মামলা
সাংবাদিক মাহবুব আলম লাবলুর বিরুদ্ধে মামলায় বিএসআরএফ’র উদ্বেগ
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)-এর সদস্য এবং দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মাহবুব আলম লাবলুর বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় বিএসআরএফ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার বিএসআরএফ এর সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএসআরএফ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়।
বিবৃতিতে নেতারা অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেছে, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাবেক নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর যেভাবে স্থানীয় দৈনিক ‘দৈনিক যুগান্তর’-এর বিশেষ প্রতিবেদক লাভলুর বিরুদ্ধে যে মামলা করেছেন, তা সাংবাদিকতার পরিপন্থী।
উল্লেখ্য, সংবাদ প্রকাশের জেরে গত বুধবার (২৯ মার্চ) মাহবুব আলম লাবলু’র বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবিরের আদালতে মামলাটি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, হেলাল আকবর বাবর কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক মাহবুব সম্প্রতি ‘দুবাই ফেরত চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবর বাহিনীর দাপট, শাহ আলম সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি রেল’- শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। প্রতিবেদনটি তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে শেয়ারও করেন।
প্রতিবেদনে হেলাল আকবরকে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দখলবাজ ও সন্ত্রাসীদের গডফাদার বলে উল্লেখ করা হয়। মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন লিখে ভুক্তভোগীর মানহানি করায় হয় বলে মামলায় অভিযোগ আনেন বাদী যুবলীগ নেতা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে যুবলীগ নেতার মামলা
প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠালেন আদালত
প্রথম আলোর সাংবাদিক শামস আদালতে
চট্টগ্রামে দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতার মামলা
চট্টগ্রামে ‘দৈনিক যুগান্তর’- এর সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইবুনাল আইনে মামলা করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাবেক নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। বুধবার (২৯ মার্চ) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবিরের আদালতে মামলাটি করা হয়।
মামলার আসামি করা হয়েছে- দৈনিক যুগান্তরের ঢাকা অফিসের স্টাফ রিপোর্টার মাহাবুবুল আলম বাবলুকে।
আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, হেলাল আকবর বাবর কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক মাহবুব সম্প্রতি ‘দুবাই ফেরত চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবর বাহিনীর দাপট, শাহ আলম সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি রেল’- শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সাংবাদিক শামস আদালতে
প্রতিবেদনটি তিনি ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে শেয়ার করেন।
প্রতিবেদনে হেলাল আকবরকে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দখলবাজ ও সন্ত্রাসীদের গডফাদার বলে উল্লেখ করা হয়। মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন লিখে ভুক্তভোগীর মানহানি করায় হয় বলে মামলায় অভিযোগ আনেন বাদী যুবলীগ নেতা।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর বাবর ইউএরবিকে বলেন, কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে আমার বিরোধ নাই, সবার সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক। যুগান্তরের এই সাংবাদিক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর দিয়ে আমার সম্মান নষ্ট করেছে।
তিনি আরও বলেন, তিনি লিখেছেন আমি নাকি সন্ত্রাসী ও টেন্ডারবাজ। মামলার আগে তাকে আমি উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি। প্রয়োজনে আরও একটি মানহানির মামলা করবো।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠালেন আদালত
চট্টগ্রামে প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ৩ জনকে লিগ্যাল নোটিশ
প্রথম আলোর সাংবাদিক শামস আদালতে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১০টা ১০ মিনিটের দিকে পুলিশের একটি দল তাকে আদালতে নিয়ে যায়।
বুধবার (২৯ মার্চ) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকার বাসা থেকে সাদা পোশাকে শামসকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা।
ওই দিনই যুবলীগের এক নেতা দৈনিক প্রথম আলোতে 'মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন' প্রকাশের অভিযোগে শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা একটি মামলায় প্রথম আলোর প্রতিবেদককে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে বিরোধী দল বিএনপি শামসের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি একটি 'ভয়াবহ ঘটনা'।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনও প্রথম আলোর সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছে।
এছাড়া প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ১৯ মিনিটে প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে এ বিষয়ক একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে প্রথম আলোর সাংবাদিক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর
দিনাজপুরে মিজান হত্যা মামলার অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
দিনাজপুরে মিজান হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আরিফ হোসেনকে দুই বছর পর মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব-১৩ এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-১ সদস্যরা।
অভিযুক্ত ২০২১ সালের মার্চে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের সামনে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মী মিজানকে হত্যার পর আত্মগোপনে ছিল।
বুধবার র্যাব-১৩ এর মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানান।
তিনি বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০২১ সালের মার্চ মাসে দিনাজপুরের আব্দুর রহিম মেডিকেল হাসপাতাল সংলগ্ন একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত অবস্থায় মিজানকে (৪৩) হত্যা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে জাল রুপি ও টাকা জব্দ, গ্রেপ্তার ৪
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন তার স্ত্রী। এজাহারনামীয় অন্যতম প্রধান আসামি আরিফ হোসেন দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল। আরিফ হোসেন (৩৬) সদরের দাড়াইল গ্রামের রজব আলীর ছেলে।
ইতোমধ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে বিজ্ঞ আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, র্যাব-১৩ এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-১ এর দিনাজপুরের অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মোড় এলাকায় মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে তুলে দিবেন তারা।
আরও পড়ুন: সিলেটে সাইবার অপরাধ চক্রের মূলহোতা গ্রেপ্তার: র্যাব
রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা শাকিবের
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান।
সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত অভিযোগকারী শাকিব খানের জবানবন্দী গ্রহণ শেষে অভিযোগটি তদন্ত করে আগামী ৬ জুন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
শাকিব খানের আইনজীবী খায়রুল হাসান জানান বেলা পৌনে একটার দিকে মামলা করতে আদালতে আসেন শাকিব খান।
এরপর জবানবন্দি দিতে আদালতের কাঠগড়ায় ওঠেন।
এসময় বিচারক বলেন, সময় মতো আসতে হবে। আগের দিনই বলে দেয়া হয়েছে কখন আসতে হবে। তখন শাকিব খান বলেন, জ্বি স্যার। এরপর বিচারক বলেন, এটা তো আপনার আইনজীবী ভালো জানার কথা। এরপর তিনি জবানবন্দি দিতে শপথ পাঠ করেন।
গত ২৩ মার্চ চাঁদা দাবি, হত্যার হুমকির অভিযোগে মোহাম্মদ রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে সিএমএম আদালতে মামলা করেন শাকিব খান।
ঢাকার মহানগর হাকিম আরফাতুল রাকিবের আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করে মোহাম্মদ রহমত উল্লাহকে আগামী ২৬ এপ্রিল আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।
এরপর শাকিব খান যান ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে। তবে মামলা করার সময় অতিবাহিত হওয়ায় এদিন তিনি মামলা করতে পারেননি। সোমবার (আজ) তাকে আদালতে আসতে বলেন বিচারক।
জানা গেছে, এর আগে চলচ্চিত্র প্রযোজক দাবি করা রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করতে থানায় যান শাকিব খান। তবে থানা থেকে মামলা গ্রহণ না করে তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
চট্টগ্রাম আদালতে ছেলের বিরুদ্ধে বৃদ্ধ বাবার মামলা
ভরণ না দিয়ে উল্টো জন্মদাতা বাবাকে হত্যার হুমকি এবং বাড়িঘর ও সম্পত্তি দখল করে নেয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামে ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলা করেন।
ভুক্তভোগী হাফেজ আবুল মোজাফফর (৭৮) জেলার লোহাগাড়ার চরম্বা মাইজভিলা এলাকার মৃত মৌলভী লাল মিয়ার ছেলে এবং নগরের গণি বেকারি মোড় হযরত মোল্লা মিসকিন শাহ (রাহ.) মসজিদের মুয়াজ্জিন।
অভিযুক্ত ছেলের নাম মো. ইয়াছিন (৪৫)।
চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারজানা ইয়াসমিনের আদালতে করা এই মামলা সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের (বিএইচআরএফ) মহাসচিব অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান।
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র প্রযোজকের বিরুদ্ধে 'হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির' অভিযোগ এনে শাকিব খানের মামলা
মামলায় বৃদ্ধ মুজাফফর অভিযোগ করেন, ২০১৪ সাল থেকে হাফেজ আবুল মোজাফফরের জমি ও ঘর দখলে নিয়ে বসবাস করছে ছেলে মো.ইয়াছিন। সম্পত্তি তার নামে লিখে দেয়ার জন্য বাবাকে চাপ দিয়েও না পেরে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
বাবার কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে ব্যবসার কথা এবং পরিবারের বিভিন্ন প্রয়োজনে তিন লাখ সাত হাজার ৪৩৫ টাকা ধার নেয় ইয়াছিন। সেই টাকাও ফেরত দেয়নি।
২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকাকালে লোহাগাড়ার আধুনগর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে হেবা দলিলে সই নিয়ে নেয় ইয়াছিন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গ্রামের বাড়িতে ছেলে সব সম্পত্তি নিজের দাবি করে বাবাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর ১৬ মার্চ পুনরায় বাড়িতে গিয়ে ধার নেয়া টাকা ফেরত চাইলে উত্তেজিত হয়ে ছেলে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করে।
অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান বলেন, প্রাণনাশের হুমকি ও ভরণ-পোষণ না দেয়াসহ একাধিক অভিযোগে ছেলে মো.ইয়াছিন বিরুদ্ধে বৃদ্ধ বাবা হাফেজ আবুল মোজাফফর আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি গ্রহণ করেন এবং লোহাগাড়া থানার ওসিকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেলেন মাহিয়া মাহি
চলচ্চিত্র প্রযোজকের বিরুদ্ধে 'হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির' অভিযোগ এনে শাকিব খানের মামলা
চলচ্চিত্র প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলা করেছেন ঢালিউড তারকা শাকিব খান।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আরাফাতুল রাকিবের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
তানভীর বলেন, বাদীর জবানবন্দি রেকর্ডের পর আদালত রহমত উল্লাহকে আগামী ২৬ এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তলব করেছেন।
এর আগে রবিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কার্যালয়ে গিয়ে রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন শাকিব।
গত ১৫ মার্চ রহমত উল্লাহ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে 'অপারেশন অগ্নিপথ' ছবির সহ-প্রযোজক অস্ট্রেলিয়ার এক নারীকে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: শাকিব খান ডিবিতে, ধর্ষণের অভিযোগের বিরুদ্ধে দিলেন লিখিত অভিযোগ
শাকিব খানের ‘জান্নাত’-এ দুর্বৃত্তদের হানা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেলেন মাহিয়া মাহি
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর কয়েক ঘণ্টা পর অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে জামিন দিয়েছেন গাজীপুরের একটি আদালত।
শনিবার (১৮ মার্চ) গাজীপুর জেলা কারাগারের সুপার আনোয়ার হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাহিয়া মাহি দুটি মামলায় জামিন পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরব থেকে অবতরণের পর ঢাকা বিমানবন্দরে মাহিয়া মাহি গ্রেপ্তার
এর আগে ফেসবুক লাইভে গিয়ে ‘পুলিশের মানহানি’ করার অভিযোগে শুক্রবার রাতে মাহি ও তার স্বামী রাকিবের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন বাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রোকন মিয়া।
বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হলেও মামলার আসামি স্বামী রাকিব সরকার দেশে ফেরেননি। পরে গাজীপুরের আদালত মাহিকে কারাগারে পাঠায়।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ কমিশনার ও পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে শুক্রবার রাতে মাহি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। শনিবার দুপুরে সৌদি আরব থেকে আসার পরপরই ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবির উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, গাজীপুর পুলিশের একটি দল মাহিকে গ্রেপ্তার করে বাসন থানায় নিয়ে যায়।
অন্যদিকে মারধর, ভাঙচুর ও জমি দখলের অভিযোগে মাহি ও তার স্বামীসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে বাসন থানায় আরেকটি মামলা করেছেন ইসমাইল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আবু তোরাব মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, ফেসবুকে লাইভে যাওয়ার পর গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলামসহ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে পুলিশ ওই দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
আরও পড়ুন: সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মামলার বিবৃতি অনুযায়ী, মাহি তার ফেসবুক পেজ থেকে শুক্রবার ভোরে লাইভে গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে।
লাইভে তিনি বলেন, ‘ইসমাইল হোসেন ও মামুন সরকার তাদের লোকজনের মাধ্যমে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের কাছে মাহির মালিকানাধীন সনি রাজ কার প্যালেস নামের একটি গাড়ির শোরুমে হামলা চালায়।’
এছাড়া গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ঘুষ নিয়ে ‘হামলাকারীদের সমর্থন’ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন অভিনেত্রী ও তার স্বামী।
তিনি আরও বলেন, মক্কা থেকে দেশে ফেরার পর গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
ফেসবুক লাইভে মাহিয়ার স্বামী রাকিব অভিযোগ করেন, পুলিশ গাড়ির শোরুমের নিরাপত্তারক্ষীদের গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে গাজীপুর শহরের ইটাহাটা এলাকায় রড বাইন্ডিং কারখানার মালিক ও একটি মামলার বাদী ইসমাইল হোসেন অভিযোগে বলেন, গত ১০ বছর ধরে ওই এলাকায় জমি কিনে কারখানা চালাচ্ছেন।
শুক্রবার রাকিব ও মাহিয়ার পক্ষে কয়েকজন মিলে কারখানায় হামলা ও ভাঙচুর করে বলে জানান তিনি।
অভিযোগে বলা হয়েছে, জমি দখলের চেষ্টাকালে তারা কারখানায় পাঁচজনকে পিটিয়ে আহত করে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্লা নজরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি ফেসবুকে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মিথ্যা কথার মাধ্যমে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করেছেন।
ব্যবসায়ী ইসমাইলের দায়ের করা মামলায় এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ মামলায় মাহি ও তার স্বামী প্রধান আসামি (হুকুমের আসামি) ছিলেন বলে জানান কমিশনার নজরুল।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা: অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা: অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পর অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে শনিবার কারাগারে পাঠিয়েছে গাজীপুরের আদালত।
তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে গাজীপুর মহানগর হাকিম ইকবাল হোসেন কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে মাহিকে গ্রেপ্তার করা হলেও তার সঙ্গে দেশে ফেরেননি মামলার আরেক আসামি স্বামী রকিব সরকার।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে শুক্রবার রাতে মাহি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আজ দুপুরে সৌদি আরব থেকে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরপরই তাকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।’
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম জানান, গাজীপুর পুলিশের একটি দল মাহিকে গ্রেপ্তার করে বাসন থানায় নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে বাসন থানার উপ-পরিদর্শক মো. রোকন মিয়া বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মাহি দম্পতির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে একই রাতে অপর মামলাটি করেন স্থানীয় ইসমাইল হোসেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামীর নামে ২ মামলা
এর আগে মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকার জমি ও শো-রুম নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে ও গাজীপুর মহানগর পুলিশকে জড়িয়ে ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে মক্কা থেকে ফেসবুক লাইভে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। অন্যদিকে, ইসমাইল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে মারধর, কারখানা ভাঙচুর ও জমি দখলের অভিযোগ তুলে ধরেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. আবু তোরাব মোহাম্মদ শামসুদ্দিন জানান, শুক্রবার রাতে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী আওয়ামী লীগ নেতা রকিব সরকারের নামে গাজীপুর মহানগরের বাসন থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফেসবুক লাইভে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামসহ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন মারধর, ভাঙচুর, চাঁদাদাবি ও জমি দখলের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হুকুমের আসামি করে ২৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দুটোর বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ দিকে মাহি মক্কা থেকে রওনা দেয়ার আগে শুক্রবার মধ্যরাতে আবারও ফেসবুক লাইভে যুক্ত হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। শনিবার সকালে দেশে পৌঁছাবেন জানিয়ে এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে গ্রেপ্তার হতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এ সময় তার স্বামী রকিব সরকারও তাদের শো-রুমে হামলা ও সেখানকার নিরাপত্তা কর্মীদের গ্রেপ্তারের অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে, নগরের ইটাহাটা এলাকার রড বাইন্ডিং কারখানা মালিক ইসমাইল হোসেন জানান, জমি কিনে কমপক্ষে ১০ বছর ধরে তিনি কারখানা বানিয়ে তাতে দখলে রয়েছেন। বর্তমান বাজারদরে প্রায় চার কোটি টাকা দামের এই জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধে উচ্চ আদালতেও তার পক্ষে রায় রয়েছে। এরপরও শুক্রবার ভোরে রাকিব সরকার ও তার স্ত্রীর লোকজন অতর্কিত হানা দিয়ে তাদেরকে মারধর করে অন্তত পাঁচজনকে পিটিয়ে আহত করেছে এবং জবর দখলের চেষ্টা করে। তিনি পুলিশ কর্মকর্তা ও সরকারের প্রতি এর সুষ্ঠু প্রতিকার দাবি করছেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরব থেকে অবতরণের পর ঢাকা বিমানবন্দরে মাহিয়া মাহি গ্রেপ্তার
গাজীপুরে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামীর নামে ২ মামলা
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী আওয়ামী লীগ নেতা রকিব সরকারের নামে মামলা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি এবং মারধর, ভাঙচুর, চাঁদাবাজির অভিযোগে অপর একটি মামলা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে বাসন থানার উপ-পরিদর্শক মো. রোকন মিয়া বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মাহি দম্পতির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে একই রাতে অপর মামলাটি করেন স্থানীয় ইসমাইল হোসেন।
এর আগে মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকার জমি ও শো-রুম নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে ও গাজীপুর মহানগর পুলিশকে জড়িয়ে ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে মক্কা থেকে ফেসবুক লাইভে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। অন্যদিকে, ইসমাইল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে মারধর, কারখানা ভাঙচুর ও জমি দখলের অভিযোগ তুলে ধরেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. আবু তোরাব মোহাম্মদ শামসুদ্দিন জানান, শুক্রবার রাতে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী আওয়ামী লীগ নেতা রকিব সরকারের নামে গাজীপুর মহানগরের বাসন থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফেসবুক লাইভে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামসহ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে উপনির্বাচন: আ.লীগের মনোনয়নপত্র নিয়েছেন নায়িকা মাহি
স্থানীয় ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন মারধর, ভাঙচুর, চাঁদাদাবি ও জমি দখলের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হুকুমের আসামি করে ২৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দুটোর বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ দিকে মাহি মক্কা থেকে রওনা দেয়ার আগে শুক্রবার মধ্যরাতে আবারও ফেসবুক লাইভে যুক্ত হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। শনিবার সকালে দেশে পৌঁছাবেন জানিয়ে এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে গ্রেপ্তার হতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এ সময় তার স্বামী রকিব সরকারও তাদের শো-রুমে হামলা ও সেখানকার নিরাপত্তা কর্মীদের গ্রেপ্তারের অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে, নগরের ইটাহাটা এলাকার রড বাইন্ডিং কারখানা মালিক ইসমাইল হোসেন জানান, জমি কিনে কমপক্ষে ১০ বছর ধরে তিনি কারখানা বানিয়ে তাতে দখলে রয়েছেন। বর্তমান বাজারদরে প্রায় চার কোটি টাকা দামের এই জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধে উচ্চ আদালতেও তার পক্ষে রায় রয়েছে। এরপরও শুক্রবার ভোরে রাকিব সরকার ও তার স্ত্রীর লোকজন অতর্কিত হানা দিয়ে তাদেরকে মারধর করে অন্তত পাঁচজনকে পিটিয়ে আহত করেছে এবং জবর দখলের চেষ্টা করে। তিনি পুলিশ কর্মকর্তা ও সরকারের প্রতি এর সুষ্ঠু প্রতিকার দাবি করছেন।
এর আগে শুক্রবার ভোরে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে তার স্বামী গাজীপুরের ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা রকিব সরকারের গাড়ির শো-রুমে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ তোলেন ইসমাইল হোসেন ও মামুন সরকারের বিরুদ্ধে।
তারা লাইভে জানান, গাজীপুর মহানগরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্বপাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশের তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সনি রাজ কার প্যালেস নামের গাড়ির শো-রুম দখলের উদ্দেশ্যে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।
দীর্ঘ সময়ের লাইভে তারা এ ঘটনায় গাজীপুর মহানগর পুলিশের বিরুদ্ধেও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে কমিশনারের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ নেয়ার’ অভিযোগও করেন।
এ প্রসঙ্গে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মাহিয়া মাহি পুলিশের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ করেছেন, মিথ্যা বলে মানুষের সহানুভূতি নেয়ার চেষ্টা করেছেন। যাদের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাদেরও আমি চিনি না।’
আরও পড়ুন: মাহির ফেসবুক পেজে কোনো ছবি নেই