মামলা
সিলেটে আটক ৮ জনসহ ২০০ ছাত্রদল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
সিলেটে ছাত্রদলের মিছিল থেকে আটক হওয়া আট জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
হযরত শাহজালাল (রহঃ) মাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কাজী জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটের ৩ রেস্টুরেন্টে দুর্বৃত্তের হামলা, ভাঙচুর
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত ১৫০ থেকে ২০০ উশৃঙ্খল নেতাকর্মী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া ২নং আসামির নেতৃত্বে মঙ্গলবার বিকালে নগরের চৌহাট্টা পয়েন্টে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
এ সময় সরকার বিরোধী উস্কানিমূলক স্লোগান দিচ্ছিলেন তারা।
ঘটনার সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের শান্ত হওয়ার জন্য বললে তারা উত্তেজিত হয়ে সকারি গাড়িতে বাধা দেয় এবং হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
আসামিদের ছুড়া ইট-পাটকেলের আঘাতে এএসআই প্রানেশ রঞ্জন, আবুল কালাম শুভ, ইসমাইল হোসেন, মোজাহিদ আহত হন।
তখন পুলিশ উশৃঙ্খল বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটজনকে আটক করা হয় এবং অপরাপর আসামীরা পালিয়ে যায়।
আলামত হিসেবে সেখান থেকে ১৮টি বাঁশের লাঠি ও ১৫ ইটের টুকরো জব্দ করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন-গোয়ালাবাজার ইউপি ছাত্রদলের সদস্য জুনায়েদ হোসাইন (৩০), মহানগর ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন (৩৪), সিলেট সদর উপজেলা যুব দলের সদস্য রাজু , অভিনেতা আহমেদ (৩৮),কামরুল হাসান (২৫), সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক মো.আব্দুস সালাম টিপু (৩৮), পারভেজ খান জুয়েল (৩৯), সাইফুল ইসলাম সোহাগ (২০), মো.হাফিজুর (২৫)।
এর আগে মঙ্গলবার (২ মে) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় ছাত্রদলের একটি মিছিল থেকে তাদের আটক করা হয়।
বুধবার গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ।
আরও পড়ুন: সিটি নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো চ্যালেঞ্জ নেই: সিলেটে আইজিপি
সিলেটে নানাবাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ফরিদপুরে ১৩ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পর চিকিৎসাধীন শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় লিটন মাতুব্বর (২২) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩ মে) দুপুর ১২টায় ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিুজুর রহমান এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ২০০২ সালে হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: ৪ জনের যাবজ্জীবন, ৪৪ জনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
এসময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে তাকে পুলিশ প্রহরায় জেল হাজতে পাঠানো হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই শিশুর মা বাজারে চায়ের দোকানে পানি সরবরাহ করে থাকেন। এজন্য তাকে বেশিরভাগ সময় কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। এর সুবাদে শিশুটি বাড়িতে একাই থাকতো।
এই সুযোগে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কাউলীবেড়া গ্রামের রাশেদ মাতুব্বরের ছেলে আসামি লিটন মাতুব্বর শিশুটির বাড়িতে যাতায়াত করে ও সখ্য গড়ে তোলে।
এক পর্যায়ে লিটন নানা প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে।
ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিশুটির মা বাড়িতে না থাকায় লিটন বাড়িতে প্রবেশ করে শিশুটির মুখে কাপড় গুজে তাকে ধর্ষণ করে এবং এ কথা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়।
কাউকে এ কথা বললে তাকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দেয় লিটন।
পরবর্তীতে শিশুটি এ কথা কাউকে না বলে ধীরে ধীরে অসুস্থ হতে থাকে।
প্রায় দুই মাস পর শিশুটি তার মায়ের কাছে সব কথা খুলে বললে, শিশুটির মা তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: পলাতক আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
সেই সঙ্গে তিনি কয়েক দফা সালিশ বৈঠকও করেন। তবে ওইসব সালিশের রায় মানেনি লিটন।
পরে এ ঘটনার ৭৩ দিন পর শিশুটির চাচা বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২৪ মার্চ লিটন মাতুব্বরকে একমাত্র আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পরদিন ২৫ মার্চ শিশুটি চিকিৎসাধীন মারা যান।
ঘটনা তদন্ত করে ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রতন কুমার মন্ডল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পিপি স্বপন পাল বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(২) ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় একমাত্র আসামি লিটন মাতুব্বরকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট স্বপন পাল বলেন, আসামির বিরুদ্ধে সকল প্রমাণাদি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ ৯(২) ধারায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায়, আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আসামিকে এক লাখ টাকা দিতেই হবে। এখানে অনাদায়ের বিষয় রাখা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এ রায় সমাজে সুস্থতা ফিরতে ও দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে। আমরা এ রায়ে অত্যন্ত খুশি।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ২ যুবকের যাবজ্জীবন
রাবি অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলা: দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বাধা নেই
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিজবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ তিনজনের রিভিউ আবেদন খারিজের রায় প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার (৩ মে) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীনই আট বিচারপতির বেঞ্চ ২১ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করেছেন।
এতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির ফাঁসি কার্য করে আইনগত কোনো বাধা থাকল না। এখন তারা শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনের সুযোগ পাবেন।
অধ্যাপক তাহেরের মেয়ে অ্যাডভোকেট শেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নিয়ম অনুসারে, সুপ্রিম কোর্ট থেকে এ রায় রাজশাহীর আদালতে পাঠানো হবে। রাজশাহীর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করবেন। এরপর তা কারাকর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছালে তাদের ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলার রিভিউ খারিজ, ২ আসামির ফাঁসি বহাল
জানা যায়, এর আগে গত ২ মার্চ অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা দুই আসামিসহ দণ্ডিত তিনজনের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আট সদস্যদের আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
শিক্ষক তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে গত বছরের ৫ এপ্রিল রায় দেন আপিল বিভাগ। রায়ে তাহেরের একসময়ের ছাত্র, পরে বিভাগীয় সহকর্মী মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও তাহেরের বাসভবনের তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। সালাম ও নাজমুলের যাবজ্জীবন বহাল থাকে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। পরে মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর এবং যাবজ্জীবন সাজা পুনর্বিবেচনা চেয়ে সালাম পৃথক আবেদন (রিভিউ) করেন। চেম্বার আদালত হয়ে এই রিভিউ আবেদন আপিল বিভাগে ওঠে। শুনানি শেষে গত ২ মার্চ আদেশ দিলেন আপিল বিভাগ।
২০০৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কোয়ার্টারের বাসার বাইরের ম্যানহোলে তাহেরের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সেদিন তার ছেলে মতিহার থানায় মামলা করেন।
মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। দুজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। আসামি সালাম ও নাজমুলকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক তাহের হত্যা: মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত
অবিলম্বে ডিএসএ বাতিল ও এই আইনের সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে (ডিএসএ) ‘কুখ্যাত আইন’ উল্লেখ করে এটিকে বাংলাদেশের মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় প্রধান বাধা বলে মনে করে অবিলম্বে তা বাতিল এবং এর অধীনে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।
সোমবার রাতে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা অভিযোগ করেন, সরকার এই আইনের সুযোগ নিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করছে এবং এই পশ্চাদপসরণমূলক আইনকে 'ফ্যাসিবাদী' শাসনকে দীর্ঘায়িত করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে কিডনী রোগে আক্রান্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র খাদিজাতুল কুবরার মুক্তি দাবি করা হয়। যিনি ডিএসএ মামলায় গত আট মাস ধরে কারাগারে রয়েছেন।
এতে বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ বাংলাদেশের (ইউএনবি) বিশেষ প্রতিবেদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে দমনমূলক আইনে দায়ের করা মামলায় কারাগারে থাকা সকলের মুক্তি দাবি করা হয়।
এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল ২০২৩ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যা সম্প্রতি সংসদে পেশ করা হয়েছে যাতে এটি শিগগিরিই আইনে পরিণত হয়।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা অভিযোগ করেন, সরকার আইনের বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের মতামত নেয়নি এবং বিল অনুযায়ী সরকার চাইলে যে কোনো শিল্প-প্রতিষ্ঠান, পেশা ও সেবাকে এ আইনের আওতায় এনে এই সংস্থাগুলোকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে তা বন্ধ করতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শ্রমিকদের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
'অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা' বিলে ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নেওয়া যৌথ দর কষাকষির অধিকারও কেড়ে নেয়, তারা যোগ করে যে এটি সরকারের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারেরও একটি সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং মালিকপক্ষের নিপীড়ন, বঞ্চনা ও শোষণ থেকে রক্ষার জন্য ট্রেড ইউনিয়ন এবং আন্দোলনকে অবৈধ করার একটি হাতিয়ার।
বিএনপি মনে করে, প্রস্তাবিত আইন শুধু শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ ও অধিকার ক্ষুণ্ন করবে না, এটা গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও জনগণের প্রতিবাদ করার সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী। ‘অত্যাবশ্যকীয় সেবা বিল ২০২৩’ প্রত্যাহারের জোরালো দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
বৈঠকে বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ডক্টর আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বৈঠক করেছে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চ
কুমিল্লায় কলেজ শিক্ষক হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লা নগরীর বারপাড়া এলাকার কলেজ শিক্ষক সাইফুল আলম সুজনকে হত্যার ঘটনায় ছয় জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পরিবহন নেতাকে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা আদালতের এপিপি জাকির হোসেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জামাল, ইলিয়াস ও জাকির হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিনজন নয়ন, কামাল ও মিঠুন পলাতক।
এছাড়া মোট ৯ আসামির মধ্যে দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। একজন বিচারাধীন সময়ে মারা যান।
২০১০ সালের ১০ আগস্ট বিকালে কুমিল্লা নগরীর বারপাড়া এলাকায় শিক্ষক সাইফুল আজম সুজনকে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পরদিন কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় সুজনের বাবা ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বিষাক্ত ট্যাবলেট খাইয়ে নিজ শিশুকন্যাকে হত্যা, মায়ের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলবে
গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ভাই ও বিএনপি দলীয় ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে দুদকের করা প্লট দুর্নীতির মামলা বাতিল চেয়ে করা রিভিশন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলাটি ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে বিচারিক আদালতে মামলাটি চলতে আর বাধা নেই।
রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি। রিভিশনকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাব্বির হামজা।
আরও পড়ুন: আ.লীগের তোপের মুখে ভোলা ছাড়লেন হাফিজ ইব্রাহিম
পরে আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের জানান, সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিমের মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাজউকের প্লট নেওয়ার দুর্নীতি মামলা বাতিলে রিভিশন আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট। ফলে এই মামলা চলবে। পাশাপাশি আগে দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের সদস্য থাকাকালীন রাজউকে মিথ্যা হলফনামা দিয়ে ঢাকার বনানী আবাসিক এলাকায় ৫ কাঠার একটি সরকারি প্লট গ্রহণ করেন হাফিজ ইব্রাহিম। এতে তিনি অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করেন। মিথ্যা হলফনামা দিয়ে প্লট নেওয়ার কারণে দুদক ২০১৭ সালের ১৩ মার্চ মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করে। পরে ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালত এই মামলায় অভিযোগ গঠন করেন। সেই অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করলে হাইকোর্ট ২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল রুল জারি করেছিলেন। সেই রুল রবিবার খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলা বাতিল চেয়ে সাবেক এমপি হাফিজের করা আবেদন খারিজ
দুদকের মামলায় সেলিম প্রধানের ৮ বছরের কারাদণ্ড
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিং আইনে দুদকের করা মামলায় অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধানকে পৃথক দুই ধারায় আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভুইয়ার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: দুই সহযোগীসহ সেলিম প্রধান আবারও রিমান্ডে
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের দায়ে সেলিম প্রধানকে চার বছর কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে তাকে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
এছাড়া মানিলন্ডারিংয়ের দায়ে চার বছর কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে তাকে আরএ ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিকে পৃথক দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। সেক্ষেত্রে তাকে চার বছর কারাভোগ করতে হবে।
রায় ঘোষণার সময় কারাগারে থেকে সেলিম প্রধানকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তার স্ত্রীও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছেন, রায় দিয়ে সমাজ থেকে দুর্নীতি দূর করা সম্ভব না। তাই দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেবেন না। দাওয়াত দিলে যাবেন না। জেনেশুনে কারও দাওয়াতে যাওয়া মানে রাষ্ট্রবিরোধী অবস্থান নেওয়া। দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় তার বিরুদ্ধে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান।
চার্জশিটে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ২৮৮ টাকার জ্ঞাতআয় বর্হিভুত সম্পদ অর্জন এবং ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ১৪৫ হাজার টাকা থাইল্যান্ড ও ইউএসএতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
ওই বছরের ৩১ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: অনলাইন ক্যাসিনো: সেলিম প্রধানের বাসা, অফিস থেকে ১ কোটি টাকা জব্দ
অনলাইন ক্যাসিনো: সেলিম প্রধানসহ রিমান্ডে ৩ জন
ঠাকুরগাঁও চিনিকলের এমডিসহ ২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
লিজ নেওয়া খেজুর বাগানের মেয়াদকাল শেষ না হতেই একই বাগান পুনরায় দরপত্র আহ্বান করায় ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহজাহান কবির ও খামার পরিচালক জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মনিরুজ্জামান মনির নামে এক ব্যক্তি।
গত বছরের ২৫ শে এপ্রিল ঠাকুরগাঁও সুগার মিল সদরের নারগুন ইউনিয়নের মোহন কৃষি খামারের বোচাপুকুর শাখার ৪৭০টি খেজুর গাছের রস আহরণের জন্য ভ্যাট ও আয়করসহ এক লাখ ৮২ হাজার ১১০ টাকায় বাগানটি লিজ নেন ওই এলাকার রমিজ উদ্দিনের ছেলে মনিরুজ্জামান মনির।
যার মেয়াদকাল ছিলো চলতি বছরের ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত।
কিন্তু সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান কবির বাগানের মেয়াদ শেষ না হতেই আট মাস আগেই পুনরায় ওই বাগানের দরপত্র আহ্বান করেন চলতি মাসের ৪ এপ্রিল।
গত বুধবার মনিরুজ্জামান মনির এ মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা জানিয়েছে এমএসএফ
আদালত বাদির অভিযোগটি আমলে নিয়ে সুগার মিল কর্তৃপক্ষের চলতি মাসের ৪ এপ্রিলের ঘোষিত দরপত্রটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং সেই সঙ্গে সাত দিনের মধ্যে বিবাদিকে দরপত্রের বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেন।
কিন্তু আদালতের এই নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এমডি তার মতো করে টেন্ডার সিডিউল বিক্রি ও গ্রহণ করেন।
মনিরুজ্জামান মনির জানান, ঠাকুরগাঁও সুগার মিল কর্তৃপক্ষ কোন কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে আমার লিজ নেয়া খেজুর বাগানটি নতুন করে লিজ প্রদানে দরপত্র আহ্বান করে। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিষয়টি আমি জানতে পেরে মিল কর্তৃপক্ষকে বন্ধের অনুরোধ করা হলেও কর্ণপাত করেননি তারা।
তিনি আরও বলেন, ধার-দেনা করে বাগান লিজ নিয়েছি। সময়ের আগেই অন্য কাউকে লিজ দিলে চরম ক্ষতির মুখে পড়বো আমি। তাই বাধ্য হয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি এবং ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও খামার পরিচালক এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি।
এ বিষয়ে মনিরুজ্জামান মনিরের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম জানান, সুগার মিল কর্তৃপক্ষ নতুন করে যেন লিজ প্রদান করতে না পারে সে কারণে আদালত একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। পাশাপাশি মামলাটি চলমান রয়েছে।
সুগারমিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহজাহান কবির দরপত্র আহ্বানের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আদালতের কাগজটি দুই দিন আগে হাতে পাওয়ায় টেন্ডার প্রক্রিয়াটি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। তবে লিজ দেওয়া হবে কি না তা পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সাবেক ডাকসু ভিপি নূরের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা খারিজ
ফেনীতে বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের নামে মামলা, আটক ১
সাতক্ষীরায় পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা জানিয়েছে এমএসএফ
সাতক্ষীরায় পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বিশিষ্ট আইনজীবী ও কর্মী সুলতানা কামালের নেতৃত্বে মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য নতুন সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
এমএসএফ বলেছে, সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের জনগণ এবং সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে তথ্য সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মানবাধিকার সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে এবং এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
আরও পড়ুন: ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলার নিন্দা জানিয়েছে ক্র্যাব
এর আগে লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি এবং শেমাইয়ের প্যাকেটে বিএসটিআই লোগো ও ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করায় 'শপিং ভ্যালি ফুড প্রোডাক্টস'-এর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করায় স্থানীয় পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করা হয়।
অভিযুক্ত সাংবাদিকরা হলেন অনলাইন পোর্টাল ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি সোহাগ হোসেন; ঢাকা মেইলের জেলা প্রতিনিধি গাজী ফরহাদ; দৈনিক পত্রদূতের হোসেন আলী; দৈনিক মুক্ত খবরের হাবিবুর রহমান; এবং দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার শাহীন বিশ্বাস।
প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন গত ২৯ মার্চ শপিং ভ্যালি ফুড প্রোডাক্টের লাচ্ছা সেমাই কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে।
র্যাব-৬ এর কমান্ডিং অফিসার মেজর জেএম গালিবের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লাচ্ছা তৈরি এবং এর প্যাকেটে বিএসটিআই লোগো ও ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করায় কারখানাটি বন্ধ করে দেয়।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে ২৩ মে এর মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এমএসএফ
ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এমএসএফ
ইউএনবির বিশেষ প্রতিবেদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশিষ্ট আইনজীবী এবং মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামালের নেতৃত্বে মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য নতুন সংস্থা মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
বৃহস্পতিবার সংগঠনটি এ মামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা ও অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
এমএসএফ বলেছে যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসীদের মধ্যে ভয় তৈরি করছে।
এতে আরও বলা হয়, ‘সাংবাদিকরা এই আইনের অপব্যবহারের শিকার হচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: সাবেক ডাকসু ভিপি নূরের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা খারিজ
মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, শুরু থেকেই আইনটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলেও এ আইনের নামে হয়রানি বেড়েই চলেছে।
এদিকে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সিনে-জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনও।
ক্র্যাবের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকার হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় আমাকে জড়ানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
‘এ ধরনের অভিযোগের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’ ‘একজন সাংবাদিক হিসেবে আমি সবসময়ই দায়িত্বশীল ও পেশাগতভাবে আমার দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করি।’
তিনি বলেছিলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী একটি খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের নিজস্ব স্বার্থ রক্ষার জন্য আমাকে এমন একটি মামলায় জড়িয়েছে।’
গত ১২ এপ্রিল হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক মো. আল-আমিন বাদী হয়ে জাহাঙ্গীরসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন।
এদিকে হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা ডিএসএ মামলায় জাহাঙ্গীরকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলার নিন্দা জানিয়েছে ক্র্যাব