জাতীয় সংসদ
৬টি উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৫% এর বেশি হয়নি: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন যে তাদের দলীয় সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করার পর শূন্য হয়ে যাওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে প্রকৃত গড় ভোটার উপস্থিতি পাঁচ শতাংশের বেশি হয়নি।
তিনি বলেন, ‘তথাকথিত নির্বাচন কমিশন গতকাল (বুধবার) উপ-নির্বাচন করেছে। তাদের (ইসি) হিসাব অনুযায়ী এই উপনির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি ১৫ থেকে ২৫ শতাংশের বেশি নয়। আমাদের (বিএনপির) হিসাব অনুযায়ী, এটা পাঁচ শতাংশের বেশি নয়।’
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এসব কথা বলেন।
সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন যে উপনির্বাচন ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের মতো ছিল। ‘আমি অনলাইনে (ওয়েব পোর্টাল) দেখেছি যে ভোটারদের অনুপস্থিতিতে কুকুর সেখানে (ভোটকেন্দ্র) শুয়ে আছে। তারা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে এই অবস্থায় নিয়ে গেছে।’
বুধবার কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনার মধ্যে ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: গাবতলী থেকে মিরপুর পর্যন্ত বিএনপির তৃতীয় পদযাত্রা শুরু
ভোটের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে গড় ভোটার শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ হতে পারে।
ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনগণকে চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
‘যখন দুর্নীতি প্রবল এবং লুণ্ঠনই প্রধান লক্ষ্য, তখন বৈশ্বিক মন্দার কথা বলার কোনও মানে নেই। দুর্নীতির কারণে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আপনারা (সরকার) জনগণের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছেন।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা চাল, লবণ ও তেলের দাম বাড়াচ্ছেন এবং নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন।
ফখরুল বলেন, ‘আপনি বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছেন। কিন্তু বিদ্যুৎ খাতে চুরি বন্ধ করতে পারলে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে না। এমনকি, গ্যাসের চুরি বন্ধ করতে পারলেও এর দাম বাড়াতে হবে না।’
তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা লুটপাটের অংশ হিসেবে সরকার এখন রাস্তা খনন শুরু করেছে। ‘এভাবে তারা জনগণের অর্থ লুট করে বিদেশে পাচার করছে কারণ দেশের জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তারা ব্যাপক দুর্নীতিতে লিপ্ত।’
প্রেস ব্রিফিংয়ের আগে বিভাগীয় পর্যায়ে শনিবারের কর্মসূচি সফল করতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ফখরুল।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং বিদ্যুত ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে শনিবার সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করবে বিএনপি।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য জনগণ আর বহন করতে পারবে না: বিএনপি
জাতীয় সংসদে বিইআরসি আইনের সংশোধনী পাস
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) বিল-২০২২ পাস করেছে জাতীয় সংসদ। এই আইনের দ্বারা বিশেষ ক্ষেত্রে গণশুনানি ছাড়াই সরকারকে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার বিরোধী দলের বিরোধীতার মধ্যেই আইনটির সংশোধনী পাস করে জাতীয় সংসদ।
জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাব ঠিক করার পরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংসদে বিলটি উত্থাপন করে। এরপর কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
আরও পড়ুন: হাট ও বাজার (প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থাপনা) বিল জাতীয় সংসদে
তবে বিলটি পাসের প্রতিবাদে সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেন গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান।
২০০৩ আইনের সংশোধনের ফলে, গ্যাস ও বিদ্যুতের নতুন মূল্য নির্ধারণে মন্ত্রণালয়কে আর বিইআরসি’র মাধ্যমে গণশুনানির প্রয়োজন হবে না।
এর আগে ২৮ নভেম্বর মন্ত্রিসভা কমিশনের গণশুনানি এবং সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা না করে সরকারকে বিশেষ পরিস্থিতিতে নিজস্বভাবে জ্বালানি শুল্ক নির্ধারণের ক্ষমতা দেয়ার জন্য বিইআরসি আইন-২০০৩ -এর একটি সংশোধনী অনুমোদন করে।
বিলে বলা হয়েছে, 'এই আইনের অন্য কোনো বিধান থাকা সত্ত্বেও, জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার বিশেষ ক্ষেত্রে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে শুল্ক নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সামঞ্জস্য করতে পারে। কৃষি, শিল্প, সার, বাণিজ্য ও গার্হস্থ্য কাজে জনগণের চাহিদার আলোকে যাতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ এবং সঞ্চালন নিশ্চিত করা যায়।'
বিলের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, পানির ট্যাংক ফুটো থাকলে কখনও তা ভরাট করা যায় না। যতদিন ভাড়া বিদ্যুৎ থাকবে এবং কুইক রেন্টাল থাকবে ততদিন লোকসান বাড়তে থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'ভর্তুকি কি? মন্ত্রী ব্যাখ্যা করবেন। ভর্তুকির নামে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এই টাকা দিয়ে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বিল পরিশোধ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদ এখন ‘একদলীয় ক্লাব’: ফখরুল
গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির বলেন, সরকার গত ১৪ বছরে ১১ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে।
এ আইনকে ‘কালো আইন’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতের সংকটের কারণ লুটপাট ও দুর্নীতি।
তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক মন্দার কারণে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। সামনে রমজান মাস। এর আগে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে।
তিনি বলেন, এই বিল জনস্বার্থবিরোধী।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান বলেন, ঢাকায় দিনের বেলা গ্যাস থাকে না।
তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে তিন-চার ঘণ্টা গ্যাস নেই। গ্রামের অবস্থা আরও খারাপ। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়াই ভালো।’
আরও পড়ুন: দেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা ১৭ লাখ: জাতীয় সংসদে প্রতিমন্ত্রী
দেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা ১৭ লাখ: জাতীয় সংসদে প্রতিমন্ত্রী
দেশে প্রায় ১৭ লাখ শিশুশ্রমিক রয়েছে এবং তাদের মধ্যে ১২ লাখ শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত।
সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিব হাসানের এক প্রশ্নের জবাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৩ সালের জরিপ অনুযায়ী দেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা ১৭ লাখ। ২০০৩ সালের জরিপ অনুসারে, শিশুশ্রমিকের সংখ্যা ছিল ৩৪ লাখ।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বর্তমানে দেশে কোনো খাদ্যসংকট নেই।
আরও পড়ুন: বিরোধীরা আমার ব্যর্থতা খুঁজে পেলে সংশোধন করব: সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
গত অর্থবছরে ৩৮০ দশমিক ৪৮ লাখ মেট্রিক টন চাল ও ১০ দশমিক ৮২ লাখ মেট্রিক টন গমসহ ৩৯১ দশমিক ৩০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়েছে। চলতি অর্থবছরেও দেশে খাদ্যসংকটের কোনো আশঙ্কা নেই বলেও দাবি করেন মন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ১৮৩টি পোশাক কারখানাকে ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংসদে সার্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তন বিল পাস
জাতীয় সংসদ এখন ‘একদলীয় ক্লাব’: ফখরুল
দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে সরকার জাতীয় সংসদকে ‘একদলীয় ক্লাবে’ পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘তারা (সরকার) সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। তারা কি সংসদ গঠন করেছে? তারা একদলীয় ক্লাব তৈরি করেছে। এটা আওয়ামী লীগের ক্লাব।’
এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সরকার জোর করে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে।
নির্বাচনী ব্যবস্থা গণতন্ত্রের প্রবেশদ্বার উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ পরিচালনার জন্য সংসদ ও মন্ত্রিসভা গঠন করার কথা। কিন্তু তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। মানুষ এখন ভোট দিতে যায় না।
আরও পড়ুন: ‘বাকশালের গণতন্ত্র’ জনগণ মেনে নেবে না: ফখরুল
আওয়ামী লীগ ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নিয়ে ‘একতরফা’ নির্বাচনের মাধ্যমে এবং ভোট ডাকাতি ও ভোটের আগের রাতে ভোট গ্রহণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল। ‘তারা সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে তাদের পক্ষে নেয়ার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছে।’
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি বলেন, তাদের দল রাষ্ট্রের সংস্কার ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক করার জন্য ২৭ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। ‘২৭ দফা রূপরেখা বিএনপির স্বপ্ন এবং আমরা তা জনগণের সামনে তুলে ধরব। স্বপ্ন ছাড়া কখনোই সফল হওয়া যায় না। আমরা স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাব।’
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে রূপরেখা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ১৯ ডিসেম্বর বিএনপি রাষ্ট্র সংস্কারের ২৭ দফা কাঠামো ঘোষণা করে।
ফখরুল বলেন, তাদের দল তাদের সাম্প্রতিক ১০টি বিভাগীয় সমাবেশ ও অন্যান্য কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। ‘যে ঝড়ের ঢেউ শুরু হয়েছে তা বর্তমান শাসনকে ধুয়ে দেবে। কারণ জনগণ তাদের সঙ্গে নেই।’
তিনি বলেন, তাদের ১০ দফা প্রস্তাবের প্রথম দাবি হলো আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা, যা পরবর্তী নির্বাচন তত্ত্বাবধান করবে।
ওই নির্বাচনের পর বিএনপি নেতা বলেন, ২৭ দফা রূপরেখা বাস্তবায়নে তাদের যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের নিয়ে তারা জাতীয় সরকার গঠন করবে।
তিনি গণতন্ত্র ও জনগণের হারানো অধিকার পুনরুদ্ধার এবং দেশকে দুঃশাসন ও ফ্যাসিবাদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন বলে বিএনপি নেতাকর্মীদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানান। ‘কেন আমরা হতাশ হব? আমরা সফল হচ্ছি, এবং আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের শত শত নেতাকর্মী জেলে গেছে। আমি তাদের মুখে কোনো ধরনের হতাশা দেখিনি।’
ফখরুল বলেন, বিরোধীরা অত্যন্ত শক্তিশালী। তাদের হাতে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র, বন্দুক, পিস্তল রয়েছে বলে তারা (বিএনপি) একটি ভারসাম্যহীন লড়াইয়ের মধ্যে রয়েছেন। ‘তারা নির্বিচারে সেগুলি ব্যবহার করে আমাদের আক্রমণ করে এবং তারপর আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করে।’
তিনি বলেন, ‘গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের অভিযানে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকর্মী মকবুল নিহত হন। উল্টো আমাদের ৪৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সুতরাং, মূল কথা হল, আমাদের নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে হবে এবং আমাদের মানুষকে বাঁচাতে হবে।’
বিএনপি নেতা আরও অভিযোগ করেন, সরকার গোটা বিচার ব্যবস্থাকে রাজনীতিকরণ করেছে, জনগণকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করেছে।
তিনি শোক প্রকাশ করেন যে মিডিয়াও এখন স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারে না। কারণ তারা স্ব-সেন্সরশিপ প্রয়োগ করতে বাধ্য হচ্ছে। ‘প্রতিটি মিডিয়া হাউসে একজন গোয়েন্দাকে সংযুক্ত করা হয়েছে। তারা নির্দেশ করে কী লিখতে হবে, শিরোনাম তৈরি করতে হবে এবং কোনটিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং কোনটিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে না।’
ফখরুল অবশ্য সাংবাদিকদের অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও তিনি যা বলেছেন এবং সত্য তুলে ধরার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা কি কল্পনা করতে পারেন যে সম্পাদকরাও হত্যার অভিযোগসহ নানা মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন?’
আরও পড়ুন: সরকারের গণতন্ত্র হচ্ছে চুরি, লুট, টাকা পাচার ও মানুষ হত্যা করার গণতন্ত্র: ফখরুল
বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ফখরুলের
আমার মতো পাগলকে একবার ভোট দিয়ে দেখেন: হিরো আলম
জাতীয় সংসদের বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে একতারা হাতে গান বাজিয়ে পিকআপভ্যানে ভোটের মাঠ কাঁপাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ৩টায় শহরের সাতমাথা, জলেশ্বরীতলাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে একতারা প্রতীকে তিনি ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
হিরো আলম এসময় সাংবাদিকদের বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে একতারা প্রতীক নিয়ে ভোট করছি। অনেক সংগ্রাম ও লড়াই করে হাইকোর্ট থেকে রায় পেয়ে আমি ভোট করতে পারছি। আমার অনুরোধ, আমাকে শুধু মাত্র ১০ মাসের জন্য সুযোগ দিয়ে দেখুন।
তিনি আরও বলেন, যদি কাজ করতে না পারি তাহলে আমাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েন। এছাড়া অনেক সুন্দর চেহারা ক্ষমতাবানকে ভোট দিয়েছেন, একবার আমার মতো পাগলকে ভোট দিয়ে দেখেন।
এ সময় পিকআপভ্যানে তার পাঁচ থেকে সাত জন কর্মী-সমর্থক ছিলেন। এছাড়া তার পিকআপ ভ্যানকে বানানো হয়েছে নির্বাচনী প্রচার মঞ্চ। ভ্যানে রাখা হয়েছে মাইক ও দুই পাশে ঝুলছে হিরো আলমের ছবি ও ‘একতারা’ প্রতীকের ব্যানার।
হিরো আলম নিজেই পিকআপ ভ্যানের সামনে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান সবাইকে। প্রচারণার সময় হিরো আলম ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সুযোগ চেয়ে পরিবারসহ সবাইকে একতারা মার্কায় ভোট দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
এসময় হিরো আলমকে দেখতে ভীড় করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের মানুষ। নিজেরাই আগ্রহ করে খোশগল্প ও সেলফি তোলেন হিরো আলমের সঙ্গে। হিরো আলমও বেশ ফুরফুরেভাবেই সেলফি উঠিয়ে একতারা বাজিয়ে গানের সুরে সবাইকে তার পাশে থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বগুড়া উপনির্বাচনে হিরো আলমের মনোনয়পত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত
উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হিরো আলমের রিট
হাট ও বাজার (প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থাপনা) বিল জাতীয় সংসদে
জাতীয় সংসদে হাট ও বাজার (প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থাপনা) বিল, ২০২২ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ১৯৫৯ সালের এ সম্পর্কিত অধ্যাদেশটিকে সময় উপযোগী করার জন্য বিলটি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
রবিবার ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি উত্থাপন করলে তা পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট স্ক্রুটিনি কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিল অনুযায়ী, প্রস্তাবিত আইনে ২৬টি ধারা রয়েছে। আইন অনুযায়ী সরকারের অনুমতি ছাড়া কেউ কোনো হাট-বাজার করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: সংসদে বিইআরসি সংশোধনী অধ্যাদেশ-২০২২ পাস
কোনো এলাকায় অননুমোদিত হাট-বাজার বসালে সরকার তা খাস জমি হিসেবে দখল করবে।
হাট-বাজারের জমিগুলো জেলা প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা করবে এবং স্থায়ীভাবে কোনো জমি হস্তান্তর করা যাবে না।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, কেউ বা একদল লোক অবৈধভাবে কোনো হাট-বাজারের খাস জমি দখল করে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করলে, অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা এক বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
আরও পড়ুন: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে ৫ জানুয়ারি
বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে ৫টি সংসদীয় আসন শূন্য: স্পিকার
অভিমানে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন ৫ বারের সাংসদ সাত্তার
জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের পর এবার দলে গুরুত্ব না পাওয়ায় অভিমানে বিএনপির পদও ছাড়লেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া।তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাতে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তাঁর ছেলে মাঈনুল হাসান ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। ১১ ডিসেম্বর তিনি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি গঠন
১ ফেব্রুয়ারি এই শূন্য আসনে উপনির্বাচন হবে।
আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলটির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
একবার টেকনোক্র্যাট হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ১৯৭৯ সালে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপির টিকেটে দুইবার এমপি নির্বাচিত হন।
২০০১ সালের নির্বাচনে জোটকে আসনটি ছেড়ে দিলে টেকনোক্রেট কোটায় তিনি তিন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
জীবনের বেশির ভাগ সময় রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা উকিল সাত্তার এখন বয়সের ভারে ন্যুজ্ব।
এ ব্যাপারে তার ছেলে বলেন, দল বর্তমানে উনাকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। দলীয় গুরুত্বপূর্ণ কোন সিদ্ধান্ত নিতে উনাকে ডাকছেন না। কিছু জিজ্ঞেস করছেন না। দলের কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে উনার আর প্রয়োজন নেই।
তাই তিনি নিরিবিলি থাকাটাই শ্রেয় মনে করেছেন। এছাড়া তিনি পরিবারসহ সকল আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে পরামর্শ করেই দল থেকে পদত্যাগ করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তুষার বলেন, বাবা আসন্ন উপনির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন কিনা এই বিষয়ে আমরা ভাবছি না।
এদিকে প্রবীণ এই নেতা দল থেকে পদত্যাগের গুঞ্জন উঠেছে তিনি আওয়ামীলীগের যোগদান করে আসন্ন সরাইল-আশুগঞ্জ উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী পাঁচ বারের সাবেক সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভুইয়া নিঃসন্দেহে একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি ও ভাল মানুষ।
তবে তিনি আওয়ামীলীগে যোগদান করে সরাইল-আশুগঞ্জ উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না বিষয়টি আমার জানা নেই।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, উকিল আব্দুস সাত্তার ভুইয়ার পদত্যাগের বিষয়ে দলীয়ভাবে আমাদের কিছু জানানো হয়নি।
তিনি আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিবেন কি না তাও আমি জানিনা।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপিসহ ৩২টি দলের বিশাল শোডাউন সম্মিলিত আন্দোলনে রূপ নেয়
সংসদে পরমাণু শক্তি কমিশন (সংশোধনী) বিল পাস
জাতীয় সংসদে মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন (সংশোধনী) বিল-২০২২ শিরোনামের একটি বিল পাস হয়েছে।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে দুটি পদের নাম পরিবর্তনের লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। পরে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।
বিল অনুযায়ী, কমিশনে অর্থ উপদেষ্টা ও সচিব নামে দুটি পদ রয়েছে, যেখানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব পদমর্যাদার কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংসদে ৫ প্যানেল সভাপতি মনোনীত
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর নির্দেশনা দেয়, যদি কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অধীনে কোনো দপ্তরে সহকারী সচিব, উপসচিব, অতিরিক্ত সচিব এবং সচিব নামে কোনো পদ থাকে; তাহলে সেই পদের নাম পরিবর্তন করতে হবে।
বিলে বলা হয়েছে,সচিব শব্দের পরিবর্তে পরিচালক শব্দটি ব্যবহৃত হবে। বিলের এ সংক্রান্ত ধারায় শব্দগত পরিবর্তন এনে বলা হয়েছে, সরকার কমিশনকে সহায়তা দেয়ার জন্য সার্বক্ষণিক একজন পরিচালক (অর্থ) ও একজন পরিচালক (প্রশাসন) নিয়োগ করবে।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশন শুরু
মহাসড়কে তিন চাকার গাড়ি বন্ধের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
সংসদে ৫ প্যানেল সভাপতি মনোনীত
একাদশ জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশন কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী রবিবার পাঁচ সদস্যের প্যানেল অব চেয়ারম্যান মনোনীত করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্যানেল সদস্যরা হলেন-আবদুস শহীদ এমপি, মো. মকবুল হোসেন এমপি, মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী এমপি, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি ও সুবর্ণা মুস্তাফা এমপি।
অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার তাদের নাম ঘোষণা করেন।
তারা স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে কালানুক্রমিকভাবে সংসদের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশন শুরু
জাতীয় সংসদে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট পাস
জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাব গৃহীত
সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে: হানিফ
আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধানের আলোকে বর্তমান সরকারের অধীনেই হবে।
রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে স্থানীয় সরকারি হাজী আব্দুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো সুযোগ নেই। তবে নির্বাচনকে আরও গ্রহণযোগ্য করতে সংবিধানের আলোকে কোনো পরামর্শ দিলে সরকার ও নির্বাচন কমিশন অবশ্যই বিবেচনা করবে।
আরও পড়ুন: জনগণ যতদিন চাইবে ততদিন আ.লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকবে: হানিফ
তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অল অ্যাটাক আন্দোলন ঘোষণার সমালোচনা করে বলেন, বিএনপির নেতারা ১০ ডিসেম্বরের স্বপ্ন দেখছেন। তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, আওয়ামীলীগ কোনো ভুঁইফোড় সংগঠন নয়। জাতির পিতার হাতে গড়া দল। ৭৩ বছরের আওয়ামীলীগের শিকড় বাংলার মাটির অনেক গভীরে। সুতরাং সরকার পতনের এসব হুংকার দিলে লাভ নেই। বর্তমান সরকারের পতন ঘটানোর শক্তি বিএনপি বা কারও নেই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুব উল আলম হানিফ আরও বলেন, আওয়ামীলীগের মূল শক্তি ক্ষমতা নয়, আওয়ামীলীগের মূল শক্তি হচ্ছে জনগণ। এজন্য আওয়ামী লীগের মাধ্যমে এ দেশের পরিবর্তন এসেছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে দরিদ্র দেশ থেকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করছে। দেশের সব উন্নয়নের সঙ্গে আওয়ামীলীগ জড়িত। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে আগামী ২০৩১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে উন্নীত হবে। বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে উন্নীত করতে হলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হবে। তাই সংগঠনকে নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে।
অথচ বিগত ১৩ বছরে বারবার আন্দোলন সংগ্রামের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টা করেছে বিএনপি-জামায়াত। সবকিছু মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলনের দোহাই দিয়ে দেশে সন্ত্রাস, সহিংসতা, নাশকতা করে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী এমপি।
আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক হাজী মো. সফিউল্লাহ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল-মাহমুদ স্বপন এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করুন: হানিফ
আগামী নির্বাচনও আ.লীগ সরকারের অধীনে বিএনপির অংশগ্রহণে হবে: হানিফ