বিজিবি
কক্সবাজারে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৩
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বাস ও অন্য এক পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয়জন।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের আজিজনগর ১২নং ব্রিজ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের কলাতলী এলাকার আবুল বাশরের ছেলে মো. হামিদ (৩২) ও লাল মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩০) এবং একই ইউনিয়নের করমুহুরী পাড়ার ধানু মিয়ার ছেলে নজু মিয়া (২৮)।
নিহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হতাহতরা পিকআপের আরোহী ছিলেন।
আরও পড়ুন: মীরসরাইয়ে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৩
প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, পিকআপ ভ্যানটি একটি মোটরসাইকেলকে অতিক্রম করতে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) খোকন রুদ্র বলেন, লোহাগাড়া থেকে একটি মিনি পিকআপ মহাসড়কের আজিজনগর ১২নং ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা বিজিবি’র বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন নিহত হন। বাকি আরোহীদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তিনি আরও বলেন যে আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও পিকআপ ভ্যানটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: পোস্তগোলায় বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২
চকরিয়ায় বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা নিবেদন
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৪তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি)। ২০০৯ সালের এই হত্যাযজ্ঞে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন শহীদদের প্রতি দেশের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দিবসটি উপলক্ষে বিজিবি কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবির আহমেদ যথাক্রমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
দিবসটি উপলক্ষে বিজিবি’র সকল স্থাপনায় বাহিনীর পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে এবং সকল সদস্য কালো ব্যাজ ধারণ করেছেন।
আরও পড়ুন: বহুল আলোচিত পিলখানা হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি প্রকাশ
এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম আশরাফুল হক, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান এবং নিহত কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী 'বিডিআর সপ্তাহ' চলাকালে পিলখানা সদর দপ্তরের দরবার হলে কয়েকশ' বাংলাদেশ রাইফেলস (বর্তমানে বিজিবি) সদস্য সশস্ত্র বিদ্রোহ করে। তারা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে।
পরদিন তৎকালীন সরকার ও বিডিআর বিদ্রোহীদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেড আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহের অবসান ঘটে।
এ ঘটনায় হত্যা ও লুটপাট এবং বিদ্রোহসহ মোট ৫৮টি মামলা করা হয়।
হত্যা মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৪২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া ২৭৭ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
আসামিদের মধ্যে ২৬২ জনকে তিন মাস থেকে ১৯ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে এবং প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
অন্যদিকে ৫৭টি বিদ্রোহ মামলায় পাঁচ হাজার ৯২৬ জন বিডিআর সদস্যকে চার মাস থেকে সাত বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ‘পিলখানা বিদ্রোহের দিন খালেদার লুকিয়ে থাকার রহস্য উদ্ঘাটিত হলে সত্য বেরিয়ে আসবে’
শুধু সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ বন্ধ করলেই মাদক নির্মূল সম্ভব নয়: বিজিবি
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মামুনূর রশীদ বলেন, সীমান্তে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে মাদকের বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিজিবি।
তিনি বলেন, তবে শুধুমাত্র আমাদের সীমান্ত দিয়ে মাদক প্রবেশ বন্ধ করলেই মাদক নির্মূল সম্ভব নয়। এর সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরীণ মাদকের চাহিদাও বন্ধ করতে হবে। একটি দেশের সমাজকে ধ্বংস করতে মাদকই যথেষ্ট। সেকারণে মাদকের কুফল সমাজে তুলে ধরতে হবে।
আরও পড়ুন: বিজিবিতে চাকরির সুযোগ: আবেদন করা যাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি দপ্তরে মাদক ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সীমান্তের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ২০২১ সালের ১ জুন থেকে ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব মাদক জব্দ করে বিজিবি।
ধ্বংসকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে- পাঁচ হাজার ৭৮১ বোতল বিভিন্ন প্রকার মদ, ২৪৩ কেজি গাঁজা, ১১ হাজার ৭৮৯ বোতল ফেন্সিডিল, ১৭ হাজার ৭৮৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩৫ হাজার ৪৬৫ পিস ভারতীয় অনাগ্রা ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক।
মাদক ধ্বংস কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিজিবির খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মামুনূর রশীদ।
এ সময় সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশরাফুল হক, অতিরিক্ত পরিচালক অপারেশন মেজর রেজা আহমেদ, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজীব তালুকদার, সাতক্ষীরা র্যাব ক্যাম্প কমান্ডার মেজর গালিব হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক তাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যশোরে প্রাইভেটকার থেকে ৯ কোটি টাকার স্বর্ণের বার উদ্ধার: বিজিবি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ৬টি ভারতীয় এয়ারগান উদ্ধার করেছে বিজিবি
শার্শা সীমান্ত থেকে ৮টি স্বর্ণের বার জব্দ
ভারতে পাচারকালে যশোরের শার্শার অগ্রভুলাট সীমান্ত থেকে ৯৩২ গ্রাম ওজনের আটটি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
এ সময় কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে না পারলেও চোরাচালানী কাজে ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল জব্দ করে বিজিবি।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের নেতৃত্বে একটি টহল দল স্বর্ণের বারগুলো উদ্ধার করেন।
এ সময় স্বর্ণের বার ফেলে পালিয়ে যায় মোটরসাইকেল আরোহী।
আরও পড়ুন: শার্শায় সীমান্ত থেকে দেড় কোটি টাকার স্বর্ণের বার জব্দ
বিজিবি জানায়, ভারতে স্বর্ণের বার পাচার হবে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শার্শা উপজেলার পাঁচভুলাট ও অগ্রভুলাট বিওপি’র মধ্যবর্তী নয়কোনা বটতলার মোড় নামক স্থানে গোপনীয়তার সঙ্গে বিজিবি সদস্যরা অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর বিজিবি টহল দল একজন ব্যক্তিকে মোটর সাইকেলযোগে আসতে দেখে তাকে থামতে বলে। ওই ব্যক্তি মোটরসাইকেলটি না থামিয়ে জোরে চালিয়ে পালাবার চেষ্টা করলে বিজিবি টহল দল তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সে মোটরসাইকেলসহ ছিটকে পড়ে যায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা কস্টেপ দিয়ে মোড়ানো একটি প্যাকেট ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে উক্ত প্যাকেটটি তল্লাশি করে ৯৩২ গ্রাম ওজনের আটটি স্বর্ণের বারসহ রেখে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
উদ্ধার করা স্বর্ণের মূল্য ৭৩ লাখ ৭২ হাজার ১২০ টাকা ও মোটর সাইকেলের মূল্য এক লাখ ৫০ হাজার টাকা।
খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর রহমান (পিএসসি, ইঞ্জিনিয়ার্স) জানান, গত ২০২২ সাল থেকে খুলনা ব্যাটালিয়নের দায়িত্বাধীন সীমান্ত এলাকা থেকে ২৩ জন আসামিসহ মোট ৭৬ কেজি ৫৯ গ্রাম স্বর্ণ আটক করা হয়েছে।
যার বাজার মূল্য ৫৮ কোটি ৭৫ লাখ ৮৫ হাজার ৮০০ টাকা। চোরাচালান প্রতিরোধে খুলনা ব্যাটালিয়ন (২১ বিজিবি) সর্বদা তৎপর রয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে ১ জন আটক, ৪৫টি স্বর্ণের বার জব্দ
সীতাকুণ্ডে ২০টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২
যশোরে প্রাইভেটকার থেকে ৯ কোটি টাকার স্বর্ণের বার উদ্ধার: বিজিবি
যশোরে প্রাইভেটকার তল্লাশী করে ৬০টি স্বর্ণের বার উদ্ধারের দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। যার বাজার মূল্য আট কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা সদরের রাজারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রাইভেটকার জব্দ করাসহ আট কেজি ৯০০.৭৪ গ্রামের স্বর্ণেরবার উদ্ধার করেছে যশোর ৪৯ বিজিবি ও খুলনার ২১ বিজিবি।
রাত ৮টার দিকে ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ ছিদ্দিকী যশোরস্ত ঝুমঝুমপুর ৪৯ বিজিবি হেড কোয়ার্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, বিজিবি গোপন সংবাদের জানতে পারে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সাদা রঙের একটি প্রাইভেটকারে চোরাকারবারীরা স্বর্ণের বার নিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে যশোর আসছে। এমন সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য যশোরের ৪৯ বিজিবি ও খুলনার ২১ বিজিবি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
তিনি আরও বলেন, বিজিবি প্রাইভেটকারটি চিহ্নিত করে থামার সংকেত দিলে চালক দ্রুত পালিয়ে যায়। এর মধ্যে অপর অভিযানিকদল প্রাইভেটকার ধাওয়া করে থামার সংকেত দেয়। প্রাইভেটকারটি দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সময় যশোর সদর উপজেলার রাজারহাটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার খাদে পড়ে যায়। বিজিবির অভিযানিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই পালিয়ে যায় চোরাকারবারীরা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ৬টি ভারতীয় এয়ারগান উদ্ধার করেছে বিজিবি
শাহেদ মিনহাজ ছিদ্দিকী বলেন, এ সময় প্রাইভেটকারটি উদ্ধার করে তল্লাশীর পর বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৬০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন আট কেজি ৯০০ দশমিক ৭৪ গ্রাম। দাম আট কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
স্বর্ণেরবার গুলো যশোর কোতোয়ালি থানার মাধ্যমে ট্রেজারিতে জমা এবং প্রাইভেটকার থানায় জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং-এ জানান বিজিবি’র এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: বিজিবিতে চাকরির সুযোগ: আবেদন করা যাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে
বিজিবিতে চাকরির সুযোগ: আবেদন করা যাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি) বিশাল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সীমান্তরক্ষী এই বাহিনীতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ১০০তম সিপাহী পদে আবেদন করতে পারবেন পুরুষ ও নারী প্রার্থীরা।
শুক্রবার(২০ জানুয়ারি) বিজিবি তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
আগ্রহী পুরুষ ও নারী প্রার্থীরা বিজিবিতে যোগদানের শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, শারীরিক যোগ্যতা, জেলা কোটা এবং প্রার্থীর অযোগ্যতার বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩: সোনালী ও জনতা ব্যাংকে ৪৬৮ চাকরির সুযোগ
তবে আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য প্রার্থীকে ফি বাবদ পরিশোধ করতে হবে মাত্র ১০০ টাকা।
এছাড়া যারা খেলোয়াড় তারা আবেদন করলে পাবেন অগ্রাধিকার। সরকারি, আধা সরকারি বা বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের সন্তানদের আবেদন করার শর্তাবলিও উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি এবং আবেদন প্রক্রিয়ার খুঁটিনাটি দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন-
http://bgb.gov.bd/sites/default/files/files/bgb.portal.gov.bd/notification_circular/5bec9320_bd70_40f9_9679_01dcc5cf594e/2023-01-20-03-39-29ae1f2b3f9628bd0a9f7919da25855f.pdf
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ রেলওয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩: ১৩৮৫ জনকে নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ রেলওয়ে
উখিয়ায় বিজিবির সঙ্গে মিয়ানমারের সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি
কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে মিয়ানমারের অস্ত্রধারী নবী হোসেন গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রেজুআমতলী সীমান্তে মিয়ানমারের ফের গোলাগুলিতে স্থানীয়রা আতঙ্কিত
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ধামংখালীর সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে নারী-পুরুষ দু’জন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল। এ সময় সীমান্তে বিজিবির সদস্যরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ অবস্থায় সন্ত্রাসী গ্রুপ নবী হোসেনের ২০-৩০ অস্ত্রধারী বিজিবির টহল দলকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। তখন বিজিবি আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট উভয় পক্ষের গোলাগুলি চলে। পরে অস্ত্রধারীরা মিয়ানমারের পাহাড়ে পালিয়ে যায়।’
এদিকে বিজিবি তাদের লিখিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, ১৭ জানুয়ারি কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন ৩৪ বিজিবি এর অধিনস্থ বালুখালী বিওপি হতে আনুমানিক ১.৫ কি. মি. দক্ষিণ দিকে এবং সীমান্ত পিলার-২০ হতে আনুমানিক ৮০০ গজ উত্তর-পূর্ব কোণে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রহমতের বিল হাজীর বাড়ী নামক এলাকায় ইয়াবা কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়।
এসময় বালুখালী বিওপির একটি বিশেষ টহল দল নিকটাবস্থানে টহলরত থাকা অবস্থায় দ্রুত উক্ত সংঘর্ষ এলাকায় গমন করে রণকৌশলগত অবস্থান নেয়। বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা বিজিবি টহল দলকে লক্ষ্য করে ফায়ার শুরু করে।
উক্ত সময়ে বিজিবি টহল দল তাদের জানমাল ও সরকারী সম্পদ রক্ষার্থে কৌশলগত অবস্থানে থেকে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে পাল্টা ফায়ার করলে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এমতাবস্থায় বালুখালী বিওপি হতে অতি দ্রুত আর একটি টহল দল প্রতিহতরত বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে যোগ দেয়। একই সময় পার্শ্ববর্তী ঘুমধুম বিওপি হতেও আরও একটি টহল দল পিকআপ যোগে অতি অল্প সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে বিজিবির শক্তি বৃদ্ধি করে।
বিজিবি তড়িৎ এবং সুসংহত তৎপরতায় উক্ত ইয়াবা সন্ত্রাসীরা মায়ানমারের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
এছাড়া ফায়ারের ঘটনায় বিজিবি টহলদলের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কোন সদস্য আহত/নিহত হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।
বর্তমানে সকল বিওপি সমূহ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি টহল এবং গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে গোলাগুলিতে ২ রোহিঙ্গা নিহত
মাটিরাঙ্গায় গোলাগুলিতে আহত ১, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
বিজিবি, আনসারের নতুন ২ ডিজি নিয়োগ
বাংলাদেশ সরকার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি’র দুই নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) নিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর চারটি পদে রদবদল এনেছে।
মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবদুল্লাহ আরিফ মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ বিজিবি’র ডিজি পদ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে এবং মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান আনসার ও ভিডিপি ডিজি পদ থেকে বিজিবি ডিজি পদে বদলি হন।
অপরদিকে সেনাবাহিনী থেকে মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হককে আনসার ও ভিডিপি ডিজি পদে বদলি করা হয়েছে এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন খানকেও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থার পরিচালক পদ থেকে সেনাবাহিনীতে বদলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত
জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে র্যাব: মহাপরিচালক
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ৯টি এয়ারগান উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত থেকে ৯টি এয়ারগান উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার রাত ১১টার দিকে ফুলবাড়ী সীমান্ত এলাকায় এ অভিযান চালায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ মো. ইশতিয়াক জানান, গতরাত ১১টার দিকে ফুলবাড়ী বর্ডার আউট পোস্টের (বিওপি) টহলদল সীমান্তে টহল পরিচালনার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে ফুলবাড়ী সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত হতে অবৈধ অস্ত্রের চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করবে।
আরও পড়ুন: ঘুমধুম সীমান্তে বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে মিয়ানমার বিজিপি’র সঙ্গে কুশালাদি বিনিময়
গোপন খবর পেয়ে ফুলবাড়ী সীমান্ত ফাঁড়ীর রাত্রীকালীন টহল কমান্ডার নায়েক মো. ফারুক হোসেন ফোর্স নিয়ে ৮৫-৮৬ নম্বর পিলারের নিকট শূন্য লাইনের পাঁকা রাস্তার পাশে অবস্থান নেয়। এর কিছুক্ষণ পর এক ব্যক্তিকে মাথায় বস্তা নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখলে অবস্থা নেয়া বিজিবি’র সশস্ত্র টহলদল তাকে ধাওয়া করে। তখন ওই ব্যক্তি বস্তাটি ফেলে দৌড়ে ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিজিবি সশস্ত্র টহলদল ফেলে যাওয়া বস্তাটি উদ্ধার করে।
উদ্ধার বস্তার ভেতরে তিনটি কার্টুনের মধ্যে থেকে ৯টি অত্যাধুনিক বিদেশি এয়ারগান উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
এ বিষয়ে দর্শনা থানায় অবৈধ অস্ত্র আইনে মামলাসহ আটক এয়ারগানগুলো জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় বিজিবি।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে বিজিবি বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত
চুয়াডাঙ্গায় সীমানা পেরিয়ে দুই যুবকের ভারতে প্রবেশ, ফিরিয়ে আনল বিজিবি
ঘুমধুম সীমান্তে বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে মিয়ানমার বিজিপি’র সঙ্গে কুশালাদি বিনিময়
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যগণ। এসময়, ঘুমধুম ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজের কাছে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সঙ্গে কুশালাদি বিনিময়সহ মিষ্টি বিতরণ করেন।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে ১২টা ৩০মিনিট পর্যন্ত বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যগণ ৩৪ বিজিবি’র অধীনস্থ সীমান্ত এলাকাটি পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে বিজিবি বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত
পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদের (ঢাকা-২০ সংসদ সদস্য) সঙ্গে মো. হাবিবুর রহমান (বগুড়া-৫ সংসদ সদস্য), শামসুল আলম দুদু (জয়পুরহাট-১ সংসদ সদস্য), পীর ফজলুর রহমান (সুনামগঞ্জ-৪ সংসদ সদস্য), নূর মোহাম্মদসহ (কিশোরগঞ্জ-২ সংসদ সদস্য) কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উজ সাকিব ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি’র মহাপরিচালক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ঘুমধুম বিওপি পরিদর্শনের সময় দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ এবং সৈনিকদের সঙ্গে কুশালাদি বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় সীমানা পেরিয়ে দুই যুবকের ভারতে প্রবেশ, ফিরিয়ে আনল বিজিবি
কক্সবাজারে ৫.৬ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার: বিজিবি