টেকনাফ
টেকনাফে পাহাড় থেকে অপহরণকারী ও ডাকাতদলের প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৬
কক্সবাজারের টেকনাফের দুর্গম পাহাড় থেকে বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষকে অপহরণ ও ডাকাতির অন্যতম হোতা ছালেহ বাহিনীর প্রধানসহ ছয়জনকে আটক করেছে র্যাব -১৫।
শনিবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার র্যাব ১৫ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি টেকনাফে অপহরণের প্রবণতা বেড়েছে। গণমাধ্যমের মাধ্যমে এটি জানতে পেরে আমরা গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করি। আমাদের কাছে খবর আসে সালেহ বাহিনী অপহরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা গৃহহীন পাহাড়ে অভিযান পরিচলনা করি। এসময় সালেহ বাহিনীর প্রধানসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি, দেশীয় তৈরি ৩টি একনলা বড় বন্দুক, ২টি একনলা মাঝারি বন্দুক, ৬টি একনলা ছোট বন্দুকসহ মোট ১১টি দেশীয় তৈরি বন্দুক, ১৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৪ রাউন্ড খালি কার্তুজ, ২টি ছুরি ও ৬টি দেশীয় দা উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
আরও পড়ুন: দুইদিনের ব্যবধানে টেকনাফে ৭ জন অপহরণ
গ্রেপ্তারেরা হলেন-ছালেহ বাহিনীর প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে ছলেহ ডাকাত, নুরুল আলম নূরু, আক্তার কামাল সোহেল, নুরুল আলম লালু, হারুনুর রশিদ ও এরিয়াজ উদ্দিন বাপ্পি।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন যে টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ে অবস্থান করে হাফিজুর রহমান ওরফে ছলেহ ডাকাতের সরাসরি নেতৃত্বে এই চক্রটি অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়, মাদক ব্যবসাসহ অন্যান্য অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান র্যাব এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৫ রোহিঙ্গা শিশু ‘অপহরণ’, ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে যুবককে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ
দুইদিনের ব্যবধানে টেকনাফে ৭ জন অপহরণ
কক্সবাজারের টেকনাফে অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীরা আরও দুইজনকে অপহরণ করেছে। এর দুইদিন আগে আরও পাঁচজনকে অপহরণ করে অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীরা। এই নিয়ে টেকনাফে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রবিবার (৩০এপ্রিল) সকালে টেকনাফের বাহাছড়ার জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অপহৃতরা হলেন- উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা গ্রামের বাসিন্দা মো. রহিম (৩২) ও মো. রেদোয়ান (২০)। আহতরা হলেন, আবদুল আমিন ও আব্দুল্লাহ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) অপহৃতরা হলেন- টেকনাফের নয়াপাড়ার রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের সি ব্লকের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বেলাল, মোহাম্মদ ইলিয়াসের ছেলে নূর কামাল, উবায়দুল্লাহর ছেলে নূর আরাফাত, বি ব্লকের মো. রফিকের ছেলে ওসমান এবং ডি ব্লকের মাহাত আমিনের ছেলে নুর কামাল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল হালিম।
তিনি জানান, ৩০ এপ্রিল সকালে দুইজন কৃষক অপহরণের কথা শুনেছি। পরে পুলিশের একটি টিম এলাকায় যায়। এরপর পাহাড়ে অভিযান শুরু করে।
এর আগে পাঁচ রোহিঙ্গা অপহরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, তাদের উদ্ধার তৎপরতার কারণে পাঁচজন উদ্ধার হয়েছে। তবে এসব ঘটনার পিছনে কারা আছে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৫ রোহিঙ্গা শিশু ‘অপহরণ’, ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, 'সকালে পাঁচজন কৃষক পাহাড়ের কাছাকাছি পানের বরজে কাজ করতে গেলে ডাকাতের একটি দল তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় তিনজন পালিয়ে আসলেও দুজনকে অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পালিয়ে আসার সময় ২ জনকে কুপিয়ে জখম করে।'
তিনি জানান, 'এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ি অস্ত্রধারী ডাকাত দল অপহরণ-মুক্তিপণ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে এখানকার বাসিন্দারা ভয়ভীতির মধ্য রয়েছে।'
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে, গত ৬ মাসে ক্যাম্পসহ টেকনাফের পাহাড়ে ৭২ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৪০ জন রোহিঙ্গা নাগরিক ও ৩২ জন স্থানীয় বাসিন্দা।
সবশেষ গত ২৬ এপ্রিল নয়াপাড়া ক্যাম্পের তিন শিশু অপহরণের শিকার হন। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসেন। এছাড়া গত ৩ মার্চ দুইশিশুকে অপহরণের ৮ ঘণ্টা পর ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয় অহরণকারীরা।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং এলাকায় খেত পাহারারত ৪ কৃষককে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তারা ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরেন।
এছাড়া গেল ১৮ ডিসেম্বর টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার একটি পাহাড়ের ভেতর খালে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন আট ব্যক্তি। পরে তারাও ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তারা ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৪ কৃষক অপহরণের অভিযোগ
টেকনাফে ফের কলেজছাত্রসহ ৭ জন অপহরণ
টেকনাফে ৫ রোহিঙ্গা শিশু ‘অপহরণ’, ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
কক্সবাজারের টেকনাফের জাদিমুড়া এলাকা থেকে অপহৃত রোহিঙ্গা পাঁচ শিশুর পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় নয়াপাড়ার রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. একরাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, সোমবার দুপুরে জাদিমুড়ার ন্যাচার পার্ক থেকে মুখোশধারী ৭ থেকে ৮ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী পাঁচ শিশুকে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে গেছে। এরপর অপহৃতদের পরিবারের কাছে ফোনে মুক্তিপণ দাবি করেছে। অপহৃত পাঁচ শিশুর মধ্যে তার বাড়ির কাছে একই ব্লকের তিনজন রয়েছে।
অপহৃতরা হলো- টেকনাফের নয়াপাড়ার রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের সি ব্লকের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বেলাল (১৩), মোহাম্মদ ইলিয়াসের ছেলে নূর কামাল (১২), উবায়দুল্লাহর ছেলে নূর আরাফাত (১২), বি ব্লকের মো. রফিকের ছেলে ওসমান (১৪) এবং ডি ব্লকের মাহাত আমিনের ছেলে নূর কামাল (১৫)।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে যুবককে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা বলেন, ওই শিশুরা ঈদ উপলক্ষে বাইরে ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে ছিল। এ সময় ন্যাচার পার্ক এলাকা থেকে তারা অপহৃত হয়। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
তিনি আরও বলেন, তবে মুক্তিপণের বিষয়ে তাদের এখনও পরিবারগুলো কিছুই জানায়নি। তবে, তাদের উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হালিম জানান, অপহরণের কথা তিনি শুনেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কারও কাছ থেকে কোন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এরপরও পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিড়ালের ছানা দেয়ার কথা বলে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ
টেকনাফে ফের কলেজছাত্রসহ ৭ জন অপহরণ
টেকনাফে মাদক জব্দ, আটক ৪
কক্সবাজারের টেকনাফের জালিয়ার দ্বীপে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা মিয়ানমারের চার নাগরিককে আটক করেছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার ইয়াবা বড়ি, ১ দশমিক ০৬ কেজি ক্রিস্টাল মেথ, ৩৫ বোতল বিদেশি মদ ও ৪৩০ ক্যান বিয়ার জব্দ করার দাবি করেছে বিজিবি।
সোমবার রাতে বিজিবি এ অভিযান চালায়।
আটককৃতরা হলেন- শফিউর রহমানের ছেলে ওয়াজ করিম (২২), আমির হাকিমের ছেলে মাহবুবুর রহমান (১৯), আনিস আহমেদের ছেলে মো. ফয়সাল (২০) এবং মিয়ানমারের হোসেন আহমেদের ছেলে জসিম উদ্দিন।
এদের মধ্যে ফয়সাল ও জসিম কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বালুখালী ক্যাম্পের বাসিন্দা।
বিজিবি-২-এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, খবর পেয়ে বিজিবি-২ এর একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায় এবং রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে সীমান্তবর্তী এলাকার জিরো লাইন অতিক্রম করার সময় একটি নৌকাকে চ্যালেঞ্জ করে।
পরে নৌকার ভেতর থেকে বিয়ার ও মদসহ চারজনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তাদের টেকনাফ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে সাড়ে ১১ কোটি টাকার ক্রিস্টাল মেথ ও ইয়াবা জব্দ: বিজিবি
টেকনাফে ১২ কোটি টাকা মূল্যের মাদক জব্দ
টেকনাফে মাদক জব্দ, যুবক আটক
গ্যাসের গন্ধের খবরে ঢাকাবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় 'গ্যাসের গন্ধের' খবরে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
রাজধানীর মগবাজার, বাড্ডা, বাসাবো, ধানমন্ডি, হাজারীবাগসহ বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা রাস্তায় গ্যাসের গন্ধের কথা জানিয়েছেন।
এর আগে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে বলা হয়, ঈদের সময় কারখানায় গ্যাস সরবরাহ না হওয়ায় সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে গ্যাসের চাপ বেড়ে যাওয়ায় 'ওভার-ফ্লো' ও গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে।
এতে আরও বলা হয় যে তিতাস গ্যাসের জরুরি ও কারিগরি টিম যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা সমাধানে কাজ করছে।
তিতাস গ্যাসের হটলাইন- ১৬৪৯৬ উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের গন্ধের খবর মানুষের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
তিতাস গ্যাস ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’
টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন
কক্সবাজারের টেকনাফের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লেগেছে। ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে টেকনাফ পালখালী ইউনিয়নের চাকমারখুল ২১ নং ক্যাম্পে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ইতোমধ্যে ৩০টির বেশি ঘর পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গারা।
২১ নং ক্যাম্পের বাসিন্দা কুদ্দুস জানান, ‘হঠাৎ দেখতে পাই একটি ঘরের ভিতর থেকে আগুন বের হচ্ছে। মূহুর্তের আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।’
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোয়াইক্যং ফাঁড়ি উপপরিদর্শক (এসআই) রোকনুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ফায়ার সার্ভিসও কাজ করছে। আগুনের তীব্রতা বেশি। এই মূহুর্তে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট কাজ করছে। ইতোমধ্যে অনেক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আপাতত কিছু বলা যাচ্ছে না।’
অতিরিক্ত শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. শামসুদৌজ্জা জানিয়েছেন, আগুনের উত্তাপ বেড়েই চলেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কক্সবাজার ও রামু থেকে ফায়ার সার্ভিসের আরও ৪ টি ইউনিট রওয়ানা
দিয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন: পুড়ে গেছে ২ হাজার ঘর
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫ শতাধিক বসতঘরে আগুন
টেকনাফে ফের কলেজছাত্রসহ ৭ জন অপহরণ
কক্সবাজারের টেকনাফে ফের কলেজছাত্রসহ সাতজনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরার পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।
অপহৃতরা হলেন- জাহাজপুরা এলাকার জাফর আলমের ছেলে জাবরুল ইসলাম, বশির আহমেদের ছেলে ফজলু করিম, ইসহাকের ছেলে গিয়াস উদ্দিন, হায়দার আলীর ছেলে রশিদ আলম, নজির আহমেদের ছেলে আরিফ উল্লাহ, হায়দার আলীর ছেলে জাফর আলম ও জাফর আলমের ছেলে জয়নুল ইসলাম। এর মধ্যে গিয়াস উদ্দিন টেকনাফ ডিগ্রি কলেজের ছাত্র।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাহারছড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৪ কৃষক অপহরণের অভিযোগ
তিনি জানান, প্রতিদিনের মতো সকালে জাহাজপুরা পাহাড়ের কাছে কেউ পানের বরজে, কেউ গরু নিয়ে, আবার কেউ খেতে কাজ করতে যান। এ সময় একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে নিয়ে যান।
টেকনাফ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, অপহরণের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছেন এবং উদ্ধারের তৎপরতা চালাচ্ছে।
এর আগে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর একই এলাকা থেকে স্থানীয় ৮ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে মুক্তিপণ দিয়ে তারা মুক্ত হন।
এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন হ্নীলা থেকে খেত পাহারা দেয়ার সময় চার কৃষককে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে তারাও মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত হন।
আরও পড়ুন: টেকনাফে অস্ত্রধারীদের হাতে ৮ জন অপহৃত
টেকনাফে মাদক ও মানব পাচারকারী চক্রের ৭ সদস্য আটক
টেকনাফে মিয়ানমারের ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের তালিকা যাচাইয়ে মিয়ানমার সরকারের ২২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজারের টেকনাফে পৌঁছায়। মিয়ানমারের রাখাইন স্টেটের মংডু টাউনশীপ থেকে নাফ নদী পার হয়ে স্পীড বোটে করে তারা টেকনাফ জেটি ঘাটে এসে পৌঁছে।
এ সময় শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন, বিজিবিসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানান। এছাড়া প্রতিনিধি দলে মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন বিভাগের ১৭ জন কর্মকর্তা এবং মিয়ানমার পুলিশের পাঁচ সদস্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ইয়াবাসহ ইউপি সদস্য আটক, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের কাছে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের যে তালিকাটি পাঠিয়েছিল তা যাচাই করতে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসেছে। প্রতিনিধিদলটি আরআরআরসির সঙ্গে বৈঠক করবে। পাশাপাশি টেকনাফ স্থলবন্দরে তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবে।
প্রথম দিকে পরিবার ভিত্তিক প্রত্যাবাসনের আওতায় এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয়ার কথা এখন বলা হচ্ছে। এর মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের শ খানেক রোহিঙ্গা রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ইতোপূর্বে মিয়ানমারকে আট লাখ ৬২ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা দেয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের দেয়া এই তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছিল মিয়ানমার।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৪ কৃষক অপহরণের অভিযোগ
টেকনাফে অস্ত্রধারীদের হাতে ৮ জন অপহৃত
কক্সবাজারে হত্যা মামলায় একই পরিবারের ৩ জনের যাবজ্জীবন
কক্সবাজার টেকনাফে কৃষক আব্দুল করিম হত্যা মামলায় একই পরিবারের তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে একজনকে ৫০ হাজার টাকা ও অপর দুইজনকে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ এর বিচারক নিশাত সুলতানা এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালী গ্রামের মো. মকবুলের ছেলে মঞ্জুর, মঞ্জুরের স্ত্রী আমিনা খাতুন ও তাদের ছেলে মো. ফোরকান।
মামলার প্রধান আসামি ফোরকান পলাতক রয়েছেন। অন্য দুজন আদালতে হাজির ছিলেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির বেদারুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নানিকে হত্যার দায়ে নাতির যাবজ্জীবন
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৭ আগস্ট সন্ধ্যায় টেকনাফের বাহারছড়ার উত্তর শীলখালী বইল্যাছড়া এলাকায় আব্দুল করিম নামে এক ব্যক্তির ওপর হামলা করা হয়। পরদিন তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় মামলা করেন নিহত আব্দুল করিমের স্ত্রী খোরশিদা বেগম। এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করা হয়। তার আগে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মোজাফ্ফর আহমদ হেলালী এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট সেলিমুল মোস্তফা ও অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম (৪) মামলাটি পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ইয়াবা পাচারের দায়ে ৮ রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ময়মনসিংহে প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
টেকনাফে ৪ কৃষক অপহরণের অভিযোগ
কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড় থেকে চার স্থানীয় কৃষককে দুর্বৃত্তরা অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে হ্নীলার লেচুয়াপ্রাং পাহাড়ের পাদদেশ থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অপহৃতদের স্বজনরা জানিয়েছেন।
অপহৃতরা হলেন- লেচুয়াপ্রাং এলাকার আব্দুস সালাম, আব্দুর রহমান, মুহিবুল্লাহ ও আব্দুল হাকিম। তারা সবাই কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
আরও পড়ুন: টেকনাফে অস্ত্রধারীদের হাতে ৮ জন অপহৃত
অপহৃত আব্দুস সালামের বড় ভাই মুন্সি রফিক জানান, পাহাড়ের পাদদেশে তাদের জমি আছে। যেখানে প্রায় প্রতিদিন পাহাড় থেকে হাতি নেমে ফসলের খেত নষ্ট করে ফেলে। তাই হাতি থেকে ক্ষেতের বাগান রক্ষায় শনিবার (৭ জানুয়ারি) রাতে পাহাড়ে যায় চারজন। কিন্তু প্রতিদিনের মতো ভোরে ফিরে আসার কথা থাকলেও সকাল ১০টা পর্যন্ত চারজনের কেউ বাড়ি ফিরেননি।
তিনি ধারণা করছেন, তার ভাইসহ চারজনকে অপহরণ করেছে ডাকাতরা।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, অপহরণের খবরটি শুনে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি নিয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ইয়াবাসহ ইউপি সদস্য আটক, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
টেকনাফে পর্যটকবাহী জাহাজে আগুন