সংঘর্ষ
ফরিদপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, ইন্টার্ন ও স্বজনদের সংঘর্ষে আহত ১০
ফরিদপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইন্টার্ন ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টায় জেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন- মৃতের স্ত্রী হালিমা বেগম (৮৫); নাতি আলমগীর বিশ্বাস (২৮), তৌহিদ বিশ্বাস (২৫), আলিফ খান (১৪) ও হামজা খান (১২) এবং মেয়ে জেসমিন (৪২), সাবিনা ইয়াসমিন (৫০) ও রেবেকা সুলতানা মনি (৩৫)।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে ভুল চিকিৎসায় নারীর মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতালে ভাঙচুর
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে ফরিদপুর সদর উপজেলার কমলাপুরের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা নয়ন খান নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং এর কিছুক্ষণ পরে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ডাক্তার ও স্বজনদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
নয়ন খানের নাতি আলমগীর বিশ্বাস বলেন, রাত ১২টার দিকে তার নানার শ্বাসকষ্ট হলে নার্সদের জানাই। তারা ইমার্জেন্সিতে চিকিৎসককে জানাতে বলেন। এরপর ইমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত চিকিৎসককে রোগীকে ওয়ার্ডে গিয়ে একটু দেখার জন্য এবং পরে ন্যূনতম একটু অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাই। কিন্তু তিনি কোনো ব্যবস্থাই নেননি। কিছুক্ষণ পর এসে দেখি আমার নানা মারা গেছেন।
তিনি আরও বলেন, এসময় ডাক্তারদের সঙ্গে আমাদের কথাকাটাকাটি হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আমার মা আমাকে সেখান থেকে সরিয়ে একটি বাথরুমে আটকে রাখেন। এরপর প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জনের মতো এসে বাথরুম থেকে বের করে আমার উপর হামলা চালায়।
পরে হামলায় তৌহিদ বিশ্বাস, আলিফ খান, হামজা খান, জেসমিন, সাবিনা ও রেবেকা সুলতানা মনিসহ কয়েকজন আহত হন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ, লাশের সঙ্গে ডাক্তার অবরুদ্ধ
শৈলকুপায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১ জনের মৃত্যু
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ফরিদপুরে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মৃত বিল্লাল হোসেন ভাটই আদর্শপাড়ার মৃত নুর ইসলামের ছেলে। সে ভারতের ব্যাঙ্গালুরে মুদি ব্যবসা করতেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ছেলের লাশ দেখে বাবার মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরে ভাটই গ্রামের যুবক শাকিল হোসেনকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধর করে একই গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ভাগ্নে সাগরের বন্ধুরা। এ নিয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় বাকবিতণ্ডা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এরই জের ধরে রবিবার বিকালে উভয় পক্ষের লোকজন মারামারিতে লিপ্ত হয়। এতে আহত হয় বিল্লাল হোসেন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরে নেওয়ার পথে মারা যায় বিল্লাল। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ভাটই পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বলেন, বিল্লাল হোসেনের মৃত্যু আঘাতজনিত নাকি হার্টঅ্যাটাক তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত যুবকের মৃত্যু
কক্সবাজারে ট্রলারে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ১ জনের মৃত্যু
ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছেন। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আহম্মদ আলী ও ইউপি সদস্য চান্নুর সমর্থকদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
আরও পড়ুন: সিলেটে পশুর হাট নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪
সোমবার সকালে রামচন্দ্রপুর বাজারে আহম্মদ আলী বিশ্বাসের এক সমর্থককে মারধর করে চান্নু মেম্বর ও তার সমর্থকরা। এরই জের ধরে সকালে দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, দুই দলের বিরোধে সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
ভোলায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
বেনাপোল বন্দরে শ্রমিকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩
যশোরের বেনাপোল বন্দরে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শ্রমিকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় শ্রমিকদের একটি অংশ বন্দরে মালামাল লোড-আনলোড ও পণ্য খালাস বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
আহত শ্রমিকরা হলেন- বেনাপোল বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাজু আহম্মেদ (৪৫), শ্রমিক নেতা হাসেম (৩৩) ও গোলম মোস্তফা (৩৪)।
জানা যায়, সোমবার সকালে হঠাৎ করে শ্রমিকদের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় দুই শ্রমিক নেতাসহ আরও কয়েকজন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বন্দরের মধ্য থেকে শ্রমিকদের বের করে দেয়।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বলেন, সকালে শ্রমিকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৩
ভোলায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
মাগুরায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলায় বের হওয়া মিছিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান-উল-ইসলাম জানান, পুলিশকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তাদের একজন উপ-পরিদর্শক বাদী হয়ে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
তিনি আরও জানান, অভিযুক্তদের মধ্যে ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং বাকিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
শুক্রবার বিকালে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা সদরে তাদের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। হাসপাতাল রোডের জামে মসজিদ এলাকা থেকে মধ্যম বাজারে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের অগ্রসর হতে বাধা দেয় এবং সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
বিএনপি সমর্থকরা পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান, তিনটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালালে পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন আহত হয়।
ওসি বোরহান জানান, সংঘর্ষের সময় তারা ২ জনকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি বিএনপির
নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুমিল্লায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৩
কুমিল্লার বরুড়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত এবং তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের জালগাঁও গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জালগাঁও গ্রামের আব্দুস সাত্তার (৬২) ও খোরশেদ আলম (৩৫)।
আরও পড়ুন: ভোলায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
আহতরা হলেন- নিহত খোরশেদের আত্মীয় মো. জহির, মো. জয়নাল ও মো. মোর্শেদ।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান জানান, একটি জমি নিয়ে আব্দুস সাত্তার এবং তার প্রতিবেশী জয়নাল ও তার ভাইদের দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলে আসছিল। এই ঘটনায় আদালতে একটি মামলাও চলছি।
শুক্রবার সকালে সাত্তার জমিতে কাজ করতে গেলে জয়নাল, খোরশেদ, মোর্শেদ ও জহির তাকে বাধা দিতে যায়।
এ সময় সাত্তার সঙ্গে থাকা একটি ছুরি দিয়ে চার জনকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে এতে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান খোরশেদ। বাকি তিন জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনা শুনে জয়নালের লোকরা এসে সাত্তারকে পিটালে সে ঘটনাস্থলে মারা যান।
বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ আছে। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত আছে। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
সিলেটে পশুর হাট নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪
নাটোরে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ২ কলেজছাত্র নিহত
নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ২ কলেজছাত্র নিহত হয়েছে। বুধবার (৩০ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের গড়মাটি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মনন(২৩) ও আবির(২৩) তারা দু’জন রাজাপুর অনার্স কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন ও একে অপরের বন্ধু ছিলেন।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আনছার আলী জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মনন তার বন্ধু আবিরকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বড়াইগ্রাম উপজেলার গড়মাটি থেকে নাটোর-পাবনা মহাসড়ক হয়ে রাজাপুর বাজারে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীতমুখি ট্রাকের সঙ্গে তাদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় বলেও জানান এএসআই।
আরও পড়ুন: খুলনায় ট্রাক-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ১
পাবনায় গরু চুরির অভিযোগে গণপিটুনি, নিহত ১
চুয়াডাঙ্গায় ট্রাকের সঙ্গে ইজিবাইকের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৬
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মাছবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের সংঘর্ষে ইজিবাইকের চালকসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।
সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে উপজেলার হাটবোয়ালিয়া ফুটবল মাঠে এলাকায় আলমডাঙ্গা-গাংনী আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বাস-ইজিবাইকের সংঘর্ষে নারী নিহত
নিহতরা হলেন‒ আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে সাজিদুর রহমান (৫৫) ও শেখ মুন্নার ছেলে খাইরুল ইসলাম (৪০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে হাটবোয়ালিয়া ফুটবল মাঠ এলাকায় আলমডাঙ্গা-গাংনী আঞ্চলিক সড়কে মাছবোঝাই ট্রাকটির সঙ্গে ইজিবাইকের সংঘর্ষ হয়।
এতে ইজিবাইকের চালকসহ ২ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। ইজিবাইকের আহত ৬ যাত্রীকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, নিহতদের লাশ হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। ট্রাকটি আটক করা গেলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের সংঘর্ষে কলেজ ছাত্রসহ নিহত ৩
চুয়াডাঙ্গায় দুই ইজিবাইকের সংঘর্ষে প্রাণ গেল শিশুর, আহত ৭
হবিগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ২ শতাধিক
হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় বিএনপির জেলা কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।
রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকালে হবিগঞ্জ বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা শেষে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ দেড় শতাধিক মানুষ আহত হন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগ রবিবার বিকালে শায়েস্তানগর এলাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। এতে আওযামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
স্থানীয়রা জানান, হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষ শুরুর জন্য উভয় পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করেছে।
তবে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।
সূত্র জানায়, রবিবার বিকালে নগরীতে মিছিল বের করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
মিছিলটি শায়েস্তানগর এলাকায় বিএনপির আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাঈদীর জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আইনজীবী লুৎফুর রহমান এ সংঘর্ষের জন্য বিএনপিকে দায়ি করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা করেছে। আমাদের নেতা-কর্মীরা তা প্রতিহত করতে গিয়ে সংঘর্ষের রূপ নেয়।’
শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন বলেন, ‘লগি, বৈঠা নিয়ে আওয়ামী লীগের মিছিল থেকেই জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র জিকে গউছের বাসায় হামলা চালানো হয়েছে।’
তিনি জানান, সংঘর্ষে প্রায় একশ’ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষ: ক্লাস বর্জন খুমেক শিক্ষার্থীদের
হবিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত
হবিগঞ্জে বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে শতাধিক আহত হয়েছেন। শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকালে শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে হবিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় দেবসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পদযাত্রা উপলক্ষে জেলার ৯টি উপজেলা থেকে সংগঠনের নেতার্মীরা দুপুর থেকেই জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র জিকে গউসের বাসভবন ও আশপাশের এলাকায় জড়ো হন।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় আধা সামরিক দুই বাহিনীর সংঘর্ষে ২৭ জন নিহত
বিকাল ৫টায় শায়েস্তানগর বাজার এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রাটি পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের কাছে আসতেই পুলিশ বাধা দেয়।
পুলিশের ব্যারিকেড না মেনে বিএনপির মিছিল এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। যার ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রায় আধঘন্টা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলতে থাকে। এ সময় বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এক পর্যায়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদিউজ্জামান জানান, ‘এখনো ঘটনাস্থলে আছি।’
এদিকে সন্ধ্য সাড়ে ৬টায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিকে গউছ জানান, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা শেষ করে যখন বাসায় যাচ্ছিলাম তখন ওসি অজয়ের নেতৃত্বে পুলিশ আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আউয়ালসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আহত হন। আউয়ালের অবস্থা গুরুতর।’
তিনি আরও বলেন, তার বাসার আশপাশে তল্লাশির নামে লোকজনকে হেনস্থা করা হচ্ছে এবং গ্রেপ্তারের ভয়ে হাসপাতালে না গিয়ে আহতরা গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষ: ক্লাস বর্জন খুমেক শিক্ষার্থীদের
চট্টগ্রামে সাঈদীর জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা