আন্দোলন
সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার নতুন শপথ নিলেন ফখরুল
কারাগার থেকে বের হওয়ার পরপরই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকার পতন এবং গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে চলমান আন্দোলন জোরদার করার নতুন শপথ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের যতই দমন করবে, ততই মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়বে এবং আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের পরাজিত করবে।’
সোমবার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, তাদের দলের আন্দোলন থেকে পিছিয়ে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা কেবল আমাদের আন্দোলন নিয়ে এগিয়ে যাব এবং আমাদের গ্রেপ্তার হওয়া সকল নেতাকর্মীকে মুক্ত করব। এই শাসনকে পরাজিত করার জন্য আমাদের আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে হবে এবং আমাদের আন্দোলন সফল হবে।’
ফখরুল বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে চান। ‘আসুন আমরা বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্ত করতে এবং গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে এগিয়ে আসি। জেল থেকে বের হওয়ার পর আমরা নতুন করে শপথ নিচ্ছি যে আমরা সফল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতা সৃষ্টির পরিকল্পনা সরকারের ছিল, কিন্তু তারা তা এড়িয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) ভেবেছিল আমরা নয়াপল্টনে আমাদের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ করব এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হব এবং তারা সহিংসতার জন্য আমাদের ওপর দোষ চাপিয়ে রাজনৈতিক খেলা করবে।’
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সরকারকে সহিংসতার সুযোগ না দেয়ায় আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন ফখরুল ও আব্বাস।
বিএনপির কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী এবং দুই দলের শীর্ষ নেতাদের স্বজনরা কারাগারের ফটকে দুজনকে বরণ করে নেন।
কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ফখরুল সরাসরি বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: এক মাস পর কারামুক্ত ফখরুল–আব্বাস
এর আগে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ফখরুল ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাসের জামিনের হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেন।
গত ৪ জানুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনের শুনানির জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন।
ওই মামলায় বিএনপির দুই নেতাকে জামিন দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে একই দিন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
এ মামলায় গত ৩ জানুয়ারি ফখরুল ও আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।
রাজধানীর বহুল আলোচিত সমাবেশের একদিন আগে ৯ ডিসেম্বর পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল পৃথক অভিযান চালিয়ে ফখরুল ও আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।
পরে গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকার একটি আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
বিএনপি অবশ্য ফখরুল ও আব্বাসের অনুপস্থিতিতে সমাবেশের আয়োজন করে এবং বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবি জানায়।
আরও পড়ুন: বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে দুদক: মোশাররফ
সরকার বিরোধী আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হবে: নজরুল ইসলাম খান
বিএনপির ২৭ দফা সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ: আমীর খসরু
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য তাদের দলের ২৭ দফা আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে ‘চলমান আন্দোলনের অংশ’।
তিনি বলেন, ‘আমি বারবার বলে আসছি যে এই ২৭ দফা চলমান আন্দোলনের অংশ। এটা আলাদা নয়।’
রবিবার এক আলোচনায় বক্তব্য দেয়ার সময় এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, ২৭ দফার পেছনের দর্শন হলো জনগণকে বোঝানো যে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কেমন হবে এবং বর্তমান আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে তাদের উৎসাহিত করা।
২৭ দফার তাৎপর্য সম্পর্কে তিনি বলেন, এসব দফা বাস্তবায়ন ছাড়া ভবিষ্যতে দেশ পরিচালনা সম্ভব হবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশকে সংস্কার করতে না পারলে ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই দেশের স্বার্থে আমাদের এই ২৭ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে দুদক: মোশাররফ
জাতীয় প্রেসক্লাবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর ঢাকা উত্তর মহানগর শাখা এবং বিএনপি মিডিয়া সেল যৌথভাবে ‘রাষ্ট্রীয় কাঠামো মেরামত কাঠামোর ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু বলেন, অনেকেই বলছেন বিএনপি যখন সরকার উৎখাতের আন্দোলন করছে, এর মধ্যে আবার কেন ২৭ দফা নিয়ে আলোচনা করছে।
২৭ দফার আলোচনার মাধ্যমে তিনি বলেন, বর্তমান ‘ফ্যাসিবাদী, দুর্নীতিবাজ ও দখলদার’ সরকার ক্ষমতা থেকে সরে গেলে তারা (জনগণ) কী লাভ করবে সে সম্পর্কে তাদেরকে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করছে।
যারা আন্দোলন এবং এর ইতিবাচক ফলাফল নিয়ে এখনও বিভ্রান্ত, তাদেরকে ২৭ দফা পর্যালোচনা করে রাজপথে নামার আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
১৯ ডিসেম্বর বিএনপি ‘রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার’-এর একটি ২৭-দফা রূপরেখা উন্মোচন করেছে।
যাতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য এবং আইনসভার উচ্চকক্ষ প্রবর্তনসহ রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা এবং বিএনপির ‘ভিশন-২০৩০’-এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ‘রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার’-এর রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের 'পূর্বশর্ত' প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ: গয়েশ্বর
সরকার বিরোধী আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হবে: নজরুল ইসলাম খান
বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না বিএনপি: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি আগুন সন্ত্রাস, আন্দোলন, হরতাল, অবরোধ, গণসমাবেশ করে বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। আগামী ১১ তারিখ না, আগামী ডিসেম্বরের ১১ তারিখের মধ্যেও সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না বিএনপি।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আগামী ১১ তারিখ বিএনপি আন্দোলনের নামে যাতে অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগ তৎপর থাকবে। দলের নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ও সরকারকে সহযোগিতা করবে।
আরও পড়ুন: চালের উৎপাদন বাড়াতে গবেষণায় আরও জোর দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বিদেশি বা রাষ্ট্রদূতদের হস্তক্ষেপমূলক তৎপরতা অনেক কমে এসেছে। এক সময় হ্যারিকে, টমাসের মতো অনেক রাষ্ট্রদূতেরা এদেশে নিজেদের কিং বা রাজা মনে করতো, এখন এই পরিস্থিতি নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন ও আর্থিক অগ্রগতির ফলে বাংলাদেশ আজ অনেক মর্যাদাশীল জাতি।
মন্ত্রী বলেন, দেশের রাজনীতি নিয়ে বিদেশিদের কাছে বিএনপির হাত পাতা জাতির জন্য মর্যাদার নয় এবং এটিকে সহজভাবে মেনে নেয়া যায় না।
এর আগে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎকালে দু’দেশের কৃষি, কৃষিযন্ত্রপাতি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, জলবায়ুসহনশীল কৃষি, বায়োটেকনোলজি, ন্যানোটেকনোলজি প্রভৃতি বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার কৃষিযন্ত্রে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। আগামীতে বাংলাদেশে প্রচুর কৃষিযন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে ভারতের কৃষিযন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তাদের ফ্যক্টরি স্থাপন করে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্রপাতি তৈরি ও অ্যাসেম্বল এবং খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরি করতে পারে।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা জানান, ভারতের মাহিন্দ্রসহ অন্যান্য কৃষিযন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে বাংলাদেশে তাদের ফ্যাক্টরি স্থাপন করে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্রপাতি তৈরি ও অ্যাসেম্বল এবং খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরিতে বিনিয়োগ করে সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে ।
এছাড়া, তিনি দু’দেশের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সমঝোতা স্মারকের আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
এসময় কৃষিমন্ত্রী গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ ও পাটবীজের জন্য ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, এবছর ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ এনে দেশে চাষ করে ভাল ফলন পাওয়া গেছে।
এছাড়াও, কৃষিমন্ত্রী বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ, বীজ প্রযুক্তি, কাজুবাদাম, কফিসহ উন্নত জাত ও চারা সরবরাহ, এগ্রো প্রসেসিং, ন্যানোটেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি এবং সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা মোকাবিলা, মাদক ও মানব পাচার রোধ প্রভৃতি ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন বলেও কৃষিমন্ত্রী জানান।
আরও পড়ুন: কৃষি উৎপাদনের কারণেই দেশ অনেকটা স্বস্তিতে: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপির চাওয়ায় নির্বাচন হবে না, দেশও চলবে না: কৃষিমন্ত্রী
সরকার বিরোধী আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হবে: নজরুল ইসলাম খান
বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান সোমবার বলেছেন, ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য জনগণের দাবিকে সরকার দমাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ জেগে উঠেছে এবং তারা আমাদের আন্দোলনে যোগ দিচ্ছে, কারণ তারাও ক্ষমতার পরিবর্তন চায়। যুগে যুগে মানুষের দাবি কেউ দমাতে পারেনি। এই সরকারও তা করতে পারবে না।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে মুসলিম লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি গঠন
তিনি বলেন, জনগণ শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য সেই পরিবর্তন চায়।
নজরুল বলেন, সরকার গত তিন মাসে প্রায় ১৩ বিএনপি নেতা-কর্মীকে হত্যা ও দলের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করলেও বিপুল সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে তাদের দলের প্রতিটি কর্মসূচি সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় এই বিএনপি নেতা বলেন, ১৯৬৯ সালের আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল এবং আমেনা বেগম নামে একজন অজ্ঞাত নেতা দল চালাতেন। সেই আন্দোলনের পর নির্বাচনে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ। সুতরাং, এটা সঠিক ধারণা নয় যে আন্দোলনে জয়ী হওয়া যাবে না, বিরোধী নেতাদের কারাগারে রাখলে ক্ষমতা অর্জন করা যাবে না।’
সরকার জোর করে ক্ষমতায় থেকে ভুল করছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা (আ.লীগ নেতা) জেনেও একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করছে। ক্ষমতা কি মানুষকে এত অন্ধ করে? সব রাজনৈতিক দলই মানুষের জীবনের মতো ভালো-খারাপ সময় পার করে। আমরা আশা করি ক্ষমতাসীন দল বিষয়টি বুঝতে পারবে।’
নজরুল বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলেও বর্তমান সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
ভোট কারচুপি ও রাতে ব্যালট ভরে ক্ষমতা দখলের পর সরকার নিজেকে নির্বাচিত শাসনামল দাবি করে সরকার জনগণের সঙ্গে তামাশা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে এবং স্বাধীনভাবে তাদের ইচ্ছামতো তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ দিতে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নজরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা উন্নয়ন ও মেগা প্রকল্পের নামে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটে লিপ্ত।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন সবারই হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের দেশে তিন/চার বছরে প্রায় ১৩/১৪ হাজার নতুন কোটিপতি তৈরি হয়েছে। এটাকে অগ্রগতি হিসেবে দেখা যায়। কিন্তু এটাও সত্য যে একই সময়ে ৩৫ মিলিয়ন থেকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ দরিদ্র হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: ১০ দফা বাস্তবায়নই বিএনপির নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
ঢাকায় বিএনপিসহ ৩২টি দলের বিশাল শোডাউন সম্মিলিত আন্দোলনে রূপ নেয়
আন্দোলনের মাধ্যমে আ.লীগ সরকারকে উৎখাত করা এত সহজ নয়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা বিএনপি ও অন্যদের পক্ষে সহজ হবে না। তারা সর্বোত্তমভাবে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারে।
তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘কিছুদিন আগে বিএনপি সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করে। এটা কি এত সহজ? বরং, আওয়ামী লীগের ক্ষমতা (এমন আন্দোলন বন্ধ করার)।’
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আলোচনায় সভাপতিত্বকারী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পারে, আইয়ুব খানকে আমরা উৎখাত করেছি। ইয়াহিয়া খানকে যুদ্ধে পরাজিত করে উৎখাত করেছি। জিয়াকে পাই নাই হাতে; কিন্তু জিয়া যখনই যেখানে গেছে- আন্দোলন তো তার বিরুদ্ধে হয়েছে। এরশাদকে উৎখাত করেছি। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে, তাকে উৎখাত করা হয়েছে। আবার ২০০৬ এ ভোট চুরি করেছিল, এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোট করতে চেয়েছিল, সেটাও বাতিল হয়েছে। কাজেই আওয়ামী লীগ পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসলে... হ্যাঁ চক্রান্ত করতে পারবে, ষড়যন্ত্র করতে পারবে। ’
খুনি ও যুদ্ধাপরাধীরা যাতে ক্ষমতায় এসে দেশকে ধ্বংস করতে না পারে সেজন্য সবাইকে বিজয়ী পতাকা সমুন্নত রাখতে এবং সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বিজয়ের এই মাসে বিএনপি কেন সরকার পতনে মরিয়া তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ষড়যন্ত্রের কারণে ২০০১ সালে তার দল ক্ষমতায় আসতে না পারায় বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে দেশের মানুষ চরম দুর্ভোগ সহ্য করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিটি নাগরিকের কম্পিউটার সাক্ষরতা এবং ই-গভর্নেন্স, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার আধুনিকায়নের পাশাপাশি ই-বিজনেস ও ই-কমার্সকে আরও বিকশিত করা হবে।
আরও পড়ুন: আমরা বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী সম্মানসূচক “গ্লোবাল এম্বাসেডর ফর ডায়াবিটিস”-এর উপাধিতে ভূষিত
এনআইডি অনুবিভাগ ইসি’র অধীনে রাখাসহ দাবি আদায়ে সময় বেঁধে দিলেন কর্মকর্তারা
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন অনুবিভাগ নিজেদের অধীনে রাখা ও সবধরনের পদে প্রেষণে পদায়ন বন্ধ করার জন্য আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন একটি সভা করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরে লিখিত সিদ্ধান্তগুলো ইসি সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকেও দিয়েছেন তারা।
এই সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে পরের দিন থেকেই আন্দোলনে নামবেন বলে জানান তারা।
কর্মকর্তাদের দাবিগুলো হলো- এনআইডি সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখা এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সবধরনের প্রেষণে পদায়ন বন্ধ ও শূন্য পদ পূরণে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, কমিশন কর্তৃক প্রস্তাবিত ইভিএম প্রকল্প লজিস্টিকসহ (ওয়্যারহাউজ ও যানবাহন) অনুমোদন ও প্রস্তাবিত সাংগঠনিক কাঠামো দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন করা।
কর্মকর্তারা বলেন, এক্ষেত্রে ওই সকল বিষয়ে আগামী ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে ৫ ডিসেম্বর কালোব্যাজ ধারণ, ৮ ডিসেম্বর অর্ধদিবস ‘কলম বিরতি’ পালন করবেন ইসি কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: স্মার্ট এনআইডি কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করার উপায়
তারা জানান, এছাড়া ওই সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তমতো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। ঘোষিত কর্মসূচি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, এনআইডি, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও মাঠপর্যায়ের সকল পর্যায়ের কার্যালয়ে একযোগে পালন করা হবে। তবে ইতোমধ্যে ঘোষিত নির্বাচনী কর্মযজ্ঞ এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।
বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান ও মহাসচিব রাশেদুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নথির অনুলিপি সাংবাদিকদেরও দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসির নিবন্ধন চায় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি-বিডিপি
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করছে ইসি
আ. লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই এই দল গড়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, আন্দোলন করেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে।
মঙ্গলবার নোয়াখালী শহর ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। এসময় ওবায়দুল কাদের তার রাজধানীর বাসভবন থেকে সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবদের অপপ্রচারের বিপরীতে আমরা গঠনমূলক সত্য প্রকাশ করবো এবং কাজ দিয়ে প্রমাণ করবো।
আন্দোলনের মাধ্যমে নির্যাতনের জবাব দেয়া হবে-মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, নির্যাতন কাকে বলে? বিএনপি কত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে? ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর, ২১ আগস্ট হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত কারা?
আরও পড়ুন: দেশে এখন সরকার হটানোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে বিএনপি হত্যা করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এখন বিএনপি নেতারা ঘরে আছেন, অথচ আমরা তাদের শাসনামলের ৫ বছরে ৫০ দিনও ঘরে থাকতে পারিনি।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করুক, কোন আপত্তি নেই। কিন্তু আগুন নিয়ে খেললে এবং সহিংসতা করতে এলে আমরাও সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুত হয়ে আছি। জনগণের জানমাল রক্ষায় সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
সম্মেলনে নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না, মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে; শেখ হাসিনার খাঁটি কর্মী হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা শাসক নয়, তিনি জনগণের সেবক।
নোয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, যুগ্ম আহবায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীন, সহিদ উল্লাহ খান সোহেল এবং সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।
আরও পড়ুন: প্রতিহিংসার রাজনীতির হোতাই হচ্ছে বিএনপি: কাদের
বিএনপির বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে জনগণ: ওবায়দুল কাদের
আসুন গর্ব করে ঘোষণা করি, আমরা নারীবাদী: গুতেরেস
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ২০২৬ সালের মধ্যে নারী অধিকার সংগঠন এবং আন্দোলনে তহবিল ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করতে সরকারগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা বিশ্বের সবচেয়ে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন।
শনিবার নারীর প্রতি সহিংসতা দূরীকরণের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
এতে তিনি আরও বলেন, ‘আসুন আমরা নারীর অধিকারের পক্ষে অবস্থান নিই এবং আওয়াজ তুলি। আসুন সাহসের সঙ্গে ঘোষণা করি, আমরা নারীবাদী।’
আরও পড়ুন: পৃথিবী অপরিবর্তনীয় জলবায়ু বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
গুতেরেস বলেছেন, প্রতি ১১ মিনিটে একজন নারী বা মেয়ে জীবনসঙ্গী বা পরিবারের সদস্য দ্বারা হত্যা শিকার হন। আমরা জানি যে কোভিড-১৯ মহামারি থেকে অর্থনৈতিক অস্থিরতা পর্যন্ত অন্যান্য চাপগুলো অনিবার্যভাবে আরও বেশি শারীরিক এবং মৌখিক নির্যাতনের দিকে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, নারী ও মেয়েরা যৌন হয়রানি, ছবির অপব্যবহার এবং অনলাইন সহিংসতার শিকার হয়।
জাতিসংঘের প্রধান বলেছেন, ‘এই বৈষম্য, সহিংসতা এবং অপব্যবহার একটি বড় মূল্য দিয়ে আসছে মানবজাতির অর্ধেক অংশ। এটি জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারী এবং মেয়েদের অংশগ্রহণকে সীমিত করে। তাদের মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে এবং আমাদের বিশ্বের প্রয়োজন সমান অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং টেকসই বৃদ্ধিকে বাধা দেয়।’
তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে রূপান্তরমূলক পদক্ষেপের যা নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা বন্ধ করে।
গুতেরেস বলেছেন, এর অর্থ হল সরকারগুলো এই দুর্যোগ মোকাবিলায় জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা ডিজাইন, অর্থায়ন এবং বাস্তবায়ন করছে। ‘এর অর্থ সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতিটি পর্যায়ে তৃণমূল এবং সুশীল সমাজের গোষ্ঠীগুলোকে সম্পৃক্ত করা।’
এর অর্থ নিশ্চিত করা যে আইনগুলো প্রয়োগ করা হয় এবং সম্মান করা হয়। যাতে বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা তাদের ন্যায়বিচারের অধিকার এবং সমর্থন সমুন্নত দেখতে পান।
জাতিসংঘ প্রধান বলেন, এর অর্থ হল এমন গণ প্রচারাভিযানকে সমর্থন করা যা পিতৃতান্ত্রিক রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে এবং দৈন্যতা ও সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করে।’
এই বছরের থিম হিসেবে – ‘একত্রিত হয়: নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ করতে সক্রিয়তা’ - আমাদের মনে করিয়ে দেয়। এর অর্থ হল বিশ্বজুড়ে পরিবর্তনের জন্য আহ্বানকারী কর্মীদের সঙ্গে দাঁড়ানো যারা সহিংসতা থেকে বেঁচে যাওয়াদের সমর্থন করছে।’
আরও পড়ুন: তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মৃত্যুতে জাতিসংঘ মহাসচিবের শোক
বিশ্বে গণতন্ত্রের পশ্চাদপসরণ ঘটছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
বিএনপির আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিতে নতুন নাটক তৈরি করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, তাদের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিতে সরকার নতুন নাটকের চিত্রনাট্য তৈরি করছে।তিনি বলেছেন, ‘আমরা অনেক ঘটনা, অনেক উত্থান-পতন এবং দমনমূলক কর্মকাণ্ড, প্রাণহানি, জোরপূর্বক গুম, খুন এবং মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলা দেখেছি। আমরা এখন দেখছি যে তারা (আওয়ামীলীগ) অগ্নিসংযোগ সহিংসতার কথা বলছে। আদালত চত্বর থেকে জঙ্গিদের ছিনতাইয়ের একটি নতুন নাটকও দেখেছি।’এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা আরও বলেন, সরকার ‘অশুভ’ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে নতুন নাটকের চিত্রনাট্য লিখছে। জনগণের মূল দাবি নিয়ে শুরু হওয়া আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়াই তাদের মূল লক্ষ্য।বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ঐক্যের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী কারাগারে
ফখরুল বলেন, সরকার বিরোধী দলকে দমন করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কাল্পনিক মামলা দায়েরের পুরনো খেলায় লিপ্ত হয়েছে।তিনি বলেন, কারওয়ান বাজারে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপির ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হলেও সেখানে এমন ঘটনা ঘটতে দেখেনি কেউ। বিস্ফোরণের শব্দ না হওয়ায় প্রত্যক্ষদর্শীরাও এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।এই বিএনপি নেতা বলেন, ইতোমধ্যেই বিএনপির সঙ্গে জড়িত সাড়ে চার হাজার শনাক্ত ও ১০ হাজার অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে ৯৬টি মামলা হয়েছে। ‘এর মানে তাদের পুরোনো খেলা শুরু হয়েছে। তারা ঘটনাগুলো ঘটাবে এবং আমরা মামলার মুখোমুখি হব এবং এভাবে আমরা আদালতে যেতে ব্যস্ত থাকব এবং তারা তাদের কাজ সেরে ফেলবে।’ভোট কারচুপির নতুন কৌশলমির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের সময় এলে ক্ষমতাসীন দলগুলো কোনো না কোনোভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার নতুন কৌশল উদ্ভাবন করে।তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় শক্তিশালী আন্দোলন। ‘এই শাসন অপসারণের একমাত্র উপায় হল জনগণের ঐক্য গড়ে তোলা এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আন্দোলন চালানো ।‘ ‘সেই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংসদ ও নতুন সরকার গঠিত হবে এবং এভাবে জনগণের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ তৈরি হবে,’ ফখরুল আশা প্রকাশ করেন।বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। ‘আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে।’তিনি আওয়ামী লীগ শাসনের পতন নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেফখরুল বলেন, পুলিশ, সিভিলসহ সব প্রশাসন ক্ষমতাসীনদের তোষামোদ করতে ব্যস্ত। ‘দুর্নীতিকে সম্পূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে তারা সবচেয়ে খারাপ কাজ করেছে। এমন কোনো খাত নেই যেখানে তারা দুর্নীতি করেনি।’তিনি বলেন, সংসদ সদস্যরা ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দের টাকা ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যানদের মধ্যে বিতরণ করেন। ‘এমনকি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বয়স্ক ও বিধবা ভাতা থেকে ১০-২০ শতাংশ ভাগ পান। জেলা পরিষদ গঠন করা হয়েছে এবং এর মূল কাজ জনগণের টাকা লুট করা।বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ এখন জাতির জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘যদি আমরা আমাদের কাঁধ থেকে এই বোঝা সরাতে না পারি, তবে আমরা সবাই তাদের সঙ্গে ডুবে যাব। আমরা ডুবে যাচ্ছি।’ঢাকার নয়াপল্টনে জনসভা নিশ্চয়ইসরকার এখনও তাদের দলকে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় চূড়ান্ত সমাবেশের অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘আমরা যেমন সবসময় আমাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে আমাদের কর্মসূচি পালন করি, আমরা অবশ্যই ১০ ডিসেম্বর সেখানে সমাবেশ করব।তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কোনো ঝামেলা না করে সমাবেশের অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা যাতে প্রোগ্রামটি সুন্দরভাবে করতে পারি তার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিন।’বিএনপি নেতা বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে তাদের আন্দোলন চলছে বলে তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চান। ‘এখন সরকারের দায়িত্ব শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে আমাদের সহযোগিতা করা।’
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট বাংলাদেশকে মারাত্মক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে: ফখরুল
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে: বিএনপি
আন্দোলনের নামে জনগণের জানমালের ক্ষতির দায় বিএনপির: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আন্দোলনের নামে জনগণের জানমালের ক্ষতি এবং চলাচলে বিঘ্ন ঘটলে বিএনপি তার দায় দায়িত্ব নিবে।
বুধবার দুপুরে মাদারীপুরে আচমত আলী খান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নাক ও তালুকাঁটা ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চর কুকরি মুকরি থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত যেখানে যাবেন- সবখানে একই কথা, শেখ হাসিনার বিকল্প শুধুমাত্র শেখ হাসিনা। এখানে আর কেউ বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, সারাদেশ নির্বাচনের জন্য তৈরি হচ্ছে। আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনে আমাদের যে স্বপ্ন উন্নত বাংলাদেশ গড়ার; সেখানে আমরা চলে যাব।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবাহান গোলাপ ও সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির।
আরও পড়ুন: পুলিশ এখন নির্ভরতা ও আস্থার প্রতীক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মুক্তিযোদ্ধাদের খুনিদের বিচার এই মাটিতেই হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিক্ষোভের নামে ভাঙচুর করলে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী