মামলা
উলিপুরে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ওরফে আতা (৫০)'র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী এক নারী।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, গত ৯ জুন থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ওরফে আতা ডাকলে সকাল ৯ টার সময় ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে তার বাড়িতে যান ভুক্তভোগী নারী। কিন্তু বাড়িতে কোন লোকজন না থাকার সুযোগে ঘরের ভিতর ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে ওই নারী ধস্তাধস্তি করে দরজা খুলে দ্রুত রুম থেকে বেরিয়ে যান। ঘটনাটি কাউকে না জানাতে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে বড় ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দেন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আতা। এ ঘটনায় সোমবার (২৭ জুন) ওই নারী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে উলিপুর থানায় একটি মামলা করেন।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার দুপুরে থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ওরফে আতার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা করা হয়েছে, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে চাঁদাবাজির অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের স্বামী কারাগারে
তারেক-জোবায়দার রিট খারিজ; মামলা চলবে
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের হিসাব বিবরণীতে তথ্য গোপনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও স্ত্রী জোবায়দা রহমান পলাতক থাকায় তাদের পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতে এ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
আদেশের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, তারেক রহমান তিনটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এবং আইনের দৃষ্টিতে তিনি পলাতক আসামি। পলাতক থাকাবস্থায় তার পক্ষে কোনো আইনজীবী মামলা পরিচালনা করতে পারবে না। এদিকে সম্প্রতি আপিল বিভাগ এক রায়ে জোবায়দা রহমানকে পলাতক ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবায়দার দুর্নীতি মামলার রুল শুনানি ৫ জুন
এ কারণে হাইকোর্ট দুই পলাতক আসামির রিট আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে তা খারিজ করেছেন। তাদের মামলার ওপর দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার (ভেকেট) করেছেন। এ মামলার নথি ১০ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে পাঠাতে বলেছেন এবং আদালতকে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বলেছেন।
এর আগে, গত ১৯ জুন এই সংক্রান্ত পৃথক তিনটি রিট আবেদনের ওপর জারি করা রুলের বিষয়ে শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে আদেশের জন্য রবিবার (২৬ জুন) দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। এর ধারাবাহিকতায় আজ এ রায় আসলো।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় করা মামলায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। একই বছর তারেক রহমান ও তার স্ত্রী হাইকোর্টে পৃথক রিট আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: ১৫ বছর পর তারেক-জোবায়দার রিট মামলা চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য
তারেক রহমানের করা দুটি রিটে জরুরি ক্ষমতা আইন ও এই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। তাদের পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০০৭ সালের নভেম্বরে রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন। এরপর রিট মামলাগুলো ১৯ এপ্রিল কার্যতালিকায় আসে। পরে রুল শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।
বাগেরহাটে গ্রাম্য কবিরাজের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ থেকে এক গ্রাম্য কবিরাজের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার তেলিগাঁতি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ওই কবিরাজের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত কবিরাজ মোখলেছুর রহমান খান (৭০) জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাঁতি গ্রামের বাসিন্দা।
মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, প্রতিবেশীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ তেলিগাঁতি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ওই বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে। সোমবার রাতের কোন এক সময় তাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার রাতে ওই বাড়িতে মোখলেছুর রহমান ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। তার স্ত্রী,চার মেয়ে এবং তিন ছেলে থাকলেও তারা কেউ এই বাড়িতে থাকে না।
ওসি আরও জানান, কবিরাজের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে ছেলে-মেয়েসহ মায়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
রাজশাহীতে পল্লী চিকিৎসকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট: অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা
মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সাঃ)কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যকারী ভারতের রাজনীতিবিদ ও বিজেপির বহিষ্কৃত নেত্রী নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে পোস্ট দেয়ার ঘটনায় নড়াইল সদরের মির্জাপুর আদর্শ কলেজের অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হচ্ছে। রবিবার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জানা গেছে, মির্জাপুর আদর্শ কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় গত তিন দিন আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে মন্তব্য করেন, “প্রনাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রী রাম”।
শনিবার সকালে রাহুল কলেজে আসার পর তার বন্ধুরা এ পোস্টটি মুছে ফেলতে বললেও সে তা করেনি। তখন ছাত্ররা বিষয়টি কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের কাছে নালিশ জানায়। একপর্যায়ে অধ্যক্ষ কলেজের অন্যান্য শিক্ষকদের ডেকে এনে রাহুলকে স্থানীয় বিছালী পুলিশ ফাঁড়ির ক্যাম্প ইনচার্জ ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) হাতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় কয়েক’শ ছাত্র ও স্থানীয় জনগণের উপস্থিতিতে কলেজ ক্যাম্পাসে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিকাল ৪টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র-জনতা কলেজের গ্যারেজে থাকা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে ফেলে। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ করে। এ ঘটনায় একজন কলেজ শিক্ষকসহ ১০ জন ছাত্র-জনতা ও ২ পুলিশ সামান্য আহত হয়। পরে পুলিশ সুপার এবং ডিসি আসার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় অভিযুক্ত রাহুলকে পুলিশ আটক করে।
আরও পড়ুন: মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যে তীব্র নিন্দা
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের পরদিন রবিবার বেলা ১১টার দিকে মির্জাপুর কলেজের হলরুমে নড়াইল-১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তি স্থানীয়দের সঙ্গে এক বৈঠকে দোষীর শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলেজ বন্ধ এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে অব্যাহতি দিয়ে অন্য এক শিক্ষককে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রিয়াজুল ইসলাম, মির্জাপুর কলেজের সভাপতি অ্যাডভোকেট অচিন চক্রবর্ত্তী, নতুন দায়িত্ব পাওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আক্তার হোসেন টিংকু, সদর থানার ওসি শওকত কবির, স্থানীয় বিছালী ইউপি চেয়ারম্যান হেমায়েত ফকির প্রমুখ।
সদর থানার ওসি শওকত কবীর জানান, এ ঘটনায় এলাকায় শান্তি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। মামলা লেখার কাজ চলছে।
নতুন দায়িত্ব পাওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আক্তার হোসেন টিংকু বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে এবং রেজুলেশনের মাধ্যমে আমাকে দায়িত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: ভারতে মুসলমানদের ব্যাপক বিক্ষোভ
মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: সারাদেশে বিক্ষোভ-মিছিল
খুলনায় ধর্ষণ মামলায় পুলিশ কনস্টেবল গ্রেপ্তার
খুলনায় বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণের অভিযোগে স্বদেশ বালা নামের এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুরে খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়েরের পর বিকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্বদেশ বালা আড়ংঘাটা থানায় পুলিশ কনস্টেবল (কম্পিউটার অপারেটর) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জানা যায়, স্বদেশ বালা নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে যুবতীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রস্তাব দিলে স্বদেশ বালা অস্বীকৃতি জানায় ও গত ১৫ জুন খানজাহান আলী থানা থেকে আড়ংঘাটা থানায় বদলি হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খানজাহান আলী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রেজোয়ানুল ইসলাম জানান, মামলা দায়েরের পর তাৎক্ষণিক স্বদেশ বালাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নরসিংদী থেকে অপহৃত কিশোরী বগুড়ায় উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
উত্তরা থেকে সিরিয়াল রেপিস্টকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
মাগুরায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মাগুরায় পুকুরের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার গোপালগ্রাম ইউনিয়নের বাহারবাগ গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তিন বছর বয়সী আইয়ান মাগুরা জেলা আওয়ামী যুবলীগের নেতা এরশাদ মোল্যার ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে শিশুটি বাড়ীর পাশে খেলা করার সময় পুকুরের পানিতে পড়ে মারা যায়।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দীন জানান, এ বিষয়ে মাগুরা থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জামালপুরে খালের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
বিশ্বনাথে সাঁকো থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
মানহানির ২ মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন খালেদা জিয়া
মানহানির অভিযোগে করা দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ দুটি মামলায় তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
পরে কায়সার জানান, রুল নিষ্পত্তি করে খালেদা জিয়াকে এই দুই মামলায় স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে এ মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিনে থাকবেন।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর আদালতে নালিশি মামলা করেন। দণ্ডবিধির ১৫৩ (ক) ও ২৯৫ (ক) ধারায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন এ বি সিদ্দিকী। ২০১৯ সালে ১৮ জুন এ দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে ছয় মাস করে জামিন দেন হাইকোর্ট। সে সময় হাইকোর্ট এ দুটি মামলায় কেন তাকে স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না তা জানতে রুল দিয়েছিলেন। সেই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে আজ রায় দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি পিছিয়েছে
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ছে
স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় গ্রেপ্তার এসআই
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় পুলিশের এক উপপরিদর্শককে (এসআই) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গ্রেপ্তার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জাবেদ (৩৬) সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের জামালপুর গ্রামের ফরাজি বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে। সে চট্টগ্রাম জেলার আরআরএফ এ সংযুক্ত রয়েছে।মঙ্গলবার দুপুরে দিকে সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে স্ত্রীকে আত্নহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে চট্রগ্রামের হালিশহর থানায় মামলা হয়েছে। আসামিকে হালিশহর থানা পুলিশের কাছে রাতেই হস্তান্তর করা হয়েছে।উল্লেখ্য, ২৫ মার্চ চট্টগ্রামের হালিশহরের শান্তিবাগে জাবেদের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার কলি (২৫) আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় ২৭ মার্চ সকালে নিহতের বাবা আহছান উল্যাহ বাদী হয়ে তাঁর মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও সহায়তার দায়ে মেয়ে জামাই ও তার বন্ধুসহ ৫ জনকে আসামি করে চট্রগ্রামের হালিশহর থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদরাসাছাত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
আসামি ধরতে গিয়ে নারীকে লাঞ্চিত: সীতাকুণ্ড থানার এসআই প্রত্যাহার
কক্সবাজারে পাহাড় কেটে প্লট বাণিজ্য, ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কক্সবাজার শহরের কলাতলীস্থ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ৫১ একর আবাসন প্রকল্পের পাশে আরও ৫ একর পাহাড় কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এসব পাহাড় ও গাছ কেটে, জমি দখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করছেন সরকারি কর্মচারীসহ একটি প্রভাবশালী চক্র।
এ ঘটনায় সোমবার (১৩ জুন) চার সরকারি কর্মচারীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস জানান, মামলায় ৪ সরকারি কর্মচারীসহ আটজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এ মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, কক্সবাজার জেলা কালেক্টরেট ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সভাপতি ও কক্সবাজার পৌরসভার কানাইয়া বাজার এলাকার নুরুল হুদার ছেলে সুলতান মোহাম্মদ বাবুল (৪৫), কক্সবাজার পৌরসভার টেকপাড়ার মৃত আবুল আহামদের ছেলে জয়নাল আবেদীন প্রকাশ জয়নাল সওদাগর (৬২), কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের জানারঘোনার মৃত মোহাম্মদ ইলিয়াসের ছেলে ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের জারিকারক জুলফিকার আলি ভুট্টো (৫২), কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক ও পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের হরিনাফাঁড়ি এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ইয়াছিন (৪০), কক্সবাজার পৌরসভার কলাতলীর সৈকতপাড়ার মৃত লাল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হোসাইন ফকির প্রকাশ মাছন ফকির (৫৫), কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার হ্নীলার শাহজাহান (৪৩), কক্সবাজার পৌরসভার কলাতলী ৫১ একর এলাকার ইয়াকুব মাঝির ছেলে দিল মোহাম্মদ (৩৫) ও কক্সবাজার পৌরসভার কলাতলী ৫১ একর এলাকার মৃত আবুল হোসেন প্রকাশ ভান্ডারির ছেলে ছিদ্দিক মাঝি (৪৫)।
মামলার এজাহারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে সরকারি পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগ আনা হয়।
আরও পড়ুন: পাহাড় কেটে নতুন করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প বানাচ্ছে ‘এনজিও’: ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী
এর আগে কক্সবাজার শহরের কলাতলীর ৫১ একর এলাকার পূর্ব পাশে জয়নাল সওদাগরেরঘোনা এলাকায় ৩০-৪০ জন শ্রমিক দিয়ে ৫ একরের একটি বিশাল পাহাড়ের অর্ধেক কেটে ফেলেন জেলা কালেক্টরেট ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ বাবুলের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট।
অন্যদিকে পাহাড় কাটার ঘটনায় জড়িত সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যেই সুলতান মোহাম্মদ বাবুল সহ সরকারি কর্মচারীদের কেন বহিস্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু বলেন, দখলবাজরা প্রতিদিন কোন না কোন পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ করছে। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ থাকেন। ফলে বেপরোয়াভাবে কক্সবাজারের বনভূমি দখলে নেমেছে ভূমিদস্যূরা। কোন এলাকায় অধিকাংশ বনভূমি দখল হয়ে যাওয়ার পর টনক নড়ে কতৃপক্ষের। দীর্ঘ দিন ধরে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা পাহাড় কেটে, ছরা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে আসছে।
পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'এনভায়রনমেন্ট পিপল' এর প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, 'এমনিতেই কক্সবাজারে পাহাড় কাটার অহরহ ঘটনা ঘটছে। এর উপর সরকারি কর্মচারীরা প্রকাশ্যে পাহাড় কাটায় জড়িত হওয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে শুধু মামলা করলেই হবে না, বনায়নের মাধ্যমে পাহাড় সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে।'
তবে পাহাড় দখল করে প্লট তৈরি ও স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা প্রশাসনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি সমিতির সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ বাবুল। তার দাবি এ ঘটনায় তিনি কোনোভাবে জড়িত নন। জেলা প্রশাসনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাকে ঘায়েলের জন্যে প্রতিপক্ষরা এ অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
কক্সবাজার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘পাহাড় কাটা ও দখলের খবর পেলেই অভিযান চালানো হচ্ছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, অভিযানের পরেই তারা আবার একই কাজ করছে।’
তিনি বলেন, অনেক সময় অভিযানে যাওয়ার আগেই অভিযুক্তরা খবর পেয়ে যায়। ফলে তারা পালিয়ে যায়। সম্প্রতি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ: সিডিএ’র পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা
পাহাড় কেটে সড়ক নির্মাণ করায় সিডিএকে ১০ কোটি টাকা জরিমানা
হারুনসহ ডেসটিনির ৪৫ জনের সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে দুদকের আবেদন
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের মামলায় ডেসটিনির গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনা প্রধান হারুন-অর-রশিদসহ ৪৫ জনকে বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপন করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
তিনি জানান, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনকে দেয়া হয়েছে ১২ বছরের সাজা। বাকি ৪৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কম সাজা দেয়া হয়েছে। অথচ এটা হলো অর্গানাইজ ক্রাইম। এখানে কম বেশি দেয়ার সুযোগ নেই। তাই রফিকুল আমীন ছাড়া বাকিদের সাজা বাড়াতে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি আজ শুনানির জন্য উত্থাপন করা হয়। আদালত আগামীকাল সোমবারের কার্যতালিকায় আবেদনটি অন্তর্ভূক্তির আদেশ দিয়েছেন। আশা করছি এ সপ্তাহেই আবেদনটির শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির মামলায় পলাতক ৩৯ আসামিকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ
চলতি বছরের ১২মে বিচারিক আদালতে এ মামলার রায় হয়। তাতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড এবং ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। হারুন-অর-রশীদকে চার বছর কারাদণ্ড এবং সাড়ে তিন কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তা ব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি। বিচার শেষে গত ১২ মে রায় দেন বিচারিক আদালত।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির হারুনকে জামিন দেননি, আপিল শুনবেন হাইকোর্ট