মামলা
কক্সবাজারে পাহাড় কেটে প্লট বাণিজ্য, ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কক্সবাজার শহরের কলাতলীস্থ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ৫১ একর আবাসন প্রকল্পের পাশে আরও ৫ একর পাহাড় কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এসব পাহাড় ও গাছ কেটে, জমি দখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করছেন সরকারি কর্মচারীসহ একটি প্রভাবশালী চক্র।
এ ঘটনায় সোমবার (১৩ জুন) চার সরকারি কর্মচারীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস জানান, মামলায় ৪ সরকারি কর্মচারীসহ আটজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এ মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, কক্সবাজার জেলা কালেক্টরেট ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সভাপতি ও কক্সবাজার পৌরসভার কানাইয়া বাজার এলাকার নুরুল হুদার ছেলে সুলতান মোহাম্মদ বাবুল (৪৫), কক্সবাজার পৌরসভার টেকপাড়ার মৃত আবুল আহামদের ছেলে জয়নাল আবেদীন প্রকাশ জয়নাল সওদাগর (৬২), কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের জানারঘোনার মৃত মোহাম্মদ ইলিয়াসের ছেলে ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের জারিকারক জুলফিকার আলি ভুট্টো (৫২), কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক ও পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের হরিনাফাঁড়ি এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ইয়াছিন (৪০), কক্সবাজার পৌরসভার কলাতলীর সৈকতপাড়ার মৃত লাল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হোসাইন ফকির প্রকাশ মাছন ফকির (৫৫), কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার হ্নীলার শাহজাহান (৪৩), কক্সবাজার পৌরসভার কলাতলী ৫১ একর এলাকার ইয়াকুব মাঝির ছেলে দিল মোহাম্মদ (৩৫) ও কক্সবাজার পৌরসভার কলাতলী ৫১ একর এলাকার মৃত আবুল হোসেন প্রকাশ ভান্ডারির ছেলে ছিদ্দিক মাঝি (৪৫)।
মামলার এজাহারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে সরকারি পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগ আনা হয়।
আরও পড়ুন: পাহাড় কেটে নতুন করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প বানাচ্ছে ‘এনজিও’: ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী
এর আগে কক্সবাজার শহরের কলাতলীর ৫১ একর এলাকার পূর্ব পাশে জয়নাল সওদাগরেরঘোনা এলাকায় ৩০-৪০ জন শ্রমিক দিয়ে ৫ একরের একটি বিশাল পাহাড়ের অর্ধেক কেটে ফেলেন জেলা কালেক্টরেট ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ বাবুলের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট।
অন্যদিকে পাহাড় কাটার ঘটনায় জড়িত সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যেই সুলতান মোহাম্মদ বাবুল সহ সরকারি কর্মচারীদের কেন বহিস্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু বলেন, দখলবাজরা প্রতিদিন কোন না কোন পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ করছে। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ থাকেন। ফলে বেপরোয়াভাবে কক্সবাজারের বনভূমি দখলে নেমেছে ভূমিদস্যূরা। কোন এলাকায় অধিকাংশ বনভূমি দখল হয়ে যাওয়ার পর টনক নড়ে কতৃপক্ষের। দীর্ঘ দিন ধরে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা পাহাড় কেটে, ছরা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে আসছে।
পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'এনভায়রনমেন্ট পিপল' এর প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, 'এমনিতেই কক্সবাজারে পাহাড় কাটার অহরহ ঘটনা ঘটছে। এর উপর সরকারি কর্মচারীরা প্রকাশ্যে পাহাড় কাটায় জড়িত হওয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে শুধু মামলা করলেই হবে না, বনায়নের মাধ্যমে পাহাড় সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে।'
তবে পাহাড় দখল করে প্লট তৈরি ও স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা প্রশাসনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি সমিতির সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ বাবুল। তার দাবি এ ঘটনায় তিনি কোনোভাবে জড়িত নন। জেলা প্রশাসনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাকে ঘায়েলের জন্যে প্রতিপক্ষরা এ অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
কক্সবাজার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘পাহাড় কাটা ও দখলের খবর পেলেই অভিযান চালানো হচ্ছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, অভিযানের পরেই তারা আবার একই কাজ করছে।’
তিনি বলেন, অনেক সময় অভিযানে যাওয়ার আগেই অভিযুক্তরা খবর পেয়ে যায়। ফলে তারা পালিয়ে যায়। সম্প্রতি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ: সিডিএ’র পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা
পাহাড় কেটে সড়ক নির্মাণ করায় সিডিএকে ১০ কোটি টাকা জরিমানা
হারুনসহ ডেসটিনির ৪৫ জনের সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে দুদকের আবেদন
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের মামলায় ডেসটিনির গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনা প্রধান হারুন-অর-রশিদসহ ৪৫ জনকে বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপন করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
তিনি জানান, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনকে দেয়া হয়েছে ১২ বছরের সাজা। বাকি ৪৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কম সাজা দেয়া হয়েছে। অথচ এটা হলো অর্গানাইজ ক্রাইম। এখানে কম বেশি দেয়ার সুযোগ নেই। তাই রফিকুল আমীন ছাড়া বাকিদের সাজা বাড়াতে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি আজ শুনানির জন্য উত্থাপন করা হয়। আদালত আগামীকাল সোমবারের কার্যতালিকায় আবেদনটি অন্তর্ভূক্তির আদেশ দিয়েছেন। আশা করছি এ সপ্তাহেই আবেদনটির শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির মামলায় পলাতক ৩৯ আসামিকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ
চলতি বছরের ১২মে বিচারিক আদালতে এ মামলার রায় হয়। তাতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড এবং ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। হারুন-অর-রশীদকে চার বছর কারাদণ্ড এবং সাড়ে তিন কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তা ব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি। বিচার শেষে গত ১২ মে রায় দেন বিচারিক আদালত।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির হারুনকে জামিন দেননি, আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
ডবল মার্ডার : বিশ্বনাথে একজনের মৃত্যুদণ্ড, ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা
সিলেটের বিশ্বনাথে ডবল মার্ডারের দুই মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মৃত তিন জন ও মামলার প্রধান আসামিসহ ১৫ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কাদির পশ্চিম গাঁওয়ের মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে।
সাজাপ্রাপ্ত বাকি ১০ আসামির মধ্যে পশ্চিমগাঁওয়ের আব্দুল মনাফ (৪৬) ও তার ছেলে সুহেল আহমদ (৩৩) ও ইলিয়াস আলীকে (৩৮) ১০ বছরের কারাদণ্ড সহ ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। দশঘর গ্রামের ধন মিয়াকে (৪৫) তিন বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। পশ্চিমগাঁওয়ের আব্দুল মতিন (৩৫), ইসলাম উদ্দিন (৩০), আলম (২৯), রেজাউল করিম (৩০) ও ছাতকের কাদিপুরের রুবেল আহমদকে (২৮) এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণের পর হত্যা, ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড
এছাড়া আসামি পক্ষের আজমান আলীর দায়ের মামলায় বাদী নুর উদ্দিন মেম্বারের চাচাতো ভাই দৌলতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবারক আলী (৫৫) ও আকবর আলীকে (৪৫) এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
জানা গেছে, ২০১২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সিলেটের বিশ্বনাথের সিংগেরকাছ পশ্চিমগাঁওয়ে সরকারি জায়গায় ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে দৌলতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবারক আলী এবং আব্দুল মনাফ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আবারক আলীর পক্ষের আব্দুল খালিক (৪৮) ও আব্দুন নুর (৪৬) নিহত হন। এ ঘটনায় ১০ সেপ্টেম্বর নিহত আব্দুল খালিকের ছেলে নুর উদ্দিন বাদী হয়ে আব্দুল মানফসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন । অন্যদিকে এ ঘটনায় আব্দুল মনাফ পক্ষে আজমান আলী বাদী হয়ে পাল্টা একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে স্কুলছাত্র হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান ও অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান আফজাল বলেন, আদালতের এই রায়ে তারা হতবাক হয়েছেন। কারণ ডবল মার্ডারের ঘটনায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় কোনো বিধানে।
সেজন্য বাদী পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলেও জানান তারা।
ডেসটিনির মামলায় পলাতক ৩৯ আসামিকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির গ্রাহকদের চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ৩৯ আসামিকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার এ মামলায় চার বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদের জামিন আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সাবেক সেনা প্রধান হারুন-অর রশিদকে জামিন আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট এ মামলায় পলাতক ৩৯ আসামিকে গ্রেফতারে আইজিপি পুলিশ, এসিসি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি পলাতকদের গ্রেপ্তারে সংশ্লিষ্টদের রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির হারুনকে জামিন দেননি, আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
চলতি বছরের ১২ মে বিচারিক আদালতে এই মামলার রায় হয়। রায়ে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রফিকুল আমিন, মোহাম্মদ হোসেন, এম হারুন-অর-রশীদ, জেসমিন আক্তার, জিয়াউল হক ও সাইফুল ইসলাম কারাগারে রয়েছেন। আসামিদের মধ্যে দিদারুল আলমের সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় রায় ঘোষণার পরই তিনি আদালত থেকে বাসায় চলে যান। এছাড়া মামলার বাকি ৩৯ আসামি পলাতক।
পলাতক ৩৯ আসামি হচ্ছেন- ডেসটিনির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোফরানুল হক, পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, সাঈদ-উর-রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, ফারাহ দীবা, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়বুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জমশেদ আরা চৌধুরী, জাকির হোসেন, আজাদ রহমান, আকবর হোসেন সুমন, মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, মো. সাইদুল ইসলাম খান রুবেল, মজিবর রহমান, সুমন আলী খান, শিরীন আকতার, রফিকুল ইসলাম সরকার, ড. এম হায়দারুজ্জামান, মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, কাজী ফজলুল করিম, সফিকুল ইসলাম, ফিরোজ আলম, ওমর ফারুক, সিকদার কবিরুল ইসলাম ও সুনীল বরুন কর্মকর। পলাতক আসামির তালিকায় আরও আছেন পরিচালক ফরিদ আক্তার, এসএম শহিদুজ্জামান চয়ন, আব্দুর রহমান তপন, মেজর সাকিবুজ্জামান খান, এসএম আহসানুল কবির বিপ্লব, এএইচএম আতাউর রহমান, জিএম গোলাম কিবরিয়া মিল্টন, আতিকুর রহমান, খন্দকার বেনজীর আহমেদ, একেএম সফিউল্লাহ, দেলোয়ার হোসেন, সফিকুল হক ও মোল্লা আল আমিন।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি গ্রুপের পরিচালকের জামিন প্রশ্নে বিভক্ত আদেশ হাইকোর্টের
ডেসটিনির রফিকুল আমীনের জামিন শুনানি পিছিয়েছে
আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্তি ইউনিয়নের আঁখিনা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- খায়রুল ইসলাম (৪৮) ও মেরিনা বেগম (৩৭)।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ জানান, সকালে ঝড়-বৃষ্টির সময় বাড়ির পাশের বাগানে তারা দুই জন আম কুড়াতে গেলে হঠাৎ বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কচুয়ায় ফসলের মাঠে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
খালিয়াজুরীতে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ দুই জনের মৃত্যু
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে মামলা
সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন ও ভয়াবহ বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় আট জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার (৮ জুন) সীতাকুণ্ড মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফ সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় আট জনের নাম উল্লেখ করা হলেও একাধিকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
মামলার আসামিরা হলেন-বিএম কন্টেইনার ডিপো লিমিটেডের ডিজিএম নুরুল আক্তার, ম্যানেজার অ্যাডমিন খালেদুর রহমান, সহকারী অ্যাডমিন অফিসার আব্বাস উল্লাহ, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুল আজিজ, কন্টেইনার ফ্রেইট স্টেশন ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, কন্টেইনার ফ্রেইট স্টেশন নজরুল ইসলাম ও বিএম কন্টেইনার ডিপো লিমিটেডের জি এম নাজমুল আক্তার খান।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় কর্তৃপক্ষের অবহেলাজনিত কারণ উল্লেখ করে পুলিশের পক্ষ থেকে আট জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম আগুন নির্বাপণকালে রাত পৌনে ১১টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হলে অন্তত আশেপাশের ৫ কিলোমিটার এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। এ ঘটনায় নয়জন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যসহ এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ। পাঁচ দিন চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর টিম আজ বুধবার আগুন সম্পূর্ণভাবে নির্বাপণ করেছে।
পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪
৮৫ ঘণ্টা পর নিভল চট্টগ্রামের কন্টেইনার ডিপোর আগুন
খুলনায় ধর্ষণ মামলায় পিবিআই পরিদর্শক মাসুদ কারাগারে
খুলনায় আলোচিত কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি পিবিআই পরিদর্শক মঞ্জুর হাসান মাসুদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিচারক মোসা. দিলরুবা সুলতানা তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে মাসুদ আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে তা নামঞ্জুর করা হয়।
ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অলোকানন্দ দাস এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, আসামি মাসুদ ২৬ মে উচ্চ আদালত থেকে এ মামলায় ১৪ দিনের অন্তবর্তী জামিন লাভ করেন। বুধবার উচ্চ আদালতের জামিন মেয়াদের শেষ দিন ছিল। নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: জিআরপি থানায় ধর্ষণ: সেই পুলিশ পরিদর্শক কারাগারে
এর আগে গত ১৫ মে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে পিবিআই ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল আহসান মাসুদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে খুলনা মহানগরীর ছোট মির্জাপুরস্থ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। ওইদিন দুপুরে কলেজ পড়ুয়া ভুক্তভোগীকে নিয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন সাংবাদিকদের এ সময় জানান, ওই কলেজছাত্রী পিবিআই ইন্সপেক্টর মাসুদের কাছে মোবাইল বা ফেসবুকে ছবি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পাঁচ দিন আগে আসে। এ সুযোগে তাকে সহযোগিতা করার কথা বলে ১৫ মে দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে ছোট মির্জাপুরের কাগজী হাউজের ওই অফিসে নিয়ে যায় মাসুদ। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উক্ত অফিসের তালা ভেঙ্গে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কেএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ওই কলেজছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্নের পর এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাত মামলায় খুলনার সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক কারাগারে
ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের স্বামী কারাগারে
পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে রাজশাহীতে গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা
রাজশাহীতে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুঠিয়া থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা নাইম হাসান বানেশ্বর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী। হামলার শিকার পুলিশ সদস্য আতিকুর রহমান রাজশাহী জেলা পুলিশে কর্মরত।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উপজেলার বানেশ্বর কলেজ মাঠে সোমবার দুপুরে ওই ছাত্রলীগ নেতার বাবার ভটভটিতে একটি ইজিবাইক ধাক্কা দেয়। এতে তার বাবা আহত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে জেলা পুলিশের একটি দলকে টহলরত দেখতে পায় নাইম।তখনই আতিকুর রহমান নামের ও্ই পুলিশ সদস্যের ওপর হঠাৎ কিল ঘুষি ও লাথি মারে সে। এতে ওই পুলিশ সদস্য মুখে ও মাথায় আঘাত পান। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী জেলা পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হামলার ঘটনায় একজন এসআই বাদী হয়ে নাইম ও তার বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর হাতে রাবি শিক্ষার্থী লাঞ্ছিতের অভিযোগ
রাজশাহীতে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
হবিগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
হবিগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার হবিগঞ্জের নারীও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল (১) এর বিচারক সুদীপ্ত দাশ এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মনু মিয়া (৩০) বানিয়াচং উপজেলার উত্তর সাঙ্গর গ্রামের বাসিন্দা। তবে তিনি পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বাবা হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১৪ জানুয়ারি দিনমজুরের স্ত্রীকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে মনু মিয়া। বিষয়টি কাউকে জানালে তার স্বামী ও তাকে হত্যার হুমকি দেন তিনি। ভুক্তভোগীর স্বামী বাড়িতে এলে ঘটনার বিষয় জানায় ধর্ষণে শিকার গৃহবধূ। বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ মনু মিয়াকে আটক করে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। এক পর্যায়ে মনু মিয়াকে তার ভাই উস্তার মিয়া ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ: ৪ জনের যাবজ্জীবন
এদিকে এঘটনা দুদিন পর ১৭ জানুয়ারি রাত ১টায় মনু মিয়া ওই গৃহবধূর বসত ঘরের সিদ কেটে প্রবেশ করে ভয় দেখিয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে আবারও ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী নিজে বানিয়াচং থানায় মনু মিয়া ও উস্তার মিয়াকে আসামি করে এজহার দায়ের করে। তদন্ত শেষে পুলিশ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। মামলায় বাদীপক্ষের ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণ করা হয়।
খুলনায় বাবা হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
খুলনায় বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সোমবার আসামির উপস্থিতিতে অতিরিক্ত খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২ এর বিচারক তাসনিম জোহরা এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত প্রশান্ত বিশ্বাস রূপসা উপজেলার পিঠাভোগ গ্রামের প্রফুল্ল বিশ্বাসের বড় ছেলে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ: ৪ জনের যাবজ্জীবন
আদালত সূত্র জানায়, নিহত প্রফুল্ল বিশ্বাস কৃষিকাজ ও ধর্মীয় গান করতেন। তার দুই ছেলে। একজন দর্জি ও অন্যজন এনজিওকর্মী। ছেলেদের দুই জনের কেউ বিয়ে করেনি। বড় ছেলে প্রশান্ত বিশ্বাস বিয়ের জন্য মা বাবাকে চাপ দিতে থাকে। এ নিয়ে তাদের পরিবারে প্রায়ই কলহ হতো। ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাকে মারতে উদ্যত হয় প্রশান্ত। পরের দিন মা পাশের গ্রামে মামার বাড়িতে চলে যান। ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালাতে গিয়ে পাশের বাড়ির সুভদ্রা বিশ্বাস প্রফুল্লের গলা কাটা লাশ দেখে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে পুলিশে খবর দেয়। পরে নিহতের ছোট ছেলে সুশান্ত বিশ্বাস বাদী হয়ে বড় ভাই প্রশান্ত বিশ্বাসকে আসামি করে রূপসা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন
আসামি প্রশান্ত বিশ্বাস বাবাকে হত্যা করে বেনাপোল বন্দর হয়ে ভারতে চলে যান। পশ্চিম বশিরহাটের একটি দোকানে দর্জির কাজ শুরু করেন তিনি। পরে দেশে ফিরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। আদালতে ঘটনার বিবরণ জানিয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।