বিচারপতি
হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন নুর
আদালত অবমাননার অভিযোগে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে লিখিত আবেদন করে ক্ষমা চান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ভিপি নুরের বিরুদ্ধে মামলা
তবে ক্ষমা প্রার্থনা করে দেওয়া আজকের আবেদনে ভবিষ্যতে অবমাননাকর বক্তব্য না দেওয়ার কোনও কথা না থাকায় বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আদালত।
পরে নুরের আইনজীবী নতুন করে আরেকটি আবেদন দেওয়ার জন্য সময় চাইলে হাইকোর্ট সময় দিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৬ মার্চ দিন ধার্য করেন।
এসময় আদালতেই উপস্থিত ছিলেন নুর।
আদালতে ভিপি নুরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আর রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
এর আগে বিচারকদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের কারণে আদালত অবমাননার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে নুরুল হক নুরকে গত ১৭ ডিসেম্বর তলব করেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ভিপি নুরের বিরুদ্ধে কুমিল্লার দুই থানায় অভিযোগ
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত রুলসহ এ আদেশ দেন। রুলে তার বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
আদালত অবমাননার বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে ১৭ জানুয়ারি তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়। পরে ১৭ জানুয়ারি হাজির হলে আদালত তাকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ফের হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেন।
এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর ‘বিচারকদের সতর্ক করে ভিপি নুরের আপত্তিকর বক্তব্য’ শিরোনামে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
গত ১৭ ডিসেম্বর সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কালীপদ মৃধা ওই প্রতিবেদন এই বেঞ্চের নজরে আনলে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: সাবেক ভিপি নুরকে হাইকোর্টে তলব
দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করুন: বিচারপতিদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারকদের দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বিচারকদের বলেন, ‘আপনারা আরও সতর্ক থাকবেন ন্যায়বিচারপ্রত্যাশীদের যাতে দিনের পর দিন আদালত থেকে ফিরে যেতে না হয়।’
সাহাবুদ্দিন সুপ্রিম কোর্টের ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশের সংবিধান কার্যকর হয় এবং এর আলোকে ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭২ সালের ১৯ ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উদ্বোধন করেন।
সুপ্রিম কোর্টকে জাতির গৌরবের প্রতীক এবং সব পেশার মানুষের আস্থার প্রতীক উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সাধারণ মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল, যেখানে তারা ন্যায়বিচার ও অধিকার রক্ষার জন্য আসে।
আইনজীবীরা বিচার ব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনজীবীদের সহযোগিতা ছাড়া বিচার কার্যক্রম কোনোভাবেই অগ্রসর হতে পারে না।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিচারিক কাজে বেঞ্চ ও বারের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, আমাদের সংবিধান প্রণয়নের সময় দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, যখনই প্রয়োজন আইনজীবীরা আদালতের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এবং অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে তাদের মতামত দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে আদালতকে সহায়তা করেছেন।
আরও পড়ুন: সেনা মোতায়েনে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে রাষ্ট্রপতির সম্মতি
রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের মধ্যে বিচার বিভাগকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ, সংবিধানের হেফাজতকারী এবং চূড়ান্ত ব্যাখ্যাকারী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের কথা উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের রয়েছে। এই ক্ষমতা প্রয়োগ করে সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রের অন্য দুটি অঙ্গকে নিষিদ্ধ করতে পারে।
মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘তবে এই দায়িত্ব অবশ্যই অত্যন্ত যত্ন সহকারে প্রয়োগ করতে হবে। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রীয় তিনটি অঙ্গ-লেজিসলেটিভ, এক্সিকিউটিভ ও জুডিশিয়ালের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা অত্যন্ত অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে সামরিক শাসন জারি করে সংবিধান লঙ্ঘন করে গণতন্ত্রকে চিরতরে হত্যার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্বৈরশাসকরা সফল হননি।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘স্বৈরশাসকরা তাদের পতনের আগে সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী পাস করার জন্য সংসদকে অবৈধভাবে ব্যবহার করে তাদের সব অপকর্মকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট তা অনুমোদন করেনি।’
সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক যেকোনো আইনকে খর্ব করতে সুপ্রিম কোর্ট সবসময়ই বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে এবং বাংলাদেশের সংবিধান সম্পর্কিত যেকোনো বিষয়ে অভিভাবক হিসেবে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে ঐতিহাসিকভাবে আইনের শাসন নিশ্চিত করেছে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক কমিটির সভাপতি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও নেতাদের সম্পৃক্ত করুন: রাষ্ট্রপতি
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলুন: রাষ্ট্রপতি
বিচারপতিকে নিয়ে কটূক্তি: বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানকে ৫ মাসের কারাদণ্ড
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার জেরে আদালত অবমাননার মামলায় বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবকে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২১ নভেম্বর) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ তার উপস্থিতিতে সাজার এ আদেশ দেন।
আদালত বলেছেন, হাবিবুর রহমান দেশের জনগণের কাছে ভুল মেসেজ দিয়েছেন। বিচার বিভাগকে তিনি হেয় করেছেন। এই অবস্থায় আদালত চোখ বন্ধ করে থাকতে পারেন না। কোর্টকে কবর দেওয়া মানে দেশকে কবর দেওয়া, বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আদালতে হাবিবুর রহমান হাবিবের পক্ষে আদালতে আইনজীবী ছিলেন আইনজীবী ফজলুর রহমান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী কামরুল ইসলাম সজল, আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব, ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাদক মামলায় নারীর ৫ বছর কারাদণ্ড
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি। সাজা দিয়ে আদেশ ঘোষণার আগে শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ বুধবার দুপুরে তাকে হাইকোর্টে হাজির করে।
টকশোতে হাবিবুর রহমান হাবিব যে বক্তব্য দিয়েছিলেন শুনানির শুরুতে ল্যাপটপের মাধ্যমে তা আদালতকে দেখানো হয়।
এসময় আদালতের প্রশ্নের জবাবে পাবনা জেলা বিএনপির এই সভাপতি আদালতকে বলেন, আমি শপথ করে বলছি আমি এই বক্তব্য দিয়েছি। আমি আদালতের কাছে কিছু কথা বলতে চাই। তখন হাইকোর্ট তাকে কথা বলার অনুমতি দেন।
হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, খালেদা জিয়ার জীবন বিপন্ন। আমি তার জন্য আমার লিভার প্রয়োজনে দিয়ে দেব। খালেদা জিয়া এমন এক মহীয়শী নেত্রী। তিনি আমার মা। আমার মাকে যদি কেউ কটু কথা বলে সে মারা গেলেও তো তাকে ছাড়ব না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ভক্ত। তিনি বাংলাদেশে নারী শিক্ষায় জাগরণ সৃষ্টি করেছেন।
তিনি বলেন, আমার মমতাময়ী মা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য আমার লিভার, কিডনি, এমনকি জীবন দিতেও প্রস্তুত আছি। আমার ১০০ বছরের সাজা হলেও আমি ভয় পাই না।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় তার ব্যাখ্যা দিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে তলব করেন হাইকোর্ট।
৬ নভেম্বর তাকে হাজির হতে বলা হয়। একইসঙ্গে আদালত অবমাননার দায়ে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
ওই আদেশ অনুযায়ী ৬ নভেম্বর আদালতে হাজির হননি তিনি। যে কারণে ৮ নভেম্বরের মধ্যে তার বর্তমান অবস্থান জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে ৮ নভেম্বরের মধ্যে এ তথ্য জানাতে বলা হয়।
৮ নভেম্বরও আদালতের তলবে হাজির না হওয়ায় হাবিবকে হাইকোর্টে হাজির করতে পুলিশের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তাকে হাজির করতে পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এর মধ্যে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর পল্লবী থানার মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: আপিলে আমৃত্যু সাজা কমিয়ে শামসুল হকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
নাটোরে হত্যা ও ধর্ষণের পৃথক মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বিচারপতিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য: দিনাজপুর পৌর মেয়রের কারাদণ্ড
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলার বিষয়ে আপিল বিভাগের এক বিচারপতি সম্পর্কে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়রকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম সম্পর্কে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগে সৈয়দ মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন দিনাজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার উল্লাহ।
আরও পড়ুন: বিচারককে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: দিনাজপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরকে এক মাসের কারাদণ্ড
মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ৩ আগস্ট বিএনপির কর্মসূচিতে বেগম খালেদা জিয়ার মামলায় রায়ের বিষয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য জুড়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন বিএনপি নেতা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তার ওই বক্তব্য ইউটিউবে প্রচার হয়েছিল।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপিল বিভাগে আবেদন জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান রোমানসহ আরও ৩ আইনজীবী। মামলায় সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। তবে তাকে ক্ষমা করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ঘোষিত ওই রায়ে মেয়রকে এক মাসের জেল এবং ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৪ সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ।
দণ্ড ভোগ করতে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়ে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করতে আদেশ দেওয়া হয়েছিল মেয়রকে। রায় অনুযায়ী বুধবার ১৮ অক্টোবর দিনাজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে কারাগারে পাঠানো হয় মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে।
অন্যদিকে ঘোষিত জরিমানার ১ লাখ টাকা সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান গাউসুল আযম চক্ষু হাসপাতালে গতকাল বুধবার জমা দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বরিশালে তিন জেলেকে ১ বছর করে কারাদণ্ড
বিচারপতিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য: বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানকে হাইকোর্টে তলব
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় তার ব্যাখ্যা দিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ৬ নভেম্বর তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আদালত অবমাননার দায়ে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিতভাবে এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: পিরোজপুর ১ ও ২ আসনে সীমানা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত বৈধ: হাইকোর্ট
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান।
আদেশের বিষয়টি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাইনুল হাসান নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হাবিবুর রহমান হাবিব ইউটিউবে বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে নিয়ে বেশ কিছু অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন। ওই বক্তব্য শোভনীয় ছিল না। এটা আদালতের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছেন। পাশাপাশি তাকে তলব করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ক্লিপে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, তার (খালেদা জিয়া) একবার শাস্তি হলো ৫ বছরের জেল, সশ্রম কারাদণ্ড। আমি ওইদিন বলেছিলাম বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামান সাহেব, আপনার মা বেঁচে থাকলে মাকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, মা, আমি একজন বয়স্ক মহিলাকে জেল দিয়ে আসছি, সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে আসছি তুমি কী বল? আপনার মা বলবেন, এই জায়গাতেই বলেছিলাম, আপনার মা বলবেন তুমি আমার সন্তান না, তুমি একটা কুলাঙ্গার। এতদিন তোমার জন্য গর্ববোধ করতাম, এখন আর গর্ব করি না, তুমি একটা কুলাঙ্গার সন্তান। তোমার মতো সন্তান জন্ম না দেওয়াই উচিত ছিল। এত বছর বয়স্ক একজন মানুষ নিজে চলতে পারে না।
অপর একটি ভিডিওতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবের একটি বক্তব্য রয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান সম্পর্কে অবমাননাকর উক্তি করা হয়েছে।
এ বক্তব্যে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, ‘শপথ করে বলে যেতে চাই, এই সরকার যেদিন ক্ষমতায় থাকবে না, ওই বিচারপতি আখতারুজ্জামান জীবিত থাকলেও তাকে মরতে হবে, মরে গেলেও কবর থেকে লাশ ওঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: র্যাব হেফাজতে নওগাঁর জেসমিনের মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট
অধিকারের আদিলুর ও এলানকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট
প্রধান বিচারপতি হিসেবে ওবায়দুল হাসানের শপথ গ্রহণ ২৬ সেপ্টেম্বর
বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর শপথ নেবেন।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিস ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রটোকল অফিসার মুহাম্মদ মামুনুল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন।
বর্তমান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অবসরে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলেন ওবায়দুল হাসান
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বিএসএস (অনার্স), এমএসএস (অর্থনীতি) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
পরে তিনি ১৯৮৬ সালের ১৮ মার্চ জেলা আদালত, ১৯৮৮ সালের ১৮ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগে এবং ২০০৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন।
তিনি ২০০৯ সালের ৩০ জুন হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন এবং ২০১১ সালের ৬ জুন একই বিভাগের বিচারক নিযুক্ত হন।
তিনি ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন
বিচারপতিকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য, মেয়রকে আপিল বিভাগে তলব
আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে আদালত অবমাননার অভিযোগে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে তলব করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আগামী ২৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টায় জাহাঙ্গীর আলমকে আপিল বিভাগে হাজির হয়ে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া দিনাজপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরের আপত্তিকর বক্তব্যের ভিডিওটি অপসারণ করতে বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে নিয়ে ইউটিউবে জাহাঙ্গীরের দেওয়া এক বক্তব্যের সূত্রে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে আবেদনটি করেন সুপ্রিমকোর্টের চার আইনজীবী। আবেদনকারী আইনজীবীরা হলেন- হারুন অর রশীদ, মাহফুজুর রহমান রোমান, মো. মনিরুজ্জামান রানা ও শফিক রায়হান শাওন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক।
আরও পড়ুন: গ্রামীণ কল্যাণ নিয়ে ড. ইউনূসের রিট নিষ্পত্তির নির্দেশ আপিল বিভাগের
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আর জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের আপত্তিকর বক্তব্যকে আদালত অবমাননা উল্লেখ করে তার সর্বোচ্চ শাস্তি চান।
অন্যদিকে, জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল আদালতকে বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলম তার বক্তব্যের জন্য দু:খ প্রকাশ করছেন।
একপর্যায়ে সর্বোচ্চ আদালত বলেন, আমরা তাকে তলব করছি, তিনি আসুক। এরপর আদালত মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে আগামী ২৪ আগস্ট সকাল ৯টায় আপিল বিভাগে হাজিরের নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে আদালত অবমাননার জন্য জাহাঙ্গীরকে কেন শাস্তি দেওয়া হবে না, সে বিষয়ে তাকে কারণ দর্শাতে বলেছেন আপিল বিভাগ।
উল্লেখ্য, বিএনপি নেতা দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ২০১১ সালে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। ২০২১ সালে টানা তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।
আরও পড়ুন: বাফুফে কর্তাদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চলবে: আপিল বিভাগ
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সিইসির সৌজন্য সাক্ষাৎ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একটি প্রতিনিধি দল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার (৩১ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টে দুপুর দেড়টায় প্রতিনিধি দল এই সাক্ষাৎ করেন।
প্রতিনিধি দল প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন। এসময় প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম ও যুগ্ম সচিব মাহবুবুর রহমান।
তবে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: সিইসির পদত্যাগ ও ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ ফয়জুল করিমের
বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি (আমার) শপথবাক্য পাঠ করান। তিনি (প্রধান বিচারপতি) আগামী দিনে অবসরে যাবেন, তাই আমি এখানে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছি।
অন্য কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে সিইসি অনিচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্ট যে রুল জারি করছে তা নিয়ে তার কার্যালয় (ইসি) কথা বলবে।
দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে সিইসিকে স্বাগত জানান সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের তফসিল অক্টোবরের শেষ সপ্তাহের আগে নয়: সিইসি
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টার পর সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তিন বিচারপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী।
এ সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আবদুন নূর দুলালসহ নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতিদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুরে হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি হাইকোর্ট বিভাগের কর্মরত তিনজন বিচারককে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ হতে আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগ করেছেন। এ তিনজনসহ আপিল বিভাগে এখন বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়ালো নয় জন।
বিএনপি নেতা দুলুর দুর্নীতি মামলার বিচার ১ বছরে শেষ করার নির্দেশ
বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলুর দুর্নীতির মামলার বিচার এক বছরে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলাটির বিচার কার্যক্রম দীর্ঘ ১২ বছর ধরে হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। আজ হাইকোর্ট বেঞ্চ অধ্যক্ষ দুলুর মামলাটির রুল খারিজ করে রায় দিয়েছেন এবং আগামী এক বছরের মধ্যে মামলাটি বিচারিক আদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ১০ দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে বিএফআইইউকে তিন মাসের সময় হাইকোর্টের
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান এবং দুলুর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক খান।
দুলুর বিরুদ্ধে দুদক ২০০৯ সালের ২১ জানুয়ারি লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করে। মামলায় এক কোটি ৬১ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায়ও একই বছরে দুদক চার্জশিট দাখিল করে। এরপর মামলাটি বাতিলের আবেদন জানালে হাইকোর্ট ২৫ আগস্ট ২০১০ সালে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন।
সেই থেকে এ মামলাটি বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কারণে মামলাটি বিচার বন্ধ ছিল।
সোমবার এই রায়ের ফলে মামলাটি সচল হলো।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের আয়কর কর্তৃপক্ষকেই পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
বিপিসির এসএওসিএল-এ ৪৭২ কোটি টাকা অনিয়মের ব্যাখ্যা চেয়েছে হাইকোর্ট