আন্দোলন
নির্বাচনে না আসায় বিএনপিকে খেসারত দিতে হবে: কাদের
আন্দোলনে ব্যর্থতা এবং নির্বাচনে না আসায় অনেকদিন ধরে এর খেসারত বিএনপিকে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সমালোচনা যারা করে তারা করবে, দেশেও করবে বিদেশেও করবে। বিএনপি নির্বাচনে আসতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা এখন টের পাবে, তারা রাজনীতিতে নিজেদের কতটা সংকুচিত করেছে।’
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফেনীর দাগনভূঞা বাজারের জিরো পয়েন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে সেতুমন্ত্রী এসব এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে পরবর্তী আন্দোলনের পরিবর্তে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ কাদেরের
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে অবাক লাগে মির্জা ফখরুল জেল থেকে বের হয়ে অসুস্থতার অজুহাতে হাসপাতালে যাননি বরং মার্কিন প্রতিনিধি দল আসার দিনে লাঠিতে ভর দিয়ে নালিশ করতে গিয়েছেন।’
নালিশ করা বিএনপির রাজনীতির পুরোনো অভ্যাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা জনগণের কাছে নালিশ করার চেয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতিতে তারা গলাবাজি করবে। এর জবাব তো আমাদের দিতে হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীন মোহাম্মদ, ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরেছে: ওবায়দুল কাদের
উগ্রবাদের মূল উৎস বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
আন্দোলন জমাতে আগুন লাগাতে পারে বিএনপি: আইনমন্ত্রী
আন্দোলন জমানোর জন্য বিএনপি আগুন লাগানোর কৌশল বেছে নিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, আন্দোলন জমাতে বিএনপি আগুন লাগানোর কৌশল বেছে নিল কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। এই রহস্য অবশ্যই উদঘাটন করা হবে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান: আইনমন্ত্রী
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কসবা উপজেলার কায়েমপুরে ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকার গার্ডার সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, জ্বালাও-পোড়াও আগুন লাগানোর সঙ্গে বিএনপি জড়িত। ট্রেনে আগুন দেওয়া, ভাঙচুর, মানুষ মারা- বিএনপির পুরোনো অভ্যাস।
তিনি বলেন, বিএনপি মানুষকে ভালোবাসে না, তারা চায় সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটুক। তারা চায় ক্ষমতা, চায় পকেটের উন্নয়ন, চায় দুর্নীতি করে টাকা কামাবে, বিদেশে টাকা পাচার করবে এবং বাংলা ভাই তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: এআই বিষয়ক আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা জীবিত থাকতে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জীবিত থাকতে সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী অপশক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না।’
স্থানীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এখন থেকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। আগুন নিয়ে খেললে তার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। সে জন্য প্রন্তুত থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে আরও আলোচনার পরামর্শ দিয়েছে আইএলও: আইনমন্ত্রী
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলবে: জেল থেকে বেরিয়ে ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিজয় না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকারের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
কারাগার থেকে বের হওয়ার পরপরই তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'জনগণের বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় ফখরুল-খসরুর জামিন
বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, ৭ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন করে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিএনপির কোনো ক্ষতি হয়নি, আন্দোলনেরও ক্ষতি হয়নি। ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সব সময় গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছে, সংগ্রাম করেছে। ‘ইনশাল্লাহ এই লড়াইয়ে তারা (জনগণ) জয়ী হবেই।’
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রায় গ্রেপ্তার হয়ে সাড়ে তিন মাস আটক থাকার পর জামিনে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, জামিনের আদেশ কেরাণীগঞ্জের কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানোর পর বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটে তারা কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।
জেলগেটে তাদের স্বাগত জানান দলের নেতাকর্মী ও দলের শীর্ষ দুই নেতার স্বজনরা।
ফখরুল ও খসরু কারা গেটে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আমীর খসরু বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করেছে, কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। ‘নির্বাচনে তারা জনগণের কাছে নৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ‘গণতন্ত্র ও জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত এটা অব্যাহত থাকবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্রের পক্ষে রায় দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফখরুল-খসরু জামিনে মুক্ত
নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, রাজপথে সরকারবিরোধী আন্দোলন পরিচালনার জন্য বিএনপিসহ সব গণতন্ত্রপন্থী দলের মনোবল যথেষ্ট শক্তিশালী।
এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ চলার সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় মির্জা ফখরুল ও খসরুকে জামিন দেন আদালত।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের আবেদনের শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২৯ অক্টোবর ফখরুল, খসরুসহ বিএনপির ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
সমাবেশে সহিংসতার ঘটনায় ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি ও খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। গত ২৯ অক্টোবর ফখরুল ও ৩ নভেম্বর গুলশানের বাসা থেকে খসরুকে আটক করে পুলিশ। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলায় আদালত থেকে জামিন পেয়ে তাদের মুক্তির পথ সুগম হয়।
আরও পড়ুন: আজ মুক্তি পেতে পারেন ফখরুল-খসরু
হুমকি সত্ত্বেও বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে: জয়নুল আবেদিন ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেছেন, ভোটারদের ম্যান্ডেট ছাড়াই ক্ষমতায় থাকা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশের জনগণ রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে সমুচিত জবাব দেবে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা (আওয়ামী লীগ) গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন। আপনারা ৭ জানুয়ারি ভোটবিহীন ডামি নির্বাচনের আয়োজন করেছেন। নির্বাচনের আগেও আপনারা অনেক হুমকি দিয়েছেন, এখনও আমাদের হুমকি দিচ্ছেন।’
এক মানববন্ধনে ফারুক বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ফিরে না আসা পর্যন্ত সমমনা বিরোধী দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে তাদের দল রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, 'আপনারা (সরকার) বিএনপিকে দমন করতে পারবেন না, আমাদের নেতাকর্মীদের কারাগারে আটকে রেখে নির্যাতনমূলক কর্মকাণ্ড ও মামলায় জড়িয়েও দমাতে পারবেন না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ভোট বিহীন গঠিত সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করতে আন্দোলন জোরদার করা হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ গ্রেপ্তারকৃত বিরোধী দলের নেতাদের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নবীন দল এ মানববন্ধনের আয়োজন করে
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশকে (টিআইবি) বিএনপির এজেন্ট বলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সমালোচনা করেন ফারুক।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উদ্বোধনের দিন বিএনপির কালো পতাকা মিছিল
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমার আশঙ্কা, আপনারা কিছুদিন পর সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাককেও (আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য) বিএনপির এজেন্ট হিসেবে অভিহিত করবেন।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেকে গণতন্ত্রপন্থী ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে দাবি করলেও এই দলটি গণতন্ত্রের চর্চা করে না, বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।
সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে সাময়িক সময়ের জন্য দমন করতে পারে। ‘পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, স্বৈরাচারী সরকার পুলিশকে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন গণতান্ত্রিক শক্তিকে দমন করতে পারেনি।’
যেসব সমালোচক বিএনপির সাংগঠনিক সক্ষমতা নিয়ে কথা বলেছেন তাদের কঠোর সমালোচনা করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের শক্তি পরীক্ষা করতে পুলিশ ছাড়াই বিরোধী দলের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, দেশের ৪১ হাজার বন্দির ধারণ ক্ষমতার কারাগারগুলোতে এখন এক লাখের বেশি মানুষকে বন্দী করে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পুলিশি বাধায় পণ্ড বিএনপির কালো পতাকা মিছিল
তিনি অভিযোগ করেন, সরকারবিরোধী আন্দোলন ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধী দলের যোগ্য নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে নির্যাতন চালাচ্ছে।
গণ অধিকার পরিষদের নেতারা কারাগারে কীভাবে নিষ্ঠুর নির্যাতন ও বৈদ্যুতিক শকের শিকার হয়েছেন তার বর্ণনা দেন নুর।
তিনি বলেন, 'তারা (কারা কর্তৃপক্ষ) বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নখ উপড়ে দিয়েছে এবং হাড়গোড় ভেঙে দিয়েছে। কোনো সভ্য দেশে এমন ঘটনা ঘটতে পারে, এটা ভাবতেও খুব কষ্ট হয়।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মতো বিরোধী দলের জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদদের আদালত জামিন না দেওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন নুর।
তিনি বলেন, অবিলম্বে সকল রাজবন্দির মুক্তি এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
জনগণের প্রতি অবিচার না করতে পুলিশ ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার আহ্বান জানান নুর।
আরও পড়ুন: প্রিপেইড গ্যাস মিটারের ভাড়া দ্বিগুণ করার সিন্ধান্তের নিন্দা বিএনপির
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি: মঈন খান
গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপি রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেন, আমাদের সংগ্রাম গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা। গণতন্ত্র বলতে শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে বোঝায়। তাই নীতিগতভাবে সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম হতে হবে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক।
এক আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, রাস্তায় সরকারের বন্দুক ও গুলি মোকাবিলায় নিরস্ত্র জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ দখল করেছে আ. লীগ: মঈন খান
তিনি বলেন, এভাবে আমরা এই সরকারকে পরাজিত করব। আজকের এই দিনে আমরা এই শপথ নিই। আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব এবং এদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।
জনগণই বিএনপির শক্তি উল্লেখ করে ড. মঈন খান বলেন, বন্দুকের নল, বুলেটের শক্তি, কাঁদানে গ্যাসের শক্তি, জলকামানের শক্তি বা এই সরকারের যত ক্ষমতাই থাকুক না কেন জনগণের সেই শক্তি দিয়ে বিএনপি বর্তমান অবৈধ দ্বিতীয় বাকশাল সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি।
আরও পড়ুন: বিএনপির নতুন কর্মসূচি আসছে: রিজভী
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, ‘তাদের দল লগি-বৈঠা দিয়ে রাজনীতি করে না। তিনি বলেন, সভ্য মানুষই বিএনপির রাজনীতি করে। এখানেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য।’
বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই দাবি করে তিনি বলেন, চূড়ান্ত সফলতা পেতে হয়তো দীর্ঘ সময় লাগতে পারে, কিন্তু তারা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ভোটাধিকার ও অন্যান্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথের আন্দোলন থেকে বিচ্যুত হবে না।
জিয়াউর রহমানের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আন্দোলনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান ড. মঈন।
আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতি দেখেই জনগণের ইচ্ছা বোঝা যায়: রিজভী
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিলের প্রতিবাদে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা দিনব্যাপী হরতাল চলছে।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১১ দফায় অবরোধসহ ২৯ অক্টোবর থেকে বিরোধী দলগুলোর এটি চতুর্থ দফায় হরতাল কর্মসূচি।
আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
আরও পড়ুন: সোমবারের বদলে মঙ্গলবার হরতাল পালন করবে বিএনপি
অগ্নিসংযোগের আশঙ্কা সত্ত্বেও ঢাকার সড়কে গণপরিবহনসহ বেশ কিছু যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
হরতাল শুরুর ঠিক আগে রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশন এলাকায় ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এক শিশুসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন।
ঢাকার সব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
শনিবার এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে হরতালের ঘোষণা দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। হরতাল পালন ও সফল করার জন্য তিনি দেশবাসী, বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সোমবার বিএনপির হরতাল
২৮ অক্টোবর থেকে অবরোধ-হরতালে ২৬৭টি অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে: ফায়ার সার্ভিস
সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত: নজরুল ইসলাম খান
সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, তাদের চলমান আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত, কারণ সরকার দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিরোধী দলকে দমন করতে পারবে না।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছে, তাদের এখন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমাদের নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ সবাইকে শুধু রাজপথে নামার জন্য কারাগারে রাখা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির তফসিল বাতিলের দাবি বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) শ্রমিকদের সমাবেশে কাল্পনিক মামলা দায়ের এবং বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের পাইকারি গ্রেপ্তার বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের মুক্তি দিতে এবং আমাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে নিতে আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘বলপ্রয়োগ ও দমন-পীড়নের মাধ্যমে আন্দোলন দমন করা যাবে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বের কোনো স্বৈরাচারী সরকার দমন-পীড়ন চালিয়ে জনগণের মন জয় করতে পারে না। এই সরকারও তা করতে পারবে না। আমাদের সংগ্রাম গণতন্ত্রের জন্য এবং জনগণের ভোটাধিকারের জন্য। আমরা অবশ্যই এই লড়াইয়ে জয়ী হব।’
গার্মেন্টস শ্রমিক হত্যার বিচার, আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও সুচিকিৎসা এবং সাম্প্রতিক আন্দোলনে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ।
গ্রেপ্তার হওয়া শ্রমিকদের মুক্তি, চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহাল এবং পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার জন্য সরকারের উপর চাপ বাড়ানোর লক্ষ্যেও এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মান্না বলেন, সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিরোধী দলগুলোর চলমান আন্দোলন বন্ধ করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি মানুষ ভোট দিতে যাবে না। কিন্তু তারা (সরকার) নাটকের মতো মঞ্চে অনেক কেন্দ্র প্রস্তুত করবে। পরে সন্ধ্যায় তারা ঘোষণা করার চেষ্টা করবে যে আমরা নির্বাচনে জয়ী হয়েছি।’
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানিতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে এমন জল্পনা-কল্পনা রয়েছে উল্লেখ করে মান্না বলেন, জাতীয় নির্বাচনের নামে কীভাবে নাটক করা যায় তা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সরকার এ ধরনের গুরুতর বিষয় নিয়ে ভাবছে না।
তিনি দাবি আদায়ের পাশাপাশি জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন অব্যাহত রাখার জন্য শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি বলেন, সরকার জনগণ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের মতামত উপেক্ষা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখলের ‘প্রহসনের’ নির্বাচন করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র শ্রম অধিকার নিয়ে একটি নতুন নীতি ঘোষণা করেছে।’
তারা বলেন, ‘এ ধরনের একতরফা নির্বাচন হলে এবং শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘিত হলে তারা আমাদের পোশাক খাতের উপর নতুন বিধিনিষেধ বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।’
সাকি অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকার বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন ছাড়াই শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে যাচ্ছে। সরকারের এই প্রচেষ্টা কোনোভাবেই সফল হতে দেওয়া যাবে না।’
একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানেসরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য তিনি শ্রমিকসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: শাহজাহান ওমরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে ঝালকাঠি জেলা বিএনপি
৭ জানুয়ারি নির্বাচন: তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদারের পরিকল্পনা বিএনপির’
২৮ অক্টোবরের সহিংসতার পর দলের অধিকাংশ কেন্দ্রীয় নেতা দৃশ্যত আত্মগোপনে চলে গেলেও, আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর চলমান আন্দোলন জোরদার করতে ফের রাজপথে নামতে পারেন বিএনপি নেতারা।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, একতরফা নির্বাচন ঠেকাতে তারা ইতোমধ্যে হরতাল, অবরোধ ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও বিভিন্ন সরকারি অফিস ঘেরাওয়ের মতো কঠোর কর্মসূচি দিয়ে বিরতিহীন আন্দোলন করার কৌশল তৈরি করেছেন।
তারা বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে কী করতে হবে সে বিষয়ে তাদের দল সমমনা দলগুলোরও মতামত নিয়েছে এবং অধিকাংশ দল কোনো বিরতি ছাড়াই অবরোধ বা হরতাল কার্যকর করার পরামর্শ দিয়েছে।
তাদের কৌশল অনুযায়ী, আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) একটি নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা এবং তফসিল বাতিল করার জন্য ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
ইসি যদি তাদের আল্টিমেটামে কর্ণপাত করে, তাহলে তারা তাদের কর্মসূচি নিয়ে সারাদেশে রাজপথে তাদের শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করবে।
সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনকে তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য।
বিএনপি নেতারা বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ রাষ্ট্রযন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ নিতে ইসি কীভাবে সংবিধানে প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে তা তারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।
বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার বন্ধ এবং গ্রেপ্তার দলের সিনিয়র নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে ইসির ভূমিকাও তারা পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শিল্পকে অন্য দেশে নিয়ে যেতে চায় সরকার: রিজভী
বিএনপির দাবি, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ এবং পরবর্তী হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ১০ হাজার ৭৭০ বিরোধী নেতা ও অনুসারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান খোকন প্রমুখকে দলের মহাসমাবেশ ও সহিংসতার পর গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির ১৯ সদস্যের মধ্যে জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান এখন রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। তবে গ্রেপ্তার এড়াতে তারা এখন গোপনে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য বিদেশে অবস্থান করছেন।
অন্য দলের নীতিনির্ধারকরা হয় মারা যান বা শারীরিক অসুস্থতার কারণে নিষ্ক্রিয় থেকে যান।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অন্যান্য সক্রিয় সদস্যরাও পলাতক রয়েছেন এবং দলের নেতা-কর্মীদের গোপন আস্তানা থেকে পথ দেখান।
দলের স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আন্দোলন জোরদার করতে দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর জন্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেই তারা তাদের গোপন স্থান থেকে বেরিয়ে আসবেন।
তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ে মহাসড়ক ও সড়কে পিকেটিং বাড়ানোর মাধ্যমে অবরোধ কর্মসূচিকে আরও কার্যকর করে ঢাকাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে আমাদের দল সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে না। তাই তফসিল ঘোষণার পর আমাদের নেতা-কর্মীরা রাজপথে নেমে আন্দোলনে নামবেন।’
আরও পড়ুন: একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্যেই বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ: রিজভী
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সব রাষ্ট্রযন্ত্র কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত থাকলে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা আরও প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এছাড়া সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা নিয়ে দেশ-বিদেশে প্রশ্ন উঠবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, সরকার মনে করতে পারে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে বিএনপি দুর্বল হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু এটা হবে না। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন বাতিলের উদাহরণ আমরা দেখেছি। বিএনপি রাজপথে থেকে সব পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে। জনগণ এবার সরকারকে নির্বাচনের নামে নাটক করতে দেবে না।’
বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির আন্দোলন এবার ব্যর্থ হবে না। ‘তফসিল ঘোষণা হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আমাদের কোনো উপায় থাকবে না। আমরা তুমুল গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে আমাদের দাবি পূরণে বাধ্য করব।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, তাদের দল কোনো অবস্থাতেই আন্দোলন থেকে পিছপা হবে না।
তিনি বলেন, বিরোধী দলগুলোর মতামত উপেক্ষা করে একতরফা তফসিল ঘোষণা করা হলে তা প্রমাণ করবে সরকার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যাপারে আন্তরিক নয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নেই: বিএনপি
আন্দোলন মানে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো নয়: তথ্যমন্ত্রী
আন্দোলন করার অধিকার সবার আছে, কিন্তু আন্দোলন মানেই গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, অবরোধের নামে বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াও জনগণ সমর্থন করে না।
রবিবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
হাছান বলেন, আন্দোলন করার অধিকার সবার আছে। সরকারের পদত্যাগ চাওয়ার অধিকার আছে। আমার পদত্যাগ চাওয়ার অধিকার আছে। ‘সেই অধিকার সবার আছে। কিন্তু সেটা মানে এই নয় যে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো। এটিকে কেউ সমর্থন করেনি। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অনেক সদস্য তাদের এই কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে। আরও অনেকে বিদেশ থেকে নিন্দা জানিয়েছে। বিএনপি নানাভাবে অনেককে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তাদের এই কর্মকাণ্ড কেউ সমর্থন করেনি, করতে পারে না্।’
তিনি আরও জানান, অবরোধের নামে আগের রাত থেকে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো হচ্ছে। আজ অবরোধ ডাকলে, গতকালই শুরু হয় গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো। মানুষ ভেবেছিল, যেহেতু আগামীকাল অবরোধ, সেহেতু আজ গাড়ি-ঘোড়ার ওপর বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা হামলা চালাবে না। কিন্তু গতকাল থেকেই তা শুরু হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি এটি হতে পারে না। এগুলোকে শুধু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বললে কম হবে।
‘মানুষের সহায়-সম্পত্তিতে চোরাগোপ্তা হামলা চালানো হচ্ছে। একটি গাড়ি পোড়ানো মানে একটি পরিবারকে পুড়িয়ে দেয়। একটি পরিবারের স্বপ্ন পুড়িয়ে দিয়ে তাদের স্বপ্নকে পথে বসানো। যারা রাজনীতি করেন, তারা এ কাজ করতে পারেন না। হ্যাঁ, তারা রাস্তায় নেমে এসে ব্যারিকেড দিক, মানুষকে বলুক—আমরা অবরোধ ডেকেছি, আপনারা পালন করুন। সেটি তো তারা করে না।’
চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হচ্ছে। কিন্তু বিএনপি থেকে বলা হচ্ছে, তারা কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। এ নিয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনে যাওয়া কিংবা না যাওয়া—সেই অধিকার যেকোনো রাজনৈতিক দলের আছে। তারা নির্বাচনে যেতে পারে, না-ও যেতে পারে। কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার এখতিয়ার কারো নেই।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন প্রতিহত করার কথা বলা মানেই দেশ ও গণতন্ত্রবিরোধী কথাবার্তা। যারা এমন ধরনের বক্তব্য রাখবে কিংবা অপচেষ্টা চালাবে, তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলব। সরকার ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অব্যাহত রাখা। এ জন্য যা কিছু করা দরকার, সেটা করা হবে।’
আরও পড়ুন: ডিস লাইন ডিজিটালাইজড করার সময় বাড়ানো হবে: তথ্যমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টু প্লাস টু বৈঠক করেছে ভারত। সেই বৈঠকে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়েও কথা হয়েছে। সে বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই বৈঠক ছিল একান্তই দ্বিপাক্ষিক। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে, সেটা পত্রপত্রিকায় এসেছে। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন ও উন্নয়ন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত যেটি বলেছে, সেটি যথার্থ বলেছে। কাজেই বাংলাদেশের নির্বাচন ও উন্নয়ন এ বিষয়ে এ দেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে। নির্বাচনের মাধ্যমে কে ক্ষমতায় আসবে, তাও বাংলাদেশের জনগণ ঠিক করবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে বিদেশে চিকিৎসার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয় প্রধান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি সরকারের হাতে নেই, এটা তো আইনের হাতে, আদালতের হাতে। সরকার চাইলেও তাকে মুক্তি দিতে পারবে না। সরকারের হাতে যতটুকু ক্ষমতা ছিল, তার সাজা স্থগিত রেখে তাকে ঘরে মুক্ত থাকার ব্যবস্থা করা, সেটা সরকার করে দিয়েছে।
এ সময়ে মাতারবাড়ি সমদ্রবন্দরের কারণে সামুদ্রিক বাণিজ্যের দুয়ার ও সম্ভাবনা খুলে গেছে বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর হবে। এটি ছোটোবেলা থেকে শুনে এসেছি, হয়নি। এবার সত্যিকার অর্থে গভীর সমুদ্রবন্দর মাতারবাড়িতে হয়েছে। এটি আমাদের সামুদ্রিক বাণিজ্যের বিশাল দুয়ার খুলে দিয়েছে। সেখানকার পুরো এলাকা বদলে গেছে। কক্সবাজার শহর বদলে গেছে। এভাবে দেশের প্রতিটি শহর ও গ্রাম বদলে গেছে। মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দরেরই একটি অংশ। গতকালকের অনুষ্ঠান চট্টগ্রাম বন্দরের আয়োজনেই হয়েছে।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন এই উন্নয়ন করে যাচ্ছেন, তখন দেশ ধ্বংসের জন্য পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে জনগণের ওপর। তারা কোনো উন্নয়ন দেখতে পান না। এই ধ্বংস ও পেট্রোল বোমার বিরুদ্ধে সবাই মিলে সোচ্চার হলে আমি মনে করি, এগুলো বন্ধ হবে,’ বলেন হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: হামলার দায় ফেসবুক এড়াতে পারে না: তথ্যমন্ত্রী
গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পোশাক শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
রবিবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির কর্মীরাই গার্মেন্টস শ্রমিকদের উসকে দিচ্ছে। সব দিকে ফেল করে গার্মেন্টস খাতে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: সব দল সম্পৃক্ত করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করছি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এর আগেও গার্মেন্টস কর্মীদের বেতন বাড়িয়েছেন, আবার বেতন বাড়িয়েছেন। গার্মেন্টস সমস্যা মালিক সমাধান করবে।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, জাতিসংঘের এমন বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, এ কথা সঠিক নয়। তারা ২৮ তারিখ একজন পুলিশকে হত্যা করেছেন, অনেককে আহত করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সঠিক কাজ করছেন। নেত্রীকে পিটানো, বিচারপতির বাড়িতে হামলা, পুলিশকে হামলা এসব ঘটনা ভিডিও দেখে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
এদিকে বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিয়ে মুক্তি দিতে, জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাজা স্থগিত করে বাসায় রেখে চিকিৎসা ব্যবস্থা করে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিদেশ গেলে কী হবে জানি না। তবে বিদেশ থেকে চিকিৎক আনার সুয়োগ করে দিয়ে সর্বোচ্চ চিকিৎসার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করলে, নির্বাচনে আসবে কি না তাদের বিষয়।
মন্ত্রী বলেন, গাড়ি-ট্রেন সব চলছে, মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করছে। এ ছাড়া যারা পেট্রোলের বোতল নিয়ে ঘুরছে তাদের জনগণই প্রতিহত করবে।
ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করে দেওয়ার পরেও তৈরি পোশাক শিল্পে অস্থিরতা চলছে- এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ মজুরি বাড়িয়েছেন। শ্রম মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ী পোশাক ব্যবসায়ীরা এই বেতন বাড়িয়েছেন। ৮ হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করেছেন।
তাদের মনে অনেক সংশয় আছে বলে আমরা শুনতে পেয়েছি যে সেকেন্ড গ্রেড, থার্ড গ্রেড- এগুলোর কী হবে? গার্মেন্টেসের মালিকপক্ষ এগুলোর সমাধান করে দেবেন। তারাও তো ব্যবসা করেন।
আগুন, ভাঙচুর কিংবা রাস্তা অবরোধ করে এই সমস্যার সমাধান হবে না বলেও জানিয়েছেন আসাদুজ্জামান খান।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই সংলাপে উৎসাহ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, সবচেয়ে প্রণিধানযোগ্য হচ্ছে, বিক্ষোভের যেসব ভিডিও ফুটেজ পাচ্ছি, তাতে দেখা যাচ্ছে- এরা সবাই বিএনপির কর্মী। কুষ্টিয়ার এক বিএনপির নেতা কোণাবাড়িতে এসে গার্মেন্টস কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করছিলেন। এভাবে যারা ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন কিংবা ধরতে পেরেছি, তারা সবাই বিএনপির কর্মী বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।
তারা নিরীহ শ্রমিকদের ইন্ধন দিচ্ছেন, তাদের জড়ো করছেন। সব জায়গায় ব্যর্থ হয়ে এই জায়গায় এসে সফলতা পাওয়া যায় কি না, তারই একটা ব্যবস্থা তারা করতে চাচ্ছেন।
আমি মনে করি, শ্রমিকদের যদি আরও কিছু দাবি থাকে, তাহলে তা বিজিএমই’র নেতাদের সঙ্গে বসে ফয়সালা করা যাবে। সেগুলো না করলে নিজেদের ও দেশের ক্ষতি হচ্ছে বলে তাদের চিন্তা করা উচিত।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের সেরা হাসপাতাল থেকে তিনি চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন এবং বিদেশ থেকেও বিশেষজ্ঞরা এসে তাকে চিকিৎসা দিচ্ছেন। কাজেই চিকিৎসার ঘাটতি হচ্ছে বলে আমার মনে হচ্ছে না।
কয়েকদিন পর আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল হবে। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে অবরোধের নামে গাড়ি পোড়ানো হচ্ছে, এ নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে।
নির্বাচন পর্যন্ত কী এভাবে চলতে থাকবে, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি তো সেটা বলিনি। আমি বলেছি, তাদের চরিত্রই এমন। তারা সবসময়ই সন্ত্রাস ডেকে ষড়যন্ত্র করে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে এসব কর্মসূচি দিচ্ছে।
আমি কয়েকটি উদহারণও দিয়েছি। সময়মতো নির্বাচনের ডাক দেবে নির্বাচন কমিশন, সবাই সেখানে অংশ নেবেন। এমনটিই জনগণের প্রত্যাশা।
আমরা এখনো বলি, তারা নির্বাচনে আসবেন, নির্বাচন ছাড়া সরকার পাল্টানোর আর কোনো সুযোগ নেই। কাজেই নির্বাচনে তাদের আসতে হবে, যদি সরকার পরিবর্তন করতে চায়।
যারা জ্বালাও-পোড়াও করছেন, তাদের খুঁজে খুঁজে বের করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ দেশের জনগণও যথেষ্ট সজাগ হয়েছে। জনগণও তাদের ধরিয়ে দিচ্ছে। আমরা অনেক জায়গায় দেখেছি, যারা পেট্রোলের বোতল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছেন, তাদের জনগণ ধরিয়ে দিচ্ছেন। জনগণ যখন ঘুরে দাঁড়াবে, তখন এগুলো অটোমেটিক (এমনি এমনি) বন্ধ হয়ে যাবে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা কারাগারে, এ অবস্থা থাকলে তারা নির্বাচনে আসবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে আসবেন কি- আসবেন না, এটা তাদের এখতিয়ার। আমাদের কথা হচ্ছে, ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ ঘিরে লঙ্কাকাণ্ডের আগে আমরা বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীদের ধরিনি। সেখানে যখন নৃশংসতা ও বর্বরতা চলছে, তখন তারা মঞ্চে বসে ছিলেন। তারা তো দুঃখ প্রকাশ করতে পারতেন জাতির উদ্দেশ্যে যে আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু কর্মী এসব করেছে। এটা আমাদের কাম্য ছিল না।
কিন্তু দুঃখ প্রকাশের পরিবর্তে তারা অব্যাহত হরতালের ডাক দিয়েছেন। একজন বাসের হেল্পার শুয়ে ছিলেন, বাস পাহারা দিচ্ছিলেন, তাকেসহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বাসটি।
এতে কী প্রমাণ হয়? বিএনপির বড়ো বড়ো নেতারা কী দায় এড়াতে পারবেন?
তারা বলতে পারতেন- তোমরা বাসে আগুন দিও না, তোমরা এই মানুষ হত্যা কর না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, তারা এসব থেকে বিরত থাকবে বলেই আশা করছি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরাতে এসওপি হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী