চোরাচালান
মার্চে ১৬২ কোটি টাকার বেশি চোরাচালান পণ্য জব্দ
চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ১৬২ কোটি ১৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
জব্দ করা চোরাচালান পণ্যের মধ্যে রয়েছে- ১৮ কেজি ১৮ গ্রাম স্বর্ণ, ১০ কেজি ৫৫০ গ্রাম রূপা, ৪,২৬,৮১২টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ১ হাজার ৭৭৭টি ইমিটেশন গহনা, ৪৩ হাজার ২৬৭টি শাড়ি এবং ১২ হাজার ২০৮টি থ্রিপিস,শার্টপিস,চাদর,কম্বল ও তৈরি পোশাক।
এ ছাড়াও ২ হাজার ৫৮৪ ঘনফুট কাঠ, ২ হাজার ৩১৯ কেজি চা পাতা, ৪৭ হাজার ৭৩৫ কেজি কয়লা, ১ হাজার ৪৪০ ঘনফুট পাথর, ৫টি ট্রাক, ২টি কাভার্ড ভ্যান, একটি বাস, ৫টি পিকআপ, ১০টি নৌকা, ২৭টি সিএনজি ও ইজিবাইক এবং ৬৪টি মোটরসাইকেলও রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৬১ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, ৩ যুবক আটক
উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- একটি পিস্তল, একটএলজি, দুটি ম্যাগাজিন, একটি হ্যান্ড গ্রেনেড এবং ১৬০ রাউন্ড গুলি।
এছাড়াও গত মাসে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ৩ লাখ ৯৩ হাজার ১৬২ ইয়াবা ট্যাবলেট, ৫ কেজি ৭২৭ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৩৮.২১৩ কেজি হেরোইন, ১৩ হাজার ৪৩২ বোতল ফেনসিডিল, ২১ হাজার ৪৭৬ বোতল বিদেশি মদ, ১ হাজার ২৮৭ লিটার বাংলা মদ, ১ হাজার ৩১৯ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৯২৫ কেজি গাঁজা, ৬২ হাজার ৯০৮টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ২ হাজার ৩২৩ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ১.৫০০ কেজি কোকেন, ১ হাজার ১৩ বোতল এমকেডিল ও কফিডিল, ৫ লাখ ৪৯ হাজার ১২২টি বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, ৪ হাজার অ্যানেগ্রা ও সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ০.৯০০ কেজি এলএসডি, ১৪০ প্যাকেট কীর্টনাশক এবং ১১ লাখ ২১হাজার ২টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩১ জনকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১৭৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক, ১৫ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ৪২৪ জন মায়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে বিদেশি সিগারেট ও স্বর্ণালংকার জব্দ, ২ জন আটক
যশোরে সোনা চোরাচালান মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে বহুল আলোচিত ৭২ কেজি সোনা উদ্ধারের মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ভারতীয় দুই নাগরিকের যাবজ্জীবন এবং চারজনকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর ২টায় যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- যশোরের শার্শার শিকারপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার তোফাজ্জেল হোসেন তরফদারের ছেলে মহিউদ্দিন তরফদার, জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম এবং নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে মুজিবুর রহমান।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- ভারতীয় নাগরিক ভারতের গোকর্ন গ্রামের মাঝের পাড়ার আলী হোসেন সরদারের ছেলে মাসুদ রানা এবং ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার গাংগুলিয়া গ্রামের নুর জালাল মণ্ডল।
২০ বছর সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- শার্শার আব্দুল মোমিনের ছেলে ইমরান হোসেন, আব্দুল কাদেরের ছেলে রুবেল হোসেন, রামচন্দ্রপুর গ্রামের নওসাদ আলীর ছেলে কবির হোসেন ও ওরফে মেছের আলীর ছেলে এবং যশোরের শার্শার কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল মণ্ডল ওরফে মোল্যা ওরফে লিদু।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: যশোরে ছুরিকাঘাতে দোকান কর্মচারীকে খুন, ২ যুবক আটক
মামলার বিবরণে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট রাতে নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের সীমান্ত পিলারের পাশে অবস্থান নেয় বিজিবি। রাত ১০টার দিকে কয়েকজন লোক নারিকেলবাড়িয়া মাঠের মধ্য দিয়ে ভারতের দিকে যাওয়ার সময় তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় মহিউদ্দিন নামে একজনকে আটক এবং দুইজন ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। মহিউদ্দিনের কাছে থাকা ব্যাগ থেকে ২২৪টি সোনার বার এবং ফেলে যাওয়া দুইটি ব্যাগ থেকে ৪০০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৭২ কেজি সাড়ে চারশ’ গ্রাম।
পরদিন শিকারপুর বিওপির বিজিবির হাবিলদার মুকুল হোসেন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের আসামি করে চোরাচালান দমন আইনে শার্শা থানায় মামলা করেন।
মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে সিআইডি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। মামলার তদন্তকালে গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকায় ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার আদালত তার রায়ে মহিউদ্দিন তরফদার শান্তি, জাহিদুল ইসলাম ও মুজিবুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা; ভারতীয় নাগরিক মাসুদ রানা ও শফিকুল মণ্ডলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং সাফি, ইমরান হোসেন, কবির হোসেন ও রুবেল হোসেনকে ২০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের এপিপি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, যশোর অঞ্চলের এই যাবৎ সবচেয়ে বড় সোনা চালানের মামলায় দৃষ্টান্তমূলক রায় হয়েছে। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।
অন্যদিকে, রায়ের খবরে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের স্বজনেরা রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, এই রায়ে তারা অসন্তুষ্ট। তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আরিফুল ইসলাম শান্তি বলেন, সরকার যে দ্রুত বিচার ব্যবস্থা কার্যকর করেছে, এতে বিচারকরা সঠিকভাবে মামলা তদন্ত করতে পারছে না। ফলে আসামিপক্ষ প্রকৃত রায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা এই রায়ের বিপক্ষে আপিল করব।
আরও পড়ুন: যশোরে ১৬৫ রাউন্ড গুলি-অস্ত্র-মাদক জব্দ, গ্রেপ্তার ২
যশোরে ট্রাকচাপায় এনজিও কর্মকর্তা নিহত
জুন মাসে ১৮৪.৩৬ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করা হয়েছে: বিজিবি
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১৮৪ কোটি ৩৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে।
গত ১ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব চোলাচালান জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: চামড়া পাচার ঠেকাতে হিলি সীমান্তে কঠোর নজরদারি বিজিবির
জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে-
১১ কেজি ২২৮ গ্রাম স্বর্ণ, ১৪ কেজি ২০০ গ্রাম রূপা, ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৭ হাজার ১৬৮টি ইমিটেশন গহনা, ২২ হাজার ৩২০টি শাড়ি, ২ হাজার ৬৫৮টি থ্রিপিস/লেহেঙ্গা/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ১ হাজার ৭৯৩টি তৈরী পোশাক, ২ হাজার ৫২৬ ঘনফুট কাঠ, ৮ হাজার ৮২৯ কেজি চা পাতা, ২২ হাজার ৫০ কেজি কয়লা, ১ হাজার ৯১৭ কেজি কারেন্ট/সুতার জাল, ২টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৬০ কেজি কচ্ছপের হাড়, ৭২৫ কেজি গ্যামাক্সিন পাউডার, ৬টি ট্রাক, ১৪টি পিকআপ/ট্রাক্টর/ট্রলি, ২টি বাস, ৩টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ১৮টি সিএনজি/ইজিবাইক এবং ৮৬টি মোটরসাইকেল।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে-
১টি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ১টি মর্টার শেল, ১৬ রাউন্ড গুলি এবং ১০ কেজি পেট্রোল বোমা তৈরীর পাউডার।
এছাড়াও গত মাসে বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাটখোলা সীমান্তে সম্প্রীতির বন্ধনে বিজিবি-বিএসএফ
জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে-
১৪ লাখ ৬১ হাজার ১৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৭ কেজি ৩৯০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ২৬ কেজি ০৩ গ্রাম হেরোইন, ১৫ হাজার ৩৭৪ বোতল ফেনসিডিল, ১৬ হাজার ৭৯৩ বোতল বিদেশি মদ, ৩ হাজার ৫৩৯ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৭৫৮ কেজি গাঁজা, ৮ লাখ ৫ হাজার ৫৩৬ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৪ বোতল লাইসার্জিক এসিড ডাইইথাইলঅ্যামাইড (এলএসডি), ৪৯ হাজার ৯১৭টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন/ট্যাবলেট, ২ হাজার ৫৪৬টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ২ হাজার ১০২টি ইস্কাফ সিরাপ, ১ হাজার ৫১০ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ পিস বিভিন্ন প্রকার ঔষধ এবং ১ লাখ ২৯ হাজার ৪১৭টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৮৩ জন চোরাচালানীকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৮৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক, ৫ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ৩৭ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায় ঈদ সম্প্রীতির বন্ধনে বিজিবি-বিএসএফ
ঈদ উপলক্ষে চোরাচালান প্রতিরোধে বিশেষ অভিযানে বিমানবন্দর এপিবিএন
আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে চোরাচালান প্রতিরোধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
বুধবার (১২ এপ্রিল) দিনভর বিশেষ অভিযানে ৯৭৩ গ্রাম সোনা, ১০৪টি মোবাইল, ৫০ কার্টন সিগারেট, ৩৫ কেজি বিউটি ক্রিম, দুইটি ল্যাপটপ এবং ৬০০ গ্রাম লিকার জব্দ করেছে এপিবিএন।
বিষয়টি জানিয়েছেন সংস্থাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
তিনি জানান, যাত্রী ইসমাইল হোসেন, জাকের উল্লাহ, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফোরকান, আব্দুল্লাহ আল ফারুক, জাহিদুল ইসলাম নয়ন, মোহাম্মদ হোসেন, হেলাল উদ্দিন, আবু সুফিয়ান, মোহাম্মদ হাসান মাহমুদ, শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আয়াত উল্লাহ, মো. আমরান হোসেনের কাছ থেকে এই সামগ্রীগুলো জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন এআরএসএ কমান্ডার নিহত: এপিবিএন
যাত্রীরা শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে পণ্যগুলো কাস্টমসের গ্রীণ চ্যানেল অতিক্রম করার পর জব্দ করা হয়।
যাত্রীরা দুবাই, সৌদি আরব ও ওমান থেকে এসেছেন বলে জানান তিনি।
জিয়াউল হক আরও জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে একটি চক্র সক্রিয় হয়েছে এবং তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের অভিযান এখন থেকে চলমান থাকবে। আমরা সবসময় তৎপর, তবে ঈদের আগে কোনো চক্র যেন অবৈধ সুবিধা নিতে না পারে সেজন্য আমাদের কার্যক্রম আরও বেশি জোরদার করা হয়েছে।
এই কর্মকর্তা জানান, জব্দ সামগ্রীর বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া সামগ্রীগুলো কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে এক কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার উদ্ধার: এপিবিএন
চট্টগ্রামে স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় তিন আসামির যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে প্রাইভেটকারের তেলের ট্যাঙ্কির ভেতর থেকে ১২০টি স্বর্ণের বার উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাকারবারী চক্রের তিন সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুননেছা এ রায় ঘোষণা করেন। একই রায়ে আদালত তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-জাকির উদ্দিন মুন্না, মো. জাহির ও মো. ফারুক। এদের মধ্যে ফারুক ছাড়া বাকি দুইজন পলাতক।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে স্বর্ণের বারসহ রোহিঙ্গা মা-ছেলে আটক
মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে ১১ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। রায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত। আসামি জাকির উদ্দিন মুন্না ও মো. জাহির জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। আর ফারুক রায় ঘোষণার সময় আদালতের হাজতে ছিলেন।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৫ সালের ২৩ জুন নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার একটি প্রাইভেট কারের তেলের ট্যাঙ্কের ভেতরে রাখা ১২০টি স্বর্ণের বারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এই ঘটনায় বায়েজিদ বোস্তামী থানায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন পুলিশ। ২০১৬ সালের ১৮ এপ্রিল অভিযোগপত্র গঠন করে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা আন্তর্জাতিক চোরাচালান দলের সদস্য। স্বর্ণের বারগুলো প্রাইভেটকারযোগে ঢাকায় নেয়ার পথে পুলিশ স্বর্ণের বারসহ আসামিদের গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন:যশোরে স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
যশোরে ১৭ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
জুন মাসে ১৩২ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ বিজিবির
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা জুন মাসে সারাদেশ থেকে ১৩১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্য, অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক জব্দ করেছে।
জব্দকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে- ১১ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৬টি ইয়াবা বড়ি, পাঁচ কেজি ৩৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ, ২৯ হাজার ৮৭৬ বোতল ফেনসিডিল, ১১ হাজার ৬৬৭ বোতল বিদেশি মদ, ১২৭ লিটার দেশি মদ, দুই হাজার ৪৮২টি বিয়ারের বোতল, দুই হাজার ৯৪৯ কেজি গাঁজা, আট কেজি চার গ্রাম হেরোইন, ৩৬ হাজার ৫৭৩টি ইনজেকশন, পাঁচ হাজার ৪০০ বোতল এসকুফ সিরাপ, ৫২১ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, আট হাজার ২২১টি অ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ৯২ হাজার ৪০৬টি বিভিন্ন ধরনের ওষুধ এবং ৯৩ হাজার ১১১টি ট্যাবলেট।
অন্যান্য চোরাচালান সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- ১৮ কেজি ৮৯ গ্রাম স্বর্ণ, পাঁচ কেজি রূপা, ৮৬ হাজার ৪২৩টি কসমেটিক আইটেম, দুই হাজার ৫৫২টি ইমিটেশন জুয়েলারি, ১০ হাজার ১৪৫টি শাড়ি, ৯ হাজার ৩৭৯টি থ্রি-পিস/শার্ট-পিস/বেড-শীট/কম্বল, পাঁচ হাজার ২৪৯টি তৈরি পোশাক, এক হাজার ২১০টি কাঠ, চার হাজার ৯০৯ কেজি চা পাতা, ৩১ হাজার ৬০০ কেজি কয়লা, পাঁচটি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৭৭০টি কীটনাশকের বোতল, তিনটি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, পাঁচটি প্রাইভেট কার/মাইক্রোবাস, তিনটি পিকআপ ভ্যান এবং ৩৫টি সিএনজি/ব্যাটারি অটোরিকশা।
জব্দ করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- সাতটি পিস্তল, একটি রিভলবার, পাঁচটি বন্দুক, দুটি বন্দুক, ১৪ রাউন্ড গুলি, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি ককটেল।
এদিকে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার সময় ২২৮ জন চোরাকারবারী, ২৬৮ বাংলাদেশি এবং ১৫ ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি।
আরও পড়ুন: মে মাসে ১৩২ কোটি টাকার চোরাচালান ও মাদক জব্দ করেছে বিজিবি
জানুয়ারি থেকে ৩৩৫ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার বিজিবির
মে মাসে ১৩২ কোটি টাকার চোরাচালান ও মাদক জব্দ করেছে বিজিবি
গত মে মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১৩১ কোটি ৪১ লাখ ৭৯ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্য সামগ্রী, অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ কিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জব্দকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে-১২ লাখ ১৩ হাজার ১৭১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, সাত কেজি ৮৯৮ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, এক কেজি ৮৮৫ গ্রাম হেরোইন, তিন কেজি ১৫০ গ্রাম আফিম, ২২ হাজার ৬৭ বোতল ফেনসিডিল, ১২ হাজার ৫৮৮ বোতল বিদেশি মদ, তিন হাজার ৯৬০ ক্যান বিয়ার, দুই হাজার ১৪৮ কেজি গাঁজা, দুই লাখ ৮০ হাজার ৬৩৯ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৮৩৫ কেজি তামাক পাতা, ৫১ হাজার ১৩৭টি ইনজেকশন, পাঁচ হাজার ৬৯৬টি ইস্কাফ সিরাপ, এক হাজার ৩১ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ছয় লাখ ৫২ হাজার ১৬২ পিস বিভিন্ন প্রকার ঔষধ চার হাজার ৪০০টি অ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ৬৮ হাজার ৯৬৩টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৩৯৫ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস করল বিজিবি
জব্দকৃত অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ১৪ কেজি ৫৮৫ গ্রাম স্বর্ণ, ৩৫ কেজি ২৭৪ গ্রাম রূপা, ৭১ হাজার ৯৫৯টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ১৮ হাজার ৭৮৬টি ইমিটেশন গহনা, ৯ হাজার ৫২৬টি শাড়ী, এক হাজার ৮০০টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ৪৬৬টি তৈরি পোশাক, এক হাজার ৯৪২ ঘনফুট কাঠ, ২৬ হাজার ১৯২ ঘনফুট পাথর, পাঁচ হাজার ৫৩৬ কেজি চা পাতা, ৪৯ হাজার ৬০০ কেজি কয়লা, ১১১ কেজি কারেন্ট জাল, একটি কষ্টি পাথরের মূর্তি, পাঁচটি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, চারটি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, সাতটি পিকআপ, ২৫টি সিএনজি/ইজিবাইক এবং ৮৪টি মোটরসাইকেল।
এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার মোট ৩১টি অস্ত্র, দুটি ম্যাগাজিন, ৮৪ রাউন্ড গুলি এবং ১১৬ কেজি বিস্ফোরক জাতীয় সালফার আটক করা হয়।
সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২২৭ জন চোরাচালানীকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১৬৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক, ৯জন ভারতীয় নাগরিক এবং একজন আফগান নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারি থেকে ৩৩৫ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার বিজিবির
মার্চ মাসে ১১৮ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
মার্চ মাসে ১১৮ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
চলতি বছরের মার্চ মাসে সারাদেশে চোরাচালান বিরোধী অভিযানে ১১৮ কোটি ১১ লাখ টাকার অস্ত্র ও মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
রবিবার বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, ১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে জব্দ করা মাদকের মধ্যে রয়েছে ১৩ লাখ ৪১ হাজার ২৩টি ইয়াবা ট্যাবলেট, পাঁচ হাজার ৪৪ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ বা আইস, তিন হাজার ৫১৩ গ্রাম হেরোইন (ব্রাউন সুগার), এক হাজার ২৭৫ গ্রাম আফিম, ৩৮ হাজার ৬৩৭ বোতল ফেনসিডিল, ১৭ হাজার ৪৯২ বোতল বিদেশি মদ,দুই হাজার ৫৯৫ বোতল,বিয়ার, দুই হাজার ৭৪৪ কেজি হেম্প, ৫৩ হাজার ৩২২টি উদ্দীপক ইনজেকশন, ২১ হাজার ৫০৫টি অ্যানেগ্রা এবং সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ৪ হাজার ৫৯১টি ইস্কোফ সিরাপ এবং তিন লাখ ৭৪ হাজার ৫৬৮ টি অন্যান্য ট্যাবলেট ১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে।
আরও পড়ুন: মাদক পাচার বন্ধে বিজিবি-বিএসএফের ঐক্যমত
অন্যান্য চোরাচালান পণ্যের মধ্যে রয়েছে এক কেজি ১৭৩ গ্রাম সোনা, ২০ কেজি রূপা, চার লাখ ৩৫ হাজার ৫৩০টি প্রসাধনী সামগ্রী, দুই হাজার ৫১৩টি ইমিটেশন জুয়েলারি, ১১ হাজার ৭৩০টি শাড়ি, দুই হাজার ২১৩টি থ্রি-পিস সেট,
এক হাজার ৩৪৫ পিস তৈরি পোশাক, তিন হাজার ৪৯২ ঘনফুট কাঠ,৯ হাজার ৪২৪ কেজি চা, ৩৩ হাজার ৯৩০ গ্রাম কয়লা, একটি কষ্টিপাথরের মূর্তি, ছয়টি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, চারটি প্রাইভেট কার/মাইক্রোবাস, আটটি পিকআপ ভ্যান, ৩৫টি সিএনজি ও ইঞ্জিনচালিত অটোরিকশা এবং ৭১টি মোটরসাইকেল।
জব্দ করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি পিস্তল, দুটি বন্দুক, ১৬ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিন।
এছাড়া এ সময় অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার করায় ৩৭৪ জন চোরাকারবারী ও ছয় ভারতীয়ের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারি মাসে ২১১ কোটি টাকার মাদক ও চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
বিজিবির অভিযানে ২০২১ সালে ১ হাজার ৭৩ কোটি টাকার মাদক জব্দ
জানুয়ারি মাসে ২১১ কোটি টাকার মাদক ও চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত জানুয়ারি মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২১১ কোটি ৬৭ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্য ও মাদক জব্দ করেছে।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বিজিবি এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজিবি জানায়, ১৭ লাখ ৫২ হাজার ৯৯১টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ২১ দশমিক ২৩ কেজি ক্রিস্টাল মেথ, ৩২ হাজার ১৯৪ বোতল ফেনসিডিল, ১৬ হাজার ৪২৭ বিদেশি মদ, দুই হাজার ১০৯ ক্যান বিয়ার, দুই হাজার ১২৬ কেজি গাঁজা, ৭ দশমিক ১৩ কেজি হেরোইন, দুই হাজার ২৪৯ ইনজেকশন, ছয় হাজার ৭৬১ বোতল ইসকাফ সিরাপ ও অন্যান্য মাদক জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৯ কেজি আইস জব্দ
এছাড়া ২ দশমিক ৭ কেজি স্বর্ণ, ৫৯ দশমিক ৭ কেজি রূপা, এক লাখ ৩৮ হাজার ২২৮টি কসমেটিক্স, ১৩ হাজার ৪২৯ ইমিটেশন জুয়েলারি, আট হাজার ৪৯০ শাড়ি, এক হাজার ৬২৫টি রেডিমেড গার্মেন্টস, তিন হাজার ৬০ ঘনফুট কাঠ, সাত হাজার ৭১৪ কেজি চাপাতা, ১৩ হাজার সাতশ কেজি কয়লা, ১২টি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, পাঁচটি প্রাইভেট কার/ব্যাটারিচালিত গাড়ি, ১৮টি পিকআপ, ৩০টি সিএনজি/ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এবং ৬৩টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এছাড়া তিনটি পিস্তল, দুটি ভিন্ন বন্দুক, পাঁচটি ম্যাগাজিন, পাঁচটি মর্টার শেল, ১৬ রাউন্ড গুলি, ছয়টি ডেটোনেটরস ও ছয়টি আইডি উদ্ধার করা হয়েছে।
চোলচালানের অভিযোগে ২৬৭ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ২১৮ জন বাংলাদেশি ও ১৩ জন ভারতীয় নাগরিককে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ১৮ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ৫
ঢাকা বিমানবন্দরে ৩০ স্বর্ণের বার জব্দ, বিমানের নিরাপত্তা কর্মীসহ আটক ২
বেনাপোলে শুল্ক কর্মকর্তাকে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি
চোরাচালানের পণ্য জব্দ করায় বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার মো. আব্দুল কাইয়ুমকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে চোরাচালান কারবারীরা। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ওই কর্মকর্তা।
রবিবার রাতে উপ-কমিশনার মো. আব্দুল কাইয়ুম বেনাপোল বন্দর থানায় এই জিডি করেন।
এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমসের কমিশনার মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন,‘সত্যিকারের যাত্রীদের কোনো হয়রানি করা হয় না। অবৈধভাবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাই মাল আনলে তাদের আটক করা হচ্ছে। এখন কঠোর নজরদারি চলছে। চোরাচালানিরা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে মাল আনতে পারছে না।’
বেনাপোল চোরাকারবারীদের জন্য একটি নিরাপদ পথ হয়ে উঠেছে। কারণ চোরাচালানকারীরা কাস্টমস কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে লাগেজে করে কয়েক লাখ টাকার মালামাল নিয়ে আসে, এদের ‘লাগেজ পার্টি’ বলা হয়।
আরও পড়ুন: নির্যাতনের অভিযোগে মুরাদের বিরুদ্ধে স্ত্রীর জিডি
জানা যায়, দায়িত্ব নেয়ার পর কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার আব্দুর রশিদ এক কোটি টাকার বেশি মূল্যের চোরাচালান পণ্য জব্দ করেন এবং রাজস্ব কর বাবদ ২০ লাখ টাকা আদায় করেন। এতে চোরাকারবারিরা তার ওপর ক্ষুব্ধ হন।
ভুক্তভোগী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ভারতীয় চোরাকারবারিরা ব্যবসায়িক ভিসা নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে প্রবেশ করে। তারা সঙ্গে আনে লাখ লাখ টাকার মালামাল। এগুলো চেকপোস্টেই বিক্রি করে ভারতে ফিরে যায় তারা।
আরও পড়ুন: হুমকি পেয়ে থানায় জিডি করলেন মুনিয়ার বোন
চট্টগ্রাম কারাগার থেকে হত্যা মামলার আসামি নিখোঁজ: থানায় জিডি