ৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন, ওই বছর ২২ জুন বন্দর থানার তৎকালীন ওসি মহিউদ্দিন সেলিমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মুছাকে গ্রেপ্তার করে।
কলেজছাত্র হত্যা: ২ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
বরিশালে কলেজছাত্র সোহাগ সেরনিয়াবাত হত্যা মামলার রায়ে দুই জনের ফাঁসি এবং চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় অব্যাহতি দেয়া হয়েছে আরও ১০ জনকে।
বুধবার দুপুরে বরিশালের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক টি এম মুসা এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই আসামি হলেন, জিয়াউল হক লালন ও রিয়াদ সরদার। যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন, মামুন, ইমরান, বিপ্লব ও ওয়াসিম সরদার।
আরও পড়ুন: প্রধান শিক্ষক হত্যা: ইউপি চেয়ারম্যানের যাবজ্জীবনসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বরিশালের উজিরপুর পৌর এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোহাগ সেরনিয়াবাত।ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার বন্ধুকে বাসায় এগিয়ে দিয়ে ফেরার পথে রাখালতলায় আসামিরা তাকে রামদা দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মা মেয়ে হত্যা: আসামি শহীদের মৃত্যুদণ্ড বহাল
মামলায় বলা হয়েছে, এর আগে আসামিরা এক লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নিহত সোহাগের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে।পরে নিহতের মামা খোরশেদ আলম বাদি হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে উজিরপুর থানায় মামলা করেন।তদন্ত শেষে একই বছরের ২২ নভেম্বর অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
চট্টগ্রামে মা-মেয়ে হত্যা: আসামি শহীদের মৃত্যুদণ্ড বহাল
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে বাসায় ঢুকে এসএসসি পরীক্ষার্থী এক কিশোরী ও তার মাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামি মো. শহীদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। আরেক আসামি আবু রায়হান মারা যাওয়ায় তার বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি আদালত। আসামির আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ, সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শহিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় আলোচিত ফোর মার্ডার মামলার একমাত্র আসামির মৃত্যুদণ্ড
পরে সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো সাংবাদিকদের বলেন, আসামি শহীদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আদালত। নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি আবু রায়হান মারা যাওয়ায় আদালত তার বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি।
২০১৪ সালের ২৪ মার্চ আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ১৭ নম্বর রোডের ১২৯ নম্বর বাড়ি ‘পদ্মা-যমুনা’য় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রেজাউল করিমের স্ত্রী রেজিয়া খাতুন (৪৯) ও তার মেয়ে সাইমা আক্তারকে (১৭) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ ওই বাসা থেকে রক্তমাখা একটি ছোরা, জিন্সের প্যান্ট, শার্ট, একটি ব্যাগে থাকা দুই বোতল পেট্রোল, সাতটি মোবাইল সিম, টেঁটা ও তোয়ালে উদ্ধার করে। নিহত রেজিয়া খাতুনের স্বামী রেজাউল করিম ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা দায়ের করলে ঘটনার পরদিন গোয়েন্দা পুলিশ খুলশী থেকে শহীদ এবং ঢাকার ফকিরাপুলের একটি আবাসিক হোটেল থেকে রায়হানকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে স্ত্রী সন্তানকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড
তদন্ত শেষে গত বছরের ২৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ৮ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর দুই আসামির ফাঁসির রায় দেন আদালত। চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মহিতুল হক এনাম চৌধুরী চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। আসামিরা হলেন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের হাবিলদার আবুল বাশারের ছেলে আবু রায়হান (২৭) ও নগরীর খুলশী এলাকার একটি রেস্টহাউসের গাড়ি চালক মো. শহীদ।
আরও পড়ুন: সিলেটে ২ নারীকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
বিচারিক আদালতের রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। এছাড়া আসামিরা মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে জেল আপিল দায়ের করেন। জেল আপিল দায়েরের পর আসামি আবু রায়হান মারা যান।
সাতক্ষীরায় আলোচিত ফোর মার্ডার মামলার একমাত্র আসামির মৃত্যুদণ্ড
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একই পরিবারের চার জনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মামলার একমাত্র আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে সাতক্ষীরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপ: স্বামীর মৃত্যুদণ্ড বহাল
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রায়হানুর রহমান (৩৬) উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিষা গ্রামের শাহজাহান ডাক্তারের ছেলে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কলারোয়া উপজেলার খলিষা গ্রামের রায়হানুর রহমান বেকারত্বের কারণে বড় ভাই শাহীনুরের সংসারে খাওয়া দাওয়া করতো। শারীরিক অসুস্থতার কারণে কোন কাজ না করায় সংসারে টাকা দিতে না পারায় শাহীনুরের স্ত্রী দেবর রায়হানুরকে মাঝে মাঝে গালমন্দ করতো। এর জের ধরে গত বছরের ১৪ অক্টোবর রাতে ভাই শাহীনুর রহমান (৪০), ভাবি সাবিনা খাতুন (৩০), তাদের ছেলে সিয়াম হোসেন মাহী (১০) ও মেয়ে তাসমিন সুলতানাকে (৮) কোমল পানীয়র সাথে ঘুমের ওষুধ খাওয়া। এরপর ভোরের দিকে হাত-পা বেঁধে তাদেরকে একে একে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ সময় তাদের চার মাসের শিশু মারিয়াকে হত্যা না করে লাশের পাশে রেখে যায়। এ ঘটনায় নিহত শাহীনুরের শাশুড়ি ময়না খাতুন বাদী হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
মামলার তদন্তে নেমে সিআইডি সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে শাহীনুরের ভাই রায়হানুর রহমান, একই গ্রামের রাজ্জাক দালাল, আব্দুল মালেক ও ধানঘরা গ্রামের আসাদুল সরদারকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার রায়হানুরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ২১ অক্টোবর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বিলাস মন্ডলের কাছে রায়হানুর নিজেই হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় মাদক মামলায় বাস সুপারভাইজারের মৃত্যুদণ্ড
গত ২৪ নভেম্বর মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সিআইডি’র পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম আসামি রায়হানুর রহমানের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় গত ১৪ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। আজ মঙ্গলবার সাতক্ষীরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
টেলিফোনে আড়ি পাতা বন্ধে রিটের আদেশ রবিবার
টেলিফোনে আড়ি পাতা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী রবিবার আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনটির ওপর শুনানি গ্রহণ শেষে আদেশের এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বিটিআরসির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা ই রাকিব।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আদালতের আদেশ অমান্য করায় ওসিকে তলব
এর আগে গত ১০ আগস্ট ফোনে আড়ি পাতা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে ফোনালাপ ফাঁসের ২০টি ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।
রিটকারী আইনজীবীরা হলেন- অ্যাডভোকেট রেজওয়ানা ফেরদৌস, উত্তম কুমার বণিক, শাহ নাভিলা কাশফী, ফরহাদ আহমেদ সিদ্দীকী, মোহাম্মদ নওয়াব আলী, মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল, মুস্তাফিজুর রহমান, জি এম মুজাহিদুর রহমান (মুন্না), ইমরুল কায়েস ও একরামুল কবির।
ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত
এর আগে গত ২২ জানুয়ারি টেলিফোনে আড়ি পাতা বন্ধে সাত দিনের মধ্যে পদক্ষেপ জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের এই ১০ আইনজীবী। এতে ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৬টি আড়ি পাতার ঘটনা নোটিশে উল্লেখ করা হয়। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সংলাপ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ফোনালাপ, প্রয়াত সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও রাজশাহী মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার নাজমুল হাসানের ফোনালাপ উল্লেখযোগ্য। এসব আড়ি পাতার ঘটনা বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বহুল প্রচারিত ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
নোটিশে বলা হয়, সার্বজনীন মানবাধিকার সনদপত্র, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী পৃথিবীর সব আধুনিক ব্যব¯’ায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার স্বীকৃত ও সংরক্ষিত। এরই ধারাবাহিকতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৩ অনু”েছদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এই অধিকার সংবিধান কর্তৃক নিশ্চিত করা হয়েছে। অর্থাৎ সংবিধানের তৃতীয়ভাগে উল্লেখিত মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ অন্যতম।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা: চেম্বার আদালতে ৩ আসামির জামিন স্থগিত
এছাড়াও ২০০১ সালের ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অ্যাক্ট, ২০০১ প্রণয়ন করা হয়। এই আইনের ধারা ৬ অনুযায়ী টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ধারা ৩০(চ) অনুযায়ী টেলিযোগাযোগের একান্ততা রক্ষা নিশ্চিত করা এই কমিশনের দায়িত্ব। কিš‘ লক্ষ্য করা যা”েছ যে, এই ধরনের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা অহরহ ঘটছে। অথচ বাংলাদেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী কমিশনের দায়িত্ব হল ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ নিশ্চিত করা। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় এ রিট করা হয় বলে জানান আইনজীবী শিশির মনির।
মাগুরায় আদালতের আদেশ অমান্য করায় ওসিকে তলব
মাগুরায় একটি মামলার বিচার কাজ সম্পন্ন করার স্বার্থে শ্রীপুর থানা পুলিশের কাছে প্রতিবেদন চেয়ে আড়াই বছরেও তা পায়নি আদালত। থানা কর্তৃপক্ষের এমন আচরণে ক্ষুব্দ হয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ৩ দিনের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মাগুরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এম জাহিদ হাসান বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
আদালতে বিচারাধীন মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার মদনপুর গ্রামের মোসলেম শেখের ছেলে আবদুল্লাহ শেখ শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ডে স্টাটার হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০১৮ সালের ১ জুলাই দুপুর ৩টার দিকে সে বাড়ি থেকে শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে তারই গ্রামের প্রতিপক্ষ সামাজিক দলের ২৬ জন সদস্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলায় চালায়।
আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ: ওসি প্রদীপ দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
এতে আবদুল্লাহ শেখ মারাত্মক আহত হন। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তার ছোটভাই ফারুক শেখ ঘটনার পরদিন মাগুরা জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পুলিশি তদন্ত শেষে আদালতে বিচারাধীন।
কিন্তু মামলাটির ২৬ নম্বর আসামি মদনপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান শেখের ছেলে নজু শেখ (৫০) মামলা দায়েরের পর মারা যান। তার মৃত্যুর বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়ে তৎকালীন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দ বাগচি ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল শ্রীপুর থানার ওসিকে প্রতিবেদন চেয়ে পত্র দেন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: কাপ্তাই লেক থেকে ৭ পর্যটক উদ্ধার
আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলাটি দায়েরের পর ৩ বছর পেরিয়ে গেছে। অন্যদিকে প্রতিবেদন চাওয়ার পর কেটে গেছে আরও প্রায় আড়াই বছর। তারপরও শ্রীপুর থানা পুলিশ আদালতে প্রতিবেদনটি জমা দেয়নি। এতে মামলাটির বিচারকার্য থেমে রয়েছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৃহস্পতিবার তিন কার্য দিবসের মধ্যে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ওই বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে স্বর্ণের বার লুট: ডিবির ওসি ফের ৪ দিনের রিমান্ডেৎ
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার বর্তমান ওসি সুকদেব রায় আদালতের আদেশ প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘এই সময়ের মধ্যে তিনজন ওসির পরিবর্তন হয়েছে। এতদিনেও কী কারণে প্রতিবেদনটি দেয়া হয়নি সেটি জানি না। তবে আদালতের নির্দেশনা মতো অবশ্যই ব্যাখ্যা দেয়া হবে।’