মামলা
সিলেটে টাকা ফেরত চেয়ে ৬৬ ভোটারের বিরুদ্ধে প্রার্থীর মামলা!
সিলেটের গোলাপগঞ্জে জেলা পরিষদ নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় এক প্রার্থী ৬৬ জন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। নির্বাচন হয়ে যাওয়ার প্রায় আড়াই মাস পর রবিবার (১ জানুয়ারি) সিলেটের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে তিনি মামলাটি করেন।
ওই প্রার্থীর নাম মুজিবুর রহমান চৌধুরী। তিনি পেশায় অ্যাডভোকেট। তিনি গত ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে নির্বাচন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী দেব্রত চৌধুরী লিটন।
তিনি জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
জানা গেছে, ১৭ অক্টোবর সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে নির্বাচন করেন অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী। নির্বাচনে ভোটের আশায় ভোটারদের বিভিন্ন অংকের টাকা দেন। কিন্তু তিনি জয়লাভ করতে পারেননি। পরে টাকা ফেরত চেয়েও পাননি।
অবশেষে টাকা ফেরত পেতে আদালতে মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে ৬৬ জনকে। যারা সকলেই তার নির্বাচনী এলাকার ভোটার ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি।
মামলায় তিনি তার দেয়া টাকা ফেরত না পাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তারেরও দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মামলার এজাহারে তিনি টাকার বিনিময়ে ভোটের বিষয়টি উল্লেখ করেননি। সেখানে বিভিন্ন অজুহাতে ভোটাররা টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা করায় উল্টো বাদী গ্রেপ্তার
উখিয়ায় গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা নিহতের ঘটনায় ৭৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীতে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ হাজারের বেশি জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর রাজধানীর মালিবাগ, মৌচাক, শাহজাহানপুর ও রামপুরা এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পাঁচ হাজারের বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শনিবার পৃথক পাঁচটি মামলা করেছে পুলিশ।
মামলা গুলোর মধ্যে রমনা, শাহজাহানপুর ও রামপুরা থানায় একটি করে এবং খিলগাঁও থানায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিএমপি সদর দফতরের সূত্র জানায়, উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুবীর কুমার বাদী হয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৯১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এসআই মো. হায়াত আলী খান বাদী হয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৭৩ জন নেতাকর্মী এবং ৮০০ থেকে ৯০০ অজ্ঞাতনামা আসামি করে শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
রামপুরা থানায় এসআই মারুফ হোসেনের দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রায় ৬৩ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এসআই রেজাউল করিম বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মোট ১৪৮ জন নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ৮১ জনের নামে মামলা, অজ্ঞাত আসামি ২ হাজার
পাঁচটি মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশ বলছেন, শুক্রবার জুমার নামাজের পর মিছিল বের করতে গেলে রাজধানীর মালিবাগ, মৌচাক, শাহজাহানপুর ও রামপুরা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে ১০ পুলিশ ও জামায়াত-শিবিরের সদস্যসহ কয়েক ডজন লোক আহত হয়।
এ ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের বেশ কয়েকজন সদস্যকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আরও পড়ুন: মালিবাগে গণমিছিল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে জামায়াতের সংঘর্ষ
এমজিএইচ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধভাবে ১৩৬ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এমজিএইচ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনিস আহমেদ গোর্কির বিরুদ্ধে বুধবার মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দুদক সচিব মাহবুব হোসেন।
উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে আনিসের বিরুদ্ধে মামলা করেন বলে জানান তিনি।
দুদক সচিব মাহবুব বলেন, মানি লন্ডারিংসহ শত শত কোটি টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি আনিস আহমেদের নামে অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব দিতে কমিশন আদেশ জারি করেছে।
আরও পড়ুন: কাউন্সিলর মতি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র
তার দায়ের করা সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আসামি আনিস আহমেদ কর বছরে সাল ২০২০-২১, ২০০৮-২০০৯ থেকে ২০২১-২০২২ পর্যন্ত আয়ের বিভিন্ন উৎস থেকে ১৩৬ কোটি তিন লাখ টাকার আয়ের তথ্য দিয়েছেন।
সম্পদের বিবরণী যাচাইয়ের সময় অভিযুক্তকে একজন নিয়মিত আয়করদাতা হিসেবে পাওয়া গেছে কিন্তু আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর ধারা ১৯ এএএএএ-তে উল্লিখিত মোট আয় পরিমাণকে ২০২০-২১ কর বছরের আয়কর রিটার্নে বিনিয়োগ হিসাবে দেখানো হয়েছে।
দুদক জানায়, অভিযুক্ত আনিস আহমেদ ঘোষিত অর্থ বিনিয়োগ হিসেবে দেখানোর পক্ষে কোনো সন্তোষজনক রেকর্ড দেখাতে পারেননি।
কমিশনও বলেছে, আনিস অসৎ উদ্দেশ্যে অসৎ উপায়ে অর্জিত এই অর্থের অবৈধ সম্পদকে বৈধতা দিতে চেয়েছিল।
আরও পড়ুন:আমীর খসরুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
তদন্তকালে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত স্বার্থে আর্থিক ফায়দা হাসিলের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের চলমান তদন্তে অভিযুক্ত হওয়া এড়াতে তিনি ওই অর্থ বিনিয়োগ হিসেবে দেখিয়েছেন বলে কমিশন দেখতে পায়।
অর্থ আইন-২০২০ (সংশোধিত ২০২১) আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা ১৯ এএএএএ অনুযায়ী রিটার্ন দাখিল করার তারিখ বা তার আগে বা সংশোধিত রিটার্ন আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪ এর অধীন কর ফাঁকির জন্য যে কোন কার্যধারা বা যেকোনও অধীন কোন আর্থিক কার্যক্রম অন্যান্য আইনে প্রতিষ্ঠিত হয়। তাহলে এই বিভাগটি আর কাজ করবে না।
কমিশনের কর্মকর্তা বলেছিলেন, যেহেতু কমিশন তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তদন্ত এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছিল, তাই তার পরে এই আইনী সুবিধা পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল দুদকের
আমীর খসরুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার স্ত্রীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দুদক সচিব মাহবুব হোসাইন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন - আমীর খসরুর স্ত্রী তাহেরা খসরু আলম, হোটেল সারিনার চেয়ারম্যান গোলাম মাহমুদ চৌধুরী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাবেরা সরোয়ার (নীনা), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নকশা অনুমোদন শাখার বিল্ডিং ইন্সপেক্টর আওরঙ্গজেব নান্নু।
রাজউক, ঢাকা কর্তৃক চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর মালিকানাধীন বনানী এলাকার ১৭ নং রোডের ২৭নং প্লটটি ডেভেলপ করার নামে উক্ত প্লটের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ২৫ নং প্লট ক্রয় পূর্বক অনুমোদিত নকশা না মেনে উভয় প্লটে যথাক্রমে ২২ তলা ও ২১ তলা ভবন নির্মাণ শেষে পাঁচ তারকা হোটেল সারিনা ইন লিমিটেড পরিচালনা করে পরস্পরের সঙ্গে যোগসাজশে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে একে অপরের সহায়তায় নিজেদেরকে লাভবান করায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের (২নং আইন) এর ৫(২) ধারায় অপরাধ করায় দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকার উপপরিচালক সেলিনা আখতার বাদী হয়ে দুদক, সজেকা, ঢাকা-১ এ একটি মামলা করেছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমিশন কর্তৃক নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’: ২৭ দফা ঘোষণা বিএনপি’র
তাদের দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে দেখা যায় যে, অভিযুক্ত আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলম উভয়ে ঢাকাস্থ বনানী এলাকার ১৭ নং রোডের ২৭ ও ২৫ নং প্লটে অবস্থিত পাঁচ তারকা হোটেল সারিনা ইন লিমিটেডের শেয়ার হোল্ডার ছিলেন। জব্দকৃত এবং সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় আরও দেখা যায় যে, অভিযুক্ত আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, তার স্ত্রী মিসেস তাহেরা খসরু আলম যৌথভাবে তার ভায়রা ভাই গোলাম সরোয়ার এবং শ্যালিকা সাবেরা সরোয়ার নীনার সঙ্গে হোটেল সারিনা ইন লিমিটেড নামক পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি গোপন করে গেছেন।
এছাড়াও আসামি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার ভায়রা আসামি গোলাম সরোয়ার বনানী ১৭ নং রোডের ২৫নং প্লটটি, যা বসতি টাওয়ার নামে পরিচিত সেটি যৌথ নামে ক্রয় করে রাজউকের অনুমোদিত ১৫ তলা নকশার স্থলে ২১তলা ভবন নির্মাণ করেন। আসামি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর প্রেসিডেন্ট, সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে পরিকল্পিত ভাবে নানা কৌশলে প্রথমে নিজের ভায়রাকে দিয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের (সিএসই) বর্ণিত ২৭ নং প্লটের ডেভলপার নিযুক্ত করে পরে সেখানে নিজে স্ত্রীসহ যুক্ত হয়ে প্লটটি আত্মসাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।
প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে জব্দ করা রেকর্ডপত্র এবং সংগৃহীত রেকর্ড পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০০১ সালের ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আসামি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার দায়িত্ব পালনকালে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর জন্য ঢাকায় ‘সিএসই ভবন’ নির্মাণের প্রয়োজনে রাজউক থেকে ঢাকাস্থ বনানী বানিজ্যিক এলাকার ১৭ নং রোডের ২৭ নং প্লটটির নিলাম ক্রয় করা হয়।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে নিজেদের কার্যালয় ভাঙচুরের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি বিএনপির
পুলিশের ওপর হামলা, জামায়াতের ২০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
চাঁদপুরে ১০ দফা দাবি আদায়ে ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও রাস্তায় যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর ১৩ জন আসামির নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশ মিছিল থেকে ১৩ জন আসামিকে আটক করে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পাঁয়তারার অভিযোগ
পরে যাচাই-বাছাই শেষে ছয় জন শিবির কর্মীকে রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) আদালতে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, জামায়াতের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও রাস্তায় যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপরাধে দলটির ১৩ জন নামীয় আসামি ও অজ্ঞাতনামা প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।
এ ঘটনায় আটক ছয় জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার সকাল ১০টায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে চাঁদপুর জেলা জামায়াতের ব্যানারে শহরের শপথ চত্বর এলাকা থেকে গণমিছিল বের হয়।
শহর প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলটি মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মোড়ে এলাকায় এসে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুর রহিম পাটওয়ারী।
তবে পুলিশের দাবি মিছিল শেষে জামায়াত ও শিবির কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে ও ককটেল বিস্ফোরণ করে।
এ সময় সদর থানার ওসিসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির নির্দেশ
মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা করায় উল্টো বাদী গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ৮১ জনের নামে মামলা, অজ্ঞাত আসামি ২ হাজার
শনিবার পঞ্চগড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক বিএনপি কর্মী নিহত এবং পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৫০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় ৮১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা প্রায় দুই হাজারের বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করেছে পুলিশ।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা জানান, রবিবার পঞ্চগড় সদর থানার পাঁচ উপপরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে এসব মামলা করেন।
তিনি বলেন, পুলিশ শনিবার রাতে এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে আট বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মীকে আটক করেছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, সরকারি কাজে বাধা দেয়া, সরকারি কর্মকর্তাদের মারধর, নৈরাজ্য সৃষ্টি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়েছে।
এদিকে নিহত ময়না দীঘি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আবদুর রশিদ আরেফিনের (৫০) লাশ রবিবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, আমাদের ভাই মারা গেছেন। আরেফিনের দাফনের পর পরিবার ও দলের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেব।’
শনিবার দুপুরে বিএনপির ১০ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে দলটির পঞ্চগড়ভিত্তিক নেতাকর্মীরা স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হন।
আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড় ভ্রমণের উপায়
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তারা কোনো মিছিল বের করার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং রাবার বুলেট ছুড়ে সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়।
বিএনপি কর্মীরা শেষ পর্যন্ত ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং তারপর প্রায় ৯০ মিনিট ধরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
সন্ধ্যায় অতিরিক্ত বাহিনী আসার পরই পুলিশ শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যা ৬টার পর পরিস্থিতি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
পঞ্চগড়ের এসপি এসএম সিরাজুল হুদা অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আরেফিনের মৃত্যু হয়েছে।
আরেফিনের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ১
খুলনায় বিএনপির ৮৩৫ নেতাকর্মীর নামে ১৪ মামলা, ৮৯ জন কারাবন্দী
খুলনায় চলতি মাসের প্রথম তিন সপ্তাহে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৮৩৫ নেতাকর্মীর নামে ১৪টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ৮৯ জন নেতাকর্মী কারাবন্দী রয়েছেন। এসব মামলার আসামিদের মধ্যে ১১০ জন হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন। এছাড়া খুলনার আদালত থেকে ৩১ জন জামিন পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা।
তিনি বলেন, `বিজয় দিবসকে সামনে রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা এবং সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ মোকাবিলার নামে অভিযান চালানো হলেও প্রকৃত অর্থে এই অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে সুপরিকল্পিতভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে।'
তিনি বলেন, `বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলার মধ্যে মহানগরীর আটটি থানায় আটটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সদর থানার মামলায় ৮০ জন, সোনাডাঙ্গা থানার মামলায় ৬০ জন, খালিশপুর থানার মামলায় ৫৫ জন, দৌলতপুর থানার মামলায় ৪৫ জন, খানজাহান আলী থানার মামলায় ৩০ জন, আড়ংঘাটা থানার মামলায় ৫০ জন, হরিণটানা থানার মামলায় ৪৫ জন এবং লবণচরা থানার মামলায় ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, ‘জেলার পাইকগাছা থানার মামলায় ৭০জন বটিয়াঘাটা থানার মামলায় ৮০ জন, ডুমুরিয়া থানার দুটি মামলার একটিতে ৬০ জন ও দ্বিতীয় মামলায় ৭৫ জন এবং রূপসা থানার দুটি মামলার প্রথমটিতে ৬০ জন ও দ্বিতীয়টিতে ৪৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় মহানগরীর ৪২ জন এবং জেলার ৪৭ জন নেতাকর্মী কারাবন্দী রয়েছেন। এছাড়া ঢাকায় বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে খুলনার ১০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে পাইকগাছার চার জন, ডুমুরিয়ার দুই জন, দাকোপের দুই জন এবং মহানগর যুবদলের দুই জন রয়েছেন।’
আরও পড়ুন: গণমিছিল সফলে প্রস্তুতি সভা করেছে সিলেট মহানগর বিএনপি
মনা দাবি করেন, এসব মামলা গায়েবি, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, অবাস্তব ও কাল্পনিক।
এ সময় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম তুহিন।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ৮ দিকে ফুলবাড়িগেট এলাকা থেকে খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ মোজান্মেল হোসেনকে (৫৩) গ্রেপ্তার করেছে খানজাহান আলী থানা পুলিশ।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন খান বলেন, খানজাহান আলী থানার নিয়মিত একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অপরদিকে ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত মামলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খুলনার আরও তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন-আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফকির শরিফুল ইসলাম, ৩০নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আলম, ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোহাম্মাদ আলী।
আরও পড়ুন: ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ১২ নেতার পদত্যাগ
বিএনপির আন্দোলনকে সমর্থন করতে ১২ দলীয় জোট গঠন
এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির নির্দেশ
সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে গণধর্ষণের মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৩০ দিনের মধ্যে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন ও ব্যারিস্টার এম. আব্দুল কাইয়ুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
পরে ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ূম জানান, সিলেটের এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলা ৩০ দিনের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করে স্বরাষ্ট্র সচিবকে গেজেট জারি করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
গত ১ আগস্ট সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় দুই অভিযোগের বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়। বর্তমানে এই মামলার বিচারকাজ সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলমান রয়েছে। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৬ আগস্ট সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলাটির বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করার নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে হাইকোর্ট আজ রায় দেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদি হয়ে শাহ পরান থানায় মামলা করেন।
মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একই বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
গত বছরের ১৭ জানুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী।
অভিযোগপত্রে নাম থাকা আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম।
এছাড়া এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়রা আদালতে পৃথক চার্জশিট দেয়া হয়। পরে বাদি পক্ষ হাইকোর্টে এলে দু’টি অভিযোগ একসঙ্গে নারী ও শিশু নির্য়াতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: খুলনার সদ্য সাবেক ডিসি ও ডুমুরিয়ার ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব
৩ ব্যাংকের কয়েক হাজার কোটি টাকার ঋণ ‘কেলেঙ্কারি’: জড়িতদের তালিকা চান হাইকোর্ট
১০ ডিসেম্বর পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ইশরাকসহ বিএনপি’র ৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
১০ ডিসেম্বর যাত্রাবাড়ীতে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বিএনপি নেতা ইশরাকসহ নয়জন জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে পুলিশ।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নওশের আলীর অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার যাত্রাবাড়ী থানায় মামলাটি করা হয়।
মামলাটি পেনাল কোড, ১৮৬০ এবং বিস্ফোরক পদার্থ আইন ১৯০৮ এর বিভিন্ন ধারায় দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে আ.লীগ কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে ইশরাকসহ বিএনপির ৭০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্তরা ওই দিন যাত্রাবাড়ী এলাকার গোলাপবাগ মোড়ে দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা, বোমা নিয়ে হামলা করে। এছাড়া পুলিশকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়া হয়।
তারা হত্যাচেষ্টাসহ হামলা চালিয়ে পুলিশ সদস্যদের আহত করে, পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করে এবং এলাকা থেকে বোমার কিছু অংশ উদ্ধার করে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নবীউল্লাহ নবী, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি পাভেল শিকদার, এমডি জামশেদুল আলম শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন জিকু, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাইসুল হক। হাসান শখ, শুভ হাসান বাবু, মো. কাউসার, বাদল সরদার।
আরও পড়ুন: রিজভী ও ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
রাজধানীতে বিএনপি নেতা ইশরাকের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
নাশকতার দুই মামলায় বিএনপির মহাসচিবসহ ৫ নেতার হাজিরা
রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা নাশকতার দুই মামলায় হাজিরা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ পাঁচ নেতা।
বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত প্রধান মহানগর হাকিম মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে তারা আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা প্রদান করেন।তাদের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার শুনানি করেন ও এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
পাঁচ নেতা আসামিরা হলেন-দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান ও যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে শাহবাগ থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে মামলা দুইটি করা হয়। যা এখনো তদন্তাধীন আছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির কার্যালয়ে বোমাগুলো পুলিশ রেখেছিল: ফখরুল
ফখরুলকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে যেতে বাধা
নয়াপল্টনে পুলিশের অভিযানে নিহত ২, শতাধিক আহত, গ্রেপ্তার ৬০০: ফখরুল