নেপাল
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ: স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে শুভ সূচনা বাংলাদেশের
নেপালকে ২-০ গোলে হারিয়ে চার জাতি সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দল।
শনিবার(২ মার্চ) বিকালে ললিতপুরের আনফা কমপ্লেক্সে স্বাগতিক নেপালকে হারায় বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধে দুটি গোল করে বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ এ কে এম সাইফুল বারী টিটু।
শনিবার(২ মার্চ) বিকালে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ বলেন, 'প্রথম ম্যাচ হিসেবে পারফরম্যান্স ঠিক ছিল, তবে অনেক উন্নতি করতে হবে, বিশেষ করে আমরা যে সুযোগ তৈরি করেছি, আমাদের আরও গোল করা উচিত।’
লিগ ভিত্তির ম্যাচে ৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এবং ৮ মার্চ একই সময়ে একই ভেন্যুতে ভুটানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: এএফসি মহিলা এশিয়া কাপ: অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ
শীর্ষ দুই দল ১০ মার্চ ফাইনালে খেলবে।
এর আগে শুক্রবার(১ মার্চ) বিকালে একই ভেন্যুতে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ভুটানকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করে চমৎকার সূচনা করে ভারত।
ভারতের হয়ে দুটি করে গোল করেন শ্বেতা রানি, পার্ল ফার্নান্ডেজ ও আনুশকা কুমারী।
আরও পড়ুন: ফিফা নারী আন্তর্জাতিক ফুটবল: সিঙ্গাপুরকে ৮-০ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ
নয়া দিল্লিতে বিমসটেক অ্যাকুয়াটিক চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪-এর উদ্বোধন
ভারতের কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর নেপালের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী দিগ বাহাদুর লিম্বুর উপস্থিতিতে ৬ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত প্রথম বিমসটেক অ্যাকোয়াটিক চ্যাম্পিয়নশিপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
যা বিমসটেক কাঠামোর মধ্যে আয়োজিত প্রথম ক্রীড়া আয়োজন।
নয়া দিল্লির ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় সুইমিং পুল কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত বিমসটেক অ্যাকুয়াটিক চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪-এ বিমসটেকের ৭ সদস্য দেশের ৪ শতাধিক ক্রীড়াবিদ ও কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন।
বিমসটেকের মহাসচিব রাষ্ট্রদূত ইন্দ্র মণি পান্ডে এই চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের জন্য ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারে ক্রীড়া ও অন্যান্য যুব ইভেন্ট আয়োজনের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসারে, বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে আঞ্চলিক সহযোগিতার মনোভাব জোরদার করার উদ্যোগ হিসেবে ভারত বিমসটেক (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) অ্যাকুয়াটিক চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ আয়োজন করছে।
বঙ্গোপসাগর অঞ্চল বিশ্বের বৃহত্তম তরুণ জনসংখ্যার আবাসস্থল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অঞ্চলটি সারা বিশ্বে ক্রীড়া প্রতিভার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সেতু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
এই অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলোর একটি সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় মেলবন্ধন রয়েছে। যা বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এবং আন্তর্জাতিক ক্রীড়ারও অংশ হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন: বিমসটেকের পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে শিগগিরই যোগ দেবেন ভারতের ইন্দ্র মণি পান্ডে
সহযোগিতা জোরদারে পরিকল্পনা বাস্তবে রূপান্তরিত করার অঙ্গীকার বিমসটেক প্রধানের
নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার
অবশেষে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বুধবার(৬ ডিসেম্বর) অর্থনৈতিক বিষয় সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
ভার্চুয়াল এই সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তবে বৈঠকে নেপালের বিদ্যুতের দাম প্রকাশ করা হয়নি। কারণ, এই প্রস্তাব পরে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।
এর আগে চলতি বছরের ২৮ আগস্ট বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি প্রায় চূড়ান্ত।
শীতের আগেই নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা ছিল, যাতে শীতকালে বাংলাদেশ তার উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ নেপালে রপ্তানির সুযোগ পায়।
শীতকালে বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যায় এবং নেপালে তা বেড়ে যায়।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক পর্যায়ে দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে ভারতীয় সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নেপাল থেকে প্রাথমিকভাবে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির অনুমতি দিতে সম্মত হয় ভারত।
আরও পড়ুন: ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান গ্রহণ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের ক্লাবে বাংলাদেশ
সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৪-১৫ মে পটুয়াখালীতে বাংলাদেশ-নেপাল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতাবিষয়ক জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটি (জেএসসি) ও জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির (জেডব্লিউসি) দুই দিনের বৈঠক হয়। এতে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।
বৈঠকের আগে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণ প্রকাশ সৌদ ঢাকা সফর করেন এবং বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি নেপালের প্রায় ৬০ হাজার মেগাওয়াট পরিচ্ছন্ন জ্বালানির সম্ভাবনা নিয়ে জলবিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ভারতে ভূখণ্ড দিয়ে বহরমপুর-ভেড়ামারা সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে।
সূত্র জানায়, চুক্তির আওতায় একটি ভারতীয় কোম্পানির মাধ্যমে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করবে বাংলাদেশ। ভারতীয় সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে নেপাল থেকে এটিই প্রথম বিদ্যুৎ আমদানি ভারতের। এরপর বাংলাদেশের কাছে তা বিক্রি করবে।
আরও পড়ুন: বেসরকারি খাতের উৎপাদকদের ক্রমবর্ধমান অর্থ বকেয়া বিদ্যুৎখাতের অন্যতম বাধা
তারা বলেন, বাংলাদেশ ও নেপাল একটি ত্রিপক্ষীয় বা আঞ্চলিক চুক্তি করতে চায় এবং ভারত এ বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি চায়।
বর্তমানে একই ধরনের ব্যবস্থার মাধ্যমে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছে। ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসি বিদ্যুৎ ভ্যাপার নিগম (এনভিভিএন) বিপিডিবির কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করছে।
ঢাকা ও কাঠমান্ডুর মধ্যে বিদ্যুৎ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে (এনইএ) এনভিভিএন এবং বিপিডিবি উভয়ের সঙ্গেই চুক্তি সই করতে হবে।
৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি পরিকল্পনার পাশাপাশি ভারতীয় কোম্পানি জিএমআরের মাধ্যমে নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও নেপাল এখনও তিন দেশের মধ্যে উপআঞ্চলিক বিদ্যুৎ বাণিজ্য সহজতর করতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সইয়ের জন্য ভারতকে চাপ দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত থাকা সত্ত্বেও মেয়াদ বাড়ছে ব্যয়বহুল ভাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের
বাংলাদেশ-মালদ্বীপ-নেপালের উচিত পারস্পরিক পর্যটনকে উৎসাহিত করা: প্রধানমন্ত্রী
পারস্পরিক সুবিধার জন্য পর্যটনের উন্নয়নে বাংলাদেশ, নেপাল ও মালদ্বীপের মধ্যে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২০ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালদ্বীপের বিদায়ী হাইকমিশনার শিরুজিমাথ সামীরের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ, নেপাল ও মালদ্বীপ পারস্পরিক স্বার্থে পর্যটন খাতে সহযোগিতা বাড়াতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, 'তিন দেশের মধ্যে পর্যটনের বিকাশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি মানে ভারতেরও প্রবৃদ্ধি: শ্রিংলা
প্রধানমন্ত্রী মালদ্বীপের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, পর্যটনে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজারের বালুকাময় সমুদ্র সৈকতকে কেন্দ্র করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মালদ্বীপে অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন।‘তারা উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন।’
রাষ্ট্রদূত তার মেয়াদকালে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, তার শাসনামলে মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
আরও পড়ুন:কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে রাষ্ট্রদূত ইমরানের পরিচয়পত্র পেশ, পোশাক ও ওষুধ শিল্পে সহযোগিতায় দেশটির আগ্রহ প্রকাশ
নেপালে ভূমিকম্পে হতাহতদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেপালে শুক্রবার ভূমিকম্পে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নেপালে বহু মূল্যবান জীবন কেড়ে নেওয়া এবং বহু মানুষ আহত হওয়া একটি বিধ্বংসী ভূমিকম্পের খবর শুনে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও দুঃখিত।’
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নেপালে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল প্রচণ্ডকে একটি শোকপত্র পাঠিয়েছেন শেখ হাসিনা।
স্বাক্ষরিত চিঠিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের জনগণও গভীর শোক প্রকাশে তার সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: জিনাতুন নেসা তালুকদারের মৃত্যুতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর শোকপ্রকাশ
তিনি বলেন, ‘আমরা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি যারা তাদের প্রিয় পরিবারের সদস্য এবং তাদের বন্ধুদের হারিয়েছেন। আমরা আন্তরিকভাবে ভূমিকম্পে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পুনর্ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশের জনগণ এই কঠিন সময়ে ভ্রাতৃত্বের চেতনায় নেপালের জনগণের পাশে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. সালিমুল হকের মৃত্যুতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর শোক
নেপালের রাজধানীর নিকটবর্তী জেলায় ৩টি ভূমিকম্প
নেপালের ধাদিং জেলায় রবিবার সকালে ৪ মাত্রার উপরে তিনটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। রাজধানী কাঠমান্ডুতেও কম্পন অনুভূত হয়।
নেপালের জাতীয় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের (এনইএমআরসি) লোক বিজয় অধিকারী বলেন, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৩৯ মিনিটে ৬ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
সহকারী প্রধান জেলা কর্মকর্তা হাম নাথ পারাজুলি সিনহুয়াকে বলেন, ভূমিকম্পে ধাদিংয়ে কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে এখনও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এনইএমআরসি জানিয়েছে, এ বছর নেপালে ৪ থেকে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার মধ্যে মোট ৫৮টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প
আর্জেন্টিনার জুজুই প্রদেশে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে নেপালের উচ্চ পর্যায়ের সংসদীয় প্রতিনিধি দল
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন নেপালের একটি উচ্চ পর্যায়ের সংসদীয় প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো দূরদর্শী নেতা পেয়ে বাংলাদেশের জনগণ সৌভাগ্যবান।
আরও পড়ুন: নেপাল বাংলাদেশের জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ভালো উৎস হতে পারে: এফবিসিসিআই
১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নেপাল পার্লামেন্টের কৃষি, সমবায় ও প্রাকৃতিক সম্পদ কমিটির চেয়ারপার্সন ড. আরজু রানা। সোমবার তারা ঢাকায় পৌঁছান।
কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রকল্প দেখতে এবং কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে তারা বাংলাদেশ সফর করছেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।
আরও পড়ুন: নেপালকে পায়রা বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে জ্বালানি খাতে বিপুল সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে: কসমস ডায়ালগে নেপালের রাষ্ট্রদূত
এশিয়ান নারী ফুটবল: বৃহস্পতিবার নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ
চীনের হ্যাংজুতে ১৯তম এশিয়ান গেমস নারী ফুটবলের গ্রুপ ডি-এর শেষ ম্যাচে সুপরিচিত প্রতিপক্ষ নেপালের সঙ্গে খেলবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।
বৃহস্পতিবার(২৮ সেপ্টেম্বর) হ্যাংজুয়ের ওয়েনজু অলিম্পিক সেন্টার স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হবে দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিপক্ষের ম্যাচ।
গ্রুপের প্রথম দুটি ম্যাচেই হেরে আসর থেকে ছিটকে পড়া দুই দল এখন বৃহস্পতিবারের মর্যাদার ম্যাচে সান্ত্বনা জয়ের অপেক্ষায়।
গত বছর কাঠমান্ডুতে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ নারী ফুটবলের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: সাফ অনূর্ধ্ব-১৯: উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের কাছে ০-৩ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ
মহাদেশীয় সম্মেলনে তাদের প্রথম উপস্থিতিতে বাংলাদেশ নারী দল গত শুক্রবার প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জাপানের কাছে 0-৮ গোলে লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হয় এবং গত সোমবার বিশ্বকাপ খেলা ভিয়েতনামের বিপক্ষে ১-৬ গোলে হেরে যায়।
অপরদিকে নেপাল তাদের গ্রুপের লড়াইয়ে ভিয়েতনামের বিপক্ষে ০-২ গোলে এবং জাপানের বিপক্ষে ০-৮ গোলে পরাজয় স্বীকার করে।
বৃহস্পতিবারের ম্যাচ সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ সাইফুল বারী টিটু ম্যাচটিকে তাদের সম্মানের লড়াই বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা গত বছর নেপালকে হারিয়ে সাফ শিরোপা জিতেছিল, তাই এবারও আমরা নেপালকে হারিয়ে দিতে চাই।’
আরও পড়ুন: এশিয়ান গেমস ফুটবল: চীনের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করল বাংলাদেশ
নেপাল বাংলাদেশের জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ভালো উৎস হতে পারে: এফবিসিসিআই
দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, নেপাল বাংলাদেশের জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানির একটি ভালো উৎস হতে পারে।
মঙ্গলবার রাজধানীর এফবিসিসিআই আইকন টাওয়ারে নেপাল থেকে আসা প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নেপাল প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন নেপাল সরকারের শিল্প বিভাগের মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) বাবুরাম গৌতম।
মাহবুবুল আলম বলেন, জ্বালানি খাত নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার অন্যতম আকর্ষণীয় ক্ষেত্র। উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ক্রমবর্ধমান চাহিদার সম্মুখীন হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি, বিশেষ করে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি, বাংলাদেশকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের দিকে স্থানান্তরের জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সম্মতি পূরণে সহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআইয়ের নতুন মহাসচিব মো. আলমগীর
এফবিসিসিআই সভাপতি নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এবং তারা সার্কের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বিমসটেকের সক্রিয় সদস্য হওয়ায় নিবিড়ভাবে সহযোগিতা করে।
এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দ তৈরি পোশাক খাত, ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক, হিমায়িত সামুদ্রিক খাবার, সিরামিক, পাটজাত পণ্য ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস, আইসিটি খাত এবং প্রতিবেশি দেশগুলোর তুলনায় কম আমদানি ব্যয়ের কথা তুলে ধরেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি নেপালকে বাংলাদেশে একচেটিয়া বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
জবাবে নেপাল প্রতিনিধি দলের প্রধান বাবুরাম গৌতম বলেন, বাংলাদেশ-নেপাল অংশীদারিত্ব দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্মানকে গতিশীল করে। নেপালের বাজারে তৈরি পোশাকসহ রপ্তানি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই এর সভাপতি হলেন মাহবুবুল আলম
নেপালি প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে একটি পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয় যেখানে পর্যটন, পরিবহন, অবকাঠামো, আইসিটি, খনি, খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদ, কৃষি এবং জলবিদ্যুৎকে নেপালের সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে তুলে ধরা হয়।
গুরুত্বপূর্ণ সুযোগগুলো তুলে ধরে প্রতিনিধি দল এসব খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় এফবিসিসিআই'র সহ-সভাপতি খায়রুল হুদা চপল, যশোদা জীবন দেব নাথ, মো. মুনির হোসেন, পরিচালকবৃন্দ, মহাসচিব মো. আলমগীর, হেড অব ইন্টারন্যাশনাল উইং অ্যাম্বাসেডর মাসুদ মান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই-আইসিসির বৈঠক: ভারতের স্বাস্থ্য খাতের উদ্যোক্তাদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান
বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশি, ভারতীয়, নেপালি ও পাকিস্তানিদের গড় আয়ু ৫ বছর কমবে: একিউএলআই
বস্তুকণাযুক্ত বায়ুদূষণ মানব স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় বাহ্যিক ঝুঁকি। তবে বৈশ্বিক হিসেবে এর বেশিরভাগ প্রভাব পড়বে ছয়টি দেশে, বাংলাদেশ এই দেশগুলোর একটি। অর্থাৎ, দেশটি বিশ্বের অন্যতম দূষিত বায়ুর দেশ।
এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স (একিউএলআই) থেকে পাওয়া নতুন তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালে বৈশ্বিক দূষণ যেমন ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, তেমনি মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাবও বেড়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নির্দেশিকা মেনে চলার জন্য যদি বিশ্ব স্থায়ীভাবে সূক্ষ্ম কণা দূষণ (পিএম২.৫) কমাতে পারে, তাহলে প্রত্যেক ব্যক্তির গড় আয়ু ২ বছর ৩ মাস বাড়বে। অর্থাৎ, বিশ্বব্যাপী সম্মিলিত আয়ুষ্কাল ১৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন জীবন-বছর বাড়বে।
এসব তথ্যে জানা যায়, বস্তুকণা দূষণ মানব স্বাস্থ্যের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাহ্যিক ঝুঁকি। ধূমপানের তুলনায় আয়ুষ্কালের উপর এর প্রভাব বেশি, অ্যালকোহল ব্যবহার এবং অনিরাপদ পানির চেয়েও এর প্রভাব তিন গুণেরও বেশি এবং গাড়ি দুর্ঘটনার মতো পরিবহনে আঘাতের চেয়ে এর ক্ষতির পরিমাণ ৫ গুণেরও বেশি।
তবে বিশ্বের সব দেশে দূষণের চ্যালেঞ্জ সমান নয়।
দক্ষিণ এশিয়ায় পৃথিবীর অন্য সব স্থানের চেয়ে দূষণের প্রভাব মারাত্মক বেশি। এই অঞ্চলে বিশ্বের চারটি সবচেয়ে দূষিত দেশ এবং বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ বাস করে।
একিউএলআই এর তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানে বর্তমানে যে উচ্চ মাত্রার দূষণ চলছে তা অব্যাহত থাকলে বাসিন্দাদের গড় আয়ু প্রায় ৫ বছর কমে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা শীর্ষে
অর্থনীতিবিদ মিল্টন ফ্রিডম্যান বিশিষ্ট পরিষেবা অধ্যাপক এবং শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট (ইপিআইসি) এর সহকর্মীদের সঙ্গে মিলে একিউএলআই এর স্রষ্টা মাইকেল গ্রিনস্টোন বলেছেন, ‘বৈশ্বিক আয়ুষ্কালের ওপর বায়ু দূষণের তিন-চতুর্থাংশ প্রভাব মাত্র ছয়টি দেশের ওপর পড়ছে। দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, চীন, নাইজেরিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। যেখানকার বাতাসে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার কারণে মানুষ তাদের তাদের জীবন থেকে এক থেকে ছয় বছরেরও বেশি সময় হারায়।’
একিউএলআই গত পাঁচ বছর ধরে এই দেশগুলোর বায়ুর গুণমান ও এর স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিগুলোর তথ্য স্থানীয় মিডিয়া এবং রাজনৈতিক কভারেজ থেকে সংগ্রহ করেছে।
প্রকৃতপক্ষে, অনেক দূষিত দেশে বায়ু দূষণের মৌলিক অবকাঠামোর অভাব রয়েছে। এশিয়া ও আফ্রিকা এর দুটি সবচেয়ে মর্মান্তিক উদাহরণ। দূষণের কারণে মোট মৃত্যুর ৯২ দশমিক ৭ শতাংশই এই অঞ্চলে হয়।
এরপরও এশিয়া ও আফ্রিকার মাত্র ৬ দশমিক ৮ এবং ৩ দশমিক ৭ শতাংশ সরকার তাদের নাগরিকদের সম্পূর্ণ উন্মুক্ত বায়ু মানের তথ্য সরবরাহ করে।
এশিয়া ও আফ্রিকার মাত্র ৩৫ দমমিক ৬ ও ৪ দশমিক ৯ শতাংশ দেশের বায়ুর মানের স্ট্যান্ডার্ড রয়েছে।
বায়ু দূষণ মানুষের জীবনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করলেও বিশ্বব্যাপী বায়ু মানের পরিকাঠামোতে সে অনুপাতে বিনিয়োগ করতে দেখা যায়না দেশগুলোর সরকারকে।
যদিও এইচআইভি/এইডস, ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মা রোগের জন্য একটি বৃহৎ বৈশ্বিক তহবিল রয়েছে। এর বার্ষিক সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করে, সেখানে বায়ু দূষণের বিষয়টিকে এতটা গুরুত্ব দিতে দেখা যায়না।
প্রকৃতপক্ষে, সমগ্র আফ্রিকা মহাদেশ বায়ু দূষণের জন্য জনহিতকর তহবিলে তিন লাখ মার্কিন ডলারের নিচে বরাদ্দ পায় (অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একক পরিবারের ব্যবহৃত বাড়ির বর্তমান গড় মূল্য)।
ক্লিন এয়ার ফান্ড এর তথ্য অনুসারে, চীন ও ভারতের বাইরে এশিয়ায় মাত্র ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ পৌঁছায়। যেখানে ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পায়।
আরও পড়ুন: বায়ু দূষণ থেকে মানুষকে বাঁচান: পরিবেশ অধিদপ্তরকে হাইকোর্ট
একিউএলআই এবং বায়ু মানের প্রোগ্রাম ইপিআইস- এর পরিচালক ক্রিস্টা হাসেনকপফ বলেছেন, ‘সুশীল সমাজ ও সরকারের নির্মল বায়ু প্রচেষ্টার প্রধান অগ্রাধিকার হতে পারে সময়োপযোগী, নির্ভরযোগ্য, বায়ুর মানের উন্মুক্ত তথ্য। জনগণ ও সরকারের কাছে যে তথ্যের অভাব রয়েছে তা সরবরাহ করা এবং এটি আরও সচেতন নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও কাজে লাগে।
তিনি আরও বলেন, ‘সৌভাগ্যবশত, আমরা আজ অনুপস্থিত এই অবকাঠামো গড়ে তোলার জন্য তহবিল বাড়ানোর মাধ্যমে পরিবর্তন আনার একটি বিশাল সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।’
চীন
যদিও বিশ্বজুড়ে বায়ু দূষণ কমানোর চ্যালেঞ্জ কঠিন, তবে চীন এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে।
২০১৩ সাল থেকে দূষণ ৪২ দশমিক ৩ শতাংশ কমিয়েছে দেশটি। দেশটি ২০১৪ সালে থেকে ‘দূষণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ ঘোষণা করে।
যদি পরিবর্তনগুলো বজায় থাকে তবে চীনারা গড়ে ২ দশমিক ২ বছর বেশি বাঁচার আশা করতে পারে।
যদিও চীনে দূষণ এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা থেকে ছয় গুণ বেশি। যার ফলে জনগণের গড় আয়ু আড়াই বছর কমেছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া
দক্ষিণ এশিয়ার মতো, প্রায় সমস্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় (৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ) এখন দূষণের অনিরাপদ মাত্রা বিরাজ করছে বলে মনে করা হয়। কিছু অঞ্চলে এক বছরে দূষণ ২৫ শতাংশের মতো বৃদ্ধি পায়।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে দূষিত অংশে বসবাসকারী বাসিন্দাদের গড় আয়ু ২ থেকে ৩ বছর কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ু দূষণ: হাইকোর্টের আরও ৩ দফা নির্দেশনা
মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকা
যদিও এশিয়ান দেশগুলো চরম মাত্রার বায়ু দূষণ সম্পর্কে সর্বাধিক আলোচিত; তবে কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি ও কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের আফ্রিকান দেশগুলো বিশ্বের দশটি সবচেয়ে দূষিত দেশের মধ্যে রয়েছে।
এই অঞ্চলের সবচেয়ে দূষিত এলাকায় দূষণের মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা থেকে ১২ গুণ বেশি এবং জনগণের গড় আয়ু ৫ দশমিক ৪ বছর কমেছে।
এই অঞ্চলে এইচআইভি/এইডস ও ম্যালেরিয়ার মতো বায়ু দূষণও সুপরিচিত ঘাতক হিসেবে স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।
ল্যাটিন আমেরিকা
গড় বায়ুর গুণমান সমগ্র বিশ্বজুড়েই অনিরাপদ অবস্থায় থাকলেও ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে দূষণের হার যথেষ্ট কম।
তবে গুয়াতেমালা, বলিভিয়া ও পেরুর মতো দেশগুলো এ অঞ্চলের সবচেয়ে দূষিত দেশ। এগুলোর দূষণের মাত্রা ভারতের পুনে এবং চীনের হারবিনের মতো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বায়ুর গুণমান নির্দেশিকা মেনে চললে এসব দেশের বাসিন্দাদের গড় আয়ু ৩ থেকে ৪ দশমিক ৪ বছর বাড়বে।
যুক্তরাষ্ট্র
১৯৭০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্লিন এয়ার অ্যাক্ট পাস হওয়ার আগের সময়ের তুলনায় আমেরিকানরা ৬৪ দশমিক ৯ শতাংশ কম বস্তূকণা দূষণের সংস্পর্শে আসছেন। এ কারণে তাদের গড় আয়ু ১ দশমিক ৪ বছর বেড়েছে।
ইউরোপ
১৯৯৮ সালে এয়ার কোয়ালিটি ফ্রেমওয়ার্ক নির্দেশিকা শুরু হওয়ার পরে আগের তুলনায় ইউরোপের বাসিন্দারা বর্তমানে প্রায় ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ কম দূষণের সংস্পর্শে এসেছে। এর কারণে তাদের গড় আয়ু ৪ দশমিক ৫ বছর বেড়েছে।