ইছামতি নদী
সাতক্ষীরার ইছামতি নদী থেকে বিএসএফ সদস্যের লাশ উদ্ধার
সাতক্ষীরার ইছামতী নদী থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার হাড়দ্দহা দক্ষিণপাড়াসংলগ্ন ইছামতী নদী চর থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লাশটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ভুট্টা খেতে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার
মারা যাওয়া ওই বিএসএফ সদস্যের নাম মোহাম্মাদ রিয়াজ উদ্দীন। তিনি ইছামতি নদীর বালুচরে ৮৫ ভারতীয় সোবাহাম বিএসএফ ক্যাম্পের সিপাহী ছিলেন।
সাতক্ষীরার নীলডুমুর বিজিবি’র (১৭) আওতাধীন শাখরা বিওপির ইনচার্জ নায়েক সুবেদার আনিসুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ইছামতীতে টহল দেওয়ার সময় আকস্মিক ঝড়ের কবলে পড়ে বিএসএফের একটি নৌকা ডুবে যায়। টহলে থাকা অন্য তিন সদস্য সাঁতার কেটে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও বিএসএফসদস্য মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন নদীতে ডুবে মারা যান।
তিনি জানান, পরে শুক্রবার লাশটি পাওয়া গেলে পরে বিজিবি ও বিএসএফের যৌথ উদ্যোগে লাশ উদ্ধার করে বিএসএফস দস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় একদিনের ব্যবধানে ২ লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কিশোর নিখোঁজ
সিরাজগঞ্জ সদরের ইছামতি নদীতে ধরতে গিয়ে সাগর আলী (১৮) নামে এক কিশোর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ২ জনকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
নিখোঁজ সাগর পাশ্ববর্তী ফুলবয়ড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় সাগর ও তার তিন বন্ধু মিলে একডালা এলাকায় ওই নদীতে মাছ ধরতে যান। মাছ ধরা শেষে সাঁতরে নদী পার হতে গিয়ে ২ বন্ধু তীরে উঠে এলেও সাগর ডুবে নিখোঁজ হন।
কাজিপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফরহাদ হোসেন জানান, কাজিপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও রাজশাহীর ডুবুরি দল শনিবার সকাল থেকে ওই নদীতে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ সাগরকে উদ্ধার করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নিখোঁজের ৭দিন পর পুকুরে মিলল ইঞ্জিনিয়ারের লাশ
তিস্তায় নিখোঁজের ১৬ ঘন্টা পর শিশুর লাশ উদ্ধার
ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবন প্রকল্পের ‘উদ্ভট প্রস্তাবের’ নিন্দা
পাবনার ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবন প্রকল্প সংশোধনের দাবি জানিয়ে দখলদারদের উচ্ছেদ না করে স্থানীয় জনগণের জমি অধিগ্রহণ করে নদীর প্রস্থ বাড়ানোর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘উদ্ভট প্রস্তাবের’ নিন্দা জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে
এ ছাড়া সেতু নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে ‘অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ব্যয়’- এর মতো প্রস্তাব বাদ দিয়ে প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন না দেওয়ার দাবি জানান তারা।
অন্যথায় নদী পুনরুদ্ধারের নামে জনগণের অর্থ অপচয় ও লুটপাট করা হবে এবং নদীর তীরে অবৈধ দখলদারদের বৈধতা দেওয়া হবে বলে অভিযোগ করেন জাতীয় কমিটির নেতারা।
বিবৃতি অনুযায়ী, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ‘পাবনা জেলার ইছামতি নদীর পুনরুজ্জীবন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
৩৩ দশমিক ৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ নদী খননের জন্য প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৩৫ দশমিক ১৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১৬০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২৯ কোটি টাকা।
এ ছাড়া নদীর উপর নির্মিত ২২টি পুরাতন সেতু ভেঙে ২৩টি নতুন সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করেছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ভোলায় মেঘনা নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
রূপসায় নদী ভাঙন, ৫২৫ হেক্টর আবাদি জমি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা
বেনাপোলে ১৫ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার সীমান্তবর্তী গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১৫টি স্বর্ণের বার (এক কেজি ৭৪৯ গ্রাম) জব্দের দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় একজনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার ভোরের দিকে পুটখালী গ্রামের ইছামতি নদীর তীরের ২৫ গজ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে এ অভিযান চালানো হয়।
আটক মনিরুল ইসলাম (৩৭) বালুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ, আটক ১
২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল তানভীর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এক কেজি ৭৪৯ গ্রাম স্বর্ণসহ মনিরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। আটক স্বর্ণের বাজার মূল্য এক কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটক ব্যক্তিকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৮০ হাজার ইয়াবা জব্দ, মিয়ানমারের নাগরিক আটক
যশোরে ইছামতি নদীর প্রভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
যশোরের শার্শা উপজেলার সীমান্তবর্তী ইছামতি নদীর উজানের পানির প্রভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কয়েকশ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এতে আউশ, আমন, সবজিসহ অনেক ফসল পানিতে ডুবে গেছে।
ঝিনাইদহের ১২টি নদী এখন মরা খাল
ঝিনাইদহের ছয় উপজেলার বুক চিরে বয়ে গেছে ১২টি নদ-নদী। কিন্তু খননের অভাব আর দখলদারদের কারণে নদীগুলো পরিণত হয়েছে মরা খালে। নদীগুলোতে এখন আর যৌবন নেই। পাওয়া যায়না দেশীয় প্রজাতির মাছ। শুষ্ক মৌসুমে থাকেনা পানি। সেখানে চাষ করা হয় ধান, পাট, সরিষাসহ নানা ফসলের।