এসএসসি
৪৬ বছর বয়সে দাখিল পাশ করলেন কুড়িগ্রামের রহিমা
অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর পরিবার ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় ৪৬ বছর বয়সে এসএসসি সমমানের দাখিল পরীক্ষায় পাস করে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন কুড়িগ্রামের মোছা. রহিমা বেগম নামের এক নারী।
তিনি পেশায় একজন ভাতাপ্রাপ্ত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি। কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে কর্মরত আছেন।
তার বাবার নাম মো. আছর উদ্দিন। তিনি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার খলিলগঞ্জ নাজিরা পাড়া গ্রামের আব্দুল জলিল সরকার মজনুর স্ত্রী।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালে নতুন কারিকুলামে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: দীপু মনি
শুক্রবার ২৮ জুলাই এসএসসি সমমান পরীক্ষায় কুড়িগ্রাম কাঁঠাল বাড়ি মহিউস সুন্না মহিলা দাখিল মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে ৩.৬০ জিপিএ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রহিমা বেগম চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে আর পড়তে পারেননি। সংসারে এক মেয়ে ও এক ছেলে আছে। ছেলে মেয়ে দুজনে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে মাস্টার্স পাস করেছেন।
মেয়েকে বিয়েও দিয়েছেন। মেয়ের ঘরে এক ছেলে আছে। দীর্ঘ সময় পর মেয়ের ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাওয়া-আসা করার সময় তার মনে আবারও পড়াশোনা করার ইচ্ছা জাগে।
সবশেষে কুড়িগ্রাম কাঁঠাল বাড়ি মহিউস সুন্না মহিলা মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষা দিয়ে ৩.৬০ জিপিএ পেয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি।
এ বয়সে পাশ করায় পরিবার আত্মীয় স্বজন ও সহকর্মীদের অভিনন্দন ও ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়েছেন রহিমা বেগম।
রহিমা বেগম বলেন, ‘আমি কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের একজন কর্মচারি। এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছি। এবার আমার স্বপ্ন আমি ইন্টারমেডিয়েটও পড়ব। আমার এসএসসি পাস করার পিছনে আমাদের কলেজের প্রিন্সিপাল স্যারের অবদান রয়েছে। স্যার আমাকে সব সময় উৎসাহিত করতের পড়াশুনা করার জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ কারণেই আমি এসএসসিটা পাস করতে পেরেছি। আমি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে এই কলেজে কাজ করছি। সব স্যাররা আমাকে অনেক স্নেহ করেন। আমিও আমার কাজ সবসময় মনোযোগ দিয়ে করি। আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে-মেয়েরা দুজনেই এই কলেজ থেকেই মাস্টার্স পাস করেছে।’
রহিমা বেগমের মেয়ে মজিদা আক্তার পপি বলেন, ‘মা এই বয়সে এসে সংসার ও চাকরি করার পরও পরীক্ষায় পাস করবে জানতাম না। আমার মায়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ মির্জা নাসির উদ্দীন বলেন, ‘রহিমা বেগম আমার কলেজের একজন কর্মচারি। তিনি দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে মাদরাসায় দাখিল শ্রেণিতে ভর্তি হন। এবছর এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৩.৬০ অর্জন করেছেন। বয়স বা কোনো বাধাই তাকে আটকাতে পারেনি। পড়াশোনা মাঝপথে কিংবা শুরুতে থেমে যাওয়া অন্য সব নার/পুরুষদের জন্য রহিমা একটি প্রেরণার উৎস। যেকোনো বয়সেই যে শিক্ষা অর্জন করা যায় রহিমা তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।’
তিনি আরও বলেন, ‘কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে রহিমাকে অভিনন্দন এবং তিনি উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে ভর্তি হতে চাইলে তাকে সহযোগিতা করা হবে।’
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮০.৩৯ শতাংশ
প্রধানমন্ত্রীর হাতে এসএসসির ফলাফল হস্তান্তর
জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে কমেছে। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। সেই হিসাবে এবার জিপিএ-৫ কম পেয়েছে ৮৬ হাজার ২৪ জন শিক্ষার্থী।
এদিকে, গত বছরের মতো এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে আছে। এর মধ্যে ৮৪ হাজার ৯৬৪ জন ছাত্র এবং ৯৮ হাজার ৬১৪ জন ছাত্রী।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮০.৩৯ শতাংশ
পাসের হারের দিক দিয়ে এগিয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড
পাসের হারের দিক দিয়ে এগিয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হারের দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
বোর্ডটির পাসের হার ৯০ দশমিক ১৮ শতাংশ। আর সবচেয়ে পিছিয়ে আছে সিলেট শিক্ষা বোর্ড। এ বোর্ডে পাশের হার ৭৬ দশমিক ০৬ শতাংশ
শুক্রবার (২৭ জুলাই) ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফলাফলে দেখা গেছে, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ৪৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী এসএসসি পাস করেনি
ফলাফলের তথ্য অনুযায়ী, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ১৮ শতাংশ, যা অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের চেয়ে বেশি। আর সিলেট শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৬ দশমিক ০৬ শতাংশ, যা ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সবচেয়ে কম।
অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। রাজশাহীতে ৮৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ, যশোরে ৮৬ দশমিক ১৭ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, বরিশালে ৯০ দশমিক ১৮ শতাংশ, সিলেটে ৭৬ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৫ শতাংশ ৪৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বোর্ডে এসএসসিতে এবার পাসের হার ৭৮.২৯ শতাংশ
চট্টগ্রাম বোর্ডে এসএসসিতে এবার পাসের হার ৭৮.২৯ শতাংশ
গতবারের তুলনায় এবারও জিপিএ ও পাসের হার দুটোই কমেছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে। এ বছর এসএসসিতে পাসের হার ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৬৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৮৬ জন। এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৫০ জন। এবার পাসের হার গতবারের তুলনায় ১০ শতাংশ কম। গতবার পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৫৩, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৮ হাজার ৬৬৪ জন।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড মিলনায়তনে এই বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করার পর এই তারতম্য দেখা গেছে। ফলাফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ।
বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবার ছাত্র পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ ও ছাত্রী পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৪ জন ও ছাত্রী ৬ হাজার ৪৪৬ জন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর হাতে এসএসসির ফলাফল হস্তান্তর
বিভাগভিত্তিক ফলাফলে এগিয়ে আছেন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ বিভাগে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। মানবিকে পাসের হার ৬৫ দশমিক ৪১ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পাসের হার ৮২ দশমিক ০৬ শতাংশ।
যেখানে, গতবছর পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং পাস করেছে ১ লাখ ৩০ হাজার ১৩ জন।পাস করাদের মধ্যে গতবছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৬৬৪ জন।
প্রসঙ্গত, এবারের পরীক্ষায় ১ হাজার ১০৭টি প্রতিষ্ঠানের জন্য কেন্দ্র ছিল ২১৬টি। পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৬৮ হাজার ২৭০ জন ও ছাত্রী ৮৬ হাজার ৪৯৯ জন। তিন বিভাগেই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এ বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশ নিয়েছে ৩৪ হাজার ৩২ জন। মানবিক থেকে ৫৯ হাজার ৫৩৩ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৬১ হাজার ২০৪ জন পরীক্ষার্থী। গত বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষায় বসেছিল ৩০ হাজার ৩৭১ জন, মানবিক থেকে ৫৯ হাজার ১৩৭ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে পরীক্ষা দেয় ৬০ হাজার ২০৪ জন।
এবার নগরীসহ চট্টগ্রাম জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৬ হাজার ৮৮৫ জন। কক্সবাজার জেলায় পরীক্ষার্থী ছিল ২৪ হাজার ৩৩০ জন, রাঙামাটি জেলা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৮ হাজার ৭৪২ জন, খাগড়াছড়ি থেকে ৯ হাজার ৮৬৬ জন, বান্দরবান থেকে ৪ হাজার ৯৪৫ জন।
আরও পড়ুন: এসএসসির ফল প্রকাশ ২৮ জুলাই
বনশ্রীতে ভবন থেকে পড়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
রাজধানীর বনশ্রীতে একটি ভবনের সাত তলা থেকে পড়ে মোবাশ্বের হোসাইন (১৬) নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।
শনিবার (২২ জুলাই) দিবাগত আড়াইটার দিকে দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত মোবাশ্বের নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বালিয়াকান্দি গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে। চলতি বছর নোয়াখালী বালিয়াকান্দি নবকৃষ্ণ হাইস্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় শিক্ষার্থী নিহত
বর্তমানে সে রাজধানীর বনশ্রীর জি ব্লকে তার চাচাতো ভাইয়ের বাসায় থাকত।
মৃতের চাচাতো ভাই কামাল হোসেন বলেন, গতকাল রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে মোবাশ্বের সাততলার বারান্দার বেলকনি থেকে অসাবধানতাবশত বা মাথা ঘুরে উপর থেকে নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে রাত আড়াইটার দিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
রাজধানীর চকবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত
এসএসসির ফল প্রকাশ ২৮ জুলাই
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ২৮ জুলাই।
বুধবার (১৯ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ এর কারণে তা শুরু হয় ৩০ এপ্রিল।
আরও পড়ুন: সরকারি মাধ্যমিকে ভর্তির ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ
এ বছর দেশের সবকটি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেন ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ আজ, মোবাইলে ফলাফল জানবেন যেভাবে
২০২৬ সালে নতুন কারিকুলামে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ২০২৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং এর সমমানের পরীক্ষায় নতুন পাঠ্যক্রমের অধীনে উপস্থিত হবে।
তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে। আর ২০২৬ সালে নতুন শিক্ষাক্রমের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথম এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেবে।
সোমবার (২৯ মে) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিউট মিলনায়তনে ‘স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল-২০২৩’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম এবং প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়। আর ২০২৪ সালে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন শুরু হবে। ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা হবে। এরপর ২০২৬ সালের প্রথম এসএসসি ও সসমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যায়ন এ বছর থেকে শুরু হচ্ছে। নানান দিক বুঝে উঠতে আমাদের সময় লাগবে। শিক্ষকদেরও অভ্যস্ত হয়ে ওঠার জন্য কিছুটা সময় লাগবে। অভিভাবকদেরও সময় লাগবে। আমরা সৌভাগ্যবান শিক্ষোক্ষার্থীদের বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা, তাদের সময় লাগছে সবচেয়ে কম। শিক্ষার্থীরা দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে, হয়ে যাবে। আমরা এই স্মার্ট শিক্ষা, তার বিভিন্ন অংশ নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাবো। যাতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারি সে জন্য স্মার্ট শিক্ষার নীতি নির্ধারণ কৌশল রপ্ত করবার জন্য আমাদের এই আয়োজন।’
আরও পড়ুন: মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশে বিনির্মাণে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে স্মার্ট শিক্ষার কৌশল নির্ধারণের সূচনা উপলক্ষ্যে ‘স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল' আয়োজন করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এই ফেস্টিভ্যালে ২০টি স্মার্ট শিক্ষা কার্যক্রম প্রদর্শন ও ১০টি সেমিনারে সব শ্রেণিপেশার মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে।
একটি কেন্দ্রীয় ‘স্মার্ট শিক্ষা’ ফ্রেমওয়ার্ক রচনার লক্ষ্যে কিছু মতামত নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে উপস্থাপন করার জন্য এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী ভ্যাস্টিভ্যাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, অনেকগুলো সেমিনার করবো, সেখান থেকে অনেক উপায় বের হবে। স্মার্ট শিক্ষার কৌশল নির্ধারণের শুরু হলো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত রক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও কলেজ) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ও অন্যান্য অতিথিরা ফেস্টিভ্যালে অংশ নেওয়া স্টলগুলো পরিদর্শন করেন। এরপর বিকালে সেমিনারে অংশ নেন নির্ধারিত অতিথিরা।
আরও পড়ুন: আমরা উচ্চশিক্ষাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে গুণগত মান অর্জন করতে চাই: শিক্ষামন্ত্রী
লিখিত পরীক্ষার পরে স্থগিত হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
চুয়াডাঙ্গায় এসএসসি পরীক্ষার খাতা নিয়ে গেল বাড়ি, পরীক্ষার্থীসহ ২ শিক্ষক বহিষ্কার
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে স্থগিত হওয়া এসএসসির কৃষি শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষার খাতা জমা না দিয়ে বাড়ি নিয়ে চলে যায় এক পরীক্ষার্থী। রবিবার (২৮ মে) এমনই এক ঘটনা ঘটেছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে।
পরে ওই পরীক্ষার্থীর বাড়ি থেকে পুলিশ এসএসসি পরীক্ষার খাতা উদ্ধার করে এবং এ ঘটনায় ওই পরীক্ষার্থীসহ দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুই শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীর নাম আল-আমিন।
আরও পড়ুন: ঢাবির বাংলা বিভাগের পরীক্ষায় কান-মুখ খোলা রাখতে হবে
এছাড়া বহিষ্কৃত দুই শিক্ষক হলেন- কুমারী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আশরাফুল হক ও হাবিবুর রহমান।
জানা যায়, আলমডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার সময় সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে আল-আমিন তার পরীক্ষার খাতা নিয়ে বাড়িতে চলে যান। পরীক্ষা শেষে খাতা গণনার সময় একটি খাতা কম পাওয়ায় কেন্দ্রজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরপর বিষয়টি জানানো হয় পুলিশকে।
ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে জানা যায় আল-আমিন পরীক্ষার খাতা বাড়িতে নিয়ে চলে গেছে। পরে পুলিশ উপজেলার জামজামি থেকে ওই পরীক্ষার্থীর বাড়ি থেকে পরীক্ষার খাতা উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় পরীক্ষার্থী আল-আমিনকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ডিউটি থেকে বহিষ্কার করা হয় কুমারী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আশরাফুল হক ও হাবিবুর রহমানকে।
আরও পড়ুন: মায়ের দোয়া চেয়ে পরীক্ষা হলে ছেলে, পরীক্ষা শেষে মায়ের জানাজায় ছেলে
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনার পর ওই কেন্দ্রের হল সুপার আমার থানা থেকে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি থেকে খাতা উদ্ধার করেছে।
তিনি আরও জানান, বাকি বিষয় তাদের হাতে। আমার শুধু খাতা উদ্ধার করে দিয়েছে।
হল সুপার ও আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বলেন, পরীক্ষা শেষে সবার অগোচরে আল-আমিন খাতা নিয়ে বাড়িতে চলে যান। বিষয়টি শনাক্ত করে আল-আমিনের বাড়ি থেকে খাতা উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, আল-আমিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুই শিক্ষককেও বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রনি আলম নূরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পরীক্ষার খাতা জমা না দিয়ে বাড়িতে নেওয়ার কারণে এক পরীক্ষার্থী ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দুই শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষায় অভিনব কায়দায় নকল: ৫ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার
সিরাজগঞ্জে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৭ মে) উপজেলার মান্নান নগর-তাড়াশ আঞ্চলিক সড়কের দোবিলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রোকসানা আক্তার হাসি (১৬)উপজেলার পংরৌহালী গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে এবং মহেশরৌহালী জলিল নগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বুধবার এসএসসি পরিক্ষা শেষ হওয়ার পর রোকসানা আক্তার তার এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে বেড়াতে যাচ্ছিল। তারা মান্নান নগর-তাড়াশ আঞ্চলিক সড়কের দোবিলা নামক স্থানে পৌঁছালে রোকসানা পিছন থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে খাদ্যনালিতে পানি আটকে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু!
সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় শিশু নিহত
সিরাজগঞ্জে বাস-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে ৩ ভাইবোন নিহত
লিখিত পরীক্ষার পরে স্থগিত হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, চলমান এসএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হলেই ঘূর্ণিঝড় মোখা'র কারণে স্থগিত হওয়া পরীক্ষা নেওয়া হবে।
সোমবার রাজধানীর সরকারি টিচার ট্রেনিং কলেজের এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, সময়সূচি অনুযায়ী ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, কারিগরি ও মাদরাসা বোর্ডের অধীনে লিখিত পরীক্ষা আগাম ২৩ মে শেষ হবে। এরপর ১৪ ও ১৫ মে’র স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে রবিবার (১৪ মে) চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড, যশোর শিক্ষাবোর্ড ও বরিশাল শিক্ষাবোর্ড; বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
আর সোমবার (১৫ মে) অনুষ্ঠেয় দেশের সব শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার শনি ও রবিবার এ সংক্রান্ত দুটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন।
নতুন শিক্ষাক্রমের কথা উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, দক্ষ ও স্মার্ট জাতি গঠনে কর্তৃপক্ষ নতুন পাঠ্যক্রম বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নেই, গুজব রটালে কঠোর শাস্তি: শিক্ষামন্ত্রী
২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে: শিক্ষামন্ত্রী