নবজাতক
রংপুরে বিল পরিশোধ করতে না পারায় নবজাতক বিক্রি, আটক ৩
রংপুর নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে না পারায় এক নবজাতককে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রসূতি মায়ের অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার(২১ জানুয়ারি) বিকালে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন।
আটকরা হলেন- হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালের পরিচালক ও নগরীর কামারপাড়া এলাকার মৃত নজির উদ্দিন সরকারের ছেলে এমএস রহমান রনি, শিশুটির ক্রেতা মধ্য পীরজাবাদ এলাকার সামসুল ইসলামের ছেলে রুবেল হোসেন রতন ও রুবেলের স্ত্রী জেরিনা আক্তার বিথী।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি বুধবার সকালে হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালের বিল পরিশোধে ব্যর্থতার অযুহাত ও রোগীর পরিবারের অসহায়ত্বকে কাজে লাগিয়ে নবজাতক ছেলে শিশুটির বিক্রির এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নানির কোল থেকে নবজাতক চুরি
উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন জানান, গত ১৩ জানুয়ারি শনিবার নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল সংলগ্ন শাপলা রোডস্থ হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালেল ২০২নং রুমে প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হন ভুরারঘাট এলাকার লাবনী আক্তার। সেখানে ওই দিন রাতে সিজারের মাধ্যমে একটি নবাজাতক শিশুর (ছেলে) জন্ম দেন তিনি। এর চারদিন পর ১৭ জানুয়ারি ক্লিনিকের বিল পরিশোধে ব্যর্থতার অজুহাত ও অসহায়ত্বকে কাজে লাগিয়ে প্রসূতি মায়ের অগোচরে সদ্যোজাত শিশুকে বিক্রির উদ্যোগ নেন হাসপাতালের পরিচালক। শিশুটির বাবা ওয়াসিম আকরামের সহায়তায় হাসপাতালের পরিচালক এমএস রহমান রনি তার পূর্ব পরিচিত জেরিনা আক্তার বিথী-রুবেল হোসেন রতন দম্পতির কাছে ৪০ হাজার টাকায় শিশুটিকে বিক্রি করে দেন।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসকের ‘অবহেলায়’ মারা যাওয়া নবজাতকের মায়ের মৃত্যু
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় পরবর্তীতে প্রসূতি লাবনী আক্তার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে রবিবার (২১ জানুয়ারি) নগরীর মধ্য পীরজাবাদ এলাকা হতে নবজাতক শিশুটিকে উদ্ধার করে। একই সঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এমএস রহমান রনি, রুবেল হোসেন রতন, জেরিনা আক্তার বিথীকে আটক করে।
আটকদের বিরুদ্ধে ওই প্রসূতি মা মামলা করেছেন বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ
বামনায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি-নবজাতকের মৃত্যু, হাসপাতালে তালা
বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলায় সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১১টার দিকে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় প্রসূতি মোসা. মেঘলা আক্তার এবং নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: বরগুনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ কিশোরের মৃত্যু
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বামনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারেক হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান এবং বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কুমার মন্ডল সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তালা লাগিয়ে দেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান এবং ইউপি সদস্য মো. রেজাউল ইসলাম সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির মালিক।
ডৌয়াতলা কলেজ রোডের এই হাসপাতালে সোমবার বিকালে উত্তর বামনা গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের (তারেক) প্রসূতি স্ত্রী মেঘলা আক্তারকে ভর্তি করানো হয়।
আরও পড়ুন: বরগুনার বজ্রপাতে নদীতে ছিটকে পড়া জেলের লাশ উদ্ধার
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হাসপাতালটির আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সবুজ কুমার দাস, পরিচালক মো. রেজাউল ইসলামসহ ৫/৬ জনে মিলে প্রসূতি মেঘলা আক্তারের সিজারিয়ান অপারেশন শুরু করেন।
রাত পৌনে ১১টার দিকে অপারেশন থিয়েটরে মেঘলা আক্তার এবং নবজাতকের মৃত্যু হয়। এরপর সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুই মালিক, ডাক্তার, নার্সসহ সব স্টাফ পালিয়ে যান।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কুমার মন্ডল মেঘলা আক্তার ও তার নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে বরগুনা মর্গে পাঠান।
আরও পড়ুন: বরগুনায় পিকনিকের বাস খাদে পড়ে ব্যবসায়ী নিহত, আহত ১৮
বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই।
তিনি আরও জানান, এই হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মেঘলা আক্তার ও তার নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। তাই আমরা হাসপাতালটিতে তালা লাগিয়ে দিয়েছি।
এছাড়া এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বামনা থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: বরগুনায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে
হাসপাতালের চেয়ারম্যান এবং বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ মিজানুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
অপর দিকে সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে মালিক পক্ষ, ডাক্তার, নার্সসহ কোনো স্টাফকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: বরগুনায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
চমেক হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক ফেনী থেকে উদ্ধার, ২ নারী আটক
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া ৫ দিনের নবজাতককে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) ভোরে ফেনীর পশুরাম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নবজাতককে উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় দুই নারীকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে চমেক হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (এনআইসিইউ) থেকে নবজাতকটি চুরি হয়।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ
পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘রাতে অভিযান শুরু করে ভোরে শিশুটিকে ফেনী থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। নাসিমা ও পারুল নামে ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তাদের শিশুও এনআইসিইউতে ভর্তি ছিল। ’
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নগরীর বেসরকারি রয়েল হাসপাতালে জন্ম নেওয়া শিশুটি চমেকের এনআইসিইউ’র ৩১ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ছিল। তার মায়ের নাম আসমা বেগম ও বাবার নাম আবু মো. নোমান। তারা চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর সিকদার পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার পর ওয়ার্ডে গিয়ে শিশু চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন তারা। তাৎক্ষণিক হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সকে জানানো হলে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ওই অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে আরও এক নারী দালাল গ্রেপ্তার
চমেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে ৫ দিন বয়সী এক নবজাতক চুরির অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (এনআইসিইউ) এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নগরীর বেসরকারি রয়েল হাসপাতালে জন্ম নেওয়া শিশুটি চমেকের এনআইসিইউ’র ৩১ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ছিল। তার মায়ের নাম আসমা বেগম ও বাবার নাম আবু মো. নোমান। তারা চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর সিকদার পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চমেকে দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মারামারি, ১ জনের মৃত্যু
নবজাতকের মা আসমা বেগম বলেন, ‘আমার বাচ্চাটি রয়েল হাসপাতালে ডেলিভারি হয়েছিল। আমরা চমেক হাসপাতালে এসেছি গত পরশু। হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শিশুদের কাছে কাউকে যেতে দেওয়া হয় না। সকালে আমার মা বাচ্চার দেখাশোনা করেন এবং এরপর নাস্তা করতে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুপুর ২টার পর ফিরে এসে আমার মা আমার মেয়েকে আর খুঁজে পাননি। তখন তিনি কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সদের কাছে আমার মেয়ের সম্পর্কে জানতে চান। খোঁজাখুঁজি করার পরে আমার মেয়েকে না পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।’
বাবা আবু নোমান অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বাচ্চা চুরি হয়ে গেছে। ডাক্তাররা সিন্ডিকেট করে বিক্রি করে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে ৫ ‘দালাল’ গ্রেপ্তার
চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘আমরা তাদের অভিযোগ অনুযায়ী সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেছি। এই সময়ে বাচ্চা বের হওয়ার মতো কিছু দেখা যায়নি। তার পরেও আমরা বড় স্ক্রিনে আবার দেখতেছি। এর পরের ফুটেজও দেখা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কিছুটা কনফিউশনে আছি। এর আগেও একবার চমেক থেকে একটি বাচ্চা চুরির অভিযোগ পেয়েছি, পরে ওই বাচ্চাকে শ্বশুর বাড়ি থেকে পাওয়া যায়। এনআইসিইউ একটি নিরাপদ ইউনিট এবং বাইরের কাউকে এখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। বিকাল ৫টার দিকে আমরা বিষয়টি জানতে পারি এবং তদন্ত শুরু করি।’
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তে আমি চমেক হাসপাতালের এনআইসিইউতে যাই, সেখানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে আরও এক নারী দালাল গ্রেপ্তার
প্রিম্যাচ্যুরিটির কারণে দেশে নবজাতক মৃত্যুর হার বেশি: ডা. নব কৃষ্ণ
প্রিম্যাচ্যুরিটির কারণে বাংলাদেশে নবজাতক মৃত্যুর হার বেশি বলে জানিয়েছেন ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল এবং ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের পরিচালক (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ডা. নব কৃষ্ণ ঘোষ।
তিনি বলেন, নবজাতক মৃত্যুহার কমানোর জন্য ঠিক সময়ে ডায়াগনসিস ও মায়েদের সচেতনতা দরকার।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর মিরপুরে হাসপাতালটির আনোয়ারা খান মেমোরিয়াল কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন অধ্যাপক ডা. নব কৃষ্ণ ঘোষ।
বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস–২০২৩ ও বিশ্ব প্রিম্যাচ্যুরিটি দিবস–২০২৩ উপলক্ষে সেভ দ্য চিলড্রেনের সহায়তায় এই সেমিনারের আয়োজন করে এম আর খান হাসপাতাল।
এসময় নব কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, 'বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস এবং বিশ্ব প্রিম্যাচ্যুরিটি দিবস আমরা একসঙ্গে পালন করছি। যাতে সচেতনতা বাড়িয়ে শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে পারি। আমাদের দেশে অধিকাংশ নবজাতক মৃত্যুর হার প্রিম্যাচ্যুরিটি ও কম ওজনের কারণে। ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিউয়োমনিয়ায় মৃত্যুর হার বেশি।'
আরও পড়ুন: নিবারণযোগ্য অন্ধত্ব প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করবে চক্ষু চিকিৎসক সমিতি ও অরবিস ইন্টারন্যাশনাল
সচেতনতার পরও নানা জটিলতায় প্রিম্যাচ্যুর বাচ্চা হলেও দ্রুত উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে অনেকাংশে শিশুর মৃত্যুহার কমানো সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন নব কৃষ্ণ ঘোষ।
সেমিনারে নিউমোনিয়া নিয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাসপাতালটির পেডিয়াট্রিক পালমোনলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. শাকিবুর রহমান ও প্রিম্যাচ্যুরিটি নিয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাসপাতালটির নিওনেটাল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শারমিন আফরোজ।
সেমিনারের প্রধান অতিথি ও নবজাতক স্বাস্থ্যবিষয়ক জাতীয় কারিগরি ওয়ার্কিং কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, 'নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলেও অনেক অভিভাবক শিশুদের হাসপাতালে আনতে চায় না। গুরুতর হলেই কেবল আনা হয়। এতে বাড়ে মৃত্যুঝুঁকি। এ ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে সরকারকেই মূখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।'
নিউবর্ন হেলথ প্রোগ্রামের ম্যানেজার ডা. জহুরুল ইসলাম বলেন, ওষুধের চেয়ে নিউমোনিয়া প্রতিরোধই সবচেয়ে ভালো। ঠিক সময়ে ভ্যাকসিন, নিয়মিত হাত ধোয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং ব্রেস্ট ফিডিং বাড়ানোর মাধ্যমে আমরা নিউমোনিয়া প্রতিরোধ সম্ভব। আবার যাদের অবস্থা সংকটাপন্ন তাদের চিকিৎসা পাওয়াটা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে ফ্যামিলি সেন্টার খুবই জরুরি। যেখানে প্রতিরোধের পাশাপাশি চিকিৎসার পরবর্তীতে কী ধরনের ব্যবস্থা অভিভাবকদের নিতে হবে সেই পথ দেখিয়ে দিতে হবে। এতে সরকারের খরচ যেমন কমবে, একই সঙ্গে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসবে।
আরও পড়ুন: রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমন্বিত কর্মপন্থা গ্রহণ ও বাস্তবায়নই হেলথ প্রমোশন: সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. শেখ দাউদ আদনান বলেন, নিউমোনিয়ার প্রকোপ কমাতে হলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। কারণ, নিউমোনিয়া বর্তমানে শিশু স্বাস্থ্যে বড় বোঝা আমাদের জন্য।
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিউমোনিয়া সম্পূর্ণ প্রতিরোধযোগ্য হলেও এখনো আমরা সেটি পুরোপুরি প্রতিরোধ করতে পারিনি। আশপাশের ময়লা আবর্জনা, ধুলাতে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
নিউমোনিয়া নিয়ে ডা. নব কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, পরিবেশ, নবজাতকের বুকের দুধ না খাওয়া, বাবার ধূমপানের কারণে শিশুদের নিউমোনিয়া বেশি হয়। এসব কমাতে পারলে নিউমোনিয়া কমানো সম্ভব। পাশাপাশি সফল ভ্যাকসিনেশনেও নিউমোনিয়া কমানো সম্ভব।
ডা. নব কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, ভাইরাল নিউমোনিয়া হচ্ছে ছোট বাচ্চাদের। ভ্যাকসিনের ফলে এই নিউমোনিয়াও কমানো সম্ভব।
সেমিনারে সমাপনী বক্তব্য দেন এম আর খান শিশু হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. আবদুল্লাহ্-আল মামুন।
আরও পড়ুন: ‘প্রতিবন্ধী-বয়স্কদের সুযোগ প্রাপ্তির জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ দরকার’
চুয়াডাঙ্গায় হাসপাতালের শৌচাগারে মিলল নবজাতক
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শৌচাগার থেকে এক মেয়ে নবজাতক উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সদ্য ভূমিষ্ট নবজাতকের মায়ের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
শনিবার (১২ নভেম্বর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে হাসপাতালের নতুন ভবনের পঞ্চম তলার মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের শৌচাগার থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় কাগজের বাক্সে নবজাতকের লাশ!
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবী রেশমা খাতুন বলেন, রাত আড়াইটার দিকে এক রোগী শৌচাগারের যান। সেখানে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনে আমাদের জানান। আমি গিয়ে দেখি শৌচাগারের (কমোডের) মধ্যে নবজাতকের মাথা ও বাইরে দেহ ছিল। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা শেষে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে শৌচাগারে বাচ্চাটি ভূমিষ্ট হয়েছে। তবে আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি, বাচ্চার মাকে পাওয়া যায়নি।
আরএমও ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম বলেন, গভীর রাতে শৌচাগার থেকে পাওয়া নবজাতকটি উদ্ধার করে কর্মরত নার্স ও স্বেচ্ছাসেরীরা। সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে আমাদের সিনিয়র স্টাফ নার্স সাবিনা ইয়াসমিন রেখার কাছে আছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশ বাচ্চাটির পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে রাস্তার পাশ থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নানির কোল থেকে নবজাতক চুরি
ফতুল্লায় কাগজের বাক্সে নবজাতকের লাশ!
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কাগজের বাক্স থেকে একদিন বয়সী নবজাতক ছেলে শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ফতুল্লার শান্তিধারা এলাকার সড়কের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে রাস্তার পাশ থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম জানান, শান্তিধারা এলাকায় অবস্থিত পিবিআই অফিসের বিপরীত দিকের সড়কের পাশে একদিন বয়সী নবজাতক ছেলে শিশুর লাশ কাগজের বাক্সে কাপড় দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
ওসি আরও জানান, ময়নাতদন্তের পর শিশুর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ বিষয়ে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: ঢাবির ফুটপাত থেকে ২ নবজাতকের লাশ উদ্ধার
বুয়েট ক্যাম্পাস থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
আ.লীগ নেতা বড় মনিরের জামিন স্থগিত, নবজাতকের ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ
ধর্ষণ মামলায় টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারীর গর্ভে জন্ম নেওয়া নবজাতকের ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আগামী ২১ আগস্ট ডিএনএ টেস্টের রেজাল্ট আপিল বিভাগে দাখিল করতে বলা হয়েছে। ওইদিন পরবর্তী শুনানি হবে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
আরও পড়ুন: অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূসের আবেদন
এর আগে গত মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ জাকির হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বড় মনিরকে জামিন দেন। পরে জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত ১৫ মে ধর্ষণ মামলায় টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত। টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. মাহমুদুল মহসীন এই আদেশ দেন।
গত ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়। মামলায় ওই কিশোরী ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আসামি করা হয়।
এদিকে অন্তঃসত্ত্বার প্রমাণ পেয়েছে মেডিকেল বোর্ড। এছাড়া ওই কিশোরী ৬ এপ্রিল দুপুরে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। গত ৩০ জুন ওই কিশোরী সন্তান জন্ম দেন।
গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভুঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই এবং জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব।
আরও পড়ুন: বংশী নদী দখল : সাভারের ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব
জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত আইনানুগ ছিল না: হাইকোর্ট
মাতৃত্বকালীন ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবার উন্নয়নে দেশের ১৭ জেলায় ইউএসএআইডির ‘মামনি প্রকল্প’
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) এর অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় পাঁচ বছর মেয়াদী ইউএসএআইডি’র মামনি মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন প্রকল্পের (এমএনসিএসপি) সমাপ্তি উপলক্ষে সেভ দ্য চিলড্রেন সোমবার (৩ জুলাই) এক অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
সেভ দ্য চিলড্রেন ও সহযোগী সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে গঠিত কনসোর্টিয়াম দ্বারা বাস্তবায়িত ইউএসএআইডি মামনি প্রকল্পটি বাংলাদেশের ১৭ টি জেলায় মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কাজ করেছে।
প্রকল্পের দীর্ঘ পাঁচ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা বিশদভাবে তুলে ধরা হয় সমাপনী অনুষ্ঠানে।
বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ইউএসএআইডি'র মামনি এমএনসিএসপি মাতৃ ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা জোরদার এবং বাংলাদেশের মানুষের অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য অবকাঠামো ও সরঞ্জামের উন্নয়ন এবং মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে কমিউনিটি সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইউএসআইডি’র মামনি এমএনসিএসপি প্রতিরোধযোগ্য মাতৃ ও নবজাতকের মৃত্যুরোধে বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য অর্জনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) উপসচিব মো. নাসির উদ্দিন বলেন, প্রকল্পটি গর্ভবতী নারী, মা এবং নবজাতকের জন্য জীবন রক্ষাকারী স্বাস্থ্য সহযোগিতার সহজলভ্যতা বৃদ্ধি করেছে এবং প্রায় ৩৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউএসএআইডির লরা ডব্লিউ বুশ পুরস্কার পাচ্ছেন মাহমুদা
তিনি জানান, ‘ইউএসআইডি’র মামনি এমএনসিএসপি সিভিল সার্জন, হেলথ ফ্যাসিলিটি ম্যানেজার এবং সেবা প্রদানকারীসহ সম্প্রতি গ্র্যাজুয়েট মিডওয়াইফদের সাথে কাজের মাধ্যমে বিশেষ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যায়ে প্রধান মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী হিসেবে তাদের অর্পিত দায়িত্ব গ্রহণে সক্ষম করেছে।’
ইউএসএআইডি'র মামনি এমএনসিএস প্রকল্পের কার্যক্রম ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে, অর্থাৎ প্রকল্পটি শেষ হয়ে গেলেও এর বেশিরভাগ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
প্রকল্প সমর্থিত জেলাগুলো ছাড়াও বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলায় জীবন রক্ষাকারী এই কার্যক্রম প্রসারিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে দাতাদের সাথে কাজ চালিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করা হয় অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানে ইউএসএআইডি বাংলাদেশের ইনফেকশাসাস ডিজিস টিম লিডার ডা. সামিনা চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় কমিউনিটি এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে ইউএসএআইডি'র মামনি এমএনসিএসপি মানসম্মত মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্য সেবার সহজলভ্যতা এবং সহজপ্রাপ্যতা উন্নত করেছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য সুবিধাসহ জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা এবং সরকারি খাতের বিভিন্ন সুবিধা সরাসরি উপকৃত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস এর সভাপতি ও নবজাতক স্বাস্থ্য বিষয়ক জাতীয় কারিগরি ওয়ার্কিং কমিটির চেয়ারপার্সন; অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম, প্রাক্তন সভাপতি, অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি); স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাতৃস্বাস্থ্য কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. আজিজুল আলীম।
আরও পড়ুন: ভুল তথ্যরোধে মিডিয়ার ভূমিকা আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ: ইউএসএআইডি
যক্ষ্মা নির্মূলে সিলেট বিভাগে ইউএসএআইডি’র নতুন উদ্যোগ
সিলেটে সড়কের পাশে থেকে নবজাতক উদ্ধার
সিলেটের বিশ্বনাথে সড়কের পাশ থেকে এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২ জুলাই) রাতে উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের সমেমর্দান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সুবল দেবনাথ ও নাজিম মিয়া নামক স্থানীয় দুই ব্যক্তি ওই নবজাতককে উদ্ধার করে স্থানীয় পীরের বাজারের পল্লী চিকিৎসক এসবি নিরুর কাছে দিয়ে যান।
আরও পড়ুন: ক্লিনিক থেকে চুরি যাওয়ার ২দিন পর নবজাতক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
ওই চিকিৎসক শিশুটির যথাযথ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
পল্লী চিকিৎসক এসবি নিরু জানান, রাতে সুবল দেবনাথ ও নাজিম মিয়া গ্যারেজে টমটম বন্ধ করতে গেলে রাস্তার পাশে কান্না শুনতে পায়। পরে তারা রাস্তা থেকে নবজাতক শিশুকে উদ্ধার করে আমার কাছে নিয়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে শিশুটি সুস্থ আছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বাজারের ব্যাগ থেকে জীবিত নবজাতক উদ্ধার
হাসপাতালের সিঁড়ি থেকে নবজাতক উদ্ধার