আদালত
ঘোড়ার মাংস হালাল: আদালত
পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের চৌধুরী হাটে ঘোড়ার মাংস খাওয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের অব্যাহতি দিয়েছেন পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
আদালতের বিচারক মামলার এজাহারকারী ও বোদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিপন কুমার বসাক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহিদুল ইসলামকে তিরস্কার করেছেন। একই সঙ্গে বোদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার রহমান ও বোদা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুস সোবহানকে দ্বায়িত্ব পালনে আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মতিউর রহমান এই আদেশ দেন।
আদালতের আদেশে বলা হয়, ঘোড়ার মাংস খাওয়া হালাল সত্ত্বেও বিনা অপরাধে মো. সানাউল্লাহ (৩২) ও হামিদুর রহমানের (৩৩) বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (গ) ও পেনাল কোডের ২৭৩ ধারায় এজাহার দায়ের করা হয়। আদালত এজাহার দায়েরর জন্য এসআই লিপন কুমার বসাক এবং মামলার তদন্তে গাফিলতি পরিলক্ষিত হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহিদুল ইসলামকে তিরস্কার করেন। ভবিষ্যতে মামলা তদন্তকালে নিজ দায়িত্ব পালনে সজাগ থাকতে সতর্ক করা হয়।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঘোড়া ও কুকুর উপহার দিল ভারত
আদালতের আদেশে আরও বলা হয়, আসামিদ্বয় ঘোড়ার মাংস হালাল মনে করে খাওয়ার জন্য ঘোড়া জবাই করেছিলেন। সহি বুখারীসহ একাধিক হাদিস শরীফে ঘোড়ার মাংস হালাল মর্মে উল্লেখ আছে। সেহেতু আসামিদ্বয় মাংস খাওয়ার উদ্দ্যেশে ঘোড়া জবাই করে কোনও অন্যায় করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয় না। মামলার প্রতিবেদনে এ নিয়ে কোনও সঠিক তথ্য না থাকায় আদালত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ ডিসেম্বর বোদা উপজেলার কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের চৌধুরী হাটে ঘোড়া জবাই করার অভিযোগে মো. সানাউল্লাহ (৩২) ও হামিদুর রহমান (৩৩) নামে দুই যুবককে আটক করে। এ সময় ৩৫ কেজি ঘোড়ার মাংসও জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: ঘোড়ার পিঠে চড়ে ‘ভিক্ষা’ করেন বাচ্চা
জব্দকৃত মাংস থেকে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে বাকি মাংস বোদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহারিয়ার রহমানের উপস্থিতিতে মাটি চাপা দেয়া হয়। পরদিন বোদা থানার এসআই লিপন কুমার বসাক বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলাহাজতে পাঠায়। সাতদিন হাজতবাসের পর ২৯ ডিসেম্বর আদালত থেকে তারা জামিনে মুক্ত হন। ওই দিনই আদালত ঘোড়ার মাংস হালাল নাকি হারাম তা ব্যাখাপূর্বক বাদীসহ সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাহারিয়ার রহমানকে প্রতিবেদন দিতে বলেন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাহেদুল ইসলাম চলতি বছরের ৩০ জুলাই আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
কৃষি ব্যাংকের দেড়কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় ব্যবস্থাপক আটক
মাগুরায় প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কৃষি ব্যাংক মাগুরা প্রধান শাখার দ্বিতীয় মুখ্য কর্মকর্তা নাজমুল হককে আটক করে জেলে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে তাকে মাগুরা আদালতে হাজির করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আটক নাজমুল হক ঝিনাইদহ সদরের কাঞ্চনপুর মধ্য পাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলো সোনালী ব্যাংক
কৃষি ব্যাংক মাগুরা প্রধান শাখার ব্যবস্থাপক রেজাউল হক জানান, মাগুরা প্রধান শাখায় কর্মরত অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে নাজমুল হক উল্লেখিত ব্যাংকে থাকা তার নিজ নামীয় একাউন্টে অনিয়মের মাধ্যমে ৩৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৪ টাকা উত্তোলন করেন। পাশাপাশি ইতোপূর্বে ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কৃষি ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখায় একই পদে কর্মরত থাকা কালে বিভিন্ন সময়ে তার নিজ নামীয় একাউন্টে ৮৫ লাখ ৮৭ হাজার ২২৫ টাকা উত্তোলন করেন। ব্যংকের সাম্প্রতিক এক নিরীক্ষায় বিষয়টি নজরে আসলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে সোমবার রাতে অভিযুক্ত নাজমুল হককে সদর থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
মাগুরা ও ঝিানাইদহ এ দু’টি শাখায় নাজমুল হকের ব্যক্তিগত একাউন্টে ২০১৮ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মোট উত্তোলিত অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ২৩ লাখ ৭০ হাজার ৯৫৯ টাকা। নাজমুল হক ২০১৮ সালের পূর্বে যে সব শাখায় কর্মরত ছিলেন সেখানে অনুসন্ধান চলছে। অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তদন্ত টিম দ্রুত তদন্ত কাজ শুরু করবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির অভিযোগে ৮ জনের ব্যাংক হিসেব জব্দের আদেশ
ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতারা তাদের ঋণের কিস্তি বাবদ যে টাকা তার কাছে জমা দিয়েছেন সেটি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একাউন্টে জমা না দিয়ে নিজের একাউন্টে জমা করেছেন নাজমুল।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন জানান, যেহেতু সরকারি অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে, তাই দুদকের পরামর্শে অভিযুক্ত নাজমুল হককে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার দুপুরে নাজমুল হককে মাগুরার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ বুলবুল আহমেদের আদালতে হাজির করা হলে, তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। একই সাথে তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে ৩১ আগস্ট জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা
ধর্ষণ ও শিশু হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, সাজা কমিয়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন
১৭ বছর আগে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের লালনগর গ্রামের ১৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে অপর তিন আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
আসামিদের মধ্যে শুকুর আলীর ফাঁসি বহাল রয়েছে। এছাড়া আজানুর রহমান, নুরুদ্দিন সেন্টু ও মামুন হোসেনের ফাঁসির শাস্তি কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুনঃ মাগুরায় আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীকে মারধর
আসামিদের করা পৃথক আপিল ও জেল আপিলের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতির ভার্চুয়াল বেঞ্চ বুধবার এই রায় দেন। আদালতে আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ রাতে দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের ১৩ বছর বয়সী ওই শিশু প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে টেলিভিশন দেখে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা তাকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে লালনগর ধরমগাড়ী মাঠের একটি তামাক ক্ষেতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে। পরদিন ভিকটিমের বাবা পাঁচজনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুনঃ শিশুপুত্র হত্যা : বাবার ফাঁসির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন
ওই মামলার বিচার শেষে ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর হোসেন। সে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় তারা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের খয়ের আলীর ছেলে শুকুর আলী, আব্দুল গনির ছেলে কামু ওরফে কামরুল, পিজাব উদ্দিনের ছেলে নুরুদ্দিন সেন্টু, আবু তালেবের ছেলে আজানুর রহমান ও সিরাজুল প্রামাণিকের ছেলে মামুন হোসেন।
আরও পড়ুনঃ ঐশীর সাজা বাড়াতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ
পরবর্তীতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে এবং আসামিরা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। এরই মধ্যে আসামি কামু ওরফে কামরুল মারা যায়। এরপর ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৪ সালে চার জনেরই মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন। সে রায়ের বিরুদ্ধে করা জেল আপিলের শুনানি নিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ শুকুর আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। আর আসামি নুরুদ্দিন সেন্টু, আজানুর রহমান ও মামুন হোসেনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন। সেই সাথে এদের তিনজনকে কারাগারের কনডেম সেল থেকে সাধারণ সেলে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী।
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় বাস সুপারভাইজারের মৃত্যুদণ্ড
হেরোইন সেবন ও বহন করা করার অপরাধে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একই মামলায় অন্য তিনজনকে খালাস দেয়া হয়।
মঙ্গলবার সকালে আদালতের বিচারক দীলিপ কুমার ভৌমিক এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত পারভেজ বগুড়া জেলার বাসিন্দা ও বাসের সুপারভাইজার।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সাইফুল ইসলাম প্রিন্স জানান, বাসের সুপারভাইজার পারভেজসহ আফাজ উদ্দিন, দুদু মিয়া ও সাইদুর রহমান মিলে হিলি থেকে থেকে ধুসর বর্ণের ৪৫০ গ্রাম হেরোইনসহ অবৈধ মাদক দ্রব্য নিয়ে ঘোড়াঘাট হয়ে বগুড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে র্যাব ১৩ সদস্যরা মিনিবাসে তল্লাশি চালিয়ে পারভেজের কাছে থেকে ধুসর বর্ণের হেরোইন উদ্ধার করে। পরে মিনিবাসসহ ওই চারজনকে আটক করা হয়।
আদালতে সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে পারভেজের অপরাধ প্রমাণিত হলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ও অপর আসামিদের খালাস দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে জোড়া খুনের মামলায় ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড
২০১৮ সালের ১ নভেম্বর র্যাব ১৩ ক্যাম্পের ডিএডি জাহিদ হোসেন বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন সাক্ষ্য প্রমাণের পর মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করা হয়।
পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ‘ক্ষতিকর গেম’ বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ সকল প্রকার ক্ষতিকর গেমস অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি করে সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সাথে সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম, লাইকির মতো সব ধরনের অনলাইন গেম ও অ্যাপস বন্ধের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: এমবিবিএস-বিডিএস ছাড়া নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার করা যাবে না: হাইকোর্ট
রিটের বিবাদী ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, শিক্ষাসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ ব্যাংক, মোবাইল অপারেটর, বিকাশ, নগদসহ ১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১০ দিনের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব।
এর আগে গত ২৪ জুন দেশের অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম, লাইকির মতো সব ধরনের অনলাইন গেম ও অ্যাপ বন্ধ করে অবিলম্বে অপসারণের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছিল মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন।
রিটে বলা হয়, পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো গেমে দেশের যুবসমাজ ও শিশু-কিশোরেরা আসক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিনষ্ট হচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়ে পড়ছে মেধাহীন।
আরও পড়ুন: জমজ ১৯ শিশুকে ভিকারুননিসায় ভর্তি করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
অন্যদিকে টিকটক ও লাইকির মতো অ্যাপ ব্যবহার করে দেশের শিশু-কিশোর এবং যুবসমাজ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। জড়িয়ে পড়ছে অপরাধে। দেশে কিশোর গ্যাংয়ের সংস্কৃতি তৈরি হচ্ছে।
সম্প্রতি নারী পাচারের ঘটনা এবং দেশের বাইরে টিকটক, লাইকি ও বিগো লাইভের মাধ্যমে অর্থ পাচার হয়েছে, যা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
ফেনীতে স্বর্ণের বার লুট: ডিবির ওসি ফের ৪ দিনের রিমান্ডে
চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী গোপাল কান্তিদাসকে ফেনীতে আটক করে ২০টি স্বর্ণের বার ডাকাতির অভিযোগে মামলায় গ্রেপ্তার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মো. সাইফুল ইসলামকে ফের ৪ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার বিকালে তাকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মনির হোসেন। শুনানি শেষে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুনঃ স্বর্ণের বার লুট: ডিবির ৫ কর্মকর্তা আরও ৩ দিনের রিমান্ডে
এর আগে গত ১১ আগস্ট বুধবার দুপুরে শুনানি শেষে গ্রেপ্তার ডিবি ওসি সাইফুল ইসলামকে ৪ দিন ও এসআই মোতাহের হোসেন, এসআই মিজানুর রহমান, এসআই নুরুল হক এবং এএসআই অভিজিৎ রায় ও এএসআই মাসুদ রানাকে ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ খান।
গত শনিবার দুপুরে ডিবি ওসি ছাড়া বাকি ৫ পুলিশ কর্মকর্তাকে ফের ৩ দিন করে রিমান্ড দেয় আদালত।
আরও পড়ুনঃ স্বর্ণের বার লুট: ডিবির ৬ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
এদিকে রবিবার সকালে মামলার অধিক তদন্তের জন্য স্বর্ণবার ডাকাতির মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তর করা হয়েছে। পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে মামলাটি হস্তান্তর করেন জেলা পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরন্নবী। পিবিআই মামলার তদন্তভার দেয়া হয় পিবিআই পরিদর্শক শাহ আলমকে। তিনি আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাসের ২০টি স্বর্ণের বার ডাকাতির মামলায় গত ১০ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার হন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোতোহের হোসেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল হক, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) অভিজিৎ বড়ুয়া ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ রানা।
একই দিন ডিবির অভিযুক্ত ছয় কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করে জেলা পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ ফেনীতে ডিবির ওসিসহ ৬ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার, স্বর্ণের বার উদ্ধার
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল গত ৮ আগস্ট রবিবার চট্টগ্রাম থেকে ২০টি স্বর্ণের বার নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন। এসময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাসের নিচে ফেনী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল তার গাড়ি গতিরোধ করে।গাড়ি তল্লাশির এক পর্যায়ে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলামসহ অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা তার কাছ থেকে স্বর্ণের বারগুলো ছিনিয়ে নেয়। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম ভূইয়া বাসা থেকে ১৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
স্বর্ণের বার লুট: ডিবির ৫ কর্মকর্তা আরও ৩ দিনের রিমান্ডে
ফেনীতে ২০টি স্বর্ণের বার ডাকাতির ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদ্য বহিস্কৃত ৫ কর্মকর্তার আরও ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার ফেনীর আদালতের সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসানের আদালত ৫ আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুনঃ ফেনীতে ডিবির ওসিসহ ৬ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার, স্বর্ণের বার উদ্ধার
ফেনী আদালত পুলিশের পরিদর্শক গোলাম জিনালী জানান, তিন দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার দুপুর মামলার ৫ আসামি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোতোহের হোসেন, উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান, উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল হক, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) অভিজিৎ বড়ুয়া ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ রানাকে মডেল থানা থেকে আদালতে তোলা হয়। এসময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনির হোসেন প্রত্যেক আসামির ৭ দিন করে ফের রিমান্ড আবেদন করে। আদালতের বিচারক কামরুল হাসান ৫ আসামির প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে। পরে আসামিদের আদালত থেকে ফের পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
এদিকে মামলার অধিক তদন্তের জন্য স্বর্ণ বার ডাকাতির মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তর করা হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে আদালতের একটি সূত্র জানায়, পিবিআই মামলার তদন্তভার গ্রহণের জন্য শনিবার দুপুর পর্যন্ত কোন লিখিত আবেদন করেনি।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রাম আসামি ছেড়ে দেয়া ঘটনায় ৩ পুলিশসহ গ্রেপ্তার ৬
শনিবার দুপুরে ফেনী পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশের চট্রগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন জানান, মামলার অধিকতর তদন্তের স্বার্থে মামলাটি পিবিআই বা সিআইডিতে স্থানান্তরের জন্য আদালতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, আসামিদের রিমান্ডে জিঙ্গাসাবাদ চলছে। তদন্তে মামলার বাদীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মামলার অধিক তদন্তের জন্য পিবিআই বা সিআইডিতে স্থানান্তরের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। পুলিশ সবগুলো বিষয় মাথায় নিয়ে তদন্ত করছে। মামলার বাদী কোথায় থেকে বারগুলো সংগ্রহ করেছে। কবে করেছে, কীভাবে করেছে, কারকাছে বারগুলো বিক্রি করতে যাচ্ছিল। কেন ডিবি পুলিশ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে স্বর্ণ বারগুলো লুট করেছে। সবগুলো বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে পুলিশ নতুন কিছু তথ্য পেয়েছে। সে তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
একই মামলায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম ভূইয়া চার দিনের রিমান্ডে রয়েছে। রবিবার তার রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে তোলা হবে। ওই সময়ে তাকে পুনরায় রিমান্ড চাইবে পুলিশ।
এর আগে বুধবার দুপুরে আসামিদের আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করা হলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম ভূইয়াকে ৪ দিন ও অপর ৫ আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওইদিন বিকালে তাদের আদালত থেকে ফেনী মডেল থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ফেনীতে ২০টি স্বর্ণের বার ডাকাতির মামলায় গত ১০ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার হন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, উপপরিদর্শক (এসআই) মোতোহের হোসেন, উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান, উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল হক, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) অভিজিৎ বড়ুয়া ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ রানা।
মাগুরায় আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীকে মারধর
মাগুরায় আসামিকে জামিন করানোর কারণে বৃহস্পতিবার বিকালে অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান তিতাস নামে এক আইনজীবীকে আদালত প্রাঙ্গণে পিটিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।
এবিষয়ে মাগুরা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশেদ মাহমুদ শাহিন জানান, শহরে তুহীন ও রুবেল নামে দুই সন্ত্রাসী যুবক প্রায়ই মাগুরা আইনজীবী সমিতি ও আদালত এলাকায় আসা মক্কেলদের টাকা পয়সা ছিনতাইসহ নানা রকম অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: আইনজীবীদের ওপর হামলা ও দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রত্যাহার দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় বিক্ষোভ
ইতোমধ্যে তাদেরকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে তুহিন নামে ওই যুবককে কোনও ধরনের আইনি সহায়তা দেয়া হবে না এই মর্মে আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকালে অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান তিতাস ও রুবেলের জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে জনৈক কামরুল ইসলাম আদালত প্রাঙ্গণে অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমানেরর ওপর হামলা চালায়। হামলায় মারাত্মক আহত হলে তাকে দ্রুত মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অ্যাডভোকেট শাহীন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন:সিলেটে রায়হান হত্যা: আইনজীবী পাননি এসআই আকবর
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকায় অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান তিতাসের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মাগুরার পুলিশ সুপার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখনও আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসপির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সহকর্মীর
বাগেরহাটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিআইবি) পুলিশ সুপার (এসপি) মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন তারই এক নারী সহকর্মী। ভুক্তভোগী ওই পুলিশ পরিদর্শকের এই অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করার জন্য উত্তরা পূর্ব থানাকে নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার ওই নারী পরিদর্শক আদালতে মামলার আবেদন জানালে মহিলা ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার এই আদেশ দেন। আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আফরোজা অরেঞ্জ ইউএনবিকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ২০১৯ সালে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত মোক্তার হোসেন উভয়ে সুদানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত ছিলেন।ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর মোক্তার ভুক্তভোগীর বাসায় গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। ২২ ডিসেম্বর মোক্তার ক্ষমা চাইতে গিয়ে ভুক্তভোগীকে আবারও তার বাসায় ধর্ষণ করেন। এই ঘটনা কারো কাছে প্রকাশ না করার জন্য এসপি মোক্তার তাকে একাধিকবার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে এসপি মোক্তার তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেন। বাদী এই বিষয়ে পুলিশ বিভাগে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন যা এখনও তদন্তাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ‘দ্বিতীয় স্ত্রীর’ ধর্ষণ মামলা
৪ শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা: ওসিসহ ৭ পুলিশ বরখাস্তের রায় স্থগিত
ইউল্যাব ছাত্রী ধর্ষণ-হত্যা: আপিলে বন্ধু মর্তুজার জামিন স্থগিত
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিবারেল আটর্স অব বাংলাদেশের (ইউল্যাব) ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় নিহতের বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরীকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে এ আদেশ দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সচিবসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
জানা গেছে, গত ২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ডিজে নেহার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে হাতিরপুল এলাকা থেকে রাজধানীর উত্তরার ব্যাম্বো শুট রেস্টুরেন্টে যান ওই ছাত্রী এবং তার দুই বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরী ও আরাফাত। সেখানে তারা অতিরিক্ত মদ পান করেন। সেখান থেকে বের হয়ে ওই রাতেই গুলশানের অন্য একটি অভিজাত হোটেলে যান। সেখানেও তারা ফের মদপান করেন। দুই দিন পর ইউল্যাব ছাত্রী ও তাদের বন্ধু আরাফাত মারা যান।
এ ঘটনার পর রাজধানীর আজিমপুর থেকে নেহাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বেরিয়ে আসে তাদের অন্ধকার জগৎ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পরিবার ও স্বামী বিচ্ছিন্ন ডিজে নেহার হাত ধরে অনেক তরুণ-তরুণী জড়িয়েছেন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে। পরবর্তীতে পুলিশ হত্যা ও ধর্ষণ মামলায় মর্তুজা রায়হান চৌধুরী, তাদের আরেক বন্ধু তাফসিরকে গ্রেপ্তার করে। আর নেহার চাচাতো ভাই বিশাল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে।
আরও পড়ুন: লকডাউন: সারাদেশে আদালতে স্বাভাবিক বিচার কাজ বন্ধ থাকবে
এ মামলায় হাইকোর্ট গত ১৯ জুলাই মর্তুজা রায়হান চৌধুরীকে জামিন দেন। পরে ওই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন জানায়।