মামলা
কুমিল্লায় শিশু হত্যা মামলায় দুই শিশুর ১০ বছরের কারাদণ্ড
কুমিল্লায় শিশু রাশেদ হোসেনকে (১৫) গলা কেটে হত্যার দায়ে ১৫ বছর বয়সী দুই শিশুকে এই আইনে সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। (প্রতিষ্ঠানের নীতি অনুযায়ী, ১৮ বছরের নিচে বয়স হওয়ায় শিশু দুটির নাম প্রকাশ করা হলো না)
সোমবার দুপুরে কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন। মামলার বিশেষ সহকারী কৌঁসুলি প্রদীপ কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুই শিশুর বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায়।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর-১: ভোটারদের বাধা দেওয়ায় ৪ জনের কারাদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা যায়, নিহত রাশেদ কুমিল্লা বিসিক শিল্প নগরীর ফরিদ ফাইবার লিমিটেড ফ্যাক্টরির টুস্টিং বিভাগের শ্রমিক ছিল। সে সদর উপজেলার গোবিন্দপুরের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে।
২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল দুপুরে রাশেদ কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে রাতে আর বাসায় ফিরেনি। পরদিন সকালে সদর দক্ষিণ উপজেলার ৩ নম্বর গলিয়ারার ফুলতলীর একটি পুকুর থেকে রাশেদের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরদিন এ ঘটনায় নিহতের বোন মোসাম্মত নীপা আক্তার বাদী হয়ে দুই শিশুকে আসামি করে সদর দক্ষিণ থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় একজনের ১০ বছর কারাদণ্ড
গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ, সহকারী পোস্টমাস্টারসহ ৬ জনের কারাদণ্ড
রানা প্লাজা ধস: ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ
সাভারে রানা প্লাজা ধসে হতাহতের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা হত্যা মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
একই সঙ্গে ভবন মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতের আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিনসংক্রান্ত আপিল বিভাগের আদেশ বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ৮ বছর
জামিন স্থগিত থাকায় সোহেল রানা মুক্তি পাচ্ছেন না বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন (লিভ টু আপিল) শুনানির নির্ধারিত দিন সোমবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
আরও পড়ুন: ‘রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি’ নিয়ে দৃক গ্যালারিতে চলছে প্রদর্শনী
সোহেল রানার পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী মো. কামরুল ইসলাম। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মুনমুন নাহার।
এর আগে গত বছরের ১০ জুলাই আপিল বিভাগ রানার জামিন আবেদনের বিষয়টি (স্ট্যান্ডওভার) মূলতবি করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার সেটি শুনানি হয়।
গত বছরের ৮ মে ঢাকার অদূরে সাভারে রানা প্লাজা ধসে হতাহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন (লিভ টু আপিল) শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা শুরু
একই সঙ্গে এই সময় পর্যন্ত সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
এই মামলায় সোহেল রানার জামিন মঞ্জুর করে (রুল অ্যাবসলিউট) গত ৬ এপ্রিল রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা গত ৯ এপ্রিল চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য উঠে।
সেদিন চেম্বার আদালত সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি ৮ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি: সোহেল রানার জামিন আদেশ আরও ৬ মাস স্থগিত
তারই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১০ জুলাই আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ রানার জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের বিষয়টি (স্ট্যান্ডওভার) মূলতবি করেছিলেন।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৫ জন শ্রমিক নিহত হন। গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেন ১ হাজার ১৬৯ জন।
ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় একই বছরের ২৯ এপ্রিল বেনাপোল থেকে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর থেকে তিনি কারাগারে।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা ধসের ৯ বছর আজ
সিলেটে বিএনপির ৪৬ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
সিলেটে দুটি ঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতিসহ ৪৬ জনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করেছে পুলিশ।
দক্ষিণ সুরমায় ট্রাকে অগ্নিকাণ্ড ও মহানগরের আম্বরখানা এলাকায় বিএনপির ককটেল বিস্ফোরণের দায়ে মামলাগুলো করা হয়।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট দুই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৭০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, ট্রাকচালক আটক
জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ২টার দিকে সিলেট মহানগরের আম্বরখানা জামে মসজিদের সামন থেকে জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা নির্বাচন বিরোধী লিফলেট বিতরণ ও মিছিল শুরু করেন।
এসময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে সাপ্লাই এলাকায় গিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান ছাত্রদলের নেতা-কমীরা। এ সময় ধাওয়া করে চারজনকে আটক করে পুলিশ।
আটকরা হলেন- জেলা বিএনপির মৎস্যবিষয়ক সম্পাদক জালাল খাঁন, সিলেট মহানগর বিএনপি নেতা আলী হায়দার মজনু, মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের নেতা জেবুল আহমদ ও সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর আলী।
আরও পড়ুন: মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার 'সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ' আইনি প্রক্রিয়া চায় যুক্তরাষ্ট্র
এসএমপি এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়া বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক মামলা দায়ের করেছে। আটক চারজনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওসি বলেন, এ মামলার এজাহারে আসামি ২১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আসামি আছেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।
এছাড়া বিএনপির আরও দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন চেয়ে আপিল বিভাগে ইনসানিয়াতের মামলা
এদিকে, শুক্রবার দিবাগত দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার এলাকায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ক্যাম্পের পাশে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে একটি ট্রাকে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়ারদৌস হাসান বলেন, এ ঘটনায় অজ্ঞাত ২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিক-কর্মচারীদের মামলায় ড. ইউনুসের শাস্তি হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার 'সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ' আইনি প্রক্রিয়া চায় যুক্তরাষ্ট্র
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারকে একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করেছি।’
মুখপাত্র বলেন, ইউনূস বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এই অবস্থানের জন্যই তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার এবং অন্যান্য অনেক আন্তর্জাতিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, তারা তার বিরুদ্ধে মামলাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
মিলার বলেন, ‘অবশ্যই আমরা এই রায়ের বিস্তৃত আন্তর্জাতিক সমালোচনা দেখেছি।’
আরও পড়ুন: রায়কে 'সব আইনি নজির ও যুক্তির পরিপন্থী' অভিহিত করলেন ড. ইউনূস
তিনি বলেন, তারা এ সম্পর্কিত পরবর্তী কোনো উন্নয়ন নিবিড়ভাবে অনুসরণ করতে থাকবে।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের ৩ শীর্ষ কর্মকর্তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার তৃতীয় নম্বর শ্রম আদালত।
৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন মুখপাত্র মিলার পুনর্ব্যক্ত করেন, তারা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা বেশ কয়েকবার স্পষ্ট করেছি। আমরা নির্বাচন খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করব।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নয়, ড. ইউনূসকে সাজা দিয়েছেন আদালত: কাদের
শ্রমিকদের পাওনা না দিলে ‘নোবেল জয়ী’ বলে কি মামলা হবে না: তথ্যমন্ত্রী
নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে কেন মামলা করা হয়েছে তার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের পাওনা কিংবা অধিকার বুঝিয়ে না দেওয়ায় একজন নোবেল জয়ীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের শ্রম অধিকার বিষয়ে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর ভূমিকার সমালোচনাও করেছেন তিনি।
সোমবার (১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘শরণার্থীর জবানবন্দী ১৯৭১’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মত িবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার রায় প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে অনেক নোবেলজয়ী ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। অনেকে জেলও খেটেছেন। ড. ইউনূসের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাচ্ছি, তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে শ্রমিকের পাওনা বুঝিয়ে না-দেওয়ার জন্য। তিনি শ্রমিকের পাওনা বুঝিয়ে দেননি, বহু বছর ধরে।
তিনি বলেন, ‘এরপর যখন শ্রমিকরা আদালতে গেছেন, তখন আদালতের বাইরে দুজন শ্রমিক নেতাকে ৩ কোটি করে ৬ কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দুজন শ্রমিক নেতা টাকা পেলে তো হবে না, কারণ সাধারণ শ্রমিকরা তো কোনো টাকা পাননি। সে কারণে সাধারণ শ্রমিকরা মামলা করেছেন। সেই মামলার রায় হচ্ছে। এখন শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে নানা কথা হয়। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে অনেক বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও অনেক কথা বলেন।’
নোবেলজয়ী যদি শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে না দেন, তাহলে কি তার বিরুদ্ধে মামলা হবে না- এমন প্রশ্নও তোলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আশা করি, বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও এ নিয়ে কথা বলবেন। শ্রমিকের অধিকার ও পাওনা বুঝিয়ে না দেওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে মামলা হয়েছে।
হাছান বলেন, ‘মালালা ইউসুফজায়ী ১২ বা ১৪ বছর বয়সে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন। কখন আট বছরের ছেলেকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়, সেটির আশঙ্কাও লোকজন করছেন।’
আরও পড়ুন: তিন কাঠা জমি থাকলেই কোটিপতি: তথ্যমন্ত্রী
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) বক্তব্যে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা মোটেও বিরক্ত হই না। মানবাধিকার নিয়ে কথা বললে, সেগুলো আমরা দেখি, পর্যবেক্ষণ করি, অনেক ক্ষেত্রে সত্য ঘটনা হলে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কিন্তু যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন, তারা পেট্রোলবোমা সন্ত্রাস নিয়ে কোনো কথা বলে না কেন? তারা ফিলিস্তিনের হাজার অসহায় নারী-শিশুকে যেভাবে ইসরাইলি বাহিনী হত্যা করছে, তা নিয়ে কথা বলেন না কেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপি ঘরানার কয়েকজন লোকের মানবাধিকার নাকি দেশের প্রতিটি মানুষের মানবাধিকারের কথা তারা বলছেন? মানবাধিকার নিয়ে কথা বললে সারা দেশের প্রেক্ষাপটে বলতে হবে। আজ যে মানুষের অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে, মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে ব্যহত করা হচ্ছে, সেটাও মানুষের সাংবিধানিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ উন্নয়ন করে, বিএনপি মানুষ পোড়ায়: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এগুলো নিয়ে তারা কথা বলে না কেন! সেটি নিয়ে কথা যখন বলেন না, তখন আমরা বিরক্ত হই। কিন্তু মানবাধিকার নিয়ে কেউ কথা বললে আমরা বিরক্ত হই না।’
‘প্রার্থীদের ওপর বিএনপি হামলা চালাতে পারে’ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা জানি, তারা প্রার্থীদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছেন, যাতে ভোটটা বন্ধ হয়ে যায়। প্রার্থীদের ওপর হামলা করবে, হত্যা করবে, যাতে ভোট বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘কোনো একটি নির্বাচনী এলাকায় যদি কোনো প্রার্থী মারা যান, তাহলে সেই নির্বাচনটা বন্ধ হয়ে যায়। সে কারণে বিএনপি এমন পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু তাতে লাভ হবে না। তাদের সব পরিকল্পনা সন্ত্রাসীমূলক। এখন তারা প্রার্থীদের ওপর হামলা পরিকল্পনা করেছে। জঘন্য সন্ত্রাসী সংগঠন ছাড়া কেউ সেটা করে না।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী জোয়ারে বিএনপির নেতা-কর্মী সমর্থকরাও শামিল হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ও ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন।
দুপুর পৌনে ২টার দিকে ড. ইউনূস আদালতে পৌঁছান।
২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
আরও পড়ুন: মস্কোর ফাইন্যান্সিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান ইউনূস
এর আগে ২০২৩ সালের ৬ জুন ঢাকার শ্রম আদালত-৩ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের সিইও আশরাফুল হাসান, ট্রাস্টি নূরজাহান বেগম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শাহজাহান।
অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ড. ইউনূসসহ তিনজন এ মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। এরপর গত বছরের ২৩ জুলাই চারজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
গত ৩ আগস্ট ড. ইউনূসসহ অন্যদের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে অভিযোগ গঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে গিয়ে অধিদপ্তরের পরিদর্শকরা দেখতে পান, ১০১ জন শ্রমিক ও কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি।
এ ছাড়া তাদের জন্য কোনো অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং কোম্পানির মুনাফার পাঁচ শতাংশ আইন মেনে শ্রমিকদের দেওয়া হয়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে শ্রম আইনের ৪, ৭, ৮, ১১৭, ২৩৪ ধারায় ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি হলেন ড. ইউনূস
'ইনকগনিটো মোড' ব্যবহার সত্ত্বেও নজরদারি, ৫০০ কোটি ডলারের মামলা নিষ্পতিতে গুগলের সম্মতি
ক্রোম ব্রাউজারে 'ইনকগনিটো' মোড এবং অন্যান্য ব্রাউজারে একই ধরনের 'প্রাইভেট' মোড ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহারে নজর রাখার অভিযোগে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের ‘প্রাইভেসি’ মামলা নিষ্পত্তি করতে সম্মত হয়েছে গুগল।
২০২০ সালে দায়ের করা ‘ক্লাস-অ্যাকশন’ মামলায় বলা হয়েছে, গুগল ব্যবহারকারীদের বিভ্রান্ত করেছে। কারণ, ইনকগনিটো মোড ব্যবহার করার সময় বলাই আছে- ইন্টারনেট ক্রিয়াকলাপে নজর রাখা হবে না।
এক্ষেত্রে যে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে- গুগলের বিজ্ঞাপন প্রযুক্তি এবং অন্যান্য কৌশল ‘প্রাইভেট’ ব্রাউজিং করা সত্ত্বেও ব্যবহারকারীদের ওয়েবসাইট পরিদর্শন ও অন্যান্য ক্রিয়াকলাপ একত্রিত করা অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটিকে টক্কর দিতে গুগলের ‘বার্ড’!
বাদীরা আরও অভিযোগ করেন, যারা মূলত মনে করেছিলেন তাদের গোপনীয়তা সুরক্ষিত রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে গুগলের এই কর্মকাণ্ড ‘জবাবদিহিহীন তথ্য’ সংরক্ষণের নামান্তর।
বৃহস্পতিবার যে সমঝোতা হয়েছে, তা অবশ্যই ফেডারেল বিচারক কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।
যদিও এক্ষেত্রে শর্তাবলী প্রকাশ করা হয়নি, তবে মামলাটিতে ব্যবহারকারীদের পক্ষে ৫০০ কোটি ডলার দাবি করা হয়।বাদীপক্ষের আইনজীবীরা জানান, তারা ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি চুক্তি নিয়ে আদালতে হাজির হবেন বলে আশা করছেন।
নিষ্পত্তির বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে গুগল তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
আরও পড়ুন: গুগল-মাইক্রোসফটের মুনাফায় মন্থর গতি
গুগলের নতুন এআই টেক্সট থেকে তৈরি করতে পারে মিউজিক
চুয়াডাঙ্গায় নাশকতার মামলায় বিএনপির ২ নেতা গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গায় নাশকতার মামলার আসামি বিএনপির দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার(২২ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টায় তাদেরকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- জীবননগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ময়েন উদ্দিন ময়েন এবং একই উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আলী হোসেন (৬২)।
ময়েন উদ্দিন ময়েন উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েসপুর গ্রামের ইন্তাজুল হকের ছেলে ও একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং আলী হোসেন মনোহরপুর ইউনিয়নের পেয়ারাতলা গ্রামের মৃত সিদ্দিক খানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, জীবননগর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল আলম গতরাত আনুমানিক দেড়টার দিকে যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ময়েনকে গ্রেপ্তার করে।
অন্যদিকে, জীবননগর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম জীবননগর থানা এলাকায় বিশেষ পুলিশি অভিযানে মো. আলী হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
এসময় তার কাছ থেকে ৩টি অবিস্ফোরিত ককটেল বোমা সাদৃশ্য বস্তু এবং অন্য আসামিদের ফেলে যাওয়া ৫টি বাশের লাঠি, ২টি লোহার রড উদ্ধারসহ একটি বাজাজ ব্রান্ডের ১০০সিসির মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ।
জীবননগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান বলেন, আটক দু’জনকে সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালত পাঠানো হবে। যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানান ওসি।
কুড়িগ্রামে নাশকতার মামলায় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
নাশকতার মামলায় কুড়িগ্রাম জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুর খালেক ময়নাকে গ্রেপ্তার করেছে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ।
পৌর শহরের জিয়া বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে সদর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়। সেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নুর খালেক।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ স্থানীয় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান।
ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় একজন গ্রেপ্তার রয়েছে। আগামীকাল শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে কুড়িগ্রাম যুবদলের সভাপতি মো. রায়হান কবিরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর কনস্টেবল হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
রাজধানীতে চার সহযোগীসহ যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৩৭ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা
অবরোধ চলাকালে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর ও ওসিসহ ৫ পুলিশকে আহত করার ঘটনায় ২টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
মামলায় ৩৭ বিএনপি নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে আরো শতাধিক অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপির ৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- রায়পুর ইউনিয়নের মো. ইমতিয়াজ, চাতরী ইউনিয়নের মো. রুবেল, আবুল মঞ্জুর, বৈরাগ ইউনিয়নের মো. মারুফ হোসেন ও মো. জীবন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, ওসি আহত
বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
তিনি বলেন, স্থানীয় চাতরী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাশেদ নেওয়াজ চৌধুরী ও পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে আনোয়ারা থানায় মামলা দুইটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ওয়াসা ভবনে দুদক, নথিপত্র জব্দ
মামলা সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপি ও যুবদলের কর্মীরা অবরোধের সমর্থনে মিছিল করে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে অবরোধকারীদের পাথরের আঘাতে আনোয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল আহমেদ চোখে মারাত্মক জখম হয়। এছাড়া আরও ৫ পুলিশ আহত হয়। এ সময় পুলিশের পিকআপসহ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে চট্টগ্রামে আরও দুই ওসিকে বদলি