মামলা
আর কোন চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আর কোন চেক ডিজঅনারের মামলা করতে পারবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বর্তমানে বিচারিক আদালতে চলমান ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করা সব চেক ডিজঅনার মামলার কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে ঋণ আদায়ের জন্য শুধু ২০০৩ সালের অর্থঋণ আইনে অর্থঋণ আদালতে মামলা করা যাবে বলে এই রায়ে বলা হয়েছে।
বুধবার ঋণ আদায়ে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্র্যাক ব্যাংকের চেক ডিজঅনার মামলা বাতিল করে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্র্যাক ব্যাংকের আইনজীবী সাইফুজ্জামান তুহিন। ব্যাবসায়ীর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লা আল বাকি।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার এক জঙ্গির জামিন প্রত্যাহার করলেন হাইকোর্ট
রায়ে হাইকোর্ট বলেন, ব্যাংক ঋণের বিপরীতে যে চেক নেয়া হচ্ছে, সেটা জামানত। বিনিময়যোগ্য দলিল নয়। জামানত হিসেবে রাখা সেই চেক দিয়ে চেক ডিজঅনার মামলা করা যাবে না।‘ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ একটি চুক্তির মাধ্যমে নেয়া হয়ে থাকে। ঋণের বিপরীতে ব্ল্যাংক চেক নেওয়াটাই বেআইনি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে এই বেআইনি কাজ করে আসছে। তাদের ব্যবহার দাদন ব্যবসায়ীদের মতো।’
নিম্ন আদালতের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে রায়ে হাইকোর্ট বলেন, আজ থেকে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যদি চেক ডিজঅনার মামলা করে, তাহলে আদালত তা সরাসরি খারিজ করে দেবেন। একইসঙ্গে তাদের ঋণ আদায়ের জন্য অর্থঋণ আদালতে পাঠিয়ে দেবেন।
আদালত আরও বলেন, ব্যাংক হওয়ার কথা ছিল গরিবের বন্ধু, কিন্তু তা না হয়ে ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান গরিবের রক্ত চুষছে। এটা হতে পারে না। যারা হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হচ্ছে ব্যাংক তাদের ঋণ মওকুফ করার কথা শুনি, কিন্তু কোনো গরিবের ঋণ মওফুফ করার কথা কোনোদিন শুনিনি।
নীলকর চাষি ও দাদন ব্যবসায়ীদের মতো যেনতেন ঋণ আদায় করাই ব্যাংকের লক্ষ্য উল্লেখ করে আদালত বলেন, লোন আদায়ের জন্য অর্থঋণ আইনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মামলা দায়ের না করে চেক ডিজঅনার মামলা করছে। এ কারণে আমাদের ক্রিমিনাল সিস্টেম প্রায় অকার্যকর হয়ে গেছে। তাই এখন থেকে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র অর্থঋণ আদালতে মামলা দায়ের করতে পারবে। অন্য কোনো আইনে নয়।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি হাইকোর্টের রায়ের আলোকে নির্দেশনা জারি করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও সব প্রকার ঋণের বিপরীতে ইন্স্যুরেন্স কাভারেজ দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
২০১১ সালের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর সেলিমগঞ্জের বরাইল মধ্যপাড়ার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী ব্র্যাক ব্যাংক থেকে চার লাখ টাকা ঋণ নেন। পরে ৩৬ কিস্তির মধ্যে ২২ কিস্তি দিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কিস্তি জমা দিতে না পেরে দুই লাখ ৯৫ হাজার ৯০৪ টাকার চেক দেন। কিন্তু এ চেক ডিজঅনার হওয়ায় ব্র্যাক ব্যাংক ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই মামলা করে। এ মামলায় ২০১৬ সালের ২০ জুন মোহাম্মদ আলীকে বিচারিক আদালত ৬ মাসের সাজা ও দুই লাখ ৯৫ হাজার ৯০৪ টাকা জরিমানা করেন।
আইনজীবী আব্দুল্লা আল বাকী জানান, ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন মোহাম্মদ আলী। ওই আপিলের শুনানি শেষে আজ রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে আপিল গ্রহণ করে তাকে ছয় মাসের সাজা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মোহাম্মদ আলীকে ৫০ শতাংশ তথা এক লাখ ৪৮ হাজার টাকা ১০ দিনের মধ্যে দিতে ব্যাংককে নির্দেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: বিচারের দাবিতে আদালতে শিশু, বিজিবি সদস্যের খালাস বাতিল করল হাইকোর্ট
ঢাকার ফুটপাত বিক্রি ও ভাড়া উত্তোলনে জড়িতদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়া নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে নিহত নয়নের বাবা মো. রহমত উল্লাহ বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (বাঞ্ছারামপুর) সামিউল আলমের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় জেলার পুলিশ সুপার ও আট জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরও আট থেকে দশ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়।
আসামিরা হচ্ছেন-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হোসেন রেজা, বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত তরুণ কান্তি দে, পুলিশ পরিদর্শক আফজাল হোসেন খান, উপপরিদর্শক (এসআই) বিকিরণ চাকমা, কনস্টেবল বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস, কনস্টেবল শফিকুল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরও আট থেকে দশজন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্যানেল মেয়রের ছেলে গ্রেপ্তার, গাঁজা জব্দ
মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয়, কুমিল্লার বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার জন্য লিফলেট বিতরণকালে ১৯ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার স্টিলব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার ওপর সিএনজি স্ট্যান্ড, মোল্লা বাড়িতে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়াসহ ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসবক দলের নেতারা লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শেষে ফেরার সময় মামলার প্রধান আসামি কনস্টেবল বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস এবং শফিকুল ইসলাম হত্যার উদ্দেশে শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে। এ সময় আসামি বিশ্বজিৎ সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি নয়নের পেটে শার্টগান ঠেকিয়ে গুলি করে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এম.এ মান্নান জানান, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে নয়নের পেটে শর্টগান ঠেকিয়ে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করি। আদালত মামলাটি পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে আদেশ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড,১ জনের যাবজ্জীবন
৭ কর্মদিবসে সাবেক ভিপি নুরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে হাজিরের নির্দেশ
শেরপুরে বিএনপির ৬৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে পুলিশের মামলা
শেরপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫০-২০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুর রহমান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বিএনপি’র সঙ্গে সংঘর্ষে ৬ পুলিশসহ আহত ২১, আটক ১৬
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকালের ঘটনায় পুলিশ অ্যাসল্টের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতানামা আরও ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার ভিডিওচিত্র দেখে এ মামলায় ইতোমধ্যে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
গ্রেপ্তারদের ২৩ নভেম্বর বুধবার বিকালে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ২২ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকালে শহরের রঘুনাথ বাজার এলাকায় কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ছয় পুলিশ সহ অন্তত ২১ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি এবং ২২ রাউন্ড টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এছাড়া মামলার আসামিরা সবাই বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সদস্য।
আরও পড়ুন: তৃতীয় লিঙ্গের লাশ দাফনে কবরস্থান নির্মাণের ঘোষণা শেরপুরের এসপির
শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
বরিশালে ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা
দুর্নীতির অভিযোগে চাকরিচ্যুত সার্ভেয়ার এমএম মোতালেব হোসেনের দুর্নীতির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় বরিশালে ছয় সংবাদকর্মীসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সোমবার (২২ নভেম্বর) বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক মামলার আবেদন গ্রহণ করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানাকে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী নুরুল ইসলাম কাকন। এজাহারে ছয় জন সাংবাদিক ও দুর্নীতি দমন কমিশনে মোতালেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া ভূক্তভোগী দম্পতিকেও আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে ডাকাতি মামলা ৪ আসামিকে ৬ বছর করে কারাদণ্ড
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম জানিয়েছেন, মামলা তদন্তের নির্দেশনাবলী সম্বলিত কোন কাগজ এখনও হাতে পাইনি। কাগজ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মামলার আসামিরা হলেন, এমএম মোতালেব হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগকারী ইসমাত সায়লা ও তার স্বামী জাহিদ হোসেন সুরুজ মোল্লা, বরিশাল থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিকের স্টাফ রিপোর্টার শিকদার মাহাবুব, বিডি ক্রাইম টোয়েন্টিফোরের প্রকাশক-সম্পাদক রিপন হাওলাদার, বরিশাল ক্রাইম ট্রেস পোর্টালের প্রকাশক ও সম্পাদক মো. অনিক, বিএইচএস টিভি অনলাইন ডটকমের নির্বাহী কর্মকর্তা ওমর ফারুক সাব্বির, ঢাকা পোস্ট ডটকমের নিজস্ব প্রতিবেদক সৈয়দ মেহেদী হাসান ও দৈনিক মতবাদ-এর ফটো সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম খান রাসেল।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ৫টি নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ ইসমাত সায়লা তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এই ভূমিদস্যু মোতালেব আমাকে ও আমার পরিবারকে জিম্মি করে রেখেছে। এর বিচার চাই।’ এমএম মোতালেব হোসেন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী যে কারণে ইসমাত সায়লার এই লেখায় তার সম্মান ক্ষুন্ন করেছে। একই সঙ্গে প্রকাশিত সংবাদ ওই নারীর স্বামী তার ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন। এজাহারে বলা হয়েছে, নিউজ পোর্টালগুলোতে মোতালেব হোসেনের ছবি তার অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়।
প্রসঙ্গত, জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের জমির কাগজ নিজের নামে করে এবং সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সেই জমি দখলের অভিযোগে চলতি বছরের ৭ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সিএন্ডবি পুল সংলগ্ন মীরা বাড়ির বাসিন্দা ইসমাত সায়লা। এরপরে তাকে ও তার ভাই বরকত হোসেনকে প্রাণনাশের হুমকি দেন এমএম মোতালেব।
এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন ইসমাত সায়লা। সর্বশেষ ১৯ নভেম্বর এলাকাবাসী অভিযুক্ত সার্ভেয়ার মোতালেব হোসেনের নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে সদর রোডে মানববন্ধন করেন এবং জেলা প্রশাসক, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসব নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ভূক্তভোগীরা বলছেন, বিরোধপূর্ণ জমির সন্ধান পেলে নিজেই তদবির করে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়ে নেন বরিশাল নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবহাওয়া অফিস এলাকার বাসিন্দা এম মোতালেব হোসেন। তিনি সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এ্যাংকর সিমেন্ট কোম্পানিতে কিছুদিন সার্ভেয়ার পদে চাকরি করলেও অনিয়মের কারণে চাকরিচ্যুত হন।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট অফিসে নারীকে রুমে আটকে সাদা কাগজে সই, পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা
নাটোরে বিস্ফোরক আইনে বিএনপির ২৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
হবিগঞ্জে বিএনপির ৩০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
হবিগঞ্জে বিএনপির ৩০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। সিলেট বিভাগীয় সমাবেশের প্রস্তুতিকালে পুলিশের সঙ্গে বুধবারের সংঘর্ষের ঘটনায় এ মামলা করা হয়।
বৃহস্পতিবার ভোরে লাখাই থানার উপ-পরিদর্শক ফজলে রাব্বি বাদী হয়ে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ও অজ্ঞাত আরও ২৫০ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিকে গাউসকেও আসামি করা হয় মামলায়।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
এর আগে, বুধবার সিলেট বিভাগীয় সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে বামই বাজারে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৬০ জন আহত হন।
পুলিশও তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছোড়ে।
এদিকে বানিয়াচং থানায় বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
এছাড়া জেলায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ বিএনপি জামায়াতের ১৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমদ জানান, সরকার বিরোধী গোপন বৈঠক থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
বিএনপি নেতা সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া বলেন, সিলেটের সমাবেশ বন্ধের উদ্দেশ্যে পুলিশ নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদেরকে হয়রানি করছে।
আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেট জেলায় বিভাগীয় সরকারবিরোধী গণসমাবেশ করার কথা রয়েছে বিএনপির।
আরও পড়ুন: নাটোরে অস্ত্র মামলায় একজনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
সিলেটে বিএনপির ৩০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যুবলীগকর্মীর মামলা
হবিগঞ্জে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার রাতে উপজেলা বিএনপির দেড়শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বানিয়াচং থানার উপপরিদর্ক (এসআই )শামসুল আরেফিন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব।
পুলিশের দাবি, হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজলা সদরের এল আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে পুলিশের হামলায় বিএনপির অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী আহতের অভিযোগ
পুলিশ আরও দাবি করে, বিএনপি নেতারা অস্ত্র নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন।
বিএনপি জানায়, আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেটে বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে তারা প্রচার শেষে চায়ের দোকনে গিয়েছিলেন।চায়ের দোকান থেকে কোনো অপরাধ ছাড়াই উপজলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহির খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অপর দিকে পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে বিএনপির নেতা–কর্মীদের হামলায় বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত করমকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব, উপপরিদর্শক (এসআই) আতিক, কনস্টবল বাবুল, বাদশা ও দেলোয়ার আহত হন তারা বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন ৩২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতশতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মমলাটি করা হয়েছে বলে জানান বানিয়াচং থানার উপপরিদর্শক শামসুল আরেফিন ।
তবে হবিগঞ্জ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জি কে গউছ বলেন, পুলিশ অন্যায়ভাবে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহির খানকে গ্রেপ্তার করেছে। সিলেটের গণসমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারপত্র বিলি করছিলেন। পরে তারা এক বিএনপি নতার দোকানে চা পান করতে যান। পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে জাহির খানকে ধরে নিয়ে গেছে।
পুলিশ জনস্বার্থ বিরোধী এ কাজ করেছে বলে বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি।
আরও পড়ুন: সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে জনগণ গর্জন করছে: ফখরুল
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. জাহিদ, সদস্য সচিব কাদের গণি
সাংবাদিক রোজিনার মামলায় ডিবির প্রতিবেদনে শুনানি ১৫ জানুয়ারি
দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মামলায় অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য তদন্ত সংস্থার সুপারিশের শুনানির জন্য মঙ্গলবার ঢাকার একটি আদালত আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।
অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর রোজিনার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির তারিখ পিছিয়ে দেন।
মঙ্গলবার ডিবি পুলিশের প্রতিবেদনের শুনানির কথা ছিল।
১১ অক্টোবর রোজিনাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবি।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে আর্টিকেল ১৯
স্বাস্থ্য সাংবাদিকতার জন্য পরিচিত রোজিনাকে গত বছরের ১৭ মে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের আগে পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় সচিবালয়ে আটকে রাখা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, তিনি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কেনার জন্য ফার্মা ফার্মগুলোর সঙ্গে সরকারি আলোচনার সম্পর্কিত নথির ছবি তুলেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
শাহবাগ থানায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অভিযোগের ভিত্তিতে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট এবং দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় রোজিনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।
পরে পুলিশের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে গত বছরের ১৮ মে রোজিনাকে কারাগারে পাঠান ঢাকার আদালত। ওই দিনই রোজিনাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
২৩ মে ঢাকার একটি আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়ে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
আরও পড়ুন: কারাগার থেকে মুক্ত হলেন সাংবাদিক রোজিনা
জামিনে মুক্তি পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইমলাম
খুলনায় মাদক মামলায় এক নারীর ১০ বছরের কারাদণ্ড
খুলনায় মাদক মামলায় এক নারীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ওই নারীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সোমবার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন এ রায় ঘোষণা করেনে।
রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফাতেমা বেগম পিরোজপুর মাছিমপুর এলাকার জাহাঙ্গীর শেখের স্ত্রী।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল কালাম আজাদ।
আদালতের সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ২২জুলাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ গোয়েন্দা শাখা গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে রূপসা বাসস্ট্যান্ডের পাশে এক নারী কয়েকদিন ধরে মাদকদ্রব্য বেচা-কেনা করছে। এমন সংবাদে তারা পরেরদিন সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ফাতেমা বেগমের কাছ থেকে ৫২ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিভাগীয় গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক পারভীন আক্তার বাদী হয়ে খুলনা থানায় মাদক আইনে মামলা করেন। একই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর গোয়েন্দা শাখার এস আই মো. মোসাদ্দেক হেসেন ওই নারীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন বলেও জানান যায়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি পরিবারের
মাদক মামলায় বাদলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল
সিনহার কারাদণ্ড প্রমাণ করে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়: আইনমন্ত্রী
সিরাজগঞ্জে গৃহবধু ধর্ষণ মামলার ২ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে অভিযান চালিয়ে গৃহবধু ধর্ষণ মামলার পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- শাহজাদপুর উপজেলার নুকালি গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে শের আলী (৪৮) ও একই গ্রামের লতিফ সরকারের ছেলে ইয়াসিন আলী (৩৫)।
র্যাব-১২ এর স্কোয়াড কমান্ডার লেফট্যানেন্ট মো.আবুল হাসেম সবুজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এসময় শাহজাদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলার পলাতক ওই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের শাহজাদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় শিশু ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
সুনামগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মাদরাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আটক ২
ফারদিন হত্যা মামলা ডিবিতে হস্তান্তর
বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান যে এখন মামলাটি ডিবি পুলিশ তদন্ত করবে।
ফারদিন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৩ দিন পর শীতলক্ষ্যায় মিলল বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ
বৃহস্পতিবার সকালে ফারদিনের বাবা কাজী নুর উদ্দিন রানা রামপুরা থানায় তার ছেলের বান্ধবী ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আমাতুল্লাহ বুশরাসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
বুশরাকে বৃহস্পতিবার ঢাকার বনশ্রীর বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ৭ নভেম্বর ফারদিনের লাশ সিদ্ধিরগঞ্জে একটি কটন মিলের পেছনে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
৮ নভেম্বর ময়নাতদন্ত করা নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শেখ ফরহাদ জানান, ফারদিনের মাথায় ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: বুয়েট ছাত্র ফারদিন হত্যা মামলায় বান্ধবী বুশরা গ্রেপ্তার
বুয়েট ছাত্র ফারদিনের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন: ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক