দগ্ধ
পলাশবাড়িতে বাসে আগুন, দগ্ধ ৭
গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে বাসের সাত যাত্রী দগ্ধ হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১১টার দিকে নীলফামারী থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী দোয়েল পরিবহনের একটি বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পলাশবাড়ির ড্রিমল্যান্ড এলাকায় বাসের ব্যাটারির শর্ট সার্কিটে আগুন জ্বলে ওঠে। আগুন দেখে নাশকতা মনে করে যাত্রীরা বাস থেকে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে ৭ যাত্রী দগ্ধ হয়।
খবর পেয়ে পলাশবাড়ি ফায়ার সার্ভিসের একটি দল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টার করে। কিন্তু এর মধ্যে বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
এ ব্যাপারে পলাশবাড়ি ফায়ার সার্ভিসের সহকারী স্টেশন ম্যানেজার লোকমান হাকিম বলেন, এটা কোনো নাশকতা নয়। ব্যাটারির শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের এই সূত্রপাত হয়। আমরা যাত্রীবাহী বাস থেকে যাত্রীদের নিরাপদে নামাতে সহযোগিতা ছাড়াও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
ফেনীতে আগুনে পুড়ে প্যারালাইজড নারীর মৃত্যু
ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ৪ তলা ভবনের তৃতীয় তলায় একটি ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণ থেকে আগুন লেগে নারীসহ একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কাশিপুর ইউনিয়নের খিলমার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ ৪ জন হলেন- সুলতান মিয়া, তার স্ত্রী সাহিদা আক্তার, ছেলে নবী হোসেন ও আলী মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানান, কয়েকদিন আগে ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করা পরিবারের সবাই গ্রামের বাড়িতে যান। গ্রাম থেকে শনিবার রাতে বাসায় ফিরে রান্না ঘরে চুলা জ্বালাতে লাইটার ব্যবহার করতেই বিস্ফোরণ হয়। এতে ঘরের ভেতর থাকা ৪ জন দগ্ধ হন। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে আসেন।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ
পুলিশ আরও জানায়, এ সময় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসে আগুনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।
ফায়ার সার্ভিসের জাতীয় হটলাইন নম্বরের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান বিস্ফোরণ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন স্থানীয়ভাবেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। তদন্তের পরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানানো হবে।
এ ব্যপারে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থেল পৌঁছে দগ্ধদের হাসপাতালে পাঠায়। তাদের মধ্যে সাহিদা আক্তারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীর মহাখালীতে পেট্রোল পাম্পে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৮
মুন্সীগঞ্জে আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ
মুন্সীগঞ্জ শহরের একটি আবাসিক ভবনের ৫ তলায় বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৬টার দিকে শহরের ইদ্রাকপুরে ভবনটিতে বিস্ফোরণের পরেই আগুন লাগে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল ইসলাম জানান, কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে তা এখনও নিশ্চিত করা না হলেও ধারণা করা যাচ্ছে, ইলেকট্রিক ডিভাইস ল্যাপটপ বা মোবাইল থেকে এই বিস্ফোরণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মহাখালীতে পেট্রোল পাম্পে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৮
দগ্ধরা হলেন- রিজভি আহমেদ রাসেল (৪২) ও রোজিনা বেগম (৩৫) (তারা স্বামী-স্ত্রী) এবং তাদের সন্তান রাইয়ান আহমেদ (৩) ও রিজভি আহমেদের মা সাহিদা খাতুন (৬৫)। তারা সবাই সিরাজগঞ্জ জেলার বাসিন্দা এবং রাসেল মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়ান স্টপ সার্ভিসে প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। ভবনটিতে তারা ভাড়া থাকেন।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মোস্তফা মোহসীন জানান, তারা তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে বিস্ফোরণের সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো সোহেল রানা রানু বলেন, আজ সকালে বিস্ফোরণের সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দগ্ধ মানুষের আর্তনাদ কি বিএনপি-জামাতের কানে পৌঁছায় না: তথ্যমন্ত্রী
রাজধানীর মহাখালীতে পেট্রোল পাম্পে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৮
রাজধানীর মহাখালীর রয়েল ফিলিং স্টেশনে বুধবার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে অন্তত ৮ জন দগ্ধ হয়েছেন।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অনাথ মিত্র স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান।
আহতরা হলেন- সালাউদ্দিন (৩৮), মোহাম্মদ মামুন (৩০), মাসুম (২৫), আমির হোসেন সুমন (৩২), মো. রানা (৩০), কামাল আবেদীন (৫০), জীবন (২১) ও প্রকৌশলী খায়ের গাজী (৪৪)।
রয়েল ফিলিং স্টেশনের পাশের বিএন ফিলিং স্টেশনের কর্মীরাও দগ্ধ হয়েছেন বলে উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মহাখালীতে পেট্রোল পাম্পে আগুন
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম জানান, আহতদের কেউই আশঙ্কামুক্ত নন।
রয়েল ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী কামরুল হাসান বলেন, ‘ফিলিং স্টেশনে ৩ দিন ধরে গ্যাস লাইনের কাজ চলছিল। আমি জানতে পেরেছি যে আজ (বুধবার) পরীক্ষার সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেখানে আমাদের ফিলিং স্টেশনের ৪ জনসহ মোট ৮ জন দগ্ধ হন।’
বুধবার রাত ৮টা ৮ মিনিটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের (মিডিয়া সেল) উপ-সহকারী পরিচালক শাহজাহান শিকদার জানান, বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের দু’টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: মহাখালীর আগুন নিয়ন্ত্রণে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২
মহাখালীর খাজা টাওয়ারে আগুন: ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় পর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩
দগ্ধ মানুষের আর্তনাদ কি বিএনপি-জামাতের কানে পৌঁছায় না: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি-জামাতের প্রতি প্রশ্ন রেখে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জীবন্ত দগ্ধ মানুষদের আর্তনাদ কি তাদের কানে পৌঁছায় না?
তিনি বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাসী ও তাদের হুকুমদাতা, অর্থদাতাদের বিচার হলেই কেবল অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ হবে।’
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’সংগঠন আয়োজিত ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচার চাই’ শীর্ষক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সংলাপ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়: তথ্যমন্ত্রী
‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’র আহ্বায়ক শাহাদত হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আইনজীবী খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এমপি, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় নিহত নাহিদের মা রুনি বেগম, আগুনে ঝলসে যাওয়া সালাউদ্দিন ভূঁইয়াসহ অনেক আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা অগ্নিসন্ত্রাসী ও মদদদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
তাদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বা দ্রুততম সময়ে বিচারের মাধ্যমে ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে যারা আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছিল তাদের এবং হুমুকদাতা ও অর্থদাতাদের যদি আমরা বিচার করতে পারতাম, তাহলে আজকে ২০২৩ সালে এই আগুনসন্ত্রাস হতো না। সেই সময় তারা আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছিল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, আর এখন চালানো হচ্ছে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল অবরোধ ডেকে ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকে আর তাদের কিছু কর্মী, সন্ত্রাসী আর কিছু মানুষকে ভাড়া করে হাতে পেট্রোলবোমা তুলে দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে, গাড়িতে আগুন দেওয়াচ্ছে। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। পৃথিবীর কোথাও গত দুই দশকে রাজনীতির জন্য এভাবে আগুনসন্ত্রাস করে মানুষকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটেনি, যেটি বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত করছে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজকে সকালে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন থেকে এসেছি। সেখানে দুবাইয়ে কমনওয়েলথ সেক্রেটারির সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় প্রশ্ন রেখেছিলাম, পৃথিবীর কোথাও রাজনীতির কারণে এভাবে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা, নিরীহ মানুষকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হত্যা করা হচ্ছে কি না, যেটি বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত ঘটাচ্ছে। তার পুরো দল স্বীকার করেছে পৃথিবীর অন্য কোথাও এটি ঘটছে না, গত ২০ বছরে কোথাও ঘটেনি।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের খাসলত বদলাবে আশা করেছিলাম, কিন্তু না, তারা আবার সেই পুরোনো আগুনসন্ত্রাস শুরু করেছে। আসলে কয়লা ধুলে ময়লা যায় না, বিএনপি-জামায়াতও কখনো ভালো হবে না। সুতরাং এদের প্রতিহত করতে হবে। গত এক মাসে তারা ৫৮০টি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। অনেক ড্রাইভার-হেলপারকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছে। আর এই সমস্ত কিছু পরিচালিত হচ্ছে তারেক রহমান আর বিএনপি নেতাদের নির্দেশে। সুতরাং তারাও দোষী এবং এই অগ্নিসন্ত্রাসের যারা শিকার তাদের আর্তনাদ ও দাবি অনুযায়ী নেতাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দি তাদের নেতারা: তথ্যমন্ত্রী
দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার: তথ্যমন্ত্রী
অবরোধ: গাজীপুরে ট্রাকে আগুন, চালক দগ্ধ
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় রবিবার (৩ ডিসেম্বর) বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলের ডাকা অবরোধচলাকালে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে একটি ট্রাক পুড়ে গেছে এবং দগ্ধ হয়েছেন চালক।
তাৎক্ষণিকভাবে চালকের পরিচয় জানা না গেলে স্থানীয়রা তাকে ও তার সহকারীকে পোড়া ট্রাক থেকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার ইফতেখার চৌধুরী জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর উপজেলায় আজ ভোর সাড়ে ৫টায় চলন্ত একটি ট্রাকে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা আরেকটি অবরোধ চলছে
তিনি আরও জানান, ‘মুহূর্তেই ট্রাকটিতে আগুন লেগে যায়। ট্রাকের সহকারী অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও দগ্ধ হয়েছেন চালক।’
এ সময় খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে শ্রীপুর উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে সড়কে আগুন ধরিয়ে দেয় পিকেটাররা। এ সময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের সমর্থনে শ্রীপুর উপজেলার সিএন্ডবি বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হচ্ছে রবিবার
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণে মা-ছেলে দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণে মা ও ছেলে দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নগরীর নিতাইগঞ্জ মোল্লাপাড়া এলাকার একটি বাড়ির তৃতীয় তলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- সীমা বেগম (৫০) ও তার ছেলে রোমান হোসেন (২৫)।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাড়িটিতে মা-ছেলে থাকেন। সীমা বেগম গৃহিণী এবং তার ছেলে রোমান স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করেন।
রাতে তারা বাসার লাইন থেকে গ্যাস বের হওয়ার গন্ধ পান। বিষয়টি কাউকে না জানিয়েই ঘুমিয়ে পড়েন তারা। সকালে ঘুম থেকে উঠে সীমা বেগম রান্নাঘরে গিয়ে দিয়াশলাই জ্বালাতেই আগুন ধরে ওঠে এবং সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-রাজশাহী ও গাজীপুরে ৩টি গাড়িতে আগুন
এতে সীমা বেগম এবং ঘুমিয়ে থাকা রোমানের শরীরেও আগুন লেগে যায়। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ওই বাসায় গিয়ে আগুন নেভায়। এরপর তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম জানান, সীমা বেগমের শরীরের ৬০ শতাংশ এবং রোমানের ১৪ শতাংশ পুড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, সীমার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ফিমেল হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ভর্তি রাখা হয়েছে। আর রোমানকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাসে আগুন
কুলিয়ারচরে সারভর্তি ট্রাকে আগুন
নারায়ণগঞ্জে ট্রাকে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ, হেলপার দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পণ্যবাহী একটি ট্রাকে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রাকটির সামনের অংশ পুঁড়ে যায় এবং চালকের সহকারী (হেলপার) মো. সায়মন (২০) দগ্ধ হন।
বর্তমানে তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার শিংলাবো এলাকায় এশিয়ান হাইওয়েতে (ঢাকা বাইপাস সড়ক) এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রংপুরে বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে পেট্রোলবোমা উদ্ধার
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, সোনারগাঁয়ের মেঘনাঘাট এলাকা থেকে টাইলসবাহী একটি ট্রাক সিরাজগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকটি এশিয়ান হাইওয়ের শিংলাবো এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। এতে ট্রাকটির সামনে অংশে আগুন ধরে যায়।
তিনি আরও বলেন, এ সময় ট্রাকের চালক দ্রুত নেমে যেতে পারলেও তার সহকারীর দুই হাত মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ট্রাকটির আগুন নেভায়।
এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি। তবে এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে পুলিশের তৎপরতা চলছে বলে জানান জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সাভারে পরিত্যক্ত ঘরে আগুন লেগে ৭ যুবক দগ্ধ
দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ: অগ্নিসংযোগে দগ্ধ রিকশাচালক হাসপাতালে ভর্তি
ঢাকার কদমতলীতে স্টিল মিলের আগুনে দগ্ধ হয়ে নিহত ১, আহত ৩
রাজধানীর শ্যামপুর এলাকার কদমতলীতে রবিবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে একটি স্টিল মিলে অগ্নিকাণ্ডে রবিউল ইসলাম নামে এক শ্রমিক নিহত এবং আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
নিহত রবিউল ইসলামের (২৭) বাড়ি বরগুনা জেলায়।
আহতরা হলেন- মাজহারুল ইসলাম (৩৭), শাহ আলম (৩৫) ও আশিরুল ইসলাম (৩৫)।
বেজড স্টিল মিলের শ্রমিক মাইনুল হোসেনের বরাতে কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা জানান, শনিবার রাতে কয়েকজন শ্রমিক লোহার রড গলানোর সময় মিলে আগুন লাগে। একপর্যায়ে বিস্ফোরণ ঘটে, এতে চার শ্রমিক আহত হয়। রবিউল ২৬ শতাংশ এবং আশিরুল ৮ শতাংশ পুড়েছে।
ওসি আরও বলেন, তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে ভোর ৪টায় রবিউলের মৃত্যু হয়। শাহ আলম ও মাজহারুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর শনির আখড়ায় বাসে আগুন
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাসে আগুন
সাভারে পরিত্যক্ত ঘরে আগুন লেগে ৭ যুবক দগ্ধ
সাভারের আমিনবাজারে একটি টিনশেডের পরিত্যক্ত ঘরে আগুন লেগে ৭ যুবক দগ্ধ হয়েছেন। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে আমিনবাজার হিজলা গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন-ওই বাড়ির বাড়িওয়ালার ছেলে রায়হান (২০), তার বন্ধু হাদিস (২০), নাহিদ (২০), জুয়েল (২২), মোনারুল (২২), আলামিন (২২) ও রুবেল (২৪)।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বেলুন ফুলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ১১
দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা রায়হানের ভগ্নিপতি মো. রকিব বলেন, যে ঘরটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেই ঘরটিতে দীর্ঘদিন ধরে কেউ থাকেন না। শুক্রবার রাতে ৮ বন্ধু মিলে ওই ঘরটিতে ঢুকে আড্ডা দিচ্ছিল। তারা সেখানে মুড়ি খাচ্ছিল এবং কেউ ধূমপান করছিল। হঠাৎ সেই ঘরেই আগুন লেগে ৭ জন দগ্ধ হয়।
পরে খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, পরিত্যক্ত ওই ঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে আগুনের ঘটনা ঘটতে পারে।
স্বজনরা জানান, দগ্ধ সবাই বিভিন্ন ছোটখাটো পেশায় নিয়োজিত আছেন। তবে তাদের শরীরে কত শতাংশ দগ্ধ হয়েছে এখনও জানা যায়নি।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ৭ জনকেই ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আমিন বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ: অগ্নিসংযোগে দগ্ধ রিকশাচালক হাসপাতালে ভর্তি