সংঘর্ষ
সিরাজগঞ্জে ট্রাক-পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ৪
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও দুইজন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল ৭টার দিকে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কে উপজেলার পুকুরপাড় নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত
নিহতরা হলো-গাইবান্ধা সদর উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে সুজন (৩২), সাঘাটা উপজেলার হাসিলকান্দি গ্রামের সবুর হোসেনের ছেলে রাব্বি (২৬), নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার প্যারাবাড়িয়া গ্রামের সোরহাবের ছেলে রানা (৩০) ও একই গ্রামের শরিফুলের ছেলে আয়ান (৪)।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল কবীর বলেন, সকালে রাজশাহী থেকে আম বোঝাই একটি ট্রাক ঢাকায় যাচ্ছিল। ট্রাকটি হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পুকুরপাড় এলাকায় পৌঁছালে একটি গরুবাহী পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হয়। এ সময় তিনটি গরুরও মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে হাইওয়ে থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
এছাড়া আহত শরিফুল ও তার স্ত্রী শাপলা খাতুনকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করা হলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
মুন্সীগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কনস্টেবলসহ নিহত ৩
সিলেটে ড্রেনের ময়লা নিষ্কাশন নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ড্রেনের ময়লা নিষ্কাশনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মোগলাবাজারের দক্ষিণ নৈখাই (গোয়াসপুর) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. দুলু মিয়া (৪৮) দক্ষিণ নৈখাই (গোয়াসপুর) গ্রামের ছকু মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছুরিকাঘাতে নিহত ১
স্থানীয় সূত্র জানায়, দক্ষিণ নৈখাই (গোয়াসপুর) গ্রামের কাদির মিয়া ও আল-আমিনের সঙ্গে প্রতিবেশি সজ্জাদ মিয়ার পরিবারের মধ্যে একটি ড্রেনের ময়লা নিষ্কাশন নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে কাদির মিয়া ও আল আমিনদের মারধরে দুলু মিয়া গুরুতর আহত হন। পরে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম মাইন উদ্দিন সংঘর্ষে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি বর্তমানে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। এ বিষয়ে এখনো থানায় কোনো মামলা হয়নি এবং কাউকে আটক করা হয়নি।
আরও পড়ুন: শ্রমিক নেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় বিজিএমইএ গভীরভাবে শোকাহত
গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ভোলায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
ভোলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধসহ দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
এদের মধ্যে গুরুতর আহত দুই জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এসময় ২০টি বসত ঘর, ১৫টি দোকান, চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার তজুমদ্দিন থানায় একটি একটি মামলা করা হয়েছে এবং ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এসময় প্রতিপক্ষের গুলিতে কাদের পণ্ডিতের ছেলে নাজিম উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়।
এছাড়াও আব্বাস মোল্লা (৪৫), তারেকুর রহমান (৩২), মতিন (৩০), কামরুল ইসলামকে (২৮) আহত অবস্থায় তজুমদ্দিন হাসপাতালে আনা হয়।
জানা যায়, তজুমদ্দিন উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তাহের এবং সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। বর্তমান চেয়ারম্যান আবু তাহের ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন গ্রুপের এবং সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ভোলা-৩ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্যপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার গ্রুপের সমর্থক।
আরও পড়ুন: মাগুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
তজুমদ্দিনের চাচড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম হান্নান অভিযোগ করেন, রবিবার বিকালে চাচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তাহেরের নেতৃত্বে লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার পাঁচ শতাধিক আওয়ামী লীগের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তার বসত ঘরসহ স্থানীয় ৭-৮টি ঘর ও ১৫টি দোকান ভাঙচুর চালানো হয়।
অন্যদিকে চাচড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আবু তাহের জানান, হান্নান চেয়ারম্যান তাদের লোকজনকে মারধর ও গুলি করেছেন। এতে যুবলীগ নেতা নাজিম গুলিবিদ্ধসহ তাদের পাঁচজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় তারা থানায় একটি মামলা করেছেন। তবে তারা কারো ওপর হামলা করেননি।
তজুমদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক দেওয়ান সাংবাদিকদের জানান, তিনি চাচড়া ইউনিয়নের ঘটনা শুনেছেন। সেখানে সাবেক চেয়ারম্যান হান্নান একজন ইউপি সদস্যকে তার বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এছাড়াও ওই এলাকার আরেক আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর করেছে। এ ঘটনা নিয়ে সেখানে সংঘর্ষ হয়েছে। তবে লালমোহনের ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের ঘটনা তার জানা নেই।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, পুলিশের উপস্থিতিতে কোনো হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। তবে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এক পক্ষ একটি মারামারির মামলা করেছে। ওই মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে অপরপক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সিলেটে পশুর হাট নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪
হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০
সিলেটে পশুর হাট নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪
সিলেট নগরীর মাছিমপুর এলাকায় পশুর হাট বসানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের চার জন আহত হন।
শুক্রবার (২৩ জুন) বিকাল ৩টার দিকে দুই কাউন্সিলরের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী।
আরও পড়ুন: পাবনায় জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
আহতেরা হলেন- মনজু মিয়া (৩৫), অপি (২৫), দিপু (৩৫), হারুন রশিদ খছরু (৫৫)। আহতদের মধ্যে হারুন রশিদ খছরুর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়। তাদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাছিমপুরে গরুর হাটের জন্য জেলা পরিষদ টেন্ডার আহ্বান করে।
তবে তা পাওয়ার আগেই ৮নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর শারমিন আকতার রুমির স্বামী মনজু মিয়া ও তার দুই ভাই দিপু ও অপি হাটের জায়গায় বাঁশ বসানো থেকে অন্যান্য কাজ শুরু করেন।
এতে ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদের ভাই হারুন রশিদ খছরু বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) সুমন কুমার চৌধুরী জানান, গরুর হাট বসানোকে কেন্দ্র করে দুই কাউন্সিলর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
মাগুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
মাগুরার শ্রীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকালে ও সন্ধ্যায় উপজেলার দ্বারিয়াপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে এই সংঘর্ষ ঘটে।
এসময় প্রায় ২০ টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় গ্রুপের রুপবান বেগম (৫০) ও চম্পা বেগম (২৫), পল্টু (৪৫), আনিচ (২৭), ফরিদ জোয়ার্দার (৩৫) সহ ১০ জন আহত হয়। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০
এ সময় জিয়ারুল শেখ গ্রুপের মিলন, রিপন, শরাফত, সদর আলী, ইউনুস শেখ এবং ওয়াজেদ মেম্বর গ্রুপের রেজাউল, ছত্তারসহ উভয় পক্ষের প্রায় ২০ টি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহেশপুর গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়ারুল শেখ ও ওয়াজেদ আলী মেম্বর সমর্থকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার সকালে ও সন্ধ্যায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জিয়ারুল শেখ বলেন, বিভিন্ন সময় ওয়াজেদ মেম্বরের লোকজন আমার কাছে প্রতিমাসে ভাটার জন্য ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তারা আমার ভাটা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
তিনি আরও বলেন, বুধবার সকালে তারা ইটভাটায় আমার ভাই জাকিরের ওপর হামলা করে ইট বিক্রির ৫০ হাজার ৭০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। হামলার পরেও তারা আমার লোকজনের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট শুরু করে। এর পরেই মারামারির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ওয়াজেদ আলীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজী হয়নি।
তবে ওয়াজেদ মেম্বরের ভাতিজা শরিফুল ইসলাম বলেন, জিয়ারুল শেখের লোকজন পল্টু, আনিচ ও ফরিদ জোয়ার্দারকে মারধর করে। এ সময় তারা আমাদের বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করে।
শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় জানান, ঘটনার পর থেকে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
চাঁদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবলীগ কর্মী নিহত
সিরাজগঞ্জে মোবাইল ফোনে লুডু খেলা নিয়ে সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহতের অভিযোগ
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কুড়িপাড়া গ্রামে মোবাইল ফোনে লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল কুদ্দুস প্রামানিক (৬৯) ওই গ্রামের মৃত বয়েজ প্রামানিকের ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভটভটির ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ওই গ্রামের বুদ্দু মিয়ার বসতবাড়ির আঙ্গিনায় মোবাইল ফোনে লুডু খেলছিল নিহত কুদ্দুসের নাতি সাদ্দাম ও তার বন্ধুরা।
এ খেলায় বিজয়ী দল আনন্দ-উল্লাস শুরু করলে প্রতিবেশীরা খেলোয়াড়দের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় সাদ্দাম ও তার বন্ধুরা প্রতিবাদ করলে মোতালেব ও তার মামাতো ভাই আব্দুল্লাহ তাদেরকে বেদম মারপিট করে।
এক পর্যায়ে তাদের চিৎকারে সাদ্দামের দাদা কুদ্দুস প্রামাণিক ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও লাঠি দিয়ে বেদম মারপিট করা হয়।
তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠান এবং মোতালেব ও তার মামাতো ভাই আব্দুল্লাহকে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওসমানীনগরে গাড়ির ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত
নারায়ণগঞ্জে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৬৫ বছরের বৃদ্ধ নিহত
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও আরাকান সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে গোলাগুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৯ জুন) সকালে উখিয়া ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইমান হোসেন (১৮) উখিয়ার ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সিরাজ হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের গোলাগুলি, যুবক নিহত
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, সকাল ৮টার দিকে উখিয়ার ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা ও আরএসও’র মধ্যে গোলাগুলি হয়।
তিনি বলেন, গোলাগুলিতে উভয় গ্রুপের মধ্যে ২০/২৫ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। এ ঘটনায় আরএসও সদস্য ইমান হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়। রোহিঙ্গারা তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পের আইএম ও হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এআরএসএ ও আরএসও গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত: পুলিশ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক ও সন্ত্রাস ঠেকাতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০
ক্যাম্পাসে আধিপত্যের জের ধরে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে।
শনিবার (১৭ জুন) রাত ১২ পর্যন্ত দফায় দফায় ৪ ঘন্টা ধরে ওই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল ছাত্রলীগের দুই পক্ষের কর্মীরা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চাচা-ভাতিজা নিহত
জানা গেছে,বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলে সিট বরাদ্ধসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধার কর্তৃত্ব নিতে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে একক আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় জড়িয়ে রয়েছে ধারাবাহিকভাবে ছাত্রলীগের দুইটি গ্রুপ।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান,বিশ্ববিদ্যালয়ে সিট বাণিজ্য আধিপত্য বিস্তারে চেষ্টায় দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্রলীগের রিয়াদ-সজল গ্রুপের সঙ্গে আলমগীর হোসেন আকাশ গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে
কোন্দল রয়েছে। এরই জের ধরে শনিবার বিকালে ছাত্রলীগ নেতা আকাশের সঙ্গে রিয়াদ ও সজলের বাকবিতণ্ডা ঘটে। একা পেয়ে আকাশকে ক্যাম্পাস থেকে তারা বের করে দেন। পরে আকাশের সমর্থকরা ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। দফায় দফায় রাত ১২টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে জিয়া হলে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।
অন্য সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকালে শেখ রাসেল হলে শেখ রাসেল কর্নারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মঞ্চে সামনের আসনে ছিলেন ছাত্রলীগের একাংশের নেতা আলমগীর হোসেন আকাশসহ তার অনুসারীরা। আকাশ ওই হলের নুর হোসেন অংশের আবাসিক ছাত্র।
অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন অপর অংশের নেতা শেখ রাসেল এক্সটেনশন হলের আবাসিক ছাত্র রিয়াদ খান এবং সফিকুল ইসলাম সজলসহ তাদের অনুসারীরা। এসময় উভয়ের মধ্যে কথাকাটিকাটির মত ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে পরদিন রিয়াদ ও সজলদের গালিগালাজ করে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন শোয়াইব নামে আকাশের অনুসারী। ফেসবুকের ওই স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে শনিবার সন্ধ্যা থেকে সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে দুই গ্রুপের মধ্যে।
কোতোয়ালি থানার ইনচার্জ তানভীরুল ইসলাম তানভীর জানান, ফেসবুকের স্ট্যাটাস নিয়ে দুই গ্রুপের মধে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটেছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মামুনুর রশিদ বলেন,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবলীগ কর্মী নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ২ মামলা
নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
নড়াইলের কালিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এছাড়া ৬টি দোকান এবং ৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরেরোভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার নড়াগাতি থানার বাগুডাঙ্গা গ্রামে থেমে থেমে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নড়াইলের বাগুডাঙ্গা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বায়জিদ মোল্যা এবং আমিনুল কাজী গ্রপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাগুডাঙ্গা বাজারে দুই গ্রপের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
আহতদেরকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ও ঢাকায় ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পৌরসভা নির্বাচন: ২ কাউন্সিল প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ
একটি পক্ষের মাতুব্বর বায়াজিদ মোল্যা বলেন, হঠাৎ করে আমিনুল কাজীর নেতৃত্বে তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। হামলায় আমাদের ১২জন গুরুতর আহত হয়েছে। তিনটি মোটরসাইকেল ও ছয়টি দোকান ভাঙচুরসহ দুই লক্ষাধিক টাকা এবং দোকানের মালামাল লুট করেছে প্রতিপক্ষরা। এছাড়া শুক্রবার সকালেও আমাদের দুইজনকে ব্যাপক মারধর করেছে।
এদিকে অপরপক্ষের মাতুব্বার আমিনুল কাজী বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বায়জিদ মোল্যার নেতৃত্বে তার সমর্থকরা আমাদের লোকজনের ওপর প্রথমে হামলা করেছে। এ হামলায় সাতজন আহত হয়েছে।
নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত সাহা বলেন, ‘এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি।’
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
কুমিল্লায় আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ
হিলি স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্রাক চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আধাবেলা পর আমদানি-রপ্তানি শুরু
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টে আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে অবস্থান করা ভারতীয় ট্রাক চালকদের দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন চালক আহত হয়েছেন।
এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আধাবেলা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরে দুই দেশের ব্যবসায়ী, ট্রাক পরিবহন চালক ও পুলিশের মধ্যস্থতায় বিষয়টির সুরাহা হলে দুপুর ২টা থেকে ফের আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়।
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, ‘গতকাল বুধবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকৃত বিভিন্ন পণ্যবাহী শতাধিক ভারতীয় ট্রাক পানামা পোর্টে প্রবেশ করে। এসময় কিছু পণ্যবাহী ট্রাক থেকে পণ্য খালাস করা হলেও অন্য ট্রাকগুলো পণ্য খালাসের অপেক্ষায় পানামা পোর্টে অবস্থান করছিল। গতরাত ১১টার দিকে ভারতের হিলির ট্রাক চালকরা কোনো কারণ ছাড়াই উত্তর প্রদেশের ট্রাক চালকদের ওপর চড়াও হয়। এসময় উত্তর প্রদেশের চালকরা বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উত্তর প্রদেশের চালক খুরশিদের হাত এবং মাথা ফেটে যায় এবং আনাস অজ্ঞান হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পানামা পোর্টের নিরাপত্তা কর্মীরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বিকল, ৪ ঘণ্টা পর হিলি দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
তিনি আরও জানান, ‘পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে আহত দুজন চালককে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সংঘর্ষের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে উত্তর প্রদেশের চালকরা সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দরের গেটে অবস্থান নেয়। এতে করে সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে দুপুরে চেকপোস্টের জিরোপয়েন্টে দুই দেশের ব্যবসায়ী, পুলিশ, ট্রাক চালক ও বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরও জানান, বৈঠকে আহতদের ক্ষতিপূরণসহ নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিতের আশ্বাস দিলে উত্তর প্রদেশের ট্রাক চালকেরা ব্যারিকেড তুলে নেয়। এরপর দুপুর ২টা থেকে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ট্রাক চালকদের আকস্মিক ধর্মঘটে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি বন্ধ
হিলিতে চালকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার, পণ্য আমদানি শুরু