মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে মালয়েশিয়ায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন করেছে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন।
হাইকমিশনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান।
পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান- মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামিম আহসান।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ঐতিহাসিক দিনটির প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরে হাইকমিশনার তার বক্তৃতায় শুরুতে বঙ্গবন্ধু এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ১৯৭১ এর ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন। এই ভাষণ শুধু বাঙালি জাতিকেই স্বাধীনতা অর্জনে অনুপ্রাণিত করেনি, সারা বিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত স্বাধীনতাকামী মানুষকে সর্বদা অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃত ৭ই মার্চের ভাষণটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনুধাবন করেই ইউনেসকো ২০১৭ সালে এ ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ‘মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’- এ অন্তর্ভুক্ত করেছে।
হাইকমিশনার আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর 'সোনার বাংলা' নির্মাণের স্বপ্নকে অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী একটি সমৃদ্ধ ও জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর। তার কার্যকর পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ একটি গতিশীল অর্থনীতি ও সম্ভাবনার দেশে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, পরিবেশ সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রবাসীবান্ধব এই সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বহুমাত্রিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা
হাইকমিশনার প্রবাসীদের ব্যাংকের মাধমে রেমিট্যান্স পাঠানোর এবং সার্বজনীন পেনশন স্কীমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বৈধ পথে টাকা পাঠানো হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
আলোচনার শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটি এবং বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শ্রদ্ধা
বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু মালয়েশিয়া: পলক
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া ভ্রাতৃপ্রতীম দুইটি দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক তুলে ধরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধু।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় ডাকভবনের দপ্তরে বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার হাজনা মো. হাসিম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: চবি সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের বার্ষিক পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে মতবিনিময় করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার কৃষ্টি, সংস্কৃতি প্রায় অভিন্ন হওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ বৈদেশিক কর্মক্ষেত্র হিসেবে মালয়েশিয়ায় অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদের দিকনির্দেশনা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত লাভজনক জায়গা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বলে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বের কথাও তুলে ধরেন পলক।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির এই সুযোগ কাজে লাগাতে মালয়েশিয়া ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হাইকমিশনার বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের জন্য মালয়েশিয়া অত্যন্ত গর্বিত।
এর আগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ডাকভবনে ডাক অধিদপ্তরে ডাকঘরের স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট স্থাপন বিষয়ক আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্মার্ট ডাকঘর নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন।
পরে প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তর ও মধুমতি ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধীরা ‘কর্মক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী ও দায়িত্বশীল’: পলক
মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবায় ‘কল সেন্টার’ উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ই-পাসপোর্ট ও ভিসা সেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
একই সঙ্গে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি বন্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ই-পাসপোর্ট ও ভিসা আবেদন কেন্দ্রের কল সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। মালয়েশিয়ায় কুয়ালালামপুরে সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে এর উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মোমেন বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদের সীমিত জনবল দিয়ে দেশটিতে বসবাসরত ১২ লাখ প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ অন্যান্য সেবা এবং বিদেশিদের ভিসা সেবা দেয়। আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় হাইকমিশনের কাজের পরিধি বহুলাংশে বেড়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আ. লীগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ ধারণার আদলে সরকারের নির্দেশনায় পাসপোর্ট ও ভিসা সেবা সহজ ও দ্রুততর করতে আউটসোর্সিং কোম্পানি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের সেবা ও কল্যাণ নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘প্রবাসীবান্ধব নীতি’ অনুসরণ করছেন। এ লক্ষ্যে, ৩০ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ ঘোষণা করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: প্রবাসীরা আমাদের নায়ক, আসুন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মালয়েশিয়ায় সহজে ও স্বল্প সময়ে ই-পাসপোর্ট ও ভিসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে ই-পাসপোর্ট ও ভিসা আবেদন কেন্দ্রের কল সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান ‘কল সেন্টার’ উদ্বোধনের ফিতা কাটেন।
এ সময় এ সার্ভিসের জন্য চুক্তিবদ্ধ আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান ‘এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেড’ (ইএসএল) কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, প্রবাসী মিডিয়াকর্মীসহ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এই অঞ্চলে কোনো ‘প্রক্সি ওয়ার’ দেখতে চাই না, বিশ্বকে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখাতে চাই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ উপলক্ষে সেবা সপ্তাহ পালন করছে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। এর শেষ দিনে এ কল সেন্টার উদ্বোধন করা হলো।
শিগগিরই ই-পাসপোর্ট ও ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রবাসীবান্ধব নীতি বাস্তবায়নে দূতাবাস আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলেও হাইকমিশনার উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
উল্লেখ্য, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রবাসী-বান্ধব নাগরিক সেবা নিশ্চিতে সম্প্রতি কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেড কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ই-পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে আবেদন ফরম পূরণ, স্ক্যান ও বায়োমেট্রিকসহ আবেদনের সকল কার্যক্রম ইএসএল সম্পন্ন করবে। হাইকমিশন মালয়েশিয়ার পোস্টাল বিভাগের মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণ নিশ্চিত করবে।
ই-পাসপোর্ট এবং মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশের ভিসা প্রদানের লক্ষ্যে কুয়ালালামপুরের জালান দুয়া-চান শো লিনে (সিটি সেন্টারের পাশে) ভবন ভাড়া নিয়ে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার’ হিসেবে চালু করা হয়েছে। এতে ৪৫টি সার্ভিস কাউন্টার স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুয়েত আমির শেখ নাওয়াফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কল সেন্টারের টেলিফোন নম্বর: ০৩৯২১২০২৬৭১
সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পাসপোর্ট ও ভিসা বিষয়ে এ নম্বরে কল করে পরামর্শ নেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২৩ পালন করেছে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দিনটি উপলক্ষে অভিবাসীদের অবদান এবং তাদের অধিকারের প্রতি সম্মান জানানোর লক্ষ্যে কুয়ালালামপুরের প্রখ্যাত টেইলর’স বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বিশেষ সেমিনার আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত দিল্লি রাজ পউদেল, মরিশাসের হাইকমিশনার জে গোবর্ধন এবং যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও রাশিয়াসহ বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিক, মালয়েশিয়ার অভিবাসনসংক্রান্ত বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি, জাতিসংঘের মালয়েশিয়া অফিসের প্রতিনিধি, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা, টেইলর’স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শ্রমিক, বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এবারের আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘প্রবাসী কর্মীরা উন্নয়নের অংশীদার, সমুন্নত রাখিব তাদের অধিকার’।
সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন টেইলর'স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের প্রধান প্রফেসর ড. অনিদ্যিতা দাস গুপ্ত।
প্যানেল আলোচনায় মডারেটর ছিলেন জাতিসংঘের মালয়েশিয়ান অফিসের ডেভেলপমেন্ট কো-অর্ডিনেশন অফিসার ক্রিস্টিন চেহ গেক ফিং।
সেমিনারের প্রথম সেশনের প্যানেলিস্ট ছিলেন- ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেনের সিনিয়র প্রজেক্ট অ্যাসিস্টেন্ট আমান্ডা এনজি সিয়াং ওয়েই, ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের মালয়েশিয়া অফিসের প্রজেক্ট ম্যানেজার ক্যাথেরিন লজ, ফেডারেশন অব মালয়শিয়ান ম্যানুফেকচারের ভাইস প্রেসিডেন্ট দাতো নাথান কে সোফি, মালয়েশিয়ার এমপ্ল্যার ফেডারেশনের নির্বাহী পরিচালক দাতুক শামসুদ্দিন বারদান, ফরেন ওয়ার্কার্স ডিভিশনের প্রধান হারিরি বিন হারুন এবং মালয়েশিয়ার লেবার ডিভিশনের সিনিয়র অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার কালা এ/পি থাঙ্গারাজু।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
সেমিনারের দ্বিতীয় সেশনের আলোচক ছিলেন- মালয়েশিয়ার সিটি ব্যাংক লিমিটেড মানি ট্রান্সফারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান ফারাজি, টেইলর'স বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. গইডো বিনি, কমনওয়েলথ ইউথ ইনোভেশন সেন্টারের চেয়ারম্যান ও গ্লোবাল চিফ এক্সিকিউটিভ ড. কিশাভ আম্বিগাপাথি এবং নর্থ সাউথ ইনিশিয়েটিভের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর এড্রিন পেরেরা।
সেমিনারে আন্তর্জাতিক অভিবাসন, অভিবাসীদের ভূমিকা ও অধিকার, অভিবাসনের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ এবং অভিবাসন সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বক্তারা অভিবাসন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া, বক্তারা অভিবাসী নিয়োগ খরচ কমানো, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং সম্মানজনক মজুরি নিশ্চিতের উপর জোর দেন।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর তার বক্তব্যে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বাগতিক দেশ মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। বাংলাদেশ সরকার নিরাপদ ও নৈতিক অভিবাসন নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবব্ধ।
তিনি বলেন, শ্রমিক বঞ্চনা বন্ধ এবং তাদের অধিকার নিশ্চিতে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ার সরকার ও অভিবাসী সংক্রান্ত বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে।
সবশেষে এ সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সেমিনার শেষে আলোচকদের হাইকমিশনের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয় এবং অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ব্রাজিলে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপিত
ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিজয় দিবস উদযাপন
মালয়েশিয়ায় একদিনে সবচেয়ে পাসপোর্ট বিতরণ
মালয়েশিয়া সরকার ঘোষিত অনথিভুক্ত বা অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণ কর্মসূচি ‘রিক্যালিব্রেশনের ২.০’ নির্ধারিত সময়ের (৩১ ডিসেম্বর) মধ্যে যাতে প্রবাসী বাংলাদেশি তাদের নাম নিবন্ধন করতে পারেন বা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন কুয়ালালামপুরে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় একদিনে সবচেয়ে বেশি পাসপোর্ট বিতরণ করেছে।
হাইকমিশনের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী- নির্ধারিত তারিখে অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে যারা পাসপোর্ট পেতে আবেদন করেছিলেন এমন তিন হাজার ১২৪ জনকে রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুরের সিটি ব্যাংক লিমিটেড (সিবিএল) মানি ট্রান্সফার হাউস থেকে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সরাসরি পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: জুনে শুরু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট বিতরণ
এর ফলে এ বছর এখন পর্যন্ত হাইকমিশন থেকে ১ লাখ ১০ হাজার ১১টি পাসপোর্ট বিতরণ করা হলো।
উল্লেখ্য যে, মালয়েশিয়ায় চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া অনথিভুক্ত বা অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণ কর্মসূচি ‘রিক্যালিব্রেশন ২.০’ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর।
এ সময়ের মধ্যে যাতে প্রবাসী বাংলাদেশি তাদের নাম নিবন্ধন করতে পারেন বা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন সেই লক্ষ্যে পোস্ট অফিসের পাশাপাশি বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাসপোর্ট সার্ভিস সেন্টার ও কুয়ালালামপুরের সিবিএল মানি ট্রান্সফার রেমিট্যান্স হাউস থেকে যৌথভাবে সরাসরি পাসপোর্ট বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন।
হাইকমিশনের এই বিশেষ ব্যবস্থাপনার আওতায় আগামী ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাসপোর্ট সার্ভিস সেন্টার থেকে এবং ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুরের সিবিএল মানি ট্রান্সফার রেমিট্যান্স হাউস থেকে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা।
পাসপোর্ট নির্ধারিত স্থান থেকে সংগ্রহে- লিংকে গিয়ে https://appointment.bdhckl.gov.bd/other অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট ব্যতীত পাসপোর্ট বিতরণ সম্ভব হবে না বিধায় নির্ধারিত তারিখের আগেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য বিদ্যমান পোস্ট অফিসের সার্ভিসটিও চালু থাকবে।
তবে একইসঙ্গে দুই প্রকার সার্ভিসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে প্রবাসীদের অনুরোধ জানিয়েছে হাইকমিশন।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে ই-পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ই-পাসপোর্ট বিতরণ জুলাইয়ে শুরু হতে পারে
মালয়েশিয়ায় দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি কর্মীর মৃত্যুতে হাইকমিশনের শোক
মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যে তিনজন বাংলাদেশি নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
বুধবার(২৯ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই শোক প্রকাশ করে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন।
এতে বলা হয়, দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহের জন্য হাই কমিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) এ. এস. এম. জাহিদুর রহমান এবং আইন সহকারী সুকুমারান সুবরামানিয়মকে ঘটনাস্থলে পাঠান মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার মোহাম্মাদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে হাইকমিশনের জরুরি নোটিশ
কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিন বাংলাদেশি শ্রমিকের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন।
নিহতরা হলেন- বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার হরিপুর গ্রামের আফসার আলীর ছেলে মোহাম্মদ মোকাদ্দেশ আলী, কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মো. রওশন আলীর ছেলে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছাইপাই গ্রামের মোহাম্মদ ওসমান মণ্ডলের ছেলে মো. আহাদ আলী।
নিহতদের লাশ বর্তমানে পেনাং জেনারেল হসপিটালে সংরক্ষিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ইরফানের মৃত্যুর তদন্ত করছে মালয়েশিয়া পুলিশ
এ ছাড়া, আরও দুই শ্রমিককে ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে তারা পেনাং জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চলমান উদ্ধার কাজ শেষ হলে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
দেশটির কর্তৃপক্ষের বরাতে এতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) স্থানীয় সময় আনুমানিক রাত পৌনে ১০টার দিকে মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যে নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়লে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতদের লাশ দ্রুত বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ও প্রক্রিয়া চলছে। মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হাইকমিশন যোগাযোগ করছে বলেও জানান প্রেস সচিব সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় গুদাম ধসে ৩ বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১২ নভেম্বর) বিকালে কুয়ালালামপুরে চ্যালেঞ্জার স্পোর্টস সেন্টারে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
ফাইনাল খেলায় ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি দল বিডি এফসি ক্লাবের বিরুদ্ধে ৪-২ গোলে জয়লাভ করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’- প্রতিপাদ্যের আলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে হাইকমিশন মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির ১২টি দলের অংশগ্রহণে এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করে।
খেলা শেষে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা কাপ: শেখ রাসেলকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানান এবং আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শিশু রাসেলসহ ১৫ আগস্টে শাহাদত বরণকারী সকলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের কালরাতে ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে শিশু রাসেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করে। শিশু শেখ রাসেল ছিল সরলতা, নির্ভীকতা ও নির্মলতার প্রতীক এবং তার আদর্শ এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সব শিশু-কিশোর-এর জন্য আদর্শ।
তিনি বলেন, ১০ বছর বয়সেই তার নেতৃত্বগুণ, সহনশীলতা ও ধৈর্যের প্রকাশ আমরা দেখতে পাই। শেখ রাসেলের বেড়ে ওঠা ও মানবিক গুণাবলী সমূহ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশ কমিনিউটির বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের আপ্যায়িত করা হয়।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্ট
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উদযাপন
মালয়েশিয়ার রাজার কাছে বাংলাদেশ হাই কমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ
মালয়েশিয়ার রাজার কাছে পরিচয় পত্র পেশ করেছেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো. শামীম আহসান।
বুধবার (৮ নভেম্বর) মালয়েশিয়ার রাজা য়াং ডি-পারতুয়ান আগোং আল-সুলতান আব্দুল্লাহ রিআ’য়াতুদ্দীন আল-মুস্তাফা বিল্লাহ শাহ ইবনি আল্মারহুম সুলতান হাজী আহমদ আল-মুস্তাই-ইন বিল্লাহ এর কাছে রাজদরবার ইস্তানা নেগারাতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাই কমিশনার হিসেবে তিনি পরিচয়পত্র পেশ করেন।
আরও পড়ুন: তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র হস্তান্তর
পরিচয়পত্র প্রদানের পরে মালয়েশিয়ার রাজা হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আহসানকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান এবং হাই কমিশনারকে দায়িত্ব পালনকালীন সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এসময় হাই কমিশনার মালয়েশিয়ার রাজাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। মালয়েশিয়ার রাজাও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে তার শুভেচ্ছা জানান। হাই কমিশনার দু'দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মালয়েশিয়ার রাজা দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, পর্যটন, সংস্কৃতি সক্ষমতা-বৃদ্ধিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বিদ্যমান সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করাসহ দুদেশের সম্পর্ক দৃঢ়তর করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরিচয়পত্র দেওয়ার আগে হাই কমিশনারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্যালুট দেন রাজদরবারের ‘প্রেস্টিজ গার্ড’।
অনুষ্ঠানের শেষে হাই কমিশনার অন্যান্য রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে যোগদান করেন। এ সময় যৌথ আলোচনায় হাই কমিশনার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতিদানকারী প্রথম দেশ হিসেবে মালয়েশিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। মালয়েশিয়া সরকারকে বাংলাদেশিদের বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন আহসান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে মালয়েশিয়ার উপপররাষ্ট্র মন্ত্রী দাতুক মোহাম্মদ বিন আলামিন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল দাতো সেরি আমরান বিন মোহাম্মদ জেইন, মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রাচার প্রধান, রাজদরবারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছিলেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চার বিলিয়ন ডলারের উপরে এবং মালয়েশিয়া বাংলাদেশে অষ্টম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ।
আরও পড়ুন: সৌদি প্রবাসীদের জন্য চালু হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা
রাষ্ট্রপতির কাছে নবনিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে জাতীয় সংবিধান দিবস পালিত
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় সংবিধান দিবস-২০২৩ পালন করেছে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) কুয়ালালামপুরে হাইকমিশনের মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
এ বছরের জাতীয় সংবিধান দিবসের প্রতিপাদ্য- 'বঙ্গবন্ধুর ভাবনা, সংবিধানের বর্ণনা'।
এ সময় ‘জাতীয় সংবিধান দিবস-২০২৩’- উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
এরপর উপস্থিত ব্যক্তিদের নিয়ে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা করেন।
হাইকমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূরপ্রসারী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাধীনতার মাত্র এক বছরের মধ্যে সংবিধান প্রণয়ণ বাঙালির জাতীয় জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে আমাদের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস ও সংবিধানের চেতনা ধারণের জন্য জাতীয় সংবিধান দিবস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এছাড়াও তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রবাসীদের যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।
এ সময় হাইকমিশনের কর্মকর্তা -কর্মচারি ও মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি কমিনিউটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্ট
মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির ১২টি দলের অংশগ্রহণে শনিবার (২১ অক্টোবর) শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়'- প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।
এসময়, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট এন্ড সিভিলাইজেশন ফ্যাকাল্টির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর দাতুক ড. ওয়ান আহমেদ ফৌজি বিন ওয়ান হোসেন, হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানান এবং আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শিশু রাসেলসহ ১৫ আগস্টে শাহাদত বরণকারী সকলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বলেন, শিশু শেখ রাসেল ছিল সরলতা, নির্ভীকতা ও নির্মলতার প্রতীক এবং তার আদর্শ ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সকল শিশু-কিশোরের জন্য আদর্শ।
হাইকমিশনার আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে শিশু রাসেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করে।
এসময় শেখ রাসেলের আত্মত্যাগকে শক্তিতে রুপান্তর করে শেখ রাসেলের স্বপ্নের সুন্দর পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
পরবর্তীতে, হাইকমিশনার বিপুল করতালির মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।