কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে এক মাস ধরে বিদ্যুৎবিহীন ৮ হাজার গ্রাহক
কুড়িগ্রামের নারায়ণপুর ও যাত্রাপুর ইউনিয়নে প্রায় এক মাস ধরে বিদ্যুৎবিহীন আছেন পল্লী বিদ্যুতের আট হাজার গ্রাহক।
সংযোগ থাকলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সাংসারিক কাজকর্ম ও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বিঘ্নিত হচ্ছে। এসব মানুষের বাড়িতে কুপিই (বাতি) এখন শেষ ভরসা।
কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, নাগেশ্বরীর মাদারগঞ্জ এলাকা থেকে চরাঞ্চলের দিকে স্থাপিত সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এতে নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়ণপুর এবং সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ক্যাবলে ত্রুটি চিহ্নিত করার কাজ চলছে। তবে নদীর পানি বাড়তে থাকায় মেরামতকাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন অফিস।
আরও পড়ুন: তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ নারায়ণগঞ্জের জনজীবন
নারায়ণপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. আব্দুল মালেক বলেন, গত এক মাস ধরে আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ না থাকায় আমরা খুবই ভোগান্তিতে পড়ছি। দোকানপাটে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছি না। সন্তানদের লেখাপড়ায় খুবই সমস্যা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. নুর ইসলাম বলেন, বিদ্যুতের কারণে সেচপাম্প বন্ধ। ধানখেতে পানি দিতে শ্যালো মেশিন সেট করছে অনেকে। এ ছাড়া, একটি মোবাইল চার্জ দিতে যেতে হয় সোলারের দোকান কিংবা জেনারেটরে। এসব জায়গায় মোবাইল চার্জ দিতে ২০-৩০ টাকা লাগে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, কুড়িগ্রামের জেনারেল ম্যানেজার মো. মহিতুল ইসলাম বলেন, সাবমেরিন ভূগর্ভস্থ লাইনে ত্রুটি থাকার কারণে এমন পরিস্থিতি হয়েছে। আমরা ত্রুটি শনাক্তের চেষ্টা করছি। নদীতে পানি বাড়ার কারণে কাজ দুদিন বন্ধ ছিল। আমারা আশা করছি পরশু থেকে আবারও কাজ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে তীব্র লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ
বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় আবারও বাড়ছে লোডশেডিং
কুড়িগ্রামে পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল ২ শিশুর
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকালে উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের খুলিয়াতারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: খুলনার রূপসায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
নিহতরা হলো- ওই উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের মেদনী কিতাব খাঁ গ্রামের সোলাইমান আলীর মেয়ে সোহানা আক্তার (৭) এবং খুলিয়াতারী গ্রামের রিপন মিয়ার মেয়ে রোকসানা আকতার (৮)।
উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুস ছালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, খেলার ছলে ওই ২ শিশু সবার অগোচরে বাড়ির সামনের পুকুরে গোসল করতে গিয়ে ডুবে যায়। পরে তাদের কোথাও খুঁজে না পেয়ে এক শিশুর মা আশেপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে কোথাও না পেয়ে তিনি তার বাড়ির সামনের পুকুরে শিশু দু’টির লাশ ভাসতে দেখেন। এ সময় তিনি চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা এসে পুকুর থেকে সোহানা ও রোকসানার লাশ উদ্ধার করেন।
রাজারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হীল জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘গোসল করতে গিয়ে পুকুরে ডুবে ২ মেয়েশিশুর মৃত্যু হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে আছি।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নদীতে ডুবে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার
চাঁদপুরে পানিতে ডুবে যুবকের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে নদীতে ডুবে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নে নদীতে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকালে ওই ইউনিয়নের ফকিরের হাট এলাকা থেকে প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ৪ দিন পর অটোচালকের লাশ উদ্ধার
নিহত কৃষকের নাম আব্দুস শফি (৭০)। তিনি ফকিরের টাড়ী গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানায়, ফকিরের টাড়ী গ্রামের আব্দুস শাফি সারাদিন আমন ধান খেতে নিড়ানির কাজ শেষে ঘাসের বোঝা নিয়ে ফকিরের হাট বাজারের দক্ষিণের ব্রিজের পাশ দিয়ে সঁতার খাওয়া নদী সাঁতরে পার হওয়ার চেষ্টা করেন।
এসময় তিনি পানিতে ডুবে নিখোঁজ হন। কিছুক্ষণ পর ওই কৃষক ভেসে না উঠায় এলাকায় হই-চই পড়ে যায়। প্রথমে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন।
পরে সংবাদ পেয়ে নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর তার লাশ উদ্ধার করে।
নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো. ইমন মিয়া বলেন, নিখোঁজ কৃষকের লাশ সকালে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নাগেশ্বরী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। খোঁজ খবর নিয়ে পরে জানাতে পারব।’
আরও পড়ুন: ঢাবি হল থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারের হোটেল থেকে আ.লীগ নেতার লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে
কুড়িগ্রামে সবক'টি নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভাঙন। বিশেষ করে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীর ভাঙনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এছাড়া, হুমকিতে রয়েছে খিতাব খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুল থেকে ৩০ থেকে ৩৫ মিটার দূরে অবস্থান করছে নদী। মাঝে একটি আঁকাবাঁকা রাস্তা, রাস্তার ধারে কিছু গাছপালা।
যে কোনো মুহূর্তে তিস্তা হিংস্র হয়ে উঠলে বিদ্যালয়টির অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। একই অবস্থা ওই ইউনিয়নের গতিয়াশাম কমিউনিটি ক্লিনিকের।
আরও পড়ুন: বিপদসীমার ২৮ সেমি ওপরে তিস্তার পানি
সরেজমিনে দেখা গেছে, তিস্তা নদীতে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন তীব্র হয়ে উঠেছে। গত ৩ মাস ধরে দফায় দফায় ভাঙছে তিস্তা।
এরমধ্যে শুধু খিতাবখাঁ গ্রামেই ইসমাইল হোসেন, রসুল, মোস্তাক, কদিমল, হাসেন আলী, ইউসুফ, দুলাল, আব্দুর রহিম, বালো, কছো মামুদ মমিন, হারুন, আবুল, আ. ছাত্তার, রফিকুল, অতুর আলী, রুস্তম, রফিকুল, আবুল হোসেন, মসুল, নুর ইসলাম, ফয়েজ, মাহাম্মদ, আবেদ, শফিকুল ইসলামসহ ৩০টি পরিবারের ভিটে মাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অন্যান্য ৪টি গ্রামসহ এর সংখ্যা ৫০-এর উপরে।
উপজেলার ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ, গতিয়াশাম ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চতুরা, রামহরি এবং কালিরহাট গ্রামে শত শত একর ফসলি জমি ও গাছপালা গিলে খাচ্ছে তিস্তা নদী। বাড়িঘর হারিয়ে তাদের অনেকেই খোলা আকাশের নীচে মানবেতর দিনাতিপাত করছেন। এই গ্রামের অনেকে আবার মাঝেরচর নামক স্থানে নতুন বসতি স্থাপনের কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: তিস্তার ভাঙন: গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে শতাধিক পরিবার গৃহহীন
কুড়িগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানার সুভারকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে চলছে পাঠদান ও শিক্ষা কার্যক্রম। এতে দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন বিদ্যালয়টির পলেস্তার খসে পড়া ছাদের নিচে পাঠদান চলছে। প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়েই সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকেন অভিভাবকরাও। বিদ্যালয়টি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৪৪ সালে সুভারকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বর্তমানে ২৭৫ জন ছাত্র ছাত্রী ও ৫ জন শিক্ষক রয়েছে স্কুলটি। প্রতি বছর এই বিদ্যালয় থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পেয়ে থাকে। সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ছাদের পলেস্তার খসে পড়া ও ছাদের বিমসহ বেশ কিছু স্থানে ফাটল।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: খুবি ও খুকৃবিতে রবিবার সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা
বিদ্যালয়টি ২০০১ সালে পূর্ণ নির্মাণ করে দ্বিতল ভবন করা হয়। গত ২ থেকে ৩ বছর আগে ভবনটির ৩ কক্ষের ছাদের বিম, ছাদ ও দেয়ালে ফাটল ধরে এবং ছাদের পলেস্তার খসে পড়ে। তখন থেকে ক্লাস চললেও সমাধানের ব্যবস্থা হয় নাই বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ।
সুভারকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আগে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ রুমে পড়াশোনা করেছিলাম। পরে স্যারেরা এ রুম থেকে অন্য রুমে আমাদের ক্লাস নিচ্ছে। দ্রুত সমস্যা সমাধান না করলে যে কোন মুহূর্তে দুঘর্টনা ঘটতে পারে।
সুভারকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খন্দকার তানজিনা মমতাজ জানান, ভবনটির ছাদের বিম, ছাদ ও ওয়ালে ফাটল ধরেছে এবং ছাদের পলেস্তার খসে পরেছে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। যদি এই সমস্যার সমাধান না করা হয় তাহলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার ছাত্র ছাত্রীদের আলাদা রুমে ক্লাস নিচ্ছি। তবে লাইব্রেরি আর পাশের রুমের অবস্থাও খুব খারাপ।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার এন. এম. শরীফুল ইসলাম খন্দকার বলেন, চলতি মাসের ২৩ তারিখে আমাদের মাসিক মিটিং আছে। সেই মিটিং এ সবার সম্মতি নিয়ে নতুন বিল্ডিং এর জন্য ঢাকায় রিপোর্ট পাঠাবো।
কুড়িগ্রাম সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মো. রাসেদুল হাসান বলেন,আমরা ইতোমধ্যেই ওই বিদ্যালয়ের তালিকা উপজেলা এলজিইডি অফিস পাঠিয়েছি। তারা যাচাই বাছাই করেতেছে। রিপোর্ট দিলে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর রিপোর্ট পাঠাবো।
আরও পড়ুন: সব বাধা পেরিয়ে শুরু হচ্ছে চাঁবিপ্রবির শিক্ষা কার্যক্রম
কুড়িগ্রামে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে ২ বানর
কুড়িগ্রামে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে চলে এসেছে দুটি বানর। বানর দুটি দেখে ভয় ও আতঙ্কে আছে এলাকাবাসী। অন্যদিকে টিনের চাল,ঘরের সানসেটে, গাছের ডালে দাপিয়ে বেড়া বানর দুটিকে দেখতে উৎসুক জনতার ভীড় করছে। তবে কেউ বলতে পারছে না বানর দুটি কোন জায়গা থেকে এসেছে।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে কুড়িগ্রাম পৌর শহরের পলাশবাড়ী পাঠান এলাকায় বানর দুটি দেখে এলাকাবাসী।
ওই এলাকার বাসিন্দা মো. আলমগীর হোসেন বলেন,সকালে হঠাৎ আমার সুপারি বাগানে পাশাপাশি দুটি বানর চোখে পড়ে।বিভিন্ন গাছে পাতা ধরে টিনের চালে হাঁটাহাঁটি করছে।কখনো ঘরের সানসেটে বসে থাকছে।এর আগে বানর দুটি আমাদের চোখে পড়ে নাই। বানর দেখতে অনেক লোক জড়ো হয়েছে। কেউবা আবার বানর আতঙ্কে আছে।
আরও পড়ুন: খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে বানরের ছুটাছুটি
তবে এখন পর্যন্ত বানর দুটি কারো ক্ষতি করে নাই। এর পরেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা কুড়িগ্রাম বন বিভাগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বানর দেখে মো. আদনান সিয়াম বলেন,আমি টিভিতে, চিড়িয়াখানায় বানর দেখছি।বানরের খেলা দেখেছি তবে এমন খোলামেলা পরিবেশ টিনের চাল থেকে গাছে, গাছ থেকে ঘরের সানসেটে দৌড়াদৌড়ি করা বানরের চলাফেরা দেখি নাই। দেখে খুব মজা করছি। আবার একটু ভয় লেগেছিল।
কুড়িগ্রাম জেলা সহকারি বন সংরক্ষক মোহাম্মদ রাশিদ আরিফ বলেন,কুড়িগ্রামে আশে পাশে বড় বন না থাকায় এ অঞ্চলে বানর আসার সুযোগ নেই। তবে সীমান্ত পেরিয়ে ফলের ট্রাকে ফল খাওয়ার লোভে আসতে পারে। এ বানরগুলো কোথাও স্থির থাকে না। একটু পর পর স্থান বদল করে। তারপরও আমরা বিষয়টি দেখতেছি।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার
কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপরে
বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ সবগুলো নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
প্লাবিত হয়েছে জেলার নদ-নদীর অববাহিকায় নিম্নাঞ্চলগুলো। তলিয়ে গেছে আমন-আবাদসহ বিভিন্ন সবজির খেত।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত
সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৫৮ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি সদর পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তার অববাহিকার গড়াইপিয়ার এলাকার নয়ন মিয়া বলেন, ২-৩ দিন থেকে আবারও তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বাড়া দেখে এখানকার মানুষেরা অনেক দুঃশ্চিতায় আছে। তা ছাড়াও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও নদী ভাঙে, পানি কমলেও নদী ভাঙে। তিস্তা পাড়ের মানুষের ১২ মাসই কষ্ট।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে
কুড়িগ্রামে ফ্যান মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল শিক্ষকের
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বাড়ির সিলিং ফ্যান মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে এক স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুরে হাতিয়া ইউনিয়নের হাজির বাজার এলাকায় ওই শিক্ষকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার খোকসায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
নিহত শিক্ষক আজম আলী (৫৩) উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের হাজির বাজার এলাকার বাসিন্দা।
পার্শ্ববর্তী চিলমারী উপজেলার থানাহাট এ ইউ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজম আলী শিক্ষকতার পাশাপাশি বিদ্যুতের কাজ করতেন। শুক্রবার স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়িতে নিজের সিলিং ফ্যান মেরামত করছিলেন তিনি।
এ সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎপৃষ্ট হন। পরিবারে লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে নিলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর চকবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত
মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদরাসা শিক্ষকের মত্যু
কুড়িগ্রামে অনাবৃষ্টি ও ব্যাপক লোডশেডিংয়ে আমনের খেত ফেটে চৌচির
কুড়িগ্রামে অনাবৃষ্টি ও অস্বাভাবিক লোডশেডিংয়ের কারণে জমিতে সেচ দিতে না পারায় আমন আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকেরা।
মৌসুমের শুরুতেই খরায় আমনের অনেক বীজতলা লাল বর্ণ ধারণ করেছে। এতে আমন চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলার প্রান্তিক চাষিরা।
বৃষ্টি না হলে আমন ফসলের আশানুরুপ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষকেরা।
আমন আবাদের জন্য জমি প্রস্তুত ও জমিতে লাগানো চারা বাঁচাতে এখন কৃষকদের ভরসা ভূগর্ভস্থ পানি। বর্ষানির্ভর আমন চাষে এখন অনাবৃষ্টির কারণে সেচ দিতে খরচ বাড়ছে কৃষকের।
জেলার কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলায় কমবেশি সব এলাকাতেই এবার খরার কবলে পড়েছে আমন। এর মধ্যে সদরের হলোখানা, ভোগডাঙ্গা, পাঁচগাছী, উলিপুর উপজেলার থেতরাই, বজরা, ধামশ্রেণী ও রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা, বিদ্যানন্দ, নাজিমখা ও ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ও নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের অবস্থা বেশি খারাপ।
বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মৌসুমের শুরু থেকেই কৃষকেরা গভীর-অগভীর সেচযন্ত্র চালু করে আমনের চারা লাগাচ্ছেন।
এদিকে লোডশেডিংয়ের কারণে সেচ কাজও ব্যাহত হচ্ছে। সঠিক সময়ে জমিতে সেচ দিতে না পারায় আমনের খেত ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় চলতি মৌসুমে ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে চারা লাগানো হয়েছে। সেচের জন্য মাঠে রয়েছে ৩০ হাজার সেচযন্ত্র। খরা মোকাবিলায় বিদ্যুৎ ও ডিজেলচালিত সেচযন্ত্রের প্রায় সবগুলোই চালু রয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে প্রস্তুত রয়েছে ৭ হাজার হেক্টর আমন বীজতলা।
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন এক বিঘা জমিতে বিদ্যুৎ ও ডিজেলচালিত সেচযন্ত্র দিয়ে সেচ দিতে বর্তমানে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত খরচ পড়ছে। আমনের চারা লাগানোর জন্য জমি প্রস্তুত ও খরার কবলে পড়া আমনের চারা বাঁচাতে ইতোমধ্যে কমপক্ষে দুইবার সেচ দিতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাণীশংকৈল মিষ্টি আলু চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন
এই মৌসুমে এভাবে অনাবৃষ্টি থাকলে কমপক্ষে আরও ছয়বার সেচ দিতে হবে। সেই হিসাবে জেলার ১ লাখ ২৮ হাজার হেক্টর আমনের ফসল রক্ষায় এবার সেচের খরচ বাবদ ব্যয় হবে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।
কৃষকরা বলছেন, জুনের শেষ সপ্তাহ ও জুলাইয়ের প্রথম চার-পাঁচ দিন প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হয়েছিল। মাঠের অনেক জমিতে পানিও জমে গিয়েছিল। কিন্তু তখন জমি প্রস্তুত না হওয়ায় ও বীজতলার চারার বয়স কম থাকায় কৃষকেরা ধানের চারা লাগাতে পারেনি।
সাধারণত জুলাইয়ের এক-দুই সপ্তাহ পর থেকে আগস্টের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত আমনের চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়। এখন বৃষ্টির দরকার, কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই। গত ১৫-২০ দিন ধরে কুড়িগ্রামে ভারি বৃষ্টি হয়নি। এই সময়ে কখনো টিপটিপ, কখনো একপশলা বৃষ্টি হলেও বর্ষানির্ভর আমন চাষের জন্য তা নগন্য।
কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামের কৃষক রহিম উদ্দিন হায়দার বলেন, গত ১৫ দিন ধরে আমাদের এলাকায় ভারি বৃষ্টি হয়নি। খরার কারণে চারা লাগানোর জন্য প্রস্তুত করা জমির মাটি ফেঁটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে।যেসব জমিতে চারা লাগানো হয়েছে পানির অভাবে ওই সব চারা মরে যাওয়ার মত অবস্থা হয়েছে।
একদিকে খরা আরেক দিকে চলছে লোডশেডিং। এতে প্রতি বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ বেড়ে যাচ্ছে। আবাদ করার চেয়ে না করাই ভালো মনে হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়নের চৈতার খামার গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বৃষ্টি তো নাই, তার উপর ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং। এভাবে চলতে থাকলে এবার আবাদ করা সম্ভব নয়। তাছাড়া শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিলে প্রচুর খরচ। আর বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকতে থাকতে আমনের সময় পার হলে ফলন ভালো হয় না।’
উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের কৃষক চাঁদ মিয়া বলেন, ‘গত বছরও আষাঢ়-শ্রাবণ মাস ঠিকমতো বৃষ্টি ছিল না। এবারো একই অবস্থা। ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে এর খরচও বেড়েছে।’
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, বৃষ্টিপাত কিছুটা কম হলেও আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে এখনই চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। আমনের মৌসুম কেবলই শুরু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পুরো আগস্ট মাসজুড়েই আমনের চারা লাগানো যাবে। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকবে এবং আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করব।
আরও পড়ুন: ‘শাম্মাম’ চাষে সফল ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক মণ্ডল
কালবৈশাখীর কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে শার্শার আম চাষীরা
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল কাঠমিস্ত্রির
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক কাঠমিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের নতুন হাট বাজারে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত আব্দুস ছালাম ওই ইউনিয়নের ভেলীকুড়ি গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্মতা ডা. এএসএম সায়েম।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দম্পতির মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নতুন হাট বাজারের একটি দোকানঘরের টিন লাগাতে যান কাঠ মিস্ত্রি আব্দুস ছালাম। এসময় ঘরের চালে উঠতে গেলে হঠাৎ বিদ্যুতের তারের স্পর্শ লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
পরে স্থানীয় লোকজন তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এএসএম সায়েম বলেন, ওই রোগী হাসপাতালে আনার পথেই মৃত্যু হয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর চকবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত
কুষ্টিয়ার খোকসায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু