মামলা
ফরিদপুরে বিএনপির ৪ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের চার শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার জানিয়েছেন, উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ ফকিরের অভিযোগে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসাসহ দলের শীর্ষ ৩০ নেতাকে মামলায় আসামি করা হয়েছে এবং বাকিরা অজ্ঞাত।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে আ.লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন
অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা পুলিশকে আক্রমণ করে। এতে পুলিশের অন্তত চারজন আহত হয়। এছাড়া তারা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়।
উল্লেখ্য, রবিবার বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলার আদালত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। এতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিএনপি নেতাদের মতে, সংঘর্ষে তাদের অন্তত ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
অতিরিক্ত এসপি সুমন বলেন, হামলার ভিডিও ফুটেজ থেকে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় বিএনপি-আ.লীগের সমাবেশস্থলে ১৪৪ ধারা জারি
বিএনপি'র সাবেক এমপিসহ ৪'শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
স্ত্রীর করা মামলায় আগাম জামিন পেলেন ক্রিকেটার আল-আমিন
যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল-আমিন হোসেন। আট সপ্তাহ পরে তাকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসর্মপণ করার জন্য বলেছেন আদালত।
আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিনের আবেদন জানালে মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন। তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহাবুব। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম।
এর আগে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) জামিন আবেদন করেন আল-আমিনের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, আল আমিনকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এরপর তাঁকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধের জন্য স্ত্রী ইসরাত জাহানের কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন ক্রিকেটার মো. আল-আমিন হোসেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় স্ত্রীকে মারধর করেন আল-আমিন।
পরে এসব অভিযোগে গত ১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান। পরে তা মামলা আকারে নথিভুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন:এশিয়া কাপ: টস জিতে বোলিংয়ে পাকিস্তান
থানায় লিখিত অভিযোগ করার পর ইসরাত জাহান সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আল আমিন তাকে অত্যাচার ও মারধর করেন। এরপর দুটি বাচ্চাসহ তাকে বাসা থেকে বের করে দেন। এরপর আল আমিন অন্য একটি মেয়েকে নিয়ে বাসায় উঠেছেন।
গত ২৫ আগস্ট মারধর করে বাসা থেকে বাচ্চাসহ ইসরাতকে বের করে দেয়। এরপর মিরপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করে ইসরাত।এর আগেও থানায় নির্যাতনের অভিযোগে জিডি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:এশিয়া কাপ ২০২২: ভারতকে পরাস্ত করতে পাকিস্তানের প্রয়োজন ১৮২
ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তানের প্রতিশোধ
বিএনপি'র সাবেক এমপিসহ ৪'শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বরগুনা-২ আসনে বিএনপি'র সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) নূরুল ইসলাম মনিসহ ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কাকচিড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু।এই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফায়জুল মালেক সজিব, পাথরঘাটা পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব খায়রুল ইসলাম শরীফ, রায়হানপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তসলিম হোসেন, ছাত্রদলের কর্মী হাসিব ও শাওন।
বরগুনার পুলিশ সুপার মো. আবদুস ছালাম সোমবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় ১১০ জনকে আসামি করে মামলা, গ্রেপ্তার ২
তিনি জানান, বরগুনা-২ আসনের বিএনপি সমর্থিত সাবেক সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম মনি রবিবার বিকালে মোটর সাইকেল বহর নিয়ে পাথরঘাটায় পৌঁছালে নাচনাপাড়া ইউনিয়নের সিএন্ডবি এলাকায় নূরুল ইসলাম মনির সঙ্গে থাকা লোকজনকে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরার নির্দেশে প্রতিরোধ করলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। কাকচিড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুর সঙ্গে থাকা লোকজনও এ সময় পাল্টা হামলা চালায়। হামলায় নূরুল ইসলাম মনিসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় অগ্নিসংযোগসহ অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘ ১৬ বছর পর নিজ এলাকায় এসেছিলেন বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বরগুনা-২ আসনের সাবেক তিনবারের সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম মনি। জ্বালানি তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করার কথা ছিল।
পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক জানান, আমরা কেন্দ্র ঘোষিত তেল গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সোমবার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। পাথরঘাটা থানায় লিখিত অনুমতি চেয়েছিলাম। অনুমতি পাওয়ার আগেই নূরুল ইসলাম মনির ওপর হামলা হয়েছে। তিনি বরিশালে চিকিৎসা শেষে ঢাকায় চলে গিয়েছেন।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম তারেক রহমান জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: নারায়ণগঞ্জে ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা
পুলিশের বিরুদ্ধে রিজভীর মামলার আবেদন খারিজ
নারায়ণগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে যুবদল কর্মী শাওন নিহতের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। রবিবার বিকাল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ইমরান মোল্লার আদালত ওই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে নতুন বিধিনিষেধ: রিজভী
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বাদী হয়ে এই মামলার আবেদন করেছিলেন। আদালত ২০৩ ধারায় মামলাটি খারিজ করেছেন।
বিবাদীরা হলেন- ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান কনক, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) নাজমুল হাসান, সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তারিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আমীর খসরু, পুলিশের কনস্টেবল শাহরুল আলম, সোহাগ, আরিফ দেওয়ান, ফেরদৌস দেওয়ান, সেলিম, রিপন, যুগল, মামুন, রিয়াজ, হাফিজ, সহকারী উপ পরিদর্শক ইকবাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, পুলিশের কনস্টেবল জাকির হোসেন, নাঈম, রাকিব, আনিস, সাইদুল, এএসআই সোহরাব, পুলিশ সদস্য ইনজামামুল, রাসেল, খলিলুর রহমান, মোহসিন, মোস্তাকিম, শাহাদাৎ, ফখরুল, আরিফ দেওয়ান, দীপক সাহা, শাহীন, ফরিদ উদ্দিন, মুরাদুজ্জামান, শাহীন, কবির হোসেন, মান্নান, রুবেল, সোহাগসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০জন।
রবিবার সকালে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ইমরান মোল্লার আদালতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বাদী হয়ে ওই মামলার আবেদন করেন।
মামলার বাদী রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সভা সমাবেশ করা আমাদের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। নারায়ণগঞ্জে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে গুলি করে শাওনকে হত্যা করেছে। সে আমাদের যুবদলের একজন সক্রিয় কর্মী। গণমাধ্যমে ছবি বেরিয়েছে ডিবির এস আই মাহফুজুর রহমান কনক চাইনিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করেছে। সেই গুলিতেই শাওন নিহত হয়েছে। আমাদের উপর যে হামলা হলো গুলি হলো সে ঘটনায় আমরা আদালতে মামলার আবেদন করে বিচার চেয়েছি বিজ্ঞ আদালতের কাছে।’
আরও পড়ুন: ঈদ আসলেই আওয়ামী পরিবহন সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে ওঠে: রিজভী
বিএনপির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ উদ্দিন তালুকদার জানান, নারায়ণগঞ্জের পুলিশের হামলায় পুলিশের গুলিতে শাওন সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় আমরা আদালতকে জানিয়ে গুলির ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান কনকসহ ৪২ জনের নামে মামলা করেছি। আদালতকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, মামলার আর্জি গ্রহণ করা হয়েছে। আদালত তাৎক্ষণিক কোন আদেশ দেননি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় র্যালি বের করার সময়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় শাওন নামের এক যুবক লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
১০০ শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শেখ ফরহাদ জানান, শাওনের বুকের বা পাশে এবং পিঠের নিচের অংশে দুটি গভীর ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে শরীরে কোনো গুলি পাওয়া যায়নি। বুকের বা পাশে একটি এবং পিঠের নিচের অংশে আরেকটি ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ঘটনার পর ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী জানান, নিহত শাওন তার ভাতিজা এবং সে আওয়ামী লীগের কর্মী।
আরও পড়ুন: আ’লীগের সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস বিএনপিকে ধোঁকা দেয়ার ফাঁদ: রিজভী
তবে পরদিন গত শুক্রবার ফতুল্লা থানার নবীনগর বাজারে শাওনের বাড়িতে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তখন তিনি জানান, শাওন যুবদলের রাজনীতি করতেন এবং যুবদলের কর্মী ছিল সেটাও প্রমাণিত হয়েছে। যদি সে রাজনীতি নাও করে তাও একজনকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে মেরে ফেলার কোনো অধিকার পুলিশের নেই। পুলিশ মিথ্যাচার করছে। পুলিশের গুলিতেই যে শাওনের মৃত্যু হয়েছে, এটা প্রমাণিত। শাওনকে হত্যার দায় তারা কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারে না।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের মামলায় ৭১ জনের নাম উল্লেখ সহ আরো পাঁচ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে: রিজভী
গোপালগঞ্জে হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
গোপালগঞ্জে আলী আকবর হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রবিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মাদারীপুরের রাজৈরের মজুমদারকান্দি গ্রামের জালাল মোল্লার ছেলে সুমন মোল্লা (৩৬) ও একই গ্রামের মান্নান ফরাজির ছেলে নুরু ফরাজি (৩৮)। তারা দুজনেই বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
নিহত আলী আকবর কোটালীপাড়ার বাগান উত্তরপাড় গ্রামের কাদের শেখের ছেলে। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন করতেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২৩ মে সন্ধ্যা ৭টার সময় মামলার দুই আসামি কোটালীপাড়ার মহুয়া সিনেমা হলের সামনে থেকে মাদারীপুরের টেকেরহাট যাওয়ার উদ্দ্যেশে নিহত আকবরের মোটরসাইকেল ভাড়া করে।
আলী আকবর ভাড়া নিয়ে গেলে ছোট ভাই আলী আহম্মদ তার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে আলী আহম্মেদের মোবাইল ফোনে কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তারা বিভিন্ন জায়গা খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়না।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
পরের দিন সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া ইউনিয়নের বাজুনিয়া–গান্দিয়াসুর সড়কের পাশে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে নিহতের পরিবারের লোক এসে আলী আকবরকে শনাক্ত করেন। ওই দিনেই নিহতের ছোট ভাই আলী আহম্মেদ বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে কোটালিপাড়া থানায় মামলা করেন।
কোটালীপাড়া থানা পুলিশ মামলা তদন্ত করে ২০০৯ সালের ১৪ জানুয়ারি ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
দীর্ঘ শুনানির পর রবিবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অভিযঙুক্ত দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সহকারি কৌসুঁলী অ্যাডভোকেট মো. শহিদুজ্জামান খান পিটু জানান, এই হত্যাকাণ্ডের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
ঝুমন দাশের জামিন নামঞ্জুর
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জের শাল্লার ঝুমন দাশ ওরফে আপনের (২৬) জামিন নামঞ্জুর বলেছেন আদালত। রবিবার তার আইনজীবী পঙ্কজ তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ঝুমন দাশ নিজের ফেসবুক আইডিতে উস্কানিমূলক পোস্ট দেয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়। এর ছয়দিনের মাথায় সুনামগঞ্জের বিচারিক হাকিম ইশরাত জাহানের আদালতে জামিন চাওয়া হয়। তবে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন।’
আরও পড়ুন: মুক্তি পেলেন ঝুমন দাশ
তিনি আরও বলেন, ‘ঝুমন দাশের বাড়ি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে। শাল্লা থানার পুলিশ তাকে গত ৩০ আগস্ট দুপুরে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তার বিরুদ্ধে শাল্লা থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুমনুর রহমান বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পরের দিন তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।’
ওই আইনজীবী বলেন, ‘ঝুমন দাশ এ দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ঝুমন দাশের বিরুদ্ধে এর আগে একই থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত বছরের ২২ মার্চ আরেকটি মামলা করেছিল পুলিশ। ওই মামলায় তিনি প্রায় ছয় মাস কারাগারে ছিলেন। মামলাটি এখন সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে।’
আরও পড়ুন: খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক সবুর কারাগারে
ঝুমন দাশকে গ্রেপ্তারের পর সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৮ আগস্ট বেলা তিনটায় ঝুমন দাশ নিজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি উস্কানিমূলক পোস্ট দেন। ওই পোস্ট ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত করে এবং এলাকায় ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
শাল্লা থানায় বুধবার সকালে ঝুমন দাশ তার জবানবন্দিতে বলেছেন, ‘২৮ আগস্ট তার ফেসবুক আইডিতে অন্য একজনের আইডি থেকে একটি পোস্ট আসে। তাতে সিরাজগঞ্জের একটি মন্দিরের গেটে একটি মসজিদের দানবাক্স লাগানো ছিল। এই পোস্ট পড়ে তিনি সেটি তার আইডি থেকে শেয়ার করেন। এরপর শুনতে পান, তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালতে জবানবন্দি দেয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।’
আরও পড়ুন: ঝুমন দাশের জামিন আদেশ বৃহস্পতিবার
উল্লেখ্য, হেফাজতে ইসলামের তৎকালীন কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে গত বছরের ১৭ মার্চ সকালে ঝুমন দাশের গ্রাম নোয়াগাঁওয়ে হামলা হয়। হামলার ঘটনার আগে ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা শহরে আয়োজিত এক সমাবেশে মামুনুল বক্তব্য দেন। পরে মামুনুলকে নিয়ে নিজের ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেন বলে অভিযোগ ওঠে ঝুমনের বিরুদ্ধে।
১৬ মার্চ রাতে পুলিশ ঝুমনকে আটক করে। পরের দিন ১৭ মার্চ সকালে উপজেলার কাশিপুর, দিরাই উপজেলার নাসনি, সন্তোষপুর ও চন্ডিপুর গ্রামের মানুষ লাটিসোঁটা নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা চালায়। এ ঘটনার পর শাল্লা থানায় তিনটি মামলা হয়। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায়।
অন্য মামলাটি হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। এই মামলায় তিনি প্রায় ছয় মাস জেল খাটার পর হাইকোর্ট থেকে এক বছরের জন্য ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর জামিন পান।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চান ড. কামাল হোসেন
কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু ও ১ জনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার খোকসায় মোটরসাইকেল চালক নজরুল ইসলাম ওরফে লতিফকে (৩০) গলা কেটে হত্যার দায়ে দুই আসামিকে আমৃত্যু ও এক নারীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং একজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। রবিবার দুপুরে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- রাজবাড়ী সদর উপজেলার ধুনচি গ্রামের মৃত ফয়েজ শেখের ছেলে মজিবর শেখ (৩৭) ও কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়া এলাকার তোফাজ্জেল আলীর ছেলে ফজলু (৩৫)।
দণ্ডপ্রাপ্ত খুশি বেগম কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার উত্তর শ্যামপুর গ্রামের মজনু শেখের স্ত্রী।
জানা গেছে, রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খুশি বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফজলু ও মজিবর পলাতক রয়েছেন।
অন্যদিকে, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় আজিম সর্দারকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন:ড্রামট্রাকের ধাক্কায় কুষ্টিয়ায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৬ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক নজরুল ইসলাম ভাড়ায় যাত্রী বহনের উদ্দ্যেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। সেদিন বিকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন। পরের দিন ১৭ জুলাই দুপুর ১টার দিকে খোকসা উপজেলার উত্তর শ্যামপুর গ্রামের মাঠে পাটখেতের মধ্যে মস্তকহীন নজরুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নজরুলের ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চুরি করতে তাকে গলা কেটে হত্যা করে। পরের দিন ১৮ জুলাই নিহতের বড়ভাই ও রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার সজিরদ্দিন শেখের ছেলে বিল্লাল শেখ বাদি হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে খোকসা থানায় এজাহার দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৩০ জুন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ৪ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার আসামিদের শাস্তির আদেশ দেন।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী জানান, মোটরসাইকেল চালক নজরুল ইসলামকে হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় দুজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড সেই সঙ্গে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার অপর আসামি আজিমকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন:কুষ্টিয়ায় ২ দিনব্যাপী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা শুরু
সাভার থেকে অপহরণের ৩ দিন পর কুষ্টিয়া থেকে শিশু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: নারায়ণগঞ্জে ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা
নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছে। মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৭১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং ৮০০ থেকে ৯০০ জন অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশ বক্স ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আটক ১০ জনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিকালে তাদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, নিহত ১
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু বলেন, পুলিশের ওপর হামলা, ভাংচুর, কাজে বাধার অভিযোগ এনে সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় ৭১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও আটশ’ থেকে নয়শ’ জনকে আসামি করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে নিহত যুবদল কর্মী শাওন প্রধানের ভাই বাদী হয়ে পাঁচ হাজার জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় সকল আসামি অজ্ঞাত।
জেলা বিএনপির সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান, সেক্রেটারি আব্দুর সবুর সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল আল ইউসুফ খান টিপু, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান মুকুলসহ ৭১ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ আছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি র্যালি বের করলে সেখানে পুলিশ বাধা দেয়। এতে সৃষ্ট সংঘর্ষে শাওন আহমেদ রাজা নামে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়। পুলিশের গুলিতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ইটের আঘাতে ১৪ পুলিশ সদস্য আহত হন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, আটক ৫
সিরাজগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় ১১০ জনকে আসামি করে মামলা, গ্রেপ্তার ২
শাওন গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য প্রাণ দিয়েছে: ফখরুল
নারায়ণগঞ্জের শাওন গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ গুলি করে যুবদল কর্মী শাওনকে হত্যা করেছে। শাওন গণতন্ত্রের জন্য, গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য প্রাণ দিয়েছে। সে যুবদলের প্রমাণিত ও পরীক্ষিত একজন সক্রিয় কর্মী। দলীয় কর্মসূচিতে তার অংশগ্রহণের অনেক ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। তার চাইতে বড় পরিচয় সে এদেশের নাগরিক। তাকে পুলিশ এভাবে গুলি করে মারতে পারে না। অবিলম্বে শাওনের হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার পূর্ব গোপালনগর এলাকায় নিহত শাওনের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
পরে মির্জা ফখরুল নিহতের পরিবারকে এক লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, জেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুল ইসলাম রবি, জেলা যুবদলের আহবায়ক খোকন, সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিসহ জেলা ও মহানগর অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
পড়ুন: যুবদল কর্মী নিহত: দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
নিহত শাওন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সে যুবদলের কর্মী নয় বলে পুলিশ ও সরকার এখন মিথ্যাচার করছে। সরকার সারা দেশে বিএনপির কর্মসূচিতে গুলি করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। আমরা সন্ত্রাসে বিশ্বাস করিনা, বিশৃঙ্খলায় বিশ্বাস করিনা, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাস করি। নারায়ণগঞ্জে একটা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ যেভাবে গুলি চালিয়েছে একটা স্বাধীন দেশে তা চলতে পারে না।
এসময় পুলিশকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, পুলিশ আমাদের শত্রু নয়, আপনারা কারো হুকুম পালন করবেন না। নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। অন্যথায় অচিরেই দেশব্যাপি সরকার পতনের আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় গেলে জিয়া হত্যার বিচারে কমিশন গঠন করবে বিএনপি: ফখরুল
নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, নিহত ১
নেত্র নিউজ এর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের অভিযোগে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘নেত্র নিউজ’-এর ফেসবুক পেজের অ্যাডমিন হাসিনুর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুদ্দিন আহম্মেদ তারেক।
এ মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল নেত্র নিউজের ফেসবুক পেইজের অ্যাডমিন হাসিনুর রহমানকে।
আদালতের বিচারক গোলাম ফারুখ মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপারকে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারি নুরুল ইসলাম কাকন।
আরও পড়ুন: পাবনায় হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
বাদী পক্ষের আইনজীবী গোলাম সারওয়ার রাজীব বলেন, মামলার আসামি হাসিনুর রহমানের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার নাথের পাথুয়া বিনয়ঘর গ্রামে। তিনি বর্তমানে রাজধানী ঢাকার মিরপুরে বসবাস করছেন। তিনি একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা।
মামলার অপর আসামি অনলাইন নিউজ পোর্টাল নেত্র নিউজের ফেসবুক পেইজের অ্যাডমিন।
তিনি বলেন, হাসিনুর রহমান একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও রাষ্ট্র, সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে নানা ধরনের বক্তব্য দিয়ে নেত্র নিউজের মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, এছাড়া রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী বিভিন্ন ভিডিওসহ পোস্ট ভাইরাল হয় নেত্র নিউজ থেকে। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করাসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়।
মিথ্যা, মানহানিকর, আক্রমণাত্মক এই অপপ্রচারের কারণে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে বলে মামলার আরজিতে উল্লেখ করেছে বাদী।
আরও পড়ুন: গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় ভাসুরসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু