মামলা
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতার হত্যার ঘটনায় আ.লীগ নেতাসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সাবেক যুবলীগ নেতা নোমান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হত্যার ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম জিহাদিসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও নিহত একজনের বড় ভাই মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে ১৮ ও অজ্ঞাত ১৪-১৫ জনকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: মিথ্যা গণধর্ষণ মামলা করায় নারীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
আসামিদের মধ্যে ছিলেন চন্দ্রগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম জিহাদি।
এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা না গেলেও আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলায় গত ২৫ এপ্রিল আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান (৩৫) ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম (২৮) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: দেশের কোর্টগুলোতে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন: প্রধান বিচারপতি
রকেটের গতিতে মামলা তদন্ত: সেই কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
শাকিব খানের মামলায় জামিন পেলেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ
চাঁদাদাবি, হত্যার হুমকির অভিযোগে ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় তারকা শাকিব খানের দায়ের করা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক রহমত উল্লাহ।
বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব জামিন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: জেম হত্যা মামলায় পৌর মেয়রসহ আসামি ৬৮ জন
এদিকে মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় তা বদলির আদেশ দেন আদালত। এদিকে এদিন শাকিব খান অসুস্থ থাকার কারণে আদালতে হাজির হতে পারেনি। এজন্য তার আইনজীবী সময় আবেদন করেন। আদালত সময়ে আবেদন মঞ্জুর করেন।
শাকিব খানের আইনজীবী খায়রুল হাসান এসব তথ্য জানান।
এর আগে গত ২৩ মার্চ শাকিব খান বাদী হয়ে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে রহমত উল্লাহকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিং চলার সময় শাকিব খানের বিরুদ্ধে সহকারী নারী প্রযোজককে ধর্ষণ ও শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ তোলেন রহমত উল্লাহ।
তবে শাকিব খানের দাবি, মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তার সুনাম ক্ষুণ্ন ও চাঁদা দাবি করেছেন রহমত উল্লাহ।
গত ২৭ মার্চ টেলিভিশনে মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে চিত্রনায়ক শাকিব খান আরও একটি মামলা করেন।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত এ মামলা গ্রহণ করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আগামী ৬ জুন পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ট্রলারে ১০ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা, প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ২
ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরও ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
কক্সবাজারে ট্রলারে ১০ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা, প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ২
বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে ভাসমান ট্রলার থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ১০ জনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানান কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজুল ইসলাম।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারেরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ১০ জনকে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
নিহতেরা হলেন- মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে সামশুল আলম (২৩), শাপলাপুর ইউনিয়নের মিটাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮), জাফর আলমের ছেলে সওকত উল্লাহ (১৮), মুসা আলীর ছেলে ওসমান গণি (১৭), সাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ (১৪), মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে নুরুল কবির (২৮), চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৪), শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান (৩৫) ও চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে তারেক জিয়া (২৫)।
গ্রেপ্তারেরা হলেন-বাইট্টা কামাল ও করিম সিকদার।
পুলিশ সুপার জানান, নিহত সামশুল আলমের স্ত্রী রোকেয়া আক্তার বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। কক্সবাজার সদর মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলায় বাইট্টা কামালকে প্রধান ও করিম সিকদারকে চার নম্বর আসামি করা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মাহফুজুল ইসলাম আরও জানান, মহেশখালীর মাতারবাড়ি ও আশপাশের এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ১০ জনকে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। অধিকতর তদন্তের স্বার্থে দুইজনকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাইবে পুলিশ। রিমান্ড মঞ্জুর হলে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে ধারণা পুলিশের।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১০ লাশ উদ্ধার
নিহত ১০ জন জলদস্যু ছিলেন কি না-এ প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। তবে নিহত সামশুল আলমের বিরুদ্ধে মাদক ও নুরুল কবিরের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা রয়েছে। সব কিছু মাথায় নিয়ে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
স্বজনদের দাবি, ভাসমান ট্রলারটির মালিক মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকার মোহাম্মদ রফিকের ছেলে সামশুল আলম। গত ৭ এপ্রিল মাঝিমাল্লা নিয়ে তিনি সাগরে মাছ ধরতে রওনা দেন। কিন্তু এরপর থেকেই ট্রলারসহ নিখোঁজ ছিলেন তারা।
ট্রলারটি গত ২২ এপ্রিল বিকালে কক্সবাজারের নাজিরারটেক পয়েন্টের কাছাকাছি টেনে নিয়ে আসে আরেকটি মাছ ধরার ট্রলার। এরপর ২৩ এপ্রিল সেখান থেকে ১০টি লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। ট্রলারে লাশগুলো বরফ ও মাছ রাখার স্টোরে হাত-পা বেঁধে ঢুকিয়ে দরজা পেরেক ঠুকে আটকে দেওয়া হয়।
পুলিশের ধারণা, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
জানা যায়, নিহত ১০ জনের মধ্যে ছয়জনেরই বাড়ি মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর মিঠাছড়ি এলাকায়। স্থানীয় মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে নুরুল কবিরের মাধ্যমে ওই এলাকার পাঁচজন কিশোর সাগরে যায়। কিন্তু নুরুল কবির ছাড়া বাকি কিশোররা পেশায় জেলে ছিল না। হঠাৎ তারা কেন সাগরে মাছ ধরতে গেছে সেটিও কেউ বুঝে উঠতে পারছে না।
পুলিশের ভাষ্য, উদ্ধার লাশগুলোর শরীরের প্রায় ৯৫ শতাংশ গলে গেছে। এর ফলে তাদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তারপরও স্বজনদের মাধ্যমে শনাক্ত করে ছয়জনের লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। বাকি চার লাশ এখনো মর্গেই রয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চট্টগ্রামে স্বামী আটক
কক্সবাজারে সমুদ্রে গোসলে নেমে পর্যটকের মৃত্যু
জেম হত্যা মামলায় পৌর মেয়রসহ আসামি ৬৮ জন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খায়রুল আলম জেমকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পৌর মেয়রসহ ৬৮ জানের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাতে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে গোপন বৈঠকে বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী আটক, ককটেল উদ্ধারের দাবি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের ভাই মুনিরুল ইসলাম শনিবার (২২ এপ্রিল) রাতে মামলাটি করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয় যে জেলা কৃষক লীগের সম্মেলন এবং গত সংসদ উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। খায়রুল আলম জেম জেলার শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন। এছাড়া তিনি জেলা যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্যও ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে আরও জানা গেছে, জেম হত্যা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও পৌর এলাকার বটতলা হাটের মিরপাড়ার রবু কন্ট্রাকটারের ছেলে মোখলেসুর রহমানকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার বহিষ্কৃত জেলা যুবলীগের সভাপতি সামিউল হক লিটন এবং মেসবাউল হক টুটুলকেও আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, গত বছর জেলা কৃষক লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রথম দফা তার সঙ্গে বর্তমান পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমানের দ্বন্দের সূত্রপাত হয় এবং পরবর্তীতে সদ্য শেষ হওয়া সংসদ উপনির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য আরেক দফা দ্বন্দের জেরে খাইরুল আলম জেমকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
সেই সূত্র ধরেই তার ভাইকে ইফতার কিনতে যাবার সময় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করার বিষয়টি এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
মামলার এজহারে ঘটনার দিনের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, গত বুধবার (১৯ এপ্রিল) চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদয়মোড় এলাকায় ইফতারির বাজার করার সময় দুর্বৃত্তরা খায়রুল আলম জেমকে দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার প্রক্রিয়াকালে তার মৃত্যু হয়।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। খুব শিগগিরই আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে এলাকায় যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
রংপুরে প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
কুড়িগ্রামের রাজারহাট এলাকার নালাকে নদ বানানো এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর ইউনুস আলীকে হেয় করে খবর প্রকাশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তা শেয়ারের ঘটনায় প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলার আবেদন করেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর ইউনুস আলী।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ২ যুবকের যাবজ্জীবন
মামলার আসামিরা হলেন-প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, বার্তা সম্পাদক রাজিব বসুনিয়া, রিপোর্টার জহির রায়হান এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ।
মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. আব্দুল মজিদ।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সামছুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর বীরমুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী একজন সম্মানিত ব্যক্তি ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে একজন সম্মানিত ব্যক্তির সম্মানহানি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা আশাবাদী আদালতের কাছে ন্যায়বিচার পাবো।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১০, ১২ ও ১৮ জানুয়ারি রাজারহাট এলাকার চাকির পশার নামে নালাকে নদ বানিয়ে তিনটি সংবাদ প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়।
এছাড়া মামলার বাদী অবসরপ্রাপ্ত মেজর ইউনুস আলীকে হেয় প্রতিপন্ন করে সংবাদ প্রকাশ এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করা হয়। এসব ঘটনায় প্রথম আলোর সম্পাদকসহ চারজনের বিরুদ্ধে রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার রায়: আদালত চত্বরে বিক্ষোভ, ছাত্রদল নেতা আটক
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
হবিগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ২ যুবকের যাবজ্জীবন
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে লন্ডন প্রবাসী এক ব্যক্তির মা ও স্ত্রীকে হত্যার দায়ে দুই যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচার মো. আজিজুল হক এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নবীগঞ্জ উপজেলার আমতইল গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে তালেব মিয়া (১৮) এবং বানিয়াচং উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের জাকারিয়া আহমদ শুভ (২০)।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ ও মানবপাচার মামলার পৃথক রায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৩মে রাত ১১টায় নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের সুদুল্লাপুর গ্রামের প্রবাসী রাজা মিয়ার ঘরে প্রবেশ করে তার স্ত্রী মালা বেগম (৫০) ও তার পুত্রবধূ রুবি বেগমকে (২২) হত্যা করে পালিয়ে যায় দণ্ডপ্রাপ্তরা। নিহত রুবি বেগমের ভাই নজরুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার পর পুলিশ তদন্ত করে একই বছরের ১১ আগস্ট আদালতে ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এদিকে, আদালত ৩১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা এ ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
রায়ে বিচারক উল্লেখ করেন দণ্ডপ্রাপ্তদের বয়স কম হওয়ায় জোড়া খুনের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হলো না
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট পারভীন আক্তার এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট চৌধুরী আশরাফুল বারি নোমান।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
খুলনায় হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের রায়কালী গ্রামের কৃষক মোয়াজ্জেম হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একবছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জয়পুরহাটের জেলা ও দায়রা জজ মো. নূর ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী খাঁ পাড়া গ্রামের আকরাম সাখিদার, মুক্তার হোসেন, এনজার হোসেন ও এনামুল হক।
এ মামলায় পাঁচজন অভিযুক্ত হলেও বিচার চলাকালীন সময়ে হাবেজ উদ্দীন নামে এক আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাকে এ মামলার অভিযোগ থেকে বাদ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০০৭ সালের ১৭ অক্টোবর সকাল সোয়া ১০টার দিকে আসামিদের অতর্কিত হামলায় কৃষক মোয়াজ্জেমসহ ওই গ্রামের কয়েকজন আহত হন। পরে চিকিৎসা নিতে গেলে চিকিৎসক মোয়াজ্জেমকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ওইদিনই নিহতের বাবা মোসলেম উদ্দিন আক্কেলপুর থানায় পাঁজজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর ৫ জনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল পিপি এবং আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নন্দকিশোর আগরওয়ালা।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে সেনা সদস্যকে লাঠিপেটা, ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ২
জয়পুরহাটে কিডনি কেনাবেচা চক্রের ৯ সদস্য আটক
মিথ্যা গণধর্ষণ মামলা করায় নারীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
কক্সবাজার আদালত চত্বরে সংঘটিত বহুল আলোচিত গণধর্ষণ মামলার বাদী রুনা আক্তারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. মুসলেম উদ্দীন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত রুনা আক্তার কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ আউলিয়াবাদ এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অভিযোগে ২৩ জেলের কারাদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২২ সালের মার্চ মাসে কক্সবাজার আদালত চত্বর থেকে তুলে নিয়ে তাকে গণধর্ষণ করা হয় দাবি করে মামলা করেন রুনা আক্তার। পরে মামলাটি আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় সব আসামিকে খালাস দেন আদালত।
মামলা থেকে খালাস পেয়ে আসামি রাসেল উদ্দিন বাদী হয়ে রুনার বিরুদ্ধে আদালতে পাল্টা মামলা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর এপিপি বদিউল আলম জানান, রুনা আক্তারের দায়ের করা ধর্ষণ মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। আদালত আসামিদের খালাস দিয়ে মামলাটি খারিজ করে দেন। কিন্তু তার আগে আসামিরা দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন। তাই সংক্ষুব্ধ হয়ে আসামিদের একজন হয়রানির অভিযোগে একটি মামলা করেন। ওই মামলাটি স্বল্প সময়ের মধ্যে বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি রুনা আক্তারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আদালতের নির্দেশে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ১৭ জেলের বিরুদ্ধে মামলা
ঈদের আগে ৩ দিন মহাসড়কে নির্মাণসামগ্রীবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বগুড়ায় ‘৫০০ কোটির বাড়ি’র মালিকের নামে দুদকের মামলা
বগুড়ার শিবগঞ্জের দেউলিতে ‘৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে’ নির্মিত বাড়ির মালিক সাখওয়াত হোসেন টুটুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে ৯ কোটি ৩২ লাখ ১৩ হাজার ৮৬১ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের হয়। দুদকের বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান বাদী হয়ে রবিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে এ মামলা করেন।
সাখওয়াত হোসেন এএইচজেডি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও বগুড়ার শিবগঞ্জের দেউলি গ্রামের মৃত আব্দুল হাই সরকারের ছেলে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আ.লীগ নেতা দুলুর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জানা যায়, সাখওয়াত হোসেন টুটুল তার গ্রামে শ্বেতপাথর দিয়ে প্রাসাদোপম বাড়ি নির্মাণ করেছেন। ২০০৬ সাল থেকে ১০ বছর ধরে এক একর জমিতে বাড়িটি নির্মাণে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে কথিত আছে। তবে সেই বাড়িতে কেউ বসবাস করেন না। সাখাওয়াত সপরিবারে ঢাকায় থাকেন।
এর আগে ২০১৮ সালে ঢাকার মতিঝিল থানায় রূপালী ব্যাংকের দিলকুশা শাখা থেকে ৯৩ কোটি টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম একটি মামলা করেন।
মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিনি কারাগারেও ছিলেন কিছু দিন।
দুদকের বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান বলেন, সাখাওয়াত হোসেনকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ দেওয়া হলে তিনি ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
বিবরণীতে দেখা যায়, তার স্থাবর-অস্থাবর মিলে সম্পদের পরিমাণ ১৮ কোটি ৫৭ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩৭ টাকা। কিন্তু যাচাইকালে তার স্থাবর-অস্থাবরসহ মোট গ্রহণযোগ্য সম্পদ পাওয়া যায় ৯ কোটি ২৫ লাখ ৪৩ হাজার ৯৬৭ টাকার।
এই হিসাবে সাখাওয়াত জ্ঞাত-আয়বহির্ভূতভাবে ৯ কোটি ৩২ লাখ ১৩ হাজার ৮৬১ টাকার সম্পদ ভোগ-দখলে রেখেছেন।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করায় দুদক আইন-২০০৪ সালের ২৭-এর (১) ধারায় সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা দুলুর দুর্নীতি মামলার বিচার ১ বছরে শেষ করার নির্দেশ
বিএনপি নেতা মিনু, দুলুসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি: খুলনায় বিস্ফোরক আইনে ২২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বিএনপির খুলনার ফুলতলা উপজেলা শাখার আহ্বায়কসহ ২২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। শনিবার সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।
এর আগে শনিবার সারাদেশে শহর, থানা ও উপজেলায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা শাখার আহ্বায়ক অধ্যাপক গাজী আব্দুল হকের নেতৃত্বে জামিরা রোডে জড়ো হন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এ সময় তাদের কর্মসূচি পালনের অনুমতি না থাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয় বলে জানায় পুলিশ।
এদিকে পুলিশের দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় খুলনা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মো. রাশেদসহ বিএনপির ৯ জন নেতাকর্মী জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
রবিবার দুপুরে তারা কারাগার থেকে ছাড়া পান।
আরও পড়ুন: নাটোরে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে আ.লীগের হামলায় কর্মসূচি পণ্ড
বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি: ঢাকার রাজপথে জড়ো হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা