বরখাস্ত
বগুড়ায় হাতকড়াসহ ২ আসামির পলায়ন, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বগুড়া সদর থানার উপশহর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে চোর সন্দেহে আটক দুই ব্যক্তি হাতকড়াসহ পালানোর ঘটনায় ওই ফাঁড়ির ৪ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে পলাতক দু’জনের মধ্যে একজনকে রবিবার(২৪ মার্চ) রাতেই পুনরায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বরখাস্ত চার পুলিশ সদস্য হলেন, উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানা, কনস্টেবল মাহবুব আলম, একরামুল হক ও মানিক রতন।
আরও পড়ুন: বরখাস্ত ডিআইজি মিজানের ১৪ বছরের সাজা বহাল
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইহান ওলিউল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় সোমবার গ্রেপ্তার হওয়া একজনসহ দু’জনের নামে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
সদর থানার মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার ভোরে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সোহেল রানা, কনস্টেবল একরামুল হক ও মানিক রতন নিশিন্দারা এলজিইডি অফিসের সামনে জনগণের হাতে চোর সন্দেহে আটক মোহাম্মদ আলী ও মিঠু মিয়া ওরফে ফারুক নামে দুজনকে তাদের হেফাজতে নেন। পরে তাদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উপশহর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুই আসামিকে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে দায়িত্বরত কনস্টেবল মাহবুব আলমের হেফাজতে রাখা হয়। শনিবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে হ্যান্ডকাফসহ আটক ওই দুই আসামি পালিয়ে যান। পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রবিবার রাতে মোহাম্মদ আলীকে আদমদীঘি থেকে হাতকড়াসহ পুনরায় আটক করে পুলিশ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, পলাতক মিঠু মিয়া ও পুনরায় গ্রেপ্তার হওয়া মোহাম্মদ আলীর নামে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাহমুদুর রশিদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে পুলিশ সুপারের আদেশে রবিবার রাতে চার পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা, ৩ কারারক্ষী বরখাস্ত
হোয়াটসঅ্যাপে আরও সহজে অডিও বার্তা যেভাবে পাঠাবেন
শ্রেণিকক্ষে গুলি: সিরাজগঞ্জ মেডিকেল কলেজের প্রভাষক বরখাস্ত
ক্লাসরুমে গুলি করার ঘটনায় সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. রায়হান শরীফকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ বুধবার(৬ মার্চ) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউএনবিকে জানিয়েছে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আমিরুল হোসেন।
মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের একটি আদালত ডা. রায়হানকে কারাগারে পাঠান।
মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক বিল্লাল হোসেনের আদালতে রায়হানকে হাজির করার পর এ রায় দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ব্যাপক নিন্দার ঝড় উঠলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গুলির ঘটনা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে যায় কমিটি।
এ ঘটনায় শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষার্থীরা সিরাজগঞ্জ-বগুড়া-৪ লেন মহাসড়কে ডা. রায়হানকে অবিলম্বে চাকরিচ্যুত ও কঠোর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের গুলিতে মেডিকেল ছাত্র গুলিবিদ্ধ
তাদের দাবি, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নিবন্ধন বাতিল, অভিযুক্তকে তার শিক্ষকের পদ থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন শিক্ষার্থীরা। শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত দলের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।
গুলিবিদ্ধ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমাল বর্তমানে চিকিৎসাধীন। সোমবার বিকালে ক্লাস চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। পরে তমালকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ডা. রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার আগ্নেয়াস্ত্রটি জব্দ করে পুলিশ।
স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ডা. রায়হান শরীফ অস্ত্র ও ছুরি বহনের জন্য পরিচিত ছিলেন, যা তিনি বক্তব্যের সময় প্রকাশ্যে প্রদর্শন করতেন। শরীফ যখনই শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে তাদের উপস্থিতির বিরোধিতা করে তখনই তারা এই অস্ত্র দিয়ে হুমকি দেয় বলে জানা গেছে।
সোমবার পরীক্ষা চলাকালে তমালকে গালিগালাজ করার পর ডা. রায়হান তাকে গুলি করলে ওই শিক্ষার্থী আহত হয়। প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি অবৈধ, যার ফলে ডা. রায়হানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে অতিরিক্ত অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা আব্দুল্লাহ আল আমিন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মেডিকেল শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় মামলা
জাপা চেয়ারম্যানের পদ থেকে জিএম কাদেরকে বরখাস্ত করলেন রওশন
চলতি মাসের সংসদীয় নির্বাচনে ভরাডুবি নিয়ে দলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের মধ্যেই দলের বর্তমান প্রধান ও মহাসচিবকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। একই সঙ্গে তিনি নিজেকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদকে দলের মহাসচিব নিযুক্ত করেন।
সম্প্রতি দল থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন দলের এমন নেতাদের সঙ্গে গুলশানে নিজ বাসভবনে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেন রওশন।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন রওশন এরশাদ
এতে বলা হয়, 'দলের গঠনতন্ত্রের ২০-১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী চলমান সংকট উত্তরণের লক্ষ্যে আমি দলের নেতা-কর্মীদের অনুরোধে জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান পদ থেকে এবং মুজিবুল হক চুন্নুকে যথাক্রমে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দিচ্ছি।’
দলের প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী ও জিএম কাদেরের ভাবি রওশন জানান, দলের নেতা-কর্মী ও অনুসারীদের অনুরোধে তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্বও নিয়েছেন।
তিনি বলেন, কাজী মামুনুর রশীদ দলের পরবর্তী কাউন্সিল অধিবেশন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
রওশন এরশাদ বলেন, জিএম কাদের ও মুজিবুল হক দলের মারাত্মক ক্ষতি করেছেন। তবে দলের আর যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সে কারণেই তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, যেসব নেতাকে বহিষ্কার ও পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাদের পুনর্বহাল করা হবে এবং সঠিক সময়ে দলের জাতীয় কাউন্সিলের আয়োজন করা হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান রওশন এরশাদের
তবে এক সংবাদ সম্মেলনে চুন্নু বলেন, রওশনের এই ভিত্তিহীন পদক্ষেপ নিয়ে তারা অন্তত বিরক্ত, কারণ এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো এখতিয়ার তার নেই।
তিনি বলেন, 'আমাদের দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই পার্টির চেয়ারম্যান হওয়া বা কাউকে কোনো পদ থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তার নেই।’
চুন্নু বলেন, রওশন এর আগে তিনবার জিএম কাদেরকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং পরে তার ঘোষণা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘তাই আমরা বিষয়টি বিবেচনায় নিচ্ছি না। এর কোনো ভিত্তি নেই। সংবিধানে তার (রওশন) সেই ক্ষমতা নেই।’
আরও পড়ুন: ইসির তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছেন রওশন এরশাদ
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত শিক্ষক আসিফকে জামায়াতের অভিনন্দন
সম্প্রতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে (ব্র্যাক) একটি ঘটনা জাতীয়ভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ও প্রকাশ্যে পাঠ্যপুস্তকের পাতা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অ্যাডজাঙ্কট ফ্যাকাল্টির আসিফ মাহতাবকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান সরকারের শিক্ষানীতির তীব্র সমালোচনা করেন। জামায়াতের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা বিবৃতিতে বলা হয়, 'ফ্যাসিবাদী একদলীয় সরকার নৈতিকতা ও আদর্শ বর্জিত কারিকুলাম চাপিয়ে দিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের চরিত্র ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ৯২ শতাংশ মুসলমান এই পাঠ্যক্রমটি প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি ৬ নভেম্বর
এতে বলা হয়, এই প্রেক্ষাপটে আসিফ মাহতাব একজন সত্যিকারের আদর্শবাদী শিক্ষকের মতো কাজ করেছেন। বিবেকের তাড়নায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি সমকামিতার কঠোর সমালোচনা করেছেন। বাংলাদেশের মানুষের অনুভূতির প্রতিধ্বনি করেছেন। তার দৃঢ় অবস্থানের জন্য আমি তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। তাকে বরখাস্ত করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ মূলত এমন একটি শিক্ষা কারিকুলামের পক্ষ নিয়েছে যা জাতীয় পরিচয়বিরোধী। আমি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
অবিলম্বে মাহতাবকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, 'আসিফ মাহতাবকে অবিলম্বে চাকরিতে পুনর্বহাল করার জন্য আমি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত বিশ্বে টাকা বিলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে: আইনমন্ত্রী
চ্যাটজিপিটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম আল্টম্যান বরখাস্ত
চ্যাটজিপিটি’র প্রধান কোম্পানি ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্যাম অল্টম্যানের ওপর আস্থা হারিয়েছেন এর বোর্ড। বোর্ড মনে করছে, কোম্পানিকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে স্যামের ওপর থাকে তারা আস্থা হারিয়েছেন।
বোর্ড বলছে, ‘যোগাযোগের ক্ষেত্রে অল্টম্যান ধারাবাহিকভাবে খোলামেলা ছিলেন না। এতে তার দায়িত্ব পালনে ক্ষমতা বাধাগ্রস্ত হয়ে আসছিল।’
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটির বিকল্প 'ট্রুথজিপিটি' তৈরির পরিকল্পনা ইলন মাস্কের
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি উল্লেখ করে, প্রযুক্তি দুনিয়ায় উত্তেজনার ঢেউ সৃষ্টি করা চ্যাটজিপিটি তৈরির পেছনে রয়েছে ওপেনএআই। যা শুরু করতে বেশ অবদান রেখেছেন অল্টম্যান।
এক বিবৃতিতে কোম্পানিটির বোর্ড বলেছে, আল্টম্যানের অবদানের জন্য বোর্ড কৃতজ্ঞ থাকবে, তবে এর সদস্যরা বিশ্বাস করেন যে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন।
তারা বলেন, ‘ওপেনএআইয়ের নেতৃত্ব চালিয়ে যাওয়ার জন্য তার ক্ষমতার ওপর বোর্ডের আর আস্থা নেই।’
আরও পড়ুন: মাইক্রোসফট বিংয়ের নতুন সংস্করণে থাকছে চ্যাটজিপিটি প্রযুক্তি
রূপালী ব্যাংকের ৮৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ২ কর্মকর্তা বরখাস্ত
ভুয়া এলসি খুলে ৮৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের খুলনার শামস বিল্ডিং শাখার দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
নিজ ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় করা তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
তারা হলেন- ব্যাংকটির ওই শাখার উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) জাকির ইবনে বারাক এবং সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মুরাদ হোসেন।
তাদের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে নিশ্চিত করেছেন রূপালী ব্যাংকের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রধান ও জেনারেল ম্যানেজার তাজউদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: রূপালী ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের দায়ে ২৯ জনের কারাদণ্ড
রূপালী ব্যাংক খুলনার স্যার ইকবাল রোডের সামস বিল্ডিং শাখার ডিজিএম বিলকিস বেগম জানান, ব্যাংকের বৈদেশিক শাখায় অনিয়ম ধরা পড়ায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় হতে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম তদন্ত করে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি মাত্র কয়েকদিন এখানকার দায়িত্ব নিয়েছেন, তাই বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি।
এ বিষয়ে ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এবং সিইও জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, মেসার্স প্রিয়াম ফিস এক্সপোর্ট লিমিটেড ৩২টি এলসির/বিলের ৫৬ কোটি টাকা এবং মেসার্স বায়োনিক সি ফুড এক্সপোর্ট লিমিটেড ২১টি এলসি/বিলের ২৮ কোটি টাকায় অনিয়ম ধরা পড়ে।
তিনি আরও বলেন, এই কাজে সহায়তার জন্য এই শাখার সাবেক ডিজিএম জাকির ইবনে বোরাক এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ-এর সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মুরাদ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে রূপালী ব্যাংকে অগ্নিকাণ্ড
প্রহরীকে কুপিয়ে রূপালী ব্যাংকের রুয়েট শাখায় ডাকাতির চেষ্টা
স্বর্ণ চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে ঢাকা কাস্টমস
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস হাউসের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় ৪ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে ঢাকা কাস্টমস হাউস।
কাস্টমস কমিশনার এ কে এম নুরুল হুদা আজাদ বরখাস্তের চিঠিতে সই করেছেন বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মঙ্গলবার ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ১৪টি স্বর্ণের বার জব্দ, যুবক আটক
বরখাস্তকৃত কর্মকর্তারা হলেন- সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম শাহেদ, মো. শহিদুল ইসলাম, মাসুম রানা ও আকরাম শেখ।
২ সেপ্টেম্বর স্বর্ণ চুরির ঘটনা ঢাকা কাস্টমসের নজরে আসে এবং ৩ সেপ্টেম্বর রাতে বিষয়টি ঘোষণা করা হয়।
এরপর ঢাকা কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।
মামলার বিবরণী অনুযায়ী, ২০২৩ সালে উদ্ধার হওয়া ৪৮টি ডিএম বার যার মোট ওজন ৮ দশমিক ০২ কেজি এবং ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে জব্দ করা ৩৮৯টি ডিএম বার যার মোট ওজন ৪৭ দশমিক ৪৯ কেজি, যেগুলো লকার থেকে চুরি হয়েছিল।
২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট থেকে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের মধ্যে কেউ স্টিলের আলমারির লকার ভেঙে সোনা চুরি করে।
চুরি হওয়া এই স্বর্ণের মূল্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। মামলাটি বর্তমানে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে স্বর্ণের দোকান থেকে ৪৬ লাখ টাকার সোনা ও হীরা লুট
লাখ টাকা ছাড়াল স্বর্ণের ভরি
ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুন সাময়িক বরখাস্ত
থানার ভেতরে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রজ্ঞাপনে সই করেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সাময়িক বরখাস্তের সময় তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং নিয়ম অনুযায়ী জীবিকা ভাতা পাবেন।
এর আগে সোমবার বিকালে এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রলীগ নেতার ওপর নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ডিএমপি। কমিটিকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনকে এপিবিএনে বদলি
শনিবার সন্ধ্যায় শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে এডিসি হারুনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম ও বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমসহ কয়েকজনের বাকবিতণ্ডা হয়। তবে এডিসি হারুন সেখান থেকে সরে গেলেও কিছুক্ষণ পর আরও পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এরপর নাঈম ও শরীফকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধর করেন। রাত ১টার দিকে তাদের থানা থেকে ছেড়ে দিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বারডেম হাসপাতালে ৩৩তম বিসিএসের এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলছিলেন এডিসি হারুন। নারী কর্মকর্তার স্বামী বিষয়টি জানতে পেরে নাঈম ও মুনিমকে নিয়ে সেখানে যান। ওই নারী কর্মকর্তার স্বামীও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং তারা সবাই গাজীপুরের বাসিন্দা।
রবিবার পুলিশ সদর দপ্তর এডিসি হারুনকে ডিএমপি থেকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করেছিল।
আরও পড়ুন: শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইমরানকে বরখাস্ত করা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহমেদ ভূঁইয়াকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করার ঘোষণা দিলেও কোনো কারণ উল্লেখ করেননি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, 'দ্য বাংলাদেশ ল অফিসার্স অর্ডার, ১৯৭২'-এর ধারা ৪(১) এর অধীনে ডিএজি ইমরানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার আগে অংশীজনদের মতামত নেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী
জনস্বার্থে জারি করা আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
৪(১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘একজন আইন কর্মকর্তা রাষ্ট্রপতির সন্তুষ্টির সময় পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন এবং তার পদত্যাগের জন্য নির্ধারিত কোনো কারণ ছাড়াই রাষ্ট্রপতি যে কোনো সময় তার চাকরি বাতিল করতে পারেন।’
গত ৪ সেপ্টেম্বর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহমেদ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিনি নোবেল বিজয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের সমর্থনে বিশ্ব নেতাদের বিবৃতির প্রতিবাদে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে প্রস্তুত করা একটি বিবৃতিতে সই করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
পরে মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী বলেন, ডিএজি ইমরান অ্যাটর্নি জেনারেলের পূর্বানুমতি ছাড়াই বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (ডিএজি ইমরান) অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে নিযুক্ত। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তাকে হয় পদত্যাগ করে কথা বলতে হবে অথবা অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি নিতে হবে। তিনি সেগুলোর কোনোটি করেননি।’
আরও পড়ুন: ডিএজি এমরান শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন: আইনমন্ত্রী
তালগাছ উপড়ে ফেলায় ইউপি চেয়ারম্যান-সদস্যকে বরখাস্তের নির্দেশ
সড়ক নির্মাণের অজুহাত দেখিয়ে ৩০টি তালগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির আরও অন্তত ৪০টি গাছের চারা উপড়ে ফেলার ঘটনায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ফজলু গাজী ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সোবাহান হাওলাদারকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তাদের বরখাস্তের পাশাপাশি চেয়ারম্যানসহ দুইজনকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতের প্রভাব হ্রাসে ৩৮ লাখ তালগাছের চারা রোপন হয়েছে: এনামুর
রবিবার (২৭ আগস্ট) এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ.কে.এম. রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ইউপি চেয়ারম্যান-সদস্যের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি। অন্যদিকে ছিলেন আইনজীবী শেখ মো. সোহেল।
আদেশের বিষয়ে আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি বলেন, তালগাছ নিয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে এক মাসের মধ্যে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তাদেরকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন।
৯০ দিনের মধ্যে এই জরিমানার অর্থ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দিতে বলেছেন আদালত।
নির্বাহী কর্মকর্তাকে জরিমানাকৃত টাকা দিয়ে সেখানে তালগাছ লাগাতে এবং তা সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে আবেদন করা হবে বলেও তিনি জানান।
এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে আবেদন করা হবে বলেও জানান আইনজীবী কামরুজ্জামান।
সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে তালগাছ উপড়ে ফেলায় গত মে মাসে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় সংবাদ ও সম্পাদকীয় প্রকাশ হয়।
এতে বলা হয়, ‘উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামে এক সপ্তাহ ধরে এক্সকাভেটর দিয়ে অন্তত ৩০টি তালগাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে। তালগাছগুলোর বয়স ছিল ২৫ থেকে ৩০ বছর। তালগাছের পাশাপাশি এ সড়কে বন বিভাগের রোপণ করা বিভিন্ন প্রজাতির আরও অন্তত ৪০টি গাছের চারাও উপড়ে ফেলা হয়েছে।’
বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে গত ৭ মে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
সে অনুসারে মহিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার হাজির হন। আর ইউএনও প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর রুল শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: কচুয়াবাসীকে রক্ষায় চেয়ারম্যানের ৫ হাজার তালগাছ রোপণের উদ্যোগ
অপরিকল্পিতভাবে বৃক্ষ নিধনের ফলে হারিয়ে যাচ্ছে তালগাছ