মামলা
ফেনীতে অস্ত্র মামলায় ৭ আসামির ২২ বছর কারাদণ্ড
ফেনীতে অস্ত্র মামলায় সাত আসামিকে ২২ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউছুপ এ রায় দেন।
সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন- ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে মহিউদ্দিন (৩৪), মোহাম্মদ মোস্তফার ছেলে মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম জিয়া (৩৩), একই ইউনিয়নের দক্ষিণ চনুয়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে হুমায়ুন কবির মিন্টু (৩৫), মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ ইয়াসিন (৩৪), রুহুল আমিনের ছেলে ওসমান গনি (৩৬), কসবা গ্রামের জাফর আলী জমাদ্দার বাড়ির নুরুল হুদার ছেলের সাখাওয়াত হোসেন (৩০) ও সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের আব্দুল হকের ছেলে শফিকুল ইসলাম সবুজ (৩৬)।
রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ফরিদ আহম্মদ হাজারী ও আসামিপক্ষের অ্যাডভোকেট সৈয়দ আবুল হোসেন মামলা পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন:সিলেটে পাহাড়কাটার অভিযোগে ৬ জনের কারাদণ্ড
রাষ্ট্রপক্ষে মামলার কৌঁসুলি ফরিদ আহম্মদ হাজারী বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে নুরুল ইসলাম ও সফিকুল ইসলাম ছাড়া অন্য পাঁচজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাত আসামির প্রত্যেককে ২২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যে নুরুল ইসলাম ও সফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। এছাড়া পলাতক দুজন গ্রেপ্তার হলে বা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করলে তখন থেকে তাদের রায় কার্যকর হবে। এছাড়া অন্যরা জামিনে থেকে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল পুলিশ ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে একটি বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় একটি কক্ষ থেকে একটি গুলিসহ দেশীয় বন্দুক, একটি গুলিসহ একনলা বন্দুক, একটি গুলিসহ দেশি পাইপগান, দুটি ছুরি ও তিনটি রামদা উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে ওই সাত জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ, চোরা ও রামদা রাখার অপরাধে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা করে।
২০১৪ সালের ২৯ মে ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক মোতাহার হোসেন সাত জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত ২০১৪ সালের ১৮ আগস্ট চার্জ গঠন করেন। এ মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার দুপুরে এ রায় দেন।
আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলায় একজনের ১৭ বছর কারাদণ্ড
ফরিদপুরে স্ত্রীর করা মামলায় পুলিশ পরিদর্শকের কারাদণ্ড
মামলা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন ড. ইউনূসের
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (২৪ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছেন তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আইনজীবী আল মামুন জানান, হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) আপিল বিভাগে সিএমপি (হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে) দাখিল করেছি। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আজ এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
ড. ইউনূস ছাড়াও এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা চলবে: হাইকোর্ট
মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪ এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরে ওই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনুস। তার ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। পাশাপাশি মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে রুল দিয়েছিলেন।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ১৩ জুন আপিল বিভাগ মামলা বাতিলে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। এই সময় পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখতে নির্র্দেশ দেন আপিল বিভাগ। সে অনুযায়ী হাইকোর্টে রুলের ওপর শুনানি হয়। গত ১৭ আগস্ট রুল খারিজ করে মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে রায় দেন। যে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করলেন ড. ইউনুস।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের মামলা বাতিল আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি ১১ আগস্ট
ড. ইউনূস শাক দিয়ে মাছ ঢাকছেন: তথ্যমন্ত্রী
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলায় একজনের ১৭ বছর কারাদণ্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলায় এক আসামিকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে অস্ত্র আইনে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রবিউল ইসলাম আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন:খুলনায় আ.লীগ নেতা হত্যায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত তৌফিকুল ইসলাম (৩৮) জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের কমলাকান্তপুর এলাকার মৃত সুলতান মন্ডলের ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি আঞ্জুমান জানান, ২০১৪ সালের ২৯ মার্চ সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের সরকারের মোড় এলাকায় জনৈক আলমের টিনের ঘরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে একটি ওয়ান শুটার গান ও তিন কেজি ৯৫০ গ্রাম গান পাউডারসহ তৌফিকুল ইসলামকে আটক করে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় র্যাব-৫ এর নায়েক সুবেদার কাজী আব্দুল বাছেদ বাদী হয়ে তৌফিকুল ইসলামকে আসামী করে শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রেজা সরকার একই বছরের ২৭ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। দীর্ঘ শুনানি শেষ আদালত আজ এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন:খুলনায় স্ত্রীর করা মামলায় স্বামীর ৭ বছর কারাদণ্ড
বরিশালে দুর্নীতির মামলায় বিদ্যুৎ বিভাগের ২ প্রকৌশলীর কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জে ইউএনও’র ওপর হামলা: দেড় শতাধিকের বিরুদ্ধে মামলা
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ইউএনও-এসিল্যান্ডের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলায় শতবর্ষী খেলার মাঠে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গা মাটি দিয়ে ভরাটের সময় এই হামলার ঘটনায় দেড় শতাধিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রবিবার সকালে এ ঘটনার পর রাতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের পেশকার আব্দুল হাই বাদী হয়ে ৫৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) হাসিবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলা দায়েরের পর রাতে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভিডিও ও ছবি দেখে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে। অযথা কেউ হয়রানির শিকার হবে না বলে নিশ্চয়তা দেন তিনি।
হাসিবুল ইসলাম আরও বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত জায়গাটি সরকারের রেকর্ডভুক্ত পতিত জমি। এর পাশেই একটি প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ আছে। কিন্তু আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত জায়গাটি সরকারি ও ১৯৮০ সালের সর্বশেষ রেকর্ড অনুযায়ী পতিত জমি।
সিরাজগঞ্জ জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. মাসুদ রানা বলেন, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের জন্য নির্ধারিত জায়গা ছাড়া ক্রীড়া সংস্থার অন্য আর কোনো খেলার মাঠ নেই। তবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের অন্য কোনো সরকারি জায়গা যদি থাকে তাহলে খেলার মাঠে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ না করাই ভালো বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
উল্লেখ্য, শাহজাদপুর উপজেলার বলদিপাড়া-হলদিঘর খেলার মাঠে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে বিরোধিতা করে আসছিলেন স্থানীয়রা। তারা গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে বাঁধার সৃষ্টি করেন। রবিবার সকালে মাটি ভরাটের জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে মাঠে প্রবেশ করতে চাইলে বিরোধিতাকারীরা হামলা চালিয়ে ইউএনও’র গাড়ি ভাঙচুর করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপে সহকারী কমিশনারের মাথায় আঘাত লাগে। তাকে উদ্ধার করে শাহজাদপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তির পর তার মাথায় আটটি সেলাই দেয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন শাহজাদপুর উপজেলা হাসপাতালের আরএমও ডা. মাসুদ রানা। বিকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার অভাবেই মামলাজট: আইনমন্ত্রী
দেশের আইন, বিচার ও সংসদ বিয়য়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আদালতগুলোতে সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার অভাবেই তৈরি হয়েছে বড় আকারের মামলাজট। কারণ সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার অভাবেই দেশে সৃষ্টি হয় অধিকাংশ দেওয়ানি মামলার। আবার ভূমি বিরোধ ফৌজদারী মামলারও অন্যতম কারণ।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচারকদের ৪৫ ও ৪৬তম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণকারী বিচারকদের জন্য আয়োজিত ‘ভূমি জরিপ সংক্রান্ত বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ হওয়ায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মাথাপিছু জমির পরিমাণ এবং আবাদযোগ্য জমি কমে যাচ্ছে। তাই আগামী প্রজন্মের জন্য খাদ্যের নিশ্চয়তা ও আবাসনসহ উন্নত জীবনযাত্রার জন্য আধুনিক ভূমি ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। আধুনিক ভূমি ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব অনুধাবন করেই সরকার ‘ই-রেজিস্ট্রেশন’ প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
এছাড়া ইতোমধ্যেই কিছু কিছু জেলায় ই-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার সঙ্গে ভূমি অফিসের ই-মিউটেশনের আন্তসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন এবং মিউটেশন প্রক্রিয়ার সঙ্গে এর সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভূমি ব্যবস্থাপনায় তাৎপর্যপূর্ণ উন্নয়ন হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশনের রূপরেখা প্রস্তুত: আইনমন্ত্রী
আনিসুল হক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানেই সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন এবং সমাজে সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিতের যে অঙ্গীকার করেছিলেন বিচার বিভাগের উন্নয়নের মাধ্যমে তারই বাস্তবায়ন করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। দ্রুততম সময়ে, কম খরচে ও কম ভোগান্তিতে জনগণের দোরগোড়ায় ন্যায়বিচার পৌঁছে দেয়ার কার্যক্রমকে সফল করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নান্দনিক চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ, বিচারক ও আইনজীবীদের একাডেমিক প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার লক্ষ্যে ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম গ্রহণ, আইটি বেইসড ডিজিটাল বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা, বিভিন্ন পর্যায়ে বিচারিক পদসৃজন এবং অসহায় মানুষের জন্য কার্যকর আইন সহায়তা কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে সহজে জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
এছাড়াও বিদ্যমান আইনগুলো পর্যালোচনা করে কিছু আইন ইতোমধ্যে সংশোধন করা হয়েছে এবং দেওয়ানী কার্যবিধিসহ আরও কিছু আইন সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। একটি ফলপ্রসু ও জনবান্ধব বিচারব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যেই সরকার এসব পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন:সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ছাড় দেয়া হবে না: আইনমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক: আইনমন্ত্রী
ঠাকুরগাঁওয়ে নারী নির্যাতন মামলায় সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনে করা এক মামলায় সাবেক কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার পীরগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত মো. জাফরুল পীরগঞ্জ শহরের ভেলাতৈড় মহল্লার শাহ্ আলমের ছেলে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘গত ১৪ জুন বিয়ের আশ্বাসে ভুক্তভোগী ওই নারীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত জাফরুল। এসময় অপর দুই অভিযুক্ত একই মহল্লার নজমুল হকের ছেলে রুমন ও ‘রনি রাইস মিলে’র মালিক শাহজাহানের ছেলে রনি একাজে জাফরুলকে সহযোগিতা করে।’
এতে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত রুমন ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও করে এবং গত ১৭ জুন ওই ভিডিও দেখিয়ে ভুক্তভোগী ওই নারীকে ব্ল্যাকমেইল করে।
পুলিশ জানায়, রুমন ও রনি দুজনেই পরে ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে ধর্ষণ করে।
এরপর তাদের হুমকি মেনে নেয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত তিনজন ভিডিওটি ভাইরাল করে দেয়। নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী গত ৩ আগস্ট তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে।
জাফরুলকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাকী দুই আসামি গা ঢাকা দিয়েছে। তবে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তাদের খুঁজছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে সিটি মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামে ১৬ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
ফেনীতে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় ২২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে বিএনপির মিছিলে সংঘর্ষের ঘটনায় ২২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় উল্লেখিত ২৪ আসামিদের মধ্যে সবাই বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।
শুক্রবার রাতে ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজ মিয়া কর্তব্য কাজে বাধা ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ে আরো ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামিদের মধ্যে সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমান উদ্দিন কায়সার সাব্বির, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নঈম উল্যাহ চৌধুরী বরাত, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল, সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম শিমুল, সাধারণ সম্পাদক এসএম কায়সার এলিন, ছাত্রদলের সভাপতি সালাহউদ্দিন মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাস্টার নিজাম উদ্দিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরিদুল ইসলাম রাহাত ও দিদারুল আলম, পৌর যুগ্ম-আহ্বায়ক নুর ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক, যুগ্ম-সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন রিয়াদ, সদর উপজেলা সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম, পৌর আহ্বায় তাজুল ইসলাম পাভেল, সদস্য সচিব ইব্রাহিম হোসেন ইবু রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন খাতে ভাড়া বৃদ্ধি, সকল পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, অসহনীয় লোডশেড়িং ও ভোলায় হত্যার প্রতিবাদে ফেনী জেলা বিএনপির উদ্যোগে শুক্রবার বিকালে ফেনীতে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের ইসলামপুর রোড়স্থ ফেনী জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহরের ট্রাংক রোডে গেলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা হামলা করে। বিএনপির নেতাকর্মীরাও পাল্টা হামলা করে। পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে ধাওয়া করে। এতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে বিএনপির কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। বিএনপি ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে ১৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে।
পড়ুন: বিএনপির পেট্রোলবোমা সন্ত্রাসীরা ফের মাঠে, প্রতিরোধ করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশনের রূপরেখা প্রস্তুত: আইনমন্ত্রী
ফেনীতে ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
ফেনী জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন জসিমকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে মর্মে অভিযোগ করে তার স্ত্রী লুৎফুন নাহার আদালতে ফেনী মডেল থানার ওসিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার দুপুরে ফেনী সদর আমলী আদালত-১ এর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মুহাম্মদ আশেকুর রহমানের কাছে দায়ের করা মামলাটি তিনি এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের আবেদন করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন, ২ উপপরিদর্শক (এসআই) এমরান হোসেন ও নারায়ণ চন্দ্র দাস, ডিএসবি কর্মকর্তা হাবীবুর রহমান ও দুই সাক্ষী সাব্বির হোসেন ও মো. সৈকত।
লুৎফুন নাহারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার সন্ধ্যায় আদালত পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার চেয়ে ঊর্ধ্বতন পদমর্যদার কর্মকর্তা দিয়ে নালিশি ঘটনা তদন্ত করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অত্র আদালতে তদন্তের অগ্রগতি অবিহিত করার জন্য এবং আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা ও মামলার আইনজীবী ইউসুফ আলমগীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত, ফেনী জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন জসিম (৪৮) ফেনী মডেল থানা পুলিশ গত ২২ জুলাই ঢাকার পল্টনের বিজয় নগর এলাকা থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করে।
পরে তার দেয়া তথ্যমতে তার ফেনী শহরস্থ রামপুরের বাসা থেকে রাত ১টার সময় ফেনী মডেল থানা পুলিশ, পুরাতন খবরের কাগজ দ্বারা মোড়ানো একটি কালো রংয়ের ৭.৬৫ এমএম পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও চার রাউন্ড গুলি এবং ২ টি লম্বা লোহার ছোরা উদ্ধার করে বলে জানান পুলিশ। পরবর্তীতে ফেনী মডেল থানা পুলিশ বাদী হয়ে একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করে।
তবে এই অভিযোগটি অস্বীকার করে জাকির হোসেন জসিমের পরিবার। তাকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিবার ও বিএনপি।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর হামলা, ফেনীতে ছাত্রলীগ সভাপতি বহিস্কার
ফেনীতে কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
বাগান থেকে হত্যা মামলার আসামির গলাকাটা লাশ উদ্ধার!
মাদারীপুরের রাজৈরে শাহিন (২৭) নামে এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলার চৌরাশির একটি বাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শহিন উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের মস্তফা শেখের ছেলে। তিনি একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সুত্র জানায়, শনিবার, ৬ আগস্ট পরিবারের লোকরা বেড়াতে যাওয়ায় শাহীন ঘরে একাই ঘুমিয়ে ছিল।পরদিন সকালে চৌরাশি এলাকার একটি বাগানে এলাকার লোক শাহীনের ক্ষত -বিক্ষত গলাকাটা লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়।
শাহিন ২০১৯ সালে রাজৈরের মুরগী ব্যবসায়ী সোহেল হাওলাদার হত্যা মামলার ৬ নং আসামি ছিল। ঢাকায় বর্তমান রং মিস্ত্রির কাজ করতো। কয়েক দিন আগে মামলার হাজিরা দিতে দেশে আসছিল।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাইনদ্দিন (৪৭) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গা থেকে মাঝির লাশ উদ্ধার
হোটেল থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ উদ্ধার
ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ভোলায় বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও ৩০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় সোমবার দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার রাতে ভোলা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান।
তিনি জানান, হত্যা মামলায় প্রায় ২৫০-৩০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে এবং পুলিশকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৩০০ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে অন্য একটি মামলা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করেছে বলেও জানান ওসি।
গতকাল রবিবার সকালে সদর উপজেলার কালীনাথ রায়ের বাজারে তাদের জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কালীনাথ রায়ের বাজারে বিক্ষোভ করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও গুলি বর্ষণ করে; যার ফলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এসময় একজন নিহত হয় এবং কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়।
আরও পড়ুন: ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০
পুলিশের গুলিতে শিশু নিহত: ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন