পরিবহন
সিলেটে ৩১ অক্টোবর থেকে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা
পাথর উত্তোলন করার সুযোগ না দিলে আগামী সোমবার (৩১ অক্টোবর) থেকে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন সিলেটের পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা। দাবি মানা না হলে সমগ্র সিলেট বিভাগে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি শুরুর হুমকি দিয়ে আন্দোলনে নামছে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
পরিবহন শ্রমিক নেতারা জানান- সিলেটের ভোলাগঞ্জ, বিছনাকান্দি, জাফলং ও লোভাছড়া পাথর কোয়ারীগুলো থেকে স্বাধীনতা উত্তরকাল থেকে সারা দেশের পাথর সরবরাহ করা হয়ে আসছিল। প্রায় ১৫ লাখ ব্যবসায়ী-শ্রমিক ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক এ পাথর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: সিলেটে রবিবারের পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর ধরে কোয়ারি বন্ধ থাকার কারণে সিলেটের পরিবহন খাত, বিশেষ করে ট্রাক মালিক ও শ্রমিকদের ব্যবসায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অধিকাংশ ট্রাক মালিক ব্যাংক ঋণ নিয়ে অথবা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের শর্তে তাদের গাড়ি কিনেছেন। গত ৫ বছর ধরে কোয়ারি বন্ধ থাকার কারণে ট্রাক মালিকদের পণ্য পরিবহনে ভাটা পড়েছে। অনেক মালিক ঋণের কিস্তি দিতে না পেরে ইতোমধ্যে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকেই ব্যাংক ঋণে জর্জরিত হয়েছেন চরম আর্থিক সংকটে।
পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের দাবি, পাথর উত্তোলনের নামে বিরানভূমি সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো। পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগে কোয়ারিগুলোর পাথর উত্তোলন বন্ধ রেখেছে প্রশাসন; কিন্তু এতে ‘আতে ঘা’ পাথর রাজ্যের লর্ডদের। তারা গরিব শ্রমজীবীদের উস্কানি দিয়ে মাঠে রাখার পাশাপাশি চালাচ্ছেন নানামুখী তৎপরতা।
ট্রাক মালিক সমিতির নেতা ঐক্য পরিষদের আহবায়ক গোলাম হাদী ছয়ফুল বলেছেন, ‘এর আগে আমরা গত ১৬ অক্টোবর সিলেটের পাথরকোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করি। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সিলেটের পাথরকোয়ারি খুলে দেয়া না হলে ৩১ অক্টোবর থেকে সিলেট জেলায় ৪৮ ঘণ্টা এবং পর্যায়ক্রমে সিলেট বিভাগে সকল প্রকার পণ্য পরিবহন বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করা হবে।’
আরও পড়ুন: রংপুরে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
বিএনপির সমাবেশ শেষ হওয়ার পরপরই খুলনায় পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
রংপুরে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
মহাসড়কে নছিমন করিমনসহ অবৈধ যান চলাচল বন্ধ এবং রংপুর-কুড়িগ্রাম সড়কে প্রশাসনিক হয়রানির প্রতিবাদে রংপুরে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে মোটর মালিক সমিতি।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে শনিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি একেএম মোজাম্মেল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত ২৬ অক্টোবর রাত ৮টায় রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতি, ট্রাক মালিক সমিতি ও কার-মাইক্রোবাস মালিক সমিতির নেতাসহ সাধারণ মালিকদের নিয়ে একটি যৌথ জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে রবিবারের পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
সভায় সকলের সর্বসম্মতিক্রমে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর জেলার সকল রুটে বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে বিএনপির ২৯ অক্টোবর গণসমাবেশ ঘিরে মোটর মালিক সমিতির এমন সিদ্ধান্তে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু বলেন, আমরা ধর্মঘট নিয়ে চিন্তিত না। গণসমাবেশে আসার জন্য মানুষ উদগ্রীব হয়ে আছে। যে যেভাবে পারেন সমাবেশে আসবেন। গণসমাবেশে যে জনস্রোত হবে তা এই ধর্মঘট দিয়ে আটকানো যাবে না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে নানা কৌশল অবলম্বন করছে। বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সরকারের চাপে মালিক সমিতি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাই।
দুলু বলেন, মালিক সমিতি একটা অরাজনৈতিক সংগঠন। তারা কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করতে ধর্মঘট ডাকে।
তিনি আরও বলেন, মালিক সমিতির এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানাই। তা নাহলে ভবিষ্যতে এর দায় দায়িত্ব তাদেরকেও বহন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ শেষ হওয়ার পরপরই খুলনায় পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
খুলনায় ২ দিনের পরিবহন ধর্মঘট শুরু, বিপাকে যাত্রীরা
৩১ অক্টোবর থেকে সিলেটে পণ্য পরিবহনে ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতি
৩১ অক্টোবর থেকে সিলেট জেলায় পণ্য পরিবহনে ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ ও কার্ভাডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
বৃহত্তর সিলেটের সকল পাথর কোয়ারী সনাতন পদ্ধতিতে খুলে দেয়ার দাবিতে সোমবার (১৭ অক্টোবর) নগরীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উক্ত আন্দোলনের ডাক দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ ও কার্ভাডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও সিলেট জেলা ট্রাক, পিকআপ ও কার্ভাডভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম হাদী ছয়ফুল।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, সিলেটের ভোলাগঞ্জ, বিছনাকান্দি, জাফলং এবং লোভাছড়া পাথর কোয়ারীগুলো থেকে স্বাধীনতা উত্তর কাল থেকে সারা দেশের পাথর সরবরাহ করা হয়ে আসছিল। প্রায় ১৫ লাখ ব্যবসায়ী শ্রমিক ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক এ পাথর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: সিলেটে চা বাগান শ্রমিকদের কর্মবিরতি অব্যাহত
কিন্তু দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে কোয়ারী বন্ধ থাকার কারণে সিলেটের পরিবহন খাত বিশেষ করে ট্রাক মালিক ও শ্রমিকদের ব্যবসায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অধিকাংশ ট্রাক মালিক ব্যাংক ঋণ নিয়ে অথবা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের শর্তে তাদের গাড়ি কিনেছেন।
পাঁচ বছর ধরে কোয়ারী বন্ধ থাকার কারণে ট্রাক মালিকদের পণ্য পরিবহনে ভাটা পড়েছে। অনেক মালিক ঋণের কিস্তি দিতে না পেরে ইতোমধ্যে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকেই ব্যাংক ঋণে জর্জরিত হয়ে চরম আর্থিক সংকটে নিপতিত হয়েছেন। প্রায় ৫০ হাজার ট্রাক শ্রমিক পরিবার পরিজন নিয়ে অসহ্য জীবন যাপন করছেন।
গত ১৬ অক্টোবর সিলেটের পাথর কোয়ারী খুলে দেয়ার দাবিতে আমরা সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পাথর পরিবহন বন্ধ থাকায় শত শত ট্রাক মালিক, স্টোন ক্রাশার মালিক ও ব্যবসায়ী ব্যাংক ঋণে জর্জরিত হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় দিন যাপন করছেন। যদিও সনাতন পদ্ধতিতে পাথর কোয়ারী খুলে দেয়ার জন্য হাইকোর্ট একাধিক বার নির্দেশনা দিয়েছেন। অথচ, পাথর কোয়ারী বন্ধ রেখে বিদেশ থেকে রিজার্ভের ডলার খরচ করে পাথর আমদানি করে উন্নয়ন কাজ চালানো হচ্ছে। ফলে রাষ্ট্রীয় রিজার্ভ সংকটে নিপতিত হয়েছে। লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং রাষ্ট্রীয় রিজার্ভের ডলার সাশ্রয়ের জন্য সিলেটের পাথর কোয়ারী জরুরি ভিত্তিতে খুলে দেয়া আবশ্যক।
তাই ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সিলেটের পাথর কোয়ারী খুলে দেয়া না হলে ৩১ অক্টোবর থেকে সিলেট জেলায় ৪৮ ঘন্টার এবং পর্যায়ক্রমে সিলেট বিভাগে সকল প্রকার পণ্য পরিবহন বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করা হবে। পরবর্তীতে সিলেট বিভাগে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট বিভাগীয় ট্রাক পিকআপ কার্ভাডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সচিব মো. দিলু মিয়া, সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কার্ভাডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরি সভাপতি মো. আব্দুস সালাম, সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কার্ভাডভ্যান মালিক সমিতির সহ সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নাজির আহমদ স্বপন, যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন তালুকদার, বৃহত্তর পাথর কোয়ারী সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মো. আব্দুল জলিল, সদস্য সচিব নুরুল আমীন, জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট ব্যবসায়ী শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. বাবুল বখত, জাফলং ভল্লাঘাট পাথর উত্তোলন ও শ্রমিক বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফুল মিয়া, সহ সভাপতি মো. রমজান আলী, সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কার্ভাডভ্যান মালিক সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব আলী, নূর আহমদ খান সাদেক, ভারপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ রাজ্জিক লিটু, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আকমাম আব্দুল্লাহ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জুবেল আহমদ, সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কার্ভাডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ জুলহাস হোসেন বাদল, প্রচার সম্পাদক সামাদ রহমান, দপ্তর সম্পাদক মো. বিলাল আহমদ, নির্বাহী সদস্য আলী আহমদ আলী, আব্দুল মতিন ভিআইপি, সফিক আলী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি স্থগিত
সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি শুরু
৫ টাকা কমল জ্বালানির মূল্য, বুধবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর
সরকার সকল প্রকার জ্বালানির মূল্য ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বৃদ্ধির ২৩ দিন পর প্রতি লিটারে কমালো মাত্র পাঁচ টাকা।
এর আগে জ্বালানি মূল্য কমানোর হবে বলে জানিয়েছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ইউএনবিকে তিনি বলেছিলেন, এখন ডিজেল ও কেরোসিন প্রতি লিটার ১০৯ টাকা, পেট্রোল ১২৫ টাকা এবং অকটেন ১৩০ টাকা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো প্রকার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।
মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে জ্বালানির নির্ধারিত মূল্য কার্যকর হবে।
দুই এক দিনের মধ্যে জ্বালানির মূল্য নতুন করে নির্ধারণ করবে সরকার বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের এমন মন্তব্যের পর এই ঘোষণা আসল।
এর আগে গত ৬ আগস্ট সরকার রেকর্ড পরিমাণ সকল প্রকার জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করে। ডিজেল ও কেরোসিনের খুচরা মূল্য প্রতি লিটার ১১৪ টাকা, পেট্রোল ১৩০ টাকা এবং প্রতি লিটার অকটেন ১৩৫ টাকা।
আরও পড়ুন: সরকার জ্বালানি খাতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে জনগণের টাকা লুটপাট করছে: বিএনপি
জ্বালানি সংকট কাটিয়ে উঠার আশা তৌফিক-ই-ইলাহীর
ঈদের ছুটি শেষে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর বুধবার সকাল থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে। এর ফলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বন্দর ব্যবহারকারীদের মাঝে।
এর আগে গত ৮ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত টানা পাঁচদিন ঈদের ছুটিতে বন্দরের সকল ধরনের আমাদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিলো। তবে, এ সময়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যথারীতি যাতায়াত করেছেন।
ভোমরা স্থলবন্দর সি অ্যান্ড এফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাকসুদ খান জানান, ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সিএন্ডএফ এজেন্ট কার্গো অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যৌথ আলোচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে গত ৮ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত টানা পাঁচদিন দুই দেশের বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, ছুটি শেষে আবারও দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়েছে।
ভোমরা স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার আমীর মামুন জানান, টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর আবারও বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রতিদিন ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দর দিয়ে প্রায় তিনশ’ থেকে সাড়ে তিনশ’ পণ্যবাহী ট্রাক এই বন্দরে প্রবেশ করে।
ভোমরা স্থলবন্দর থেকে প্রতিদিন বাংলাদেশ সরকারের দুই কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয় বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি শেষে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু
ঈদ: সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ৪ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ঈদ আসলেই আওয়ামী পরিবহন সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে ওঠে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, ক্ষমতাসীন দল-সমর্থিত সিন্ডিকেটের ইন্ধনে পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্যের কারণে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
তিনি বলেন, ‘মেট্রোপলিটন শহর থেকে মানুষ তাদের প্রিয়জনের সাথে ঈদ উদযাপন করতে গ্রামে ফিরছে। কিন্তু সরকারের সিন্ডিকেটের ভাড়ার নৈরাজ্য, পথের সীমাহীন মহাদুর্ভোগ তাদের ঈদযাত্রার আনন্দকে ম্লান করে দিচ্ছে। ঈদ আসলেই আওয়ামী সরকারের পরিবহন ও টিকিট সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে ওঠে।’
শুক্রবার বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঈদকে সামনে রেখে পরিবহন সিন্ডিকেট ঘরমুখো মানুষের কাছ থেকে দুই-তিন গুণ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতারা এই টাকার একটা অংশ পান। নজরদারির অভাবে সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি, যানজট ও হয়রানি অব্যাহত রয়েছে।’
ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জনদুর্ভোগের জন্য সরকারের সমালোচনাও করেন বিএনপি নেতা। উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা এই সরকারের আমলে আমরা এখন কেন ভয়াবহ লোডশেডিং অনুভব করছি?
আরও পড়ুন: এক হাজার পদ্মা সেতু করেও জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে না আ.লীগ: বিএনপি
পদ্মা সেতুতে এত বাতি জ্বালানোর বিষয়ে রিজভী বলেন, মন্ত্রীরা এখন বলছেন কোনো আলোকসজ্জা ছাড়াই সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে।
বিদ্যুৎ সংকটের কারণে এখন অফিসের সময় কমানোর সুপারিশ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, সুতরাং, কোন সন্দেহ নেই যে দেশ শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হওয়ার দিকে যাচ্ছে।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, মানুষ যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দাম সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন সরকার পানির দাম পাঁচ শতাংশ বাড়িয়েছে। ‘বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আগেই বলেছেন জ্বালানি তেলের দাম বাড়বে। এর আগে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল।’
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা প্রতিটি খাতে দুর্নীতি করে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলছেন। দেশ এখন ক্ষমতাসীন দলের কবলে।
বিএনপি নেতা দেশকে বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সরকারের অবহেলায় দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে: বিএনপি
ভোট চুরি করে আবারও ক্ষমতায় যেতে দেয়া হবে না: আবদুল আউয়াল
পদ্মা সেতুকে ঘিরে মাদারীপুরে উন্নয়নের ছোঁয়া
আগামী ২৫ জুন খুলছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। বহু প্রতিক্ষিত ও গৌরবের এই সেতু ঘিরে মাদারীপুর অঞ্চলের মানুষের মধ্য সঞ্চার হয়েছে নতুন প্রাণের।পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে এখানে শিল্প ও পরিবহন খাতে ইতোমধ্যে ব্যাপক বিনিয়োগ শুরু হয়েছে।
মাদারীপুর চেম্বার অব কমার্স সূত্র জানায়, মাদারীপুর সদর, শিবচরসহ জেলার চারটি উপজেলায় ইতোমধ্যে ৬০ জন শিল্প উদ্যোক্তা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য বিসিক এর মাধ্যমে আবেদন করেছে। মাদারীপুর চেম্বার অব কমার্স এর সিনিয়র সহ সভাপতি বাবুল চন্দ্র দাস বলেন,পদ্মা সেতুর কারণে এখানে শিল্প উদ্যোক্তার সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা দুই বছর আগে ছিল শূন্যের কোটায়।
এদিকে মাদারীপুর বাস মালিক সমিতি মাদারীপুর - ঢাকা রুটে যাত্রী পরিবহনের জন্য কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। সমিতির বর্তমান ২২ টি বাস থাকলেও পদ্মা সেতু চালুর পর এই রুটে আরও ২৫টি নতুন বাস নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাসের বডি ও কাঠামো প্রস্তুত করার জন্য মাদারীপুরের বিভিন্ন গ্যারেজে মিস্তিরিরা দিন- রাত ব্যস্ত সময় পার করছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: ফরিদপুরের অর্থনৈতিক দ্বার উন্মোচিত
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মালিক সমিতির একজন সদস্য বলেন,উন্নত যাত্রী সেবায় মাদারীপুর - ঢাকা রুটে এসিসহ নতুন নতুন পরিবহনকে স্বাগত জানাই।
এদিকে মাদারীপুর -ঢাকা রুটে সার্বিক,চন্দ্রা ও সোনালী পরিবহনের প্রায় শতাধিক বাস চলাচল করে।এর মধ্য সার্বিক পরিবহনের ৫৭ টি গাড়ি রয়েছে।
সার্বিক পরিবহনের ম্যানেজার গোপাল বাবু জানান, সার্বিক পরিবহন এই রুটে আরও ১৪টি নতুন বাস চালু করতে যাচ্ছে। এর মধ্য চারটি এসি, চারটি চেয়ার কোচ ও ছয় পরিবহন বাস রয়েছে ।
পদ্মা সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে অবস্হিত মাদারীপুর জেলার অনেক লোক মেস ভাড়া থেকে ঢাকা ও মাদারীপুর চাকরি করে থাকে। পদ্মা সেতু চালু হলে ঢাকা- মাদারীপুর যাতায়াতে সাড়ে চার ঘন্টার পরিবর্তে মাত্র আড়াই ঘণ্টা সময় লাগবে। এতে এই রুটে যাত্রী সংখ্যা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে। এদিকে এই সড়কের বিভিন্ন স্টান্ডে নতুন নতুন বাস কাউন্টার গড়ে উঠেছে।
বাস সুপারভাইজার সেলিম মোল্লা বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে জেলার একমাত্র পরিবহন সেক্টরেই এক হাজার লোকের কর্মসংস্হান সৃষ্টি হবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য ২৬ জুন থেকে খুলে দেয়া হবে: ওবায়দুল কাদের
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন: ২৫ জুনের এসএসসি পরীক্ষা ২৪ জুন
খুলনার ১৮ রুটে ১ জুন থেকে লাগাতার পরিবহন ধর্মঘট
খুলনার ১৮টি রুটে বুধবার (১ জুন) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস মালিক-শ্রমিকরা। সড়ক-মহাসড়কে নসিমন, করিমনসহ বিভিন্ন অবৈধ যানবাহন বন্ধের দাবিতে খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতি ও বাস-মিনিবাস কোচ মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মহাসড়কে নসিমন-করিমনসহ অবৈধ যানবাহন চলাচলের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা যেমন বাড়ছে, তেমনই বাসের যাত্রী কমেছে। এ অঞ্চলের পরিবহন মালিকদের ক্ষতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কে ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নছিমন, করিমনসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবি করে আসছি। মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধে এ অঞ্চলের পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা অনেকদিন ধরে সাংগঠনিকভাবে প্রতিবাদ ও আন্দোলন করে আসছে।
সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের জন্য সোমবার (৩০ মে) পর্যন্ত প্রশাসনকে সময় দেয়া হয়েছিল। কিন্তু দাবি আদায় না হওয়ায় ১ জুন থেকে খুলনা-ঢাকা, খুলনা-মাওয়া, খুলনা-বাগেরহাট, খুলনা-যশোর, খুলনা-কুষ্টিয়া, খুলনা-সাতক্ষীরা, খুলনা-পাইকগাছা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুরসহ ১৮টি রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
সিলেটে রবিবারের পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
রবিবার থেকে সিলেটে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
শ্রীলঙ্কায় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধ ঘোষণা
শ্রীলঙ্কান কর্তৃপক্ষ শুক্রবার দেশটির স্কুলগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের অফিসে না আসার নির্দেশে দিয়েছে।
দেশটির তীব্র জ্বালানি ঘাটতি ও পরিবহন সুবিধার সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্রে পর্যাপ্ত জ্বালানি সরবরাহ করতে না পারায় কর্তৃপক্ষ সারাদেশে দিনে চার ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ ঘোষণা করেছে।
শ্রীলঙ্কা এখন প্রায় পেট্রলবিহীন এবং অন্যান্য জ্বালানিরও তীব্র ঘাটতির সম্মুখীন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন রনিল বিক্রমাসিংহে
ভারত মহাসাগরের দ্বীপ দেশটি দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে থাকায় সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জ্বালানি, গ্যাস এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আমদানির অর্থ পেতে নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে দেশজুড়ে প্রতিবাদ ও অস্থিরতা চলমান রয়েছে। বিক্ষোভকারীরা গ্যাস ও জ্বালানির দাবিতে প্রধান সড়ক অবরোধ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ দ্রুত শ্রীলঙ্কায় পরিণত হতে যাচ্ছে: ফখরুল
দিনাজপুরে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
আট সহকর্মীকে গ্রেপ্তার ও এক পরিবহন নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিনাজপুরের সব রুটে অনির্দিষ্টকালের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে এ ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।
মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী জানান, বালুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান ডাব্লুর ওপর হামলায় জড়িত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে গেল রাতের ঘটনায় করা মামলায় অভিযুক্ত সাত অ্যাম্বুলেন্স চালকের বিষয়ে আদালতে চুড়ান্ত রিপোর্ট দিতে সম্মত হয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। তাই ধর্মঘট তুলে নিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: সিলেটে রবিবারের পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতার প্রেক্ষিতে পরিবহন ধর্মঘটের অবসান ঘটেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বালুয়াডাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্স চালক, পুলিশ, হিউম্যান হলার চালক ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে পৃথক সংঘর্ষের পর অ্যাম্বুলেন্স চালক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাইনুদ্দিনসহ আট পরিবহন শ্রমিককে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত