দগ্ধ
মালিবাগে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩
রাজধানীর মালিবাগে একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগার পর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন দগ্ধ হয়েছেন।
বুধবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় এই বিস্ফোরণ হয়।
আহতরা হলেন- মো. সবুজ, মো. মারুফ (১৬) ও জুলহাস (১৮)। তারা সবাই 'শাহজালাল হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট'-এর কর্মচারী।
তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা সহকর্মী তৌহিদ জানান, সন্ধ্যায় তারা রেস্টুরেন্টের সামনে ইফতার বিক্রি করছিলেন। হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ লিকেজ করে আগুন লেগে তিনজন আহত হন।
আরও পড়ুন: কয়লাভর্তি জিম্মি জাহাজ আব্দুল্লাহতে বিস্ফোরণের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, নিহতদের হাতে-পায়ের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে।
তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ১৪
রাজধানীর জুরাইনে গ্যাসের চুলার আগুনে নারীসহ ৩ জন দগ্ধ
রাজধানীর জুরাইন এলাকায় গ্যাসের চুলার আগুনে নারীসহ ৩ জন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- বিনা রানী দাস (৩৫ বছর), চাচাতো দেবর বনমালী দাস (৩০ বছর), ও চাচাতো দেবর তপু দাস (৩২ বছর)।
দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে রাত ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণে ১৪ জন দগ্ধের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
তাদের হাসপাতালে নিয়ে যান বিনা রানী দাসের চাচা শ্বশুর বিদু দাস। তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে বিনা রানী ডাল রান্না করার সময় চুলায় হঠাৎ করে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। পরে বিনাকে বাঁচাতে গিয়ে আরও দুইজন দগ্ধ হয়। দগ্ধ ৩ জনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। দগ্ধদের মধ্যে বিনার শরীর অনেক বেশি পুড়ে গেছে।’
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, কদমতলীর জুরাইনের ঋষিপাড়া এলাকায় চুলার আগুনে দগ্ধ হয়ে ৩ জন ঢাকা মেডিকেলের বার্নের জরুরি বিভাগে এসেছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে।
বিনা রানী দাসের শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ ও দেবর বনমালীর ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ
সিলেটে সিএনজি স্টেশনে আগুনে দগ্ধ ১ জনের মৃত্যু
চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে গেছে ১৮ বসতঘর, ৫ জন দগ্ধ
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় আগুন লেগে ১৮টি বসতঘর পুড়ে গেছে। এ সময় আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়েছে শিশুসহ পাঁচজন।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে উত্তর পরুয়া পাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ডে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুন লাগে।
দগ্ধরা হলেন- মো. হেলাল (৩৫), মো. জামাল (৪৫), শিশু নিহা (১৩), হাসান (১০) ও তানিয়া (৫)। তাদের সবাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য মো. ইসহাক জানান, রবিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুনে ১৮টি বসতঘর পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ জামাল, মোহাম্মদ হেলাল, আবুল কালাম, আবুল কাসেম, আজগর আলী, আমজাদ হোসেন, আনোয়ার, আব্দুস সত্তার, মোহাম্মদ মামুন, মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ জসিম, কাইয়ুম, মোহাম্মদ সেলিম, নুরুল হক, আব্দুল হক, জাহানারা বেগম, আব্দুস সালাম ও মোহাম্মদ ইউসুফের পরিবার।
আনোয়ারা ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ মং সুইন্যু মারমা বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে প্রায় আধ ঘণ্টা সময় লাগে। একটি ইউনিটের ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।
সিলেটে সিএনজি স্টেশনে আগুনে দগ্ধ ১ জনের মৃত্যু
সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনের পাশে ২১ জানুয়ারি বিস্ফোরণে পাঁচজন দগ্ধ হন।
দগ্ধদের মধ্যে দুইজনকে ঢাকায় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাদের একজন মতি মিয়া মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে আগুনে পুড়ে গেছে ৫ দোকান ও ১২টি অটোরিকশা
নিহত মতি মিয়া (৬০) সিলেট নগরীর ঘাসিটুলা বেতের বাজার এলাকার মৃত মিছির আলীর ছেলে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মতি মিয়ার মারা যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি বিকালে পাঠানটুলা এলাকার নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনের পাশে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ১২০০ মুরগিসহ আগুনে পুড়ে ছাই পোলট্রি খামার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আগুনে গরুসহ বসতঘর পুড়ে ছাই
সিলেটে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে আগুন, দগ্ধ সিসিকের ৫ শ্রমিক
সিলেট মহানগরের পাঠানটুলা এলাকার একটি সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডে সিসিকের পাঁচ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পরে তাদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। দগ্ধদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
দগ্ধরা হলেন- সিলেট নগরীর ঘাসিটুলা বেতের বাজার এলাকার মো. জাফর আলীর ছেলে মো. মনতাজ মিয়া, একই এলাকার মো. মঙ্গল মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া), মতি মিয়ার ছেলে আলম মিয়া, মিছির আলীর ছেলে মতি মিয়া ও রজনী চন্দ দাসের ছেলে সুভাষ দাস।
আরও পড়ুন: ঢাকার তোপখানায় বহুতল ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
এদিকে এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সিটি করপোরেশন। কমিটির অন্যরা হলেন- সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরহাদ মোহাম্মদ হাওলাদার এবং জালাবাদ গ্যাস টি অ্যান্ড ডি সিস্টেম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারোশন) প্রকৌশলী সারওয়ার জাহান মাহমুদ।
ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সূত্র জানায়, রবিবার বিকাল দিকে পাঠানটুলা এলাকার নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনের পাশে ড্রেন সংস্কারের কাজ করছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের শ্রমিকরা।
এসময় এক শ্রমিক ফুয়েলিং স্টেশনের গাড়িতে গ্যাস দেওয়ার একটি মেশিনের কাছেই গ্র্যান্ডার মেশিন দিয়ে রড কাটছিলেন। এসময় আগুনের স্ফুলিঙ্গ গিয়ে স্টেশনটিতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি তেলবাহী ট্রাকের নিচে পড়লে সেখানে আগুন জ্বলে ওঠে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন থেকে নগরীর ব্যস্ততম এ সড়কে কাজ চলাকালে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাই নিশ্চিত করেনি সিসিক কর্তৃপক্ষ। নিয়ম অনুযায়ী এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে আলাদা করে নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণ করার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। এছাড়া এসব কাজের ক্ষেত্রে আগে থেকে ফায়ার সার্ভিসকে অবগত করারও বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে তাও মানা হয়নি।
এ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আব্দুল মোমিন মামুন বলেন, আমরা কাজ শুরুর আগে থেকেই সিএনজি পাম্প কর্তৃপক্ষকে পাম্প বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু তারা কোনো সাড়া দেয়নি। এছাড়া সিসিক প্রকৌশল বিভাগ স্থানীয় কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়েও পাম্প কর্তৃপক্ষকে বোঝানো হয়। এ অবস্থায় তাদের সম্মতি না পেয়ে আমরা ৫/৬ মাস কাজ বন্ধও রেখেছিলাম। এরপর তারা আমাদের জানিয়েছেন আমরা যেদিন কাজ করব তাদের বললে তারা ব্যবস্থা নেবেন।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলা, গাড়িতে আগুন
মামুন আরও বলেন, রবিবার যখন আমরা কাজ শুরু করি তখনও পাম্প কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সারাদিন কোনো সমস্যা হয়নি। বিকালে তারা একটি জ্বালানি তেলবাহী গাড়ি আনলোড করতে গেলেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, তারা এভাবে জ্বালানি তেল আনলোড করবেন সেটা বললেও আমরা কাজ বন্ধ রাখতাম, কিন্তু তারা তা করেনি।
সিলেট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বরত ফায়ার ফাইটার সুহেল আহমদ বলেন, খবর পাওয়ামাত্র আমাদের একটি ইউনিট সেখানে যায়। তবে আমাদের কর্মীরা যাওয়ার আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটের প্রধান ডা. এম এ মান্নান জানান, অগ্নিদগ্ধ পাঁচজনের মধ্যে দুই জনের শরীরের ৩৫ ভাগ পুড়ে গেছে। বাকি দুইজনের ৩০ ভাগ আর একজনের ২৮ ভাগ দগ্ধ হয়েছে।
তিনি বলেন, এখনো চিকিৎসা চলছে, তবে প্রয়োজন পড়লে তাদের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হতে পারে। অবস্থা খারাপ হলে প্রয়োজনে তাদেরকে ঢাকাতেও স্থানান্তর করা হতে পারে।
এ বিষয়ে নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও সিসিক প্রধান নির্বাহী ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
এসময় মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক এখানে আছি, দগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার চকবাজারে ২টি দোকানের আগুন নিয়ন্ত্রণে
ঢাকার দোহারে অগ্নিসংযোগে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
ঢাকার দোহারে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের ধীতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ভোরে জুলহাস নামের একজনের আধাপাকা ঘরে তালা দিয়ে পেট্রোল ছুঁড়ে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে জুলহাস, ২ শিশু ও নারীসহ একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হন। চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্বার করেন।
দোহার ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আধাঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ঢাকা জেলা পুলিশের অপরাধ বিভাগের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে দোহার থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
আরও পড়ুন: আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে নারীর মৃত্যু
কারওয়ান বাজারে বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত ২
আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে নারীর মৃত্যু
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অতিরিক্ত ঠান্ডায় আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে জবা রানী (৭৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কর্ণিপাড়া মহল্লায় এ ঘটনায় ঘটে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ বৃদ্ধার মৃত্যু
জবা রানী ওই মহল্লার মৃত বিপিন চন্দ্র সরকারের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, অতিরিক্ত শীতের মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির আঙিনায় খড়ের আগুনের তাপ নিচ্ছিলেন জবা রানী। এসময় খড়ের আগুন কাপড়ে লেগে ওই তার শরীর দগ্ধ হয়।
আরও পড়ুন: শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ ২ জনের রমেকে মৃত্যু
খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই নারীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন স্থানীয়রা। পরে শুক্রবার রাতে তিনি মারা যান।
সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. ছামিউল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: যশোরে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ বৃদ্ধার মৃত্যু
ফেনীতে আগুনে দগ্ধ সেই পরিবারের ৩ জনের কেউই বেঁচে নেই
ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ইতালি ভবনের পঞ্চম তলার বাসায় আগুনে দগ্ধ আশীষের পরিবারের তিনজনের কেউ আর কেউ বেঁচে রইল না।
আগুন লাগার ঘটনার ১৩ দিনের মধ্যে একে একে মারা গেলেন আশীষ চন্দ্র সরকার, তার একমাত্র সন্তান রিক সরকার ও স্ত্রী টুম্পা রানী সরকার (৩০)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
তারা তিনজনই রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ইতালি ভবনের পঞ্চম তলার বাসায় আগুন লাগে। এ ঘটনায় দগ্ধ হন আশীষ, টুম্পা ও রিক। গ্যাসের চুলায় তিতাসের সংযোগ লাইন থেকে আগুন লাগার ঘটনার কথা স্বজনদের বলেছিলেন আশীষ ও টুম্পা।
গত ৩১ ডিসেম্বর হাসপাতালের হাইডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) মারা যান আশীষ চন্দ্র সরকার, ৫ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ছেলে রিক সরকার ও সর্বশেষ গত সোমবার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মৃত্যু হয় আশীষের স্ত্রী টুম্পা রানী সরকারের।
আরও পড়ুন: পলাশবাড়িতে বাসে আগুন, দগ্ধ ৭
আশীষের ছোট ভাই পরিতোষ চন্দ্র সরকার জানান, দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তারা।
তিনি আরও বলেন, আশীষের ৮২ শতাংশ, টুম্পার ৬০ শতাংশের বেশি এবং রিকের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়। শুরু থেকেই রিককে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আর আশীষ ও টুম্পাকে এইচডিইউ ভর্তি করা হয়। তিনজনের অবস্থাই সংকটাপন্ন ছিল।
সোমবার টুম্পার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যার সময় তাকে এইচডিইউ থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে টুম্পার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
তার লাশ নিয়ে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দিকে রওনা দিয়েছেন। এর আগে আশীষ ও রিকেরও শেষকৃত্য হয় ধোবাউড়ায়।
আশীষের ভাই পরিতোষ জানিয়েছিলেন, তাদেরও বাসার দরজা-জানালা সব সারা দিন বন্ধ ছিল। রাতে আশীষ অফিস থেকে বাসায় ফেরার পর ভাত রান্নার জন্য চুলা জ্বালাতে যান। চুলা জ্বালানোর পরপরই দুই কক্ষের বাসায় আগুন লেগে যায়। আগুন লাগা অবস্থায় তারা নিজেরাই দরজা খুলে সিঁড়ি দিয়ে নামতে থাকেন।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, চিৎকার শুনে তারা গিয়ে দেখেন, শরীরে আগুন নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে দৌঁড়ে নামছেন তিনজন। কাপড় জড়িয়ে দিয়ে সেই আগুন নেভান তারা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
তিনি চাকরির সুবাদে ফেনীতে থাকতেন। ফেনীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষণ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায়।
ফেনীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষণ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। রিক ফেনীতে একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ যুবকের মৃত্যু
চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ যুবকের মৃত্যু
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় অকটেনের আগুনে দগ্ধ হয়ে আহত গিয়াস উদ্দিন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত গিয়াস উদ্দীন উপজেলার আমিলাইশ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম ডলু ঘোনার পাড়ার শাহ আলমের ছেলে। রশি দিয়ে আটকানো বোতল খুলতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইউপি সদস্য মামুনের মোটরসাইকেলে অকটেন শেষ হয়ে গেলে প্লাস্টিকের বোতলে করে অন্য একটি মোটরসাইকেলের পাশে রশি দিয়ে বেঁধে দোকান থেকে অকটেন কিনে নিয়ে আসে। পরে উক্ত প্লাস্টিকের বোতলটি হাত দিয়ে খুলতে না পেরে আগুন দিয়ে খোলার চেষ্টা করার সময় অসাবধানতা বশত গিয়াস উদ্দিন অগ্নিদগ্ধ হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আমিলাইশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, প্লাস্টিকের বোতলে করে কিনে আনা অকটেনের বোতল রশি দিয়ে বাধা ছিল।
আরও পড়ুন: খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধের মৃত্যু
সেটি দিয়াশলাই দিয়ে খুলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, অগ্নিদগ্ধে গিয়াস নামে এক যুবকের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ আছে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাট কারাগারে হাজতির মৃত্যু
চাঁদপুরে বাসে আগুন, দগ্ধ হেলপার
চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ডে কাছে চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের পাশে আগুনে পুড়ে গেছে আনন্দ পরিবহনের দাঁড়িয়ে থাকা একটি যাত্রীবাহী বাস।
শনিবার ভোর ৫টার দিকে গাড়িতে আগুন লাগে। গাড়ি থেকে লাফিয়ে নামার সময় মারাত্মক দগ্ধ হয়েছেন হেলপার খোকন মিয়া (৬০)। তিনি এখন জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার উভয় হাত দগ্ধ হয়।
আরও পড়ুন: পলাশবাড়িতে বাসে আগুন, দগ্ধ ৭
তিনি ইউএনবিকে বলেন, আমি বাসের ভেতর ঘুমিয়েছিলাম। আগুন লাগার পর বাস থেকে লাফিয়ে নামার সময় আমি আহত হই। তবে আমার শরীরের কিছু অংশ পুড়ে গেছে।
উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মোরশেদ আলম জানান, পরে খবর পেয়ে চাঁদপুর উত্তর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
খবর পেয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মহসিন আলম পরে ঘটনাস্থলে যান।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আসলে মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে বাসটির ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ হয়ে ৬ বছরের শিশুর মৃত্যু