বহিষ্কার
ইবি ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীসহ ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেডিকেল সেন্টার ভাঙচুরের অভিযোগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক এক কর্মী এবং মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগে আরও দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এছাড়া সারাদেশের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের প্রথা বন্ধে নবীন শিক্ষার্থীদেরকে নির্যাতনে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও তিন শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্বো, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের হিশাম নাজির শুভ ও একই বিভাগের মিজানুর রহমান ইমন।
আরও পড়ুন: ফুলপরীকে নির্যাতন: ইবির পাঁচ ছাত্রীকে নতুন করে শাস্তি আরোপের নির্দেশ হাইকোর্টের
এক বছরের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দিন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিব। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-কানুন লঙ্ঘনের দায়ে কাব্য, শুভ ও ইমনের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের আদেশ জারি করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন আজাদ।
প্রক্টর বলেন, মেডিকেল সেন্টার ভাঙচুরের ঘটনায় কাব্যকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং শুভ ও ইমনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক নবীন শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে।
হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীকে নির্যাতনে শুভ ও ইমনকে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে পুলক, সাকিব ও আকিব নামে আরও তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রক্টর।
এর আগে গত ১১ জুলাই কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরঞ্জাম ভাংচুর করে কাব্য ও তার দুই সহযোগী।
এ ঘটনায় গত ১৫ জুলাই তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের হিশাম নাজির শুভ, মিজানুর রহমান ইমন, শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দিন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিবসহ একদল শিক্ষার্থী একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান অডিটোরিয়াম এলাকায় নিয়ে এসে মানসিক নির্যাতন চালায়। তারা আবারও তাকে নির্যাতন করে।
এ ঘটনায় গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রক্টর এম শাহাদাত হোসেন আজাদ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক শেলিনা নাসরিন ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৬ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ইবি কর্মকর্তাদের আন্দোলন
ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের সাবেক ৫ নেতা-কর্মীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
মাদক সেবনের অভিযোগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
মাদক সেবনের অভিযোগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ৪ শিক্ষার্থীকে ৩ সেমিস্টারের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের দপ্তর থেকে শাস্তির বিষয়টি প্রকাশ করা হয়।
বরখাস্ত হওয়া ৪ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের ছাত্র। তবে তাদের ভবিষ্যৎ বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নাম প্রকাশ করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক শরিফুল হাসান লিমন বলেন, বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের খানজাহান আলী হলের সামনের একটি মেসে (ছাত্রাবাস) অভিযান চালিয়ে তাদেরকে মাদক সেবনের প্রস্তুতির সময় হাতেনাতে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের সাবেক ৫ নেতা-কর্মীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
পরে বৃহস্পতিবার শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ওই ৪ জনকে ৩ সেমিস্টারের জন্য সাময়িক বহিষ্কার, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অভিভাবকদের জরুরি তলব এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রবিষয়ক পরিচালক বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা সন্তোষজনক জবাব দিলে শাস্তি পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ রয়েছে। ৪ জনের মধ্যে তিনজন নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ও একজন দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইকবালের বহিষ্কারাদেশ স্থগিত হাইকোর্টের
ঢাবি ও অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ১১৪ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সুপারিশ
ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের সাবেক ৫ নেতা-কর্মীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে নির্যাতনের দায়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক পাঁচ নেতা-কর্মীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (২১ আগস্ট) বিকালে ইবি’র উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ক্যাম্পাসে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা এবং তার সহযোগী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান, চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন ঊর্মি এবং আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম।
গত ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধি অনুযায়ী শাস্তি না হওয়ায় গত ২৬ জুলাই হাইকোর্ট এই বহিষ্কারের আদেশ বাতিল করেন।
আদালত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আচরণবিধি ১৯৮৭ অনুযায়ী শাস্তি পুনর্নির্ধারণ করার নির্দেশ দেন।
সভায় ইবির উপউপাচার্য এম মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ এম আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইবির প্রক্টর এম শাহাদাত হোসেন আজাদ ইউএনবিকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে অন্তরা ও তার চার সহযোগীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানো হবে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, অন্তরা ও তার চার সহযোগীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তে আমি সন্তুষ্ট।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে ক্যাম্পাসে এমন জঘন্য কাজ করতে কেউ সাহস পাবে না।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ভুক্তভোগীকে তৎকালীন ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা এবং তার সহযোগী তাবাসসুম, মিম, ঊর্মি ও মোয়াবিয়া নির্যাতন করে ও ভয়ভীতি দেখায়।
আরও পড়ুন: ফুলপরীকে নির্যাতন: ইবির পাঁচ ছাত্রীকে নতুন করে শাস্তি আরোপের নির্দেশ হাইকোর্টের
একপর্যায়ে অন্তরা ভুক্তভোগীকে কাপড় খুলে ফেলতে বাধ্য করে এবং মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ করে।
১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা এবং হল প্রভোস্টসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ভুক্তভোগীর দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী, অন্তরা হুমকি দিয়েছিল ভুক্তভোগী যদি বিষয়টি কারও কাছে প্রকাশ করে তবে তিনি ভিডিওটি সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে দেবেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ইবির আইন বিভাগের চেয়ারপার্সন রেবা মণ্ডলের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ইবি কর্তৃপক্ষের গঠিত দুটি তদন্ত সংস্থা গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।
দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল প্রশাসন গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পাঁচ অভিযুক্তকে বহিষ্কার করে।
১ মার্চ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অন্তরা ও চার কর্মীকে শিক্ষার্থীকে নির্যাতন ও হয়রানি করার দায়ে বহিষ্কার করে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট বেঞ্চ ১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়কে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী ও কর্মীদের সাময়িক বরখাস্ত করতে বলেন।
আদালত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও রেজিস্ট্রারকে অবিলম্বে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট শামসুল আলম এবং হাউস টিউটর মৌমিতা আক্তার ও ইশরাত জাহানকে তাদের কর্তব্যে অবহেলার দায়ে অপসারণ করার নির্দেশ দেন।
ইবি কর্তৃপক্ষ পরে অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট শামসুল আলমকে অপসারণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অন্তরা এবং তার চার সহযোগীকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগের জবাব জমা দিতে বলেছে।
হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে তার পছন্দে একটি আসন বরাদ্দ দেয়।
আরও পড়ুন: ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগ নেত্রীসহ ৫ জন বহিষ্কার
ইবিতে আবারও ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত
সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের ১৭ নেতা-কর্মী বহিষ্কার
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় ছাত্রলীগের ১৭ নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ। তাদের স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ আগস্ট) বিকাল ও রাতে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি তার নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই ১৭জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে সংগঠনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিগুলোতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের সই রয়েছে।
বহিষ্কৃত ১৭ নেতা-কর্মীর মধ্যে জেলার কসবা উপজেলার ৭ জন, আখাউড়া উপজেলার ৪ জন, সরাইল উপজেলার ৪ জন এবং আশুগঞ্জ ও নবীনগর উপজেলার একজন করে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে সাঈদীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করায় ৪ ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার
তারা হলেন- কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাফ ইসলাম, খাড়েরা ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক দীপু মিয়া, একই কমিটির সদস্য আসিফুল আলম, কুটি ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির আহমেদ, একই ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম হাছিব, গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ড শাখার সদস্য নাজমুল সরকার, বিনাউটি ইউনিয়ন শাখার সদস্য সৈকত আলী।
আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফুরকান আহম্মেদ, একই শাখার কর্মী আমিন সুমন, আখাউড়া পৌর ছাত্রলীগের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি রবিন খান খাদেম এবং আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক বাইজিদ খান।
সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমির খন্দকার, একই শাখার কর্মী রিয়াজ উদ্দিন খান মাইনুর, শাহবাজপুর ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ নিয়ামুল এবং একই কমিটির সদস্য আজহার উদ্দিন।
এ ছাড়া, আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ সোহান এবং নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মো. মমিন সরকারকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে যেসব ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কাজ করেছেন। এজন্য তাদের ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাঈদীর চিকিৎসককে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রামে সাঈদীর জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ফেসবুকে সাঈদীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করায় ৪ ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার
মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর ঘটনায় ফেসবুকে শোকপ্রকাশ করে স্ট্যাটাস দেওয়ায় বুধবার (১৬ আগস্ট) সাতক্ষীরা ও ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রলীগের চার নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া একজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
উভয় জেলা ছাত্রলীগের নেতারা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। জেলা সংগঠনের আদর্শ পরিপন্থী হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম আশিকুর রহমান ও সম্পাদক মো. সুমন হোসেনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়।
সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন-তালা উপজেলা শাখার সহসভাপতি সাইফুদ্দীন আজাদ সবুজ ও মাহিন ইসলাম মাসুম এবং সীমান্ত আদর্শ কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক কবির।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম আশিকুর রহমান বলেন, ‘জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ছিলেন আদালতের রায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী। তার মৃত্যুর পর অভিযুক্ত নেতা-কর্মীরা ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আক্ষেপ করেছেন; যা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী। তাই তাদের ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে তাদের স্থায়ীভাবে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে সুপারিশ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে আদালতে এপিপির উপর হামলা: ছাত্রলীগে নেতাসহ ২৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
তিনি আরও বলেন, ‘এ রকম আরও কয়েকজনের দেওয়া ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট আমাদের কাছে এসেছে। যাচাই-বাছাই করে তাদের ব্যাপারেও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেব। প্রথমে আমরা তাদের সাময়িক বহিষ্কার করেছি। পাশাপাশি চূড়ান্ত বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছি।’
অন্যদিকে বুধবার রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর রহমান মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নবাব হোসেনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধী জামায়াত নেতাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় জেলা ছাত্রলীগের একজনকে সাময়িক বহিষ্কার এবং আরেকজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত নেতারা হলেন- পীরগঞ্জ উপজেলার ৯ নম্বর সেনগাঁও ইউনিয়নের ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ ইসলাম এবং ৫ নম্বর সৈয়দপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নবাব হোসেন বলেন, ‘ইউসুফ ও মেহেদী মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতাকে নিয়ে তাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আবেগঘন পোস্ট দেন। যা ছাত্রলীগের দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এ কারণে তিন মাসের জন্য ইউসুফ ইসলামের বর্তমান পদ ও সদস্যপদ স্থগিত এবং মেহেদী হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়াও তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আবেদন করা হবে।’
আরও পড়ুন: বিভাগীয় সমাবেশে বিশৃঙ্খলা: রংপুরে ছাত্রলীগের ৯ কর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে
বিভাগীয় সমাবেশে বিশৃঙ্খলা: রংপুরে ছাত্রলীগের ৯ কর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার
রংপুরে ছাত্রলীগের বিভাগীয় সমাবেশে বিশৃঙ্খলা ও মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থগিত করা রংপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সেই সঙ্গে ওই ঘটনায় জড়িত ৯ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) সকালে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাব্বির আহমেদ।
এর আগে রবিবার (২৩ জুলাই) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৯ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করে এবং জেলা ছাত্রলীগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা-পরিপন্থী অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ৯ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ৩০
বহিষ্কৃতরা হলেন- রংপুর টেক্সটাইল কলেজের সিয়াম আলম, লালমনিরহাট কাকিনা উত্তর বাংলা কলেজের জিহাদ রহমান জিসান, রংপুর সরকারি কলেজের মোনাজাত, আল আমিন হোসাইন, রাজন হোসাইন, কারমাইকেল কলেজের শাহাদত হোসনে রিমন, ইমন ইসলাম ও মাসুদ রানা সাফিন ও আল আমিন হোসেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভবিষ্যতে যে কোনো শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে না জড়ানোর জন্য সতর্ক করে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের উপর আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাব্বির আহমেদ জানান, একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ রংপুর জেলার কমিটি স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে ও তাদের কর্মকাণ্ড অনুযায়ী প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। সেই সঙ্গে আমাদের উপর আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই রংপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। একই দিনে মহানগর ছাত্রলীগ ও রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার কারণে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগ নেত্রীসহ ৫ জন বহিষ্কার
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতন ও লাঞ্ছনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার (১৫ জুলাই) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক নেত্রীসহ পাঁচজনকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সকালে ইবি’র উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বরখাস্তকৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্রী ও ছাত্রলীগকর্মী তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান।
এছাড়া ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের দুই শিক্ষার্থী- চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন ঊর্মি ও ইসরাত জাহান মিম।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে যৌন হয়রানির অভিযোগে ইবির ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
বৈঠকে ইবির প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর এম মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর এম আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রক্টর প্রফেসর এম শাহাদাত হোসেন আজাদ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইবি’র প্রক্টর অধ্যাপক এম শাহাদাত হোসেন আজাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী অন্তরা ও তার চার সহযোগীকে এক বছরের জন্য ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী গত ১২ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া ক্যাম্পাসের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের হাতে নির্যাতন ও অপমানিত হওয়ার অভিযোগ করেন।
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও হল প্রভোস্টসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত দুইটি তদন্ত সংস্থা গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল প্রশাসন অভিযুক্তদের বহিষ্কার করে।
৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অন্তরা ও তার চার সহযোগীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট শামসুল আলমকে হাইকোর্টের আদেশে তার পদ থেকে অপসারণ করে।
আরও পড়ুন: ইবিতে আবারও ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত
সিসিক নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৪৩ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৪৩ নেতাকর্মীকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করেছে বিএনপি। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. ছালাহ উদ্দিন রিমনও রয়েছেন। বাকীদের মধ্যে ৩৮ জন পুরুষ কাউন্সিলর ও চারজন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন।
সোমবার (৫ জুন) রাতে কেন্দ্র থেকে সিলেট মহানগর বিএনপির কাছে বহিষ্কারের আদেশ আসে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, সিলেট সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ৪৩ জনকে বিএনপি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্ত না মেনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৪১ নেতাকর্মী প্রথমে দল শোকজ করেছে। কিন্তু তারা শোকজের কোনো জবাব দেননি। এরপর কেন্দ্রে আরও দু’জনের নাম পাঠানো হয়। সব মিলিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সিলেটের ৪৩ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বহিষ্কারাদেশে বলা হয়েছে, ‘সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আপনি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিদ্বতা করছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করার কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব সন্তোষজনক নয়। আপনার নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গত ১৫ বছর ধরে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে করা গুম, খুন ও সরকারি পৈশাচিক নিপীড়নের শিকার হয়েছে এমন পরিবারসহ গণতন্ত্রকামী জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। দলীয় গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কারর করা হলো। এবং গণতন্ত্র উদ্ধারের ইতিহাসে আপনার নাম একজন বেইমান, বিশ্বাসঘাতক ও মীরজাফর হিসেবে উচ্চারিত হবে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে সেনা সদস্যের মৃত্যু: সিসিকের প্রধান প্রকৌশলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
আজীবন বহিস্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন মেয়র প্রার্থী ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ছালাউদ্দিন রিমন।
সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে যারা বহিস্কৃত হয়েছেন- সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ তৌফিকুল হাদি (১নং ওয়ার্ড), মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ চৌধুরী শামীম (৬নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য নজরুল ইসলাম মুনিম (১৪নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জল (১৮নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব তুহিন (২১নং ওয়ার্ড), মহানগর মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট রুকশানা বেগম শাহনাজ (২৫নং ওয়ার্ড), জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক উসমান হারুন পনির, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা গোলাম মোস্তফা কামাল, গউছ উদ্দিন পাখি, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন নাদিম, ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মুফতি কমর উদ্দিন কামু (১নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিঠু (৩নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহবায়ক মো. কামাল মিয়া (৫নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য খালেদ আকবর চৌধুরী (৫নং ওয়ার্ড), আমিনুর রহমান খোকন (৫নং ওয়ার্ড), শাহেদ সিরাজ (৫নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান জুবের (১০নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য আব্দুর রহিম মতছির (১১নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মুজিবুর রহমান (১৫নং ওয়ার্ড), জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সালমান চৌধুরী শাম্মী, ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি মামুনুর রহমান মামুন (২৩নং ওয়ার্ড), এমসি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বদরুল আজাদ রানা (২২নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য হুমায়ুন কবির সুহিন (২৪নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি সেলিম আহমদ রনি (২৬নং ওয়ার্ড), জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আব্বাস, বরইকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক জাবেদ আমিন সেলিম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক রাজু মিয়া, বরইকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি সানর মিয়া, টুলটিকর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট হেদায়েত হোসেন তানবীর, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য দুলাল আহমদ, জেলা বিএনপি নেতা দেলওয়ার হোসেন জয়, মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি আব্দুল হাছিব, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক সুমন আহমদ সিকদার, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি নেতা সাহেদ খান স্বপন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি নেতা ইউনুস মিয়া বরইকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক নেতা নুরুল ইসলাম মাসুম।
এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে বহিস্কৃত হয়েছেন- জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির শেপী, মহানগর মহিলা দলের সহসভাপতি রুহেনা বেগম মুক্তা, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সিলেট ইউনিটের সদস্য অ্যাডভোকেট জহুরা জেসমিন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি কামরুন নাহার তান্নি (সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৬)।
এর আগে গত শনিবার (৩ জুন) বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী পৃথকভাবে এসব শোকজ নোটিশ ইস্যু করেছেন। শোকজ নোটিশে বলা হয়, ‘১৫ বছর ধরে অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ জনগণ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে খালেদা জিয়া দীর্ঘ প্রায় পাঁচবছর ধরে কারাভোগ করছেন। বিএনপি এই অবৈধ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ দলের সদস্য হয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা করে দলীয় বড় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করেছেন। সুতরাং কেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার কারণ দেখিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দলের কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।’
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, বিএনপি বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাচ্ছে না। কিন্তু সিলেটে যারা দলের সিদ্ধান্ত আমান্য করে প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের বিএনপি আজীবন বহিষ্কার করেছে।
২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত চারবার নির্বাচন হয়েছে। ২০০৩ সালে প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী হন বদর উদ্দিন কামরান; ২০০৮ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনেও তিনি মেয়র নির্বাচিত হন কারাগার থেকে। ২০১৩ সাল থেকে মেয়র পদে আছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। তবে এবার তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনে প্রার্থী হননি।
উল্লেখ্য, আগামী ২১ জুন পঞ্চমবারের মতো সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচনে এক-তৃতীয়াংশ প্রার্থীই বিএনপির: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কেসিসি নির্বাচন: বিএনপির ৮ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় বিএনপির আট নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করেছে বিএনপি। শনিবার (৩ জুন) রাতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এ দিন স্ব-স্ব নেতাদের নামে বহিষ্কারের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
যাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে তারা হলেন- মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ সাজ্জাদ হোসেন তোতন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আশফাকুর রহমান কাকন, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. মাহবুব কায়সার, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. শমসের আলী মিন্টু, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি কর্মী ও সাবেক কাউন্সিলর মুহা. আমান উল্লাহ আমান, সংরক্ষিত ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাজেদা খাতুন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী ফজলুল কবির টিটো এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মুশফিকুস সালেহীন।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে শোকজ, ২ প্রার্থীকে জরিমানা
চিঠিতে বলা হয়েছে, বিএনপি এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ আপনি দলের একজন সদস্য হয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা করে এ সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করেছেন। ১ জুন আপনাদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হলেও নোটিশের জবাব দেননি, যা গুরুতর অসদাচরণ।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে গত ১৫ বছর ধরে চলমান গণতান্ত্রিক অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠী দ্বারা যারা গুম-খুন ও পৈশাচিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তাদের পরিবারসহ দেশের গণতন্ত্রকামী বিপুল জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষার প্রতি আপনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
এমন অবস্থায় অবজ্ঞা ও ঔদ্ধত্যের জন্য বিএনপির গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সব পদ থেকে আপনাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো।
গণতন্ত্র উদ্ধারের ইতিহাসে আপনার নাম বেঈমান, বিশ্বাসঘাতক ও মীরজাফর হিসেবে উচ্চারিত হবে বলেও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
এসএসসি পরীক্ষায় অভিনব কায়দায় নকল: ৫ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদরের জেবি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে মোবাইলের মেসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে নকল সরবরাহ ও অসদুপায় অবলম্বন করায় পাঁচ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার মতলবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে দুপুর ১২টায় এই ঘটনা ঘটে এবং পাঁচ ডিজিটাল নকলবাজ ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে জেলি পুশ করা ১৫০০ কেজি চিংড়ি উদ্ধার
বহিষ্কার হওয়া পাঁচ পরীক্ষার্থী হলো- ওমর ফারুক, মশিউর রহমান, ইব্রাহিম খলিল, ফারদিন ইসলাম ও মাহবী হাসান মুহিন।
এদের মধ্যে মশিউর রহমান বোয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের, আর বাকি চারজন মতলবগঞ্জ জেবি পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
মোবাইল মেসেঞ্জারে নকল সরবরাহের মাধ্যমে পুরো পরীক্ষা পার করেছেন তারা। শেষ রক্ষা আর হয়নি তাদের।
ধরা পড়লো সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম আক্তারের হাতে।
সন্ধ্যায় বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসনিম আক্তার।
তাসনিম আক্তার ইউএনবিকে জানান, পরীক্ষার শুরু থেকে এই পাঁচজন পরীক্ষার্থী ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুরো পরীক্ষা নকল করে দিয়ে আসছিল। তাদের পাঁচজনের কাছে স্মার্টফোন থাকতো। আর এই পাঁচজনের মধ্যে একটা গ্রুপ মেসেঞ্জার ছিল। বাইরে থেকে তাদের ওই মোবাইলের মেসেঞ্জারে নকল সরবরাহ করা হতো। চারজনের একটা গ্রুপ বাইরে থেকে তাদের নকল সরবরাহ করতো।
এছাড়া তাদেরও আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তাসনিম আক্তার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হলে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রশ্ন দেওয়ার পর পরই এই প্রশ্নের ছবি তুলে তারা বাহিরে পাঠিয়ে দিতো। পরে তাদের মেসেঞ্জার গ্রুপে একটা একটা করে উত্তর সরবরাহ করতো।
এভাবেই তারা পুরো পরীক্ষা পার করেছে।
এদিন ছিল পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসনিম আক্তার গোপন সূত্রে এমন একটি চাঞ্চল্যকর নকলের খবর পান।
তিনি দুপুর ১২টার দিকে পরীক্ষার হলে গিয়ে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এক নম্বর কক্ষে গিয়ে পরীক্ষার্থী মাহবী হাসান মুহিনকে চ্যালেঞ্জ করেন। আর তখনই তার কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয় এবং পুরো নকলের বিষয়টি বের হয়ে আসে।
তিনি যখন তল্লাশি শুরু করলেন তখন এই পাঁচজনের একজন তার সঙ্গে থাকা মোবাইলটি ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেয়। সেটি একজন কক্ষ পরিদর্শক উদ্ধার করেন।
আর বাকি তিনজনের কাছে তল্লাশি করে মোবাইল সেট পাওয়া যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে তল্লাশির সময় তারা কৌশলে জানালা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। এ ঘটনার পর পর তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এ ব্যাপারে পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, আমরা সকল পরীক্ষার আগে পরীক্ষার্থীদের চেকআপ করে রুমে প্রবেশ করিয়েছি। কোন অবস্থায় যেন কেউ মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।
তিনি আরও বলেন, তারপরেও তারা অতীব গোপনে অন্যায়ের আশ্রয় নিয়ে মোবাইল নিয়ে রুমে প্রবেশ করেছে।
এছাড়া তারা অন্যায়ের শাস্তি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘শতকোটি টাকা ব্যয়ে চাঁদপুরে আধুনিক নৌ বন্দর নির্মাণ হবে’
চাঁদপুরে ‘ভারতীয় সিরিয়াল দেখে’ শিশু হত্যার অভিযোগ, কিশোর গ্রেপ্তার