কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে ৬ দিন ধরে দেখা নেই সূর্যের
কুড়িগ্রামে কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ।
এদিকে কুড়িগ্রামে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: ঠান্ডা-শীতে কাবু চাঁদপুর, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ
কনকনে ঠান্ডায় কাজে বের হতে পারছে না মানুষ। বৃষ্টির ফোঁটার মতো পড়ছে কুয়াশা। এই ঠান্ডায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সকালে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা।
জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চার শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। কনকনে ঠান্ডায় শীত নিবারণের জন্য তারা খড়কুটো জ্বালাচ্ছেন।
এছাড়া কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে মাঠে কাজ করছেন অনেক কৃষকেরা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত
সারাদিন আকাশ কুয়াশায় ঢাকা। সূর্যের আলো ছড়াতে না পারায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। গত ছয় দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। এ অবস্থায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা কাছাকাছি চলে আসায় দিনভর ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের রিকশাচালক তাজুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন থেকে খুব ঠান্ডা। মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। শহরে লোকজনও অনেক কম, রিকশার যাত্রীও হচ্ছে না। শীতের কারণে আমরাও বিপদে পড়েছি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা, চলতি মাসে ২ শিশুর মৃত্যু
আদর্শ পৌর বাজারের ব্যবসায়ী কাশেম আলী বলেন, আজ সাত, আট দিন থেকে ঠান্ডার মাত্রা বাড়ায় বাজারে লোকসমাগম অনেক কমে গেছে। আমাদের বিক্রিও অনেক কম। খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া তো মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না।
এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ- শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও সর্দি-কাশি।
হালখাতা করেও ধারের অর্ধেকের বেশি টাকা ওঠেনি শিক্ষকের
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় এম এ এম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল আউয়াল বন্ধুদের দেওয়া ধারের টাকা সময়মতো তুলতে না পেরে হালখাতার আয়োজন করেন। এই হালখাতার দিন ঠিক করে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পাওনাদারদের চিঠি দেন। সেই চিঠিতে দেওয়া নির্ধারিত দিন গতকাল শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে হালখাতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হালখাতার আয়োজনে কোনো প্রকার কমতি ছিল না। আন্ধারীঝাড় বাজারের সিঙ্গাড়া হটস্পট নামের একটি দোকানে আয়োজন করা হয় এই হালখাতা। এ উপলক্ষে রঙিন কাগজ দিয়ে সাজানো হয় দোকানটি। ছিল চেয়ার-টেবিল, টাকার বাক্সের সামনে সাঁটানো হয় শুভ হালখাতার ব্যানার।
ধারের টাকা পরিশোধে আসা ব্যক্তিদের আপ্যায়ণ করা হয় মাংস বিরিয়ানি দিয়ে। প্যাকেটে করে সবাইকে তা দেওয়া হয়। কেউ খেয়ে গেছেন, আবার কেউ নিয়ে গেছেন।
যারা টাকা পরিশোধ করেছেন তাদের নাম খাতা থেকে কাটা হয়েছে। এদিকে, টাকা যারা ধার নিয়েছিলেন তারা বাদেও পুরো বিষয় দেখতে ভিড় করেন স্থানীয়রা। খোঁজখবর নেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা
হালখাতায় টাকা পরিশোধ করতে আসা সোলাইমান ইসলাম বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে শিক্ষক আউয়ালের কাছে ৩ হাজার টাকা হাওলাত নিয়েছিলাম। হালখাতার চিঠি পেয়ে প্রথমে হতভম্ব হলেও আজ হালখাতা করলাম। বিরিয়ানি খেয়ে ধারের টাকা পরিশোধ করেছি।’
জব্বার মিয়া নামে আরেকজন বলেন, ‘সাড়ে ৬ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলাম কয়েক মাস আগে। আজ হালখাতায় পরিশোধ করলাম। বিষয়টা ভালো লেগেছে। এতে ঋণমুক্ত হলাম।’
একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আনোয়ারুল হক বলেন, ‘আউয়ালের মন অনেক বড়। তিনি বন্ধু-বান্ধবদের টাকা ধার দিয়ে আনন্দ পান। সেই টাকা তোলার জন্য আজ হালখাতার আয়োজন করেছেন। বিষয়টি নেগেটিভলি না নিয়ে পজেটিভলি নেওয়া দরকার। কারণ, ধার নিয়ে মানুষ এখন দিতে চায় না। সেটা তোলার জন্য এই ব্যতিক্রমী আয়োজন করায় তাকে ধন্যবাদ।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা
কুড়িগ্রামে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা
উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জন-জীবন।
গত মঙ্গলবার থেকে জেলায় দেখা মিলছে না সূর্যের। দিন ও রাতে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা।
শুক্রবার (১২জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, ঠান্ডার প্রকোপে কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সর্দি, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত নানান রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা।
শীতের রোগীর কারণে বাড়তি চাপ সামলাতে দেখা যায় হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকদের। শয্যা সংকটে হাসপাতালের মেঝেতেও চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সূর্যের দেখা মেলেনি ২ দিন, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৭ জনসহ শিশু বিভাগে শীতজনিত রোগে মোট ৬২ জন ও ডায়রিয়া বিভাগে নতুন ৩১ জনসহ মোট ৫৯ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
শিশু বিভাগে চিকিৎসা নেওয়া অভিভাবক মো. ফরিদ শেখ বলেন, ‘আমার দেড় বছরের বাচ্চাটা গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে সর্দি বের হচ্ছে ও বমি করছে। সকালে হাসপাতালে নিয়ে আসলাম, চিকিৎসা চলছে।’
আরেক অভিভাবক লিপি বেগম বলেন, ‘গতকাল বিকালে হাসপাতালে আসছি। ঠান্ডার কারণে বাচ্চাটার জ্বর-সর্দি । কয়েকদিন থেকে ঠাণ্ডার প্রকোপ একটু বেশি।’
হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স মোছা. জুলেখা বেগম বলেন, ‘গত ৩ দিনে হাসপাতালের শিশু বিভাগে আর ডায়রিয়া ওর্য়াডে নতুন অনেক রোগী ভর্তি রয়েছেন। ঠান্ডার কারণে রোগ বাড়ায় আমাদের প্রতিদিন রোগীর চাপ সামলাতে হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীনুর রহমান সরদার বলেন, ‘এ জেলাটি হিমালয়ের কাছে হওয়ায় এখানে ঠান্ডার প্রকোপ একটু বেশি। হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিতে আসছেন অধিকাংশই চরাঞ্চলের মানুষ।’
সরকারিভাবে ১ মাস আগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও সেটি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম বলে জানান সাধারণ মানুষ। তারা গরম পোশাকের অভাবে সড়কের পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
জেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, ঘন কুয়াশার এ দাপট আরও ২-৩ দিন অব্যাহত থাকবে। যার ফলে সূর্যের দেখা পাওয়া কষ্টকর হবে। আগামী সপ্তাহে একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।
জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, ‘ইতোমধ্যে জেলার ৯ উপজেলায় ৪২ হাজারের বেশি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আপাতত আমাদের কাছে কোনো মজুত নেই। আমরা ৩০ হাজার কম্বলের চাহিদা পাঠিয়েছি।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশার দাপট কিছুটা কমলেও অনুভূত হাড় কাঁপানো শীত
কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। রাতে বৃষ্টির ফোঁটার মতো পড়ছে কুয়াশা।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ১০টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের।
এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত ঠাণ্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে সময়মতো কাজে বের হতে পাড়ছেন না।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকাল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হতে থাকে।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের বানিয়া পাড়া এলাকার হাফিজুদ্দি বলেন, ‘ঠাণ্ডায় আমার অবস্থা শেষ। হাতে টাকা-পয়সা নাই, শীতের কাপড় কিনতে পারি নাই। মানুষ একটা জ্যাকেট দিছে সেটা দিয়ে একটু ঠাণ্ডা কমেছে।’
একই এলাকার মান্নান মিয়া বলেন, ‘আজ কুয়াশা কম কিন্তু সেই ঠাণ্ডা। হাত-পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না। বাতাস কাবু করে ফেলছে।’
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল বাতেন সরকার বলেন, ‘কিছুদিন আগে মাদরাসার ছাত্রদের জন্য ২০০ কম্বল পেয়েছি, তা বিতরণ করা হয়েছে। আর কোনো শীতবস্ত্র পাইনি। তবে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘এইরকম তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন থাকবে। তবে এ মাসের মধ্যে আরও একটি শৈত্য প্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।’
কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যু
কুড়িগ্রামের উলিপুরে গাছের ডাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবলু মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার পৌর শহরের রামদাস ধনীরাম বলদিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে সাইনবোর্ড লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু, আহত-২
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টায় গাছের ডাল কাটার জন্য গাছে উঠেন বাবলু মিয়া। ডাল কাটার সময় অসাবধানবশত ডালটি বিদ্যুতের তারে গিয়ে পড়ে। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা বলে চিৎকার দেন বাবলু মিয়া।
চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এসে দেখতে পায় বাবলু মিয়া বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গাছের ডালে ঝুলছিলেন। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত ২
উলিপুর পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের এজিএম চিরেন্দ্রনাথ রায় জানান, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। ডাল কাটার আগে যদি আমাদের জানাতেন তাহলে কিছুক্ষণের জন্য সঞ্চালন লাইনটি আমরা বন্ধ করে রাখতে পারতাম।
উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তূজা বলেন, এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে এবং স্বজনদের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশার দাপট কিছুটা কমলেও অনুভূত হাড় কাঁপানো শীত
পৌষের শেষ ১০ দিন চলছে। ঘন কুয়াশার দাপট কিছুটা কম থাকলেও হাড় কাঁপানো শীতে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন পড়েছেন বিপাকে।
আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থায় শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে সময়মতো কাজে বের হতে পারছেন না।
গত কয়েকদিন ধরেই বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকাল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হচ্ছে। এ অবস্থায় খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেককে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রিতে নামায় দুর্ভোগে খেটে খাওয়া মানুষ
উলিপুর উপজেলা বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের রহিম মিয়া বলেন, ‘যতই শীত ও কুয়াশা হোক না কেন খড়ি নিয়ে প্রতিদিন হেঁটে শহরে আসতে হয় আমার। কারণ বিক্রি করতে না পারলে আমার সমস্যা। বর্তমানে ঠাণ্ডার কারণে যাওয়া আসাটা একটু কষ্ট হইছে।’
জেলার ধরলা ব্রিজ এলাকার অটোরিকশা চালক সুজন বলেন, ‘আজ কুয়াশা কম, সূর্যের দেখাও মিলছে। রোদ উঠলেও ঠাণ্ডা খুব বেশি মনে হচ্ছে আজ। হাত-পা বরফ হওয়ার মতো অবস্থা।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ রকম তাপমাত্রা আরও দুই-একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: শীত ও কুয়াশায় কাঁপছে কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা কমে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
শীত ও কুয়াশায় কাঁপছে কুড়িগ্রাম
ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠাণ্ডায় কাঁপছে কুড়িগ্রামের মানুষ। বুধবার (৩ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মঙ্গলবারের তুলনায় ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা কম।
দেখা গেছে, উত্তরীয় হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে ঠাণ্ডার মাত্রা। এদিকে ঘন কুয়াশা থাকায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে যান চলাচলে। দিনের বেলায় সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে যাতায়াত করতে দেখা গেছে।
বুধবার সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা তাপমাত্রা ঠিক থাকলে রাতে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে বলে জানায় কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস।
দুদিন থেকে উত্তরীয় হিমেল বাতাসে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছে জেলার ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার বাসিন্দারা। আর রাতে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা।
সকালে কাজের সন্ধানে ছুটে চলা মানুষজন পড়ছে চরম ভোগান্তির মুখে। তীব্র ঠাণ্ডায় সবজি খেত ও বীজতলা নষ্ট হওয়ার দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের শ্রমিক আহসান হাবীব বলেন, দুইদিন থেকে খুব ঠাণ্ডা। সকালে সাইকেল চালানো যাচ্ছে না। ঠাণ্ডায় হাত পা বরফ হয়ে যায়।
জহুরুল নামের একজন বলেন, শীতকালে আমাদের মতো মানুষের খুব কষ্ট। কারণ মানুষ ঘুম থেকে না উঠতেই আমাদের মাঠে যেতে হয়। ঠাণ্ডায় মাঠে কাজ করা অনেক সমস্যা। কিন্তু করার কিছু নেই। কাজ না করলে তো আর জীবন চলবে না।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাতে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে বলে জানান তিনি। শৈত্যপ্রবাহ কবে নাগাদ হতে পারে তা দুপুরের মধ্যে জানানো যাবে।
কুড়িগ্রামে এক যুগ পর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামে এক যুগ পর দস্যুতা মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হামিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
হামিদুল ইসলামের বাড়ি রাজারহাট উপজেলার মীরেরবাড়ি বিশবাড়ি পাঙ্গা এলাকায়।
দস্যুতা ও মাদকসহ ঢাকা, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে তার নামে চারটি মামলা রয়েছে।
জানা যায়, লালমনিরহাট জেলায় ২০১২ সালে দস্যুতার মামলা রুজু হয়। জামিন নেওয়ার পর থেকে তিনি পলাতক ছিল। পলাতক থাকায় ২০২০ সালের প্রথম দিকে আসামির অনুপস্থিতিতে পাঁচ বছরের সাজা দেন আদালত। ওই আসামি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় অবস্থান করে আত্নগোপন করে। অবশেষে এক যুগ পর শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান জানান, লালমনিরহাট জেলায় ২০১২ সালের একটি দস্যুতা মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হামিদুলকে ওয়ারেন্ট মূলে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার রাতে রাজারহাট একতা বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রদলের সভাপতি গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামে হারিয়ে যাওয়া শিশু ফিরে পেল পরিবার
কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রদলের সভাপতি গ্রেপ্তার
নাশকতার মামলায় কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. আমিমুল ইহছানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান।
এর আগে পৌর শহরের সিএন্ডবি মোড় এলাকা থেকে সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে সদর থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আমিমুল ইহছান। ওই মামলায় অজ্ঞাতসহ আরও ১০০-১৫০ জন আসামি রয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে লিফলেট বিতরণকালে বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান জোবায়ের হিমেল বলেন, সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে প্রতিদিন পুলিশের হাতে নেতা-কর্মীরা আটক হচ্ছে। তার নামে কোন মামলা নেই।
ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাশকতার সঙ্গে জড়িত কিনা তদন্ত সাপেক্ষে জানাবো।
শনিবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন ওসি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নাশকতার মামলায় বিএনপির ২ নেতা গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামে নাশকতার মামলায় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
নাশকতার মামলায় কুড়িগ্রাম জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুর খালেক ময়নাকে গ্রেপ্তার করেছে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ।
পৌর শহরের জিয়া বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে সদর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়। সেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নুর খালেক।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ স্থানীয় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান।
ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় একজন গ্রেপ্তার রয়েছে। আগামীকাল শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে কুড়িগ্রাম যুবদলের সভাপতি মো. রায়হান কবিরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর কনস্টেবল হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
রাজধানীতে চার সহযোগীসহ যুবদল নেতা গ্রেপ্তার