আন্দোলন
আন্দোলন করে আ. লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আন্দোলন করে কোনো দিনই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না। উল্টো ব্যর্থ হয়ে চুড়ান্ত খেলায় বিএনপির বিপর্যয় হবে।
তিনি বলেন, হতাশাযুক্ত নেতা-কর্মীরা ঘরে ফিরে যাবে। আর নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তা দমনে আগের তুলনায় সক্ষমতা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গাপীড়িত এলাকার মানুষও এখন তিন বেলা পেট ভরে খায়: কৃষিমন্ত্রী
মঙ্গলবার সকালে দিনাজপুরে গম ও ভুটা গবেষনা ইন্সটিটিউটে আয়োজিত ৪ দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন শীর্ষক কর্মমালার পাশাপাশি গ্রিন হাউজে গমের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী জাতের উদ্বোধনের সময় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিক্ষোভ পদযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে সরকারের পতন হয়নি, শেখ হাসিনাকে বিদেশে পালাতে হয়নি। শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে জন রায় নিতে বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সংবিধানের বাইরে নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, দেশে অস্তিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বিএনপি চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা চরমভাবে ব্যর্থ হবে এবং হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে বিএনপি তাদের অস্তিত্ব হারাবে।
আরও পড়ুন: আন্দোলন করে আবারও ব্যর্থ হয়ে হতাশ হবেন: বিএনপির উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী
অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য বিএনপি অস্থির হয়ে পড়েছে: কৃষিমন্ত্রী
আসামের বাংলা ভাষা আন্দোলন নিয়ে মাসুদ করিমের তথ্যচিত্র
বাংলা ভাষার আন্দোলন মানেই ১৯৫২ এর ২১শে ফেব্রুয়ারি। শুধু সালাম, রফিক, শফিক, বরকত ও জব্বারের নাম। কিন্তু এর বাইরেও যে বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন, তা বর্তমান প্রজন্মের কাছে অজানাই রয়ে গেছে।
১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন আর আসামের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এক নয়। কেননা, আসামে বহু জাতি উপজাতি ও ভাষাভাষী মানুষের বসবাস। এই সকল মানুষের নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রাজনৈতিক পটভূমি ও সংস্কৃতিগত স্বাতন্ত্র্যও বিদ্যমান।
তাই ১৯৬১ সালের আসামে ভাষা আন্দোলনটি শুধুমাত্র বাংলা ভাষার জন্য নয়। ওখানে মনিপুরী, গারো ছাড়াও অন্যান্য ভাষার আন্দোলনকারীও ছিলেন।
তবে ১৯৬১ সালের ১৯ মে ভাষা আন্দোলনের জন্য যারা আসামের কাছাড় জেলার শিলচর রেলওয়ে স্টেশানে প্রাণ হারান, তারা সবাই বাঙালি ছিলেন। বিষয়টি আরও আলোচিত হয় কমলা ভট্টাচার্যের কারণে। কারণ তিনিই বিশ্বে প্রথম নারী ভাষা শহীদ। সে আলোকে আসামের ভাষা আন্দোলন একটি গুরুত্ব বহন করে।
তাই আসামে বাংলা ভাষার জন্য পৃথকভাবে একটা ইতিহাস তৈরি হয়, যার অবদান বাঙালিদেরই বেশি। কেননা ১১ জন শহীদের বেশিরভাগের আদি নিবাস ছিল অধুনা বাংলাদেশের সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মুন্সীগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে।
আরও পড়ুন: ইলন মাস্ককে নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করছেন অস্কার বিজয়ী অ্যালেক্স গিবনি
আসামের ভাষা আন্দোলন নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্যচিত্র এখনও তৈরি করা হয়নি। প্রথমবারের মত আসামের ভাষা আন্দোলনের গবেষণামূলক তথ্যচিত্র ‘আসামের বাংলা ভাষা আন্দোলন’- নির্মাণ করছেন বাংলাদেশের তথ্যচিত্র নির্মাতা মাসুদ করিম।
ঠিক কোন প্রেক্ষাপটে এই ভাষা আন্দোলন সৃষ্টি হয় তা জানা যাবে এই তথ্যচিত্রে। আসামের ভাষা আন্দোলনটি কোনো রাষ্ট্রভাষার আন্দোলন ছিল না। শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে মায়ের ভাষায় কথা বলার দাবি ছিল।
তথ্যচিত্রে কমলার চরিত্রে অভিনয় করেছেন হালের চলচ্চিত্রের ও টেলিভিশনের নায়িকা নিঝুম রুবিনা। কমলার মায়ের ভূমিকায় বিশিষ্ট অভিনেত্রী শিরন আলম এবং কমলার সেজদির ভূমিকায় অভিনয় করেন মনিষা শিকদার।
বাংলাদেশের বাইরে কলকাতায় আংশিক চিত্রগ্রহণ করা হয় এবং তাতে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক পবিত্র সরকার, উনিশে মে পত্রিকার সম্পাদক শান্তনু গঙ্গারিডিসহ কমলা ভট্টাচার্যের ভাইঝি বর্ণালী ভট্টাচার্য কমলার কিছু অপ্রকাশিত তথ্য প্রকাশ করেন।
শিলচরে মূল্যবান সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয় আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচার্য, শিলচর ভাষা শহিদ স্টেশন আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ডা. রাজীব কর, উনিশের গবেষক নীহার রঞ্জন পাল, এ্যাডভোকেট ইমাদ উদ্দিন বুলবুল, করিমগঞ্জ এর দিলীপ কান্তি লস্কর এবং ভাষা শহিদ পরিবারের সমস্যদের সাক্ষাৎকার যুক্ত করা হয়।
আগামী বছরের ১৯শে মে আসামের শিলচর, আগরতলা, কলকাতা ও ঢাকায় একযোগে এই তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী হবে।
সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নের মাসুদ করিম এই তথ্যচিত্র নির্মাণ করছেন।
উল্লেখ্য, মাসুদ করিম ২০১৫ সালে ভারতের প্রখ্যাত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক অনিসুজ্জামান এবং ২০২০ সালে অমর একুশের গীতিকার আবদুল গাফফার চৌধুরীর জীবন ও কর্মভিত্তিক তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর কলকাতার জীবন নিয়ে নির্মাণ হচ্ছে তথ্যচিত্র ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’
তথ্যচিত্রে সালমানের জীবন
১৬ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ইবি কর্মকর্তাদের আন্দোলন
অবসরের বয়স বাড়ানো এবং ওয়ার্ড কোটায় সন্তানদের ভর্তির নীতি প্রণয়নসহ ১৬ দফা দাবিতে কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) টানা দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তারা।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আওতাধীন প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেন।
তাদের ১৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-
অবসরের বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬২ বছর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছাত্র-ছাত্রীদের ওয়ার্ড কোটায় ভর্তির জন্য অবিলম্বে উদ্যোগ নেওয়া প্রভৃতি।
কাজ বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ জন্য তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে তাদের সার্টিফিকেট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে পারেননি।
আরও পড়ুন: ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগ নেত্রীসহ ৫ জন বহিষ্কার
অনেক শিক্ষার্থী জানান, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মবিরতির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা। তারা একের পর এক ভোগান্তির শিকার হলেও সমস্যার সমাধানে কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী তানজিলা আক্তার বলেন, গত দুই দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিস থেকে সার্টিফিকেট ও অন্যান্য কাগজপত্র নেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এক পর্যায়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সংগঠনের ডাকা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি কর্মসূচির কারণে সার্টিফিকেট পাওয়ার আশা হারিয়ে ফেলেন।
শনিবার একই মাঠে ইবি’র বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা এক বৈঠকের আয়োজন করেন। পরে তারা ক্যাম্পাসে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুত বলেন, ঘোষণার অংশ হিসেবে তারা কর্মবিরতি পালন করেছেন।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম ইউএনবিকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একের পর এক দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে আমাদের বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে।
ইবি’র উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম জানান, শিগগিরই কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
এদিকে রবিবার রাতে কুষ্টিয়া ক্যাম্পাসে ইবি’র ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সিন্ডিকেটের সদস্য সচিব এইচএম আলী হাসানকে ছাড়াই ২৬১তম সিন্ডিকেট সভা হয়। অফিসাররা তাকে তার অফিসে আটকে রাখে।
আরও পড়ুন: ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের সাবেক ৫ নেতা-কর্মীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
ফুলপরীকে নির্যাতন: ইবির পাঁচ ছাত্রীকে নতুন করে শাস্তি আরোপের নির্দেশ হাইকোর্টের
আন্দোলনের নামে যা খুশি তাই করলে সমুচিত শিক্ষা দেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন বানচালের পায়তারা করছে, আন্দোলন করছে নির্বাচন করতে দেবে না বলে।
তিনি বলেন, বিএনপি ২০১৩-১৪ সালে আগুন সন্ত্রাস ও হরতাল দিয়ে তাণ্ডব সৃষ্টি করেছিল। এবারও আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাস, হরতাল ও যা খুশি তাই করতে চাইলে, তাদের সমুচিত শিক্ষা দেওয়া হবে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকালে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দুঃস্থ, অসহায় ও যুব মহিলাদের মাঝে ঢেউটিন, নগদ অর্থ ও সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, সংবিধানের আলোকে নির্বাচন হবে। বিএনপিকে নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় আসতে হবে।
তিনি বলেন, একসময় এদেশে ছনের-খড়ের-পাটকাঠির ঘরই বেশি ছিল, আবার এসব ঘর নির্মাণেও অনেকের সামর্থ্য ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভাবনীয় উন্নয়নের ফলে ছন-খড়-পাটকাঠির ঘর আজ প্রায় দেখাই যায় না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে দেশের একটি মানুষও ঘরহীন থাকবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের ১০ ভাগ মানুষের ঘর-বাড়ি নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে কেউ ঘরহীন, ভূমিহীন থাকবে না। তিনি গৃহহীনদের পর্যায়ক্রমে জমিসহ পাকা ঘর করে দিচ্ছেন। আগামী ২ বছরের মধ্যে কেউ ঘরহীন থাকবে না।
আরও পড়ুন: অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য বিএনপি অস্থির হয়ে পড়েছে: কৃষিমন্ত্রী
বছরে চার ফসলের সম্ভাবনা জাগাচ্ছে ব্রি৯৮ আউশ ধান: কৃষিমন্ত্রী
আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে শোক মিছিল করেছে বিএনপি: কাদের
ঢাকা, ২৫ আগস্ট (ইউএনবি)- আন্দোলন করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বিএনপি শোক মিছিল করছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা, নৈরাজ্য ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার আয়োজনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে এক শান্তি সমাবেশে বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনে ব্যর্থতার পর বিএনপি শোক মিছিল করছে। দলটি অলস বসে থাকার স্বপ্ন দেখে, নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতির আতঙ্ক ছড়ায়।’
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ২১ নেতা বহিষ্কার
আ.লীগ নেতা বলেন, আ.লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে এমন কোন রাজনৈতিক শক্তি নেই যে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারবে।
বিএনপি কেন কালো পতাকা মিছিল করছে এবং তাদের কোনো নেতা মারা গেছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে পোস্ট: কিশোরগঞ্জে ছাত্রলীগের ৭ নেতাকে অব্যাহতি
তিনি আরো বলেন, এখন বিএনপি নেতারা শোক মিছিল বের করে আন্দোলনকে ধ্বংস করছে।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য দেন।
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টন ও শ্যামলী এলাকায় কালো পতাকা হাতে পৃথক দুটি মিছিল বের করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা তাদের এক দফা দাবির মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়েছে জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
এক দফা আন্দোলন: বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখার বিশাল মিছিল
চলমান এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর বাড্ডা ও কমলাপুর স্টেডিয়াম এলাকা থেকে মালিবাগের দিকে পৃথক দুটি মিছিল নিয়ে আসে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা।
বিরোধী দলের এক দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেই এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান।
এদিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার মিছিলের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কর্মসূচি শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সরকার দমনমূলক কর্মকাণ্ড ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের আন্দোলনকে দমন করার চেষ্টা করছে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকার কোনোভাবেই আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে পারবে না। ‘কোনোকিছুই এবার আমাদের দমাতে পারবে না।’
ফখরুল বলেন, সরকার যাতে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচনের নামে আরেকবার খেলা করতে পারে, তাই নির্বাচন কমিশন (ইসি) দুটি অখ্যাত দলকে নিবন্ধন দিয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ এবার ক্ষমতাসীন দলকে কোনো অন্যায় খেলা খেলতে দেবে না।
আরও পড়ুন: ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করাই আমাদের লক্ষ্য: ফখরুল
আন্দোলনে আপত্তি নেই, জ্বালাও-পোড়াও সহ্য করব না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো আপত্তি নেই। তবে জ্বালাও-পোড়াও সহ্য করা হবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই কোনো জ্বালাও-পোড়াও সহ্য করি না। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু তারা যেকোনো আন্দোলন বা সংগ্রাম করুক তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
সোমবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক (বিপিএএ)-২০২৩ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য কর্মক্ষমতার জন্য ২৮ জন কর্মকর্তা ও দুইটি সরকারি দপ্তরকে পুরস্কার দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, যারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সমর্থন দেয়নি, তাদের মনের শত্রুতা এখনো কাটেনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এটিকে অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছি। তাই বাংলাদেশকে অবশ্যই অগ্রসর হতে হবে।
প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যতদিন জনগণ সরকারের সঙ্গে থাকবে ততদিন বিরোধীদের আন্দোলন-সংগ্রাম দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি কারোর বিষণ্ণ মুখ দেখতে চান না বরং সবাইকে খুশি এবং হাসিমুখে দেখতে চান।
শেখ হাসিনা বলেন, জীবনে সমস্যা থাকা স্বাভাবিক। তবে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে মনোবল ও শক্তি প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমি এটা বিশ্বাস করি যে, এই মনোবল নিয়ে এগিয়ে গেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে “ইনশাআল্লাহ”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার নিম্নবিত্তসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে মানুষের ভোগান্তি শহরাঞ্চলের মতো গ্রামাঞ্চলে ততটা নয়।
প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন। কারণ জনগণের সেবা করা তাদের দায়িত্ব।
সরকারি কর্মকর্তাদের সর্বদা নতুন নতুন উদ্ভাবনের করতে আহ্বান জানান। তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সেসব উদ্ভাবনী কাজে লাগিয়ে দেশকে আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এগিয়ে নিতে বলেন।
তিনি বলেন, তরুণ কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্ভাবনী শক্তি অনেক বেশি। এ ছাড়া এখন নতুন প্রযুক্তির যুগ।
তিনি আরও বলেন, আপনি যখন নিজ নিজ কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করেন, সে সময় চিন্তা করুন কী কী উদ্ভাবন করা যায় এবং কীভাবে দেশকে আরও এগিয়ে নেওয়া যাওয়া যায়।
জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা, মননশীলতা এবং উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করার জন্য ২০১৬ সালে বিভিন্ন বিভাগের অধীনে পুরস্কারটি চালু করা হয়েছিল।
প্রতি বছর ২৩ জুলাই জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস পালিত হয়। কিন্তু জাতিসংঘের খাদ্য সম্মেলনে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ইতালি সফরের তারিখের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় এ বছরের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়নি।
এ পুরস্কার বিজয়ীরা তাদের নামের শেষে বিপিএএ পদবি ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিটি বিজয়ীকে একটি স্বর্ণপদক (১৫ গ্রাম ওজনের) এবং একটি রাষ্ট্রীয় মনোগ্রামসহ একটি প্রশংসাপত্র দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ব্যক্তিগত অবদানের জন্য দেওয়া হয়েছে ২ লাখ টাকা। দলগত অবদানের জন্য দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন- জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএন আশেকুর রহমান ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ২৮ কর্মকর্তা ও ২ প্রতিষ্ঠানকে 'বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পুরস্কার' দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিএনপির ভয়ঙ্কর অগ্নিসন্ত্রাসের রূপ আমরা আবারও দেখলাম: প্রধানমন্ত্রী
আন্দোলনে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে দায় বিএনপিকেই নিতে হবে: কাদের
আন্দোলনের নামে যে কোনো সন্ত্রাস ও সহিংসতার দায় বিএনপিকেই নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের নামে বিএনপি কোনো ধরনের সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ তা মোকাবিলা করবে। কোনোভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নিত হলে এবং জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে তার দায়দায়িত্ব বিএনপিকেই নিতে হবে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘বিভ্রান্তিকর’ ও ‘উদ্দেশ্যমূলক’ রাজনৈতিক বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বুধবার (২৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাস বলে, সন্ত্রাস ও মিথ্যাচারই বিএনপির রাজনীতির প্রধান হাতিয়ার।
আরও পড়ুন: বিএনপির ২৭ তারিখের সমাবেশ ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কা নেই: কাদের
তিনি বলেন, বিএনপি ও তার সহযোগীরা এদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বারবার ব্যাহত করেছে এবং মানুষের মনে ভীতি সৃষ্টি করে জনগণকে জিম্মি করে যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করাই বিএনপির মূল লক্ষ্য।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ধ্বংসকারী বিএনপি নেতারা গণতন্ত্রের মুখোশ পরে জনগণের সামনে দাঁড়িয়েছেন। জনগণ মুখোশের পেছনের মুখগুলো ভালো করেই জানে তাই তারা বিএনপির কোনো আহ্বানে সাড়া দেয়নি এবং ভবিষ্যতেও জনগণের সমর্থন পাবে না।
তিনি বিএনপিকে ষড়যন্ত্রের পথ থেকে ফিরে এসে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বন্ধুদের হাতে এই দেশ ছেড়ে দিব না: কাদের
নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির শর্ত অসাংবিধানিক: কাদের
চট্টগ্রামে কর্মচারীদের আন্দোলনে ৮ ডেমুর যাত্রা বাতিল
চট্টগ্রামে রেলওয়ে রানিং স্টাফ কর্মচারী ইউনিয়ন আন্দোলনের কারণে চালক সংকটে পড়েছে রেলওয়ে। এ কারণে চট্টগ্রামের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ৮টি ডেমু ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।
রবিবার থেকে মাইলেজ ভাতা পেনশনের সঙ্গে যোগ করাসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করেছে সংগঠনটি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী একজন রানিং স্টাফ (চালক, সহকারী চালক, গার্ড, টিকিট চেকার) ট্রেনে দায়িত্ব পালন শেষে তার নিয়োগপ্রাপ্ত এলাকায় (হেডকোয়ার্টার) হলে ১২ ঘণ্টা এবং এলাকার বাইরে (আউটার স্টেশন) হলে ৮ ঘণ্টা বিশ্রামের সুযোগ পান। তবে রেলওয়ের স্বার্থে কোনো রানিং স্টাফকে তার বিশ্রামের সময়ও কাজে যুক্ত করলে বাড়তি ভাতা-সুবিধা দেওয়া হয়। যা রেলওয়েতে মাইলেজ সুবিধা হিসেবে পরিচিত।
আরও পড়ুন: লোকসান সত্ত্বেও বাংলাদেশ রেলওয়ে ডেমু ট্রেন মেরামত করবে
শ্রমিক-কর্মচারী সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, রেলওয়েতে রানিং স্টাফের পদ ২ হাজার ২০০টি। কাজ করেন মাত্র ৯০০ জন। রানিং স্টাফরা অতিরিক্ত কাজ করেই ট্রেন চলাচল সচল রেখেছেন। কিন্তু অতিরিক্ত কাজের মজুরি না পেলে একজন শ্রমিক কেন কাজ করবেন? তাই রবিবার থেকে রানিং স্টাফরা নির্ধারিত কর্মঘণ্টার বাইরে অতিরিক্ত কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে রানিং স্টাফরা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন না করলে রেলওয়ের নির্ধারিত ট্রেনসূচি ভেঙে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। এতে বড় ভোগান্তিতে পড়বেন যাত্রীরা।
রবিবার রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রথম দিনেই চট্টগ্রামের নাজিরহাট ও দোহাজারী রুটে চলাচলকারী ৮টি ডেমু ট্রেনের যাত্রা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এ রুটে যাতায়াত করা শত শত যাত্রী।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জাফর আলম বলেন, লোকাল রুটে কয়েকটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল হলেও আন্তঃনগরসহ গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলোর যাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ্য, আগে ভাতার ৭৫ শতাংশ ‘পার্ট অব পে’ হিসেবে ধরে পেনশনে যোগ হতো। ২০২২ সালে অর্থ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনে জানায়, মাইলেজ ভাতা পেনশনে যোগ হবে না। ভাতার পরিমাণ মাসিক মূল বেতনের বেশিও হতে পারবে না।
এরপর থেকে দফায় দফায় আন্দোলন করছেন রানিং স্টাফরা।
আরও পড়ুন: দেশীয় প্রযুক্তিতে সচল ডেমু ট্রেন চলাচল শুরু
এক দফা আন্দোলনের সফলতা নিয়ে আশাবাদী ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে তাদের পরিকল্পিত এক দফা আন্দোলন সরকারের পতন ঘটাবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব আশাবাদী যে আমরা এই সরকারকে পরাজিত করতে এবং সরকোরের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দিতে এবং আমাদের এক দফা আন্দোলনের মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হব কারণ জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ।’
শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে গণফোরাম ও পিপলস পার্টির একাংশের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে ফখরুল
তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে একটি নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণমুখী সরকার গঠন করা হবে বলেও তাদের দল আত্মবিশ্বাসী।
বৈঠকে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের পরবর্তী করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, তারা কীভাবে এবং কখন এক দফা আন্দোলন শুরু করতে পারে সে বিষয়েও কথা বলেছেন।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না এবং বর্তমান সরকারের অধীনে জনগণ কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না মেনে ক্ষমতা ছাড়ার আগ পর্যন্ত সংলাপ নয়: ফখরুল
তিনি বলেন, এ কারণে আমরা শিগগিরই এক দফা আন্দোলন শুরু করতে যাচ্ছি।
চৌধুরী বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদের আন্দোলনের একটি যৌথ বিবৃতি পেশ করতে এবং তারপর জনগণকে সম্পৃক্ত করে তাদের সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে তারা বিএনপির সঙ্গে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে জনমত তৈরি হয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকেও সহযোগিতা পাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ভোটচোরের নেতৃত্বে বাংলাদেশে আর কোনো ভোট হবে না: শিমুল বিশ্বাস