রোগী
চমেক হাসপাতালে আন্দোলনকারী রোগীদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা, গ্রেপ্তার ১
সম্প্রতি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ফি বাড়ানোর প্রতিবাদ করায় কয়েকজন কিডনি রোগী ও তাদের স্বজনদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পাঁচলাইশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মো. মোস্তাকিম নামে এক রোগী ও ৫০ থেকে ৬০ অজ্ঞাতপরিচয় জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক সাদেকুর রহমান বলেন, রোগীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে লাঞ্ছিত ও কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতালের সেবা নিয়ে গণশুনানী করবে দুদক
তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরাতে গিয়ে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন মজুমদার জানান, মঙ্গলবার রাস্তা অবরোধ ও যানবাহন চলাচলে বাধা দেয়ায় রোগীদের বিক্ষোভের সময় পুলিশ মোস্তাকিমকে সিএমএইচ থেকে আটক করে।
ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে চার দিন ধরে হাসপাতালের ডায়ালাইসিস সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ করছেন কিডনি রোগী ও তাদের স্বজনরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, একজন রোগীর মাসে আটবার ডায়ালাইসিস করতে হয় এবং তাদের প্রথম দুইবার দুই হাজার ৭৯৫ টাকা এবং বাকি প্রতিটির জন্য ৫১০ টাকা দিতে হয়।
এখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফি বাড়িয়ে দুই হাজার ৯৩৫ টাকা করেছে এবং রোগীদের এক মাসে চারগুণ এবং বাকি ডায়ালাইসিসের জন্য ৫৩৫ টাকা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
২০১৭ সালে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব প্রকল্পের অধীনে হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার চালু করা হয়েছিল এবং এটি এখন ৩২টি ডায়ালাইসিস মেশিন দিয়ে কাজ করছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, ভারতীয় কোম্পানি স্যান্ডর ১০ বছর এই কেন্দ্রে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। প্রতিষ্ঠানটি এ জন্য সরকারি জায়গা ব্যবহার করবে।
এছাড়া একজন রোগীকে প্রতিবার কিডনি ডায়ালাইসিসের জন্য প্রায় ৩০০০ টাকা দিতে হয়।
আরও পড়ুন: চমেকে কিডনি ডায়ালাইসিসের ফি বৃদ্ধি: সড়ক অবরোধ করে রোগীদের বিক্ষোভ
চমেক হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে রোগীদের বিক্ষোভ
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৪৭ জন
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি। একই সময়ে নতুন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৪৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ১৪ জন
আক্রান্তদের মধ্যে ২৬ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ২১ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩৩৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ১৬১ জন ঢাকার মধ্যে এবং ১৭৭ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় ৩৯ হাজার ২২০ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ২৩ হাজার ১৬২ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৬১ হাজার ৭৬৩ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদের মধ্যে ৩৮ হাজার ৮৮৬ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ২২ হাজার ৮৭৭ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ২৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৮৯
ডেঙ্গু: দেশে আক্রান্ত ৬৫, মৃত্যু নেই
দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসায় ডেঙ্গু রোগীদের মৃত্যু বাড়ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন,দেরি করে চিকিৎসা নিতে আসার কারণে দেশে বেশি ডেঙ্গু রোগী মারা গেছেন।
তিনি বলেন, রোগীরা হাসপাতালে দেরি করে আসছে। দেখা যাচ্ছে রোগী যখন ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে তখন অনেকে মনে করছেন সর্দি জ্বর হচ্ছে। সেটা ভেবে অনেক কালক্ষেপণ করা হচ্ছে, এতে রোগী সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছে। হেমোরেজিক একটা ভাইরাসে আছে ডেঙ্গুর যা ইন্টারনাল ব্লেডিং করে, সেটা শুরু হলে রোগীকে বাঁচানো কষ্ট হয়ে যায়। দেরি করে আসার কারণে অনেক রোগী মারা গেছে। ভর্তি হওয়ার তিনদিনের মধ্যে রোগী মারা গেছে ৭২ শতাংশ। যারা দীর্ঘসময় থাকতে পেরেছে তারা কিন্তু বেঁচে গেছে। যারা আসার তিনদিনের মধ্যে মারা গেছেন তারা সিরিয়াস কন্ডিশনে আসছে। তিনি আরও বলেন, জ্বর হলে পরীক্ষাটা দ্রুত পরীক্ষার ব্যপারে সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন।
সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নেপাল ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগী ও মৃত্যুর হারও বেড়েছিলো। আমরা লক্ষ্য করেছি আশেপাশের দেশগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ দেশগুলোতে ডেঙ্গু বেড়ে গিয়েছিলো। এ পর্যন্ত ৫৮ হাজার ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি। তার মধ্যে ৩৬ হাজারই ঢাকায়,তাও সিটি করপোরেশন এরিয়ায়।
আরও পড়ুন: বিদেশফেরত কর্মীদের এইচআইভি পরীক্ষা করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশেই সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী। সিটি করপোরেশনে লোকও বেশি বাস করে। এখানে অনেক ড্রেনেজ সিস্টেম আছে। অনেক রকমের পানি জমে আছে, সেটাও বেশি। ঘরবাড়িও বেশি, যেখানে আবর্জনা ও পানি জমে থাকে, কনস্ট্রাকশন অনেক বেশি। সব জায়গায় স্প্রে করা প্রয়োজন। স্প্রে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা করে থাকে। এ বছর দেখা গেলো তারপরও মশা অনেক বেড়েছিলো। এতে রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। আমরা বারিধারা থাকি সেখানেও অনেক মশা। সার্বক্ষণিক স্প্রে করলেও দেখি মশা দূর হয় না। সেজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুর জন্য যে চিকিৎসা ব্যবস্থা আমাদের নেয়ার কথা অর্থাৎ হাসপাতালের ব্যবস্থা রাখা, আমরা কিন্তু সেই ব্যবস্থা রেখেছিলাম। হাসপাতাল ডেঙ্গু রোগীতে ভরা ছিলো। প্রত্যেক দিন প্রায় এক হাজার রোগী আমরা পেতাম। সেই এক হাজার রোগীকে আমাদের রাখতে হয়েছে, চিকিৎসা দিতে হয়েছে। কেউই বিনা চিকিৎসায় হাসপাতাল থেকে যায়নি।
জাহিদ মালেক বলেন, আশার বিষয় হলো রোগীর সংখ্যা কমে আসছে। আগে এক হাজার রোগী প্রতিদিন আমরা পেয়েছি, আজ চারশ'রোগী ভর্তি হয়েছে। তাতে অর্ধেরকেরও বেশি কমেছে। মৃত্যুর হারও কমেছে। গতকাল তিনজন মারা গেছে। তার আগে কয়েকদিন কোন মৃত্যু হয়নি। গ্রামে কিন্তু এতো মশা নেই, ঢাকা শহরে এটা বেশি। তাই ঢাকা শহর অন্যান্য সিটি করপোরেশন গুলোতে যদি বেশি নজরদারি করা হয় তাহলে হয়ত আগামিতে ডেঙ্গুর সংখ্যা কমবে।
তিনি বলেন, স্প্রে হয়ত যে পরিমাণ দরকার ছিলো সে পরিমাণ দেয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু তারা যথেষ্ট চেষ্টা করেছে, সেজন্যই ডেঙ্গু কমে এসেছে। আশা করি সামনে ভালো ওষুধ যথা সময়ে দেয়া হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, স্প্রে যথেষ্ট করার পরও যখন মশা এতো বাড়ে তখন অনেক সময় মনে হয় এই ওষুধটা মশার জন্য কার্যকর হয়নি। বা মানুষের শরীরে যেভাবে অ্যান্টিবডি ডেভলপ করেছে, মশারও তেমন অ্যান্টিবডি ডেভলপ করেছে। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর কারণ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে।
আরও পড়ুন: প্রতিবছর ১৩ হাজার নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভেজাল খাবারে দেশ ভরে গেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আরও ২৪ করোনা রোগী শনাক্ত, মৃত্যু নেই
দেশে ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে এ সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৩০জনের। আর শনাক্তের সংখ্যা অদ্যাবধি ২০ লাখ ৩৬ হাজার ৩৬৭জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: দেশে মৃত্যু নেই, শনাক্ত ৩৮
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৭৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্ত হার শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৯৩জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৮৪ হাজার ৭৯৭জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: দেশে মৃত্যু নেই, শনাক্ত ১৮
করোনাভাইরাস: দেশে মৃত্যু নেই,শনাক্ত ১৯
ডেঙ্গু: ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬৮৫
দেশে মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৬৮৫ জন।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ২১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৭৬০
আক্রান্তদের মধ্যে ৩৫৩ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ৩৩২ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই হাজার ৭৫০ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে এক হাজার ৫২৪ জন এবং অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালগুলোতে এক হাজার ২২৬ জন রোগী ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৫১ হাজার ৪৪৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় ৩৩ হাজার ৩৫২ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ১৮ হাজার ৯২ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৪৮ হাজার ৪৭৭ জন ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
এদের মধ্যে ৩১ হাজার ৬৯৯ জন ঢাকার এবং বাকি ১৬ হাজার ৭৭৮ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৭৬৭
ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় ৮ মৃত্যু
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন: শেবাচিম হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসা বঞ্চিত
গত কয়েকদিন ধরে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পাঁচটি ইউনিটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে সমস্যায় পড়ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
জানা যায়, গত তিন দিন ধরে জি ব্লকের ৩ ও ৪ নং সার্জারি ওয়ার্ড, এ ব্লকের ১ নং সার্জারি ওয়ার্ড (পুরুষ) এবং আই ব্লক (চক্ষু) বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। অন্যদিকে রেডিওলজি বিভাগ গত ১৮ দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।
হাসপাতালে আসা এক রোগীর আত্মীয় নাইমুল ইসলাম জানান, ‘ওয়ার্ডে আলো না থাকায় আমরা অন্ধকারে টয়লেটে পর্যন্ত যেতে পারছি না। চরম অসুবিধার মধ্যে রয়েছি আজ কয়েক দিন ধরে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।’
আরেক রোগীর স্বজন আরাফাত হোসেন শাওন বলেন, ‘হাসপাতালে ঠিকমত চিকিৎসা পাই না। তারপরও আসতে হয়। কারণ আমাদের যাওয়ার কোন জায়গা নেই। এখন এখানে বিদ্যুৎ পর্যন্ত নেই। এভাবে মনিটরিং ছাড়া হাসপাতাল চলতে পারে না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একজন নার্স জানান, রাতের অন্ধকারে তারা রোগীদের সঠিকভাবে ইনজেকশন দিতে পারেন না।
আরও পড়ুন: ব্যাপক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার মধ্যেও চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা
ওই নার্স বলেন, ‘আমরা বর্তমানে মোমবাতি ও চার্জার লাইটের সাহায্যে আমাদের কাজ করছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোটি কোটি টাকা খরচ করে গেট নির্মাণ করছে, যা অপ্রয়োজনীয়। বৈদ্যুতিক তারগুলো ঠিক করতে এবং জেনারেটরের মাধ্যমে অবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত করতে অর্থ ব্যয় করা উচিত ছিল।’
ওই নার্স আরও বলেন, গেট নির্মাণ না করে কীভাবে রোগীদের আরও কার্যকরভাবে চিকিৎসা দেয়া যায় তার ওপর জোর দিতে হবে।
বিদ্যুৎ সংকটের ব্যাপারে কথা বলার জন্য হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলামকে ইউএনবির পক্ষ থেকে একাধিকবার কল দিলেও, তিনি রিসিভ করেন নি।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মনিরুজ্জামান শাহিন বলেন, ‘বর্তমানে সার্জারি ওয়ার্ডগুলোতে বিদ্যুৎ নেই। আর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রেডিওলজি বিভাগ। এতে করে সরকারিভাবে পরীক্ষা করানো যাচ্ছে না। চিকিৎসকরা সঠিকভাবে চিকিৎসা দিতে পারছে না। নার্সরাও সেবা দিতে পারছে না। রোগীরা বেকায়দায় রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, হাসপাতালটি ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইন মেরামত করা হয়নি। এজন্য বিভিন্ন স্থান থেকে বিদ্যুতের কেবল নষ্ট হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। ’
আরও পড়ুন: ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন: নসরুল হামিদ
জাতীয় পাওয়ার গ্রিডে বিপর্যয়: দেশের অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
রোগীর প্রেসক্রিপশনে ওষুধের নাম ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
রোগীদের সেবার জন্য অবশ্যই ব্যবস্থাপত্রে (প্রেসক্লিপশন) ওষুধের নাম ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের অবশ্যই রোগীবান্ধব মানসিকতা নিয়ে সেবা দিতে হবে। রোগীদের সেবার জন্য অবশ্যই ব্যবস্থাপত্রে (প্রেসক্লিপশন) ওষুধের নাম ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে। যাতে রোগী ও ফার্মেসির ওষুধ বিক্রেতা সহজেই বুঝতে পারেন। এজন্য আমি আরএস ও আরপিকে নির্দেশনা দিয়েছি। তারা এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে বলে বিশ্বাস করি।’
বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্হিবিভাগ-২ বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে অনলাইন রিপোর্টিং কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথমবারের মত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনে প্রকাশ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে রোগীর স্বাস্থ্যের প্রায় ১০০ ধরণের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়।
বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাসুম আলমের নেতৃত্বে অনলাইন রিপোর্টিং এ সফটওয়ার নির্মাণ করা হয়। এ অনলাইন রিপোর্টিং এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফল স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে রোগীর মোবাইল ও ই-মেইল আইডিতে পৌঁছে যাবে।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউতে এনটি-প্রো বিএনপি পরীক্ষা চালু
এর জন্য রোগীকে পরীক্ষার স্যাম্পল বা নমুনা প্রদানের সময় ছোট একটি ফরমে রোগীর নাম ও ই-মেইল আইডি লিখতে হবে। এ অনলাইন রিপোর্টিং কার্যক্রমের ফলে রোগীকে ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা নিরীক্ষার সেবা প্রদান করা যাবে।
২৪ ঘণ্টার মাঝেই রোগীর স্বাস্থ্য রিপোর্টরে ফল অনলাইনে প্রদান করা সম্ভব হবে।
প্রতিদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সব মিলে নয় হাজার রোগী সেবা নিতে আসেন। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে আট হাজার রোগী প্রতিদিন সেবা নিতে আসত । বর্তমানে আগত রোগীদের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার রোগী বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আসেন। এসব রোগীরা অনলাইনে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফল গ্রহণের মাধ্যমে যেমন তারা সময় বাঁচাতে পারবে তেমনে যাতায়াত ভাড়াও বাঁচাতে পারে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শারফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এ অনলাইন সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের স্বপ্ন যাত্রায় উঠে পড়েছে।
বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন আরেকটি ধাপে উন্নীত হল।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ইতিহাস যোগ হলো।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফল কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে সকল বিভাগে অতি দ্রুত চালু করা হবে।
বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাসুম আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েল বেসিক সাইন্স ও প্যারাক্লিনিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শিরিন তরফদার, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. মতিউর রহমান, অধ্যাপক ডা. ফরহাদুল হক মোল্লা বক্তব্য দেন।
এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও নার্স, কর্মচারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৮৮ শতাংশ করোনা রোগী ওমিক্রনে আক্রান্ত: বিএসএমএমইউ’র জরিপ
বিএসএমএমইউতে আগুন
ডেঙ্গু: একদিনে আরও ৭৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৭৫০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে এ সময়ে কেউ মারা যায়নি।
এদের মধ্যে ৪৯৪ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ২৫৬ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত তিন হাজার ৪১৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে দুই হাজার ২২৪ জন ঢাকার মধ্যে এবং এক হাজার ১৯২ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৩২ হাজার ৭১৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ২৩ হাজার ৮২ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৯ হাজার ৬৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ২৯ হাজার ৪৬৬ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ২০ হাজার ৭৮৯ জন ঢাকার এবং বাকি আট হাজার ৬৭৭ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ১১৮ জনে পৌঁছেছে।
ডেঙ্গু: আরও ৪০৯ জন হাসপাতালে ভর্তি
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে এ সময়ে কেউ মারা যায়নি।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ডেঙ্গু সংক্রান্ত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার ৩০৪ জন এবং ঢাকার বাইরের ১০৫ জন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: মৃত্যু মিছিলে আরও যুক্ত হলো ৩ জন
বুলেটিনে আরও বলা হয়, বর্তমানে সারাদেশে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিন হাজার ২০৭ জন।
এরমধ্যে ঢাকায় দুই হাজার ১৮২ জন। আর ঢাকার বাইরে এক হাজার ২৫ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে মোট ২৯ হাজার ১০৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ঢাকায় ২০ হাজার ৯০৪ জন আর ঢাকার বাইরে আক্রান্ত হন আট হাজার ২০৩ জন আক্রান্ত হন।
এছাড়া একই সময়ে সারাদেশে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ হাজার ৭৯০ জন রোগী। এরমধ্যে ঢাকায় ১৮ হাজার ৬৫৭ জন আর ঢাকার বাইরের সাত হাজার ১৩৩ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন।
এ নিয়ে গত ১ জানুয়ারি থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১১০ জনের।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: মৃত্যু মিছিলে আরও যুক্ত হলো ৪ জন
ডেঙ্গুতে মৃত্যু একশ’ ছাড়াল
বিয়ের আশ্বাসে রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগে চিকিৎসক গ্রেপ্তার
বিয়ের আশ্বাসে এক রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার রাতে নগরীর কাজলশাহ ল্যাবএইড লি. ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ডা. আর কে এস রয়েল সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও সাইকিয়াট্রি বিভাগের প্রধান।
জানা গেছে, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণ মামলা করার পর কোতোয়ালি থানা পুলিশ চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বজিৎ হত্যা মামলা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ।
তিনি বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় ওই তরুণী ওই চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। এসময় চিৎকার করে তরুণী বলেন- ‘আমাকে এ মুহূর্তে আপনার বিয়ে করতে হবে। আমার গর্ভে আপনার সন্তান।’
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী ২০১৮ সাল থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন। একপর্যায়ে ওই তরুণীর প্রতি তিনি আসক্ত হয়ে পড়েন। বিয়ের আশ্বাসে বিভিন্ন সময় তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, ভুক্তভোগীর করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সোমবার বিকালে তাকে আদালতে তোলা হবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: বরিশালে পুলিশের ভুয়া কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জে ইজিবাইক চালক হত্যা: ৩ আসামি গ্রেপ্তার