মামলা
সরকারি গমের চালানে বালু-কংক্রিট: চুয়াডাঙ্গায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩
চুয়াডাঙ্গায় সরকারি গমের চালানের ট্রাকে বালুর বস্তা ও বড় কংক্রিটের টুকরা পাওয়ার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার রাতে জোনাকি পরিবহন, সরকার এন্টারপ্রাইজ ও সানরাইজ জুট ট্রেডার্স- এই তিন প্রতিষ্ঠানসহ মোট ১২ জনের নাম উল্লেখ করে সদর উপজেলার খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা করেছেন।
মামলার পর আটক তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তারা হলেন- ট্রাক হেলপার রবিউল ইসলাম, হৃদয় ও হোসেন আলী।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোমবার দুপুরে তিনজনকে আটক করা হয়। সোমবার রাতে সরকারি গমের চালানে তিন হাজার ৭৭১ কেজি গম কম থাকার অভিযোগে তিন প্রতিষ্ঠানসহ ১২ জনের নামে একটি মামলা করেন সদর উপজেলার খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এরপরই আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।
এর আগে চুয়াডাঙ্গা সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ছয়টি ট্রাক থেকে সব গম নামানো হয়েছে। এতে তিন হাজার ৭৭১ কেজি গম কম পাওয়া গেছে। এছাড়া ওই ট্রাক থেকে উদ্ধার করা বালুর পরিমাণ এক হাজার ৪৮৮ কেজি।
এছাড়া জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা জানিয়েছিলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাক চালক-হেলপাররা এ কারসাজিতে জড়িত। তবে তদন্তের পর বিষয়টি বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, চুক্তি অনুযায়ী খুলনার সরকার এন্টারপ্রাইজ, জোনাকি পরিবহন ও সানরাইজ জুট ট্রেডার্স পরিবহন ঠিকাদারের মাধ্যমে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০০ মেট্রিক টন গম চুয়াডাঙ্গা সদর খাদ্যগুদামে পাঠানোর কথা ছিল। সেই অনুযায়ী গত শুক্রবার প্রথম চালানে ১০০ মেট্রিক টন গম আসে।
রবিবার ভোরে দ্বিতীয় চালানের ১০০ মেট্রিক টন গম এলে আনলোডের সময় একটি ট্রাকে বালুভর্তি সাতটি বস্তা পাওয়া যায়। এরপর অন্য ট্রাকগুলো আনলোড করার সময় পাওয়া যায় একে একে বালুভর্তি ২৮টি বস্তা ও কয়েকটি সিমেন্টের জমাট টুকরো। সব গম ওজনের পর তিন হাজার ৭৭১ কেজি গম কম পাওয়ার অভিযোগে মামলা করে জেলা খাদ্য বিভাগ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে নকল প্রবেশপত্র তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
বরিশালে প্রাইভেটকার থেকে ৩৫ কেজি গাঁজা জব্দ, গ্রেপ্তার ২
‘পুলিশ হেফাজতে’ ছাত্রদল নেতার মৃত্যু: সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ১৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
আট বছর আগে ‘পুলিশ হেফাজতে’ খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনির মৃত্যুর অভিযোগে সাবেক ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ১৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
জনির বাবা ইয়াকুব আলী সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ আবেদন করেন বলে রিটকারীর আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া জানান।
বিচারক মো. আসাদুজ্জামান অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করে বলেন, তিনি এ বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন।
আসামিদের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ
মামলায় যাদের আসামি করার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন- চট্টগ্রামের বর্তমান পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, ডিবির রমনা জোনের এসআই দীপক কুমার দাস, ডিবির রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসান আরাফাত, মো. জাহিদুল হক তালুকদার, ডিবির পুলিশ পরিদর্শক ফজলুর রহমান, ওহিদুজ্জামান, এসএম শাহরিয়ার হাসান, ডিবির এসআই শিহাব উদ্দিন, বাহাউদ্দিন ফারুকী, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ডিবির কনস্টেবল মো. সোলাইমান, আবু সায়েদ, মো. লুৎফর রহমান ও খিলগাঁও থানার এসআই মো. আলাউদ্দিন।
জনির মৃত্যুর ঘটনার সময় তারা সবাই ঢাকার মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়ার জোড়পুকুরমাঠ এলাকায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে কথিত 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হন নুরুজ্জামান জনি (৩০)।
খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জনি বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ৫ ছাত্রদল কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল নেতা নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মামলা করাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, পানিশ্বর ইউনিয়নের বড়ইবাড়ি গ্রামের হারিজ মিয়া গোষ্ঠী ও সোলেমান মিয়া গোষ্ঠীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সোলেমান মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজন হারিজ মিয়ার গোষ্ঠীর জালাল নামে একজনের হাত ভেঙে দেয়।
আরও পড়ুন: ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ মোতায়েন
এ ঘটনার পর আহত জালাল শুক্রবার সরাইল থানায় মামলা করতে যায়। এ নিয়ে সোলেমানের গোষ্ঠীর লোকজন ক্ষুদ্ধ হয়ে হারিজের গোষ্ঠীর লোকজনের ওপর হামলা চালালে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫জন আহত হয়। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।
এছাড়া পরবর্তী বিশৃঙ্খলা এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচারকের সঙ্গে অসদাচরণ: ভিডিও অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের
জমি নিয়ে বিরোধ: ময়মনসিংহে প্রতিপক্ষের হাতে বাবা-ছেলে খুন
ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় বাবা-ছেলে খুন হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিন জন।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা তিনটার দিকে সদর উপজেলার চুরখাইয়ের জামতলায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-ওই এলাকার আবুল খায়ের (৬০) ও তার ছেলে ফরহাদ হোসেন (২০)।
আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন-নিহত আবুল খায়েরের ভাই আবুল হাসেম (৪৫), আবুল খায়েরের ছেলে রিফাত (২২) ও আবুল হাসেমের ছেলে আবু সাঈদ (২০)।
স্থানীয়রা জানায়, ময়মনসিংহ সদরের চুরখাই জামতলা গ্রামের আব্দুল খায়ের ও কামাল গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বুধবার বিরোধপূর্ণ জমি মাপার কাজ চলছিল। এসময় মাপার কাজ শেষে দুইপক্ষই ঘটনাস্থল থেকে চলে আসে। এক পর্যায়ে খায়ের ও তার ছেলের সঙ্গে কামাল গংদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে কামাল গং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আবুল খায়েরের লোকদের ওপর হামলা চালায়।
এসময় খায়ের গ্রুপের কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বাবা আব্দুল খায়ের (৬০) ও তার ছেলে ফরহাদ হোসেনকে (২০) মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ১২ ঘন্টায় ব্যবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরও ১জন খুন
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
স্থানীয় চেয়োরম্যানের বরাত দিয়ে ওসি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে একই পরিবারের চাচাতো ভাইদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। পরে বিরোধ মীমাংসার জন্যে জমি মাপা হয়।
নিহত আবুল খায়ের তার ছেলেদের নিয়ে বিরোধ সংক্রান্ত জমিতে গেলে তার চাচাতো ভাই কামাল তার ছেলেদের নিয়ে আবুল খায়েরের পরিবারের ওপর হামলা চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: আরবি পড়তে যাওয়ার পথে খুন হলো ৯ বছরের শিশু
গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহের নান্দাইলে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। নেত্রকোণার পূর্বধলা থানাধীন শ্যামগঞ্জ বাজার থেকে বুধবার ভোর চারটার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ১৯ বছর বয়সী মো. আমানউল্লাহ ময়মনসিংহের নান্দাইল থানাধীন খারোয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং খোরশেদ আলমের ছেলে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: ঢাকায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে ওই গৃহবধূ তার বাড়ি থেকে ভালুকায় যাওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী উপজেলা গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান করছিল।
এ সময় সুমন মিয়া নামের একজন ভালুকায় ওই নারীকে পৌঁছে দিবে বলে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সুমন আমানউল্লাহ নামের একজনকে মোবাইলে কল দিয়ে ডেকে নিয়ে আসে।
সাড়ে ছয়টার দিকে নান্দাইল থানাধীন খারুয়া ইউনিয়নের রাজাপুর এলাকায় সড়কের পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর রাত সাড়ে সাতটার দিকে তারা ওই নারীকে দেওয়ানগঞ্জ বাজারের কাছে কালি মন্দিরের সামনে ফেলে রেখে চলে যায়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ওই নারীর বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরে আসামি সুমনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
এছাড়া সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আমানউল্লাহর পালিয়ে থাকার অবস্থান জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আমানউল্লাহকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: মতলবে জমির সীমানা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেপ্তার ৩
৯৯৯-এ কল: হত্যা মামলার ২৬ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
কক্সবাজারে হত্যা মামলায় একই পরিবারের ৩ জনের যাবজ্জীবন
কক্সবাজার টেকনাফে কৃষক আব্দুল করিম হত্যা মামলায় একই পরিবারের তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে একজনকে ৫০ হাজার টাকা ও অপর দুইজনকে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ এর বিচারক নিশাত সুলতানা এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালী গ্রামের মো. মকবুলের ছেলে মঞ্জুর, মঞ্জুরের স্ত্রী আমিনা খাতুন ও তাদের ছেলে মো. ফোরকান।
মামলার প্রধান আসামি ফোরকান পলাতক রয়েছেন। অন্য দুজন আদালতে হাজির ছিলেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির বেদারুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নানিকে হত্যার দায়ে নাতির যাবজ্জীবন
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৭ আগস্ট সন্ধ্যায় টেকনাফের বাহারছড়ার উত্তর শীলখালী বইল্যাছড়া এলাকায় আব্দুল করিম নামে এক ব্যক্তির ওপর হামলা করা হয়। পরদিন তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় মামলা করেন নিহত আব্দুল করিমের স্ত্রী খোরশিদা বেগম। এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করা হয়। তার আগে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মোজাফ্ফর আহমদ হেলালী এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট সেলিমুল মোস্তফা ও অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম (৪) মামলাটি পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ইয়াবা পাচারের দায়ে ৮ রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ময়মনসিংহে প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৯৯৯-এ কল: হত্যা মামলার ২৬ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের রাউজানে মামলার ২৬ বছর পর ধরা পড়লেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দেয়ার পর রাউজান থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার সুলতান আহাম্মদ (৮৩) উপজেলার পশ্চিম গহিরা এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে। ১৯৯৬ সালের নভেম্বরে রজু করা হত্যা মামলার আসামি তিনি। এতদিন তিনি নানাভাবে পালিয়ে ছিলেন।
মঙ্গলবার জাতীয় জরুরি সেবার (৯৯৯) প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে রাউজানের নোয়াপাড়া লাম বাজার থেকে এক ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। কলটি কনস্টেবল জয় বিশ্বাস রিসিভ করেন। জয় তাৎক্ষণিকভাবে রাউজান থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেন।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: ঢাকায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি গ্রেপ্তার
সংবাদ পেয়ে রাউজান থানা পুলিশের একটি দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যায়।
পরে রাউজান থানা পুলিশ দলের নেতৃত্বে থাকা এএসআই সুজন ৯৯৯-কে জানান, রাউজান থানায় ১৯৯৬ সালের নভেম্বরে রজু করা হত্যা মামলায় যাবজ্জীনবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সুলতান আহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৫ আরসা সদস্য গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
শিশু ধর্ষণ মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
রাজধানীর মিরপুর মডেল থানাধীন মধ্য পীরেরবাগ এলাকায় ছয় ও সাত বছর বয়সী দুই শিশুকে ধর্ষণের দায়ে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- মো. ফজলু (৩২) ও মো. জহিরুল ইসলাম (৫৪)।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালের ২১ মে দুপুরে মিরপুর মডেল থানাধীন মধ্য পীরেরবাগ এলাকায় একটি রিকশা গ্যারেজের সামনে থেকে আসামিরা দুই শিশুকে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে ডেকে নেয়। পরে তাদের নিয়ে রিকশায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গ্যারেজে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে মেয়েকে গোসল করানোর সময় শরীরের বিভিন্ন দাগ দেখতে পেয়ে বিষয়টি বুঝতে পারেন এক শিশুর মা। জিজ্ঞাসা করলে এ ঘটনার কথা মাকে জানায় শিশুটি।
এ ঘটনায় পরের দিন ২২ মে এক শিশুর বাবা বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন।
২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক ইসমত আরা এমি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(৩) ধারায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
মামলার বিচার চলাকালে চার্জশিটভুক্ত ৯ আসামির মধ্যে পাঁচ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক আফতাব হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে ২ উপজাতি তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ
খুলনায় নাশকতার মামলায় বিএনপির ৬৬ নেতাকর্মী কারাগারে
খুলনায় পুলিশের দায়ের করা নাশকতা সহিংসতার তিন মামলায় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন সহ ৬৬ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৫ জানুয়ারী) অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান শুনানী শেষে এ আদেশ দেন।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করেন, গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ বানচাল করতে খুলনার প্রতিটি থানায় পুলিশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হযরানিূলক নাশকতা সহিংসতা ও সরকার উৎখাত পরিকল্পনার অভিযোগে মামলা করে। এসব মামলায় প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি ছিলেন। অন্যরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন লাভ করেন। আজ তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর হয়।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুরু
খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা ও লবনচরা থানার এই তিন মামলায় অন্য যাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মহানগর বিএনপির অন্যতম যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ পারভেজ বাবু, মহানগর বিএনপির সদস্য গাজী আফসারউদ্দিন, কাজী শফিকুল ইসলাম, মাসুদ খান বাদল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েদ, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক ইসতিয়াক আহমেদ, সদস্য সচিব মো. তাজিম বিশ্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দল সদর থানা আহবায়ক খায়রুজ্জামান সজীব, নগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ সুমন, বিএনপি নেতা জালু মিয়া, ফারুক আহমেদ, জামাল উদ্দিন মোড়ল, শহিদ খান, নাসিম আহমেদ প্রমুখ।
শুনানীকালে আদালতে আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট মঞ্জুর আহমেদ, গাজী আব্দুল বারী, এস আর ফারুক, মাসুদ হোসেন রনি, মোমরেজুল ইসলাম, আখতার জাহান রুকু, মশিউর রহমান নান্নু, তৌহিদুর রহমান চৌধুরী তুষারসহ শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আদেশ ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
তারা মিথ্যা বানোয়াট রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার, নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং অবৈধ সরকারের পদত্যাগ দাবি করে মিছিল করেন ও স্লোগান দেন।
আরও পড়ুন: বুধবার দেশব্যাপী সমাবেশ করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
জাতীয় সংসদ এখন ‘একদলীয় ক্লাব’: ফখরুল
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ১১ মামলা: হাজিরার জন্য ১৫ মে দিন ধার্য আদালতের
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহ ১১টি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামি ১৫ মে ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো.আছাদুজ্জামানের আদালতে মামলাগুলো শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার পক্ষে অধিকাংশ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
এজন্য খালেদা জিয়ার আইনজীবী শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন এবং আগামী ১৫ মে নতুন তারিখ ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এতথ্য জানান।
মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাজধানীর দারুস সালাম থানায় করা নাশকতার আটটি, যাত্রাবাড়ী থানার দুটি ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা। সব মামলার কার্যক্রম খালেদা জিয়ার পক্ষে স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
১১ মামলার মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। অপর ১০ মামলা ছিল অভিযোগ শুনানির জন্য।
আরও পড়ুন: দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়াল হাইকোর্ট
মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করা হয়।
এদিকে যাত্রাবাড়ী থানার মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামের এক যাত্রী।
ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার উপ-পরিদর্শক এসআই কে এম নুরুজ্জামান।
ওই বছরের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বশির আহমেদ।
অন্যদিকে, ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।
২০১৭ সালের বিভিন্ন সময়ে মামলাগুলোয় অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। সবগুলো মামলায় খালেদা জিয়াকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। পরে খালেদা জিয়া মামলাগুলোয় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে আর কারাগারে পাঠাবে না সরকার: আইনমন্ত্রী
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন শুনানি ২৯ জানুয়ারি