হাসপাতাল
জেএসডি সভাপতি আবদুর রব হাসপাতালে ভর্তি
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত রব হঠাৎ বেশি অসুস্থ বোধ করায় শুক্রবার রাতে তাকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী তানিয়া রব।
তিনি বলেন, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এপিএম সোহরাবুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে রব চিকিৎসা নিচ্ছেন।
৭৮ বছর বয়সী জেএসডি সভাপতিকে শনিবার সকালে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
গত বছরের জুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা নেন রব।
এদিকে, শনিবার দুপুরে অসুস্থ রবকে দেখতে হাসপাতালে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল বলেন, চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রবকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি তিনি শিগগিরই সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং চলমান আন্দোলনে অবদান রাখবেন।’
তিনি এই প্রবীণ রাজনীতিকের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
বিষাক্ত সেপটিক ট্যাংক: খুলনায় ২ শ্রমিকের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১
খুলনায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাঙ্কে বিষাক্ত গ্যাসে দুই শ্রমিকের মৃত্যু ও একজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার বিকালে খালিশপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের নাম নাজির (২৮) ও সাদ্দাম (৩০)। নিহত ও আহতদের সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল গিয়াস জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শিশুপার্ক এলাকার ১৯ নম্বর সড়কের নির্মাণাধীন ভবনে সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করার জন্য দুজনে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সেফটিক ট্যাংক থেকে ২ শিশুর লাশ উদ্ধার
দীর্ঘক্ষণ কোনো সাড়া না পেয়ে সহকর্মীরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।
ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং ট্যাঙ্ক থেকে আরেকজনকে উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, আহত ব্যক্তি খুলনা মেডিকেল কলেজ (কেএমসিএইচ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশও সেখানে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সেফটিক ট্যাংক পরিষ্কার করার সময় বিস্ফোরণে নওগাঁয় শ্রমিক নিহত
ঠাকুরগাঁওয়ে ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার, হাসপাতাল সিলগালা
ঠাকুরগাঁওয়ের একটি হাসপাতাল থেকে একজন ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
শনিবার দুপুরে পৌর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার ‘আমাদের হাসপাতাল’ নামের এক হাসাপাতাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে ওই হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।
গ্রেপ্তার ভুয়া চিকিৎসকের নাম শরিফুল ইসলাম (৩৯)।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শামছুজ্জামান আসিফ তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
শরিফুল ইসলাম নিজেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বেলঘরিয়া থানার নন্দনপুর আমতলা গ্রামের আমির শেখের ছেলে বলে তথ্য দেয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার দেওয়া ভারতের ঠিকানা যাচাই করা সম্ভব না হয়নি। তবে তার কথা-বার্তায় ধারণা করা হচ্ছে শরিফুল ইসলাম বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের চাপাইনবাবগঞ্জ এলাকার অধিবাসী।
আরও পড়ুন: বরিশালে শেবাচিম হাসপাতাল থেকে ভুয়া চিকিৎসক আটক
জানা যায়, বেশ কিছুদিন যাবত ঠাকুরগাঁওয়ের আমাদের হাসপাতালে জেনারেল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও ব্রেইন স্পাইন নার্ভ বিশেষজ্ঞ হিসেবে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন তিনি। ওই ভুয়া চিকিৎসক তার নেমপ্লেটে ভারতের রাজীব গান্ধী স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জন করেছেন বলে উল্লেখ করেন। সেখানে নাম কিছুটা পাল্টিয়ে ডা. শারিফুল ইসলাম উল্লেখ করে প্রতারণা করে আসছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শামছুজ্জামান আসিফের নেতৃত্বে ঠাকুরগাঁও আনসার ব্যাটালিয়ন-১, পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের পর তাকে আটক করা হয়।
মেডিকেল অফিসার ইফতেখারুল ইসলাম জানান, আটককৃত ব্যক্তির সকল সনদ ভুয়া। তার কাছ থেকে একটি ভারতীয় পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। আটক ভুয়া ডাক্তারের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। তার এসএ সি ও এইসএসসি সনদ ভিন্ন নামে রেজিষ্ট্রেশন করা। তাকে দুই বছরের জেল ও এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ভুয়া দন্ত চিকিৎসককে কারাদণ্ড
৫ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঁচদিন পরীক্ষা ও চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার গুলশানের বাসভবন 'ফিরোজা'তে ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ম্যাডামকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা পর্যালোচনা করে বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন তাকে বাড়িতেই চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, খালেদা জিয়া বিকাল সাড়ে ৪টায় হাসপাতাল ত্যাগ করেন এবং সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে বাসায় পৌঁছান।
হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।
অধ্যাপক জাহিদ হোসেন বলেন, ‘তার কিছু অসুখ ও কিছু উপসর্গ ছিল। এজন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ভর্তির পর চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে দেওয়া চিকিৎসায় তিনি মোটামুটি ভালো সাড়া দিয়েছেন।’
কিছু মেডিকেল টেস্ট ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য গত শনিবার রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনকে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে একটি কেবিনে রাখা হয়েছিল এবং তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়ায় তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকেই বিএনপি চেয়ারপার্সন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি একই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যান। ২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে খালেদা ছয়বার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হন।
গত ১০ জুন তার বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লক থাকায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপার্সন এবং পরদিন একই হাসপাতালে ওই ব্লক অপসারণ করে সেখানে স্টেন্ট বসানো হয়।
ডাক্তাররা তার রক্তনালীতে আরও দুটি ব্লক খুঁজে পেয়েছেন, কিন্তু তার স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণে তারা সেগুরো অপসারণ করতে পারেনি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের 8 ফেব্রুয়ারি একটি নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় খালেদাকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে, একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ২০২০ সালের ২৫মার্চ সরকার তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়, এই শর্তে যে তিনি তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না।
দেশে আরও ৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময়ে ৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে সাত জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকি দুই জন দেশের অন্যান্য জেলার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৭২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ৫৪ জন ঢাকার মধ্যে এবং ১৮ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ৪ মে ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৬২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় ৫৭১ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৪৯১ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৯৭৯ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদের মধ্যে ৫০৯ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৪৭০ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ জন।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, আক্রান্ত ২৭
হাসপাতাল থেকে ৫ দিন পর বৃহস্পতিবার বিকালে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া পাঁচ দিনের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে নিজ বাসভবনে ফিরবেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, ‘আজ বিকাল ৩টার পর গুলশানের বাসভবনের উদ্দেশে হাসপাতাল ছাড়বেন খালেদা জিয়া।’
কিছু মেডিকেল পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য শনিবার রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
তার মেডিকেল টিমের সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে কেবিনে রাখা হয়েছে এবং মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়ায় তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে সরকার: খসরু
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
এর আগে ৬ এপ্রিল তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একই হাসপাতালে যান।
সর্বশেষ গত বছরের ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি, যেখানে তার লিভার সিরোসিস রোগ ধরা পড়ে।
লিভার সিরোসিসের কারণে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের কারণে ৮১ দিন হাসপাতালে থাকার পর গত ১ ফেব্রুয়ারি তিনি বাসায় ফেরেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা চায় না খালেদা জিয়া মুক্তি পাক: তথ্যমন্ত্রী
খুলনাঞ্চলে দফায় দফায় বাড়ছে গো-খাদ্যের দাম
খুলনাঞ্চলে দফায় দফায় গো-খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন খামারিরা। খাদ্যের এ দাম না কমলে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হবে তাদের।
আসাদুজ্জামান মঈন কাঠ ফাটা রোদ্রে শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের খেলার মাঠ থেকে ঘাস সংগ্রহ করছেন গরুর খাবারের জন্য। গরমে ঘাম ঝরছে শরীর থেকে, তারপরও ঘাস কাটছেন আর কিছুক্ষণ পর পর কপাল মুছে ঘাম সরিয়ে ফেলছেন।
কথা বলতেই তিনি বললেন, ভাই গো-খাদ্যের দাম বাড়ছে, প্রতি সপ্তাহে বাজারে গেলে শোনা যায় দাম বাড়ছে। এখন আর আগের মতো ফাঁকা মাঠে, বিলে লম্বা ঘাস পাওয়া যায় না।
আরও পড়ুন: গরু কিনে ‘ডিজিটাল পশুর হাট’ উদ্বোধন করলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
চট্টগ্রামে এবার গরু ফ্যাশন শো!
তিনি আরও বলেন, গো-খাদ্যের যোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। যে কারণে বিকল্প খাদ্য হিসেবে ঘাসের সন্ধানে নেমেছি। ঘাস কাটার সময়ে শরীরে প্রচণ্ড গরম অনুভূত হয়।
আগের মতো এখন ঘাস দেখা যায় না। এই জায়গায় কিছু ঘাস আছে, তবে ছোট ছোট ঘাস যতটুকু পারি গরুর পেটে একটু খাবার যোগান দিতে পারব।
এছাড়া এখন বাজারে ৩৭ কেজির দেশি গমের ভুসি বস্তাপ্রতি এক হাজার ৯০০ থেকে এক হাজার ৯৫০ টাকা, ৫০ কেজির ধানের গুড়া বস্তাপ্রতি ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, ৩৭ কেজির সরিষার খৈল বস্তাপ্রতি এক হাজার ৪৫০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা, ২৫ কেজির দানাদার ফিড বস্তাপ্রতি এক হাজার ৩৮০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া সয়াবিন খৈলের এক কেজির দাম ৮৫ টাকা, পাশপাশি বিছালি এক মুঠি দাম আট টাকা পরিবহন খরচ বাদে।
খামারি মো. রিয়াদ হোসেন বলেন, আমাদের আগে পাঁচটি গরু ছিল, এখন মাত্র তিনটি গরু আছে। দুটি গরু আসন্ন কুরবানি ঈদে বিক্রি করব। তারপর আর মনে হয় গরুর খামারের ব্যবসা করা হবে না। একটি বড় জাতের সবল পুরুষ গরু প্রতিদিন ২০০ টাকার খাবার খায়।
তিনি আরও বলেন যে নিজেদের পরিশ্রম করাসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে এখন খামারিরা খুবই লোকসানে আছে। যেসব খামারিদের দীর্ঘদিন যাবৎ গরুর খামার ছিল, তারাও এখন এই খামারি ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার মতো পর্যায়ে চলে এসেছে।
দুধের ও মাংসের দাম বাড়লেও খামারিরা খুব একটা লাভজনক অবস্থানে নেই। এভাবে চলতে থাকলে, সপ্তাহে সপ্তাহে দাম বাড়লে দেশীয় গরুর খামার এক সময় হারিয়ে যেতে পারে।
এখন আগের মতো গরু চড়ানোর বড় মাঠ আর ঘাস নেই। সব খাবার ক্রয় করে গরুর সামনে দিতে হয়।
এ ব্যাপারে খুলনা জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে কর্মকর্তা ডা. অরুণ কান্তি মন্ডল বলেন, গো-খাদ্যের দাম বেড়েই চলেছে। এখানে সরকারিভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। মূলত কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এসব কারসাজি করছে। আর বিপদে পড়ছে গরিব খামারিরা।
তিনি আরও বলেন, আমার জানা মতে ভুট্টার দাম কিছু বেড়েছে, সেই সঙ্গে সয়াবিনের খৈলেরও। আমরা সরকারিভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খামারিদের আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছি। বর্তমানে এক ধরনের ঘাস আছে যার নাম পাংচুন ঘাস। এই ঘাস দুই থেকে তিন ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এক শতাংশ জমিতে বছরে প্রায় দুই হাজার কেজি ঘাস জন্ম হয়। এই ঘাস গরুদের খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে। এখন এই ঘাস আড়ংঘাটা শাহাপুর এলাকায় দেখা যায়। আমার পরামর্শ, এই ঘাস চাষ করলে খামারিরা বিকল্প খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। তাতে খরচ অনেক কমাতে পারবে।
আরও পড়ুন: ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে গরুকে আলিঙ্গন করার আবেদন প্রত্যাহার করল ভারত
মেঘনায় গরুবাহী ট্রলারে ডাকাতি, ৩০ লাখ টাকা লুট!
শেরপুর জেলা কারাগারের হাজতির মৃত্যু
শেরপুর জেলা কারাগারের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকাল আটটার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টার দিকে তিনি মারা যান।
হাজতি মো. আল আমিন (২৫) নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নের লয়খা গ্রামের মো. শরাফত আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
তিনি মারধর ও হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় প্রায় দুই মাস ২০ দিন ধরে কারাগারে বন্দি ছিলেন।
জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার আবদুস সেলিম হাজতি মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতাল ও জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে হাজতি আল আমিন জেলা কারাগারে আটক ছিল। তার হাজতি নং ৪৫৪/২৩।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে কারাগারের ভেতরে আল আমিন হাটাহাটি করার সময় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় অসুস্থ হয়ে পড়লে কারারক্ষীরা তাকে চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টার দিকে হাজতি আল আমিন হাসপাতালের বিছানায় মারা যায়।
এ ঘটনায় শেরপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম রাসেলের উপস্থিতিতে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মেহেদী হাজতি আল আমিনের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
ময়নাতদন্ত শেষে বিকালে পরিবারের সদস্যদের নিকট তার লাশ হস্তান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) খাইরুল কবীর সুমন বলেন, ওই যুবকের সম্ভবত হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। তাকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। হাসপাতালে আনার কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
পঞ্চগড়ে আন্তর্জাতিক মানের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মিত হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও প্রতিবেশি দেশগুলোর মানুষকে উন্নতমানের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে পঞ্চগড়ে নির্মিত হচ্ছে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ।
শনিবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার দাড়িয়াপাড়া এলাকায় আন্তর্জাতিক মানের নর্থ পয়েন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও নির্মাণকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানী থেকে তৃণমূল পর্যায় অর্থাৎ, গ্রাম পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবাকে বিস্তৃত করেছেন। এখন দেশের অনেক জেলায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে এবং নতুন করে নির্মিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
এছাড়া সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ও দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট সকলে মেডিকেল শিক্ষা, চিকিৎসা, সেবাদান ও গবেষণা কার্যক্রমে আরও গতিশীল ও উন্নতকরণের মাধ্যমে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থাকে তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, যা জাতীয় পর্যায়ের হাসপাতাল থেকে কমিউনিটি ক্লিনিক ও গ্রামীণ স্বাস্থ্যকর্মী পর্যন্ত বিস্তৃত।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, উপজেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা চালু করা হয়েছে। ফলে দেশের আপামর জনগণের প্রয়োজনীয় মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি সহজতর হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, দেশে ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে ইতোমধ্যে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিনিয়োগের প্রধান বাধাগুলো চিহ্নিতকরণ এবং দূর করে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো চেষ্টা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় শিল্পনীতিও বিনিয়োগবান্ধব করা হয়েছে।
এছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল সংরক্ষণ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো কৃষিপ্রধান হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় কৃষিভিত্তিক শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগের অন্যতম গন্তব্যস্থল হতে পারে জানিয়ে এ লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, এসব জেলায় উৎপাদিত খাদ্যপণ্য সারাদেশে সরবরাহ করার পাশাপাশি রপ্তানি করা হয়।
এছাড়া পঞ্চগড়ে এখন প্রচুর চা উৎপাদন হচ্ছে এবং বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে।
তিনি আরও বলেন, সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে বাংলাদেশ ও প্রতিবেশি দেশগুলোর জনসাধারণের উন্নত মানের সেবা দেয়ার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মানের টারশিয়ারি কেয়ার এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
এছাড়া এই অঞ্চলে এতো বড় একটি হাসপাতালে নির্মাণ করায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান টিপু মুনশি।
আরও পড়ুন: টিসিবির কাজের অসঙ্গতি দূর করতে ১ কোটি পরিবারকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি শিগগিরই: বাণিজ্যমন্ত্রী
দেশে আরও ৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময়ে তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে একজন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি দুইজন ঢাকার বাইরের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে আটজন ঢাকার মধ্যে এবং সাতজন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ০১ জানুয়ারি থেকে ০২ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৮৫০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৪২৭ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৪২৩ জন।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৮২৬ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ৪১৩ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৪১৩ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত
দেশে ডেঙ্গুতে শনাক্ত ও মৃত্যুশূন্য