ভর্তি পরীক্ষা
এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, সব কেন্দ্রেই বিশেষ সতকর্তা নেওয়া হয়েছিল।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণাকে নেপাল সরকার কাজে লাগাতে চায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি প্রশ্নপত্র বহনকারী ট্রাঙ্কে একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস লাগানো ছিল, যার মাধ্যমে অধিদপ্তর থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে আনা নেওয়া কার্যক্রম মনিটরিং করা হয়েছে।
সামন্ত লাল সেন বলেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেটসহ কারও কাছেই কোনোরকম মোবাইল যন্ত্রের ব্যবহারের অনুমতি ছিল না। কোন মেডিকেল কোচিং গত এক মাস খোলা ছিল না।
মন্ত্রী আরও বলেন, পরীক্ষার আগের দিন ফেসবুকে কোনোরকম প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ানোর সুযোগ দেয়নি গোয়েন্দা সংস্থা। এবারের মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় যতরকম সতর্ক থাকা যায়, থেকেছি।
আরও পড়ুন: এবারের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমি চাই দেশে সৎ ও উন্নত মানের ডাক্তার তৈরি হোক। নিজে সারাজীবন সৎ থেকেছি, এদেশের পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিটি ডাক্তারও সততা নিয়ে, স্বচ্ছতা নিয়ে মানুষের সেবা করবে- সেটাই চাই।
মন্ত্রী আরও বলেন, এ বছর এমবিবিএস ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়ন, প্রকৃত শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও অনিয়ম বন্ধ এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশনের কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। সরকারি মেডিকেল কলেজে বিগত কয়েক বছর অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণ এবং ডিজিটালাইজেশনের ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ হয়েছে এবং একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দেশের নার্সিং সেক্টরকে বিশ্বমানের করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা ৯ ফেব্রুয়ারি
মেডিকেল কলেজগুলোতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএসে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আগামী শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে মন্ত্রী বলেন, এক মাস পর ৮ মার্চ ডেন্টালের বিডিএসের ভর্তি পরীক্ষা হবে।।
তিনি বলেন, ‘মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম নম্বর (পাস নম্বর) গতবারের মতো এবারও ৪০ রাখা হয়েছে। মাইগ্রেশনের সময় আমরা তিনবার দিচ্ছি। বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির জন্য সব কলেজকে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা সবগুলো কলেজে চয়েজ একবারে দিতে পারবে। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতেও একই নিয়ম বহাল।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থীরা ৪ জানুয়ারি থেকে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন। দেশীয় ছাত্র-ছাত্রীরা যারা ভর্তি হতে চান, তারা ১১ জানুয়ারি থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদনের বিজ্ঞপ্তি ১০ তারিখে দেওয়া হবে। অনলাইনে আবেদনের শেষ তারিখ ২৩ জানুয়ারি। ফি জমার শেষ তারিখ ২৪ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: চুয়েটে র্যাগিংয়ের অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থীকে শোকজ
তিনি বলেন, ‘রোল নম্বর প্রদান, সিট প্ল্যানসহ এই বিষয়গুলো ২৬ জানুয়ারি হয়ে যাবে। প্রবেশপত্র বিতরণ হবে ৫ ফেব্রুয়ারি। হাজিরা শিট ডাউনলোড করা যাবে ৮ ফেব্রুয়ারি। ভর্তি পরীক্ষা হবে ৯ ফেব্রুয়ারি। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হবে।
এবারও ভর্তি ফি ১ হাজার টাকা রয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে মোট ১১ হাজার ৭২৮টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ৫ হাজার ৩৮০টি আসন রয়েছে। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ১ হাজার ৩০টি সিট বাড়ানো হয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে মোট আসন ৬ হাজার ৩৪৮টি। আর্মি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৩৭৫টি।’
‘গত বছর প্রায় দেড় লাখ পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। এবার আশা করি কম হবে না, আরও বেশি হবে। সেজন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি, যাতে সুন্দরভাবে পরীক্ষাটা নিতে পারি, কোনো রকমের সমস্যা না হয়।’
বিগত দিনে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা জনগণের কাছে প্রশংসিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সবাই মিলে কাজ করার কারণে পরীক্ষা মানসম্মত হয়েছে। বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিল। আশা করি এবারও তাই হবে।’
মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি রোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কারো কোনো অভিযোগ ছিল না। প্রশ্ন ফাঁসের যে বিষয় সেটি ২০১০ সালের ঘটনা। পরীক্ষার সিস্টেমটা এখন আমরা অনেক উন্নত করেছি। অত্যাধুনিক করেছি। এখানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রশ্নটা যেখানে তৈরি হয় বিশেষ কয়েকজনের মধ্যে সেটা সীমাবদ্ধ থাকে। এমনভাবে করা হয়, সেখানে কেউ ঢুকতে পারে না, যেতেও পারে না। যারা প্রশ্ন তৈরি করেন তারা ওখান থেকে বের হন না। প্রশ্ন বিলি হওয়ার পর তারা বের হতে পারেন। প্রশ্ন যে বাক্সে থাকে সেই বাক্সে কেউ হাত দিলে লালবাতি জ্বলে ওঠে। যত রকমের পদ্ধতি আছে আমরা সেটা প্রয়োগ করছি।’
অনেক সময় রাজনৈতিক বিবেচনায় মেডিকেল কলেজ অনুমোদন হয়েছে। সেখান থেকে মানসম্মত চিকিৎসক কি তৈরি হচ্ছে- এমন প্রশ্নে জাহিদ মালেক বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে কোনো মেডিকেল কলেজ তৈরি হয় না, প্রয়োজনের কারণেই তৈরি হয়। দেশে এখনো অনেক ডাক্তারের ঘাটতি রয়েছে। দেশে ১ লাখ ডাক্তার রয়েছে, আমাদের প্রয়োজন প্রায় দুই-আড়াই লাখ ডাক্তার এবং মানটা উন্নত করা। সেটা পর্যায়ক্রমে হচ্ছে। এরপরও যারা মান বজায় রাখতে পারছে না, তাদের আমরা ছেড়ে দিচ্ছি না। কঠিন শাস্তি দিচ্ছি। বন্ধ করে দিচ্ছি। সেই বিষয়ে আমরা যথেষ্ট সজাগ।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু ১৫ ফেব্রুয়ারি
আসন্ন শিক্ষাবর্ষেও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: ইউজিসি
আসন্ন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষেও পাবলিক বিশ্ববদ্যিালয়গুলোতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) ইউজিসি’র ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে অংশীজনদের সঙ্গে সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) ইউজিসিতে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে বিডিরেনের সেবা গ্রহণের আহ্বান ইউজিসির
আলমগীর বলেন, রাষ্ট্রপতির ইচ্ছা অনুসারে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছিল ইউজিসি। এ বিষয়ে কমিটি গঠন করে এবং বিস্তারিত আলোচনা শেষে একটি অধ্যাদেশের খসড়াও তৈরি করেছিল। কিন্তু, অনিবার্য কারণবশত আসন্ন শিক্ষাবর্ষ থেকে একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না।
আলমগীর বলেন, তবে গত বছরের মতো আসন্ন শিক্ষাবর্ষেও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এবছর গুচ্ছভুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ ছাড়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গুচ্ছে ভর্তিতে অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব দিয়ে নজির স্থাপনের পরামর্শ দেন।
এ ছাড়া প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা রাখা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, এবছর এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ হাজারের বেশি আসন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এসব শিক্ষার্থীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয়ে ভর্তি হতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মে ছাড় দেবে না ইউজিসি
এরকম পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তিতে পোষ্য কোটা রাখার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পোষ্য কোটা থেকে বের হয়ে আসার পরামর্শ দেন।
ইউজিসি’র পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্বে থাকা এ সদস্য আরও বলেন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিষয় পড়ানো হবে, ছাত্র সংখ্যা কী হবে তা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করতে কমিশন এখন পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, ইউজিসি’র মূল লক্ষ্য হচ্ছে উচ্চশিক্ষায় গুণগত মান বজায় রাখা, গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেওয়া।
ড. ফেরদৌস জামান বলেন, উচ্চশিক্ষায় পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে আমরা বেশ পিছিয়ে আছি। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, এজন্য ইউজিসি বিভিন্ন কৌশলগত পরিকল্পনা ও নীতি প্রণয়ন করছে।
কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন— ইউজিসি’র আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূঁইয়া।
ইউজিসি’র উপসচিব ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের ফোকাল পয়েন্ট মো. আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় অংশীজন সভায় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মির্জা হাসানুজ্জামান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জামির হোসেন, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. রাজু আহম্মেদ, ইউজিসির অতিরিক্ত পরিচালক জেসমিন পারভীন ও মো. শাহীন সিরাজসহ ইউজিসি ও বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষার কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
ঢাবির ব্যবসায় ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় ইউনিটের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।
শিক্ষার্থীরা admission.eis.du.ac.bd এই ওয়েব ঠিকানায় তাদের ফল দেখতে পারবেন। তাছাড়া সংক্ষিপ্ত বার্তার পরিষেবার (এসএমএস) মাধ্যমেও ফল দেখা যাবে।
এসএমএস-এর মাধ্যমে ফল দেখতে ইংরেজিতে ‘ডিইউ’ লিখে একটি স্পেস দিয়ে ‘বিইউএস’ লিখতে হবে, এরপর আবারও সেপ্স দিয়ে পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর দিতে হবে এবং তা ১৬৩২১ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি বার্তায় ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
এক হাজার ৫০টি আসনের বিপরীতে ৩৮ হাজার ২৩৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮ হাজার ৫২৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
এ বছর সমন্বিত পরিবেশে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়, যেখানে প্রতিটি ইউনিটে (বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও কলা) সকল ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
ব্যবসায় অনুষদে মোট ১ হাজার ৫০টি আসনের মধ্যে ব্যবসায় বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ৯৩০টি, কলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫টি এবং বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ৯৫টি আসন বরাদ্দ করা হয়।
সকল উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীকে ১৮ জুন থেকে ৬ জুলাইয়ের মধ্যে বিষয় পছন্দের ফরম পূরণ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ঢাবির ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
রাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ সালের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক নেতাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার সকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বিজয় কুমার বসাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম নগরীর মতিহার ও চন্দ্রিমা থানায় মামলাগুলো করেন।
আরও পড়ুন: রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
অভিযুক্তদের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা, সরকারি বিসিএস কর্মকর্তা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
আসামিরা হলেন- রাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম শান্ত, নাটোর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র এনামুল হক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মো. স্বপন হোসেন।
জনপ্রশাসন অধিদপ্তর, বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ আবু হানিফ মো. তানভীর আহমেদ, কাওসার আলী বিদ্যুৎ, মো. মাইনুল ইসলাম, মো. আব্দুর রকিব, মো. ইসরাফিল হোসেন, জাহিদ আল হাসান সিয়াম, রূপম সরকার ও শেখ আবু হানিফ।
বাকি চারজনের নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
এদের মধ্যে হাসিবুল, শেখ আবু হানিফ, এনামুল হক ও স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাবি ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. ইসরাফিল হোসেন ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে জাহিদ আল হাসান সিয়ামের প্রক্সি প্রার্থী হিসেবে পরীক্ষায় অংশ নেন।
তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের ৪২৪ নম্বর কক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করে।
এছাড়া হাসিবুল ইসলাম শান্ত এনামুল হককে ৫০ হাজার টাকায় নিয়োগ দেন। তিনি প্রধান প্রার্থী তানভীর আহমেদের পক্ষে প্রক্সি দেন।
শেখ আবু হানিফকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আসল প্রার্থী রূপম সরকারের পক্ষে হাজির হন।
ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ছাত্রলীগের রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, আমরা কিছুক্ষণ আগে বিষয়টি জানতে পেরেছি, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করেছি। এখন বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় কুমার বসাক বলেন, গতকাল যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা: রাবিতে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তবে তিনি মূল অপরাধী নন।
আশা করছি শিগগিরই মূল অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পারব। একই সঙ্গে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
চবির শাটল ট্রেনে যান্ত্রিক ত্রুটি, ১৫ মিনিট দেরিতে শুরু ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনের ব্রেক গিয়ার ভেঙে বিকল হয়ে পড়ায় ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে।
সোমবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ক্যাম্পাসগামী এই শাটল বালুছড়া আসার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে দ্রুত মেরামত করে শাটল ট্রেনটি সচল করা হয়।
তবে মাঝপথে শাটল বিকল হয়ে পড়ায় পরীক্ষায় দেরি হয়ে যাচ্ছে দেখে অনেকেই ভিন্ন পথ খোঁজেন ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে। তবে ৩০ মিনিটের মধ্যে শাটল ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কাউছার মাহমুদ বলেন, শাটলের ব্রেক গিয়ার ভেঙে গেছে। এতে ভর্তিচ্ছুরা ভোগান্তিতে পড়ে। অনেকেই বাস-ট্রাকে করে ক্যাম্পাসে যায়।
আরও পড়ুন: প্রশাসনিক পদ থেকে আরও ৩ চবি শিক্ষকের পদত্যাগ
এদিকে শাটল ট্রেন বিকলের কারণে ভর্তি পরীক্ষা ১৫ মিনিট পিছিয়ে দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন 'ডি' ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদে ডিন অধ্যাপক সিরাজ-উদ-দৌলা।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেছে শুনেছিলাম। বিষয়টি আমাদের জানানো হলে পরীক্ষা ১৫ মিনিট পরে অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার বলেন, শাটলের সমস্যা হওয়ার খবর আমরা শুনেছি। বাস পাঠানো হয়। অনেককে বাসে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চবি প্রশাসন থেকে প্রক্টরসহ ১৭ জনের পদত্যাগ
ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের অধীনে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা পূর্বে ‘খ’ ইউনিট নামে পরিচিত।
শনিবার দেশের আটটি বিভাগে পরীক্ষা সকাল ১১টায় শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় শেষ হয়।
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা নিতে ইউজিসিকে রাষ্ট্রপতির নির্দেশ
পরীক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞান থেকে ৬০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর এবং বাংলা ও ইংরেজি থেকে ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার ৯০ মিনিটের মধ্যে উত্তর দিতে হয়েছিল।
এদিকে সকাল ১১টায় কলা অনুষদের পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন পদ্ধতি অনুসরণ করে এবারের পরীক্ষার আয়োজন করেছি। পরীক্ষার নাম পরিবর্তন করে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা দিয়েছি।’
এছাড়া কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আব্দুল বশীর এই পরীক্ষার সমন্বয় করছেন।
তিনি বরেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মোট ৬৮ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেছে এবং বাকি শিক্ষার্থীরা সাতটি বিভাগীয় শহর থেকে পরীক্ষায় বসেছে।
তিনি আরও বরেন, এ বছর মোট দুই হাজার ৯৩৮টি আসনের বিপরীতে মোট এক লাখ ২২ হাজার ৮৮৬জন আবেদনকারী পরীক্ষার জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা: রাবিতে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
শনিবার থেকে খুবি উপকেন্দ্রে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু
শনিবার থেকে খুবি উপকেন্দ্রে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) উপকেন্দ্রে আগামীকাল শনিবার (৬ মে) থেকে শুরু হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা।
এদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত কলা ও মানবিক, আইন এবং সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা খুবি ক্যাম্পাস ছাড়াও দেলদার আহমেদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রেভারেন্ড পলস্ হাইস্কুল ও হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দিনের ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৫৯৭ জন।
প্রথম দিনের ভর্তি পরীক্ষায় খুবি ১৬০০০০১ থেকে ১৬০৪৭৮৬ পর্যন্ত মোট ৪৭৮২ জন, দেলদার আহমেদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৬০৪৭৮৭ থেকে ১৬০৬৬০৭ পর্যন্ত মোট ১৮২০ জন, রেভারেন্ড পলস্ হাই স্কুলে ১৬০৬৬০৮ থেকে ১৬০৮১০৯ পর্যন্ত মোট ১৫০০ জন এবং হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ১৬০৮১১০ থেকে ১৬০৮৬০৬ পর্যন্ত মোট ৪৯৫ জন পরীক্ষার্থীর আসন রয়েছে।
আগামী ১২ মে বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা খুবি ক্যাম্পাস ছাড়াও দেলদার আহমেদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও রেভারেন্ড পলস্ হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া, আগামী ১৩ মে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: খুবিতে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ
খুবিতে সশরীরে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৩০ জানুয়ারি
খুবিতে ক্লাস শুরু, ক্যাম্পাসে ফিরেছে প্রাণ
দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
আগামী বছর থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং ভর্তি পরীক্ষা নিতে ন্যাশনাল টেস্টিং অথোরিটি (এনটিএ) গঠন করা হবে।
সোমবার বিকালে ইউজিসিতে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন বিষয়ক এক নীতি-নির্ধারণী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে এখন থেকেই সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় ভর্তিতে অসুবিধা হবে না: শিক্ষামন্ত্রী
এছাড়া একক ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান এর নেতৃত্বে শিগগির একটি কমিটি গঠন করা হবে বলেও তিনি জানান।
সভায় দীপু মনি জানান, একক ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও পরীক্ষা কমিটির সঙ্গে পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এইচএসসি পরীক্ষার পরে একক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সূচি প্রকাশ করা হবে এবং উচ্চশিক্ষার সবক্ষেত্রে একই সময়ে ক্লাস শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
একক ভর্তি পরীক্ষার মান বজায় রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব পরীক্ষার ফলের মান নিয়ে কোনো ধরনের প্রশ্ন ওঠে না। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হলে এর মান নিয়ে কোন প্রশ্ন ওঠার সুযোগ থাকবে না বলে তিনি মনে করেন।
একক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা, স্বাতন্ত্র্, স্বায়ত্তশাসন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভর্তি পরীক্ষা অন্তর্ভূক্তিমুলক করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়বস্তু এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বার্থে একক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ- এর সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবু ইউসুফ মিয়া এবং ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে অটিস্টিক শিশুদের বয়সের শর্ত শিথিল করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল. বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববদ্যিালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মশিউর রহমান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাবিবুর রহমান সভায় অংশগ্রহণ করেন এবং একক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠান বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা হলে স্বল্প সময়ের মধ্যে পাঠদান শুরু করা যাবে। একক ভর্তি পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করা গেলে সবার কাছে এটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে। একক ভর্তি পরীক্ষার সফলতা উচ্চশিক্ষায় বিশাল একটি অর্জন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সভায় একক ভর্তি পরীক্ষার জন্য একটি কাঠামো, জাতীয় পর্যায়ে একটি নীতিমালা তৈরি ও পরীক্ষার মাধ্যমে একটি স্কোর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম একক ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: ৪ লাখ গৃহহীন মানুষকে ঘর করে দেওয়া পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল: শিক্ষামন্ত্রী
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার দ্বিতীয় সুযোগের দাবিতে আন্দোলন, আটক ২
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় সুযোগের দাবিতে আন্দোলনরত দুই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
শিক্ষার্থী দুইজন হলেন- নটরডেম কলেজের আলভী মাহমুদ ও মাইলস্টোন কলেজের মোহাম্মদ সানি।
শনিবার বিকালে আলভী ও সানিকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান।
তারা জানান, বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন আলভী মাহমুদ ও মোহাম্মদ সানি। পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাদের ডেকে নিয়ে গেলেও আটক করা হয়।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মহামারিকালীন অনলাইনে ক্লাস নেয়ায় প্রাইভেটের চেয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে: প্রধানমন্ত্রী
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলছে ২৩ মে