মামলা
তথ্য হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলে এফটিসি’র মামলা
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) তথ্য হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে আইডাহোভিত্তিক কোম্পানি কোচাভা ইনকরপোরেটেডের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
সোমবার করা এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, চক্রটি কয়েক লাখ মুঠোফোন থেকে সংবেদনশীল ভৌগোলিক অবস্থানসহ নানা তথ্য হাতিয়ে নিয়ে তা বিক্রি করেছে। অবস্থানগত এই তথ্য ব্যবহার করে একজন মুঠোফোন ব্যবহারকারীর প্রজনন স্বাস্থ্য ক্লিনিক, গৃহহীনদের আশ্রয়স্থল এবং উপাসনালয় কোথায় গিয়েছেন তা দেখা হয়েছে।
মামলায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তার বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। যেখানে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে গর্ভপাত করতে চান এমন একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত গোপনীয়তার বিষয়টি আলোচিত হয়।
এফটিসির কাছ থেকে তথ্য হাতিয়ে নেয়ার বিষয় এটিই প্রথম নয়। তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন স্বাস্থ্য বিষয়ক, বিশেষ করে প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে এই প্রথম।
আরও পড়ুন: চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোন খুঁজে পাওয়ার উপায়
গোপনীয়তা বিষয়ক ওকালতি সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিটাল ডেমোক্রেসির নির্বাহী পরিচালক জেফ চেস্টার বলেন, সম্ভবত এটি বেশ বড় একটি ঘটনা। এফটিসির এই মামলাকে তিনি বড় ধরনের পদক্ষেপ হিসেবেই দেখছেন।
সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর তথ্য হাতিয়ে নেয়ার এই বিষয়টি কংগ্রেস ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাদের কাছে পরবর্তী তদন্তের আওতায় আসে। আইন প্রণেতারা বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানি ও তথ্যফাঁস সংক্রান্ত ছোট সংস্থাদের কাছে তারা কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে তা জানতে চেয়েছে। বিশেষ করে মুঠোফোন থেকে ভৌগোলিক অবস্থানের তথ্য ব্যবহার করে গর্ভপাতের বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে কি-না তাতে গুরুত্ব দেয়া হয়।
এফটিসি এ মাসে ঘোষণা দেয়, তারা প্রযুক্তি ও অন্যান্য কোম্পানিগুলোর বাণিজ্যিক নজরদারি এবং তথ্য নিরাপত্তায় ক্ষতিকর দিকগুলো সড়িয়ে নিতে খসড়া নীতির বিষয়ে আলোচনা করছে।
আরও পড়ুন: ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে লাইকি
মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় আরিফ শিকদার হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি হৃদয় হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ জয়শ্রী সমাদ্দার আসামি হৃদয়ের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত হৃদয় মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার ব্রাহ্মন্দী গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, চলতি বছরের ১২ মে সকালে জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বেলতলা গ্রামের শ্যালো মেশিন ঘরে আরিফকে একা পেয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে ধান কাটার কাঁচি দিয়ে গলায় পোচ দেয়। এ সময় আরিফের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে হৃদয়কে ধরে ফেলে পুলিশে সোপর্দ করে। ঘটনাস্থলেই আরিফের মৃত্যু হয়।
পরে তদন্ত শেষে সাটুরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়াউল হাসান আদালতে হৃদয়কে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে। সাক্ষী প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত আজ মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে নৌ ঘাঁটিতে বোমা হামলা: ৫ জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ড
জি কে শামীমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার রায় ২৫ সেপ্টেম্বর
যুবলীগের কথিত নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমসহ আটজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার রায় ঘোষণার তারিখ আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম মামলার যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন।
আরও পড়ুন: জি কে শামীমের চার দেহরক্ষীর জামিন নিয়ে হাইকোর্টের রুল
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সালাহউদ্দিন হাওলাদার জানান, মামলাটিতে আদালত উনিশ জন সাক্ষীর মধ্যে দশজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। আদালতে রায়ের তারিখ ধার্য করেছেন। আশা করছি, আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষী মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।
জি কে শামীমের অস্ত্র মামলায় র্যাব ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠন করেন।
প্রসঙ্গত, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনে শামীমের বাড়ি ও অফিসে র্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর এবং নগদ প্রায় এক কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং মদ জব্দ করে।
জি কে শামীমের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় হাইকোর্টে জি কে শামীমের জামিন আবেদন
জি কে শামীমের কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল
দুদকের মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন কারাগারে
চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ও স্পেশাল জজ ডা. বেগম জেবুননেছার আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী সিভিল সার্জন থাকাকালে একটি এমআরআই মেশিনের বাজারমূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা হলেও চট্টগ্রাম জেনালের হাসপাতাল সেটি কিনে ৬ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকায়। একইভাবে চারটি কালার ডপলার কেনা হয় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকায়। যদিও এই মেশিনের দাম মাত্র ৯৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ভোলায় শিশু নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, দাদি কারাগারে
তিনি জানান, এভাবে বাজার মূল্যের চেয়ে দুই-তিনগুণ বেশি দাম দেখিয়ে মোট ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকা সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন দুদক সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম ১-এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক।
এছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. মো. আব্দুর রব, জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক সার্জারি) ডা. মো. মইন উদ্দিন মজুমদার, সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. বিজন কুমার নাথ, যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. জাহের উদ্দিন সরকার, মেসার্স আহম্মদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সী ফারুক হোসেন এবং এএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফতাব আহমেদ।
তিনি আরও জানান, ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জন্য যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে এ দুর্নীতি হয়েছিল বলে মামলার এজাহারে লেখা রয়েছে। ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জনের পাশাপাশি ওই সময় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ট্রেনে ঢিল ছুঁড়ে যুবক কারাগারে
২৩ লাখ টাকাসহ আটক সার্ভেয়ার কারাগারে
বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ: ৪০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৩ মামলা
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ‘বিএনপির মিছিলে বাধা দেয়ার’জের ধরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা করেছে পুলিশ।
এসব মামলায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদসহ ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত তিন থেকে চার শতাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বাঁশখালী থানার কালীপুর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে ১৫ পুলিশসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে দুটি এবং শনিবার সকালে একটিসহ বাঁশখালী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মোট তিনটি মামলা করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করে তিনটি মামলা করা হয়েছে।
এছাড়া সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, মানুষের যান চলাচলে বাধা, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলাগুলো করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, সারাদেশের মানুষ আজ স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। মানুষের এ গণজোয়ার দেখে সরকার দিশাহারা হয়ে পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছে।
বিএনপির সভাসমাবেশে বাধা এবং হামলা চালিয়ে উল্টো নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। এসব হামলা মামলা দিয়ে বিএনপির আন্দোলনকে দমানো যাবে না। মানুষ এদের পতন করেই ঘরে ফিরবে।
উল্লেখ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, জ্বালানি তেল ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি, অসহনীয় লোডশেডিং এবং ভোলায় দুই নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাঁশখালী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে প্রধান সড়কের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। এতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ লেগে যায়।
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং পুলিশের রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপে উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়।
সংঘর্ষ চলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। পুলিশের দাবি সংঘর্ষে আনোয়ারা সার্কেলের এএসপি মো. হুমায়ুন কবির, ওসি কামাল উদ্দিন, এসআইসহ ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাবির ছাত্রীকে ‘যৌন নিপীড়ন’ ঘটনায় মামলা
খুলনায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
খুলনায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন খুলনার একটি আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিকালে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩ এর বিচারক আ. ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, শিউলী বেগম, হাসিনা (পলাতক), আ. রব ওরফে রাহুল (পলাতক) ও আমিন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রুবেল খান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তার বাবাকে নিয়ে গবরচাকা এলাকার হাবির বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। অভাবের সংসার হওয়ায় স্থানীয় একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন তিনি। আর এ সুযোগ কাজে লগিয়ে মামলার এজাহার নামীয় আসামি লাবনী ২০১১ সালের ২১ নভেম্বর তাকে গার্মেন্টেসে কাজ দেয়ার কথা বলে ঢাকায় নেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়।
কিছুদিন পর আসামি শিউলী ও লাবনী বাড়ি ফিরে আসে। ভুক্তভোগীর বাবাকে তারা জানায়, তার মেয়ে ঢাকায় একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করছে। অনেক টাকা বেতন পায়। অল্প সময়ের মধ্যে বাড়ি ফিরে আসবে। এ কথা বলে ভুক্তভোগীর বাবার হাতে এক হাজার টাকা ধরিয়ে দেয়।
মেয়ে ফিরে না আসায় বাবা আসামিদের জিজ্ঞাসা করে। কিন্তু তাদের কথায় সন্দেহ বাড়ে বাবার। পরবর্তীতে কয়েকজনকে নিয়ে আসামিদের বাড়িতে গেলে তারা স্বীকার করে যে তাকে চাকরি দেয়ার কথা বলে ঢাকায় না নিয়ে ভারতে বিক্রি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সোনাডাঙ্গা থানায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন:খুলনায় মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ২ জন উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
আদালত সূত্রে আরও জানা গেছে, ঘটনার দিন আসামি শিউলী বেগম ভুক্তভোগীকে ভারতে পাচারের উদ্দেশে আসামি আমিনের সহায়তায় বোম্বে নিয়ে যায়। সেখানে নেয়ার পর ওই দুই আসামি হাসিনার হেফাজতে রাখেন। পরবর্তীতে একটি বাসা ভাড়া করে শিউলী ও ভুক্তভোগী একই স্থানে অবস্থান করে। পরে ওই তিনজন আসামি যোগসাজেশে তাকে আ. রব ওরফে রাহুলের কাছে বিক্রি করে দেন। পরে হাসিনা ভারত থেকে দেশে ফিরে আসে। সেখানে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসায়ে নিয়োজিত করে। পরে পুলিশের সহায়তায় ভুক্তভোগীকে ভারতের বোম্বে থেকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন:খুলনায় বাস-ট্রাকের সংঘর্ষ, প্রাণ গেল ট্রাকচালক ও ৯ গরুর
চালককে হত্যার পর ইজিবাইক ছিনতাইয়ের চেষ্টা, খুলনায় আটক ২
জিয়া মারা না গেলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি হতেন: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জিয়াউর রহমান যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তা প্রমাণের জন্য রকেট সায়েন্স লাগে না। তার কর্মকাণ্ডই প্রমাণ করে তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মারা না গেলে জিয়াউর রহমান এই মামলার আসামি হতেন বলেও জানান তিনি।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে যারা ষড়যন্ত্র করেছেন, তাদেরকে চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠনের বিষয়ে অনেকেই এখন সোচ্চার। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, সময়মত এ কমিশন অবশ্যই গঠন করা হবে এবং এর মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা হবে। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা কমবেশি চিহ্নিত। তাদের কর্মকাণ্ডকে দলিল হিসেবে সংরক্ষণের জন্য কমিশন প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ছাড় দেয়া হবে না: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘উইচ হান্টিং’ বা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই কমিশন গঠন করা হবে না। ১৯৭৫ সালের বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে বদলে দেয়ার জন্য যে কলঙ্কিত প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছিল, যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিলে তার সঙ্গে কারা কারা জড়িত ছিল, নতুন ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে সেটা জানানোর জন্যই এই কমিশন গঠন করা হবে। এছাড়া কাদের ব্যাপারে তাদের সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার সেটা জানানোও এই কমিশনের উদ্দেশ্য।
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এমপি, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, এডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু প্রমুখ বঙ্গবন্ধুর জীবন-আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
আরও পড়ুন:আ.লীগ জনগণের দল, আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি: আইনমন্ত্রী
সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার অভাবেই মামলাজট: আইনমন্ত্রী
সীতাকুণ্ডে মহাসড়ক অবরোধ: দেড়শ লোকের বিরুদ্ধে থানায় ৬ মামলা
সীতাকুণ্ডের ফৌজদার হাটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সাড়ে ৫ঘন্টা অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় জঙ্গল সলিমপুরে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা হয়েছে। মামলায় ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করে।
আরও পড়ুন:সীতাকুণ্ডে দাড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে প্রাইভেট কারের ধাক্কা, চালক নিহত
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গতকালের ঘটনায় সীতাকুণ্ড থানায় ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে মামলার আসামি করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে জঙ্গল সলিমপুর ও আলিনগরের বাসিন্দারা প্রশাসন কর্তৃক জঙ্গল সলিমপুরে বসবাসকারীদের উচ্ছেদের চেষ্টা, পানি, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে মহাসড়কের দিকে অন্তত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। পরে বিকাল সাড়ে ৫টায় স্থানীয় গ্রামবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ ছিন্নমূল লোকজনকে ধাওয়া দিয়ে অবরোধ ভাঙ্গার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং সংঘর্ষ লেগে যায়।
পরে পুলিশ টিয়ার সেল মর্টার সেল নিক্ষেপ করলে অবরোধকারীরা ছিন্নমূল পাহাড়ে পালিয়ে যায়।
আর পড়ুন:সীতাকুণ্ডে লরির সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ১
সীতাকুণ্ডে ২ প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, মহাসড়ক অবরোধ
ফেনীতে অস্ত্র মামলায় ৭ আসামির ২২ বছর কারাদণ্ড
ফেনীতে অস্ত্র মামলায় সাত আসামিকে ২২ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউছুপ এ রায় দেন।
সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন- ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে মহিউদ্দিন (৩৪), মোহাম্মদ মোস্তফার ছেলে মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম জিয়া (৩৩), একই ইউনিয়নের দক্ষিণ চনুয়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে হুমায়ুন কবির মিন্টু (৩৫), মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ ইয়াসিন (৩৪), রুহুল আমিনের ছেলে ওসমান গনি (৩৬), কসবা গ্রামের জাফর আলী জমাদ্দার বাড়ির নুরুল হুদার ছেলের সাখাওয়াত হোসেন (৩০) ও সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের আব্দুল হকের ছেলে শফিকুল ইসলাম সবুজ (৩৬)।
রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ফরিদ আহম্মদ হাজারী ও আসামিপক্ষের অ্যাডভোকেট সৈয়দ আবুল হোসেন মামলা পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন:সিলেটে পাহাড়কাটার অভিযোগে ৬ জনের কারাদণ্ড
রাষ্ট্রপক্ষে মামলার কৌঁসুলি ফরিদ আহম্মদ হাজারী বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে নুরুল ইসলাম ও সফিকুল ইসলাম ছাড়া অন্য পাঁচজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাত আসামির প্রত্যেককে ২২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যে নুরুল ইসলাম ও সফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। এছাড়া পলাতক দুজন গ্রেপ্তার হলে বা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করলে তখন থেকে তাদের রায় কার্যকর হবে। এছাড়া অন্যরা জামিনে থেকে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল পুলিশ ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে একটি বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় একটি কক্ষ থেকে একটি গুলিসহ দেশীয় বন্দুক, একটি গুলিসহ একনলা বন্দুক, একটি গুলিসহ দেশি পাইপগান, দুটি ছুরি ও তিনটি রামদা উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে ওই সাত জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ, চোরা ও রামদা রাখার অপরাধে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা করে।
২০১৪ সালের ২৯ মে ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক মোতাহার হোসেন সাত জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত ২০১৪ সালের ১৮ আগস্ট চার্জ গঠন করেন। এ মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার দুপুরে এ রায় দেন।
আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলায় একজনের ১৭ বছর কারাদণ্ড
ফরিদপুরে স্ত্রীর করা মামলায় পুলিশ পরিদর্শকের কারাদণ্ড
মামলা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন ড. ইউনূসের
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (২৪ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছেন তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আইনজীবী আল মামুন জানান, হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) আপিল বিভাগে সিএমপি (হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে) দাখিল করেছি। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আজ এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
ড. ইউনূস ছাড়াও এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা চলবে: হাইকোর্ট
মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪ এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরে ওই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনুস। তার ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। পাশাপাশি মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে রুল দিয়েছিলেন।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ১৩ জুন আপিল বিভাগ মামলা বাতিলে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। এই সময় পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখতে নির্র্দেশ দেন আপিল বিভাগ। সে অনুযায়ী হাইকোর্টে রুলের ওপর শুনানি হয়। গত ১৭ আগস্ট রুল খারিজ করে মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে রায় দেন। যে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করলেন ড. ইউনুস।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের মামলা বাতিল আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি ১১ আগস্ট
ড. ইউনূস শাক দিয়ে মাছ ঢাকছেন: তথ্যমন্ত্রী