মামলা
নাটোরে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় বৃদ্ধের ১০ বছরের কারাদণ্ড
নাটোরের সিংড়ায় ধর্ষণচেষ্টা মামলায় এক ব্যক্তিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।
আসামি আব্দুল আজিজ (৫৮) ওই উপজেলার সোয়াইর গ্রামের ইয়াজ উদ্দিনের ছেলে। রায় ঘোষণাকালে আসামি আজিজ পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে স্বামী হত্যার ঘটনায় স্ত্রীর ১০ বছরের কারাদণ্ড
আদালতের বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানান,২০১৮ সালে ১৩ মার্চ সিংড়া উপজেলার সোয়াইর গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা ওই ভুক্তভোগীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে প্রতিবেশি ইয়াজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল আজিজ। সে সময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে আজিজ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় এজাহার দায়ের করতে গেলে এজাহার নেয়নি পুলিশ। পরে ওই মাসেরই ১৮ তারিখে ভূক্তভূগী তিনজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
এ মামলায় প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজিজকে দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং অন্য আসামিদের বেকসুর খালাস দেন।
আরও পড়ুন: দোষ স্বীকার করায় কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে কারাদণ্ড
ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুড়িগ্রামে শিক্ষককে পেটানো আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে এক প্রধান শিক্ষককে তুলে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার(১৯ জানুয়ারি) দুপুরে রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ে মারধরের এ ঘটনা ঘটে।
এছাড়া শনিবার বিকালে এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান রোকনসহ আরও ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মারধরের শিকার প্রধান শিক্ষক মো. নুরুন্নবী (৪১)।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
রোকনুজ্জামান রোকন রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করছেন রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপ কুমার সরকার।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকালে রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এই ঘটনা ঘটেছে। পিটানোর এই দৃশ্য ধরা পড়ে সিসি টিভি ক্যামেরায়।
পরে উপস্থিত লোকজন আহতাবস্থায় ওই প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতাল ভর্তি করেন।
ওইদিন রাত ৮টার দিকে নুরুন্নবী বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামানসহ দুই জনের নাম উল্লেখ করে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযাগ করেন।
এ ঘটনায় শিক্ষক সমাজসহ উপজেলায় জুড়ে বইছে সমালাচানার ঝড়।
নির্যাতিত নুরুন্নবী উপজেলার ফুলকারচর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অন্যদিক রোকনুজ্জামান সদ্য ঘোষিত আংশিক কমিটির উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক।
নির্যাতিত প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবী অভিযোগ করে বলেন, তার সঙ্গে বিদ্যালয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান ও আসাদুল ইসলামের বিরোধ চলে আসছিল।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী আব্দুর রশিদসহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস যান তিনি। কাজ শেষে অফিসের দোতলা থেকে নেমে উপজেলা চত্বরে গেলে আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান ও তার সঙ্গীয় লোকজন জোরপূর্বক তাকে (প্রধান শিক্ষক) তুলে নিয়ে প্রথম পলি বাস কাউন্টারে আটকে রেখে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
পরে প্রধান শিক্ষক আবু হোরায়রা তাকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে নিয়ে যান।
কথাবার্তার এক পর্যায়ে রোকনুজ্জামান প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবীকে চড়-থাপ্পর শুরু করলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ার থেকে উঠে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে থামান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হোরায়রা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান কথা বলার এক পর্যায়ে হঠাৎ প্রধান শিক্ষককে চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি দেন। এটা মোটেও ঠিক করেননি রোকনুজ্জামান। বড় মাপের অন্যায় করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে অটোরিকশা কিনতে বেরিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন চালক
কুড়িগ্রামে পাথরবোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
মুরাদনগরে ২ যুবককে পিটিয়ে হত্যা: ৪ দিনেও হয়নি মামলা
কুমিল্লার মুরাদনগরে উপজেলায় ডাকাত দলের সদস্য সন্দেহে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার চারদিনেও থানায় কোনও মামলা হয়নি।
এছাড়া এই ঘটনায় আহত আরও একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে পুলিশ সুপার বলেছেন, যাচাই বাছাই করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২, আহত ১
জানা যায়, ১২ জানুয়ারি রাতে কুমিল্লার মুরাদনগরে ডাকাত সন্দেহে তিন যুবককে আটক করে গণপিটুনি দেয় পালাসুতা গ্রামবাসী।
এতে মৃত্যু হয় ইসমাইল ও নুরু নামের দুই জনের, গুরুতর আহত অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন শাহজাহান নামে আররও একজন।
অভিযুক্ত শাহজাহান জানান, কাজের খোঁজে গিয়েছিলেন মুরাদনগর। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।
তবে গ্রামবাসী জানান, ঘটনার সময় স্থানীয় গ্রামের মসজিদ ও ওয়াজ মাহফিলের মাইকে গ্রামে ডাকাত এসেছে বলে ঘোষণা দেয়া হলে লোকজন একত্রিত হয়ে তাদেরকে গণপিটুনি দেয়া শুরু করে।
স্থানীয় দারোরা ইউপি চেয়ারম্যান জানালেন, ঘটনাটি ডাকাতির-নাকি আতংক তৈরি করতে এমন ঘটনা ঘটেছে, তা নিশ্চিত নয়। তবে সম্প্রতি ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনা পর্যবেক্ষণে যান কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো. আবদুল মান্নান।
তিনি জানান, গণপিটুনিতে দুইজন মৃত্যুর ঘটনাটির রহস্য দ্রুত বের হয়ে আসবে।
এছাড়া ঘটনার ৪ দিন পার হলেও মামলা করেনি কেউ।
পুলিশ বলছে, আরও তদন্তের পর ব্যবস্থানেয়া হবে।
আরও পড়ুন: মাদকদ্রব্য উদ্ধারে দেশসেরা কুমিল্লা পুলিশ
কুমিল্লায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবক খুন
আবারও পেছাল আ. লীগ নেতা কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ
সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় আবারও পেছানো হয়েছে সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ।
রবিবার সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মো. শাহাদাত হোসেন প্রামাণিকের আদালতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন আদালত।
এর আগে একই কারণে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পেছানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
মামলার সরকারি কৌঁসুলি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী বলেন, শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার ১৭১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। রবিবার সাক্ষ্য গ্রহণের নির্ধারিত তারিখে কোনো সাক্ষী উপস্থিত হননি। উপস্থিত না হওয়া কয়েকজন সাক্ষীর নামে পরোয়ানা ও সমন জারি করেন আদালত।
আশা করা যাচ্ছে, আগামী তারিখে সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত হবেন।
তবে আসামিদের মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছসহ কয়েকজন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া মামলায় অভিযুক্ত জামিনে থাকা পাঁচজন আদালতে উপস্থিত হতে না পেরে সময় চেয়ে আবেদন করেছেন।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে একটি জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন শাহ এ এম এস কিবরিয়া। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
ওই হামলায় তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুরুল হুদা, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী নিহত এবং আরও ৭০ জন আহত হন।
ঘটনার পরের দিন হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা হয়। পরে মামলা দুটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়।
তদন্ত শেষে ২০০৫ সালে ১৮ মার্চ শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল কাইউমসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।
এ অভিযোগপত্রের বিষয়ে আদালতে নারাজি আবেদন করে বাদীপক্ষ। পরে মামলা পুনঃতদন্তের পর ২০১১ সালের ২০ জুন আসামির সংখ্যা ১৬ বাড়িয়ে ২৬ জনের নামে দ্বিতীয় দফা অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এটি নিয়েও আপত্তি জানায় নিহত কিবরিয়ার পরিবার।
সবশেষ ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। এতে নতুন করে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপির নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩৫ জনকে আসামি করা হয়।
পরে ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
চমেক হাসপাতালে আন্দোলনকারী রোগীদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা, গ্রেপ্তার ১
সম্প্রতি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ফি বাড়ানোর প্রতিবাদ করায় কয়েকজন কিডনি রোগী ও তাদের স্বজনদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পাঁচলাইশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মো. মোস্তাকিম নামে এক রোগী ও ৫০ থেকে ৬০ অজ্ঞাতপরিচয় জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক সাদেকুর রহমান বলেন, রোগীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে লাঞ্ছিত ও কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতালের সেবা নিয়ে গণশুনানী করবে দুদক
তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরাতে গিয়ে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন মজুমদার জানান, মঙ্গলবার রাস্তা অবরোধ ও যানবাহন চলাচলে বাধা দেয়ায় রোগীদের বিক্ষোভের সময় পুলিশ মোস্তাকিমকে সিএমএইচ থেকে আটক করে।
ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে চার দিন ধরে হাসপাতালের ডায়ালাইসিস সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ করছেন কিডনি রোগী ও তাদের স্বজনরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, একজন রোগীর মাসে আটবার ডায়ালাইসিস করতে হয় এবং তাদের প্রথম দুইবার দুই হাজার ৭৯৫ টাকা এবং বাকি প্রতিটির জন্য ৫১০ টাকা দিতে হয়।
এখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফি বাড়িয়ে দুই হাজার ৯৩৫ টাকা করেছে এবং রোগীদের এক মাসে চারগুণ এবং বাকি ডায়ালাইসিসের জন্য ৫৩৫ টাকা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
২০১৭ সালে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব প্রকল্পের অধীনে হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার চালু করা হয়েছিল এবং এটি এখন ৩২টি ডায়ালাইসিস মেশিন দিয়ে কাজ করছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, ভারতীয় কোম্পানি স্যান্ডর ১০ বছর এই কেন্দ্রে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। প্রতিষ্ঠানটি এ জন্য সরকারি জায়গা ব্যবহার করবে।
এছাড়া একজন রোগীকে প্রতিবার কিডনি ডায়ালাইসিসের জন্য প্রায় ৩০০০ টাকা দিতে হয়।
আরও পড়ুন: চমেকে কিডনি ডায়ালাইসিসের ফি বৃদ্ধি: সড়ক অবরোধ করে রোগীদের বিক্ষোভ
চমেক হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে রোগীদের বিক্ষোভ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে উদ্ধার গ্রেনেড নিষ্ক্রিয়, মামলায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখ
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে উদ্ধার করা গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট। এ ছাড়া গোলাগুলির ঘটনায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলাও করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গুলিবিদ্ধ নবী হোসেনকে আটক করেছেন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। গ্রেনেডটি উদ্ধারের তিনদিন পর সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে রামু সেনানিবাসে এটি নিষ্ক্রিয় করে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট।
এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বিষয়গুলোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে নবী হোসেন গ্রুপের প্রধান নবী হোসেনকে।
আরও পড়ুন: ১২ ঘন্টায় ব্যবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরও ১জন খুন
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ নবীকে তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে। মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরাকান স্যালভেশন আর্মি’ (আরসা) এর প্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিকে ছয় নম্বর আসামি করা হয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যম্পে গোলাগুলির পর উদ্ধার করা গ্রেনেডটি অত্যাধুনিক বিদেশি গ্রেনেড বলে জানিয়েছে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট। ওই ঘটনার পর রবিবার এপিবিএনের পক্ষ থেকে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলায় নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে ৩৩ জনকে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ২০-২৫ জনকে।
ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উখিয়ার ৮-ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৩৯ ব্লকে দুটি গ্রুপের মধ্যে এলোপাতাড়ি গোলাগুলি হয়। এতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মোহাম্মদ নবী গুলিবিদ্ধ হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝি গুলিবিদ্ধ
রিতা দেওয়ানের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
বাউলশিল্পী রীতা দেওয়ানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা একটি মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
মামলাটি বাতিল চেয়ে রিতা দেওয়ানের আবেদনের শুনানির পর মঙ্গলবার বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিচারকের বিরুদ্ধে অশ্লীল স্লোগান: ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
রুলে রিতা দেওয়ানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮(১) ৩৫ ধারায় অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল নোমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কামরুল আহসান খান আসলাম।
আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, রুল নিষ্পত্তি পর্যন্ত রিতা দেওয়ানের ক্ষেত্রে মামলাটি বিচারকাজ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
একটি পালা গানে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ এনে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি রিতা দেওয়ানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আদালতে অভিযোগ করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য মো. ইমরুল হাসান। পরে ওই বছর ২০ অক্টোবর পিবিআই -এর পরিদর্শক শেখ মো. মিজানুর রহমান অভিযোগ তদন্ত করে রিতা দেওয়ানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দেন।
২ ডিসেম্বর সে প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন তারা।
এর মধ্যে ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
আগামী ২৭ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ রয়েছে। রিতার সঙ্গে অভিযুক্ত অন্য দুই আসামি হলেন-শাজাহান ও ইকবাল হোসেন।
গত বছর মে মাসে অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন রিতা দেওয়ান। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে আদেশ দেন হাইকার্ট।
আরও পড়ুন: তাকসিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে দুদককে পদক্ষেপ জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট
হাইকোর্টের বিচারক নিয়োগে নতুন আইন আসছে: আইনমন্ত্রী
নওগাঁয় নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় বিএনপির ৮ নেতাকর্মী কারাগারে
নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা পৃথক দুটি মামলায় নওগাঁর মান্দা ও মহাদেবপুর উপজেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের আট নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদের আদালতে ওই আটজন জামিনের জন্য আবেদন করেন। পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক ও বিশ্বজিৎ সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ২ হাজতির মৃত্যু
নওগাঁ সদর উপজেলায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় কারাগারে পাঠানো নেতাকর্মীরা হলেন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেড এইচ খান মানিক ও দেওয়ান মোস্তাকিন আহম্মেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান বাদশা।
মান্দা উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা হলেন- মান্দা উপজেলা বিএনপির সদস্য মামুনুর রশিদ, গনেশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বকুল চৌধুরী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সামসুল ইসলাম ও গনেশপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মিঠুন হোসেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় নওগাঁ শহরের কেডির মোড় এলাকায় আস্তান মোল্লা কলেজের সামনে সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ ও দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ওই মামলায় এজহারভুক্ত চার আসামি মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন। আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, ২৫ নভেম্বর রাতে উপজেলার কয়াপাড়া কামারকুড়ি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অভিযান চালিয়ে মান্দা থানার পুলিশ ককটেলসহ কিছু দেশি অস্ত্র উদ্ধার করে।
ওই ঘটনায় মান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা হিসেবে ৫০ থেকে ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামি দুপুরে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন। আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চলতি সপ্তাহে নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা নওগাঁ সদর, মান্দা, মহাদেবপুর, পত্নীতলা ও বদলগাছী থানার মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের ৩০ জন নেতাকর্মী আদালতে হাজির হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করে।
বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এছাড়া সবগুলো মামলা ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে করা হয়।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরক মামলা: বিএনপির সভাপতিসহ বিএনপির ৯ নেতা কারাগারে
কাশিমপুর কারাগারে হাজতির মৃত্যু
বগুড়ায় শিশু ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
বগুড়ায় শিশু ধর্ষণ মামলায় ১১ বছর পর হায়দার আলী নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ডিস ব্যবসায়ী হত্যায় ১২ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্ত হায়দার আলী বগুড়ার গাবতলীর পদ্মপাড়া গ্রামের মৃত মোজাহার হোসেনের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি আশেকুর রহমান সুজন জানান, ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১১ সালের ২৭ মে রাতে। হায়দার আলী ভুক্তভোগী শিশুটিকে পড়া দেখিয়ে দিতেন।
কোর্ট পরিদর্শক সুব্রত ব্যানার্জি বলেন, আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ফরিদপুরে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
দুদকের মামলায় তারেক-জোবায়দার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিল আদালত
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান তাদের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ১৯ জানুয়ারির মধ্যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবায়দার রিট খারিজ; মামলা চলবে
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।
মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
এরপর ২০০৮ সালে এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
এদিকে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
তবে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেয়া হয়।
উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ-টু-আপিল করেন জোবায়দা।
এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ-টু-আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রাখেন।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবায়দার দুর্নীতি মামলার রুল শুনানি ৫ জুন
১৫ বছর পর তারেক-জোবায়দার রিট মামলা চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য