ক্ষতিগ্রস্ত
ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলন করবে এটাই স্বাভাবিক।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মোহাম্মদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহী মিশর: পাটমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আশা করি বিএনপি তাদের ২৮ অক্টোবরের হত্যাকাণ্ড, অপরাধ ও তাদের অরাজনৈতিক আচরণের বিষয়গুলো মূল্যায়ন করবে এবং ভুলপথ পরিহার করে রাজনৈতিক সঠিক ধারায় এগিয়ে যাবে।
পাটমন্ত্রী বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, যারা প্রধান বিচারপতির বাড়ি এবং বিচারকদের বাসভবনে হামলা করেছে, যারা ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষকে হত্যা করেছে, যারা বাসে আগুন দিয়ে সাধারণ যাত্রীদের হত্যা করেছে, এই অপরাধের জন্য তাদের বিচার হতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, জামিন একটি স্বাভাবিক ধারা জামিন পেতেই পারে, আদালত ইচ্ছা করলে জামিন দিতেই পারে। জামিনের ব্যাপারে আমাদের কোনো কথা নেই। আমি অনুরোধ করব সংশ্লিষ্ট যারা রয়েছে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে, অবিলম্বে তার বিচার হওয়া উচিৎ।
আরও পড়ুন: দেশের বস্ত্রখাত এক মোড়লের উপর নির্ভরশীল নয়: পাটমন্ত্রী
বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল, বিএনপি খুনিদের দল। এ দলটির পেছন থেকে যিনি কলকাঠি নাড়েন তিনি একজন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, যিনি লন্ডনে বসে আছেন। তার দ্বারা নির্দেশিত হয়ে যে দলটি পরিচালিত হচ্ছে, তাদের উপর থেকে দেশের সর্বস্তরের মানুষ সকল দৃষ্টি সরিয়ে নিয়েছে। দলটি যে গহ্বরে নিমজ্জিত হয়েছে, সে গহ্বর থেকে বেরিয়ে আসার কোনও সুযোগ তাদের নেই।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, নারী শিক্ষার ভিত্তিমূল হিসেবে মোহাম্মদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়টিকে গড়ে উঠতে হবে। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান এমন হতে হবে যাতে অভিভাবকরা এ প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের ভর্তি করাতে ব্যাকুল হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: পাটজাত পণ্য রপ্তানি আয় দ্বিগুণ করতে চাই: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
বস্তিতে আগুন: ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার ঘোষণা ডিএনসিসি মেয়রের
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় মোল্লাবাড়ি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
এর মধ্যে যারা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, তাদের ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি`র মার্কেটের অবৈধ দোকানদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ডিএনসিসি মেয়র
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত তেজগাঁও মোল্লাবাড়ি বস্তি পরিদর্শনে এসে এই ঘোষণা দেন মেয়র।
এ সময় ডিএনসিসি মেয়র ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সহযোগিতায় পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র বলেন, এটি একটি বেসরকারি মালিকানাধীন বস্তি। এখানে নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাস। সরেজমিনে এসে দেখলাম প্রায় সব ঘর অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে। এই তীব্র শীতে যেন তাদের কষ্ট না হয়, সেজন্য পর্যাপ্ত কম্বল সরবরাহ করা হবে। ইতোমধ্যে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে শুকনা খাবার ও কম্বলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দৃষ্টিনন্দন স্ট্রিট আর্টে পোস্টার লাগালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ডিএনসিসি মেয়রের
মেয়র আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। আমি নিশ্চিত করছি হতাহতরা সুচিকিৎসা পাবেন এবং ক্ষতিগ্রস্তরা দ্রুত পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার আওতায় আসবেন।
এ সময় মেয়র স্থানীয় কাউন্সিলর এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়নের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: বস্তিতে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ঘোষণা ডিএনসিসি মেয়রের
তিনি বলেন, সাততলা বস্তি এলাকায় আমরা ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করেছি। বস্তিবাসীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। সব বস্তি, মার্কেট ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে যেন অগ্নিকাণ্ড হলে প্রাথমিকভাবে ব্যবস্থা নিতে পারে। কারণ ফায়ার সার্ভিস আসতেও বেশ কিছু সময় লাগে। প্রশিক্ষণ জানা থাকলে ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব।
আরও পড়ুন: শহর গড়তে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি তহবিল নিয়ে আশার সঞ্চার
বাংলাদেশের মতো উপকূলীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে নবগঠিত ক্ষয়ক্ষতি তহবিল আশার আলো দেখাচ্ছে। সম্মেলনের প্রথম দিনেই কার্যকর করা এই তহবিলে অর্থায়নে আশানুরূপ অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে।
গত এক সপ্তাহে এই তহবিলে ৭০০ মিলিয়ন বা ৭০ কোটি ডলার জমা পড়েছে। যদিও চাহিদার তুলনায় এটি অত্যন্ত নগন্য। তারপরও গঠনের পর থেকে উন্নত দেশগুলো একে একে এগিয়ে আসছে এই তহবিলে অর্থায়নের ক্ষেত্রে। যা বিশ্বের উপকূলীয় অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে।
আরও পড়ুন: কপ-২৮: ৫ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে অন্য দেশের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ
নতুন আশা তৈরি করলেও এই তহবিল থেকে অর্থ পেতে বাংলাদেশের আরও অন্তত আট মাস সময় লাগবে। কারণ বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত এই তহবিল ব্যবহারের মতো প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও দক্ষতা অর্জন করতে পারেনি। এজন্য জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা শুরু থেকে এই তহবিলের অর্থ ব্যবহারের জন্য দ্রুত প্রস্তুতি গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের বিষয়ে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করছে। এই সমীক্ষা শেষ হলে জানা যাবে, বাংলাদেশে কোনে খাতে কী পরিমাণ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে। সেটি নিরুপনের পর বাংলাদেশ নবগঠিত ক্ষয়ক্ষতি তহবিল থেকে অর্থ পাওয়ার আবেদন করতে পারবে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও এলডিসি গ্রুপের লস অ্যান্ড ড্যামেজ সমন্বয়কারী এম হাফিজুল ইসলাম খান ইউএনবিকে বলেন, ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের কার্যক্রম শুরু হতে আরও ৮ মাস সময় দরকার হবে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে প্রথম সভায় বসবে এই তহবিল পরিচালনায় গঠিত পরিচালনা পরিষদ। আর এই পরিষদই ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের অর্থ দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার তাগিদ
তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রস্তুতির অভাবে বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিলের অর্থ ব্যবহার করতে পারছে না। তাই শুরু থেকে ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের অর্থ পাওয়ার জন্য দক্ষ জনবল ও কাঠামো তৈরির কাজ শুরু করতে হবে। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম শেষে গত বছর মিশরের রাজধানী শার্ম আল শেখে ২৭তম জলবায়ু সম্মেলনে ঐতিহসিক ক্ষয়ক্ষতি তহবিল গঠন করা হয়। ফলে অর্থবিহীন এই তহবিলকে কার্যকর করা ছিল একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। কিন্তু এবারের ২৮তম জলবায়ু সম্মেলনের প্রথম দিনেই এই কঠিন কাজটি সহজ করে দেয় আয়োজক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত কপ২৮ সভাপতির তহবিল দেওয়ার ঘোষণা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী ইউএনবিকে বলেন, কপ২৮ সম্মেলনের সভাপতি আয়োজক দেশের পরিবেশমন্ত্রী সুলতান আল জাবের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১০ কোটি ডলার বরাদ্দ দিয়ে এই তহবিলকে কার্যকর করার প্রস্তাব করেন। প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিরা সর্বসম্মতিক্রমে ঐতিহাসিক এই তহবিলকে কার্যকর করার প্রাস্তব অনুমোদন করেন। ফলে অন্য দেশগুলোও এই তহবিলে অর্থায়নে এগিয়ে আসে।
এ পর্যন্ত এই তহবিলে ৭০ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ জমা পড়েছে। আরব আমিরাতের ১০ কোটি ডলার ছাড়াও জার্মানি ১০ কোটি ডলার, ইতালি ১০ কোটি ৮০ লাখ ডলার, ফ্রান্স ১০ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যুক্তরাজ্য ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার, অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ ১৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্র ১ কোটি ৭৫ লাখ ডলার দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কপ-২৮ সম্মেলন : শুক্রবার শুরু হচ্ছে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক
এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া এই তহবিলে কোনো অর্থ না দিলেও তারা আবার জলবায়ু অর্থায়নে ফিরে এসেছে। দেশটির সাবেক সরকার জলবায়ু অর্থায়নে অস্ট্রেলিয়াকে প্রত্যাহার করে নিলেও বর্তমান সরকার শুক্রবার প্যাসিফিক দেশগুলোর জন্য ১৫ কোটি ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। তবে এই অর্থ এখনও প্রত্যাশার চাইতে অনেক কম। ক্ষয়ক্ষতির জন্য প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্ত দশেগুলোর প্রয়োজন ১০০ বিলিয়ন থেকে ৫৮০ বিলিয়ন ডলার। সেই তুলনায় অর্থ প্রাপ্তি চাহিদার মাত্র দশমিক ২ শতাংশ।
মির্জা শওকত আরও বলেন, ক্ষয়ক্ষতি তহবিলগুলো যেসব দেশ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সে ফান্ড পরিচালনায় বিশ্বব্যাংককে একসেস দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা খুব একটা সন্তুষ্ট না হলেও সবাই রাজি হয়েছে। বিশ্বব্যাংক আগামী ৪ বছর ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করবে।
২৫ সদস্যের একটি গভর্নিং বডি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির কাজ হবে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে তহবিল নিয়ে আলোচনা করবে।
তিনি বলেন, অ্যাডাপটেশন ফান্ড দিগুন করার বিষয়ে এই কপে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ গুরুত্বারোপ করেছে। তবে ন্যাশানাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যানের (ন্যাপ) ড্রাফট টেক্সট অ্যাডাপট করতে পারিনি। একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমরা এই টেক্সটটা দিয়ে কাজ করব আগামী ২০২৪ সালের জুন মাসে জার্মানির বন সেশনে।
আরও পড়ুন: উদ্বোধনের এক মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে শুরু হয়নি ট্রেন চলাচল
এছাড়াও আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ জনসংখ্যা জলবায়ু সহনশীল করার লক্ষ্যমাত্রা। আরলি ওয়ার্নিংয়ের মাধ্যমে কত শতাংশ জনসংখ্যা আনা হবে, সেটি চূড়ান্ত হয়নি। তবে কপ৩০ এ গিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান মির্জা শওকত আলী।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কোস্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক আমিনুল হক ইউএনবিকে বলেন, তহবিলে যে পরিমাণ অর্থ পাওয়া গেছে তা অতি নগন্য। আবার এই অর্থ উন্নত দেশগুলো কবে দেবে তার সময়সীমা সংক্রান্ত কোনো রূপরেখা নির্ধারণ করেনি।
তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতি তহবিলে অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কারণে ধনী দেশগুলো বিপদাপন্ন দেশগুলোর জন্য বিশেষায়িত অভিযোজন তহবিলের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অর্থ দিচ্ছে না। চলতি কপে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৪০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ২১ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ১৫-২০ শতাংশ কম। অভিযোজন তহবিলে অর্থ বরাদ্দ না বাড়লে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর বিপদ আরও বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন: চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের অর্থনীতি জিম্মি: ব্যবসায়ী নেতারা
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্বের উপকূলীয় অঞ্চলের দেশগুলো তাদের আর্থিক ও অ-আর্থিক ক্ষতির জন্য এই তহবিল থেকে অর্থ ব্যবহার করতে পারবে।
নির্বাচনের আগে অবরোধ ও হরতালের কারণে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে: ড. আতিউর
বর্তমান অবরোধ ও যানবাহন পোড়ানো কীভাবে অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে তা ব্যাখ্যা করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসবের ব্যাখ্যা দেন। একই সঙ্গে সমাধানে পৌঁছানোর উপায় ও পরামর্শও দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, যানবাহনে আগুন দেওয়ার আশঙ্কা বাস্তব।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বিএনপি, জামায়াত ও কয়েকটি ছোট জোট এসব বিক্ষোভ করছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা। সরকার এই দাবিকে অসাংবিধানিক বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
অর্থনীতিবিদ বলেন, বিক্ষোভের কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ ও রপ্তানি- উভয়ের জন্য পণ্য পরিবহনের ব্যয় বেড়েছে।
এছাড়া সড়কে যানবাহন চলাচল না করায় অধিকাংশ পরিবহন শ্রমিক কর্মহীন হয়েছেন। এগুলো মূলত অস্থায়ী কর্ম এবং এই ধারাবাহিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে হাজার হাজার মানুষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, চলমান অস্থিরতা কেবল অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলকে বিঘ্নিত করছে না, আন্তঃজেলা ট্রাক ও কনটেইনার যানবাহন রাস্তায় চলাচল করতে না পারায় আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খলকেও প্রভাবিত করছে।
পরিবহন ব্যাহত হওয়ার কারণে কৃষি উৎপাদকরা তাদের পণ্যের দাম পাচ্ছেন না, এদিকে শহুরে ভোক্তারা বেশি দাম দিতে বাধ্য হচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
যানবাহন ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ ও হামলার হুমকিসহ অস্থিরতা ইতোমধ্যে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছে যেখানে ব্যবসায়িক আস্থা ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হচ্ছে। এটি বিনিয়োগের মাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন ড. আতিউর।
ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়ায় ব্যাংকগুলো তাদের ঋণখেলাপির সম্ভাবনা নিয়েও উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, এনবিআর চেয়ারম্যান যথার্থই উল্লেখ করেছেন যে, আমদানি মন্দার পাশাপাশি এই রাজনৈতিক অস্থিরতা রাজস্ব আদায়ে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।
এটি আবার বাজেট ঘাটতি ও উচ্চতর সরকারি ঋণের প্রয়োজনীয়তার উপর প্রভাব ফেলে। এমন জটিল পরিস্থিতিতে মুদ্রাস্ফীতি পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। দেশ ২০১৪ সালে একই ধরনের সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের পক্ষে অর্থনীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা বেশ কঠিন হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আইপিওর যাচাই-বাছাইয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের আরও ভূমিকা থাকা উচিত: এটিএম তারিকুজ্জামান
ড. আতিউর বলেন, 'আমরা এই পোড়ানোর সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি... পরবর্তীকালে দেশ শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে এঘিয়ে যায়। তবে দীর্ঘদিন পর সম্পদ পুড়িয়ে ফেলার নেতিবাচক সংস্কৃতির মুখে পড়েছে দেশ। আমি আশা করি, আরেক দফা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা এড়ানোর জন্য সব অংশীজনদের মধ্যে সদিচ্ছা বিরাজ করবে, যার ফলে অর্থনীতির অপ্রত্যাশিত ক্ষতি এড়ানো যাবে।’
এভাবে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলতে থাকলে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় এবং ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্ডার বাতিলের কারণে আমদানি ও রপ্তানি উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এছাড়াও, এই রাজনৈতিক অচলাবস্থা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই সমস্ত পেমেন্টের ভারসাম্যের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয় প্রভাব রয়েছে, যা ইতোমধ্যে মারাত্মক চাপের মধ্যে রয়েছে।’
প্রথম সর্বোত্তম সমাধানটি হবে যেকোনো মূল্যে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনী ট্রেনে তোলা। প্রয়োজনে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আরও বেশি দলকে আকৃষ্ট করতে তফসিল আরও নমনীয় করতে পারে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: শেয়ারবাজারে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেনের জন্য নতুন ডাটা সেন্টার চালু ডিএসইর
এমনকি যদি কিছু দল এই ধরনের সমন্বয়ের পরেও নির্বাচনী ট্রেন এড়িয়ে যায় তবে এটি প্রতিদ্বন্দ্বী দল এবং স্বতন্ত্র হিসেবে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের সামনে এগিয়ে যেতে দিন।
এরই মধ্যে, ‘আমাদের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিনিময় হার ও সুদের হার উভয়কেই নমনীয় করার জন্য আমাদের অবশ্যই বাজার-নির্ধারিত সমাধানের দিকে আরও এগিয়ে যেতে হবে।’
একই সঙ্গে রিজার্ভ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে(বাংলাদেশ ব্যাংক) এ অঞ্চলের বন্ধুপ্রতীম কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে আরও মধ্যমেয়াদি বৈদেশিক মুদ্রার ঋণ বা আমানতে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করা উচিত।
এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবশ্যই সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে আরও রেমিট্যান্স আকৃষ্ট করার জন্য যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে। ক্ষুদ্র রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের জন্য আরও কিছু প্রণোদনা দিতে হবে। বড় রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের জন্য আধিপত্যপূর্ণ এনআরবি বন্ড ঠিক করতে উচ্চতর মুনাফা প্রদানেরও পরামর্শ দেন ড. আতিউর রহমান।
আরও পড়ুন: অবৈধ লেনদেনের দায়ে ওয়ালেটমিক্সের লাইসেন্স বাতিল
সরকার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটর ব্যবসায়ীদের পাশে আছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের পাশে আছেন, কেউ কষ্ট পাবেন না।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলা ও দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে পুনর্বাসন করার কার্যক্রমে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল।
আরও পড়ুন: শতবছর পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
এনামুর রহমান বলেন, বেশিরভাগ দোকানে দেখা যায় শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগছে। দক্ষ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে ডিজাইন করে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, যদি সাধারণ বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি দিয়ে যেনতেনভাবে লাইন টানা হয়, তাহলে আগুনের ঘটনা বারবার মোকাবিলা করতে হবে। কাজেই শুধু সরকার নয়, জনগণকে সচেতন করতে হবে এবং জনগণকেও কমপ্লেক্স তৈরিতে এগিয়ে আসতে হবে।
ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির নেতাদের কথা শুনে প্রতিমন্ত্রী ঘোষণা দেন, রবিবারের মধ্যে কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য ১ হাজার বান্ডিল টিন ও ১ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
এ সময় তিনি বলেন, লাগলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের চাল ও নগদ টাকা দেওয়া হবে। আগুন লাগার আগে যার যে পরিমাণ জায়গায় দোকান ছিল তারা যেন আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, কারো জায়গা কেউ যেন দখল না করে। আগের অবস্থায় কাজ শুরু হবে। কৃষি মার্কেটের মালিক যেহেতু সিটি করপোরেশন তারা এখানকার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এবাদুর মারা গেছেন
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্পে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত, মারাকেচে ঐতিহাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত
মরক্কোতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানায় মানুষ তাদের বিছানা থেকে রাস্তায় ছুটে এসেছে, আসছে এবং পাহাড়ি গ্রাম ও প্রাচীন শহরগুলোর ভবন ভেঙে পড়েছে। যেগুলো এই ধরনের শক্তিশালী ভূমিকম্প সহনীয় করে নির্মিত হয়নি।
২ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং শনিবার দুর্গম এলাকায় উদ্ধারকর্মীদের পৌঁছাতে লড়াই করতে হয়েছে। ফলে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৬ দশমিক ৮ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে ১২০ বছরের মধ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প। এতে শুক্রবার গভীর রাতে আতঙ্ক ও অবিশ্বাসের মধ্যে মানুষদেরকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়তে হয়।
আরও পড়ুন: মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৮০০, মারাকেশে ঐতিহাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত
এদের মধ্যে একজন বলেন, থালাবাসন ও দেয়ালের ঝুলন্ত জিনিসপত্র বৃষ্টির মতো পড়তে শুরু করে এবং মানুষরা তাদের পায়ে দাঁড়াতে পাড়ছিল না। ভূমিকম্পে পাথর দিয়ে তৈরি দেয়াল ভেঙ্গে পড়ে এবং পুরো সম্প্রদায় যেন ধ্বংসস্তূপে ঢেকে যায়!
খরাপীড়িত ওয়রগান উপত্যকার মতো প্রত্যন্ত গ্রামগুলো বিদ্যুৎ ও মুঠোফোন পরিষেবা বিকল হয়ে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: মরক্কোতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে শত শত নিহত
ঐতিহাসিক মারাকেচে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে দেখা যায় রাস্তায় গুচ্ছ গুচ্ছ মানুষ অবস্থান নিয়েছে, যারা ভঙ্গুর ও অনিশ্চিত ভবনগুলোয় ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছেন। দ্বাদশ শতাব্দীতে নির্মিত শহরের বিখ্যাত কুতুবিয়া মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তবে এর পরিমাণ কত তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হওয়া যায়নি। এর ৬৯ মিটার (২২৬ ফুট) উঁচু মিনারটি ‘মারাকেচের ছাদ’ নামে পরিচিত। মরক্কোর নাগরিকরা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এই বিখ্যাত লাল দেয়ালের ক্ষতিগ্রস্ত কিছু অংশের ভিডিও পোস্ট করেছেন।
মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার রাতে জানিয়েছে, ভূমিকম্পে কমপক্ষে ২ হাজার ১২ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই মারাকেচ ও উপকেন্দ্রের নিকটবর্তী পাঁচটি প্রদেশে ছিলেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২ হাজার ৫৯ জন, যাদের মধ্যে ১ হাজার ৪০৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, ভানুয়াতুতে ছোট সুনামি
বান্দরবানে বন্যা: আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ, ১৫,৬০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, বান্দরবানে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের কারণে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুষগুলো তাদের বাড়িতে ফিরে গেছেন।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকালে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি সাম্প্রতিক বৃষ্টি ও বন্যায় সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের বিস্তারিত বিবরণ ও জেলার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
বিপর্যয়টি ধ্বংসের একটি ক্ষত রেখে গেছে। পরিবারগুলোকে বাস্তুচ্যুত করেছে এবং অবকাঠামোর যথেষ্ট ক্ষতি করেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা-ভূমিধস মোকাবিলায় সেনা মোতায়েন
তিনি বলেন, বর্তমানে দুর্যোগকবলিত প্রায় ৩৪০ জন মানুষ জেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। এছাড়া দুর্যোগের প্রভাবটি মারাত্মক হয়েছে। বন্যায় ১৫ হাজার ৮০০ পরিবার আক্রান্ত হয়েছে এবং ১৫ হাজার ৬০০টি বাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কৃষি বিভাগের উদ্ধৃতি দিয়ে জেলা প্রশাসক বলেছেন, কৃষি খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ৮ হাজার ২৫৩ হেক্টর ফসলি জমি বন্যায় তলিয়ে গেছে।
বন্যা ও ভূমিধসের ফলে ১০ জনের মৃত্যুর কথাও জানান তিনি।
এছাড়া অবিরাম বর্ষণে থানচি ও রুমা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর দু’টি ভ্রাম্যমাণ পানি পরিশোধন ইউনিট স্থাপন করে পুনর্বাসনের পদক্ষেপ নিয়েছে।
ইতোমধ্যেই এই উদ্যোগের মাধ্যমে ২ লাখ লিটার পানি বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও ত্রাণ তৎপরতায় যোগ দিয়েছেন এবং অতিরিক্ত ৫৩ হাজার ৮০০ লিটার সুপেয় পানি বিতরণ করেছেন।
উপরন্তু, ৯৬২ জনকে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সেবা এবং ওষুধ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৮৫০টি পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সরকার দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১৬৮ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য এবং ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ৭টি উপজেলার প্রতিটির জন্য ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে এবং পুনর্বাসন কাজে সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহ করেছে।
বান্দরবান শহরে চারদিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার পর শুক্রবার থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়েছে।
এছাড়া, পানি শোধনাগার থেকে ধ্বংসাবশেষ এবং পলি অপসারণের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকায় পানি সরবরাহ ব্যাহত রয়েছে। জেলায় ইন্টারনেট ও মোবাইল সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
বান্দরবানে ভূমিধসে মা-মেয়েসহ নিহত ৩
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ
ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে ত্রাণ সামগ্রী প্রেরণ করেছে বাংলাদেশ সরকার।
শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এসব ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সাহায্য আবারও কমলো, বাংলাদেশে জরুরি অর্থায়নে জাতিসংঘের আহ্বান
এতে আরও বলা হয়,ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে শুকনো খাদ্য, তাঁবু, ঔষধ, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ মোট ১২০ টন ত্রাণ সামগ্রী।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজে শুক্রবার (০২ জুন ২০২৩) চট্টগ্রাম থেকে ইয়াংগুনের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে। জাহাজটি আগামী ০৫ জুন ২০২৩ তারিখে ইয়াংগুন বন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের দুর্দশাগ্রস্ত জনগণের জন্য এই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অতীতে ২০১৫ সালে বন্যা এবং ২০০৮ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘নার্গিস’ পরবর্তী সময়েও বাংলাদেশ মিয়ানমারের জনগণের জন্য জীবন রক্ষাকারী ত্রাণসামগ্রী প্রেরণ করেছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা প্রদান করে আসছে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী কোভিড অতিমারী এবং সিরিয়া, তুরস্ক ও আফগানিস্তানে সংঘটিত ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বাংলাদেশ ত্রাণ সামগ্রী এবং চিকিৎসক দল প্রেরণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষ হতে এসব মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে এবং বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
আরও পড়ুন: কৌশলগত অংশীদারিত্বে বাংলাদেশের সঙ্গে বৃহত্তর সম্পর্ক গড়তে চায় জাপান: রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি
বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ড: ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দিল এফবিসিসিআই
ঢাকার বঙ্গবাজারে সাম্প্রতিক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য অনুদানের এক কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
শনিবার চেম্বারের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এফবিসিসিআই আইকন, ঢাকায় বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির কাছে চেক হস্তান্তর করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন,‘যে কোনো ধরনের অগ্নিকাণ্ড যেকোনো ব্যবসায়ীর জন্যই দুর্ভাগ্যজনক। বঙ্গবাজারে যখন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে তখন আমি দেশের বাইরে ছিলাম। আগুন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়, সেখানে কিছুই অবশিষ্ট থাকেনি। এই সংকটে আমাদের একটু হলেও অবদান রাখা উচিত। তাই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের এক কোটি টাকা সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দেবে এফবিসিসিআই
সার্ক চেম্বারের নতুন সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন,‘আমাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা আজ এই চেক হস্তান্তর করছি। আমি মনে করি, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অগ্নিকাণ্ডে সকল সক্ষম ব্যবসায়ীদের ছোট ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।’
জসিম উদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীদের অবশ্যই কমপ্লায়েন্স মেনে চলতে হবে। তবে শুধু ব্যবসায়ীদের দোষ দিলে হবে না, বাণিজ্যিক ভবন ও কারখানার লাইসেন্স প্রদানকারী কোম্পানিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে এফবিসিসিআই সভাপতি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য স্থায়ী ও আধুনিক ভবন নির্মাণের পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এফবিসিসিআই প্রধান ব্যবসায়ী নেতারা এবং বাজার কমিটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বাজার সম্পর্কে সচেতন হতে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করার আহ্বান জানান।
দেশের কারখানায় অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এফবিসিসিআই সরকারের সঙ্গে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে আমরা ফায়ার সেফটি কাউন্সিল গঠন করেছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ৩,৮৪৫ জন: ডিএসসিসি
এই নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার কোম্পানি পরিদর্শন করা হয়েছে। এই নিরাপত্তা পরিষদ সারাদেশে মোট ৪৪ হাজার কোম্পানি পরিদর্শন করবে। এ ছাড়া প্রতিটি কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান জসিম।
তিনি বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি এবং এফবিসিসিআই ফায়ার সেফটি কাউন্সিলকে দোকান ও শপিং মলে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন।
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ফায়ার সার্ভিস ইউনিট বঙ্গবাজারকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে কয়েকবার সতর্ক করে দিলেও বাজার কমিটি বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি।
সরকারকে দোষারোপ না করে সবাইকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ দোকন মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানান, রাজধানীর বিদ্যমান বাজারগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে। কোনো ধরনের ঝুঁকি লক্ষ্য করা গেলে তাদেরকে সতর্ক করার পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংস্কারের নির্দেশনা দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, মো. হাবিব উল্লাহ ডন, পরিচালকবৃন্দ, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিলের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ (অব.), বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারি এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রধানমন্ত্রীর
৩০০০ ঝুপড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও রোহিঙ্গা শিবিরগুলো ভয়ানক মোখা থেকে রক্ষা পেয়েছে
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে টেকনাফ ও উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় দুই হাজার ৮২৬টি ঝুপড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কক্সবাজারে সরকারের পয়েন্ট ম্যান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) অফিসের তৈরি করা প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
রবিবার রাত ১১টার দিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে ঝড়ের সময় সাতজন শরণার্থী আহত হয়েছে।
যদিও সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য হিসাব বের হতে অন্তত আরও এক দিন সময় লাগতে পারে। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ও কিছু কর্মকর্তা এবং রোহিঙ্গা পরিস্থিতির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন ইঙ্গিত দেয় যে মিয়ানমারের সীমান্তের কাছে শরণার্থী শিবিরগুলো, যেগুলোকে আঘাত করতে হয়েছে। 'খুব তীব্র' ঘূর্ণিঝড়, মোখার সবচেয়ে খারাপ আঘাত থেকে রক্ষা পেতে সক্ষম।
ইউএনবি সোশ্যাল মিডিয়া, বিশেষ করে টুইটারে তাদের বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্টের উপর নজর রাখছিল, যেগুলো তারা নিয়মিতভাবে সংগঠিত ও সমন্বয় করতে এবং 'সংখ্যাটি জানার জন্য' ব্যবহার করে।
যদিও বর্তমানে ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ঝড় আঘাত হানার আগে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দ্বীপের ৫৩টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, কক্সবাজার ক্যাম্পে যারা বেশির ভাগই অবস্থান করে, ঝড়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা তাদের শালীন বাসস্থানগুলোকে শক্তিশালী করার দিকে মনোনিবেশ করে।
ইউএনএইচসিআর বিজিডি, বাংলাদেশে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার কার্যালয়, রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় টুইট করেছে, ‘বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রথম প্রতিক্রিয়াশীলদের নেতৃত্বে শরণার্থী শিবিরে সাম্প্রদায়িক আশ্রয়ের ঝুঁকিতে থাকা লোকদের সময়মতো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সংস্থাগুলি, # সাইক্লোনমোখা চলাকালীন জীবন বাঁচাতে সাহায্য করেছে।’
আইওএম-এর মিশন প্রধান, আবদুসাত্তর এসোয়েভ, ঝড়টি স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সাথে সঙ্গেই টুইট করেছেন, ‘#রোহিঙ্গারেসপন্স-এর নেতৃস্থানীয় সংস্থাগুলোর মধ্যে একটি হিসাবে, আইওএম #জিওবি এবং এর সঙ্গে সমন্বয় করে ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় অন্যান্য সমস্ত মানবতাবাদী ব্যক্তিরা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে।’
কয়েক ঘন্টা পরে, তিনি আবার টুইট করেছেন, ‘# সাইক্লোনমোখা-এর শক্তিশালী বাতাস, যদিও প্রত্যাশার চেয়ে মৃদু, # রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের সুবিধাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ঘূর্ণিঝড় শেষ হয়ে গেলে আমাদের সমস্ত ক্ষতিগ্রস্থ আশ্রয়কেন্দ্র সহ তাদের পুনরুদ্ধার করতে হবে।’
আইওএম হলো ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ(আইএসসিজি) বা রোহিঙ্গা রিফিউজি রেসপন্সের পিছনে সমন্বয়কারী সংস্থা, যা গত ৬ বছর ধরে এই প্রচেষ্টায় জড়িত অসংখ্য সংস্থার ছাতা।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শেষ করেছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
কক্সবাজারে অবস্থান করা গ্রুপের প্রধান সমন্বয়কারী, অর্জুন জৈন, রবিবার রাত ১০টার দিকে টুইট করেছেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশ ছেড়েছে। কক্সবাজার ১০ থেকে ৩ নম্বর সিগন্যাল নিচে দাঁড়িয়ে আছে। ঝড়ের কবল থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি, কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি এখনো ব্যাপক। বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ভূমিধসের ঝুঁকি বাস্তব। জিওবি এবং #রোহিঙ্গা #শরণার্থী স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ। বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।’
এদিকে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ, শিবিরে মানবিক প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত একটি দাতব্য গোষ্ঠী, ঘূর্ণিঝড় মোখায় আঘাত হানার পরপরই, উখিয়া ক্যাম্প ৭-এ তাদের ক্ষতিগ্রস্ত আশ্রয়স্থল মেরামত করার জন্য আইআরবি কর্মীদের এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তা করার ছবি টুইট করেছে।
এর মানে এই নয় যে ছাদ উড়ে যাওয়ার, বা গুহায় পড়ে যাওয়ার, গাছগুলো আশ্রয়কেন্দ্রে ছিটকে পড়ার কোনও চিত্র বা রিপোর্ট নেই এবং কী নেই৷
‘বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা ফটোগ্রাফারদের সমষ্টির স্বাধীন ফটোগ্রাফি’ রোহিঙ্গা ফটোগ্রাফার ম্যাগাজিনের টুইটার অ্যাকাউন্টে রবিবার এ ধরণের চিত্রে পূর্ণ দেখা যায়।
তবুও তারা রবিবার রাত সোয়া ১১টায় স্বস্তিতে আপাতদৃষ্টিতে টুইট করেছে, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশ ছেড়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা পেয়েছে। তা সত্ত্বেও, বিপুল সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র ও সুযোগ-সুবিধা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। টেকনাফের ক্যাম্পগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আমরা দেখব আগামী দিনে এই দাবিগুলো প্রমাণিত হয়, বা না হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: কক্সবাজারে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত