মামলা
চট্টগ্রামে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রামের সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার নাম শাহ আলম। তিনি চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ডিআইও-১ হিসেবে পদায়িত ছিলেন। বর্তমানে অবসরে রয়েছেন।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৭ লাখ ৪১ হাজার ৭২১ টাকা আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবৈধ নিয়োগ: জেইউএসটি’র সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আসামি অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ আলম কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার নহল গ্রামের মাস্টার বাড়ির মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে। তিনি বর্তমানে নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ সিডিএ আ/এ এলাকায় বসবাস করেন।
মো. শাহ আলম চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডিআইও-১ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন বলেন, অবৈধভাবে অর্জিত বিপুল পরিমাণ অর্থ ভোগদখল করার প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুদক মামলা দায়ের করে। এখন দুদক মামলাটি অধিকতর তদন্ত করবে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ২৩ মে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মো. শাহ আলম নিজ নামে ৭১ লাখ ৫ হাজার ৬৫০ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ১ কোটি ২৮ লাখ ৫৭ হাজার ৩০৪ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ১ কোটি ৯৯ লাখ ৬২ হাজার ৯৫৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন। এ ছাড়া ১৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ঋণ থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে ১ কোটি ৭ লাখ ৪১ হাজার ৭২১ টাকার মূল্যের সম্পদ জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ, যা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই মো. শাহ আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়। তদন্তকালে ঘটনায় অন্য কারও সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে আমলে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রিজেন্টের সাহেদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার রায় ঘোষণা ২১ আগস্ট
কাস্টমসের অডিট কমিশনার এনামুলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা হাবিব-শাহজাহানসহ ১৫ জনের ৪ বছরের কারাদণ্ড
৮ বছর আগে রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীর ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান, কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আহসান হাবিব লিংকন রয়েছেন।
দণ্ড প্রাপ্তদের এক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা অর্থদণড, অনাদায়ে তাদের আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে। আরেক ধারায় দুই বছর কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের দুই মাসের কারাভোগ করতে হবে। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। সেক্ষেত্রে তাদের দুই বছরের কারাভোগ করতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সোমবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী শেখ শাকিল আহমেদ রিপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির গ্রাম সরকারবিষয়ক সহসম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল আহমেদ, সহ-প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম, তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, মনিরুল হক মনির, মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, মাসুদ রানা, আব্দুর রাজ্জাক, জিয়াউল ইসলাম জুয়েল, মো. আরিফ, মোহাম্মদ নিশান মিয়া, মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান সুমন ও মোজাম্মেল হক।
এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন, মোহাম্মদ মামুন, দ্বীন ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম খালাস পেয়েছেন। আসামিদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায় শেষে আব্দুর রাজ্জাককে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। দণ্ডিত অপর ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ দিন মো. শাজাহানের পক্ষে তার আইনজীবী মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের আবেদন করেন। তবে এ দিন আসামি আদালতে উপস্থিত হননি। এ জন্য আদালত তার আবেদনটি নাকচ করেন। হাবিবুর রহমান ও আহসান হাবিবের পক্ষেও সময় আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
জানা যায়, ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জোটের সমর্থক ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের পরোক্ষ ইন্ধনে ৩০/৪০ জন ভাটারা থানাধীন যমুনা ফিউচার পার্কের বিপরীতে প্রগতি স্মরণীতে জনসাধারণের চলাচল গতিরোধ, পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধাসহ হত্যা করতে বাসে অগ্নিসংযোগ করে। অগ্নিসংযোগে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় ভাটারা থানার সাব-ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১২ মে ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন একই থানার সাব-ইন্সপেক্টর শাহ মো. সাজু মিয়া।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে পিকে হালদারের ২২ বছরের কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা : ওসি মিজানের ১০ বছর কারাদণ্ড
প্রধানমন্ত্রী ও সেতুমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি, আমেরিকা প্রবাসীর বিরুদ্ধে মামলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে কটূক্তি ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে আতিফ মাহমুদ নামে এক আমেরিকা প্রবাসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রবাসী ওই যুবকের নামে রংপুরে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের জামিন মঞ্জুর
রবিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন গাইবান্ধা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি শেখ রোহিত হাসান রিন্টু।
রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক ড. আবদুল মজিদ মামলাটি আমলে নিয়ে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী শাম্মী আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামি আতিফ মাহমুদ গাইবান্ধা মাস্টারপাড়া পৌর এলাকার প্রয়াত চিকিৎসক দেলওয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি বর্তমানে আমেরিকার বুয়েনোস রাজ্যে বসবাস করছেন।
এদিকে মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে আসামি আতিফ মাহমুদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগ ও স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে বিভিন্ন গুজব, আপত্তিকর মন্তব্য, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর ও রাষ্ট্রবিরোধী তথ্য প্রচার করে আসছেন।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জ্যেষ্ঠ নেতা এবং দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের বিরুদ্ধেও বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করছেন ওই প্রবাসী।
রবিবার মামলা দায়েরের পর বাদী শেখ রোহিত হাসান রিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনার সুনাম নষ্ট করার জন্য, তাকে বেকায়দায় ফেলার জন্য স্বাধীনতাবিরোধীরা অপপ্রচার চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নামে কটাক্ষ করবে, অপপ্রচার চালাবে, তার ভাবমূর্তি নষ্ট করবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব অতি শিগগিরই যেন ওই আসামিকে আইনের আওতায় আনা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ১৭ বছর পর গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার
আত্মসাৎ মামলা: দুদকে ড. ইউনূস
নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ১৭ বছর পর গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আব্দুল কুদ্দুসকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব সদর দপ্তরের সহায়তায় গত রাতে (বৃহস্পতিবার) গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে আত্নগোপনে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করে নাটোর র্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা।
আব্দুল কুদ্দুস (৩৯) একই গ্রামের সিহাব আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
নাটোর র্যাব ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পরিচালক সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, ২০০৬ সালের ২০ জুন বাগাতিপাড়া উপজেলার খাটখৈর গ্রামের ৮ বছরের শিশুকে বাদাম দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় একটি আখ খেতে নিয়ে যায় আব্দুল কুদ্দুস। এরপর শিশুটিকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা করে লাশ সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশের অভিযোগপত্র ও প্রয়োজনীয় সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পলাতক অবস্থায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় পৌনে ৩ লাখ টাকার জাল নোট জব্দ, গ্রেপ্তার ২
রাজশাহীতে ছিনতাইকারীর হামলায় আহত কলেজছাত্রের মৃত্যু, গ্রেপ্তার ১
দুদক এর তদন্তে কারো ব্যক্তিগত পরিচয় দেখে না: সংস্থাটির সচিব
গ্রামীণ টেলিকমের ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের (ডব্লিউপিপিএফ) ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীরা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। তারা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখেন এবং কিছু অভিযোগ অধিকতর তদন্তের জন্য দুদকে প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে দুদক একটি মামলা করেছে এবং তদন্ত চালাচ্ছে। তদন্তের অংশ হিসেবে কমিশন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।’
অর্থ পাচার ও আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসকে তলব ও জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক সচিব এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কোনো অপরাধ করিনি, শঙ্কিত কেন হবো: দুদক কার্যালয়ে ড. ইউনূস
ড. ইউনূসের ব্যক্তি ইমেজের প্রভাবে দুদকের তদন্ত প্রভাবিত করার সুযোগ আছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘দুদক কারো ব্যক্তিগত পরিচয় দেখে না। প্রভাবিত করার কোনো সুযোগ নেই।’
তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘তদন্তকারী কর্মকর্তা যদি মনে করেন যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি আত্মগোপন করতে পারেন কিংবা আলামত নষ্ট করতে পারেন অথবা সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন সে ক্ষেত্রে তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তের প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করতে পারেন অথবা আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞায় পদক্ষেপ নিতে পারেন।’
আরও পড়ুন: আত্মসাৎ মামলা: দুদকে ড. ইউনূস
অর্থ পাচার ও আত্মসাতের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে হাজির হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধ করিনি, শঙ্কিত কেন হবো।’
দুদক কার্যালয় থেকে বের হয়ে ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের ডব্লিউপিপিএফ’র কোনো অনিয়মের সঙ্গে তার মক্কেল জড়িত নন।
তিনি বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ম অনুযায়ী লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে।
আইনজীবী বলেন, ড. ইউনূস 'আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল' হওয়ায় জাতিসংঘে বৈঠক থাকা সত্ত্বেও তদন্তে তাদের সহায়তা করতে দুদকে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে মামলা
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
আট বছর আগে রাজধানীর বাড্ডায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় নাছির হাওলাদার নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এ রায় দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি নাছিরকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাছির জামিনে ছিলেন। গত ৩০ আগস্ট যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের দিনে আদালত জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বুধবার রায় ঘোষণার আগে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। নাছির ঝালকাঠির কোলাবানিয়ার মদিপুর গ্রামের মজনু হাওলাদারের ছেলে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ (অরেঞ্জ) এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, আসামি ও ভুক্তভোগীর পরিবার বাড্ডার সেকেন্দারবাগ এলাকায় একই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভুক্তভোগীর মা বিভিন্ন বাসায় কাজ করেন। বিভিন্ন সময় নাছির ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন।
বিষয়টি পরিবারকে জানায় সেই ছাত্রী। তার পরিবার বিষয়টি বাড়ির ম্যানেজারকে জানালে তিনি নাছিরকে মৌখিকভাকে সতর্ক করেন। তারপরও নাছির ওই শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত করেন। ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল সকাল ১১টায় ভুক্তভোগী কলপাড়ে যায়। সেখান থেকে ফেরার সময় নাছির ধরে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা ১৫ এপ্রিল বাড্ডা থানায় মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক মোশাররফ হোসেন।
২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বাবুলসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে করা ডিএসএ মামলা সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ আদালতের
এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির নির্দেশ
কুষ্টিয়ায় ডাকাতি মামলায় ৯ আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় ডাকাতি মামলায় ৯ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে কুষ্টিয়ার বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- জাকির, উল্লাস, রফিক, তৈয়মুর ইসলাম, পিচ্চি মনির, সাগর, তামিম ইসলাম, বিপুল ও খন্দকার।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ মামলায় সাবেক ইউপি মেম্বারের ২৬ বছরের কারাদণ্ড
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে ২২ জুলাই দিনগত রাত ২টার দিকে একদল ডাকাত কুষ্টিয়ার চৌড়হাস মতিমিয়া রেল গেইট সংলগ্ন এলাকার এক বসতবাড়িতে হামলা করে।
এসময় বাদী ফরিদা ইসলামসহ বাড়ির সদস্যদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্বর্ণালংকার, টাকা, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। একই সঙ্গে সবাইকে বেঁধে রেখে বাড়ির আসবাবপত্র নিয়ে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ওই দিন দুপুরে কুষ্টিয়া মডেল থানায় বেগম ফরিদা ইসলাম বাদী হয়ে সন্দেহজনক তিনজনের নাম উল্লেখ করে একটি ডাকাতি মামলা করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই হারাধন কুণ্ডু মামলাটির তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বুধবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিচারকের ওপর হামলা: নেতার ছেলের কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে হত্যা: ২ ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুলের জামিন স্থগিত
জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি কারাবন্দি সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বুধবার এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আগামী ২০ নভেম্বর শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতা বড় মনিরের জামিন স্থগিত, নবজাতকের ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ
এর আগে ওই মামলায় নিম্ন আদালতে বিফল হয়ে চলতি মাসে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন মাহমুদুল আলম। শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দিয়ে মাহমুদুলকে ছয় মাসের জামিন দেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ মঙ্গলবার আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা আজ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম। আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
সংবাদ প্রকাশের জেরে গত ১৪ জুন রাতে বকশীগঞ্জে বাসায় ফেরার পথে উপজেলার পাটহাটি এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন সাংবাদিক নাদিম। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ জুন বিকাল ৩টায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ১৮ জুন সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় প্রধান আসামি বাবুর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালেরবার্তি গ্রামের ফাহিম ফয়সাল রিফাত, নামাপাড়া গ্রামের ননির ছেলে এমডি রাকিবিল্লাহ রাকিব, আরচাকান্দির গাজী আমর আলী মেম্বার, কাগমারীপাড়া গ্রামের সাফিজল হকের ছেলে শরীফ মিয়া, মালিরচর তকিরপাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে লিপন মিয়া, পূর্ব কামালেরবার্তী গ্রামের মফিজল হকের ছেলে মনিরুজ্জামান মনির, নামাপাড়ার শেখ ফরিদ, টাঙ্গারীপাড়ার কামালের ছেলে ওমর ফারুক, বটতলী সাধুরপাড়ার আবুল কালামের ছেলে রুবেল মিয়া, খেতারচর দক্ষিণপাড়ার জহুরুল হকের ছেলে সুরুজ মিয়া আইড়মারি শান্তি নগরের জলিলের ছেলে বাদশা মিয়া, মদনেরচরের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আবু সাঈদ, আরচাকান্দির মজিবুর রহমানের ছেলে ইমান আলী, কুতুবের চরের সাবেক মেম্বার রফিকুল ইসলাম ও সুর্য্যনগর গ্রামের কারিমুল মাস্টারের ছেলে আমান উল্লাহ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদের জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর
আমান উল্লাহ আমানের স্ত্রী’র জামিন মঞ্জুর ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে মামলা
‘ন্যায্য মজুরি না দেওয়া ও শ্রম আইন লঙ্ঘনের’ অভিযোগে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র ফার্ম ম্যানেজার ফারুকুল ইসলাম বাদী হয়ে রংপুর শ্রম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতাসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী শামীম আল মামুন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে 'হাতিয়ার' হিসেবে শ্রম আইনের ব্যবহার বন্ধের আহ্বান অ্যামনেস্টির
আইনজীবী বলেন, ‘ড. ইউনূসসহ কৃষি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বাদীকে ৯ লাখ ৭৫ হাজার ১২৫ টাকা মজুরি, গ্র্যাচুইটি ও উপার্জিত ছুটির টাকা না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বাদীর ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করা হয়নি।’
ড. ইউনূস ও গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ বাদীকে বিভিন্ন সময় চাপ দিয়ে অবসরে যেতে বাধ্য করে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: প্রতিহিংসাবশত ড. ইউনূসকে কারাগারে পাঠানোর ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় ৩ ভাইসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের আক্তারুজ্জামান হত্যা মামলায় ৩ ভাইসহ ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সায়েদুর রহমান খান এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
এসময় আসামি আল আমিন ও এনামুল হক ছাড়া অন্য পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের আব্দুল গফুরের তিন ছেলে আসাদ মিয়া, আবুল কাশেম, ফালান মিয়া ও একই এলাকার রফিকের ছেলে আল-আমিন, এনামুল হক, সুমন মিয়া ও মাসুদ।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আল-আমিন ও এনামুল হক ছাড়া বাকিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর বিকালে জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের আক্তারুজ্জামান কাওনা বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন।
এ সময় বাড়ির কাছে পথে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আসামিরা তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে তাকে উদ্ধার কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আশরাফুন্নেছা বাদী হয়ে ২৯ ডিসেম্বর ৭ জনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৯ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে আদালকে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা জেলা সিআইডির সহকারি পুলিশ সুপার মো. আনিছুর রহমান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে হত্যা: ২ ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন