বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের স্মার্ট কলসেন্টারের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু
আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের স্মার্ট কলসেন্টার।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয় বলাকায় কলসেন্টারের শর্ট কোড ১৩৬৩৬ নম্বরে কল করে উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব শফিউল আজিম।
এই কল সেন্টারের মাধ্যমে যাত্রীরা বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ১৩৬৩৬ নম্বর থেকে ‘বিমান’ সম্পর্কিত সকল ধরনের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। একই সঙ্গে ০৯৬১০৯-১৩৬৩৬ নম্বরে ডায়াল করে দেশের বাইরের যাত্রীরা কল সেন্টার থেকে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও বলেন, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শুরু করা এই কলসেন্টারটি এখন প্রথম ধাপে আছে। শিগগিরই আউটসোর্সের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পার্ট-টাইম নিয়োগ দেওয়া, পৃথক স্থাপনায় কলসেন্টার স্থানান্তরসহ বিভিন্ন আধুনিক ফিচারের সংযোজনের মাধ্যমে স্মার্ট কলসেন্টারটিকে অধিকতর যাত্রীসেবা দেওয়ার উপযোগী করে তোলা হবে।
আরও পড়ুন: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
অনুষ্ঠানে ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নির্বাহী পরিচালকরা, সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স ‘বিমান’। প্রতিষ্ঠার পরপরই তৎকালীন বিটিটিবির (বর্তমান বিটিসিএল) সহযোগিতায় মতিঝিল কার্যালয়ে ‘টেলিফোন সেলস অ্যান্ড সার্ভিস’ চালু করে যা স্বাধীন বাংলাদেশে ‘কল সেন্টার’ সেবা প্রণয়নের পথিকৃৎ।
আরও পড়ুন: জি টু জি পদ্ধতিতে বাংলাদেশ বিমানের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী কানাডা
বিমানের নতুন গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইক্যুইপমেন্ট কমিশনিং ও যানবাহন প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইক্যুইপমেন্ট কমিশনিং ও যানবাহন প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যানবাহন বিভাগ সোমবার (১১ মার্চ) এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
এদিকে বিমানের অপারেশনাল ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কার্যক্রমের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অধিকতর উন্নয়ন করতে নতুন যানবাহন ও জিএসই সরঞ্জাম কেনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেলা উপলক্ষে বিমানের সব আন্তর্জাতিক রুটের টিকেটে ১৫ শতাংশ মূল্য ছাড়
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এবং অতিরিক্ত সচিব শফিউল আজিম আনুষ্ঠানিকভাবে জাপানের তৈরি আধুনিক ১৮টি ব্র্যান্ড নিউ এয়ারক্রাফট কার্গো ও ব্যাগেজ টো-ট্রাক্টর, দুইটি অত্যাধুনিক এয়ারক্রাফট পুশ-ব্যাক টো-ট্রাক্টর এবং নতুন কেনা সেডান ভিআইপি কারগুলোর কমিশনিং করেন।
এদিকে জিএসই বিভাগের অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতায় জাপানের টয়োটা টুসু করপোরেশনের তৈরি ১৮টি ব্রান্ড নিউ এয়ারক্রাফট কার্গো ও ব্যাগেজ টো-ট্রাক্টর জিএসই বহরে সংযোজিত হওয়ায় গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কার্যক্রম আরও উন্নত হবে বলে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যানবাহন বিভাগ।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো ফ্লাইট পরিচালনার সব দায়িত্ব পালন করলেন বিমানের নারীরা
প্রথমবারের মতো ফ্লাইট পরিচালনার সব দায়িত্ব পালন করলেন বিমানের নারীরা
নারী দিবস উপলক্ষে প্রথমবারের মতো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করলেন নারীরা। ঢাকা-দাম্মাম রুটে ওই ফ্লাইটের পাইলট থেকে শুরু করে গ্রাউন্ড স্টাফ সবাই ছিলেন নারী।
দক্ষতা আর পেশাদারিত্বের অসামান্য অবদান রাখা নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এদিন ফ্লাইট পরিচালনার সব বিভাগের দায়িত্ব পালন করেছেন নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শুক্রবার (৮ মার্চ) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-দাম্মাম রুটের বিজি-৩৪৯ ফ্লাইটটি পাইলট হিসেবে পরিচালনা করেন বিমানের সিনিয়র নারী ক্যাপ্টেন আলিয়া মান্নান ও ফার্স্ট অফিসার ফারিহা তাবাসসুম। এছাড়াও ফ্লাইটের ক্রুদের ব্রিফিং, চেক-ইন কাউন্টার, ফ্লাইট কভারেজ, কেবিন ক্রু ও ককপিট ক্রু হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন নারী।
আরও পড়ুন: রন্ধন দক্ষতায় নারী ক্ষমতায়নে কাজ করছেন শেফ জাহিদা বেগম
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিমের (অতিরিক্ত সচিব) নির্দেশনায় এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন), মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ), মহাব্যবস্থাপক (গ্রাহক সেবা), প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে নারীরা দায়িত্বরত।
বিমানে ১৫ জন অভিজ্ঞ নারী পাইলট রয়েছেন যা পুরুষ ও নারী পাইলটদের আন্তর্জাতিক গড় ৬ শতাংশের প্রায় দ্বিগুণ (১০.৪)। এছাড়াও রয়েছে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ ৩৪৫ জন নারী কেবিন ক্রু।
আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নয়: জবি ভিসি
গ্রাউন্ড স্টাফ, নারী প্রকৌশলী, নারী প্রকৌশল ইনস্ট্রাক্টরসহ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সব শাখায় নারী কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিমানের অতিরিক্ত ফ্লাইট
সুদান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ২৬২ বাংলাদেশি
সংঘাত কবলিত সুদান থেকে সৌদি আরবে আশ্রয় নেওয়া ২৬২ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে আজ (শুক্রবার) মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে এনেছে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
শুক্রবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে বিমানের ফ্লাইট বিজি৩৩৮ এর মাধ্যমে মদিনা থেকে ২৩৯ জন এবং দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে বিজি১৩৬ এর মাধ্যমে জেদ্দা থেকে ২৩ জন দেশে পৌঁছেছেন।
দেশে ফেরার পর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বিমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর পক্ষ থেকে তাদেরকে স্বাগত জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, বিমান পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম (অব.), বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর পরিচালক প্রশাসন ও মানবসম্পদ যুগ্মসচিব মো. ছিদ্দিকুর রহমানসহ আইওএম এর প্রতিনিধিরা।
গত ৮ মে থেকে এ পর্যন্ত মোট ৪৪৯ জনকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে বিমান। ৮ মে ১৩৬ জন এবং ১১ মে ৫১ জন সুদান প্রবাসীকে দেশে ফিরিয়ে আনে এয়ারলাইন্সটি।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে জেদ্দা হয়ে দেশে ফিরেছেন ৫১ প্রবাসী বাংলাদেশি
যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে জেদ্দায় পৌঁছেছেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি
ঢাকা-গুয়াংজু রুটে বিমানের ফ্লাইট চালু
শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে চীনের গুয়াংজু শহরের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চালু করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহির্গমন টার্মিনালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
উদ্বোধনকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমান একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বিমানের আর্থিক অবস্থা ভালো। সামনে আরও ভালো অবস্থানে যাবে বলে আশা করছি। বিমানের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত আন্তরিক।
আরও পড়ুন: ৪১৯ যাত্রী নিয়ে সিলেট থেকে হজের প্রথম ফ্লাইট ছাড়লো
তিনি বলেন, ঢাকা-গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট চালুর ফলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের চীনে যাতায়াতের সমস্যা দূর হবে। বর্তমানে ফ্লাইটের ফ্রিকোয়েন্সি কম থাকলেও অদূর ভবিষ্যতে এই ফ্রিকোয়েন্সি আরও বৃদ্ধি পাবে। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা ও যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি এই রুট বিমানের অন্যতম লাভজনক রুটে পরিণত হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. যাহিদ হোসেন এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
আরও পড়ুন: ঢাকা-তাসখন্দ রুটে ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত
উদ্বোধনের পর স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে ২২৯ জন যাত্রী নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে ফ্লাইট বিজি-৩৬৬ স্থানীয় সময় বিকাল পৌনে ৫টায় চীনের গুয়াংজু বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। ফিরতি ফ্লাইট বিজি-৩৬৭ ঐদিনই গুয়াংজু বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টায় উড্ডয়ন করে ঢাকায় পৌঁছাবে রাত সাড়ে ৯টায়।
উড়ন্ত বিমানে মাঝ আকাশে বিয়ে!
কানাডা প্রবাসী দুই ভ্রমণপিয়াসু ঠিক করেছেন দেশে ফিরে বিয়ে করবেন। তবে একটু ভিন্নভাবে, উড়ন্ত বিমানে বিয়ে করবেন তারা। সে পরিকল্পনা অনুযায়ী রবিবার (২৯ মে) ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে বিয়ে করলেন তারা।
পাত্রের নাম খায়রুল হাসান ও পাত্রীর নাম সাউদা বিনতে সানজিদা। বিমানে বিয়ে পড়ানোর কাজীসহ দুই পরিবারের ১৬ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন মাঝ আকাশের বিয়েতে।
সোমবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ বিমানের পাবলিক রিলেশন অফিসার তাহেরা খন্দকার।
তিনি বলেন, হ্যাঁ, রবিবার ঢাকা থেকে সিলেটগামী বিমানে বিয়ের আয়োজন ছিল। বিষয়টি আমরা বিস্তারিত জানাবো গণমাধ্যমকে।
আরও পড়ুন: বিয়ের দাওয়াত না দেয়ায় হামলার অভিযোগ
জানা গেছে, রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর নিয়মিত ফ্লাইট বিজি ৬০৩-তে করে ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে বিয়ে হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর সহযোগিতায় বাংলাদেশে এটিই প্রথম বিমানে বিয়ের ঘটনা।
মাঝ আকাশে বিমানে বিয়ে সম্পর্কে পাত্র খায়রুল হাসান বলেন, জীবনের এই স্মরণীয় মুহূর্তটাকে আরও স্মরণীয় করে রাখতে এ উদ্যোগ নিয়েছি। আসলে কানাডায় থেকে বাংলাদেশের রোড ট্রিপ খুব মিস করি। ঢাকা এসে ঘুরেছি। এখন বাকি সময়টাও ঘুরে বেড়াবো।
জানা যায়, ঢাকা থেকে বিমান আকাশে উড্ডয়নের পরপরই বিয়ে পড়ান কাজী ওমর ফারুক। আর এতে দোয়ায় শরীক হন পুরো বিমানের সব যাত্রী।
বিমানে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স থেকে অনুমতি নেয়া হয় একমাস আগে।
আরও পড়ুন: যে কারণে ফণিভূষণের বিয়ের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল
বিয়ের দাবিতে সেনা সদস্যের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান
অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানের ওয়েব চেক-ইন শুরু জুন থেকে
আগামী ১ জুন থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীদের জন্য ওয়েব চেক-ইন সেবা চালু করতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এই সেবা চালু হলে যাত্রী নিজেরাই তাদের পছন্দের আসনসহ ডিজিটাল বোর্ডিং পাশ বের করতে পারবেন। ফলে বিমানবন্দরে বোর্ডিং পাশ সংগ্রহের জন্য যাত্রীদের অপেক্ষার সময় কমে আসবে।
আরও পড়ুন: ওয়েবসাইটে বিমানের টিকিট ক্রয়ে ১০ শতাংশ ছাড়
বিমানের ওয়েবসাইট www.biman-airlines.com-এ গিয়ে ওয়েব চেক-ইন এর জন্য নির্ধারিত অপশন থেকে ফ্লাইট ছাড়ার পূর্ববর্তী সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টা ও সর্বনিম্ন ৩ ঘণ্টার মধ্যে ওয়েব চেক-ইন করা যাবে। তবে যদি কোনো যাত্রী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিটার্ন ফ্লাইটে ভ্রমণ করেন সেক্ষেত্রে প্রথম যাত্রা সমাপ্তির পর রিটার্ন যাত্রার জন্য পুনরায় ওয়েব চেক-ইন করতে হবে। ওয়েবসাইট থেকে ওয়েব চেক-ইন সম্পন্নের পর প্রাপ্ত ডিজিটাল বোর্ডিং পাশ বিমানবন্দরের ওয়েব চেক-ইন কাউন্টারে দেখিয়ে অথবা প্রিন্ট করে জমা দিয়ে বোর্ডিং কার্ডের হার্ডকপি সংগ্রহ করতে হবে।
যাত্রীদেরকে ফ্লাইট ছাড়ার সর্বনিম্ন এক ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরের ওয়েব চেক-ইন কাউন্টারে ব্যাগেজ জমা দিতে হবে এবং বোর্ডিং কার্ডের হার্ডকপি সংগ্রহ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘গুড বাই বাংলাদেশ’ লিখে ঢাকা বিমানবন্দরে ধরা খেলেন এক ব্যক্তি
প্রসঙ্গত, ওয়েব চেক-ইনের পাশাপাশি সাধারণ চেক-ইন ব্যবস্থাও চালু থাকবে। অভ্যন্তরীণ রুটের পাশাপাশি ১ জুলাই থেকে পর্যায়ক্রমে আন্তর্জাতিক রুটেও ওয়েব চেক-ইন ব্যবস্থা চালু করা হবে।
অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে যাত্রী সেবার মান বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: বেবিচক
দেশের সকল অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধিসহ আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সাতটি বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি যাত্রী সেবার মান বাড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়াও কক্সবাজার, রাজশাহী, সৈয়দপুর, নীলফামারী এবং বরিশালে অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর রয়েছে।
আরও পড়ুন: অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা জোরদারে গুরুত্বারোপ: সরকারি নথি
পর্যায়ক্রমে সব অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে আধুনিকায়ণের পদক্ষেপ
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিজুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সাতটি বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোতে যাত্রী সেবার মান বাড়ানোর কাজ চলছে।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে যাত্রী সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ টার্মিনালের কাজ শুরু হয়েছে, যা দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্প্রসারণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। এছাড়া বাকি সবগুলোতেই দ্রুত সময়ে কাজ শুরু হবে।
চেয়ারম্যান বলেন, শাহজালালের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরগুলোর অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল ভবনগুলো একইভাবে সম্প্রসারণ করা হবে এ জন্য একটি বাজেট ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নেয়া হয়েছে।
এছাড়াও কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রূপান্তরের কাজ চলছে। ওই কাজের অংশ হিসেবে সেখানে অভ্যন্তরীণ টার্মিনালকে আরও আধুনিকায়ন করা হবে।
বেবিচক জানায়, অভ্যন্তরীণ যাত্রীদের চাপ সামাল দেয়ার পাশাপাশি সেবার মান বাড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শাহজালালের অভ্যন্তরীণ পুরনো টার্মিনাল ভবনের দ্বিতীয় তলায় ৮ হাজার বর্গফুটের একটি ফ্লোর তৈরি করা হচ্ছে। ওই ফ্লোরের অর্ধেক অংশ জুড়ে থাকবে দুটি আন্তর্জাতিক মানের লাউঞ্জ। আর বাকি অর্ধেক জায়গায় থাকবে যাত্রীদের বসার ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুবিধা। থাকবে লিফটসহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা।
তিনি আরও জানান, শাহাজালাল বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীন টার্মানালে আধুনিক স্ক্যানিং মেশিন নিরাপত্তা সরঞ্জাম, আন্তর্জাতিক মানের দুটি লাউঞ্জ, ৩০০ অধিক যাত্রী বসার ব্যবস্থা, স্মোকিং রুম, ডায়াপার চেঞ্জিং স্টেশন, মাদার্স কর্নার স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ৩০ স্বর্ণের বার জব্দ, বিমানের নিরাপত্তা কর্মীসহ আটক ২
অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে চাপ বাড়ছে
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমানচলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ইউএনবিকে বলেন, বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিমানবন্দরে যাত্রী সেবার মান বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সকল অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলো আরও আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের বিদ্যমান যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থার মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য হারে যাত্রী প্রতিনিয়তই বাড়ছে। দেশের মানুষ এখন অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নত হয়েছে। বিদেশি, ব্যবসায়ী, পর্যটক সময় বাঁচাতে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে বেশি যাতায়ত করছে ফলে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেজন্যই আমরা সকল অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের কাজগুলোতে গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্প হাতে নিয়েছি।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে যাত্রী সংখ্যা প্রচুর হওয়ায় ঢাকায় অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে যাত্রীদের অপেক্ষমাণ সময় আরও স্বাচ্ছন্দবোধসহ সকল সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সকল অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোকে ঢেলে সাজানো হবে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দেরের সকল সুবিধা অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দেরে কীভাবে করা যায় আমরা সে উদ্যোগ নিয়েছি।
বেবিচক জানায়, অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আপডেট করা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে অপরাধ ঠেকাতে নিরাপত্তা সরঞ্জাম স্থাপন করা হবে। সব রুটে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে।
পড়ুন: বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
বিমানবন্দর এবং এয়ারলাইন্স উভয় ক্ষেত্রেই সেবার মান উন্নত করা দরকার
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও নভোএয়ার অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করছে। তবে সবচেয়ে বেশি বিমান পরিচালনা করছে ইউএস বাংলা-এয়ারলাইন্স।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স-এর মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ৭-৮ বছরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে প্রায় ৩০০ শতাংশ যাত্রী বেড়েছে। সে অনুযায়ী যাত্রীদের সুবিধা বাড়েনি। যাত্রী সেবার মান আগের অবস্থায় রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, এয়ারলাইন্সগুলো শুধু যাত্রী সেবার মান বাড়ালে হবে না। সাথে এয়ারপোর্টও সেবার মান থাকতে হবে। মোট কথা যাত্রী সেবার মান এয়ারপোর্ট ও এয়ারলাইন্স দুটো মিলিয়েই থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ঢাকা, কক্সবাজার ও রাজশাহীতে যাত্রী লাউঞ্জ স্থাপন করা হয়েছ। তেমনি বাকি সবগুলো অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে যাত্রী লাউঞ্জসহ সকল সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
ফের চালু হচ্ছে সিলেট-চট্টগ্রাম বিমান ফ্লাইট
আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে আবারও সিলেট-চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে বিমানের ফ্লাইট চালু হচ্ছে। এ রুটে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট চলবে বলে জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানায়, আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে শনিবার ও বুধবার সপ্তাহে দু’দিন এ রুটে বিমানের ফ্লাইট চলবে। ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেলা সোয়া ১১টায় ছেড়ে যাবে। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুপুর ১টার দিকে পুনরায় এটি ছেড়ে আসবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিমানের সৌদিগামী সব ফ্লাইট বাতিল
সংস্থাটি জানায়, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ এ রুটে বিমানের ফ্লাইট চালু করা হয়। কিন্তু করোনা মহামারি ব্যাপক আকার ধারণ করায় ফ্লাইট চালুর দুই মাসের মধ্যে একই বছর এপ্রিলে সেটি বন্ধ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে সিলেট নগরীর লতিফ ট্রাভেলসের পরিচালক আজহারুল কবির চৌধুরী সাজু জানান, সিলেট ও চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবসা- বাণিজ্য রয়েছে। দুই অঞ্চলের মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে এ ফ্লাইট ভূমিকা রাখবে। এটি বিমানের লাভজনক রুট।
তিনি জানান, এ রুটে ফ্লাইটের সর্বনিম্ন ভাড়া চার হাজার ২০০ টাকা।
আরও পড়ুন: ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শান্তিরক্ষীদের বহন করল বাংলাদেশ বিমান
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ২ নভেম্বর থেকে সিলেট-কক্সবাজার-সিলেট রুটে বর্তমানে বিমানের ফ্লাইট অপারেট হচ্ছে। ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর থেকে এই রুটে ফ্লাইট চালিয়ে আসছিল বিমান। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ও সারা দেশে সরকারি বিধিনিষেধ জারির কারণে এপ্রিল থেকে ফ্লাইট বন্ধ ছিল। এরপর গত নভেম্বরে এ রুটে আবারও ফ্লাইট চালু হয়। এ ফ্লাইটের সর্বনিম্ন ভাড়া চার হাজার ৫০০ টাকা।
২৯ মে সৌদি আরবে বিমান ফ্লাইট শুরু
সৌদি আরবে হোটেল কোয়ারেন্টাইন প্যাকেজ সুবিধার সাপেক্ষে আগামী ২৯ মে থেকে ফ্লাইট চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ দপ্তরের উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রবিবার এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: সৌদিগামী বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট ৫ দিন স্থগিত
এতে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সৌদি আরবে হোটেল কোয়ারেন্টাইন প্যাকেজ সুবিধা নিশ্চিত করণ সাপেক্ষে আগামী ২৯ মে থেকে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে। সৌদিগামী যাত্রীদের হোটেল বুকিংসহ কোয়ারেন্টাইন প্যাকেজ ও বিমানের আসন সংরক্ষণের জন্য নিকটস্থ বিমান সেলস কাউন্টার এ যোগাযোগ করার জন্য বিশেষ অনুরোধ করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিক বিমান পরিসেবা চালু করেছে সরকার
উল্লেখ্য যে ভিসার মেয়াদের উপর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীদের আসন সংরক্ষণ করা হবে।
বিস্তারিত তথ্যে জানতে বিমান সেলস সেন্টার /কাউন্টার বা বিমান ওয়েবসাইটঃ www.biman-airlines.com অথবা
বিমান কল সেন্টারঃ০১৯৯০ ৯৯৭ ৯৯৭ - এ যোগাযোগ করা যাবে।
আরও পড়ুন: ‘কে-নাইন’: ঢাকা বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় অন্যন্য এক বাহিনী
এছাড়া বিমান ফেসবুক আইডিতে যোগাযোগের ব্যবস্তা রয়েছে : https://www.facebook.com/bimanbalaka/?modal=admin_todo_tour