শিক্ষার্থী
শিক্ষামন্ত্রী শাবিপ্রবি যাচ্ছেন শুক্রবার
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) যাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে শাবি ক্যাম্পাসে যাচ্ছেন তিনি।
সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুজিবর রহমান বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রীর এই সফরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, মন্ত্রীর পিএস আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন- শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে সিলেটের উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।
আরও পড়ুন: শাবির প্রক্টর আলমগীর কবিরকে অব্যাহতিশাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত হয় গত ১৩ জানুয়ারি। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ এনে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন হলের ছাত্রীরা।এই দাবিতে আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জানুয়ারি উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। ওই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে।লাঠিচার্জের পর দুই পক্ষের সংঘর্ষ বেধে যায়। এরপর রাবার বুলেট এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে উপাচার্যকে মুক্ত করে বাসায় নিয়ে যায় পুলিশ।ওই রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও শিক্ষার্থীদের পরদিন দুপুরের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেন উপাচার্য। এই নির্দেশনা উপেক্ষা করে ওই রাত থেকেই শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির প্রথম নারী ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক আমিনা পারভীনপরদিন থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে টানা অবস্থান নেন তারা। সেখানে অনশনও শুরু করেন ২৮ শিক্ষার্থী। ২০ জানুয়ারি উপাচার্য ভবনের ফটকে ব্যারিকেড দিয়ে বাইরের মানুষের প্রবেশ বন্ধ করে দেন শিক্ষার্থীরা।গত ২৬ জানুয়ারি সকালে শাবির অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হকের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অনশন ভেঙে উপাচার্যের বাসভবনের ফটকের ব্যারিকেড তুলে নেন।অনশন ভাঙানোর পর অধ্যাপক জাফর ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে আসার আগে আমার সঙ্গে সরকারের উচ্চমহল থেকে কথা হয়েছে। তারা আমাকে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তাদের আশ্বাস পেয়েই আমি এখানে এসেছি। আমি তাদের অনুরোধ করব, তারা আমাকে যে কথা দিয়েছেন সে কথাগুলো যেন রক্ষা করেন। আমি আর এই ছাত্রদের ভেতর কোনো পার্থক্য নেই। আমাকে দেয়া কথা না রাখলে সেটা কেবল আমার সঙ্গে না, এই দেশের সমস্ত প্রগতিশীল মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে।’অনশন ভাঙার পর জাফর ইকবাল ও ইয়াসমিন হকের হাতে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগসহ পাঁচটি দাবি সরকারের উচ্চপর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার জন্য তুলে দেন।
শাবির প্রক্টর আলমগীর কবিরকে অব্যাহতি
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে এবার সরিয়ে দেয়া হলো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রক্টর আলমগীর কবিরকে।এই পদে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইশরাত ইবনে ইসমাইলকে।বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে সই করেছেন রেজিস্ট্রার ইসফাকুল হোসেন।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে প্রক্টরের পদ থেকে আলমগীর কবিরকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির প্রথম নারী ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক আমিনা পারভীন
ফটিকছড়িতে চাঁদের গাড়ির চাপায় ২ স্কুলছাত্রী নিহত
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে চাঁদের গাড়ির (মালবাহী জীপ) চাপায় দুই স্কুল ছাত্রী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও এক শিক্ষার্থী।
বুধবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের পেলাগাজি মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন- মিশু আক্তার (১৫) ও নিশুা মনি (১৭)। মিশু আক্তারের বাড়ি দক্ষিণ পাইন্দং এলাকায়। তারা দু‘জন ফটিকছড়ির পাইন্দ হাইদচকিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় চাঁদের গাড়িটি ওই দুই স্কুল ছাত্রীকে চাপা দেয়।
পুলিশ জানান, অবৈধভাবে সড়কে চলাচলরত চাঁদের গাড়িটিকে থামার সংকেত দেয় পুলিশ। কিন্তু চালক গাড়িটিকে না দাঁড় করিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। সেসময় পুলিশ গাড়িটিকে ধাওয়া করে। পেলাগাজির মোড় এলাকায় গিয়ে চাঁদের গাড়িটি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিন স্কুল ছাত্রীকে চাপা দেয়।এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে স্থানীয় লোকজন পেলাগাজির মোড় এলাকার প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এই সময় তারা একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভাঙচুর করা হয় ঘাতক চাঁদের গাড়িটি।ফটিকছড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর হোসেন জানান, একটি দ্রুতগামীর চাঁদের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিন স্কুল ছাত্রীকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই জনের মৃত্যু হয়। আহত অপর ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চাঁদের গাড়িটি আটক করেছে।
বিষপানে ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী ইঁদুর মারার বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। রবিবার রাতে টাঙ্গাইলের মধুপুরে নিজ বাড়িতে তিনি আত্মহত্যা করেন।
নিহত প্রীথম কুমার সিংহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের মৃৎশিল্প বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
তার গ্রামের বাড়িতে তার লাশ দাফন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রিয়াজের শ্বশুরের আত্মহত্যার ভিডিও সরানোর নির্দেশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘প্রীথমের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। এর পেছনে প্রেমঘটিত কোনো বিষয় থাকতে পারে।’
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিক কামাল বলেন, ‘তার পরিবার আমাদের এ বিষয়ে জানায়নি। দাফনের পর আমাদের তদন্ত কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছেন।’
নিহতের পরিবারের সদস্যরা যদি কোনো অভিযোগ করেন তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিষপানে নববধূর আত্মহত্যা
বিয়ের এক সপ্তাহের মাথায় নববধূর আত্মহত্যা!
ঢাবিতে কমছে ভর্তির আসন সংখ্যা, থাকছে না ‘ঘ’ ইউনিটও
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য আসন সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আসন সংখ্যা পুনর্নির্ধারণের অংশ হিসেবে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষাও বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সাধারণ ভর্তি কমিটির এক বিশেষ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা ও সামর্থ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ঢাবি ছাত্রলীগের হল নেতাদের শ্রদ্ধা
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি দেশের বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে এক হাজারের বেশি আসন কমানোর সুপারিশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটি।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘আমরা ঘ ইউনিট আর না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজকের সভা এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়েছে। তবে একাডেমিক কাউন্সিলের পরবর্তী সভায় এটি চূড়ান্ত হবে।’
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরের ক্লাস বন্ধ
কুয়েটের বহিষ্কৃত সেই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছেন
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় তাদের বহিষ্কার করা হয়েছিল। উচ্চ আদালতের নির্দেশে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন তারা।
বৃহস্পতিবার কুয়েটে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রথম পর্বের (সেমিস্টার) পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ বিষয়ক পরিচালক ইসমাঈল সাইফুল্লাহ জানান, করোনা মহামারির কারণে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকায় দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, তবে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কুয়েটে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা থাকায় সম্প্রতি বহিষ্কারসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদেরও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়েছে। শাস্তি পাওয়া যন্ত্রকৌশল বিভাগের তিনজনসহ বৃহস্পতিবার কয়েকজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর ইলেকট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ সেলিম হোসেন ক্যাম্পাসের কাছের ভাড়া বাসায় মারা যান। এরপর অভিযোগ ওঠে মৃত্যুর দিন দুপুরে বাসায় ফেরার পথে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অধ্যাপক সেলিমকে বিভাগে তার কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তার ওপর মানসিক নিপীড়ন চালানো হয়। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষক সেলিমের মৃত্যু: ৪৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
গত ২৮ ডিসেম্বর প্রশাসনের কাছে ৯টি সুপারিশসহ ৪৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেয় ওই কমিটি। এরপর গত ৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্তে চারজনকে চিরতরে কুয়েট থেকে বহিষ্কার, সাতজনকে দুই শিক্ষাবর্ষ বহিষ্কার, একজনকে এক শিক্ষাবর্ষ বহিষ্কার করা হয়। এর বাইরে ২২ শিক্ষার্থীকে এক শিক্ষাবর্ষের জন্য বহিষ্কার করা হয়। তবে ওই ২২ জনের বহিষ্কার আদেশ আপাতত স্থগিত ছিল। এ ছাড়া ১০ শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারি সাদমান নাহিয়ান ১২ জন শিক্ষার্থীর পক্ষে বহিষ্কারাদেশসহ সবধরনের শাস্তির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে এক রিট আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ১ ফেব্রুয়ারি রিট আবেদনের শুনানি শেষে তাদের পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন। গত ২ ফেব্রুয়ারি আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সাজা পাওয়া শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের কাছে চিঠি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. আনিছুর রহমান ভূঞা।
রেজিস্ট্রার মো. আনিছুর রহমান ভূঞা বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনার চিঠি পেয়ে আমরা সেই মোতাবেক তা বাস্তবায়ন করেছি। আইনি অন্য কোনো বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান বলেন, তাদের ১২ জনের সবারই কোনো না কোনো পরীক্ষা আছে। কেউ কেউ শুরুর দিন পরীক্ষা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: ৪৪ শিক্ষার্থীকে শোকজ
কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: ছাত্রলীগের সম্পাদকসহ চার শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার
রাবিতে ট্রাকচাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু: বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ট্রাকচাপায় শিক্ষার্থী মৃত্যুর প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মহানগর ও জেলা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যোগে এ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মাণ কাজ চলাকালীন সময়ে প্রশাসনের তদারকি করার দায়িত্ব ছিলো। কিন্তু প্রশাসন সেই দিকে কোনো দৃষ্টিপাত করেনি। ফলে বেপরোয়া ট্রাকের চাপায় ছাত্র হিমেল মারা গেছে। এঘটনায় নিহতের পরিবারকে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: ট্রাকচাপায় রাবি ছাত্রের মৃত্যু: প্রক্টরকে অব্যাহতি
মহানগর শাখার সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান রাকিবের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রচার-প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক বিজন সিকদার, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আহবায়ক লামিয়া সাইমন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) জেলা শাখার সদস্য কাজল দাস, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হাওলাদার, জেলা সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সদস্য জহুরা রেখা প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ট্রাকচাপায় রাবি শিক্ষার্থী নিহত, চালক গ্রেপ্তার
ট্রাকচাপায় নিহত রাবি শিক্ষার্থীর দাফন নাটোরে সম্পন্ন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নির্মাণসামগ্রী বহনকারী ট্রাকচাপায় নিহত শিক্ষার্থী মাহবুব হাবিব হিমেলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার দুপুর ২টায় নাটোর পৌর জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় দফা জানাযা শেষে গাড়িখানা কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এ সময় রাজশাহী থেকে আসা হিমেলের বিপুল সংখ্যক সহপাঠীসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে হিমেলকে চাপা দেয়া ঘাতক ট্রাক চালক টিটু মিয়াকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে নগরের কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রথমে তাকে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় নেয়া হলেও পরে তাকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ট্রাকচাপায় রাবি শিক্ষার্থী নিহত, চালক গ্রেপ্তার
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজের পাথর বহনকারী ট্রাকের চাপায় প্রাণ হারান চারুকলা অনুষদের ছাত্র হিমেল। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা পাঁচটি ট্রাকে আগুন দেয়।
পরে তারা রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক ও ভিসির বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। গভীর রাতে সিটি মেয়র ও ভিসি গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি মানার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাযা শেষে মিলের লাশ নাটোর পাঠানো হয়। এর আগে সকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ ক্যাম্পাসে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ
রাবিতে সশরীরে ক্লাস বন্ধ, খোলা থাকবে আবাসিক হল
ট্রাকচাপায় রাবি শিক্ষার্থী নিহত, চালক গ্রেপ্তার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নির্মাণসামগ্রী বহনকারী একটি ট্রাকের চাপায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ঘাতক ট্রাক চালক টিটু মিয়াকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে নগরের কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রথমে তাকে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় নেয়া হলেও পরে তাকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ
জানা যায়, মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজের পাথর বহনকারী ট্রাকের চাপায় প্রাণ হারান চারুকলা অনুষদের ছাত্র মাহমুদ হাবিব হিমেল। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা পাঁচটি ট্রাকে আগুন দেয়।
পরে তারা রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক ও ভিসির বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। গভীর রাতে সিটি মেয়র ও ভিসি গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি মানার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাযা শেষে হিমেলের লাশ নাটোর পাঠানো হয়। এর আগে সকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ ক্যাম্পাসে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত মদপানে রুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
শেরপুরে পিকনিক থেকে ফেরার পথে ২ শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১৩
শেরপুরের শ্রীবরদীতে পিকনিক থেকে বাড়ি ফেরার পথে ট্রলির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১৩ জন। মঙ্গলবার মধ্যরাতে শ্রীবরদী উপজেলার কলাকান্দা-দিয়ারচর এলাকার ব্রীজের নিচে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-পূর্ব খড়িয়াকাজির চর এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে আবু তালেব এবং সেলিম মিয়ার ছেলে সাইদুল ইসলাম।
আহতরা শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও শেরপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারা সবাই শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: পিকনিক থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে শ্রীবরদীর পূর্ব খড়িয়াকাজিরচর এলাকা থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী পিকআপ নিয়ে পিকনিকের উদ্দেশ্যে ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী অবকাশে যায়। পিকনিক শেষে সন্ধ্যার দিকে গজনী অবকাশ থেকে ফিরে শ্রীবরদী বাজারে আসে। পরে বাজার থেকে একটি ট্রলি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে কলাকান্দা-দিয়ারচর এলাকার ব্রীজের কাছে গেলে ট্রলির চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে পাশের খাদে সেটি উল্টে পড়ে। এতে সবাই গুরুতর আহত হয়।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মো. আবুল হাশেম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীবরদীর কলাকান্দা-দিয়ারচর এলাকার ব্রীজ এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের নিকট থেকে সংবাদ পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর চারজনের অবস্থা খারাপ হওয়ার তাদেরকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ট্রলিটির চালক পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ৩ যাত্রী নিহত