গ্যাস
মালিবাগে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩
রাজধানীর মালিবাগে একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগার পর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন দগ্ধ হয়েছেন।
বুধবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় এই বিস্ফোরণ হয়।
আহতরা হলেন- মো. সবুজ, মো. মারুফ (১৬) ও জুলহাস (১৮)। তারা সবাই 'শাহজালাল হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট'-এর কর্মচারী।
তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা সহকর্মী তৌহিদ জানান, সন্ধ্যায় তারা রেস্টুরেন্টের সামনে ইফতার বিক্রি করছিলেন। হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ লিকেজ করে আগুন লেগে তিনজন আহত হন।
আরও পড়ুন: কয়লাভর্তি জিম্মি জাহাজ আব্দুল্লাহতে বিস্ফোরণের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, নিহতদের হাতে-পায়ের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে।
তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ১৪
মৌলভীবাজারে মাস শেষের আগেই ফুরিয়ে যায় গ্যাস, ভোগান্তিতে গাড়িচালক-যাত্রীরা
মৌলভীবাজারে পেট্রোল পাম্পের জন্য নির্ধারিত গ্যাস বরাদ্দ শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রতিমাসে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে গাড়ি চালক ও যাত্রীদের।
জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের আঞ্চলিক বিতরণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজার, কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গল কার্যালয়ের আওতাধীন ১১টি সিএনজি পাম্প রয়েছে। মৌলভীবাজার কার্যালয়ের আওতাধীন ৬টি, কুলাউড়ার আওতাধীন ২টি ও শ্রীমঙ্গলের আওতাধীন ৩টি রয়েছে।
প্রতি মাসের শেষের দিকে মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গল কার্যালয়ের আওতাধীন ৪ থেকে ৫টি পাম্পের নির্ধারিত গ্যাস বরাদ্দ শেষ হয়ে যাওয়ায় বন্ধ থাকে। এ কারণে চালু পাম্পগুলোতে গ্যাস নিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে চালকদের।
কুলাউড়ায় গর্নভেলি সিএনজি স্টেশনে অপেক্ষারত এক সিএনজি অটোরকিশা চালক বলেন, রাত ৩টা কেউ রাত ২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে সিরিয়াল ধরে গ্যাস নিতে হচ্ছে। সকাল ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পাম্প বন্ধ থাকে। বন্ধের সময়টা কমিয়ে দিলে আমাদের জন্য খুবই ভালো হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্রে ৫৫ কোম্পানিকে আমন্ত্রণ
মৌলভীবাজার মেসার্স সাজ্জাদুর রহমান সিএনজি স্টেশনে অপেক্ষারত গাড়ির চালক রফিক মিয়া জানান, সকাল থেকে পাম্প বন্ধ থাকার কারণে আমাদেও জ্বালানি সংগ্রহ করতে ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। পাম্প বন্ধের সময়টা কমানো হলে খুবই ভালো হয়। নিদিষ্ট পাম্পে গ্যাস না পেয়ে অনেক পরিবহন চালক এলপিজি ব্যবহার করছে। এলপিজির দাম একটু বেশি এতে বাধ্য হয়ে ভাড়া বাড়িয়ে দিচ্ছেন চালকরা।
মৌলভীবাজার জ্বালানি ব্যবসায়ীরা জানান, ২০০৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে মৌলভীবাজারে সিএনজি ফিলিংস্টেশনগুলো গড়ে ওঠে। ওই সময় জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের সঙ্গে প্রতিটি পাম্পের বরাদ্দের বিষয়ে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী এক লাখ থেকে তিন লাখ কিউবিক ফুট গ্যাস পায় ফিলিংস্টেশনগুলো। শুরুর দিকে সমস্যা না হলেও কয়েক বছর ধরে এর চাহিদা বাড়ছে।
বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় সভাপতি আমিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, গ্যাস বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য জালালাবাদ গ্যাসের কাছে বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। বৈঠক ও করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সমাধান মিলছে না।
জালালাবাদ গ্যাস আঞ্চলিক বিতরণ কার্যালয় মৌলভীবাজারের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. রুহুল করিম চৌধুরী জানান, ব্যবসায়ীরা নিয়ম না মেনে সময়ের আগেই গ্যাস বিক্রি করে দেন। ফলে মাস শেষে অনেক পাম্প বন্ধ হয়ে যায়।
বিষয়টি নিয়ে জনসাধারনের ভোগান্তি কথা বিবেচনা করে গ্যাস কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন চালক ও জনগণ।
আরও পড়ুন: অফশোর তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান করেছে পেট্রোবাংলা
শনিবার রাজধানীর কিছু এলাকায় ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি মেরামত কাজের জন্য রাজধানীর কিছু এলাকায় শনিবার দুপুর দেড়টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট, বনানী ডিওএইচএস, আরজত পাড়া ও শাহীনবাগসহ কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ও সরবরাহ কোম্পানি লিমিটেড।
এ সময় আশেপাশে কিছু এলাকায়ও গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে গ্রাহকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছে তিতাস কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের দাম ইউনিট প্রতি ৭৫ পয়সা বাড়াল সরকার
সরকারি, বেসরকারি ও ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রের খুচরা গ্যাসের দাম ইউনিট প্রতি ৭৫ পয়সা বাড়িয়েছে সরকার। যা কার্যকর হবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
এতে বলা হয়, রেন্টাল সহ সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে প্রতি ইউনিট গ্যাসের মূল্য বর্তমানে ১৪ টাকার পরিবর্তে ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা এবং ক্যাপটিভ, ছোট ও বাণিজ্যিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে প্রতি ইউনিট গ্যাসের মূল্য ৩০ টাকার পরিবর্তে ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: উন্নতির দাবি তিতাসের, তবে ঢাকা-গাজীপুর-নারায়ণগঞ্জের শিল্প-কারখানায় এখনো তীব্র গ্যাস সংকট
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইনের নতুন সংশোধনী অনুযায়ী জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এক প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে এই দাম নির্ধারণ করে।
নতুন আইনটি সরকারকে যেকোনো সময় নিয়ন্ত্রক সংস্থার এখতিয়ারকে পাশ কাটিয়ে সব ধরনের জ্বালানির দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দিয়েছে।
এই ধরনের গ্রাহকদের জন্য গ্যাসের দাম সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি বাড়ানো হয় এবং সেটি ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাম্প্রতিক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এসেছে। তিনি বলেছেন, গ্যাসের দাম আবার সমন্বয় করা হবে।
আরও পড়ুন: বুধবার ঢাকার যেসব এলাকায় ১৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সরবরাহ
আগামী ৪ বছরের মধ্যে গ্যাসের শতভাগ প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হবে: প্রতিমন্ত্রী
আগামী চার বছরের মধ্যে গ্যাস খাতে শতভাগ প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, গ্যাস মিটার স্থাপন করলে অপচয় কমে যাওয়াসহ অনেক সুবিধা রয়েছে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব প্রিপেইড মিটার স্থাপন শেষ করতে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণের দাবির সঙ্গে সরকার একমত: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
শনিবার (ফেব্রুয়ারি) সকালে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেক দিন ধরেই চাপ দিয়ে যাচ্ছি কোম্পানিগুলোকে। এখন বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ অনেকে অর্থায়ন করতে চায়। তারা প্রায় ৩০ লাখ মিটার স্থাপন করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিরাপদ মনে করে ডেনমার্ক-সৌদি আরব: নৌ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জালালাবাদের সার্ভিস দেখে আমি সন্তুষ্ট। তাদের কোনো সিস্টেম লস নেই, কোনো অবৈধ সংযোগও নেই। ডাটা সেন্টার দেখলাম। চমৎকার মনে হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতিকুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক ও মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) লিটন কুমার নন্দীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: সিলেটের কৈলাশটিলায় আরও ১.৬ টিসিএফ গ্যাস পাওয়া যাবে: প্রতিমন্ত্রী
শহরে রান্নার জন্য গ্যাসের চুলার সেরা কয়েকটি বিকল্প
প্রাকৃতিক গ্যাসের সংকট সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশজুড়ে প্রকট আকার ধারণ করেছে। পেট্রোবাংলার তথ্য মতে, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন মাত্রায় পৌঁছেছে গ্যাস সরবরাহ। বর্তমানে যেখানে গ্যাসের প্রয়োজন ৩ হাজার ৮০০ এমএমসিএফডি (মিলিয়ন স্ট্যান্ডার্ড ঘনফুট পার ডে), সেখানে সরবরাহ রয়েছে প্রায় ২ হাজার ৫০০ এমএমসিএফডি। প্রাকৃতিক গ্যাসের বিকল্প হিসেবে অনেকেই ঝুঁকে পড়ছেন এলপিজি (লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস) বা সিলিন্ডার গ্যাসের দিকে। কিন্তু এগুলোর দামের অসঙ্গতি এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে জনজীবন শিকার হচ্ছে নানা বিড়ম্বনার। গ্রামাঞ্চলের অধিবাসীরা লাকড়ি বা মাটির চুলা ব্যবহার করতে পারলেও শহরের বাসাবাড়িতে গ্যাস ছাড়া রান্না করা দুরূহ। এমতাবস্থায় জরুরি হয়ে পড়েছে রান্নার জন্য গ্যাসের বিকল্প জ্বালানি ব্যবস্থা। তাই চলুন, গ্রাম বা শহরে বাসা-বাড়িতে গ্যাস ছাড়া রান্নার করার উপযুক্ত কিছু উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
গ্যাস ছাড়া রান্নার জন্য কয়েকটি আধুনিক চুলা
ইন্ডাকশন চুলা
তাড়িৎ চৌম্বক শক্তিকে ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় তাপশক্তির যোগান দেয় ইন্ডাকশন চুলা। এর কাঁচ-সিরামিক প্লেটের নিচে থাকে তামার কয়েল, যেটি তাড়িৎ চৌম্বক শক্তির যোগান দেয়। প্লেটের উপর নির্দিষ্ট দাগাঙ্কিত স্থানে রাখা হয় রান্নার পাত্র।
বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকা অবস্থায় চৌম্বক পদার্থের তৈজসপত্র রাখা হলে চুলাটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। কাজ শেষে পাত্র সরিয়ে ফেলা হলে চুলা সঙ্গে সঙ্গেই তাপ উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। এই পাত্রগুলোর মধ্যে অধিকাংশ স্টেইনলেস-স্টিল ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও রয়েছে কাস্ট আয়রন এবং এনামেল্ড ঢালাই লোহা।
আরও পড়ুন: তীব্র গ্যাস সংকটে চট্টগ্রাম নগরবাসী
এই চুলাগুলো সহজে পরিষ্কারযোগ্য এবং অল্প তাপেই গ্যাস ও অন্যান্য সাধারণ বৈদ্যুতিক চুলার থেকে দ্রুত রান্না করতে পারে। ইন্ডাকশন চুলা বিভিন্ন পাওয়ার রেটিংয়ের ভিত্তিতে ৩ থেকে ৯ হাজার টাকার হয়ে থাকে। বাজারে সাধারণত ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ২০০ ওয়াটের চুলাগুলো বেশি পাওয়া যায়। ৪ থেকে ৫ সদস্যের পরিবারের জন্য যাবতীয় রান্নার কাজ এই চুলা দিনে সর্বোচ্চ ৪ ঘণ্টায় সম্পন্ন করতে পারে। ফলে আবাসিক এলাকার সর্বোচ্চ ইউনিট রেট হিসেবে মাসে বিদ্যুৎ খরচ হতে পারে ৯০০ থেকে ৯৬০ টাকা।
ইনফ্রারেড চুলা
বিদ্যুৎ প্রবাহ থেকে আভ্যন্তরীণ তামার কয়েলকে উত্তপ্ত করে রান্নার জন্য তাপ উৎপন্ন করে ইনফ্রারেড চুলা। এগুলো মূলত হ্যালোজেন লাইট (যা ইন্ডাকশন লাইট নামেও পরিচিত) ব্যবহার ইনফ্রারেড বিকিরণ প্রক্রিয়ায় পাত্র গরম করে। এগুলোতে ইন্ডাকশন চুলার মতো নির্দিষ্ট কোনো তৈজসপত্র ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা নেই। তবে চুলার পৃষ্ঠের সঙ্গে সমতলে থাকা অর্থাৎ ফ্ল্যাট পাত্রগুলোতে গরম করার ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া যায়।
দু-একদিনের মধ্যে ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বাড়বে: নসরুল হামিদ
দু-একদিনের মধ্যে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'আমরা আশা করছি, ঢাকায় গ্যাসের ঘাটতি কমে আসবে এবং দু-একদিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’
তিনি বলেন, দেশে ফ্লোটিং স্টোরেজ ও রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) থেকে আবারও উৎপাদন শুরু হয়েছে এবং ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নতুন চিন্তাকে গ্রহণ করতে চাই: নসরুল হামিদ
‘এর মধ্যে একটির শিগগিরই রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে’ জানিয়ে তিনি বলেন, সাধারণত শীতকালে গ্যাস সরবরাহে কিছু সমস্যা হয়।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু প্রায় ৮০ শতাংশ আবাসিক গ্রাহক এখন এই তরল গ্যাস ব্যবহার করছে, তাই সরকার এলপিজি সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শুধু ঢাকা ও আশপাশের এলাকার গ্রাহকরা পাইপলাইন গ্যাস ব্যবহার করে, অবশিষ্ট গ্রাহকরা এলপিজি ব্যবহার করে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যদি মোট গ্রাহক থেকে শিল্পভিত্তিক গ্রাহকদের বাদ দেওয়া হয়, তাহলে গৃহস্থালি গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫ লাখ।
তিনি আরও জানান, আগামী ৩ বছরের মধ্যে দেশের সব গ্রাহকের জন্য গ্যাস মিটার স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে: নসরুল হামিদ
শীত মৌসুমের শুরু থেকেই তীব্র গ্যাস সংকটে ভুগছে দেশবাসী। কিন্তু শুক্রবার এফএসআরইউগুলোর মধ্যে একটিতে প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা দিলে পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটে। তবে এফএসআরইউ মেরামত করে চালু করা হলে চট্টগ্রাম ও আশপাশের গ্যাস সরবরাহে সামান্য উন্নতি হয়।
এদিকে, ৪৫ দিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের মধ্যে থাকা আরেকটি এসএফআরইউও পুনরায় কাজ শুরু করে যার ফলে সরবরাহে আরেকটু উন্নতি হয়। কিন্তু গ্যাস সংকট পুরোপুরি সমাধান হয়নি।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের কোনো কোনো এলাকায় প্রচণ্ড গ্যাস সংকট এবং কোনো এলাকায় গ্যাসের চাপ খুবই কম রয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হতে পারে: নসরুল হামিদ
তীব্র গ্যাস সংকটে চট্টগ্রাম নগরবাসী
দেড় মাস ধরে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় দিন ও রাতের কোনো সময়ই গ্যাস থাকছে না বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এর ফলে গৃহস্থালির কাজ কর্ম এবং শিল্প কারখানায় উৎপাদন উভয়ই ব্যাহত হচ্ছে।
নগরবাসী জানায়, অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে গ্যাস সংকট শুরু হয়েছে। তবে সম্প্রতি তা আরও তীব্র হয়েছে। তাদের কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, তারা ২৪ ঘণ্টায় কোনো সময় গ্যাস পান না।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) সূত্রে জানা গেছে, মহেশখালীর দুটি এলএনজি টার্মিনালের একটি থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণের কারণে ঘরে ঘরে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ জানায়, চট্টগ্রামে স্বাভাবিক সময়ে জাতীয় গ্রিড থেকে ৩১০-৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হয়্ তবে বুধবার (৩ জানুয়ারি) মাত্র ২৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়।
গত ২২ অক্টোবর থেকে নগরবাসী গ্যাস সংকটে ভুগছেন এবং বেশিরভাগ এলাকায় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলা থেকে ঢাকার শিল্পকারখানায় সিএনজি আকারে গ্যাস সরবরাহ শুরু
কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ জানায়, মহেশখালী এলএনজি গ্যাস টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহের চাপ কমে যাওয়ায় গ্যাস ঘাটতি দীর্ঘদিন থাকতে পারে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদকে ভোক্তাদের দুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (সিসিসিআই) সভাপতি ওমর হাজ্জাজ।
বুধবার তিনি মন্ত্রীর কাছে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন।
ওমর বলেন, 'চট্টগ্রামে ৪০০-৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন হলেও এখন মাত্র ২৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। মোট গ্যাসের মধ্যে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দুটি সার কারখানা ও একটি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া অবশিষ্ট গ্যাস নগরবাসী, শিল্প ও সিএনজি ফিলিং স্টেশনে বিতরণ করা হয়, যা যথেষ্ট নয়।
বাকি গ্যাস বিভিন্ন কৌশলগত পদ্ধতিতে নগরীর বিপুল সংখ্যক আবাসিক গ্রাহক, কারখানা ও সিএনজি স্টেশনে বিতরণ করা হচ্ছে। ফলে কারখানা ও পরিবারগুলো মারাত্মক গ্যাস সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে।
কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশন ডিভিশন) প্রকৌশলী আমিনুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরনগরীর মানুষ এলএনজি গ্যাস সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল।
তিনি বলেন, এই সংকট কতদিন থাকবে তা বলা মুশকিল।
লালখান বাজার, কাজীর দেউড়ি, আসকার দিঘিরপাড়, খুলশী, জামাল খান লেন, দেওয়ানজী পুকুর পাড়, দেওয়ান বাজার, হেম সেন লেন, শুলকবোহর, ঘাট ফরহাদবেগ, বাকলিয়া, চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই শীতে এসব এলাকার মানুষ দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে।
এলাকার অনেক বাসিন্দা বলেন, এটা নতুন কিছু নয়। প্রতি বছর নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্যাস সংকট দেখা দেয়।
একটি ব্যাংকের কর্মচারী শাহনূর সুলতানা বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে সকালে উঠে না খেয়ে অফিসে যেতে হচ্ছে। ঘুম থেকে উঠেই দেখা যায় চুলা জ্বলছে না। ফলে কোন ধরনের রান্না বান্না ছাড়াই অফিসে ছুটতে হচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে।’
কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (বিপণন, দক্ষিণ বিভাগ) মু. রইস উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে জাতীয় গ্রিডে ৮০০ থেকে ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হতো। এর একটি রক্ষণাবেক্ষণের কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ আছে। এ কারণে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষ হলে সংকট অনেকাংশে কেটে যাবে।’
কেজিডিসিএল-এর অধীনে ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪ জন গ্রাহক রয়েছেন এবং এর মধ্যে ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫১৬টি পরিবারকে সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফারণে দগ্ধ ১০
ঢাকা ও আশপাশের শিল্পকারখানায় সিএনজি হিসেবে আসছে ভোলার গ্যাস
অবশেষে চলতি মাসেই ভোলা থেকে ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন শিল্পকারখানায় সিএনজি (কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) আকারে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দেশের শীর্ষস্থানীয় সিএনজি স্টেশন অপারেটর বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইন্ট্রাকোর এই উদ্যোগটির উদ্বোধন করবেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
ঢাকা ও গাজীপুর ও টাঙ্গাইলসহ আশপাশের এলাকার বিভিন্ন শিল্পকারখানায় গ্যাস সরবরাহের জন্য চলতি বছরের ২১ মে রাষ্ট্রায়ত্ত সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (এসজিসিএল) সঙ্গে চুক্তি করে ইন্ট্রাকো।
১০ বছর মেয়াদি চুক্তির আওতায় ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড দক্ষিণের জেলা ভোলা থেকে সিএনজি আকারে ৪ হাজার ঘনমিটার গ্যাস নিয়ে আসবে এবং প্রতি ইউনিট (১০০০ ঘনফুট) ৪৭ টাকা ৫০ পয়সায় শিল্পকারখানায় বিক্রি করবে।
চুক্তি অনুযায়ী, দেশীয় প্রতিষ্ঠান ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড প্রাথমিকভাবে দৈনিক ৫০ লাখ ঘনফুট (এমএমসিএফডি) এবং পরে বেসরকারি শিল্পে ২০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করবে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) ভোলা ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করছে। তবে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে কী পরিমাণ গ্যাস বিক্রি করা হবে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
আরও পড়ুন: সিলেট গ্যাস ফিল্ডে পেট্রোলিয়াম তেল ও গ্যাসের মজুদ পাওয়া গেছে
বাপেক্স এবং এসজিসিএল উভয়ই রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সহায়ক সংস্থা ও প্রধান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন। এটি ঊর্ধ্বমুখী এবং নিম্নমুখী উৎপাদন এবং সরবরাহ উভয়ই পরিচালনার জন্য দায়বদ্ধ।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০ এর অধীনে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনটি চুক্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে।
বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৪ হাজার এমএমসিএফডি গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ করা হচ্ছে প্রায় ২ হাজার ৫৭৬ এমএমসিএফডি গ্যাস। সরবরাহকৃত গ্যাসের মধ্যে দেশের ২২টি গ্যাসক্ষেত্র থেকে ২ হাজার ৭৬ এমএমসিএফডি গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে প্রায় ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস। ফলে এখনও ঘাটতি থাকছে ১ হাজার ৪২৪ এমএমসিএফডি গ্যাস।
আরও পড়ুন: সিলেটে নতুন কূপে গ্যাসের সন্ধান
ভোলার দুটি গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২০০ এমএমসিএফ এবং উৎপাদন ক্ষমতা ৮০ থেকে ৮৫ এমএমসিএফের মধ্যে।
ফলে শাহবাজপুর ও ভোলা গ্যাসক্ষেত্রের আটটি কূপে প্রায় ১২০ এমএমসিএফ উদ্বৃত্ত ক্ষমতা অব্যবহৃত রয়ে গেছে।
পাইপলাইন ও সঞ্চালন সুবিধা না থাকায় ভোলা ক্ষেত্র থেকে উদ্বৃত্ত গ্যাস ঢাকাসহ অন্যান্য জ্বালানি চাহিদার শিল্পাঞ্চলে সরবরাহ করতে পারেনি সরকার।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সদ্য বসানো নলকূপ দিয়ে বের হচ্ছে গ্যাস
কুমিল্লায় সদ্য বসানো নলকূপ দিয়ে বের হচ্ছে গ্যাস
কুমিল্লার লাকসামে সদ্য বসানো একটি নলকূপ থেকে দিন-রাত অনবরত গ্যাস বের হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঘাটার পূর্ব পাড়া আবুল কালামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় উৎসুক লোকজনের ভিড়। পাশেই বসানো নলকূপ থেকে পানি ও স্বশব্দে গ্যাস বের হচ্ছে।
লোকজন নলকূপের গ্যাসে আগুন ধরিয়ে দিলে অনর্গল জ্বলতে থাকে।
বাড়ির মালিক আবুল কালাম বলেন, আমার ভাগ্নেকে থাকার জন্য এ জায়গাটা দিয়েছি। তারা সেখানে ঘর উঠাচ্ছে। রবিবার সকাল ৮টা থেকে মিস্ত্রিরা নলকূপটি বসায়। বেলা ১১টায় কাজ শেষ করার পর দেখা যায়, কোনো চাপ ছাড়াই পানি পড়ছে। নলকূপের মুখ দিয়ে গ্যাসও বের হচ্ছে। এ সময় ছেলেরা গ্যাসের মধ্যে দেয়াশলাই দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে।
লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফারণে দগ্ধ ১০
অবৈধ গ্যাস সংযোগ, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ