মামলা
ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতায় ৩ মামলা, আসামি ৮০০
জেলার রাণীশংকৈলের বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতা ও শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ৮০০ জনকে আসামি করে তিনটি মামলা করা হয়েছে।
শনিবার প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. খতিবর রহমান থানায় অভিযোগ দিলে তা মামলা হিসেবে রুজু হয়। উক্ত মামলায় আসামি ৩৫০ জন। পরে পুলিশের দুই কর্মকর্তা ৪৫০ জনকে আসামি করে আরও দুটি মামলা করেন।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, গত বুধবার রাতে ভোট গ্রহণের পর আসার পথে মীরডাঙ্গী বাজারের দক্ষিণে পুলিশের ওপর হামলা করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এই ঘটনায় ঠাকুরগাঁও সদর থানার এএসআই বিলাশ চন্দ্র রায় ২০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। একই ঘটনায় রাণীশংকৈল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আহাদুল জামান আলী ২৫০ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে আর একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের গুলিতে শিশু নিহত
এছাড়া প্রিজাইডিং অফিসারের দায়ের করা অভিযোগটি মামলা হিবেসে রুজু করা হয়েছে বলে জানান এসপি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
এদিকে, মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে অনেকেই এলাকা ছেড়েছেন। বেশিরভাগ লোক দোকান-পাট বন্ধ রেখেছেন।
তবে পুলিশ সুপার জানান, যারা এই ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত নন তাদের কোনো ভয় নেই।
এর আগে, গত বুধবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় পুলিশের ছোড়া বুলেটের আঘাতে রানীশংকৈল উপজেলার মীরডাঙ্গী গুচ্ছ গ্রামের মোহাম্মদ বাদশার আট মাসের কন্যা শিশু সুরাইয়া মারা যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী সহিংসতায় মেহেরপুরে সহোদর ‘খুন’
এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রামকৃষ্ণ বর্মণ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পীরগঞ্জ সার্কেল) আহসান হাবীবসহ তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
চট্টগ্রামে পুলিশ পরিদর্শক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ চট্টগ্রাম রিজিয়নের পরিদর্শক ও জেলার লোহাগাড়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান (৫৪) ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তারের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।বৃহস্পতিবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এ মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. আতিকুল আলম।এর আগেও দুদক তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের উপ-পরিচালক মো. আতিকুল আলম বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যে একে অপরের সহযোগিতায় অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার, দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে এক লাখ ৭১ হাজার ৭৩৬ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য প্রদান, এক কোটি ৪৮ লাখ চার হাজার ৪১৩ টাকার সম্পদ স্থানান্তর ও রূপান্তর করে ভোগ দখলে রাখার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।দুদক জানায়, ১৯৯০ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন শাহজাহান। ২০১৭ সালে লোহাগাড়া থানার ওসি মো. শাহজানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের একটি অভিযোগের প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে সত্যতা পাওয়া যায়। সম্পদবিবরণীতে তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে দুই কোটি ৬৪ লাখ ২৭ হাজার ৭০০ টাকা। এর মধ্যে ঋণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, ৮৬ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮৭ টাকা। চাকরিতে যোগদানের পর থেকে তিনি আয় দেখিয়েছেন ৭৮ লাখ ৫২ হাজার ৯৭৬ টাকা। ব্যয় দেখিয়েছেন ২৬ লাখ টাকা ১২ হাজার ৪৭৩ টাকা। তার বিরুদ্ধে এক কোটি ২৫ লাখ ২৩ হাজার ৮১০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক।
এছাড়া, ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ শাহজাহান ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তারের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির নির্দেশ দেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এরপর ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল ফেরদৌস আক্তার দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন। যা যাচাইয়ের জন্য দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম হাসপাতালে বিল জালিয়াতির চেষ্টা, ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগটিমের দাখিল করা প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসামি ফেরদৌসী আক্তারের দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিন কোটি ২১ লাখ ৮৬ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য দিয়েছেন। তবে তার স্বামীর কাছ থেকে দান হিসেবে প্রাপ্ত ৪৩ লাখ ১০ হাজার ৮৬৭ টাকার সম্পদ বাদ দিয়ে ঘোষিত স্থাবর সম্পদ মোট দুই কোটি ৭৮ লাখ ৭৫ হাজার ১৩৩ টাকা। এছাড়া দুদক যাচাইকালে তার নামে মোট দুই কোটি ৮০ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬৭ টাকার স্থাবর সম্পদ পেয়েছে। এছাড়া তিনি তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে নিজ নামে মোট ৪২ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩১ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন। সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার নামে ৪২ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩১ টাকার অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। অর্থাৎ, দান বাদে তিনি তার নামে সর্বমোট তিন কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৬৪ টাকা সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন। যাচাই কালে তার নামে সর্বমোট তিন কোটি ২৩ লাখ ১১ হাজার ৭৯৮ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়।ফেরদৌস তার স্বামী ওসি মো. শাহজাহানের সহযোগিতায়, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে অর্জিত অপরাধ লব্ধ অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরপূর্বক ভোগ দখলে রাখার খারাপ উদ্দেশ্যে পোল্ট্রি ও মৎস্য ব্যবসার আয় দেখিয়ে দুই কোটি ২৯ লাখ ৩০ হাজার ৭৩৫ টাকা ভুয়া আয় প্রদর্শন করেছেন।আরও জানা গেছে, ফেরদৌসী আক্তারের পারিবারিক ব্যয়, কর পরিশোধ ও অন্যান্য ব্যয় বাবদ মোট খরচ ৫৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৪ টাকা। এছাড়া তাদের যৌথনামে উত্তরা ব্যাংক লালখান বাজার শাখার বাড়ি নির্মাণের জন্য গ্রহণকরা ১২ লাখ টাকা ঋণের সুদ হিসেবে মোট সাত লাখ ৩৪ হাজার ২৭০ টাকা পরিশোধ করেছেন। তার অংশের পরিমাণ তিন লাখ ৬৭ হাজার ১৩৫ টাকা, যা তার খরচ হিসেবে গণ্য হবে।
এছাড়া তিনি মাইক্রোবাস কেনার জন্য ঢাকা ব্যাংক সিডিএ এভিনিউ শাখা থেকে ছয় লাখ টাকা ঋণের সুদ হিসেবে মোট দুই লাখ ৯৯ হাজার ৭৯৫ টাকা পরিশোধ করেছেন। ওই তিন খাতে তার সর্বমোট খরচ ৬১ লাখ ৬০ হাজার ৭৩৪ টাকা।
আরও পড়ুন: নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চলবে: হাইকোর্ট
চমেক হাসপাতালের সেবা নিয়ে গণশুনানী করবে দুদক
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: ৪ আসামিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
২০০২ সালে সাতক্ষীরায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় দণ্ডিত চার আসামির আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের অর্থদণ্ড স্থগিত করে মামলার নথি তলব করেছেন। তবে আদালত তাদের জামিন আবেদন নাকোচ করেছেন। মঙ্গলবার ওই আসামিদের আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি হলেন- মো. ইয়াসিন আলী, মো. তোফাজ্জল হোসেন, মো. আব্দুস সাত্তার ও অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। আসামিপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বলেন, শুনানির জন্য তাদের আবেদন গ্রহণ করেছেন। জরিমানা স্থগিত করেছেন। কিন্তু জামিন দেননি।
২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ওই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখে মাগুরায় যাচ্ছিলেন। কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহর পৌঁছালে একদল দৃর্বৃত্ত লাঠিসোঁটা, ধারালো অস্ত্র, বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তারা গুলিবর্ষণ করে এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় বিরোধীদলীয় নেতা প্রাণে রক্ষা পেলেও তার গাড়িবহরে থাকা সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা জাহান সাথী, জোবায়দুল হক রাসেল, শেখ হাসিনার ক্যামেরাম্যান শহীদুল হক জীবনসহ অনেকেই আহত হন। বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও এ ঘটনায় আহত হন। ওই দিনই কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন।
২০১৫ সালে এ ঘটনায় আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়। বিচার শেষে সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনের সর্বোচ্চ ১০ বছর করে এবং বাকি ৪৭ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন। পরে আসামিরা আপিল করেন।
আরও পড়ুন: টেলিটকের তারেককে গ্রেপ্তারে রেড নোটিশ জারির নির্দেশ হাইকোর্টের
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা: ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি ১৮ অক্টোবর
পেকুয়ায় হত্যা মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে একজনকে পিটিয়ে হত্যা
কক্সবাজারের পেকুয়ায় সন্দেহভাজন এক অপরাধীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী ছনখোলা এলাকার বাদামতল স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাফর আলম (৬৫) ওই এলাকার নজির আহমদের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার জাফর আলম চকরিয়া কোর্ট থেকে মামলার হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় ছনখোলা স্টেশনে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওৎ পেতে থাকে তার প্রতিপক্ষরা। জাফর স্টেশনে পৌঁছালে ৭-৮ জনের একটি দল লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জাফর আলমের স্ত্রী জ্যোৎস্না আকতার বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সন্ত্রাসীরা আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।’
পেকুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফরহাদ আলী বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহত জাফর আলম তার পুত্রবধূ সালমা বেগম ও নেজাম উদ্দিন হত্যা মামলার আসামি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি ও মারামারির অভিযোগে আরও ছয়টি মামলা রয়েছে। তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও আলমগীর বিভিন্ন মামলায় কারাগারে আছেন। এর মধ্যে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতি, মারামারি ও বন আইনে অন্তত ১০টি এবং আলমগীরের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা আছে।’
আরও পড়ুন: ফুটবল খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব: মাগুরায় মাদরাসাছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা
মানিকগঞ্জে আনসার সদস্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
ড. ইউনূসের মামলা বাতিল আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি ১১ আগস্ট
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা বাতিলের আবেদনের ওপর চূড়ান্ত শুনানির জন্য আগামী ১১ আগস্ট দিন ধার্য করছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান এবং ড.ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের মামলার কার্যক্রম দুই মাস স্থগিত থাকবে: আপিল বিভাগ
ড. ইউনূস ছাড়াও এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়।
মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪ এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরে ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দিয়েছিলেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল ১৩ জুন দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়। এই সময় পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। এ অবস্থায় বুধবার মামলার বাদীপক্ষ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে এ বিষয়ে পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। পাশপাশি দুই মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করা সংক্রান্ত আপিল বিভাগের আদেশও উপস্থাপন করা হয়। এ আবেদনের ওপর সোমবার শুনানি হয়।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যে মামলাটি হাইকোর্ট স্থগিত করেছিলেন,সেটা সুপ্রিম কোর্টের যাওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্ট দুই মাসের মধ্যে বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখানে কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষে যিনি মামলাটি দায়ের করেছিলেন সেই রুল থাকা অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। এখন যিনি এই মামলার দায়িত্বে আছেন তার পক্ষ মামলাটি পরিচালনার জন্য একটি দরখাস্ত দাখিলের অনুমতি চেয়েছিলাম। আর আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যেহেতু আপিল বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে দুই মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য। সেই আদেশের অনুলিপি আমরা আদালতের কাছে দাখিল করলাম।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে মামলা ৬ মাস স্থগিত
আদালত বুধবার হলফনামা করার জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন। সোমবার মামলাটি তালিকায় আসার পর রুল শুনানির জন্য ১১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়।
ফরিদপুরে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা
ফরিদপুরে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরী গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। শনিবার ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলাটি করেন।
আসামি শামীম মুন্সী (৩১) ফরিদপুর সদরের চাঁদপুর ইউনিয়নের উত্তর বাহিরদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার অভিযোগ, ওই কিশোরী শামীম মুন্সীর বাড়িতে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করতো। একদিন বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শামীম মুন্সী তার শ্লিলতাহানী করে এবং মুঠোফোনে কয়েকটি ছবি তুলে রাখে। এ বিষয়ে কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। ফলে সে বিষয়টি গোপন রাখে।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবায়দার রিট খারিজ; মামলা চলবে
এরপর শামীম মুন্সী মোবাইলে ধারণকৃত ছবি দেখিয়ে এবং তা ইন্টারনেটে ছাড়িয়া দেয়ার ভয় দেখিয়ে ২০২১ সালে ২ জুন বাড়ির সদস্যদের অনুপস্থিতিতে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। ছবি ভাইরাল হওয়ার ভয়ে কিশোরী এ বিষয়টি বাড়ির কাউকে জানায়নি। এরপর থেকে শামীম মুন্সী নিজ বাড়ি ও বিভিন্ন জায়গায় নিয়া ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করতে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ৩টার দিকে শামীম কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে কিশোরীর মা ও বাবা টের পেলে শামীম মুন্সী পালিয়ে যায়। ওই সময় ওই কিশোরীর বাবা শামীম মুন্সীর বাড়িতে গিয়ে এ ব্যাপারে বিচার চাইলে শামীম মুন্সীর পরিবারের লোকজন তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: বাড়ির পেছনে গাঁজা চাষ, মাদক মামলায় কারাগারে চাষি
গত ২০ জুলাই দুপুরে ওই কিশোরীকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।
এব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল জানান, শনিবার শামীম মুন্সীকে আসামি করে ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেছেন ওই কিশোরীর মা। অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং অভিযুক্ত শামীমকে আটকের চেষ্টা চলছে।
সিরাজগঞ্জে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলা: ২ ছেলেসহ মা গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জের যমুনার চরাঞ্চলের সাত বছরের শিশু ধর্ষণের পর হত্যা মামলার আসামি দুই ছেলে ও মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে শনিবার বিকালে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
নিহত শিশু মাহমুদা খাতুন মহিষাহাটা গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
গ্রেপ্তাররা হলেন-সদর উপজেলার যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলের একই গ্রামের ফরিদ শেখের দুই ছেলে সাগর (২১) ও শাকিল (১৯) এবং তার স্ত্রী রেখা খাতুন (৫০)।
আরও পড়ুন: খুলনায় নারী নির্যাতনের মামলায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে শিশু মাহমুদা নিখোঁজ হওয়ার পরদিন শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে বিকালে লাশের সুরুতহালের প্রতিবেদন করে পরে ময়নাতদন্তের জন্য ওই হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পোশাকশ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে ভণ্ড পীর গ্রেপ্তার
ওসি জানান, শুক্রবার রাত ১২টার পর শিশুটির বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তিন জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পর রাতেই ওই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মাগুরায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মাগুরার শ্রীপুর থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলার সোনাতুন্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তাসলিমা (৪৮) সোনাতুন্দী গ্রামের নবাবের স্ত্রী।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, তাসলিমা দীর্ঘদিন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ওইদিন দুপুরে ঘরের আড়ার সঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুকদেব রায় জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। এবিষয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
দুই দশক ভোটবঞ্চিত নারায়ণপুরের অর্ধলাখ মানুষ
একটি ঝু্লে থাকা মামলার কারণে দুই দশক যাবত ভোট দিতে পারছেন না মতলব দক্ষিণ উপজেলার ছয় ইউনিয়নের মধ্যে সমৃদ্ধ ‘নারায়ণপুর’ইউনিয়নের অর্ধলাখ বাসিন্দা। এ ব্যাপারে সকলের মনে দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থবির হয়ে আছে এলাকার সব ধরনের উন্নয়ন।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘গ্রাম হবে শহর’ তা আর বাস্তবায়িতই হচ্ছে না অন্তত এই নারায়ণপুরে।
সংশ্লিষ্ট অফিস সুত্র জানায়, চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নকে সরকার, পৌরসভা ঘোষণা করেছিল ২০১০ সালে। এ ব্যাপারে সরকারি গ্যাজেটও প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই সময়ের স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর এ পৌরসভার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করেন। তিনমাস একজন পৌর প্রশাসকও দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে এর সীমানা নির্ধারণ ( ল্যান্ড ডিমারকেশন) সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে উচ্চ আদালতে দায়ের করা হয় একটি মামলা। এর সমাধান হয়নি দীঘর্কাল যাবত। মামলাটি এখনও চলমান। মামলার এ জটিলতায় ইতোমধ্যে প্রায় ১২ বছর চলে গেলো। এর আগে এ ইউনিয়নে সাত বছরে কোন নির্বাচনও হয়নি। কেবল জাতীয়/সংসদীয় নির্বাচন হয়েছে কয়েকবার। মামলার কারণে গত দুই দশক এ ইউনিয়নের/এলাকার ৫০ হাজার লোক ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে নি। এর মধ্যে অন্যান্য ইউনিয়নে মহা আনন্দমুখর পরিবেশে ৩ বার ইউনিয়ন পরিষদ ভোট হয়েছে । দু বার জাতীয় নির্বাচন হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে দেয়াল ধসে নিহত ১, আহত ৩
সবর্শেষ এ ইউনিয়নে ভোট হয়েছিল ২০০৩ সালে-জানান, উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু জাহের ভুইয়া।
ফলে দুই দশক ধরে ভোটবঞ্চিত ওই এলাকার ৫০ হাজার নারী- পুরুষ। স্থবির হয়ে আছে সকল উন্নয়ন কাজ ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৯ দশমিক ২ বর্গ কিলোমিটারের এ ইউনিয়নে ৫০ হাজার বাসিন্দা রয়েছেন। আছে ৯টি ওয়ার্ড। ৩০ টির মতো মহল্লা। নারায়ণপুর বাজার মতলব দক্ষিণ উপজেলার একটি বিখ্যাত ও জমজমাট বাজার- যা দিনরাত ব্যস্ত থাকে। এখানে আছে ডিগ্রি কলেজ, হাই স্কুল ও অনেক প্রতিষ্ঠান।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু জাহের ভুইয়া ইউএনবি কে জানান, ২০০৩ সালে সবশেষ ভোট হয়েছিল। ২০১০ সালে নারায়ণপুর ইউনিয়নকে পৌরসভা ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। একই বছরের ১৫ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নারায়ণপুর পৌরসভা গেজেট প্রকাশ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। অথচ পৌরসভার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল মোস্তফা তালুকদার। এরপর থেকেই ঝুলে আছে এ ইউনিয়ন এলাকার নির্বাচন। যদিও সাধারণ মানুষ চায় সব সমস্যার সমাধান করে দ্রুত নির্বাচন দেয়া হোক। আমরা ভোট নিতে প্রস্তুত ।
তিনি জানান, এ ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৩২০১৭। এর মধ্যে নারী ভোটার ১৫১৯৬ । এটা পুরনো ভোটার তালিকা। মামলা নিষ্পত্তি হলে ভোটার সংখ্যা অনেক বাড়বে।
কারণ গত ২০ বছরে অনেক ভোটার বেড়েছে। জেলা নির্বাচন অফিসার তোফায়েল হোসেন জানান, মামলা উঠে গেলে আপডেট ভোটার তালিকা হবে। ভোটার বাড়বে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ২ মাদরাসা শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্বার
চট্টগ্রামে ইভ্যালির সাবেক সিইও ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
প্রতারণার অভিযোগে ই-কমার্স ভিক্তিক প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান মোছা. শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে মামলা করা হয়েছে।নগরীর চকবাজার থানার ডিসি রোডের ব্যবসায়ী চৌধুরী নাঈম সরোয়ার বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল হাসনাত মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পণ্য ক্রয়ে লোভনীয় অফারে প্রতারিত হয়ে এবং চেক ডিজঅনারের অভিযোগে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।মামলার এজাহারে অভিযোগ আনা হয়, চৌধুরী নাঈম সরোয়ার ইভ্যালির বিজ্ঞাপন দেখে প্রভাবিত হয়ে এক লাখ ৬০ হাজার টাকার মোটরসাইকেল অর্ডার দেন। কিন্তু দীর্ঘসময়ে তার কাছে কোনো মোটরসাইকেল সরবরাহ করা হয়নি। পরে ইভ্যালির অফিস থেকে একটি চেক দেয়া হয়। চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে প্রত্যাখ্যাত হয়।বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে চেক প্রতারণার অভিযোগে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মো. ফারুক বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।এর আগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে চেক প্রতারণার অভিযোগে চট্টগ্রামের আরেক ব্যবসায়ী একই আসামিদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছিলেন।উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে মাত্র আড়াই বছরের মাথায় সরবরাহকারী কোম্পানি ও গ্রাহকদের কাছে ৫৪৩ কোটি টাকার দায়ে পড়ে ইভ্যালি। এত অল্প সময়ে বিপুল টাকা কোথায় গেল, তার হদিস এখনও মেলেনি। ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইভ্যালির এমডি রাসেলের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে এ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে একাধিক মামলা করেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
স্বজনসহ ইভ্যালির রাসেলের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ